নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিও সভ্য হতে চাই\nতুলতুলে এক মুখোশ পড়েছি তাই\nবেছে নিয়েছি বৈড়ালব্রত\nমানবতার জামা গায়ে আমিও সেজেছি তোমাদের মত

অভি নন্দলাল

অভি নন্দলাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লাডমুন নাকি চন্দ্রগ্রহন?

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬



গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখে ব্লাডমুন দেখা গিয়েছিল আকাশে। চাঁদের এই লাল হয়ে যাওয়ার কারণ মূলত চন্দ্রগ্রহন, একটি পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহন।
চন্দ্রগ্রহন সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই একটা ভুল ধারণা আছে।সূর্য্যগ্রহনের সময় যেমন চাঁদ সূর্য্যের পুরোটা কিংবা খানিকটা ঢেকে দেয় ।চন্দ্রগ্রহনের ব্যাপারটা কিন্তু সেরকম না।
চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে তার নিজ কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে সূর্য্য আর পৃথিবীর মাঝখানে চলে এসে সূর্য্যকে আংশিক কিংবা পুরো ঢেকে ফেলে সূর্য্যগ্রহন ঘটায়।



আবার চন্দ্রগ্রহনের সময় পৃথিবী অবস্থান করে সূর্য্য আর চাঁদের মাঝামাঝি।সূর্য্য থেকে নির্গত আলো পৃথিবীর ছায়া ফেলে চাঁদের গায়ে।এটাকেই আমরা চন্দ্রগ্রহন বলে জানি।



চন্দ্রগ্রহনের সময় সূর্য্যের আলো পৃথিবীপৃষ্ঠে পড়ে বিপরীতদিকে পৃথিবীর যে ছায়া ফেলে সেটা দুই ধরণের।
মাঝখানের অপেক্ষাকৃত ঘন অন্ধকারকে বলায় হয় ‘প্রচ্ছায়া(umbra)’ আরা অপেক্ষাকৃত কম ঘন অন্ধকারকে বলা হয় ‘উপচ্ছায়া(penumbra)’। চাইলে আপনি আপনার ঘরের দেয়ালেই দেখতে পারেন এই প্রচ্ছায়া,উপচ্ছায়া।একটা গোলাকার বস্ত ঝুলিয়ে দিন ঘরের মাঝামাঝি তারপর ঘরের লাইট নিভিয়ে দিয়ে একটি টর্চের আলো ফেলুন গোলাকার বস্তুটির উপরে,দেখবেন দেয়ালে গোলাকার বস্তুটির যে ছায়া পড়েছে(প্রচ্ছায়া), তার চারপাশে ঘিরে আবার অপেক্ষাকৃত কম অন্ধকারের আরেকটি ছায়া- উপছায়া তৈরী হয়েছে।
অবস্থান ‘১’ এ চাঁদ পৃথিবীর প্রচ্ছায়া কিংবা উপচ্ছায়ার বাহিরে ফলে সূর্য্য থেকে আলো সরাসরি চাঁদের গায়ে গিয়ে পড়ে, ফলে একটি নিখাদ পূর্ণিমার সৃষ্টি হয়।
অবস্থান ‘২’ চাঁদ পৃথিবীর প্রচ্ছায়ার বাইরে কিন্তু উপচ্ছায়ার ভেতরে অবস্থান করে,ফলে পূর্ণিমা সৃষ্টি হলেও চাঁদের ঔজ্বল্য অনেক কম থাকে।
অবস্থান ‘৩’ এ চাঁদ প্রচ্ছায়ার ভেতরে অবস্থান করে । সূর্য্য থেকে আসা সমস্ত আলো পৃথিবীর কারণে আটকে যায় ফলে এসময় তাত্ত্বিকভাবে আকাশে কোন চাঁদই দেখতে পাওয়ার কথা না আমাদের।কিন্তু আমরা চাঁদ দেখতে পাই।আমরা এসময়ই দেখি টকটকে লাল রঙের ব্লাডমুন।এর কারণ হল আমাদের পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বায়ুমন্ডল।
সূর্য্যের আলো বায়ুমন্ডলের মধ্য দিয়ে প্রতিসরিত হতে হতে পৃথিবীর যে দিকে চাঁদ অবস্থান করছে সে দিকের বায়ুমন্ডলে চলে আসে।বায়ুমন্ডলে প্রতিসরনের সময় স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘের রঙগুলো বিক্ষিপ্ত হয়ে যায় ।লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য অন্যান্য রঙের তুলনায় বেশী বলে খুব একটা বিক্ষিপ্ত না হয়েই লাল রঙ পৃথিবীর অপর দিকের বায়ুমন্ডল চলে আসে এবং এরপর চাঁদের বুকে প্রতিফলিত হয়। আর এ কারণেই আমরা লাল রঙের চাঁদ দেখতে পাই অবস্থান '৩' এ।
‘৪’ এবং ‘৫’ অবস্থানে আবার যথক্রমে ‘২’ এবং ‘১’অবস্থানের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়।
অবস্থান ‘৩’ এ আমরা যখন বিশাল মুগ্ধতা নিয়ে একটি লাল রঙের চাঁদ অবলোকন করছি সে মুহূর্তে একটী পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহন(total lunar eclipse ) প্রক্রিয়া চলছিল।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৩

কলাবাগান১ বলেছেন: অসমপূর্ন ব্যাখা:
সূর্য্যের আলো বায়ুমন্ডলের মধ্য দিয়ে প্রতিসরিত হতে হতে পৃথিবীর যে দিকে চাঁদ অবস্থান করছে সে দিকের বায়ুমন্ডলে চলে আসে। সেই আলো তো ২ অথবা ৪ নং পজিশনেও আসবে কিন্তু শুধু ৩ নং পজিশনে কেন লাল হবে

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪

অভি নন্দলাল বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য শুভেচ্ছা জানবেন ।
অবস্থান'৩' এ সূর্য্যের সমস্ত আলো আটকে যায় পৃথিবীর অপর পৃষ্ঠে এরপর সেখান থেকে বায়ুমন্ডলে প্রতিসরিত হতে হতে চাঁদের দিকে আসে।
এবার অবস্থান '২' এবং '৪' ভাল করে লক্ষ্য করুন, এ অবস্থায়ও কিন্তু চাঁদ সূর্য্য থেকে সরাসরি আলো গ্রহন করতে পারে ।কিন্তু উপচ্ছায়া অঞ্ছলে বিধায় ঔজ্বল্যের ঘাটতি হয় কিছুটা।
হ্যাঁ, '২' এবং '৪' নং অবস্থানে এমনকি '১' এবং '৫' অবস্থানেও পৃথিবীর বায়ুমন্ডল থেকে কিছুটা লাল আলোক তরঙ্গ চাঁদে পৌোঁছে। তবে চাঁদের গায়ে সরাসরি প্রতিফলিত সূর্যের উজ্বল আলোর কারণে সেই লাল রঙ একটুও পাত্তা পায় না ।
আপনি দেখেছেন হয়ত ব্লাড মুনের লাল ঔজ্বল্য রাতের অন্ধকার খুব একটা দূর করতে পারে নি ।কিন্তু বাকি ৪টি অবস্থানে সূর্য্যের সরাসরি প্রতিফলিত আলোর কারণে চাঁদের ঔজ্বল্য অন্ধকার ঠিকই দূর করে ।আশা করি বুঝতে পেরেছেন এবার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.