নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মহত্যা কারো জীবনে কোন ফলাফল নয়।

bangla51214

মন ভাল নেই

bangla51214 › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভেসে যেতে পারে দাকোপের ৩২ পোল্ডার!

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

বেড়িবাধ আর যেন এই ভার সইতে পারছেনা। নদী তাকে গ্রাস করতে করতে প্রায় নিঃশ্বেস করে ফেলেছে। আর একটু খেতে পারলেই যেন ভদ্রা আছড়ে পড়তে পারবে মানুষের জানমালের উপর। বর্তমান যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে ভায়াবহ পরিবেশ হওয়া শুধু যেন সময়ের

ব্যাপার; এমনটাই বললেন এলাকাবাসী। তাঁদের ভাষ্য যে কোন সময় ভেসে যেতে পারে দাকোপ উপজেলার ৩২ নম্বর পোল্ডার।

সুতারখালী ও কামারখোলা ইউনিয়ন মিলে দাকোপের ৩২ নম্বর পোল্ডার। উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে দুইটি ইউনিয়ন এই পোল্ডারে। যার লোকসংখ্যা ৫০ সহশ্রাধিক। এই পোল্ডাটি একটি দ্বীপ। এর চারদিক থেকে রয়েছে শিবসা, কচা ও ভদ্রা নদী। এছাড়া এটি উপকূলীয় এলাকার সবচেয়ে দক্ষিণের জনবসতির একটি। যার দক্ষিণে রয়েছে সুন্দরবন। ফলে এটি বাংলাদেশের একটি দূর্গম এলাকা হিসেবও পরিচিত। উপজেলা সদরের সাথে এর যোগাযোগ ব্যবস্থা রবাবরই নাজুক।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডর আঘাত এনেছিলো এই এলাকায়। এরপর ২০০৯ সালের ২৫ মে’র আইলা ক্ষত বিক্ষত করেছিলো এই অঞ্চলকে। যে ক্ষতি এখনও এই অঞ্চলের মানুষ পুষিয়ে নিতে পারেনি। এখনও এই অঞ্চলের প্রায় ৪শ’ পরিবার বেড়িবাধ/রাস্তার উপর বসবাস করে। কারণ এই অঞ্চলের বাধ মেরামত করতে সরকারের প্রায় এক বছর সময় লেগেছিলো। এ বিষয়ে এলাকার মানুষের মন্তব্য দীর্ঘ দিন পর থোরবড়ি খাড়া আর খাড়াবড়ি থোর প্রক্রিয়ায় মেরামত করা হয়েছিলো বেড়িবাধ। যার আজ এই পরিনতি।

সূত্রমতে ৬০ এর দশকে তৈরীকৃত এই বেড়িবাধ; যা দীর্ঘ দিন আগলে রেখেছে এই অঞ্চলের মানুষ ও তাদের সম্পদ। তবে তার যতœ হয়েছে কতটুকুনইবা! এখন এই বাধের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোন কোন এলাকায় রাস্তার অনেকাংশ ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। অভিজ্ঞজনেরা বলেন, এবারের ভারা কটাল অতিবাহিত হলেও সামনের ভরা কটাল পার হবে কিনা এই নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় এলাকার মানুষ।

এনিয়ে দাকোপ উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন জানান, বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্প্রতি একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পের ফলে অত্র অঞ্চলের বাধগুলোকে ঢেলে সাজানো হবে। ১২শ’ কোটি টাকা ব্যায়ে পুরাতন বেড়িবাধগুলো ২০ ফিট উঁচু করা হবে; যার নীচে হবে ১শ’ ফিট ও উপরে ২০ ফিট। আগামী জুলাই মাসে এই কাজের টেন্ডার হওয়ার কথা রয়েছে। আর প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা বিভিন্ন কর্মসুচীর মাধ্যমে বাধ মেরামতের কাজ করছি।

অপরদিকে দাকোপ উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, বেড়িবাধ নিয়ে আমাদেরও দুশ্চিন্তার কমতি নাই এবং ইতোমধ্যে গত ৩১ তারিখ থেকে ৪০ দিনে কর্মসুচীর মাধ্যমে ঝুকিপূর্ণ বাধগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা প্রতিনিয়ত এই কাজের তদারকি করছি।

এদিকে সুতারখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি.এম আশরাফ হোসেন জানান, আমার ইউনিয়নের বেড়িবাধগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। তেলিরকোনা, কালাবগী ডাঃ শশিকুমারের বাড়ীর সামনে, কালাবগী বাজার থেকে পন্ডিতচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ও গোনারী কালীবাড়ী এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাধে ব্যাপক আকারে ফাটল ও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তিনি আরও জানান এই মুহুর্তে বাঁশের খাঁচা কিংবা সিমেন্ট ভর্তি বস্তা ও বাধের উপর মাটি ফেলা জরুরী। ৪০ দিনের কর্মসূচী সম্পর্কে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, হ্যাঁ ইতোমধ্যে আমার ইউনিয়নে পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে একটি প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে এবং আগামী শনিবার থেকে পুরাদমে কাজ শুরু হবে। তিনি আরও বলেন ৪০ দিনের এই কর্মসুচীতে ৫৫১ ম্যানডেজ কাজ করবে।

তবে এলাকার মানুষের মন্তব্য, এই কাজে বাধের স্থায়ীত্ব বাড়বে না, এটা হয়ত সাময়িক মেরামতের কাজ হবে। তারা আরও বলেন, এখন সাইক্লোন মৌসুম চলছে। তাই এই বাধের স্থায়ী সমাধানের জন্য চাই অতিদ্রুত একটি মহাপরিকল্পনা। আর তা না হলে যে কোন সময় আবার বিপদের সম্মূখীন হবে এই অঞ্চলের হাজার হাজার পরিবার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.