নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাংলাদেশি, এখানে সবার লেখনি পড়ে অবাক হই আর নিজে ও লিখার চেষ্টা করি

আতোয়ার রহমান বাংলা

আমি বাংলাদেশি, এখানে সবার লেখনি পড়ে অবাক হই আর নিজে ও লিখার চেষ্টা করি

আতোয়ার রহমান বাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের চলচ্চিত্রের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২২

চলচ্চিত্র হচ্ছে মানব জীবনের দর্পণ স্বরূপ। চলচ্চিত্র যেমন বিনোদনের মাধ্যম তেমনি তথ্য, শিক্ষা এবং প্রচার-প্রভাব-প্রসারমূলক মাধ্যমও। এ মাধ্যমটি জনমনে রুচি ও প্রত্যাশা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যায়।

চলচ্চিত্রের মাধ্যমে একটি জাতির সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বরূপের বহি:প্রকাশ ঘটে। এটি একটি নান্দনিক শিল্প মাধ্যমও। পরিচালক জহির রায়হানের ১৯৭০ সালে নির্মিত “জীবন থেকে নেয়া” ছবিটি বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের উম্মেষের পিছনে অসামান্য অবদান রেখেছিল। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশেও অসংখ্য কালজয়ী চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। যা এখনও মানুষের হৃদয়কে উদ্বেলিত করে। আশির দশক পর্যন্ত এদেশের চলচ্চিত্রের সোনালী দিন ছিল। মূলত: এর পর হতেই আমাদের চলচ্চিত্রের ফ্যাকাশে বর্ণ লাভ করতে থাকে। এক সময় আমাদের দেশে প্রায় ১৫০০ মত সিনেমা হল ছিল কিন্তু বর্তমানে জরাজীর্ণ মাত্র ২৭৪ সিনেমা হল রয়েছে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ২৫ জেলা সিনেমা হল শুন্য। এক সময় প্রায় লক্ষাধিক লোকের জীবন-জীবিকা নির্ভর করত এই চলচ্চিত্রের উপর। তবে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, কেবলমাত্র আমাদের দেশের চলচ্চিত্রেরই মন্দা অবস্থা বিরাজমান নয়, বিশ্বের অন্যতম চলচ্চিত্র নির্মানস্থল হলিউড কিংবা ভারতের বলিউড পাড়ায়ও চলচ্চিত্রের এখন আর আগের মত রমরমা অবস্থা নেই। আমেরিকায় বর্তমানে সিনেপ্লেক্স্র ধারনা বিস্তার লাভ করছে। অর্থ্যাৎ কোন মার্কেটে ছোট পরিসরে সিনেমা হল নির্মান করা হচ্ছে। যেখান থেকে মানুষ মার্কেট করার পাশাপাশি চলচ্চিত্র উপভোগ করার সুযোগ লাভ করবে। আমাদের দেশেও বর্তমানে এ প্রচলন শুরু হতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু দু:খের বিষয় বর্তমানে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান কতকগুলি কারন হলো:-
১। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা: বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে অল্প খরচে ও অল্প সময়েই একটি চলচ্চিত্র নির্মান করা যায়। এতে করে অধিকমাত্রায় চলচ্চিত্র নির্মানের কারনে ছবির মান ঠিক থাকছে না। এছাড়া আকাশ সংস্কৃতির কারনে মানুষ ঘরে বসেই এখন ঘন্টায় ঘন্টায় ছবি দেখার সুযোগ পাচ্ছে। এতে করে মানুষ হলে গিয়ে ছবি দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ৩৫এমএম ক্যামেরার একটা ছবির যে ফ্লেভার ছিল বর্তমানের ছবিতে সেই ফ্লেভার পাওয়া যাচ্ছে না। কোনটা নাটক আর কোনটা চলচ্চিত্র এটা এখন বুঝতে অনেক কষ্ট হয়। এর অর্থ হলো প্রযুক্তি হাতে পেয়ে সৃষ্টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, তাই ভালো চলচ্চিত্র মানুষ দেখতে পারছে না।
২। বর্তমানে মানুষের রুচির ও চিন্তা-চেতনার অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। আকাশ মিডিয়ার কল্যানে মানুষ এখন উন্নত বিশ্বের নামীদামী সিনেমাগুলো প্রতিনিয়ত দেখার সুযোগ পাচ্ছে। যে কারনে মানুষ এখন বিদেশী কাহিনী ও উন্নত প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ছবি দেখার পর আর বাংলা ছবির প্রতি তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধর পাশাপাশি আমাদের নির্মাতারা ডিজিটাল পদ্ধতির কথা ভাবতে শুরু করে কাজও শুরু করে দিয়েছে। কিছু ভালমানের ছবি নির্মিত হয়েছে তবে এর সংখ্যা অত্যন্ত কম। ভাল ছবির কদর সব সময়ই ছিল এবং এখনও আছে। তবে মনে রাখতে হবে একটা ভালমানের ছবি নির্মানের জন্য প্রথমেই একটা ভাল কাহিনীর প্রয়োজন, ভাল চিত্রনাট্য, দক্ষ কলাকুশলী ও কাহিনীর প্রেক্ষাপটে একটি ভাল লোকেশন প্রয়োজন। আর পরিচালক একজন দক্ষ নাবিকের ন্যায় যখন এই কাজগুলি করতে সক্ষম হন তখনই একটি ভালমানের ছবি নির্মান করা সম্ভব হয়। কিন্তু এই বিষয়গুলির মধ্যে সমন্বয় করার মত দক্ষ নাবিক স্বল্পতায় ভুগছে আমাদের চলচ্চিত্র।
৩। আগের দিনের একজন কলাকুশলী, নির্মাতা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রটির সাথে সম্পৃক্ত সকলের মধ্যে কাজের প্রতি একধরনের আন্তরিকতা বিদ্যমান ছিল কিন্তু বর্তমানে কাউকে বড় একটা দেখা যায় না পূর্বের ন্যায় আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে। বর্তমানে একজন চিত্রনায়ক কিংবা চিত্রনায়িকা ছবি নির্মানে ঠিকমত সিডিউল প্রদান করে না এতে করে ছবিটি নির্মানে খরচ বৃদ্ধি পায়। যা পূর্বের কলাকুশলীর মধ্যে তেমন একটা ছিল না। তারা সময়ের ব্যাপারে ছিল অতিমাত্রায় সচেতন। বর্তমানের অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা নিজেদের বিরাট কিছু ভেবে তাদের ইচ্ছামত সুটিং করতে আসে এবং তাদের ইচ্ছা মত সুটিং ছেড়ে চলে যায়। এজন্য নির্মাতারা মনের মত করে চলচ্চিত্র নির্মান করতে পারছে না। বিধায় নির্মাতার লগ্নি করা টাকা ফেরৎ আসতেছে না ফলে নির্মাতারা চলচ্চিত্র নির্মানের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে আর দর্শকরা বঞ্চিত হচ্ছে ভালোমানের ছবি দেখা হতে।
৪। প্রতিবেশী দেশ সহ পৃথিবীর অনেক দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশুনার ব্যবস্থা রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তম শ্রেণী থেকে শুরু করে পিএইচডি পর্যায়ে রয়েছে চলচ্চিত্র শিক্ষা কার্যক্রম। প্রতিবেশী দেশ ভারতে পুনে ফিল্ম এন্ড টিভি ইন্সটিটিউটে ডিপ্লোমা পর্যায়ে এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ এবং পিএইচডি পর্যায়ে চলচ্চিত্রের উপর শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। চলচ্চিত্রকে বর্তমানে আর সীমিত দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে দেখার দিন নেই। এর প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গীর আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু দেরীতে হলেও আমাদের দেশেও বর্তমানে কয়েকটি সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিনয় সংক্রান্ত বিষয়ে পড়াশুনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেমন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রীন ইউনিভার্সিটি, জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট, ফিল্ম ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ, ঢাকা ফিল্ম ইন্সটিটিউট অন্যতম। চলচ্চিত্র একাধারে শিল্প, অর্থনীতি ও প্রযুক্তি নির্ভর বিধায় এর সঙ্গে জড়িতদের পেশাগত শিক্ষা ও দক্ষতার প্রয়োজন অনস্বীকার্য।
৫। আমাদের সরকার গুলি চলচ্চিত্রকে স্বাধীন ভাবে বিকশিত করার পথে অনেক ধরনের অন্তরায় তৈরী করে রেখেছে। উন্নত বিশ্বে যেকোন সরকারী ভবন বা স্থাপনায় স্যুটিং করার সুযোগ থাকলেও আমাদের দেশে এক্ষেত্রে ততটা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া গণমাধ্যমে এর প্রচার-প্রচারনায়ও রয়েছে নানাধরণের বিধিনিষেধ। কারও হাত-পা বেধে পুকুরে নামিয়ে দিলে যেমন তার পক্ষে সাতার কাটা সম্ভব নয় তেমনি সরকারকে আরও উদার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে না আসলে এক্ষেত্রে সাফল্য আসবে না।

৬। বিদেশী ছবির আগ্রাসনের কারনে আমাদের ছবির বাজার দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে। যৌথ ছবি নির্মানের কতকগুলি নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যেসকল যৌথ ছবি নির্মিত হচ্ছে সেখানে এসকল নীতিমালা গুলি পালন করা হচ্ছে না। যেমন: কোন যৌথ ছবির কলাকুশলী সমহারে নিতে হবে, ছবির সুটিং হবে উভয় দেশে সমহারে এই বিষয়গুলি মানা হচ্ছে না। যেভাবে যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মান করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভাবে আমাদের দেশের চলচ্চিত্রের স্বার্থ বিরোধী।
৭। নতুন নতুন পরিচালক উঠে আসছে ঠিকই কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশের কাজের মান ভাল নয়। এছাড়া তাদের মধ্যে প্রবীণদের নিকট হতে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের মানসিকতার বড়ই অভাব। নতুন পরিচালক ও প্রবীণ পরিচালকদের মধ্যে এক ধরনের দুরত্ব বিদ্যমান। বর্তমানের নতুন পরিচালকগণ ছবির মানের উপর গুরুত্ব যত না দিচ্ছে তার চেয়ে বেশী দিচ্ছে ছবির সংখ্যার উপর। তবে এককথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কিছু কিছু নতুন পরিচালক ভাল কিছু ছবি নির্মানের প্রমান রেখেছে তবে এদের সংখ্যা অত্যন্ত কম।
৮। আমাদের চলচ্চিত্রের একধরনের মন্দার আরো একটি কারন হলো একটি প্রজন্ম হতে অন্য একটি প্রজন্মের পরিবর্তন হচ্ছে। এটা কলাকুশলী সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে আমি দৃঢ় ভাবে আশাবাদী আমাদের আগামীর চলচ্ছিত্র নিয়ে। একদিন আবার আমাদের চলচ্চিত্রের সোনালী দিন ফিরে আসবে। তবে এজন্য আমাদের সকলকে কাদে কাদ মিলিয়ে চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। সরকার, চলচ্চিত্র নির্মানের সাথে যারা জড়িত ও দর্শক সকলকে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে দেশটা আমাদের, আমাদের দেশকে আমাদেরকেই গড়তে হবে, আমাদেরই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাহির হতে কেউ এসে আমাদের সমস্যার সমাধান করে দিবে না। সরকারকে মূলত আরও অনেক বেশী বাস্তবধর্মী ও দুরদর্শী সম্পন্ন চিন্তাভাবনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। শিল্পী-কলাকুশলীদের তাদের কাজের মানের প্রতি আরও অধিকতর যত্নশীল হতে হবে আর দর্শকদের দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়ে দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রতি আন্তরিক থাকতে হবে।
৯। আমাদের সেন্সর বোর্ডকে আরও যুগোপযোগী দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের সেন্সরবোর্ড এখনও মান্দাতার আমলের দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কাজ করছে। এটাও আমাদের চলচ্চিত্রের উন্নয়নের পথে অন্তরায়।
১০। আমাদের সিনেমা হলগুলির পরিবেশ আরও উন্নত করতে হবে। অধিকাংশ সিনেমা হল জরাজীর্ণ পরিবেশের কারনে সিনেমা হল গুলিতে দর্শকরা যেতে অনিহা দেখাচ্ছে।
১১। যখন একটি ছবি মুক্তি দেওয়া হয় যিনি বিভিন্ন হলে ছবিটি বিক্রয়ের দায়িত্বে থাকেন তিনি অনেক সময় বেশী টাকা বিক্রি করে প্রযোজককে কম টাকার হিসাব প্রদান করে এভাবে প্রযোজক লোকসানের সম্মূখীন হন। ফলে ঐ প্রযোজক ভবিষ্যতে আর ছবি নির্মানে তেমন একটা আগ্রহ দেখান না।

১২। গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর এলাকায় সরকার বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের জন্য বিশাল জায়গা বরাদ্দ দিয়েছেন কিন্তু সেখানে যে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা তৈরী করা দরকার তা আজও তৈরী করা হয়নি। আমাদের সরকার চলচ্চিত্রের জন্য কয়েক বৎসর পূর্বে ৬০ কোটি টাকা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয় কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল তা নিয়ে দুর্নীতির জন্য দুদক কর্তৃক মামলার সম্মূখীন হতে হয় তৎকালীন এমডি কে। যোগ্যতাকে অগ্রাধিকার না দিয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় সবকিছু করা অনেক সময় নেতিবাচক ফল বয়ে আনে। ছোট পর্দার একজন লোককে বড় পর্দার দায়িত্ব প্রদান করলে কখনও সুফল বয়ে আসবে না।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে “নতুন মুখের সন্ধানে” অনুষ্ঠানে এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আলমগীর সাহেব মাননীয় অর্থমন্ত্রীর নিকট ২০০ কোটি টাকা চেয়েছেন আমাদের মৃত প্রায় চলচ্চিত্রকে নতুন প্রাণের সঞ্চারের জন্য। আলমগীর সাহেব দীর্ঘদিন আমাদের চলচ্চিত্রের একজন নিবেদিত কর্মী। সে জানে কিভাবে আমাদের চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনা যায়। আমরা আশা করব অর্থমন্ত্রী তথা সরকার তার এই দাবীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমাদের চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করবে। আমি কোন দল বা মতের উর্দ্ধে উঠে একথা বলব যে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য এমন কিছু যুগান্তরকারী কাজ করেছেন যা বিগত ৪৭ বৎসরের ইতিহাসে করা হয়নি। ছিটমহল সমস্যা, সমূদ্র বিজয়, পদ্মা সেতু নির্মান, উপগ্রহ প্রেরণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মান, মেট্রো রেল, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানসহ অসংখ্য যুগান্তরকারী কার্যক্রম এই সরকার করতে সক্ষম হয়েছে। আর সে তুলনায় আমাদের ঝিমিয়ে পড়া চলচ্চিত্রের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনতে সরকারের জন্য কঠিন কোন কাজ নয়, যদি আন্তরিক সদিচ্ছা নিয়ে সরকার এক্ষেত্রে এগিয়ে আসে। আমাদের চলচ্চিত্রের সুদিনের লক্ষ্যে জনাব আলমগীর সাহেবের চিন্তাধারার সাথে একত্মতা প্রকাশ করে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এটাই আমাদের কামনা। আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি একদিন আমাদের চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে আসবেই, ইনশাআল্লাহ।
পরিশেষে বলব, আর কোন আলোচনা-সমালোচনা কিংবা সময়ক্ষেপন নয়। আমাদের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আলোচনা, বিতর্ক, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম অনেক হয়েছে। এখন প্রয়োজন কার্যকর উদ্যোগ। যত শীগ্র সম্ভব আমাদের চলচ্চিত্রের কল্যানে চলচ্চিত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট সরকার, কলাকুশলী ও গণমাধ্যমের অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যখন যুগোপযোগী কার্যক্রম গ্রহনের মাধ্যমে নিজেদের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেখানে আমরা পিছিয়ে থাকতে পারি না। আমাদের দেশেও অসংখ্য মেধাবী পরিচালক, শিল্পী রয়েছে কিন্তু কেবলমাত্র এঁদের মাঝে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি ভালমানের চলচ্চিত্র নির্মানের যে প্রচেষ্ঠা প্রয়োজন তা নেই। এই সমন্বয়ের বিষয়টিকে দেখতে হবে সরকারকে।

বিশ্বের নানা প্রান্তের রোমাঞ্চকর সব বিনোদনের খবর পেতে চোখ রাখুন আজকের প্রসঙ্গ তে।




মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

সনেট কবি বলেছেন: ভাল বলেছেন।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

আতোয়ার রহমান বাংলা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০১

রাকু হাসান বলেছেন: আপনার লেখাটি অনেক মূল্যবান । মান সম্মত । পড়লাম ।
প্রত্যেকটি পয়েন্ট দারুণ । এবং আমি শতভাগ একমত ।
আমরা স্বাধীনতা পরবর্তী জহির রায়হান স্যার না পেয়ে সিনেমা জগতে অপূনীয় ক্ষতি হয়েছে । শেখ মুজিবের সাথে যে আন্তরিকতা ছিল তাতে উনার মাধ্যমে এই শিল্পটি নতুন মোড় নিতে পারতো । স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পেত । চলচ্চিত্র নির্মাণের নীতিমালা সেই আদিম যুগের । ভালো একটি নীতিমালা দরকার । রাজনীতির প্রভাবের জন্য ভালো কাজ হচ্ছে না । শিল্পীদের সেই পরিবেশ দিচ্ছে না । পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার জন্য নতুন মুখ ও আসছে না । কিছু নাট্য নির্মাতা আছে ,আমি মনে করি তারা ভালো করবে কিন্তু আসছে না ,অথচ তাঁরা ক্রিয়েটিভ । তাদের আকৃষ্ট করতে হবে । মানসিকতার ব্যাপক সমস্যা আমাদের । যেখানে ৩ মাসে একটি সিনেমা হয়ে যাই সেখানে মানের প্রশ্ন বহুত দূর । পড়াশোনার সুযোগ থাকলেই ,আমি মনে করি সেটা খুব অল্প ।

‘জীবন থেকে নেওয়া’ সিনেমাটি কিভাবে পাকদের ছাড়পত্র পেয়েছে আজও বুঝতে পারিনি । এই মোভি টা পাকদের সরাসরি আঘাত করেছে । সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা অনেক । কিন্তু আমার মনে হয় না ,এমন একটি সিনেমা বর্তমানে কেউ করার জন্য হাত দিতে পারবে । এত পরিশ্রম টাকা খরচ করে যখন বোর্ডে আটকে দিবে তখন সব শেষ ।
বলতে গেলে অনেক কথা । আপনার প্রতি উত্তরের অপেক্ষায় ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

আতোয়ার রহমান বাংলা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আশা করছি আপনাদের এমন আর ও অনেক লেখা দিতে পারবো

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৫

রাকু হাসান বলেছেন: প্রথম পাতায় সুযোগ পেতে এই পোস্টে অনুরোধ করুন ।

আপনার যে মান সম্মত পোস্ট সে অনুসারে আপনি সেফ হবেন । তা সময়ের ব্যাপার মাত্র । আমি আপনাকে অগ্রিম অভিনন্দন জানাচ্ছি ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

আতোয়ার রহমান বাংলা বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

রাকু হাসান বলেছেন: ভালো আছেন ? এখনও সেফ হন নি ? আমার ধারণা হয়ে যাবার কথা। না হলেও হয়ে যাবেন আশা করি । ভালো আছেন ? এখনও সেফ হন নি ? আমার ধারণা হয়ে যাবার কথা। না হলেও হয়ে যাবেন আশা করি । সেফ হলে এমন লেখা পাবেন আপনার ওয়ালে ।











০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

আতোয়ার রহমান বাংলা বলেছেন: জি আমি ভালো আছি। আপনি ভালো আছেন?

৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

আতোয়ার রহমান বাংলা বলেছেন: আমার ওয়ালে তো এমন দেখায়
আমার ওয়ালে তো এমন দেখায়

৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

রাকু হাসান বলেছেন: হুম আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ভাই !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.