![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার একটি আকাশ আছে, নীল সে আকাশ।
“আইজ তাহার একটা উচিত বিচার করিতেই হইবে, তানাহইলে বউ-ঝি লইয়া গ্রামে শান্তিতে থাকা যাইবো না।“
খবিরউদ্দিন তালুকদার মুহুর্মুহু গজরাইতে লাগিলেন।
কারণ মন্তাইজ্জা কাহার অতিব আদরের দুলালী সুইটিকে পথে একা পাইয়া চোখ মারিয়াছে। চোখ মারার পর থেইক্কা সুইটি বাড়ী আসিয়া যেই হারে হাউমাউ করিয়া পাড়া মাথায় তুলিলো তাহাতে যেকাহারো মনে হইতে পারে যে ডাকাত তাহার সর্বস্ব লুট করিয়া লইয়া গিয়াছে।
বাড়ীতে আসিয়া খবির উদ্দিন যখ্খন খবরটি শুনিল আর দেড়ি করিলনা। সংগে সংগে মাতব্বরের বাড়ির উদ্দেশ্যে এক প্রকার দৌড়াইতে লাগিলে। আর পথি মথ্যে যথা সম্ভব সবাইকে ঘটনা জানাইতে লাগিল।
মাতব্বর সোলমান শাহ ঘটনা শুনিয়া কপট অগ্নি মুর্তি ধারন করিলেন। হুংকার দিয়া দাড়োয়ানকে ডাকিয়া বলেলেন- “তাড়াতাড়ি যাইয়া গ্রামে টিন পিটাইয়া দে, আজ বাদ এশা মিজান মিয়ার শয়তান পোলা মন্তাইজ্জা খবির উদ্দিন তালুকদারের মেয়ের ইজ্জতের উপর হাত দিয়া যে মহা অন্যায় করিয়াছে তাহার বিচার হইবে।“
রাত নয়টায় চোখ কচলাইতে কচলাইতে মন্তাজ মাতব্বরের বাড়ির উঠানে গ্রামের অনেক মানুষের মাঝে উপস্থিত হইয়া জানিতে পারিল তাহার বিশাল বড় অন্যায়ের কারনে বিচারের আয়োজন করা হইয়াছে, কিন্তু অনেক ভাবিয়াও কি অন্যায় করিয়াছে তাহা ভাবিয়া পাইলনা। কিয়দপরে অন্যের সহায়তায় তাহা জ্ঞাত হইল।
যথা সময়ে মাতব্বর মন্তাজের ক্ষমার অযোগ্য ঘৃন্য কার্যের কথা উপস্থিত গ্রামাবসীর সম্মুখে সংক্ষেপে বর্ণনা করিল। সকলে ধুর ধুর করিতে লাগিলেন এবং মন্তাজের কঠিন বিচারের দাবী তুলিলেন।
হাবাগোবা মন্তাজের আশ্চার্য হইবার সীমা রহিলনা। তাহার কসুরখানা যে আসলেই কোথায় তাহা তাহার মাথায় ধরিলনা। হিন্দি সিনেমার বদৈলতে সবাই আজকাল লাজলজ্জার মাথা খাওয়াকেই ট্রাডিশন বানাইয়া ফালাইয়াছে। সেন্সর পাওয়া ছবিগুলোতে যাহা দেখাইতেছে তাহাকে নির্বিঘ্ণে “স্বামী স্ত্রীর গোপন রতী মিলন” এর শুধুমাত্র ১৮+ জন্য, চটি বই বলা যাইতে পারে।
মন্তাজের গোবর মাথায় চোখ মারার ব্যপারটা কেন এতো বিড়াট অপরাধ তাহা কোন ক্রমেই ঢুকিল না।
শেষমেষ জুরিবোর্ড বসাইয়া বিচার সাব্যস্ত করা হইল। এহেন হীণ অপরাধী মন্তাজকে এক হাজার বেত্রাঘাত এবং জুতার মালা পড়াইয়া সমগ্র গ্রাম প্রদক্ষিন, আর অবশ্যই চুল চাছিয়া ফেলাইতে হইবে।
ভরা মজলিশে মন্তাজ কিছু না বলিয়া শুধু গো-গো করিতে লাগিল।
তাহার গো-গো শুনিয়া বিচারক তাহার কিছু বলার আছে কিনা জিজ্ঞাসা করিলো।
মন্তাজ চুড়ান্ত বিস্ময় নিয়া উঠিয়া দাড়াইয়া বলিতে লাগিলো-
“একটা মাত্র চোখ মারছি বইল্লা যদি এত্তবড় বিচার করোন লাগে তাইলে গত পরশু হাইঞ্জালা (সন্ধ্যায়) মাতব্বরের পোলায় আর তালুকদারের মাইয়ায় দুইজনে মিল্লা ধাবরাইয়া আর গইড়াইয়া যে আমার বাপের আধ কানি নাইল্যা ক্ষেতের (পাট ক্ষেত) নাইল্যা হোতাইয়া ফালাইছে হের বিচার কি অইবো?
২১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪
প্রীতম বলেছেন: অন্যের কান্না দেখলে কান্না পাওয়ার কথা কিন্তু আপনার কান্নার কথা শুনে আমার খুশি লাগতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০
আম আদমি বলেছেন:
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫
নুসরাত ইকবাল বলেছেন: জোর যার মুল্লুক তার। আর দুর্বল হয় তাদের হাতের বলি।সুন্দর লিখেছেন।একেবারে জীবন থেকে নেয়া।
২১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯
প্রীতম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫০
রোদেলা বলেছেন: শিরোনাম পইড়াই হাস্তেসি.।
২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৬
প্রীতম বলেছেন: আমার লেখার শিরোনাম আপনাকে হাসিয়েছে ব্যপারটা আমার জন্য খবর।
ধন্যবাদ শিরোনাম পড়ার জন্য।
৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৪
গুলামে আজীজ বলেছেন:
৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
মন্তাজ আর সুইটিরেও তালুকদার আর মাতব্বরের নাইল্যা ক্ষেত হোতানোর অনুমতি দেয়া হৌক।
চরম হইসে।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২
এরশাদ বাদশা বলেছেন: হা হা হা হা হা ;
হাসতে হাসতে কা্ইন্দা দিছি।