![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পুলিশ তদন্তকেন্দ্র, রেলস্টেশন, হিন্দুদের মন্দির ও বাড়ি, আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে হামলাসহ সহিংস সব ঘটনায় সামনে রাখা হয়েছিল শিশু-কিশোরদের। গত দুই দিনের হরতালে রাজপথ অবরোধ ও জামায়াত-শিবিরের মিছিলেও তাদের সামনে রাখা হয়। এর আগে পলাশবাড়ী উপজেলায় গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনার দিনেও মাদ্রাসার শিশু-কিশোরদের সামনে রেখে পেছনে থেকে নেতৃত্ব দেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা।
হামলার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত লোকজন, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন বলছেন, এসব শিশু-কিশোরের বয়স ১০ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। তারা গাইবান্ধার বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র। সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সহিংসতায় মাদ্রাসার ছাত্রদের বেশি ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে চারটি মাদ্রাসার নাম পাওয়া গেছে, যেখানকার হাজার খানেক শিশু সেদিনের তাণ্ডবে ব্যবহূত হয়।
গাইবান্ধা জেলায় মোট ২৩৪টি মাদ্রাসা রয়েছে। জেলার মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি মাদ্রাসার শিশু-কিশোরদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার নিন্দা জানিয়েছে। তারা এ ব্যাপারে মাদ্রাসার দায়িত্বরত শিক্ষকদের সতর্ক থাকতেও বলেছেন।
জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, যেসব মাদ্রাসার শিশু-কিশোরদের রাজনৈতিক তাণ্ডবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলোর তালিকা করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসব শিশু-কিশোরের অধিকাংশই রাজনীতি কিংবা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার—এসব কিছুই বোঝে না। কিন্তু জামায়াত-শিবিরের নেতারা ও কিছু মাদ্রাসার শিক্ষকেরা তাদের ‘ইসলাম ধর্ম রক্ষাসহ নানা কথা বলে’ মাঠে নামিয়েছেন।
পুলিশ বলছে, মিছিলের সামনে ও হামলায় শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করায় পুলিশ যেমন গুলি চালানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, তেমনি এলাকার লোকজনও কীভাবে প্রতিরোধ করবেন, বুঝতে পারেননি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জামায়াত-শিবিরের মূল ক্যাডাররা পুলিশের ওপর চড়াও হয়, অগ্নিসংযোগসহ অরাজকতা করে। গাইবান্ধায় বৃহস্পতিবার চার পুলিশ সদস্য, এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে পিটিয়ে মারা হয় এই কায়দায়।
বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে হামলার পর সেদিন সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ থানায় হামলা চালায় জামায়াত-শিবির। সেখানেও সামনে রাখা হয় শিশু-কিশোরদের। স্থানীয়রা বলছেন, ১৯৭১ সালের পর গত ৪২ বছরে তাঁরা এমন তাণ্ডব দেখেননি।
বামনডাঙ্গায় গত বৃহস্পতিবারের ওই হামলার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাবিবুর রহমান, রনজু মিয়া, মোহাম্মদ আলিম, সাইফুল ইসলাম আয়নাল, শামীম, আলমগীর, গনিসহ আরও অনেকেই প্রথম আলোকে বলেছেন, ওই দিন বেলা তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত টানা এক ঘণ্টা তাণ্ডব চলে বামনাডাঙ্গায়। হামলার সময় সামনে রাখা হয় বিভিন্ন মাদ্রাসার কয়েক হাজার শিশু-কিশোরকে। আর বয়স্ক নেতা-কর্মীরা ছিলেন পেছনে। এসব হামলায় কিছু নারীকেও ব্যবহার করা হয়।
বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক আবু হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সামনে শিশু-কিশোরেরা থাকায় আমরা গুলি করতে পারিনি। আমরা বারবার বলেছিলাম, সামনে এগোলে গুলি করব। তারা সামনে এগোতে থাকলে আমরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে নিরাপদে সরে যাই। তখন একটা দল নিরস্ত্র কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে মারে।’
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘সেদিন মাদ্রাসার কয়েক হাজার শিশু-কিশোরকে সামনে রাখা হয়েছিল। এই বাচ্চাদের দেখে এলাকার সাধারণ মানুষ কী করবেন, বুঝে উঠতে পারেনি। আমরা পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এসব শিশুর অনেককে ধর্মের কথা বলে আবার অনেককে টাকা দিয়ে আনা হয়েছিল।’
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গার আল-হিকমা একাডেমি, বামনডাঙ্গা সরকারপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, সর্বানন্দ ইউনিয়নের হাফেজিয়া মাদ্রাসা, একই ইউনিয়নের খানাবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সেদিনের হামলায় অংশ নিয়েছিল। এই মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকেরা এখন পলাতক। সুন্দরগঞ্জ থানায় হামলার সময় আশপাশের মাদ্রাসার অনেক শিশু-কিশোর অংশ নেয়।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর রহমান বলেন, ‘আমরা অনেক মাদ্রাসার শিশুকে হামলায় অংশ নিতে দেখেছি। সন্দেহভাজন মাদ্রাসাগুলোর ওপর আমরা বিশেষ নজর রাখছি।’
গত ২২ ফেব্রুয়ারি পলাশবাড়ী উপজেলায় গণজাগরণ মঞ্চে ভাঙচুর ও তাণ্ডবের দিনেও ওই এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসার কয়েক শ শিশু-কিশোরকে সামনে ঠেলে দেয় জামায়াত-শিবির। গত দুই দিনে গাইবান্ধায় হরতাল চলাকালে গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর, সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা, সুন্দরগঞ্জ-তারাপুর সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। সব কটি ঘটনায় সামনে রাখা হয় মাদ্রাসার শিশু-কিশোরদের। জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা ছিলেন পেছনে। অনেক সময় তাঁদের রাস্তার পাশে থেকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। গাইবান্ধার কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পলাশবাড়ীতে ২০টি এবং সুন্দরগঞ্জ ৫২টি দাখিল মাদ্রাসা আছে। এসব মাদ্রাসা নির্মাণ ও এমপিওভুক্ত করাসহ সরকারি-বেসরকারি নানা অনুদান আনার ক্ষেত্রে গাইবান্ধার জামায়াতের সাবেক সাংসদ আবদুল আজিজের ভূমিকা ছিল। এসব মাদ্রাসার শিশু-কিশোরদের প্রায়ই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়। বিষয়টি জেলা পুলিশ ও প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন,‘ জামায়াত-শিবির এখন ঢাল হিসেবে শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করছে। জেলার মাদ্রাসাগুলোর ৯০ ভাগ শিক্ষকই জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা তাঁদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য শিক্ষার্থীদের সহিংসতায় নামিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কারা সরাসরি সহিংসতায় অংশ নিচ্ছে এবং শিশু-কিশোরদের আনছে, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। জামায়াত-শিবির যাতে ধংসাত্মক কর্মকাণ্ডে শিশুদের ব্যবহার করতে না পারে, সে জন্য আমরা সাধারণ জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।’
হামলায় মাদ্রাসার শিশুদের কেন ব্যবহার করা হলো—জানার জন্য সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির ইউনুস আলীর মুঠোফোনে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলেও তাঁর সব কটি ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। শিবিরের নেতারাও কেউ ফোন ধরছেন না।
জেলা মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও খানকা শরিফ সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শরীফ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, ‘এভাবে মাদ্রাসার নিষ্পাপ শিশু-কিশোরদের হামলা, তাণ্ডবে নিয়ে যাওয়ার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। আমরা মাদ্রাসার শিশু-কিশোরদের যেকোনো ধরনের রাজনীতিতে যুক্ত না করার জন্য অতীতেও বলেছি। এখনো জেলার ২৩৪টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের এই অনুরোধ জানিয়েছি।
সূএ:প্রথম আলো ৫/৩/১৩
২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩১
রবি_জল বলেছেন: জামাতের সাথে যুবলীগের নামটাও যেন আসে >>
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪০
আজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন: অবশ্যই সকল অন্যায়ের প্রতি প্রতিবাদ জানানা আমাদের দ্বায়িত্ব :
চট্টগ্রামে ইসলামী ছাত্রশিবিরের আট কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন, যারা ১০ আলেমকে হত্যার জন্য তালিকা তৈরি করেন বলে পুলিশ দাবি করেছে।
সোমবার দুপুরে মুরাদপুর বিবির হাট সংলগ্ন জামেয়া আহমদীয়া সুন্নীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকা থেকে এক শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আলেমদের হত্যা করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনার কথা তারা স্বীকার করেছেন।”
তাদের কাছে ১০ জন আলেমের নামের একটি তালিকা পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
তারা হলেন- জামেয়া আহমদীয়া সুন্নীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জালালউদ্দিন আল কাদেরী, উপাধ্যক্ষ ছগির আহমেদ ওসমানী, শায়খুল হাদীস ওবায়দুল হক নঈমী, মোহাদ্দেস আশরাফুজ্জামান কাদেরী, ফকিহ ওসিউর রহমান, মাওলানা আবুল কাশেম নুরী, ফকিহ আবদুল ওয়াজেদ, মুফতি ইউনূস, মাওলানা তাওহিদ ও পাহাড়তলীর নেছারিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদিন জুবায়ের।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনরত গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর আট ব্লগারকে হত্যার একটি পরিকল্পনা উদ্ঘাটন হয়েছে, যার পেছনেও শিবিরের এক নেতা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে বিবির হাটের মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির সময় মাহমুদুল হাসান নামে এক শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়।
ওসি প্রদীপ দাশ বলেন, “সে ওই এলাকায় গিয়ে মাদ্রাসার মোহাদ্দেস ওবায়দুল হক নঈমীর বাসা খোঁজার সময় স্থানীয় লোকজন ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে।”
হাসানের কাছে ওই ১০ আলেমের নামের একটি তালিকা পাওয়া যায় বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, “হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আলেমদের হত্যার বিষয়টি জানা যায় এবং তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নগরীর বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজার এলাকা থেকে আরো সাত শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিভিন্ন ওয়াজ নিয়ে সমালোচনামূলক বক্তব্য দেয়ায় ওই আলেমদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয় বলে পুলিশের ধারণা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “কালামিয়া বাজারে আবদুর রহমানের বাসায় এই আলেমদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সে অনুযায়ী তাদের বাসা এবং অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর নিতেই হাসানকে মুরাদপুরে পাঠানো হয়।”
গ্রেপ্তার বাকি সাতজন হলেন- রেজাউল করিম, আবদুর রহমান বিশ্বাস, ওসমান গণি, আরিফুর রহমান, মো. ইউনূস, আশরাফ উল্লাহ ও জমির উদ্দিন।
শায়খুল হাদীস ওবায়দুল হক নঈমী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাসানকে মাদ্রাসার লোকজন ধরে পুলিশে দিয়েছে। এখন তারাই ব্যবস্থা নেবে।”
আটক শিবিরকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান পাঁচলাইশ থানার এসআই পারভেজ।
এদিকে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশের শীর্ষস্থানীয় সুন্নী আলেমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে আহলে সুন্নাত ওয়াল সংস্থা (ওএসি)।
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪১
আজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন: রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা সদরে পুলিশের উপস্থিতিতেই শহীদ মিনার ভেঙে দিয়েছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা:
শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এ শহীদ মিনারেই গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ তৈরি করে আন্দোলন করে আসছিল উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের তরুণ প্রজন্ম।
সোমবার সকাল ১০টায় জামায়াত-শিবিরকর্মীরা হরতালের সমর্থনে মিছিল নিয়ে এসে মঞ্চসহ শহীদ মিনার ভেঙ্গে দেয় বলে জানান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের সংগঠকরা।
তারা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বদরগঞ্জ থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ মিছিলের সঙ্গে থাকলেও শহীদ মিনার ও মঞ্চ ভাঙচুরের সময় পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করে।
ওসি নুরুজ্জামান চৌধুরী ছাত্রাবস্থায় রংপুরের কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও ওসির অপসারণের দাবিতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
ওসি নুরুজ্জামান চৌধুরী শহীদ মিনার ভাঙচুরের বিষয়টি স্বীকার করলেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার দাবি, পুলিশ ছিল বলেই জামায়াত-শিবিরকর্মীরা শহীদ মিনারে আগুন দিতে পারেনি।
শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, “ছাত্রাবস্থায় অনেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে।”
এদিকে জামায়াতে ডাকা টানা ৪৮ ঘন্টার হরতালের শেষ দিন রংপুরে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে।
দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও অভ্যন্তরীণ রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেশিরভাগ দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।
রংপুর রেল স্টেশনের তত্ত্বাবধায়ক মোজাম্মেল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল থেকে ১১টা পর্যন্ত ৩টি ট্রেন স্বাভাবিক নিয়মেই চলাচল করেছে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত জামায়াত নেতাদের মুক্তি ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিলের দাবিতে গত কিছুদিন ধরেই দেশজুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে আসছে জামায়াত-শিবির। এরইমধ্যে সিলেট, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে শহীদ মিনারে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যার জন্য জামায়াতকে দায়ী করেছে পুলিশ।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসি দেয়। এর পরই জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির সারাদেশে রবি ও সোমবার ৪৮ ঘণ্টার টানা হরেতালের ডাক দেয়।
রায়ের দিন থেকে সোমাবার পর্যন্ত জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে কয়েকজন পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির প্রাণহানী ঘটে। হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানা, মন্দির, সরকারি অফিসসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে।
৪৮ ঘণ্টার টানা হরতালের সময়ও শত শত গাড়ি ও যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হরতাল সমর্থকরা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩০
রবি_জল বলেছেন: