নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া

আমি পথ মঞ্জরী ফুটেছি আঁধার রাতে

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌

যখনি এ পথে যাবে, বারেক দাঁড়ায়ো ফুলবনে, শুধু দু হাত ভরিয়া দেব ফুল।

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু মেডিকেল রিলেটেড কথা।

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯

আমার জনৈক স্কুলের বন্ধুর স্ত্রী অসুস্থ। তাকে অনেকগুলা টেস্ট করতে দেয়া হয়েছে। তো পুরান ঢাকার কাছাকাছি এক হাসপাতালে গেলাম পেশেন্টকে ভর্তি করে ইনভেস্টিগেশন গুলা করতে। ইমারজেন্সী মেডিক্যাল অফিসার পেশেন্টকে কিছু জিজ্ঞাসা করে প্রথমেই বলল একটা ইসিজি এখনই করতে হবে। রিপোর্ট টা কার্ডিওলজী বিভাগে দেখাতে বলল কারণ সে ইসিজিতে কিছু সমস্যা দেখতে পাচ্ছে। পরে বাকি ইনভেস্টিগেশন নিয়ে কথা বলবে। তো ইসিজিতে লেফট ভেন্ট্রিকুলার হাইপারট্রফি এবং কিছু ইস্কেমিক চেঞ্জ ছিল যার জন্য আর্জেন্ট এডমিশনের প্রয়োজন নেই। কার্ডিওলজীতে এক জুনিয়র ডাক্তার ইসিজি দেখে ঘাবড়ে গেল। বলল ইসিজি খুব খারাপ এখনই ভর্তি করতে হবে। আমি একটু ঘাবড়ে গেলাম। এমন কি ফাইন্ডিংস ছিল যা আমি মিস করলাম? যাই হোক শেষ পর্যন্ত আমরা ভর্তি না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। সেই জুনিওর ডাক্তার পরামর্শ দিল, আমাদের এখানে ভর্তি না করলে যে কোন সরকারী হাসপাতালে যান। রোগীর ইসিজি খুব খারাপ। আমি পরিচয় দিলাম আমি ডাক্তার। আমাকে একটু বলেন ইসিজিতে আপনি কি খারাপ পেয়েছেন? সে বলল এন্টেরিওর চেস্ট লীড গুলোতে এস,টি ইলেভেশন আছে। হার্ট এটাক। তো লীডগুলোর দিকে দেখে বুঝলাম বেচারা ইসজিতে খুব ফ্যামিলিয়ার না। ঐ লীডের ট্রেসিং গুলো নতুনদের জন্য কনফিউজিং হয়। যদিও টি ওয়েভ বেশ ওপরে উঠে যায় আসলে ওটা এস,টি ইলেভেশন নয় নরমাল ফাইন্ডিংস। ওকে দোষ দেইনা। স্টুডেন্ট অবস্থায় এরকম কনফিউশন আমারও হয়েছে। আমাদের দেশে শিক্ষকরা ছাত্রদের যেভাবে শেখানো প্রয়োজন তা করেন না। আমি দুঃখিত এটা সত্যি। নিজে শিখে নেবে এরকম মানসিকতা শিক্ষকদের। এই ছেলেটাকে আমি দোষ দেই না। সে সঠিক ডায়াগনোসিস না করতে পারলেও রোগীর ভাল চেয়েই ভর্তি হতে বলেছে বা যে কোন সরকারী হাসপাতালে যেতে বলেছে। আমি জানি আমার এ পোস্টে কোন দিক নির্দেশনা নেই। কিন্তু শিক্ষকদের প্রতি ছোট্ট একটা মেসেজ আছে যা তাদের কেউ হয়ত জানবেনও না।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০১

BM Khalid Hasan বলেছেন: মেডিকেল নিয়ে তেমন জানিনা আমি । তবে এটা জানি যে বর্তমান যুগে খুব ডেটিকেটেড ও মেধাবী কেউ শিক্ষক হতে চায়না। এরা কমফোর্ট বেশি পেতে অন্য প্রফেশন সুইচ করে বা নিজের প্রাকটিসে মনোযোগ দেয়। আর এই স্পেসে শিক্ষকতায় ঢুকে এমন মানুষ যারা শুধু সিলেবাসের হাইলাইট পড়িয়ে পরীক্ষায় ছাত্রদের পাস করাতে পারলেই হলো।

আমার বাবা হাই স্কুলের শিক্ষক ছিলো, ২০১০ এর পর রিটায়ার্ড করে। তার ও তার কলিগদের পড়ানোর স্টাইল দেখতাম অন্যরকম। তারা স্কুলকে জীবনের অংশ মনে করতো। বাসায় বসেও সারাক্ষণ ভাবতো ক্লাসে কোন টপিকটা এলাবোরেট করা হয়নি। আর আমি কলেজে উঠে দেখি শুধু টেস্ট পেপারের প্রশ্ন ক্লাসে পড়ানো হচ্ছে।

টেক্সট বুক সম্পূর্ণ না পড়াতে আমাদের অনেক জ্ঞান ও প্র‌্যাকটিকাল স্পিকিংয়ের ঘাটতি পড়ে গিয়েছিল যে কারণে শহরের স্কুল কলেজের মত কমপিটিটিভ পরিবেশে নিজেদের গড়তে পারিনি।

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৮

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: যথার্থই বলেছেন।

২| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৯

আলামিন১০৪ বলেছেন: আপনার মতো বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার, আজকাল কেউ কারো জন্য করে না

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২৯

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: এখনও অনেকে আছেন যারা অন্যের জন্য করেন। তবে সংখ্যাটা বোধ হয় কমে আসছে!

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট।আজ থেকে ২০ বছর আগেও দেশে ছিল আটটা সরকারী মেডিকেল কলেজ। মেডিকেল কলেজে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেত মেডিকেল এর ট্যলেন্টেড ডাক্তাররা। স্বাস্থ্য সেবার অবস্থা তাই এতটা বেহাল ছিল না। এখনতো পারার গলিতে গলিতে মেডিকেল কলেজ! ডাক্তারের ছড়াছড়ি, হাসপাতাল ডায়গনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি এবং একই সাথে ভুল চিকিৎসারও ছড়াছড়ি।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৭

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। মূল্যবোধের অবক্ষয় সর্বত্র!

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:১২

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: স্বাগতম রাজীব ভাই! পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন।

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:১৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: গল্পটার খানিকটা চেনা-জানা মনে হলো। কোন একদিন প্রবাসে আমার ডাক্তারও (বাংলাদেশী) আমার ইসিজি দেখে দৌড়ে গিয়ে স্পেশালিস্ট দেখাতে বললেন। রেফার করলো আরেক পাকিস্তানি ডক্টরের কাছে, ডক্টরের কাছে গিয়েও তা কথা শুনিনি। গেলাম অন্য একটা ভালো কার্ডিয়াক সার্জনের কাছে, তিনিও ইসিজি দেখে খুশি হতে পারলেন না, এনজিওগ্রাম করাতে হলো। তিনি মেডিসিন দিয়ে ছেড়ে দিলেন। এ বছর আবার তাকে দেখাতে যাবো ভাবছি।

ডাক্তার জনগণের তথা রোগীর বন্ধু হওয়ার কথা, এদেশে সবাই স্যার স্যার করেন। রোগীদেরও তেমন একটা সময় দেন না, গাদা গাদা পথ্য ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। বিষয়টি আমার কাছে অন্যরকম মনে হয়। আপনার জন্য শুভ কামনা থাকছে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.