নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মহত্যা কারো জীবনে কোন ফলাফল নয়।

bangla51214

মন ভাল নেই

bangla51214 › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্যালেনটাইনস ডে’র আদি কথা

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

যদিও ভ্যালেনটাইনস ডে ১৪ ফেব্র্রুয়ারি পালন করা হয়। কিন্তু এটা শুরু হয় মূলত: রোমাদের মাধ্যমে। তাদের অনেক আবেদনপূর্ণ উৎসবের মধ্যে লুপার কেনিয়া নামক একটি উৎসব ছিল ; যা ১৫ তারিখ পালন করা হত।



যেভাবে শুরু হয় ভ্যালেনটাইনস ডে: ভ্যালেনটাইন নামক সহৃদয় যুবক ছিল যে কিনা জেলে গিয়েছিল নির্যাতিত খ্রিষ্টানদের সাহায্য করার কারণে। জেলে সে জেলারের সুন্দরী অন্ধ মেয়েকে দেখে প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু তাদের ভালবাসা কখনও পূর্ণতায় রুপ নেয়না। ভ্যালেনটাইন-এর মৃত্যুদন্ডের সকালে জেলার তার মেয়েকে একটি চিঠি দেয় তাতে লেখা ছিল “তোমার ভ্যালেনটাইন”।



এবার জেনে নেবো যেসব জিনিস ভ্যালেনটাইনস ডে-কে চিহিৃত করে।রোমান পিরিয়ড থেকে এসব জিনিস ভ্যালেনটাইনস ডে-কে চিহিৃত করে আসছে।



কিউপিড:

লাতিন শব্দ কিউপিডো থেকে কিউপিড শব্দটি এসেছে। ভালবাসার দেবী ভেনাসের পুত্র তীর-ধনুকওয়ালা দেবতা কিউপিডকেই নারী পুরুষের প্রেমে পড়ার নিয়ামক হিসেবে গন্য করা হয়। গ্রীকরা কিউপিডকে বলে ‘এরস’।



গোলাপ:

একটি পৌরনিক গল্প এমন যে, কিউপিড একবার অলিম্পাস পাহাড়ের উপর দিয়ে মধূ নিয়ে যাচ্ছিল তখন তার হাত তেকে মধু ছলকে পড়ে মাটি থেকে গোলাপ জন্ম নেয়। তখন রোমান দেবতা বাকাস (আনন্দ ও মদের দেবতা) এবং দেবী ভেনাস (ভালবাসা ও সৌন্দর্যের দেবী) সিন্ধান্ত নেন যে গোলাপের সৌন্দর্য ও সুগন্ধের সাথে প্রেম ও ভালবাসার একটা সুস্পষ্ট সংযোগ থাকা উচিত, সেই থেকে যেখানে ভালবাসার প্রশ্ন সেখানেই গোলাপ, তাই ভালবাসার দিনে কি গোলপ ছাড়া চলে!



কার্ড:

কার্ডের প্রচলন শুরু হয় রোমাদের হাত ধরেই‘ তাদের লুপারকেলিয়া উৎসবে ছেলেরা মেয়েদের ছোট ছোট কিউ কার্ডের মত পাঠাতো যা পরবর্তীতে রোমান ছেলেদের মধ্যে ভালবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাড়ায়। আসলে ভ্যালেনটাইন কার্ড বলতে আমরা যা বুঝি বা দেখি তার কাছাকাছি জিনিস প্রথম তৈরি করেন চার্লস, ডিউক অব অরলেন্স। যিনি টাওয়ার অব লন্ডনে বন্দী থাকা অবস্থায় ফ্রান্সে তার স্ত্রীকে ভালবাসার কবিতাযুক্ত কার্ড বানিয়ে পাঠান।



রিবন ও ঝালর:

ইতিহাস বলে ভালবাসার বহি:প্রকাশে বিরনের ব্যবহার আদিকাল থেকেই। যুদ্ধে যাবার আগে রাজা বা নাইটরা তাদের স্ত্রী অথবা ভালবাসার মানুষের কাছে থেকে রিবন বা ঝালর পেত, যা রাজারা ভালবাসার চিহৃ হিসেবে রাখত।ইংরেজীতে এটিকে বলা হয়- Frills



হৃদয়:

ভালবাসা বলি আর প্রেম বলি হৃদয় ব্যতিত আর কোন কিছু কি ভালবাসাকে এত পরিপূর্ণভাবে ফোটাতে পারে। হৃদয় তীর দিয়ে এফোড় ওফোড় হয়ে আছে এটাই ভ্যালেনটাইনের সবচেয়ে পরিচিত ও জনপ্রিয় চিহৃ। হৃদয় শুধু ভালবাসাকেই চিহিৃত করেনা বিরহস্নাত হৃদয়কেও প্রকাশ করে কারণ কাউকে ভালবাসা প্রকাশ করলে তা প্রত্যাখ্যান হবার সম্ভাবনা থাকে বইকি।



লাভ বার্ডস:

এটা বিশ্বাস করা হয় যে লাভ বার্ড ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের সঙ্গী খুজে নেয় এবং যতদিন তারা বেচে থাকে ততদিন ভালবেসে একসাথে থাকে।



চকলেট:

চকলেটের ভিতর ফিনেলিথেলেমাইন নামক রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা মানুষের ভিতর আবেগের সৃষ্টি করে এবং এটা এমফিটামাইনসের মতই স্নায়ু উত্তেজিত করে। অনেক সাইকোলজিস্ট-এর মতে চকলেট প্রেমে পড়ার নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। কারণ চকলেটের সাথে আফরোডিজিয়াক (এক ধরনের খাদ্যদ্রব্য যা যৌন উত্তেজক হিসেবে কাজ করে নামটি এসেছে গ্রীক দেবী আফ্রেদিতির থেকে) তুলনা করা যায়। তাহলে সুন্দর এক বক্স চকলেটে রেডী আছে তো আপনার প্রিয়জনের জন্য ?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.