![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুলনাসহ দণি-পশ্চিমাঞ্চলে আবারও বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। দিনের বেলাসহ সন্ধ্যা নামার পর পরই দফায়-দফায় বিদ্যুতের লুকোচুরি চলছে। ফলে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এদিকে বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিং’র কারণে জনসাধারণের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। বিদ্যুতের অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় কেউই সময় মত কাজ শেষ করতে পারছে না। অন্যদিকে স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক কাজও সারা দিনে সম্পন্ন না হওয়ায় তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামার উপক্রম হয়েছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে বিভিন্ন ধরণের ছোট উৎপাদক, ফ্যাক্টরী, ওয়ার্কশপ ও সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যেও।
জানা যায়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বা বিউবো গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে মাত্র ৩৮৬ কোটি টাকার প্রস্তাব দেয়া হলেও বিগত প্রায় ১৬ মাসেও শুরু হয়নি খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১১০ ও ৬০ মেগাওয়াট ইউনিট দু’টি ওভারহোলিং কার্যক্রম। অনেকটা লালফিতায় বন্দি হয়ে আছে ওই প্রস্তাব। ২০১১ সালের ২৬ অক্টোবর দেয়া ওই প্রতিবেদনের ফলাফল বলতে গেলে শূন্য। অথচ ওই প্রস্তাব অনুযায়ী খুবিকে’র এ ইউনিট দু’টি চালু করা হলে খুলনাঞ্চলের লো-ভোল্টেজ কমে যেত বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিউবো’র সচিব মোঃ আজিজুল ইসলাম স্বারিত এক দপ্তরাদেশে খুবিকে’র এ দু’টি ইউনিট পুনর্বাসন/নবায়ন কাজের জন্য সাত সদস্যের সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটি গঠন করা হয়। বিউবো ঢাকার প্রধান প্রকৌশলীকে আহবায়ক ও খুবিকে’র সহকারী প্রধান প্রকৌশলীকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটির কাজের সুবিধার্থে পরে আরও দু’জনকে ওই কমিটিতে কো-অপ্ট করা হয়। কমিটির সদস্যবৃন্দ ওই বছর ১ ও ২ অক্টোবর খুবিকে পরিদর্শন করে ২৬ অক্টোবর ১৫ পৃষ্ঠাব্যাপী বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬০ মেগাওয়াট ইউনিটের পুনর্বাসনের জন্য ১৪৩ কোটি, ১১০ মেগাওয়াট ইউনিটের জন্য ১৭৮ কোটি এবং ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের জন্য ৬৫ কোটি অর্থাৎ সর্বমোট ৩৮৬ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। এ টাকা খরচ করে মাত্র ৬ মাসের মধ্যে ইউনিট দু’টি চালু করা হলে অন্তত ১০ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
ভারহোলিংয়ের পর এ দু’টি ইউনিটে প্রায় দেড়শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। একই সাথে এ দু’টি ইউনিট সবসময় চালু রাখা সম্ভব হবে এবং এতে লো-ভোল্টেজ থাকবে না। পান্তরে বর্তমান অবস্থায় রেন্টালের ওপর ভরসা করে থাকা হলে লো-ভোল্টেজের পাশাপাশি সরকারকে কোটি কোটি টাকা গচ্চা দিতে হবে। এছাড়া ১১০ ও ৬০ মেগাওয়াট মতাস¤পন্ন ইউনিট দু’টি চালু করা হলে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হবে। কিন্তু রেন্টালের উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে সেটি সম্ভব হচ্ছে না।
©somewhere in net ltd.