![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের দিলিপ কুমার বালা (৪২) নামে এক চাষী স্ট্রবেরী চাষ করে প্রথম বছরেই সফলতা পেয়েছেন। চাষের দ্বিতীয় বছরেই চার গুন বেশী জমিতে স্ট্রবেরী চাষ করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
রঘুনাথপুর গ্রামের দিলীপ কুমার বালা কুয়েত থেকে ফিরে এসে নিজের জমিতে ২০১২ সালে প্রথম স্ট্রবেরী চাষ শুরু করেন। দিলিপ কুমার বালা বলেন,সে সময় বিএডিসি কৃষি বীজ উন্নয়ন ও বর্ধিতকরন প্রকল্পে (২য় পর্যায়) গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ফার্মাস সীড সেন্টার বা প্রদর্শনী প্লট তৈরী করে তার তিন শতাংশ জমিতে। ভাদ্র মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আশ্বীন মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চারা লাগানোর উৎকৃষ্ট সময় বলে তিনি বলেন। দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। তিন মাস পর পাকা স্ট্রবেরী তোলা সম্ভব। গত বছর প্রথম বার চাষ করে তিনি মাত্র তিন শতাংশ জমি থেকে চল্লিশ হাজার টাকা পেয়েছেন। খরচ বাদে একত্রিশ হাজার পাচশত টাকা লাভ ঘরে তুলেছেন। প্রতি কেজি স্ট্রবেরী ৬০০ টাকা করে গোপালগঞ্জ শহরের দোকানে বিক্রি হচ্ছে। এ বছর তিনি বারো শতাংশ জমিতে স্ট্রবেরী চাষ করে দেড় লাখ টাকা উপাজর্নের আশা করছেন। ফল হিসাবে স্ট্রবেরী শীত প্রধান এলাকায় ভালো জন্মে। তবে তিনি গ্রীন হাউজ পদ্ধতিতে চাষ শুরু করতে পারলে রঘুনাথপুরের জমিতেও ভালো স্বাদের স্ট্রবেরী জন্মাতে পারবেন বলে আশা করেন।
স্ট্রবেরী চাষী দিলিপ চাষাবাদ নিয়ে বিভিন্ন অসুবিধার কথা বলেছেন। তার মধ্যে যে সমস্য স্ট্রবেরী চাষের অন্তরায় তা হলো তার বাড়ী বা জমি এলাকায় বিদ্যুত সংযোগ নেই। তিনি চলতি মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে পল্লী বিদ্যুত সংযোগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন । কিন্তু বিদ্যুত সংযোগ এখনো পাওয়া সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। বিদ্যুত সংযোগ পাওয়ার পর ফল উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে চারা তৈরী করে বিক্রি করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। চলতি বছর বিএডিসি তাকে পাচশত চারা দিয়েছে। বাকি এক হাজার চারা তিনি নিজে সংগ্রহ করেছেন। সফল স্ট্রবেরী চাষী দিলিপ কুমার বালা মনে করেন পর্যাপ্ত সহায়তা পেলে স্ট্রবেরী চাষে তিনি বিপ্লব ঘটিয়ে এলাকায় ফলের ঘাটতি পুরনে অবদান রাখতে পারতেন। এমনকি বিদেশেও তিনি স্ট্রবেরী রপ্তানীর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। ফল হিসাবে খাওয়া ছাড়াও স্ট্রবেরী দিয়ে দেশ বিদেশে বিভিন্ন প্রকার সুস্বাদু খাদ্য ও জুস তৈরী হয় বলে তিনি জানান।
©somewhere in net ltd.