নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মহত্যা কারো জীবনে কোন ফলাফল নয়।

bangla51214

মন ভাল নেই

bangla51214 › বিস্তারিত পোস্টঃ

কপোতাক্ষ খনন প্রকল্পের ভবিষ্যত অনিশ্চিত

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪



সাতক্ষীরা জেলার তালায় কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দুরীকরণ প্রকল্প’র (১ম পর্যায়ে) আওতায় ৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে পাখিমারা বিলে টিআরএম বাস্তবায়নের জন্য বাধঁ নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। প্রকল্পের এক বছর মেয়াদ শেষ হলেও এখনো প্রায় আড়াই কিলোমিটার বাধঁ নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। প্রকল্পভুক্ত জমিগুলোতে এখনও প্রভাবশালি মহলের দখলে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমির মালিকানা নির্ধারণের প্রাথমিক কাজ শেষ হলেও জমির মালিকদের ক্ষতিপুরণের টাকা দেয়ার ব্যবস্থা হয়নি। এমনকি ক্ষতি পুরণের টাকা নির্ধারণ নিয়ে বিতর্ক ও বিরোধ থাকায় জমির মালিকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। টিআরএম প্রকল্পভুক্ত প্রায় ৭ হাজার বিঘা জমিতে চিংড়িচাষ অব্যাহত রাখতে একটি সুবিধাভোগী মহল হাইকোর্টে রীটপিটিশন করে এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ২শ’৬২ কোটি টাকার কপোতাক্ষ খনন প্রকল্পের কাজ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কপোতাক্ষ নদের অববাহিকায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প (১ম পর্যায়) পাখিমারা বিলে টি.আর.এম প্রকল্পের পেরিফেরিয়াল বাঁধ নির্মাণ বাবদ ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৮ হাজার ১৬ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে ২০১১-১২ অর্থ বছরে ১২ হাজার ৭৮০ মিটার দৈর্ঘ্যরে বাঁধ নির্মাণ গত বছরের (২০১২ সালের) ১২মার্চ থেকে শুরু করে ২৩ জুন শেষ হবার কথা ছিল। মেয়াদ শেষ হওয়ার দীর্ঘ ৭ মাস পরও এই প্রকল্পের অগ্রগতি নেই। প্রকল্প এলাকায় যেয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। প্রকল্প এলাকা জুড়ে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। কেউ ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে চিংড়ি চাষ করছেন। আবার জমির মালিকদের নিকট থেকে হারি নিয়ে শত শত বিঘা জমিতে চিংড়ি চাষ করছে প্রভাবশালি মহল। এসকল প্রভাবশালি মহলের ইন্ধনে ও অর্থ সহযোগীতায় কয়েকজন জমির মালিকদের বাদী করে হাইকোটে রীট পিটিশন দায়ের করে টিআরএম প্রকল্প সাময়িক বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। হাইকের্টে রীট পিটিশনকারী আয়ুব আলী সানা,জালাল মোড়ল,সাইফুল্লাহ সরদার, আবু শাহিন সহ কয়েকজন বলেন,“জমির ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়া সহ কয়েকটি সমস্যার কারণে উক্ত মামলা করা হয়েছে।” প্রকল্পভুক্ত এলাকার জমির মালিক মহাসীন কবীর মুকুল,বাছের আলী,হাসিবুর রহমান, শাহিনা বেগম সহ অনেকেই বলেন,“ আমরা অবশ্যই টিআরএম চাই, তবে আগে আমাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।” এলাকার সচেতন নাগরিকদের অভিযোগ, প্রকল্প এলাকায় যাদের জমি নেই এবং যারা বিভিন্ন ভাবে সরকারি খাস জমি চিংড়ি চাষীদের কাছে লিজ দিয়ে টাকা পেয়ে থাকে তারাই এখন টিআরএম এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে জমির মালিকদের বিভ্রান্ত করে কপোতাক্ষ খনন প্রকল্প বাঁধাগ্রস্ত করছে। এলাকাবাসির আশংকা, দ্রুত পাখিমারা বিলে টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন করা না হলে কপোতাক্ষ ভরাট হয়ে এই প্রকল্পে ভবিষ্যৎ জলাধারে পানি ঢোকানো সম্ভব হবেনা। এই সুযোগ কাজে লাগাতেই পরিকল্পিত ভাবে মামলা করে টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়নে বাঁধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। ফলে কপোতাক্ষ নদ প্রকল্পের ভবিষ্যত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে টিআরএম প্রকল্পের বাধঁ নির্মাণেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যে উচ্চতায় বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে জোয়ারের পানিতে এই বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়বে বলে এলাকাবাসির আশংকা। আর প্রকল্পভুক্ত এলাকার সড়ক গুলো উঁচু করার দাবিও উঠেছে। আর টিআরএমভুক্ত জমির ক্ষতিপুরণের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে বৈষম্যের কারণে এলাকার জামির মালিকদের মধ্যে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। যশোরের মনিরামপুরের বিল কাপালিয়া টিআরএমভুক্ত জমির মালিকদের প্রতিবিঘা জমিতে বছরপ্রতি ১৬ হাজার টাকা করে ক্ষতিপুরণ দেয়া হলেও পাখিমারা বিলের জমির জন্য ৯ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করায় কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েগেছে। জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু বলেন,এলাকার জনগণকে বাঁচাতে টিআরএম এর বিকল্প নেই। তবে তার আগে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর গুটি কয়েক ঘের মালিকের ইন্ধনে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রকল্প বাস্তবায়নকারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোর ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান বলেন, টিআরএমভুক্ত জমির মালিকদের বিঘাপ্রতি ১৩ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর মামলা নিষ্পত্তি করার চেষ্টা চলছে। মামলা নিষ্পত্তি হলেই টিআরএমের বাকি কাজ শেষ করা হবে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ড. মুহাঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, টিআরএমভুক্ত জমির মালিকদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি জমির জন্য প্রতিবছর বিঘা প্রতি ৯ হাজার টাকা করে ক্ষতিপুরণ দেয়ার জন্য প্রস্তাবনা প্রকল্প কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তালার নির্বাহী কর্মকর্তা স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলাপ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.