![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীনতা আমাদের অহংকার। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। একাত্তরের ২৫ মার্চের কালরাত্রির বীভৎসতা ও নৃশংসতার বেদনা ভরা স্মৃতি নিয়ে গোটা দেশ মুক্তি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। পাকিস্তানীদের শাসন শোষণ, গণতান্ত্রিক অধিকার আর অর্থনৈতিক বৈষম্যই বাংলাদেশের মানুষকে অধিকার আদায়ের মিছিল থেকে সশস্ত্র সংগ্রামে ঠেলে দিয়েছিল। ২৫ বছরের শোষণে পাকিস্তানী বেনিয়ারা বাংলাদেশকে ছোবড়া করে ফেলেছিল। ৭১ এর দীর্ঘ নয় মাস রক্তয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভে সম হয়।
দীর্ঘ ৪২ বছর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু সে স্বাধীনতা আজো সাধারণ মানুষের ভাগ্যের চাকার রং বদলাতে পারে নি। আজো জাতীয় জীবনে বাংলাদেশ দারিদ্র ও দুর্নীতিগ্রস্থ রাষ্ট্রের অপবাদ মুক্ত হতে পারেনি। নানামুখী সমস্যা, জাতীয় জীবনকে অচল করে ফেলেছে। স্বধীনতার পর এক একটি সরকার এসেছে কিন্তু জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি তিমিরেই রয়েছে। বিদ্যুৎ সমস্যা, পানি সমস্যা, দ্রব্যমূল্য, বেকারত্ব আইন শৃঙ্খলা, সামাজিক অবয়, শিাঙ্গনে নৈতিকতার নির্বাসন, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনসহ গোটা জাতির স্বাধীনতা, মৌলিক ও মানবিক অধিকার আজো চরম হুমকীর মুখে।
গত কয়েক দিনের পত্রিকাগুলোর চালচিত্র বিশ্লেষণ করলে অনুধাবন করা যায় যে, আমরা কোথায় আছি। আমাদের বিবেক, আমাদের ন্যায়বোধ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। গ্রামের মানুষ চোর ডাকাতের ভয়ে বিনিদ্র রজনী অতিবাহিত করছে। শহরে ছিনতাই, খুন, ধর্ষন নিত্যদিনের ঘটনা। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, শিতি বেকার দিন দিন বাড়ছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ছে। শিল্প কারখানা রুগ্ন হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায় বিচার সুদূর পরাহত হয়ে পড়েছে। আদালতের পবিত্র অঙ্গনে দুর্নীতি আর হয়রানীর শিকারে পরিণত হয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে বিচার প্রার্থীরা। সর্বত্রই এক অরাজক পরিস্থিতি। এ অবস্থা আজ বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিব দেখতে পেলে কষ্ট পেতেন। আমরা চাই বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন। শুধুই বক্তৃতা শুনতে জনগণ চায় না। জনগণ বাস্তবে কিছু দেখতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি বর্তমান সরকার ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে মতায় এসেছেন। এ সরকারের আন্তরিকতা এখনও প্রশ্নবিদ্ধ নয়। আমরা ও দেশের জনগণ বিশ্বাস করে সরকার আন্তরিক হলে জাতীয় অনেক সমস্যা সংকট কাটিয়ে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে সম হবে। আর তা হলেই স্বাধীনতা অর্থবহ হবে। জনগণ স্বাধীনতার সুফল পাবে। আর হলেই সত্যিকার সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে। আর সেটা করতে হলে বিভাজন নয় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের।#######
©somewhere in net ltd.