শীতের দিনে চুরি করা রসের সিন্নি খাইবেন কে কে !!! ব্লগ পরার আগে লুলদানী বাইন্দা আ্ইসেন '' সিন্নি যেন জামায় না লাগে

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৩

এই ব্লগে কেডা কেডা আছেন জারা শীত কালে খেজুর গাছের রস চুরি হরসেন হেইর পরে সিন্নি রাইন্দা গেলসেন । হগোলে সামনের দিকে আউগাইয়া আহেন ।



ছোট বেলায় ছোট্ট এইক্কা সক আসিলো - যে শীতের দিনে নারা কুডা ( ধান গাছের নিচের অংশ) দিয়া কুইরা ঘড় বানান লাগবেই ।মুই কোল আবার ইনজিনিয়ার আসিলাম যে কোন কারেন্ট জনিত কাজ ব্যাফার না . তাই কুইরা ঘড় বানানের পর আবার চুড়ি হইড়া সরকারি কারেন্ট এর খাম্বা হইতে সারবিস তাড় নিতাম রাইতের বেলা মোর কুইরা ঘড়ে বইয়া সিডি দেহার লইগ্যা ।কি দেখতাম হে তো বোজেন । গ্রামের গুরা গারা সবাই পিছে পিছে আডে মোর কুইরা ঘড়ে সিডি দেহার লইগা ।



হটাৎ একদিন ঠিক করা হইলো খেজুরের রস দিয়া রাইত্তা সিন্নি খামু আর সিডি দেখমু কপালে যা আছে কুইরা ঘড়ে বইসা । রাত ১১ টার পড় বাহির হইলাম , বাগানের ভিতর দিয়া কুইড়া ঘরে সামনে উপস্তিত হইলাম দেখলাম পুলাপাইন সব হাজির অলরেডি ,অরা সবাই আমার কৃতকর্মের প্রসংসা করতাসে হোমানে।

সবাই আমারে দেখে খুব খুসি । হগোলে মিল্লা টোকাই নাম্বার ১ সিনেমা দেহা সুরু হরলাম নায়ক মাণ্না।অতপর সিনেমার ডিক্স নাম্বার ১ দেহা শেষ হইল বাকিডা দেহুম পরে । মেইন কাম শেষ কইরা । টোটাল জনসংখা হইলো ৭ জন । দলের মধ্যে একটা অবাল টাইপের পোলা আসিল নাম ধুলাল, রসের কলসি টানার দায়িত্ব দিলাম হেইডারে আর চিকনা পুলা ডারে দিলাম খেজুর গাছে ওঠার দায়িত্ব ।আমি দলে লিট দিতাসি পুরা । এক মাইল হাটার পর খাল পাড়ের শিকদার বাড়ির খেজুর গাছ থেকে রস নামান সুরু করলাম ।



আহারে কি সু-বাস রসের, গোন্ধের ঠেলায় খাইয়া হালাই লাম কাচা রস পুরা এক হাড়ি ওগো না দিয়া নাদানের লাহান পুলাপাইন হামার দিকে চাইয়া রইছে।



হটাৎ দেখলাম টর্স লাইটের আলো আইতাসে । ফুলাপাইন গুলারে আগেই ট্রেনিং দিসিলাম যাতে না ডঢ়ায় । রাস্তার পাসে পুলাপাইন গুলারে আপঢালে খারাইতে কইলাম । আর সুবাইল্লারে কইলাম তোর ধুতি খোল হালা , আর নাইলে কোল ধরাই দিমু কিন্তু শিকদারের হাতে। হালায় ডরের ঠেলায় নেংটা হইল আর আমারে ওর ধুতি খুইল্লা দিল কিন্তু কইল কেউ যেন তাহার ওইটা দেইখা না হাসে পরে । আমি মন দিয়া টর্সের আলোর গতি বেগ বুজার চেস্টা করলাম ।এবং যা বুজলাম তা হল দুই জন লোক শিকদার বাড়ির খাল পারের সব খেজুর গাছের রস নামাইতাসে একের পর এক মনে হয় চোরে ভয়ে ।মাথা পুরা নষ্ট হইয়া গেল আমার টেনশনে কারন হইলো গাছের সব রস নামাইলে এই পুলাপান গো খাওয়ামু কি রস লইয়া হলারা বাড়ির দিকে আইতাসে । এখন কি হপে মোদের ।



সবাই মিল্লা চুপে চুপে গিয়া দারাইলাম শিকদার বাড়ির বট গাছের নিচে । বুদ্বি কিন্তু একখান বানাই সি মুই ।

মাউগে গো ( যারা রস নিয়া আসতাসে ) ঢর দেহাইয়া রস নিতে হইবো ।কইলাম সবাই বট গাছের মাথায় (মগ ঢালে ) ওঠ । ৭ জনের মধ্যে ৪ জন যারা টেনি আসিল , বান্দরের নাহান উঠ্ঠা গেল মগ ডালে কিন্তু বাকি আমরা ৪ জনের উটতে একটু অসোবিধা হইতাসিল কারন চার দিক খুব অন্ধকার । জাউগা সবাই পজিশন লইসি বটগাছের মধ্যে আর অপেক্ষা করতাসি খাওন আ্ইবো কহন (মানে রস নিয়া আসবে কখণ ) ।

হটাৎ নেংটা সুবাইল্লা হালায় জিগায় মোরা কি হরমু কাগু ফিস ফিস কইরা । আমি কইলাম তোরা খেইচ্চা গাছের ঢাল জাকাইতে থাকবি আমি ইসারা দেওয়ার লগে লগে , সবাই দাত বাইর কইরা এক লগে হি হি কইরা হাইসা উঠলাম এক লগে । আমি ইসারা দেয়ার সাথে সাথে সবাই চুপ হইয়া গেলগা । এদিকে রস লইয়া কাছা কাছি চইলাই ছে প্রয় দুই জন । হায় হায় কি দেখ তাসি একজন তো মহিলা ,তার মানে হইলো জামাই বৌ ।



আমি গম্বির গলায় হালকা সইন্ড করলাম "রস দে " "রস খামু " ।

দেখলামা দুজনই হটাৎ দারাইলো এবং চার দিকে টর্স লাইটের আলো ফালাইতাসে মনে হয় ভয় পাইসে কিন্তু দেখলাম পুরুষ লোকটা বৌ রে কইতাসে কোন ভয় নাই । আর জোরে জোরে কইল কেডা কেডা ওহানে । চার দিক চুপ চাপ ।মাইগার হালার পোয় দেখতাসি মাথা দিয়া কলসি মাটিতে লামাইয়া আবার খেজুর গাছ থাইকা রস ণামাইতাসে সুরু করসে । বৌ কিন্তু মানা করসিল । তয় ডরাই সে দুই জনেই খুব কারন দুই জনেই হোমানে সুরা পরতাসে আবার আমি গম্বির গলায় হালকা সইন্ড করলাম "রস দে " "রস খামু " এবং বট গাছের মগ ডাল থেকে ধুলাল ল্যাম এর কেরোসিন তেল মুখে লইয়া ,দিয়াস লাইট দিয়া আগুনের ফুলকি সারলো বড় একটা । মনে হইল বিশাল বড় আগুনের গোলা কারো মুখ থাইকা বাহির হইল ।ওদিক থেকে দেখলাম রস আলার বৌ লাইট মারলো আমার দিকে এবং যথা রিতি দেখতে পাইলো আমার সাদা ধুতি পেচান মাথার উপর কলস সহ সরির ডা !!!!! এদিকে পোলাপাইন আমার ইসারা পাওয়ার সাথে সাথে হিইরা ভাইঙ্গা বট গাসের ডাল পালা জাকান সুরু করল । আর আমি বিকট কন্ঠে বললাম "রস দে " "রস খামু " ।



তাতেই কাজ ফাইনাল । যা দেখলাম তাহা খুবই দু:খের কিন্তু আমাদের হাসি পাইল । রস আলীর বৌ বেহ্মোদৈত্য আইসে বইলা চিতকার দিয়া দৌর আর রস আলা দুপ্পুস কইরা মাটিতে আসার খাইয়া পরসে তার পর উঠ্ঠা আবার দৌর ।



এদিকে আমরা দুপা দুপ কইর নাইমা গেলাম বটগাছ গাছ থাইকা । খেজুর গাছের নিচে যাইয়া দেহি কলস দুইডা ফুল ভর্তি অন্য দিকে রস আলা এরং তার বৌ এর কোন খবর নাই কিন্তু রস আলার লুঙ্গি ফালাই গেসে ( হালার পোয় মনে হয় ল্যংডা দৌরাইসে লগে একাটা মাছ মারা চার্ঝার লাইট (Maid By china ) । সুবাইল্লারে কইলাম ধুতি পর হালা তারাতারি । সবাইতো খুব খুসি আমারে কয় কাগু তোমার মাথায় আসোলেই মাল আসে , পাওডা আউগাইয়া দাও দেহি, সালাম করি। এই কতা কইয়া হারামি গুলায় খালি ৩২ পাটি দাত বাইর কইরা হাসতে সিল ।আমি ধুলাল আর নেংটা সুবাইল্লারে কইলাম কলস দুইডা বগলের তলে ঢুকাইয়া দৌর দে হালারা তারা তারি, ধরা না পরতে চাইলে ।সবাই আল্লা বিল্লা করতে করতে দৌরাইতে থাকলাম হোমানে ।





আইজ আর কইতে পারমু না পুরা ঘটনা দাদোরা ( কারন সামু খুব ঝামেলা হরচে লেখার সময় এম্যনেতেই মুই ভালো বাংলা লেখতে পারি না ) , অবার কাইলগো কমু পুরা ঘটনা , মজা কোল সব পরে



চলবে ...........................................

৫৩ টি +৩/-০