![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখনি এ পথে যাবে, বারেক দাঁড়ায়ো ফুলবনে, শুধু দু হাত ভরিয়া দেব ফুল।
উমরা করার উদ্দেশ্যে বাসে মক্কার দিকে যাত্রা শুরু করেছি। সহযাত্রীদের কেউ কেউ কুরআন পড়ছেন। কেউ কেউ নিজেদের মাঝে আলাপচারিতায় মত্ত। আমার সামনের কয়েকটা সীটে একই পরিবারের কয়েকজন যাত্রী বসেছেন। সবকিছু ভালই যাচ্ছিল। হঠাৎ ই সেই পরিবারের মাঝে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিল। ড্রাইভারকে ঐ পরিবারেরই অভিভাবক প্রশ্ন করছেন সামনে কোন হাসপাতাল আছে কিনা। ড্রাইভার বলল ৫০/৬০ কিলোমিটার দূরে একটা হসপিটাল আছে। তখনও আরবি অতটা ভাল বুঝিনা। ড্রাইভার বাস থামিয়ে জিজ্ঞেস করলেন গাড়িতে কোন ডাক্তার যাত্রী আছেন কিনা। বুঝতে পারছিলাম সম্ভবত পরিবারটি কোন হেলথ রিলেটে জটিলতায় পড়েছে। তখনও ড্রাইভারকে কিছু না বলে সেই অভিভাবক ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করলাম কি সমস্যা? এরপর কিছু হৈ চৈ এবং কান্নাকাটি শুরু হল। আমি সীট থেকে ঊঠে সামনে এগিয়ে গেলাম। একটা মেয়েকে নিয়ে জটলা, চোকিং হয়েছে। শ্বাসনালিতে খাবার আটকে গেছে। মুখ দিয়ে লালা পড়ছে। এবার পরিচয় দিলাম আমি ডাক্তার। কারণ এই রোগীর এই মূহুর্তে চিকিৎসা প্রয়োজন, দেরি করার উপায় নেই। মেয়েটার হাজব্যান্ড বলল ইনি আমার স্ত্রী গলায় খাবার আটকে গেছে, প্লীজ আমাদের হেল্প করুন। তো জিজ্ঞেস করলাম উনার কোন অসুস্থতা আছে কিনা? মেয়েটির মা বলল ও সুস্থ, কোন রোগ নেই তবে প্রেগন্যান্ট। ওদের বললাম রোগীকে দাঁড় করান। এরপর হাইমলিক ম্যানুভিয়ার এপ্লাই করলাম। তিন চার থ্রাস্ট দেয়ার পর একটা ছোট আপেলের টুকরা বেরিয়ে এল। রোগী সশব্দে শ্বাস নিল। এরপরও আরও কিছুক্ষণ কান্না চলল। এটা ছিল স্বস্তির কান্না। মেয়ের বাবা জিজ্ঞেস করলেন আপনি কোন হসপিটালে কাজ করেন? আমি বললাম আমি রিয়াদের হাই-আস-সুলাই হেলথ সেন্টারে কাজ করি। ঊনারা বারবার কৃতজ্ঞতা জানালেন। এরপর মক্কা পৌঁছে যে যার পথে চলে গেলাম।
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ধর্মবিদ্বেষী উম্মাদের মন্তব্যে জঘন্য শব্দচয়নের শ্রী দেখুন!!!!
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিপদের সময় পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য। চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে মেয়েটিকে বিপদমুক্ত করার জন্য।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১২
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আল্লাহ সবাইকে বুঝার তৌফিক দিন। হেদায়েত দিন।
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জেনারেশন একাত্তর@কেউ যদি গাটের টাকা খরচ করে মক্কা মদীনায় যায়। আপনার কপালে নবীজীর সুপারিশ নেই।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৬
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: আল্লাহ হেদায়তের মালিক। একমাত্র উনি চাইলেই কেউ হেদায়েত পেতে পারে। আমি বুঝিনা উনার এত আল্লাহ রাসুল বিদ্বেষের কারণ কি!
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৮
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
প্রথমত: ওমরা করতে গেছেন নবী (স: ) উম্মত ( উন্মাদ ), আল্লাঃ কেন আপেল গলায় আটকায়ে দিলো? পরীক্ষা?
আপনি কেন দোয়া পড়ে ফুঁক দিলেন না? কি কারণে মেয়েটার গায়ে চাপ ছিলেন?