নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মহত্যা কারো জীবনে কোন ফলাফল নয়।

bangla51214

মন ভাল নেই

bangla51214 › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃষ্টির দেখা নেই; উপকূলীয় এলাকায় পানীয় জলের সংকট তুঙ্গে

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

দীর্ঘ দিন বৃষ্টি না হওয়ার ফলে এবং পানিতে লবনাক্তের পরিমান অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের দণি-পশ্চিমে সুন্দরবনের কোলঘেঁষা উপকূলীয় অঞ্চলের শিশু, নারী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, কিশোরীসহ কয়েক ল মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে।

এমনকি গোসল, রান্না কিংবা কোন কিছু ধোঁয়ার জন্যও পানির ব্যবস্থা নেই, আর খাবার বিশুদ্ধ পানির কথাতো অনেক দূরে থাক। সারা অঞ্চল জুড়ে এখন যেন পানির জন্য হাহাকার চলছে।

সাধারণত ফেব্র“য়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত খুলনা জেলার দাকোপ, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা, বাগেরহাট জেলার মংলা ও শরণখোলা উপজেলা এবং সাতীরা জেলা শ্যমনগর ও আশাশুনি উপজেলায় তীব্র পানির সংকট দেখা দেয়। উপকূলীয় এই জনপদের মানুষ বৃষ্টির পানি ধরে খেতে অভ্যস্ত। নলকুপের বিশুদ্ধ পানি এই অঞ্চলের মানুষ কোনদিনই পায় না। সে কারণে হয় তাঁরা বৃষ্টির পানি পান করে নতুবা তাঁরা সংরতি পুকুরের পানি পান করে। তাদের হিসাব মতে, বৈশাখের মাঝামাঝি থেকে প্রায় আশ্বিন মাস পর্যন্ত মানুষ সরাসরি বৃষ্টি পানি ধরে পান করে। আশ্বিন থেকে পৌস মাস পর্যন্ত তাঁরা মাইট বা রিজার্ভ কন্টেইনারে জমিয়ে রাখা পানি অথবা সংরতি পুকুরের পানি পান করে। পৌসের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখ পর্যন্ত এ অঞ্চলে চলে পানির সংকট। তারপর মাঝে মাঝে বৃষ্টি শুরু হলে আবার তাদের পানি সংকট কেটে যায়। কিন্তু এবার দীর্ঘ দিন বৃষ্টি না হওয়ায় পানির জন্য এ অঞ্চলের মানুষের এখন বাঁচা দায় হয়ে পড়েছে।

কারো অজানা নয় আইলায় খুলনা জেলার দাকোপ ও কয়রা উপজেলার এবং সাতীরা জেলা শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার প্রায় ১৩টি ইউনিয়ন নোনা পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। এতে প্রায় এক ল একর জমি জোয়ারের পানিতে নিয়মিত ডুবে থাকার ফলে সহায়সম্বল হারিয়ে এলাকার মানুষ আশ্রয় নেয় ভেড়িবাঁধের উপর। দুর্গত এলাকা থেকে স্বাধু পানির মাছ পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। গরু ছাগল নেই বললেই চলে। লবন পানি সইতে না পেরে গাছপালাগুলো মরে আইলা উপদ্রুত এলাকা বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে স্বাধু পানির উৎসগুলোরও কোনটির লবণাক্ততা বেড়ে তা পানের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আবার কোনটির পানি শুকিয়ে দুষিত হয়ে গেছে অথবা সেই পুকুরের কর্দমাক্ত কাঁদায় এখন খেলা করছে শিশুরা।

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলারও একই অবস্থা। মোংলা উপজেলার চিলা, চাঁদপাই, সুন্দরবন ও মিঠাখালী ইউনিয়নের মানুষও বৃষ্টি পানি ধরে পান করতে অভ্যস্ত। সেখানকারও পানির উৎসগুলোও শুকিয়ে যাওয়ায় সুপেয় পানির অভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। সুন্দরবনের কোলঘেঁষা উপকূলীয় এ অঞ্চলের জন্য বর্তমান সরকার সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধান করবে বলে সকলের প্রত্যাশা। কারণ এবারের সুপেয় পানির সংকট বিছিন্ন বা নতুন কোন ঘটনা নয়। এছাড়া আইলা ও সিডরের পর প্রায় সব পুকুরগুলো এখনও পর্যন্ত অকেজ হয়ে আছে। কিন্তু প্রত্যেকবারই এই পরিস্থিতির শিকার হতে হয় এই জনপদের মানুষের।

অপরদিকে আইলা দুর্গত এলাকায় সরকার ও কিছু এনজিও খাবার পানির ব্যবস্থা করলেও চাহিদার তুলনায় তা অরেক কম। অনেক মানুষ নিরুপায় হয়ে নদীর নোনা জল পান করছে। কেউ কেউ আবার জলের তৃষ্ণা সহ্য করতে না পেরে নৌকায় যেয়ে নদী দিয়ে যাওয়া বার্জ বা স্টিমার থেকে চেয়ে মাঝে মাঝে জলের জোগার করছে। এছাড়া জানা যায় দাকোপ উপজেলার কামারখোলায় পঞ্চাশ পয়সা দরে পানির লিটার বিক্রি হচ্ছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.