নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া

আমি পথ মঞ্জরী ফুটেছি আঁধার রাতে

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌

যখনি এ পথে যাবে, বারেক দাঁড়ায়ো ফুলবনে, শুধু দু হাত ভরিয়া দেব ফুল।

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিতা ডাক্তার!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৭

বাল্যকালের বন্ধুর বউ অসুস্থ। কিডনি ভাল অবস্থায় নেই। অনেক ডাক্তার অনেক হাসপাতাল ঘুরেছে। আমি জেনারেল প্র্যাক্টিশনার। সে প্রায়ই আমার কাছে এটা ওটা জানতে চায়। বুকে ব্যাথার জন্য আমার ক্লাসমেট কার্ডিওলজি ডাক্তারের কাছে পাঠালাম। সে ইভালুয়েশন শেষে জানিয়ে দিল কার্ডিয়াক কোন ইস্যু নেই। সে সময়কার একটা রিপোর্টে রোগীনির সোডিয়াম লেভেল ছিল ১২৬। এর দুই দিন পর ফোনে জানতে চাইলাম কি করছে, কেমন আছে? বন্ধু বলল ভাল নেই। বিছানা থেকে উঠতে পারছে না। কয়েকবার বমি করেছে। রাত তখন ১০ টা। তাকে বললাম আর্জেন্ট সিরাম ইলেকট্রোলাইট করতে এবং সোডিক্লোর ট্যাবলেট দিতে। পরদিন ইলেকট্রোলাইট রিপোর্ট পাঠালো হোয়াটসএপে। সোডিয়াম ১১৯! লাইফথ্রেটেনিং লেভেল। তাকে বললাম বাসার কাছে সরকারী বা ভাল কোন প্রাইভেট হসপিটালে নিতে, সোডিয়াম ইনফিউশন দিতে হবে। সে আমার কার্ডিওলজি ক্লাসমেটকে জানালে সে বলল তার হসপিটালে নিয়ে যেতে। সেখানে ট্রিটমেন্ট দেয়ার পর এখন সোডিয়াম লেভেল নরমালে এসেছে। তার এনিমিয়াও আছে। হিমোগ্লোবিন ৭.৮। কমপ্লিট ব্লাড কাউন্টে মিন কর্পাসকুলার ভলিউম লো এসেছে। এই ফাইন্ডিং আয়রন ডেফিসিয়েন্সি এনিমিয়ার দিকেই ইন্ডিকেট করে। কিন্তু আয়রন প্রোফাইল করার পর দেখা গেল আয়রন লেভেল নরমাল, আইরন বাইন্ডিং ক্যাপাসিটি হাই হয়নি এটাও নরমাল। সেরাম ফেরিটিন হাই। অর্থাৎ এটা এনিমিয়া অফ ক্রনিক ডিজিজ, তাই কম্বাইন্ড পিকচার এসেছে। মেইন কালপ্রিট কিডনি। ইরাইথ্রোপয়েটিন তৈরি করতে পারছে না তাই এই এনিমিয়া। ডাক্তাররা স্বান্তনা দিলেন এই তো সুস্থ হয়ে গেছে। বাসায় চলে যান। বন্ধু বলল এত ডাক্তার দেখালাম কিছুদিন পর পরই এই অসুবিধা সেই অসুবিধা। তো আমি মিথ্যা স্বান্তনা দিলাম না। বললাম পেশেন্ট আস্তে আস্তে আরো খারাপের দিকে যাবে। কিডনি যেটুকু খারাপ হয়েছে সেটা কোনভাবেই আর ঠিক হবে না। তুমি চাইছ ম্যাজিক রেজাল্ট। হসপিটালে যাব আর ডাক্তার রা রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে দেবে। অর্গান ফেইলিউরতো কোন ভাবেই রিকভার করা যাবে না। এটা যদি টাইফয়েড বা ম্যালেরিয়া হত আমি রোগীকে সম্পূর্ন সুস্থ করে দিতাম। [সুস্থতার মালিক আল্লাহ, ডাক্তার উছিলা মাত্র]। এটা তুমি মেনে নিতে পারছ না, অথচ এটা তোমাকে মেনে নিতেই হবে, আর কোন বিকল্প নেই। রোগীর প্রেশার, ডায়াবেটিস কিডনি ড্যামেজের জন্য দায়ী। বন্ধু বলল, আমি তাকে সব ওষুধ কিনে দিতাম সে খেত না, নিয়ম মানতোনা। এসব এখন আর বলে কি হবে? আমি মিথ্যা স্বান্তনা দেই না তাই সবার কাছেই তিক্ত।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫৮

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আল্লাহ ঢাকা মেডিক্যালে পড়েছেন, আপনি প্রাইভেটে পড়ালেখা করেছেন?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৩২

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: আমি বলতে চেয়েছি আল্লাহ যাকে সুস্থতা দিতে চান সেই সুস্থ হয়। আল্লাহ তো চিরঞ্জীব সব প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ নিতে হয়। ডাক্তারের কাছে কারো প্রাণ রক্ষার ম্যাজিক নেই। ডাক্তার উছিলা মাত্র। দুঃখিত ভাই আমি প্রাইভেটে পড়িনি।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:২১

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আপনি অদক্ষ চিকিৎসক; আপনার লেখা থেকে মনে হয় যে, আল্লাহ আপনার থেকে ভালো চিকিৎসক। এগুলো ম্যাঁপপ্যাঁও ধারণা।

আপনি যেভাবে আল্লাহ সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য যোগ করেছেন, এই গ্রহে জন্ম নেয়া সবাই যদি কিছু কিছু বাক্য বলে থাকেন, এবং প্রত্যেকে যদি ১০০টি বাক্য যোগ করে থাকেন, ১২ ট্রিলিয়ন বাক্যের সমান বড় হচ্ছেন আল্লাহ।

কিন্তু উনি চিকিৎসা করেন না, চিকিৎসা করেন ডাক্তারেরা; তিনি খাদ্য উৎপাদন করেন না, কোথায়ও পড়ান না; মানুষ এই কাজগুলো করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.