নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাংলাদেশি, এখানে সবার লেখনি পড়ে অবাক হই আর নিজে ও লিখার চেষ্টা করি

আতোয়ার রহমান বাংলা

আমি বাংলাদেশি, এখানে সবার লেখনি পড়ে অবাক হই আর নিজে ও লিখার চেষ্টা করি

আতোয়ার রহমান বাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবহাওয়া বদলের সঙ্গে ঠান্ডা-সর্দি থেকে বাঁচার কয়েকটি উপায়

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

আবহাওয়া বদলের সঙ্গে ঠান্ডা ও সর্দির প্রকোপ বেড়ে যায়। ঠান্ডা লাগা ও সর্দি থেকে দূরে থাকতে আগে থেকেই সাবধান থাকতে হবে।

ছবি: গুগল থেকে নেয়া
এসব রোগের প্রধান কারণ ভাইরাস, তথাপি বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গেও এর সম্পর্ক রয়েছে। ঠান্ডা লাগলে গলায় খুসখুস ভাব, নাক-চোখ দিয়ে পানি পড়া, মাথা ভার হয়ে থাকা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেবেই। সাধারণ সর্দি-কাশিতে এক সপ্তাহ পুরো অস্বস্তিতে থাকতে হয়।
ওষুধপত্রে তেমন একটা কাজ হয় না। কারণ, ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করার মতো কার্যকর ওষুধ খুব একটা নেই। ঠান্ডা কিংবা সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিচের নিয়ম গুলো মেনে চলা ভালো
১. কাশি ও সর্দিতে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে থাকুন
কাশি কিংবা সর্দি থেকে জীবাণুগুলো বাতাসে ভর করে ছোটে। যদি তার একটি আপনার চোখে কিংবা নাকে এসে পড়ে, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই আপনি আক্রান্ত হবেন কাশি কিংবা সর্দিতে। তাই কাশি ও সর্দিতে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরে থাকুন।
২. বারবার আপনার হাত পরিষ্কার রাখুন
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঠান্ডা ছড়ায় পরোক্ষ শারীরিক সংস্পর্শে। অর্থাৎ একজন অসুস্থ ব্যক্তির ঠান্ডার জীবাণু নাক থেকে হাতে স্থানান্তরিত হয়। সে যখন কোনো বস্তু স্পর্শ করে, তখন হাত থেকে জীবাণু সেই বস্তুতে লেগে যায়। ঠান্ডার জীবাণু জড়বস্তুতে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে।
৩. বদ্ধ জায়গায় লবণ-পানির নেসাল স্প্রে ব্যবহার করুন
অফিসঘরগুলোতে বায়ু সঞ্চালন দুর্বল থাকে বলে সেখান থেকে ঠান্ডার ভাইরাসগুলো মিলিয়ে যেতে পারে না। অল্প আর্দ্রতায় শ্লেষ্মাঝিল্লি শুকিয়ে যায়, স্বাভাবিকভাবে সেখানে ভাইরাস এসে জুড়ে বসে। তাই অফিসঘরে কিংবা বদ্ধ স্থানে ঠান্ডার ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হলো লবণ-পানির নেসাল স্প্রে ব্যবহার করা।
৪. বেশি করে তরল পান করুন
আপনি যদি বেশি করে তরল পান করেন, তাহলে শরীর থেকে জীবাণু দূরীভূত হবে এবং শরীরে জীবাণু আক্রান্ত হওয়ার জন্য যে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল, তা-ও পূরণ হবে। এ সময় দৈনিক কমপক্ষে আট গ্লাস পানি, ফলের রস কিংবা অন্যান্য ক্যাফেইনমুক্ত তরল খাওয়া উচিত।
৫. নাক ও চোখ বেশি বেশি ঘষবেন না
এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ প্রতি এক ঘণ্টায় তার নাখ ও চোখ অন্তত তিনবার স্পর্শ করে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি আপনার এ রকম করতেই হয়, তাহলে দয়া করে আঙুলের মাথা দিয়ে চোখ ও নাক ঘষবেন না।
৬. বিছানা ছেড়ে ব্যায়াম করুন
সপ্তাহে তিনবার মুক্ত বাতাসে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা ব্যায়াম, যেমন : হাঁটা, সাইকেল চালানো কিংবা নাচা আপনার শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগের সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করে।
৭. আপনার রান্নাঘরের সামগ্রী জীবাণুমুক্ত রাখুন: রান্নাঘরের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো স্পঞ্জ ও ডিশব্যাগ। এগুলো উষ্ণ ও ভেজা থাকে বলে এখানে ঠান্ডার জীবাণু বংশবৃদ্ধি করে। এই জীবাণু দূর করার উৎকৃষ্ট উপায় হলো সপ্তাহে দু-তিনবার ডিশওয়াশার দিয়ে এগুলো পরিষ্কার করা।
৮. মদ্যপান পরিহার করুন
অনেকেই ভাবতে পারেন, মদ্যপান করলে ঠান্ডার হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে শারীরিক অন্য অসুবিধার সৃষ্টি করে। তাই এটি পরিহার করাই ভালো।
৯. কাশিকে প্রশমিত করুন
কাশি হলে সেটাকে প্রশমিত করার চেষ্টা করুন। এর জন্য দুই ধরনের সিরাপ রয়েছে। কাশিকে (কফ) দমিয়ে রাখার জন্য আপনাকে খেতে হবে কফ সাপ্রেস্যান্ট আর কাশি বের করে দেওয়ার জন্য কফ এক্সপেকটোর্যান্ট।
১০. প্রতি রাতে চমৎকার ঘুম দিন
চমৎকার একটি ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ কোষগুলোর ক্ষমতা বাড়ায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে আট ঘণ্টা চমৎকার ঘুমে জীবাণু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
১১. সঠিক ডি কনজেসট্যান্ট ব্যবহার করুন
নাক বন্ধ হয়ে গেলে ডি কনজেসট্যান্ট ড্রপ ও স্প্রে মুখে খাবার ওষুধের চেয়ে দ্রুত আপনার উপসর্গমুক্ত করবে। মুখে খাবার ওষুধ অনেক সময় হৃৎস্পন্দনকে বাড়িয়ে দেয়। এতে উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হৃদরোগের রোগীরা তা খেতে পারেন না। তবে পরপর তিন দিনের বেশি এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।
১২. গলাব্যথার আরামদায়ক ব্যবস্থা খুঁজুন
এক কাপ পানিতে এক চা চামচ লবণ দিয়ে গড়গড়া করলে বিস্ময় রকমের কাজ হয়—বলেছেন মিশিগান স্টেটের ডা. মুরে। তবে চা ও মধু ভালো কাজ করে। মেডিকেটেড লজেন্সে থাকে মেনথল; এটি গলার অনুভূতি নাশ করে। প্রকৃতপক্ষে গলাব্যথার কোনো উপকার করে না। তাই গলাব্যথার জন্য লবণ-পানির গড়গড়াই উৎকৃষ্ট।
১৩. প্রাকৃতিক প্রতিষেধক ব্যবহার করুন
তুলসী পাতা ট্যাবলেট কিংবা ক্যাপসুলের চেয়ে বেশি কার্যকর। প্রাকৃতিক এই প্রতিষেধককে ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন। যদি অ্যালার্জি না হয়, তাহলে তুলসীর রস খান। ঠান্ডা আপনাকে ছেড়ে যাবে।
১৪. স্বল্প চর্বিযুক্ত মুরগির স্যুপ খান
যেকোনো গরম তরল উপসর্গ নিরসনে সাহায্য করে। তবে মুরগির স্যুপ ঠান্ডায় বিশেষভাবে স্বাচ্ছন্দ্যকর প্রতিক্রিয়া ফেলে—বলেছেন ডিউক ইউনিভার্সিটির ভাং গ্রাডিসন। এই স্যুপে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ।
১৫. ভিটামিন ডি অভাব
গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ভিটামিন ডির অভাব হয়, তাদের সর্দি-কাশিতে কাবু করে বেশি। শরীরে ভিটামিন ডি থাকলে তা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। অনেক সময় শুধু খাবার থেকে যথেষ্ট ভিটামিন ডি পাওয়া যায় না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা উচিত। এর বাইরে কিছুটা সময় সূর্যের আলোতে থাকা লাগতে পারে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে সপ্তাহে দুই দিন কেউ যদি অন্তত ৫ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যালোক গায়ে মাখে, তবে তা যথেষ্ট।



স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত কার্যকরী টিপস পেতে চোখ রাখুন আজকের প্রসঙ্গ এর স্বাস্থ্য সেবা

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.