নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয় জুড়ে শতেক ফুটো খড়-কুটোতে ঢাকা-- জীবন যেন গত্তে পড়া গরুর গাড়ির চাকা--- তরল জলে সরল পুঁটি মনমোহিনী আঁশ--- এক ঝিলিকেই কী সুখ দিলো, সুখ যেন সন্ত্রাস!

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর

আসুক শুভ্র সকাল, আসুক আবার শুদ্ধ সময়..

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধন্যবাদ প্রিয়তমা করোনা

১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৪


ধন্যবাদ করোনা
তোমাকে ধন্যবাদ প্রিয়তমা।

প্রতিদিন এত এত উদাসীনতার মাঝেও তুমি বেচে আছ দিব্যি। হিংসে হয় তোমায় ডিয়ার।

পত্রিকায় পাতায় ধর্ষকের ছবিতে লাল হয়ে যায়,
কলামে কলামে ভরে ওঠে অযাচিত আলোচনা,
অস্থির রাজপথে ক্ষমতার লোলুপতা,
পাপ আর পুণ্যের হিসেব ভুলে- করছি বিধাতা নিয়ে লরাই,
শিয়া, সুন্নি, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ , খৃস্টান আরো কত কি।
এক বিধাতাকে বাচাতে অন্য বিধাতার জীবনকে চোখ বন্ধ করে হত্যা করি।
নিজেকে প্রমাণের ভারে নত , মক্কা , মদিনা, বৃন্দাবন কিংবা জেরুজালেম।
মন্দিরে মন্দিরে যন্ত্রণা মসজিদে মসজিদে রাজনীতি, প্যগোডায় দীনতা, সিণেগগে আর্ত চিৎকার
আর মাঝ পথে বিধাতা অসহায় ,

একটু হলেও তিনি আজ বুক ভরে নিশ্বাস নেয়।
ধন্যবাদ প্রিয়তমা আপনজনা।

শতাব্দী থেকে শতাব্দী পৃথিবী লজ্জা উধাও চঞ্চল । এদিকে বোমারু বিমান , অন্যদিকে কোটি কোটি জ্বালানী দহন করে পোড়াতে পোড়াতে কালো হয়ে গেল নীল আকাশ, এ কেমন গোলযোগ। পাখিরাও ভীত সন্ত্রস্ত, উড়ো তোমরা উড়ো কিন্তু বাতাসে মেলে দিয়ে পাখনা। গত কাল দেখলাম খোলা শূন্যে জাপটে ধরে সাদা পাখি উড়ছে ডানার ভাঁজে মুখ ঘষে আপন মনে সন্তরণে। শ্রান্ত আকাশে এখন শব্দ নেই, সমস্ত নীলাভ ভালোবাসা পবিত্রতায়। বিধাতাও উপর থেকে স্পষ্ট দেখছেন।ঠোঁটের নীচে থমকে আলতো হাসি। অভিনন্দন প্রেয়সী।

মাস-খানেক আগেও মুখোশের আড়ালে ট্রাম আর রূহানী জিঘাংসায় ছো মেরে উড়িয়ে দিতে চায় একে অপরের দৃশ্য লোক। আজ তারা প্রাচীন বেড়ালের মত ল্যাজ নাড়িয়ে বলছে বাচাও বাচতে দাও। বুর্জোয়া আর মার্কসিস্টদের বেদম উন্মাদনায় আমরা ভুলে গিয়েছিলাম সুন্দর অসুন্দরের ব্যবধান। চোখ ঝলসানোর দাপটে হারিয়েছি আমাদের নিজস্বতার অস্তিত্ব। ভেতর থেকে ভেতরের দৈণতা।
মুগ্ধ চোখের সংজ্ঞা দিতে দিতে ধন্যবাদ করোনা ও আমার প্রিয়তমা।

আমাদের মনের সমস্ত জটিলতায় কোথায় যেন তুমি বসে প্রহর গুনছ. অনুতপ্ত হয়তো কিছুটা হচ্ছে, হিংসা আর লম্বা দৌড়ে যাপিত জীবনটাকে এত বেশি কম্প্লিকেটেড বানিয়ে ফেলেছি যে স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা, সম্মান সব কিছু টাকা দরে বিক্রি হয়ে আর দশটা পণ্যের মত ময়লা ঝুড়িতে। সন্তানকে গ্যাস চালিত ট্যাক্সিতে বসে ছুড়ে ফেলে দিই উন্মুক্ত কবর স্থানে, বয়সের ভারে নুজ্য মাকে ফেলে দেই অভুক্ত ঠক ঠকে কুয়াশা শীতে, ধারালো ছুড়ি দিয়ে কেটে কুটি এফোঁড় করি প্রেয়সী পিতা মাতা সন্তান এমনকি কখনো কখনো নিজেকেও। এত বেশি পশুত্ব এসে গেল যে পশুরাও আজকাল ভয় পেতে শুরু করে দিল। যেন একজন প্রোগ্রামারের বানানো ক্রোল ভুল পথে হাঁটছে। বিধাতাও বুঝতে পারল তার বানানো সফটওয়্যার মানুষ জীবটি এমন করছে কেন। সেও হয়তো কিছুটা বিষণ্ণ। তোমাকে অভিনন্দন কভিড।আমাদের ভেতরের নিউরন গুলো একটু হলেও আক্রান্ত।

ভাবছ তোমার অপেক্ষা সার্থক? তবে কি জান বড্ড ভয় হয়। তুমি কি আর মন কখনও দেখতে পাবে?দেখনিতো বন্ধুত্ব, প্রেম, ভালোবাসা, স্নেহ, খুনসুটি, অভিমান। এখনো মিস্টি আলো জ্বালাতে পারিনি। বুকের ভেতর বসত করে অসহ্য সুন্দর চাওয়া, স্বপ্ন।
অসংখ্য পশু ঘুরছে জানি আমাদের মাঝে। কিন্তু মানুষ গুলোকে রেখ। মানুষ আসলেই বড় অসহায়। প্রিয়তমা মানুষ বড় অসহায়।


বন্ধু তুহিন ৫চৈত্র ১৪২৬ বাংলা, বিষন্ন দুপুর, একলা হাতির ঝিল, বন্ধু নিবাস......

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.