নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধর্মবাজ

ঝা ঝা ঝা

ধর্মবাজ

পাগল

ধর্মবাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেই বাংলার মানুষ সকল, তোমরা কি আন্ধা হইয়া গেলা! তোমাগোর বিবেক কি ধ্বংস হইয়া গেল!! তোমরা কি তোমাদের ধর্মরে ঐ জানোয়ারের কাছে বন্ধক রাখতে চাও!!!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

এক সাহসী! দেশপ্রেমিক! পৈশাচিক জানোয়ার মাহমুদুরের আস্ফালনে ঝড়ে গেল কতগুলো প্রান। কে এই জানোয়ারের বিচার করবে? এই জানোয়ার ধর্মের দোহাই দিয়ে সাধারন মানুষকে উম্মাদ বানিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলে কতটা পারদর্সী তা আজ মানুষ বুঝতে শুরু করেছে। এই জানোয়ারগুলোই যুগে যুগে সভ্যতাকে কলংকিত করেছে। এই জানোয়ারদের আমরা সহজেই চিনি যখন তারা অন্য ধর্ম বর্ন আর গোস্ঠির হয়। এইরকম জানোয়ারদের আস্ফালনেই বাবরি মসজিদ ভাংগা হয়, আর হিন্দু মুসলিম দাংগায় হাজারো মুসলিম প্রান হারায়। গুজরাটে নরেন্দ্র মোদি রা যেমন সজ্ঞানে দাংগা লাগিয়েও মন্ত্রী এমপি হচ্ছে, আমার দেশেও এই মাহমুদুর জানোয়ারেরা একই কাজ করে যাচ্ছে এবং একই স্বপ্নে বিভোর আছে।

ব্লগের ক্ষুদ্র পরিসরের গুটিকতক মানুষের ধর্মীয় বক্তব্য কে কেন্দ্র করে এরা সবাইকে নাস্তিক বানায়, ধর্মীয় অনুভুতিতে জোড় করে শুরশুরি দেয়ার জন্য নবী রাসূল দের নিয়ে একজনের গালি হাজারো মুখে ছড়িয়ে দেয়, প্রচারেই প্রসার জেনেও এরা ঐ সকল নোংড়া বানী প্রচার করে পক্ষান্তরে নাস্তিকতাকেই উস্কে দেয়, মানুষকে নাস্তিক বানানোর পথ খোলে দেয়। আল্লা রাসূলের জন্য নূনতম মায়া দয়া থাকলে এই জানোয়ার ঐ সকল নোংড়া কথা প্রকাশ করতে পারত না।

পাকিস্তানে কয়দিন আগে এক ঈমাম একটি খৃস্টান মেয়েকে ফাসানোর জন্য নিজেই কোরান পুড়িয়েছিল, ঠিক এমনি করে জানোয়ারেরা যুগে যুগে ধর্ম আর আল্লা রাসুল কে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যবহার করে আসছে। আমাদের এখনই বুঝতে হবে এই মাহমুদুর জানোয়ারদের ফন্দি ফিকির। ইসলামের ই ও নাই এই জানোয়ারের বিবেকে। মানুষের মন ভাংগা আর মসজিদ ভাংগা নাকি সমান। নবী রাসূল কে নাস্তিকরা গালী দিচ্ছে, ওরাই জানছে। আর এই জানোয়ার মাহমুদুর এই গালিগালাজ হাজারো ঈমানদার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে হাজারো মুসলমানের মন ভাংছে। থাবা বাবার মত একটা নাস্তিক আরো ১০০ বছর প্রচার করেও এত মানুষের মন ভাংতে পারত না, আর মানুষকে আহত নিহত করাতো দূরে থাক! এই মাহমুদুর জানোয়ার টা নাকি ইসলাম রক্ষা করবে, যে প্রতিটি পরতে পরতে সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানায়। কাবা শরীফ নিয়ে যেই লোক মিথ্যার বেসাতী করতে ভয় পায় না, সেই লোক কি করে ধর্মের দোহাই দেয়। হেই বাংলার মানুষ সকল, তোমারা কি আন্ধা হইয়া গেলা, তোমাগোর বিবেক কি ধ্বংস হইয়া গেল, তোমরা কি তোমাদের ধর্ম রে ঐ জানোয়ারের কাছে বন্ধক রাখতে চাও, তোমরা কিসের উস্কানিতে নামাজ ফালাইয়া মসজিদে আগুন লাগাও, কিসের উস্কানিতে মা মাটি আর মাতৃভুমির সাথে তোমরা বেঈমানি করতে যাও, কিসের নেশায় আস্তিক নাস্তিক বিবেদ টাইনা নাস্তিকের রক্তের স্বাদ নিতে যাও। ফিরে এসো ঐ হায়েনা জানোয়ারদের ছায়া থেকে, ফিরে এসো ঐ শকূনের দুষ্টচক্র থেকে, ফিরে এসো ধর্মের নামে হত্যা রাহাজানি থেকে, ফিরে এসো ঐ পৈশাচিক জানোয়াদের আস্ফালন থেকে, ফিরে এসো ঐ খুনি দেশদ্রোহী রাজাকারদের বানানো চারনভূমির সীমানা পেরিয়ে, ফিরে এসো মুক্ত বাতাসে, ফিরে এসো মানুষের কল্যানে, ফিরে এসো সেবার ব্রত নিয়ে, ফিরে এসো প্রিয় সোনার বাংলার কোলে, ফিরে এসো মাতৃভুমির কোলে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

টি_মৃদুল বলেছেন: জামাত শিবিরের ইসলাম!!! দেখুন, জানুন!!!! ধর্ম নিয়ে খেলছে এরা নিজের স্বার্থে


জামাতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আ’লা মওদুদি , যার পরিকল্পনা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জামাতে ইসলামীর জন্ম , যার বই পড়িয়ে গড়ে তোলা হয় জামাত শিবির কর্মীদের , যার ধর্ম ব্যবহার করে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে জামাত ,সেই জামাতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আ’লা মওদুদি ধর্ম সম্পর্কে কি বলেন জানুন। এই লোক কে এই অঞ্চলের ওলামা মাশায়েখ রা অমুসলিম ঘোষনা দিয়েছিলেন। কারন সে তার নিজের রাজৗনতিক ক্ষমতা দখলের জন্য মুল ইসলামের বাইরে নিজের সুবিধা ানুযায়ি মনগড়া ইসলাম প্রচার করেছে, ইসলাম নিয়ে অনেক কটুক্তি করেছে। জানুন, দেখুন জামাত শিবিরের ইসলাম কি বলে -
ইসলাম বলে -দ্বীনের আসল মকছুদ নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত কায়েম করা। (শরহুল আকায়েদ, ৩০৪ পৃষ্ঠা)।
মওদুদী বলে -“দ্বীনের আসল মকছুদ হলো ইসলামী হুকুমত। নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি সমস্ত ইবাদত হলো উক্ত মকছুদ অর্জনের মাধ্যম”। -(আকাবেরে উম্মত কী নজরমে, ৬৪ পৃষ্ঠা)।

সুন্নতে রাসূল সম্পর্কে মওদুদীর ভ্রান্ত মতবাদঃ
মওদুদী বলে -“হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদত, আখলাককে সুন্নত বলা এবং তা অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে সাংঘাতিক ধরনের বিদয়াত ও মারাত্মক ধর্ম বিকৃতি। -(রাছায়েল মাছায়েল, ২৪৮ পৃষ্ঠা)।
মওদুদী বলে -“দাড়ি কাটা ছাঁটা জায়িয। কেটে ছেঁটে এক মুষ্টির কম হলেও ক্ষতি নেই। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে পরিমাণ দাড়ি রেখেছেন সে পরিমাণ দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলা এবং এর অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে মারাত্মক অন্যায়”। -(রাছায়েল মাছায়েল, ১ম খণ্ড, ২৪৭ পৃষ্ঠা)।

পোশাক পরিচ্ছদ, চাল-চলন ইত্যাদি সম্পর্কে মওদুদী বলে -“পোশাক পরিচ্ছদ, চাল-চলন, আকৃতি-প্রকৃতি চুল কার্টিং ইত্যাদির ব্যাপারে বিধর্মীদের অনুকরণ করতে কোন দোষ নেই”। -(তরজুমানুল কুরআন, ছফর সংখ্যা, ১৩৬৯ হিজরী)।
পবিত্র কুরআন শরীফ সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ কোরআন করিম হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট, কিন্তু নাজাত বা মুক্তির জন্য নয়।” -(তাফহিমাত, ১ম খণ্ড, ৩১২ পৃষ্ঠা)।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ
“মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানবিক দূর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অর্থাৎ তিনি মানবিক দূর্বলতার বশীভূত হয়ে গুনাহ করেছিলেন।” - (তরজমানুল কোরআন ৮৫ তম সংখ্যা, ২৩০পৃ. ও তরজমানুস্ সুন্নাহ, ৩য় খণ্ড, ৩০৫ পৃষ্ঠা)।
“মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে মনগড়াকথা বলেছেন এবং নিজের কথায় নিজেই সন্দেহ পোষণ করেছেন।” -(তরজমানুল কোরআন, রবিউল আউয়াল সংখ্যা, ১৩৬৫ হিজরী)।
‍‍‍‍“হযরত মুহাম্মদ (সা.) রিসালাতের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি করেছেন, তাকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।” -(তাফহীমুল কুরআন, সুরায়ে নসর এর তাফসীর)।

মওদুদী বর্ণিত ইসলামে নবীদের সম্পর্কে মওদুদীর ভ্রান্ত আক্বীদাঃ
“নবীগণ মা’ছূম নন। প্রত্যেক নবী গুনাহ করেছেন।” (নাঊযুবিল্লাহ)। - (তাফহীমাত, ২য় খণ্ড, ৪৩ পৃষ্ঠা)।
“হযরত দাউদ আঃ তার এলাকার ইসরাইলীদের সাধারণ রেওয়াজের বশবর্তী হয়ে উরিয়ার কাছ থেকে তালাকের আবেদন করেন।” (নাউজুবিল্লাহ)। - (তাফহীমাত-২/৪২, দ্বিতীয় প্রকাশ, তাফহিমুল কোরআন (উর্দু):৪র্থ খণ্ড, সুরা সাদ, ৩২৭ পৃ. ১ম সংস্করণ, অক্টোবর ১৯৬৬ইং)।
হযরত দাউদ আঃ যে কাজটি করেছিলেন তাতে প্রবৃত্তির কামনার কিছু দখল ছিল, শাসন ক্ষমতার অসংগত ব্যবহারের সাথেও তার কিছু সম্পর্ক ছিল, এবং তা এমন কোন কাজ ছিল যা কোন ন্যায়নিষ্ঠ শাসকের জন্য শোভনীয় ছিল না। -(তাফহীমুল কুরআন-১৩/৯৫, আধুনিক প্রকাশনী, ১১শ প্রকাশ)

হযরত ইব্রাহীম আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ
“এখানে আর একটি প্রশ্নের উদ্রেক হয় যে, হযরত ইব্রাহীম আলাইহিওয়াস সাল্লাম সাময়িকভাবে হলেও কি তিনি শিরকে নিপতিত হননি?” - (তাফহিমুল কোরআন ১মখণ্ড, ৫৫৮ পৃ.)।

হযরত ইউসুফ আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ ‘আমাকে মিসরের রাজকোষের পরিচালক নিয়োগ করুন’- এ কথাটি বলে শুধু অর্থমন্ত্রী হওয়ার জন্যই প্রার্থনা করেননি। কারো কারো ধারনা, বরং তিনি এ বলে ডিকটিটরীই চেয়েছিলেন মৌলিকভাবে। এরই ফলশ্রুতিতে বর্তমান ইতালীর মুসোলিনির যে মর্যাদা তিনিও এর কাছাকাছি মর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন।” - (তাফহীমাত: ২য় খণ্ড, ১২২ পৃ. ৫ম সংস্করন এবং নির্বাচিত রচনাবলী (বাংলা) ২য় খণ্ড, ১৫১ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম সংস্করন ১৯৯১ইং)।
হযরত ঈসা আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ “হযরত ঈসা আলাইহিওয়াস সাল্লাম মারা গেছেন একথাও বলা যাবেনা, বরং বুঝতে হবে ব্যাপারটি অস্পষ্ট।” -(তাফহিমুল কোরআন ১মখণ্ড (সুরা নিসা), ৪২১ পৃ.)।
সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ
সাহাবায়ে কেরাম সমলোচনার বাহিরে নন। তাদের দোষ বর্ণনা করা যায়। সাহাবাদের সম্মান করার জন্য যদি ইহা জরুরী মনে করা হয় যে, কোনভাবেই তাদের দোষ বর্ণনা করা যাবে না তবে আমার (মওদুদী) দৃষ্টিতে ইহা সম্মান নয় বরং মূর্তি পূজা। যার মূলোৎপাটন এর লক্ষ্যেই জামাতে ইসলামীর জন্ম”।
-(তরজুমানুল কুরআন ৩৫শ’ সংখ্যা, পৃষ্ঠা ৩২৭)।

হযরত আবু বকর রাযিয়াল্লাহু আনহু খিলাফতের দায়িত্ব পালনে সম্পুর্ণ অযোগ্য ছিলেন”। -(তাজদীদ ও ইয়াহইয়ায়ে দীন: পৃষ্ঠা ২২,)।

“নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওফাতের সময় ব্যাক্তিসম্মানের কু-মনোবৃত্তি হযরত উমর (রঃ)কে পরাভূত করেছিল। -(তরজুমানুল কুরআন, রবিউস সানি ৩৫৭ হিজরী)।
“হযরত উসমান রাযিয়াল্লাহু আনহু এর মাঝে সজন-প্রীতির বদগুণ বিদ্যমান ছিল। -(খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ৯৯)।
“হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু স্বীয় খেলাফতকালে এমন কিছু কাজ করেছেন যাকে অন্যায় বলা ছাড়া উপায় নেই।-(খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ১৪৬/১৪৩)।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

দ্যা ফ্রীল্যান্সার বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

ধর্মবাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

দ্যা ফ্রীল্যান্সার বলেছেন: +++++++++++++++++++

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

যোগী বলেছেন: এই সমাজে কিছু জানোয়ারেরও দরকার আছে। তা না হলে আমরা নতুন প্রজন্মকে কেমনে শেখাবো মানুষ আর জানোয়ারের মধ্যে পার্থক্য?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ধর্মবাজ বলেছেন: ভালই বলছেন।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
ছবিটা কবে কার ভাই ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.