![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রনি ! ক্লাসে প্রথম দিন থেকেই ছাত্র হিসেবে ভাল বলে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছে। তার এই ভাল ছাত্রগিরিই তার কাল হয়ে দাড়াল। তার সহপাঠি বন্ধুদের একটা অংশ তাকে দেখতে পারে না। কারন সে অন্যদের সাথে তেমন একটা মিশে না। এমনকি কারো সাথে কিছু শেয়ারও করে না।
অবশ্যই ক্লাসে প্রথম দিকে রাহাত নামে একজনের সাথে ভাল খাতির ছিল। রাহাত ছিল ক্লাসে সব চেয়ে দুষ্ট আর বদমেজাজি ছেলে। কিন্তু রনির সাথে তার জটিল খাতির।
ওরা সবাই কলেজে পরে। উঠতি বয়স হওয়ায় রনির হালাকা দাড়ি-গোঁফ গজাচ্ছিল। প্রথম বর্ষ শেষ হবার পর দ্বীতিয় বর্ষে যখন ওরা উঠলো তখনই ওদের সম্পর্কটা খারাপ হতে শুরু করল। এক সময় সম্পর্কটা এতটাই খারাপ হয়ে গেল যে তারা সাপ আর বেজির মত হয়ে গেছে। কেউ কাউকে দেখতে পারে না।
এক সময় রাহাতের মাথায় সয়তানি বুদ্ধি চাপল। কিভাবে রনিকে শায়েস্তা করা যায়। এর পর খুব ভাল একটা উপায় পেয়ে গেল।
ফেইসবুক! রনির একটা ফেইসবুক প্রফাইল তৈরি করল রাহাত। সেখানে রনির কিছু ছবিও আপলোড করল। প্রোফাইল সব সঠিক তথ্য দিলেও ইনফোতে ছাত্র-শিবিরের লেবাস ডুকিয়ে দিল। বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজে রনিকে একজন শিবিরের কর্মি হিসেবে তুলে ধরা হল। এমন সব কমেন্টস করা হল যাতে রনি খুব সহজেই শিবির কর্মি হিসেবে ফেসে যায়।
এভাবেই একদিন কোন এক ঘটনায় রনিকে ফাসিয়ে দেয়া হল। পুলিশ রনিকে গ্রেপ্তার করল। অথচ রনি এর কিছুই জানত না।
গল্পটা বলার উদ্দেশ্য: উপরোক্ত গল্পটা বলার উদ্দেশ্য হল তরুনদের সচেতন করে দেয়া। তরুনরা আবেগপ্রিয়। ওরা আইন-কানুন-নিয়ম বুঝে না। আবেগীয় হয়ে অন্যকে শিবির কর্মি তৈরি নতুন একটি ধারা হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে পরিবার থেকে সন্তানকে শিক্ষা দেতে হবে।
তরুনদের আবেগীয়কে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করাটাও দেশের জন্য অমঙ্গলকর। যেমনটা অমঙ্গলকর শিবিরের জন্য তেমনি শাহবাগের তরুনদের জন্য।
শিবিরের কর্মিরা শিবিরের সাথে সংশ্লিষ্ট হয় আবেগের বশবর্তি হয়ে অন্যদিকে শাহবাগের তরুনরাও আবেগের বশবর্তি হয়ে আন্দোলন করছে।
তরুনদের আবেগীয় বিষয়গুলো খুব সেনসেটিভ এটার কারনে যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমাদের সমাজ ব্যাবস্থা বা আমাদের সমাজের রাজনৈতিক এতটাই জঘন্য সেখানে আমরা আমাদের তরুনদের ব্যাবহার করি নিজেদের সার্থে।
আমরা দেশের কথা বা অন্যের কথা ভাবিনা কখনও। আমরা আমাদের নিজেদের আখের গুছাতে ব্যাস্তা। নিমিষেই নিজের নৈতিকতা বা বিবেককে বিসর্জন দিতে পারি। ধিক! এই সমাজের রাজনীতিকে!
চলবে…
দেশি কেচ্ছা – ১!
©somewhere in net ltd.