নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া

আমি পথ মঞ্জরী ফুটেছি আঁধার রাতে

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌

যখনি এ পথে যাবে, বারেক দাঁড়ায়ো ফুলবনে, শুধু দু হাত ভরিয়া দেব ফুল।

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাজী সাহেব ও ইবলিশ!!!

২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২১

সে সময় প্লেন ছিল না। পায়ে হেঁটে, ঘোড়া বা উটে চড়ে বা জাহাজে চড়ে মানুষজন হজ্বে যেতেন। এক লোক অনেক চেষ্টায় হজ্বে যাওয়ার ব্যবস্থা করলেন। নির্ধারিত দিন পরিবারের কাছে বিদায় নিয়ে জাহাজে উঠলেন। এমনসময় জানতে পারলেন জাহাজ আরও আধাঘন্টা পরে ছাড়বে। এমন সময় তাঁর মনে হল পরিবারের সাথে আরেকটু কথা বলে আসি। তিনি পরিবারের কাছে বিদায় নিয়ে যখন আবার জেটিতে পৌঁছালেন ততক্ষণে জাহাজ ছেড়ে দিয়েছে। তাঁর দুঃখ আর আফসোসের আর সীমা রইলনা। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে হাত ছুঁড়তে ছুঁড়তে কাঁদতে লাগলেন। এমন সময় এক লোক তাঁর কাছে এসে জানতে চাইল আপনার কি হয়েছে? তখন হাজি সাহেব বললেন ঐ জাহাজে করে আমার হজ্বে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি কিছুটা দেরি করে ফেলায় জাহাজ ছেড়ে দিয়েছে। আমি হজ্বে যেতে পারলাম না। তখন প্রশ্নকারী বলল আমি যদি আপনার হজ্বের ব্যবস্থা করে দেই আপনি খুশি হবেন? হাজী সাহেব বললেন আপনি কি করে আমার হজ্বে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন? প্রশ্নকারী লোকটি বলল আপনি আমার পিঠে চড়ে চোখ বন্ধ করে কাঁধে ধরে বসেন। হাজী সাহেব তাই করলেন। কিছুক্ষন পর প্রশ্নকারী বলল এবার চোখ খোলেন। হাজী সাহেব বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে দেখলেন তিনি হারাম শরীফের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। হাজী সাহেব বলে উঠলেন হুজুর আপনি নিশ্চয় অনেক বড় কামেল মানুষ! আপনি আমার এত বড় উপকার করলেন! দয়া করে আমার সাথে একবার উমরা করেন। তখন প্রশ্নকারী ব্যক্তি বলল আমি আপনার কোন উপকারই করিনি, বরঞ্চ অনেক বড় ক্ষতি করেছি! আমি কখনো কারো উপকার করি না। আর এই ঘরেও আমি ঢুকিনা এবং উমরাও আমি করি না। আমিই ইবলিশ শয়তান! তখন হাজী সাহেব জানতে চাইলেন আপনি আমার ক্ষতি কিভাবে করলেন? ইবলিশ জবাব দিল। আপনি যখন জাহাজে উঠলেন তখন আমিই আপনাকে ওসওয়াসা দিয়েছিলাম যে আপনি পরিবারের সাথে আরেকবার দেখা করেন যাতে জাহজ মিস করে আপনি হজ্ব করতে না পারেন! কিন্তু যখন আপনি মাটিতে হাত ছুঁড়ে কাঁদছিলেন তখন আল্লাহ্‌’তালা আপনার প্রতিটা হাত ছুঁড়ার বদলে একটি করে মকবুল হজের সওয়াব দিচ্ছিলেন! এতে আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি এবং যারপরনাই দুঃখিত হই এবং এই সওয়াব থেকে বঞ্চিত করার জন্য আপনাকে হেরেম শরীফে পৌঁছে দেই। এখন আপনি হজ্ব করলে সেটা কবুল হতেও পারে নাও হতে পারে। আর যদি কবুল হয়েও যায় আপনি এক হজ্বের চেয়ে বেশী হজ্বের সওয়াব আর পাবেন না। এই বলে শয়তান অদৃশ্য হয়ে গেল।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১০

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: চমৎার একটি ঘটনা +++++

২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫২

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: এটা শোনা কাহিনী, বলা যায় শিক্ষামূলক। সত্য ঘটনা কিনা জানা নেই।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

গরম কফি বলেছেন:
নিয়ত ....

২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: .ধন্যবাদ গরম কফি।

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৪

সায়েম মুন বলেছেন: বেশ শিক্ষণীয় বিষয়। শয়তান মানুষের পিছু ছাড়ে না দেখি!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৮

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: মানুষের চির শত্রু শয়তান। আল্লাহ্‌ তা'লা এর ক্ষতি থেকে আমাদের হেফাজত করুণ।

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩২

শামীম সুজায়েত বলেছেন: দারুণ তো।
গল্পের ছলে জানা হলো শয়তানের উদ্দেশ্য।
ভাল থাকবেন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা সুজায়েত ভাই!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.