নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছাই চাপা আগুন

মুক্ত করো ভয়, সত্য পথে জীবন গড়ো, নিজেরে করো জয় ।

বদরূল আহমেদ

জাগ্রত অনুসন্ধান, অবিচলিত অধ্যবসা আর অনাসক্ত সত্য সন্ধানী মন, সংকল্পে অটল-অবিচল, প্রবাসী,মা-মাটি ও মানুষকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করি । ইসলাম ও মানবতা, জননী-জন্মভূমি ও মানুষের পক্ষে । কুসংস্কার ও অন্যায়ের বিরূদ্ধে ।

বদরূল আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

''ইসলামে বহূবিবাহ ''নিয়ে ইসলামবিদ্্বেষীদের অপব্যাখ্যা

০৫ ই মার্চ, ২০০৬ ভোর ৪:৪৮

ইসলামে বহূবিবাহের অনুমোদন নিয়ে বিতর্ক চলছে যুগ যুগ ধরে । বিশেষ করে আধুনিক বিশ্বে ইহা একটি চরম বিতর্কিত বিষয় । ইসলাম বিদ্্বেষীরা এর অপব্যাখ্যা করে ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করেই ক্ষান্ত হয়না বরং একে বর্বরতার পরিচায়ক বলতেও কুন্ঠিত হয়না । ইসলামি শরীয়তের দৃষ্টিতে বহূবিবাহের যে ব্যাখ্যা আছে , যারা তার অপব্যাখ্যা করে - তারা হয়তো ইসলাম সম্মন্দে নেহায়েতই অজ্ঞ অথবা বিদ্্বেষের বশবর্তী হয়ে এরকম আচরন করে ।



ইসলাম যেহেতু এসেছে সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে ,

তাই সকল সমস্যার সমাধানের ব্যাবস্তা করার দায়িত্ব তার উপড় বর্তায় । বহূবিবাহের ব্যাপারে কোরআন শরীফের যে আয়াত খানা নিয়ে বিতর্ক ; সে আয়াতটি নিয়ে খুবই সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব ।



ওহূদের যুদ্্বের পর যখন অসংখ্য মুসলিম সেনা নিহত হলেন তখন তাদের পরিবারের যারা বিধবা ও এতিম হয়ে বেঁচে রইলেন , তাদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এসে দাড়াল জীবিত মুসলমানদের উপড়ে ।

এমনি এক সামাজিক পরিসহিতিতে এই আয়াত খানা

নাজিল হয়ে ছিল । তার অনবাদ হল নিম্নরূপ ।



''তোমরা যদি মনে কর যে এতিম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবেনা তবে বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে , যাদেরকে তোমাদের ভাল লাগে দুই তিন অথবা চার আর যদি আশংকা কর যে সুবিচার করতে পারবেনা তবে একজনকে অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীকে , ইহাতে পক্ষপাতিত্ব না করার অধিক সম্ভবনা '' (সুরা নিসা ঃ 3 )



উপরোক্ত আয়াত থেকে সুস্পষ্টভাবে কিছু তথ্য বেরিয়ে আসে যেমন ঃ

(ক) বহূবিবাহ যেমন বাধ্যতামুলক করা হয়নি তেমনি উৎসাহও প্রদান করা হয়নি ।

(খ) আয়াতটির শানে-নুযুল থেকে বুঝা যায় যে,

শূধু বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রেই এর অনুমতি দেওয়া হয়েছে । তবে কেবল মাত্র মানবিক কামনা-বাসনা আদায় করার জন্য নয় বরং বিধবা এবং এতিমদের প্রতি দয়া ও করূণা প্রদর্শনের উদ্দেশ্য আছে ।

(গ) এক বিশেষ পরিসহিতির মোকাবিলার জন্য যদিও অনুমতি দেওয়া হয়েছে তথাপি তৎকালীন আরব সমাজে প্রচলিত দশটি বিয়ে বা তারও অধিক বিয়ের প্রথা থেকে কমিয়ে এনে সীমিত করা হয়েছে ।

(ঘ) ইসলামের বিধান মত একস্বামীর জন্য তার

স্ত্রীর সম্পুর্ণ অধিকার আদায় করা কর্তব্য ।

এখানে স্ত্রীর অধিকার বলতে অন্ন,বস্ত্র, বাসসহান, সুন্দর ব্যাবহার এবং শারীরক চাহিদা ইত্যাদির কথা বলা হয়েছে । এই সব অধিকার আদায়ে সন্দিহান ব্যক্তির জন্য এক বিবাহের কথা বলা হয়েছে ।

আল্লাহ তায়ালা কিভাবে বহূবিবাহকে নিরূৎসাহিত করেছেন অন্য একটি আয়াতে তা স্পষ্ট বুঝা যায় ।

''তোমরা কখনও স্ত্রীদের মধ্যে সমতা রক্ষা করতে পারবেনা যদিও ইহা তোমার পক্ষ থেকে চরমভাবে কাংখিত হয় ।''

একজন স্ত্রীর প্রাপ্য অধিকার আদায় করতে যেখানে আমরা অক্ষম সেখানে চারজনের দায়িত্বকি ভাবে পালন করতে পারি ?

(ঙ) উপড়ল্লেখিত আয়াতে বলা হয়েছে ''বিবাহ কর"এখানে কিডন্যাপ,প্রতারনা,প্রলোভন বা যৌতুক আদান-প্রদানের কোন বালাই নেই । ইসলামে বিয়ে হচ্ছে - উভয় পক্ষের সম্মতিতে একজন

পুরূষ-মহিলা জীবন সঙি হিসাবে একে অপরের জীবনে নিজেকে আবদ্্ব করা ।



একজন পুরূষ আরেকটি বিয়ে করতে পারেন , প্রথমা স্ত্রী যদি বন্দ্ব্যা হন অথবা এমন কোন দীর্ঘ শারীরিক অসুসহতায় ভোগেন যার ফলে তাহার স্বামীর ন্যায্য অধিকার আদায়ে অপারগতা প্রকাশ পায় , ইত্যাদি কারনেও তখন প্রথমা স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে তিনি আরেকটি বিয়ে করতে পারেন ।

যার বিস্তারীত আলোচনা আগামিতে করা যেতে পারে ।

যাক ঃ সর্বদা আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে ,

ইসলামের সাধারণ নিয়ম হচ্ছে এক বিবাহ । একাধিক বিয়ের সুফলের প্রতি লক্ষ্য রেখে ব্যক্তি-সমাজের বিশেষ বিশেষ পরিসহিতিতে নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষ চারটি বিবাহকে বৈধ বলা হয়েছে । যেখানে সৃষ্ট পরিসহিতি মোকাবেলার জন্য এর চেয়ে সুন্দর ব্যাবস্তার বিকল্প নেই । কারন ইসলাম হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার দেওয়া এক চিরন্তন জীবন বিধান ।

কিন্ত আমাদের অজ্ঞতার কারনেই ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় আমাদের মাধ্যমেই তাহার অপব্যাখ্যা হয় ।

আমরা ইসলামের প্রকৃত মর্ম না বুঝে বলে থাকি যে,মুসলিম পুরূষ চারটি বিয়ে করতে পারে ।

এই অজুহাতে কেউ কেউ একাধিক বিয়ে করে এবং

অন্যকেও উৎসাহ দেয় । তাদের এই আচরণে একদিকে যেমন তাদের নারীবিলাসী , যৌনসমভোগে পাগল এবং বহূ গামী চরিত্রের পরিচয় ফুটে উঠে তেমনি এর ফলে ইসলাম বিদ্্বেষী নাস্তিক-মুরতাদরা ইসলামকে হেয় করে অপপ্রচার চালায় ।

তাই আমাদেরকে আরো প্রচুর ইসলামি জ্ঞান আহরন করে ওদের মোকাবেলা করতে হবে ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ১০:০৩

শুভ বলেছেন: বদরুল ভাই, ভাল একটা বিষয় নিয়ে চমৎকার একটা লেখা লিখেছেন।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ১১:০৩

অতিথি বলেছেন: যাক, আপনিই তাহলে শেষ পর্যন্ত তুলে ধরেছেন।

আমি চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু হাসিমুখ ভাই বললেন- তারও নাকি এ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে।

তার ভিন্ন মত থাকতেই পারে, তিনি সেগুলো তুলে ধরবেন কি?

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ১১:০৩

অতিথি বলেছেন: শূভ , তেলাপোকা ? আপনাদেরকে ধন্যবাদ ।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ১১:০৩

অতিথি বলেছেন: আমার এলেখার উপড় কারো যদি ভিন্নমত থাকে তাহলে তূলে ধরবেন অবশ্যই ।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ১১:০৩

ছবি পাগল বলেছেন: বদরূল ভাই ? আপনার লেখাটি খুবই ভাল লেগেছে । এতে কোন দ্্বিমত থাকতে পারেনা ।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ১১:০৩

ছবি পাগল বলেছেন: বদরূল ভাই ? আপনার লেখাটি খুবই ভাল লেগেছে । এতে কোন দ্্বিমত থাকতে পারেনা । আপনাকে ধন্যবাদ ।

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ১১:০৩

মলি বলেছেন: আপনার এই লেখাটা চমৎকার হয়েছে । ধন্যবাদ ।

৮| ০৫ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ১১:০৩

অতিথি বলেছেন: মলি ? আপনাকেও ধন্যবাদ । এরকম ভাবে সকলের উৎসাহ পেলে আরো অনেক লেখা নিয়ে আসতে পারব । ইনশাআল্লাহ ।।

৯| ০৬ ই মার্চ, ২০০৬ রাত ৩:০৩

ওয়ালী বলেছেন: বদরূল ভাই দেরী করে ফেল্লাম ধন্যবাদ দিতে। একটু ব্যস্ত সময় যাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.