নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মহত্যা কারো জীবনে কোন ফলাফল নয়।

bangla51214

মন ভাল নেই

bangla51214 › বিস্তারিত পোস্টঃ

লবণ পানির কারণে মারা যাচ্ছে কয়েক শত হেক্টর বোরো ধানের চারা : বিপর্যস্ত কৃষক

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৬

বন্যা কবলিত পটাটকেলঘাটার আবাদি জমিতে গত ১ যুগ ধরে বছরের অর্ধেক সময় লবণ পানির চিংড়ী চাশ করায় বোরো আবাদের এ মৌসুমে কয়েক শত হেক্টর জমি মাত্রা অতিরিক্ত লবণাক্তার কারণে রোপনের পর ধানের চারা মারা গেছে। ফলে এ থানার বর্গা চাষীরা সর্বস্ব হারিয়ে চরম ভাবে বিপর্যস্ত।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, অসচেতন কৃষক ও সরকারের দ্বায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে বেরো আবাদ মৌসুমে ধানের চারা রোপোনের পর মারা গেছে বলে সচেতন কৃষকদেরে অভিমত। কেননা বর্তমান ডিজিটাল সরকারের আমলে কৃষি বান্ধব মন্ত্রী কৃষি উন্নয়নের জন্য সরকারের বাজেটের সিংহ ভাগ এ খাতে ব্যয় হচ্ছে ।তার পরও কেন এ থানার কৃষকদের একমাত্র ফসল বোরো আবাদের এ কি হাল? বর্তমান আধুনিক কৃষি বিজ্ঞানের যুগে লবন পানির পাশা- পাশি লবন সহনীয় জাতের ধানের উদ্ভাবন হয়েছে। তাহলে কেন তালার কৃষকরা লবন সহনীয় জাতের ধান রোপন করলো না কেন। এমন প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে আধুনিক কৃষির যুগেও এ এলাকার কৃষকদের সচেতনাতর অভাব। কেবল মাত্র কৃষকদের ভুলের কারনে বোরো আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমনটি মানতে নারাজ ভুক্তভোগি কৃষক থানার তৈলকুপি গ্রামের মিজান সরদার (৩০) তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন চলতি বোরো আবাদ মৌসুমে লবনক্ত জমিতে ধান চাষের জন্য, চাষ পদ্ধতি ও সার প্রয়োগ সহ ধানের চারা নির্বাচনের জন্য কয়েক বার দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও কৃষি অফির্সার তাকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য দিন নির্ধারন করেছিলেন। কিন্তু সামান্য কৃষকের পরামর্শ দেওয়ার জন্য তিনি ঐ নির্ধারিত দিনে আসেননি। ফলে এ এলাকায় দলুয়া, গাছা,হরিহরনগর, কুলপোতা, গোপালডাঙ্গা, সাকদাহ, তৈলকুপি, মশাডাঙ্গা, সহ কয়েকটি বিলে কৃষকরা লবণ সহনীয় জাতের ধানের চারা রোপন না করায় পড়েছে বিপাকে। এ কারণে উপজেলার প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে রোপনের পর ধানের চারা মারা গেছে। এ মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা উপজেলায় ধরা হয়ে ছিল ১৬ হাজার ৫০০ হেক্টর। কিন্ত লবণ পানির জমিতে মারা যাওয়া ধানের হিসাব কৃষি আফিস মাত্র ১০০ শত হেক্টর ধরায় লক্ষ্যমাত্রা হয়েছে ১৬হাজার ৪০০ মত হেক্টর। অপরদিকে উপজেলার মিষ্টি পানি এলাকায় রোপনকৃত ধানের চারা বাতাসে সবুজের দোলন দিয়ে গর্ভাধারণের অপেক্ষায়। এ দিকে এখনো ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকরা ধানের চারা মারা যাওয়ার স্থানে পুনারায় নতুন চারা রোপন করছে। এবিষয়ে কৃষক অব্দুল লতিফ জানিয়েছেন চারা মারা যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ৫০০০ হাজার টাকা। তবে লাবণ পানির চিংড়ী ঘেরে বোরো আবাদের ধানের চারা মারা যাওয়ায় অসচেতন কৃষক ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের অবহেলার দায়িত্ব স্বিকার করেছেন, উপজেলার সহকারী কৃষিকর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.