![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেবল এই সত্যটুকু জেনো, মানুষ হয়ে জন্ম আমাদের ধর্ম করেছে বন্য
রাজনীতি আমার বিষয় নয়, আমি রাজনীতি নিয়ে লিখতে স্বাচ্ছন্দবোধ করিনা। কিন্তু কোন না কোন ভাবে আমাদের দেশিয় রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে আমার রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব আছে। জয়বাংলা শব্দটি আমাকে উজ্জ্বিবীত করে, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ও স্বাধীনতাকে আমি সমার্থক মনে করি। সেই হিসেবে একশ্রেণীর মানুষের কাছে হয়তোবা আমি দলকানা বা আওয়ামীলীগের দালাল বা আরো অনেক নেতিবাচক বিশেষনে আখ্যায়িত হতে পারি, কখনো কখনো এসব অভিধায় আমি সম্মানিতবোধও করি। আমার আজকের লেখার শিরোনামটি দেখলে এটাকে রাজনৈতিক লেখা হিসেবে বিবেচনা করাটাই স্বাভাবিক, কিন্তু মূলতঃ দলীয় রাজনীতির বাহিরে বেরিয়ে মৌলভীবাজার ০১ (বড়লেখা জুড়ী) আসনের সম্মানিত সংসদ সদস্য জননেতা হুইপ মোঃ শাহাব উদ্দিনের সামগ্রিক নেতা হয়ে উঠা বিষয়ে ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা প্রকাশ করাই আজকের লেখার উদ্দেশ্য।
আমি ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে ফ্রান্স আসি, আমার প্রিয় শাহবাজপুরের সর্বস্থরের মানুষ যাঁরা ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন তখন আমাকে আন্তরিক অভ্যর্তনার মাধ্যমে গ্রহণ করেন। প্রায় সকলের সাথে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ স্থাপন হয়, পরবাসের হাসি আনন্দ যন্ত্রণা বেদনার কথা অনেকের সাথেই পারস্পরিক আদান প্রদান হয়। এরকমই এক আলোচনায় একদিন শাহবাজপুরের এক বড় ভাই,(সংঘত কারণে নাম নিতে চাই না, যাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক কেরিয়ার ছিল) খুবই করুণ সুরে বলেন কেবল তাঁর পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তাঁর বাড়িকে পাশ কাটিয়ে, বিরাট একটি এলাকাকে এড়িয়ে অন্য এলাকায় বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হয়ে গেছে। আমি তাৎক্ষণিক ভাবে প্রতিবাদ করে উনাকে বলেছিলাম বিষয়টা এরকম হওয়ার কথা নয়। অন্তত হুইপ সাহেবের জানা অবস্থায় এমনটি হবে না। বিষয়টা আমাকে খুবই আন্দোলিত করেছিল, আমার ভাবতে খারাপ লাগছিল যে এভাবে একটি এলাকাকে বিদ্যুত বঞ্চিত রাখার তো কথা নয়। শেষ দেখার প্রায় ৫ বৎসর পর কাঁপা কাঁপা হাতে প্রিয় নেতার মোবাইল নাম্বার ডায়াল করেছিলাম। কেবল ডাক নাম শুনেই চিনতে পেরেছিলেন বলে সত্যিই কৃতজ্ঞ আমি, সংশ্লিষ্ট বিষয়টি শুনে হুইপ সাহেব তাঁর শিশু সরল হাসিটি হাসতে হাসতে আমাকে বলেছিলেন
< বকুল বড়লেখা জুড়ীর উন্নয়নে কোন রাজনৈতিক বিবেচনা নেই, থাকবেনা। বিশেষ করে বিদ্যুত প্রত্যেকটি ঘরে পৌছে দেয়াই আমার উদ্দেশ্য। চা বাগানগুলোকে সরকারী ভাবে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলে ঐ এলাকায় এরকম হয়েছে, তবে দ্রুতই সে এলাকা বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে>
খুব সামান্য দিনের ব্যবধানেই ঐ এলাকায় বিদ্যুত বাতি জ্বলেছিল, আমার একটি আলোকিত আনন্দকে আমার মধ্যে গোপন রেখে সকলের আনন্দ উপভোগ করেছিলাম আমি।
আরেকটি গল্প, ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময়। স্বাভাবিক ভাবেই অনেক ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন শাহাব উদ্দিন সাহেব নির্বাচনিক গণসংযোগে। আমাদের শাহবাজপুরের নির্ধারিত গণসংযোগের দিন বেলা ২/৩ ঘটিকার সময় উনি শাহবাজপুরের সেই সময়ের দুর্গম এলাকা বলে পরিচিত পাল্লাথল চা বাগানে গণসংযোগের কাজে ব্যস্ত, সেখান থেকে ফিরে বড়াইল যাবার কথা। হঠাৎ সাথে সবাইকে আশ্চর্য করে দিয়ে উনি বললেন তিনি একটি বিয়ের অনুষ্টান এটেন্ড করতে চান। সময়ের অভাবের যুক্তি দেখিয়ে কেউ কেউ যখন বলতে চাইছিলেন বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় হবেনা। তখন খুব মন খারাপ করা কন্ঠে এম পি সাহেব বলেছিলেন বড়াইলের মিটিং কেন্সেল করে দাও আরেকদিন আসবো কিন্তু বিয়েতে আজকেই যেতে হবে কারণ ঐ বাড়ির মুরব্বীকে আমি কথা দিয়েছি তাঁর মেয়ের বিয়েতে আমি যাবো। শাহাব উদ্দিন সাহেব সেদিন পূর্ব দৌলতপুরের দরিদ্র সেই পিতার মেয়ের বিয়েতে গিয়ে শুধু ঐ মেয়ে আর তার বাবার মুখেই হাসি ফুটাননি, তাঁর নির্বাচনের কর্মী হতে পারার কারণে আমার মতো ক্ষুদ্র এক নৌকার কর্মীকে গর্বিত হওয়ার সুযোগও করে দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের ৩০০ শত জন সংসদ সদস্যের মধ্যে আমার মনে হয় একমাত্র শাহাব উদ্দিন সাহেবই সেই ব্যক্তি যাঁর মোবাইল নাম্বার দলের ভেতর এবং দলের বাহিরে সর্বস্থরের মানুষের কাছে রয়েছে এবং যেকেউ যেকোন সময়ে উনাকে কল দিয়ে কথা বলতে পারেন। এই যে সজলভ্যতা একজন নেতার এটাই সবচেয়ে বড় গুণ।
আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিনের উন্নয়ন কর্মকান্ড বিশেষ করে বিদ্যুৎ স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা মন্দির গির্জা সহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়ে বলার তেমন কিছু নেই কারন বিবেকবান প্রতিটি মানুষের বিবেকই শাহাব উদ্দিন সাহেবের উন্নয়নের স্বাক্ষী। আমি যদি আমার জন্মস্থান শাহবাজপুরের কথাই শুধু বলি আমি দ্বিধাহীন ভাবে বলতে পারি শাহবাজপুরের মোট বিদ্যুতায়নের প্রায় সত্তর ভাগই শাহাব উদ্দিন সাহেবের অক্লান্ত পরিশ্রম আর একাগ্র চিন্তার মাধ্যমে গত পাঁচ বৎসরে বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি এও শুনেছি বড়লেখার বিদ্যুৎ অফিস থেকে পর্যাপ্ত বিদ্যুতের অভাবের অযুহাতে সংযোগ না দিতে বলায় হুইপ মহোদয় রাগান্বিত হয়ে ওই বিদ্যুৎ কর্মকর্তাকে বলেছেন আপনি সংযোগের ব্যবস্থা করেন আমি বিদ্যুতের ব্যবস্থা করবো। উনি তাঁর কথা রেখেছেন এতো এতো বিদ্যুৎ সংযোগের পর বড়লেখায় সেই অর্থে লোডশেডিং নেই বললেই চলে।
শাহাব উদ্দিন সাহেব একটি রাজনৈতিক দলের নির্দিষ্ট মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেন ঠিকই কিন্তু নির্বাচিত হয়ে তিনি সকলের হয়ে যান। বড়লেখা জুড়ির সামগ্রিক উন্নয়ন অন্তত সেই কথাই বলে। সম্প্রতি বড়লেখা ডিগ্রি কলেজের সরকারিকরণ হয়েছে, আমি নিজে এই কলেজটির ছাত্র। স্বাভাবিক ভাবেই এই কলেজটির সরকারিকরনে আমি আপ্লোত আনন্দিত। নিশ্চয়ই সকলের মনে আছে এর আরো বৎসর দেড়েক আগে বড়লেখা নারী শিক্ষা একাডেমিকে সরকারিকরন করা হয়েছে। একটা স্বাভাবিক প্রশ্নকি মনে জাগে না, বড়লেখা ডিগ্রি কলেজকে রেখে কেন নারী শিক্ষা আগে সরকারি হলো ? নিশ্চয়ই জাগে, কিন্তু এই প্রশ্ন সহ সকল প্রশ্নের একটিই জবাব নারী শিক্ষাকে অগ্রাধিকারের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার মানসিকতা আর এই মানসিকতাই পোষন করেন আমাদের শাহাব উদ্দিন সাহেব। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হাতে প্রতিষ্টিত একটি প্রতিষ্টান , যেখানে কর্মরত অধিকাংশ শিক্ষকই ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী অথচ শাহাব উদ্দিন সাহেব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেই প্রতিষ্টানকে সরকারি করান কারণ তিনি সমগ্রের তিনি এক এবং অনন্য।
অস্বীকার করার উপায় নেই বড়লেখা আওয়ামীলীগ এক সময় কোন্দল আর দল উপদলে বিপর্যস্ত ছিল কিন্তু সেই বড়লেখা আওয়ামীলীগের একতার ইতিহাস আজ সারা দেশে চর্চিত আর সেটা সম্ভব হয়েছে কেবল মাত্র দলের সর্বস্থরে গণতন্ত্র প্রতিষ্টার মাধ্যমে সকলের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে শাহাব উদ্দিন সাহেবের সকল ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে তিনি সব সময়ই নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারার ফসলই আজকের বড়লেখা আওয়ামীলীগ।
হুইপ শাহাব উদ্দিন সাহেব নেতাদের নেতা নয়, তিনি তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের নেতা, গ্রামে গ্রামে হেঁটে সাধারনের সাথে কথা বলে তাদের সুখ দুঃখে পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন তাঁর বিকল্প শুধু আওয়ামীলীগে নয় কোন পরিসরেই বড়লেখায় নেই।
জয় বাংলা, শাহাব উদ্দিন সাহেব দীর্ঘজীবী হোন।
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সিলেটে ভালো মানুষ আছে, শুনতে যেন কেমন লাগে! সাইফুর রহমান, মুহিত সাহেব, ইলিয়াস আলী, মালী, এদেরকে ভালো মানুষ বলে মনে হয়নি কোনদিন।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬
ল বলেছেন: গাজী সাহেব আসলে চাঁদের দেশের মানুষ সাইফুর রহমান, কিবরিয়া সাহেব, ডঃ মোমেন, ডঃ ইনাম আহমেদ ওরা ভালো মানুষকে নতুন করে ভালো করতে শিখিয়েছে।
সিলেট ভালো মানু নাই নাকি ভালো রাজনীতিবিদ নাই সেটা বলেন।
নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিয়ে সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলেন।
৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
@ল ,
আমি জানি না, আমার মনে হয়, সিলেটের লোকজন কিভাবে বড় বড় পোষ্টে চলে যান; এঁরা ভয়ংকর অদক্ষ লোকজন।
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
@ চাঁদগাজী বলেছেন, "সিলেটে ভালো মানুষ আছে, শুনতে যেন কেমন লাগে! সাইফুর রহমান, মুহিত সাহেব, ইলিয়াস আলী, মালী, এদেরকে ভালো মানুষ বলে মনে হয়নি কোনদিন।"
সিলেটে কোন ভাল মানুষ নেই? এটা কেমন কথা, জনাব? এটা পুরো একটা এলাকার মানুষকে ছোট করা নয় কী? আর ইলিয়াস আলীর সাথে সাইফুর রহমান সাহেবের তুলনা করলেন? আর মুহিত সাহেব বয়সের কারণে অনেক সময় উল্টা পাল্টা কথা ও কাজ করলেও একজন মানুষ হিসেবে ভাল। একটি কথা মনে রাখবেন, এদেরকে সিলেটের মানুষ মিনিস্টার বানায়নি। বানিয়েছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল। সিলেটে উনাদের চেয়েও হাজারো যোগ্য ও দক্ষ লোকজন আছেন। যারা এ দেশটা সুন্দরভাবে চালাতে সক্ষম। দুর্ভাগ্য এদের একজনের সাথেও আপনার পরিচয় হয়নি!!
সমালোেচনা করা ভাল, কিন্তু প্রতিহিংসা ভাল নয়। এগুলো মানুষকে ধ্বংস করে।
আপনি আবার বলেছেন, "সিলেটের লোকজন কিভাবে বড় বড় পোষ্টে চলে যান; এঁরা ভয়ংকর অদক্ষ লোকজন।"
জনাব, সিলেটের যদি কোন অদক্ষ লোক ভাল পোস্টে যায় তাহলে তার দায়ভার সিলেটি জনগণের নয়, এ ব্যর্থতা নিয়োগদাতার। তারা এরচেয়ে যোগ্য লোক খুঁজে বের করতে পারেনি। হাসিনা-খালেদা নিজেরা কতটুকু দক্ষ? আপনি আরেক দিন বলেছিলেন, সিলেটিদের ভোটাধিকার বন্ধ করা উচিৎ? আমেরিকায় থেকেও হিংসাত্মক আর সৈরাচারী মনোভাব পোষন করেন? এরকম কথা বার্তা একজন সচেতন ব্লগারের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
জানি না, কোন সিলেটি মেয়ের কাছ থেকে স্যাকা-ট্যাকা খাইছেন কিনা, না হলে এতো সিলেট বিদ্বেষী কেন? মানুষ ব্যক্তি হিসেব খারাপ হতে পারে, কিন্তু এজন্য একটা গোটা এলাকাকে ছোট করা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। আমেরিকায় বসবাসরত কোন একজন অদক্ষ বাঙালির জন্য আমিও বলতে পারবো না, গ্রীণকার্ড ধারী সব বাঙালি অদক্ষ আর মূর্খ!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: যারা ভালো কাজ করে তারা মানুষের হৃদয়ে থাকে।
আর রাজনীতি পছন্দ না করলেও রাজনীতি থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় নেই।