নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মহত্যা কারো জীবনে কোন ফলাফল নয়।

bangla51214

মন ভাল নেই

bangla51214 › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুলনায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চললেও ভয় নেই হোটেল রেস্তোরার মালিকদের!

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৩

খুলনা মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার খাবার হোটেল গুলোতে একাধিকবার ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার পরও অনেকটা খোলামেলা ভাবেই হোটেল, রোস্তোরা গুলোর মধ্যে অপরিচ্ছন্ন ভাবে খাবার বিক্রি করা হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। হোটেল রোস্তেরা গুলোতে সাধারন মানুষ অনেকটা বাধ্য হয়েই খাবার খাচ্ছেন। আর এসব হোটেলে খাবার খেয়ে সাধারন মানুষদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব।

অভিযোগ রয়েছে, জজকোর্ট এলাকায়, জেল খানা ঘাট, সাত রাস্তার মোড়, বড় বাজার, কালিবাড়ি ঘাট, রেল স্টেশন, সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল, পশ্চিম রূপসা বাস টার্মিনাল, রূপসা সেতু সংলগ্ন বাই পাস সড়কের আশ পাশসহ নগরীতে প্রায় ২’শ শতাধিক বড় ও মাঝারি ধরনের হোটেল রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ হোটেল রেস্টুরেন্টের পরিবেশ খুবই অস্বাস্থ্যকর। নোংরা পরিবেশে যেখানে সেখানে খাদ্য দ্রব্য রাখা হচ্ছে। এসব হোটেল বা রেস্টুরেন্টে ভেজাল ও পঁচা-বাসি খাবার বিক্রি হচ্ছে অহরহ। তাদের রান্নাঘর এতই নোংরা পরিবেশে রয়েছে যেকেউ স্বচোখে দেখলে তারা আর কখনো খাবারের প্রতি আগ্রহ থাকবে না। রান্না ঘরের ভেতরে স্যাঁতস্যাঁতে, ময়লা, দুর্গন্ধ এবং রান্না করা খাবার দাবার থাকে খোলা। ওই খাবারের মধ্যে অনেক সময় পোকা-মাকড় কিংবা এক খাবারের মধ্যে অন্য খাবারের অংশ গিয়ে পরতে দেখা যায়। থালা, বাটি, গ্লাসগুলো ধোয়া হয় অপরিস্কার পানিতে। ধোয়ার পরও থলা, বাটি, গ্লাসে তেল জড়ানো থাকে। এমন পরিবেশে থাকা খাবার মানুষকে পরিবেশন করা হয়। হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে খরিদ্দারদের হাত ধোয়ার মত ভাল কোন ব্যবস্থা নেই। হাত পরিষ্কার করার জন্য অনেক সময় কোন সাবানও থাকে না। অথচ প্রতিদিনই তারা সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে রাত অবধি সব ধরনের খাবার পরিবেশন করে থাকে।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, অনেকটা অপরিষ্কার ভাবেই হোটেলের বাবুরচিরা হোটেল গুলোতে খাবার তৈরী করছেন এবং হোটেলের খাবার রাখার পাত্রগুলো খোলা-মেলা ভাবে ফেলে রাখছেন। এ সময় খাবারের পাত্রগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পোকা মাকড় এবং মশা-মাছি গিয়ে খাবার দূষিত করছে। আর সেই দূষিত খাবার গুলোই সাধারন মানুষের দুর্বলতার সুযোগে বিক্রি করছেন বিভিন্ন হোটেল রেস্তেরার মালিকরা। এসব হোটেল রেস্তোরা গুলোর খাবার খেয়ে মানুষের গ্যাষ্টিক, আলসারের মত মারাত্বক রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে সাধারন মানুষদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

নগরীতে প্রায় লক্ষ্য করা গেছে, রাস্তার পাশে সাধারন মানুষের নজরে লাগা বিভিন্ন ধরনের খাবার অ-পরিষ্কার ভাবে সাজিয়ে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। এ সময় রাস্তা দিয়ে চলাচল করা গাড়ীর ধুলা গুলো উড়ে খাবারের মধ্যে পড়ে খাবার নষ্ট হচ্ছে। আর সে খাবার গুলোই সাধারন পথচারীরা খেয়ে বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের সম্মুখীন হচ্ছেন। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভ্রাম্যমান আদালতের কঠোর অভিযান দাবী করেছে সচেতন মহল।

মহানগরী ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট বাজারের আনাচে-কানাচে দীর্ঘদিন থেকে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে খোলা খাবারের দোকান। ভেজাল বিরোধী অভিযান জোরদার হলেও ভ্রাম্যমাণ আদালত ও বিএসটিআই এর অভিযান কেবল শহর কেন্দ্রিক ও প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। দেখা গেছে , দেশের মোট জনগোষ্ঠীর বৃহত্তর অংশ গ্রামাঞ্চলে বাস করে। তারা কৃষক-শ্রমিকের কাজ করে এবং সেই সঙ্গে নিরহ, সহজ-সরল ও অসচেতন। তাই তাদের সহজেই পটিয়ে নিম্নমানের ও ভেজাল দ্রব্য দিয়ে খাবার তৈরি করে বিক্রি করে প্রতিনিয়তই প্রতারিত করছে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী চক্র। অল্প পুঁজিতে বিশাল লাভের ফলে এ সব প্রতারকের অনেকেই এখন আঙুল ফুলে কলাগাছে রূপান্তর হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, পূর্বের ন্যায় বর্তমানে উপজেলায় বড় ধরনের কোনো ভেজাল বিরোধী বা বিএসটিআইর অভিযান তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ে দেখা গেছে, যত্রতত্র খোলা খাবারের পসরা সাজিয়ে কখনো রাস্তার পাশে, কখনো স্কুলের পাশে, কখনো হাটবাজারে এ সব ভোগ্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে। কেউ কোনো ধরনের বাধা বা প্রতিবাদ না করায় প্রবল উৎসাহে স্বল্প পুঁজিতে অধিক মুনাফার আশায় অনেক লোকই চা-নাস্তা, পান আর ফাস্ট ফুডের দোকান দিয়ে বসেছে। স্কুল, কলেজগামী ছাত্রছাত্রীরা, মাঠের কৃষক, শ্রমিক আর পথচারীরা নির্বিচারে এ সব দোকানের খাবার কিনে খাচ্ছে। ফলে তারা আক্রান্ত হয়ে পড়ছে গ্যাস্টিক, আলসার, ডায়ারিয়া, আমাশয়, কলেরা ইত্যাদির মতো নানা মারাত্মক অসুখে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.