![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করা হয়, যা ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়। এই ঘোষণাপত্রে স্বাধীনতার লক্ষ্য হিসেবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা নির্ধারণ করা হয়। এই ঘোষণাপত্রের কোথাও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয় নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে ধর্মনিরপেক্ষতার উল্লেখ না থাকলেও বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ৭২ সালে যে সংবিধান রচিত হয়েছে, তাতে ঘোষণাপত্রের তিন নীতিকে উপেক্ষা করে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ নামে চার মূলনীতি গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা, সরকার গঠন ইত্যাদি উল্লেখ করে ১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি চেয়ে ভারত সরকারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। এই চিঠিতে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা গ্রহণের কোনো উল্লেখ ছিল না। ভারত সরকার এই চিঠিতে সাড়া না দেওয়ায় ১৫ অক্টোবর আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়। দ্বিতীয় চিঠিতে ভারত সাড়া না দেওয়ায় ২৩ নভেম্বর তৃতীয় চিঠি প্রেরণ করা হয়। তৃতীয় চিঠিতে প্রথমবারের মত ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। এই চিঠিতে বলা হয়, "আমরা রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছি এবং তা হচ্ছে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও সমানাধিকারের সমাজ প্রতিষ্ঠা।
এই চিঠির আগে কোথাও ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যবহার রাষ্ট্রীয় নথিপত্রে পাওয়া যায় না। রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা কে ঘোষণা দিয়েছে, তার কোনো সূত্র পাওয়া যায় না। ১৯৭২ সালের সংবিধানের ৪ মূলনীতির উৎস সন্ধান করতে গিয়ে গবেষক পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, "স্বীকৃতি লাভের উদ্দেশ্যে ভারত সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কথা বলার ফল হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে গৃহীত হয়েছে।"
বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্র সচিব আবুল ফতেহ মনে করেন বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা একটি বাধ্যতামূলক নীতি হিসেবে ভারতীয় প্রভাব থেকে এসেছে।
এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে যারা ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আওড়াবে তাদের লক্ষ্য কাদের খুশি করা তা নিশ্চয়ই বুঝেছেন।
সুতরাং আওয়াজ তুলুন নতুন সংবিধান রচিত হোক স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুসারে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের উপর ভিত্তি করে।
ধন্যবাদ।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৩৩
আকবর উদ্দীন ভূঁঞা বলেছেন: দুইটা প্রশ্নের উত্তর জানতে চাচ্ছি
১. ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে আপনি কি বোঝেন?
২. নতুন সংবিধান রচনা করে গণভোটের মাধ্যমে তা গ্রহণ বা বর্জন করলে মেন্ডেট নিয়ে কি কোন প্রশ্ন তোলার সুযোগ থাকে?
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৮
নীল আকাশ বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: গনতন্ত্র থাকলে ধর্ম নিরপেক্ষতা এমনিতেই হয়ে যায়।
এই থিউরি কবে আর কখন আবিষ্কার করেছেন? মধ্যরাতে নাকি?
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১
বিদ্রোহী পুরুষ বলেছেন: খিচুড়ী মার্কা সংবিধান।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: গনতন্ত্র থাকলে ধর্ম নিরপেক্ষতা এমনিতেই হয়ে যায়।দেশ যেখানে প্রজাতন্ত্র সেখানে সমাজতন্ত্র ও জাতিয়তাবাদের কোন প্রয়োজন নাই।জনগনের প্রজাতন্ত্র আর গনতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য আছে।আমাদের দেশ যখন জনগনের প্রজাতন্ত্র এখানে জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস।জনগনের ম্যান্ডেট ছাড়া রাষ্ট্রের মৌলিক কাজে হাত দেয়া ঠিক হবে না।ডকট্রিন অব নেসেসিটির দোহাই দিয়ে অনেক কিছু করা যাবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত জনগনের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অনুমোদন লাগবে।