![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্প্রতি টানা বর্ষা ও নদীতে অস্বাভাবিক ভাবে পানি বুদ্ধির কারণে ভয়াবহ নদী ভাংগন আতংক বিরাজ করছে উপজেলার অসংখ্য মানুষের মাঝে । প্রমত্তা শিবসা, পশুর, ভদ্রা, মাঙ্গা ও চুনকুড়িসহ ছোট বড় ১০ নদ-নদীর ভাঙ্গনে দাকোপে বিলীন হয়ে যাচ্ছে শত শত একর
আবাদি জমি, গাছপালা, বাড়িঘর-ভিটেমাটি এবং বিভিন্ন ধরনের সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা।
ভয়াবহ নদী ভাংগন আতংকে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। এবার পুরোদমে বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই নদী ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় গত দুই মাসের ব্যবধানে চালনা পৌরসভাসহ ৯ ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের ৩ শত পরিবারের প্রায় সহস্রাধীক মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে গৃহহীন ও জলবদ্ধতার শিকার হয়েছে। গৃহহারা পরিবারগুলো বাঁধ- রাস্তাসহ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতার জীবন যাপন করছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আইলা দুর্গত উপজেলার ৩২নং পোল্ডারের সুতারখালী ইউনিয়নের দক্ষিন কালাবগী পন্ডিত চন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রায় ৭২০ফুট, বাইন পাড়া মল্লিক বাড়ির সামনে ২শত ফুট,সুতারখালী ফরেষ্ট অফিসের পশ্চিম পাশে প্রায় ২শত ফুট, কেওড়াতলী ফারুকের বাড়ির সামনে প্রায় ৮০ ফুট, নলিয়ান বাজার এলাকায় ৪টি স্থানে প্রায় ৭৪০ফুট, গুনারী মীর বাড়ির সামনে ৪টি স্থানে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩শত ফুট, কালিবাড়ী লঞ্চঘাটের দক্ষিন ও পূর্ব পাশে প্রায় ৪২০ফুট, কামারখোলা ইউনিয়নের জালিয়াখালী রায় বাড়ির সামনে প্রায় ৪শত ফুট, ভিটেভাংঙ্গা বাছাড় বাড়ির সামনে প্রায় ১৪০ফুট, জয়নগর বাজারের পশ্চিম পাশে প্রায় ২শত ফুট, কালিনগর বাজারের উত্তর পাশে প্রায় ৪৬০ফুট, কামারখোলা ওয়াপদা অফিসের পশ্চিম পাশে ২টি স্থানে প্রায় সাড়ে ৩শত ফুট। ৩১নং পোল্ডারের পানখালী ইউনিয়নের মৌখালী খেয়াঘাটের পূর্ব পাশে প্রায় ৩শত ফুট,হোগলা বুনিয়া গাজী বাড়ির সামনে প্রায় ১শত ফুট,পানখালী ফেরী ঘাটের পূর্ব পাশে প্রায় ৪শত ফুট,লক্ষ্মীখোলা বাজারের দক্ষিন পাশে প্রায় ২শত ফুট ,বড় খলিসা স্লুইচ গেটের দক্ষিন পাশে প্রায় ২শত ৫০ ফুট,খোনারাবাদ বুলবুল ইটভাটার পশ্চিম পাশে প্রায় ৪শত ফুট, তিলডাংঙ্গা ইউনিয়নের ঝালবুনিয়া ১নং স্লুইচ গেট থেকে ২নং ¯¬ুইচ গেট পর্যন্ত ৫টি স্থানে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৬শত ফুট,কামিনিবাসিয়া রাসখোলার সামনে প্রায় ২শত ৫০ফুট,মোজামনগর বাজার এলাকায় প্রায় ১৫০ ফুট,বটবুনিয়া বাজারের পশ্চিম পাশে প্রায় ১২০ফুট,তেতুলতলা প্রভাত রায়ের বাড়ির সামনে ৭০ ফুট , চালনা পৌরসভার রেডষ্টার হ্যাচারীর দক্ষিণ ও উত্তর পাশে প্রায় ৩৫০ফুট,ওয়াপদা কোলনী,কোনারডাংঙ্গা,শেখ পাড়া,চালনা মেরীন প্রোডাক্টসের দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে মোট ৬টি স্থানে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৭শত ফুট।৩৩ নং পোল্ডারের বানিশান্তা ইউনিয়নের আমতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে প্রায় ২৮০ ফুট এবং সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে বানিশান্তা পতিতা পল্লী নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার পথে।পূর্ব খেজুরিয়া,বানিশান্তা বাজার এলাকায় প্রায় ২৬০ ফুট,ঢাংমারী ফরেষ্ট অফিসের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে ২২০ ফুট,কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের রামনগর ¯স্লুইচ গেটের দক্ষিন পাশে ৮০ ফুট, বুড়ির ডাবর ৪৫ফুট, বাজুয়া ইউনিয়নের চুনকুড়ি খেয়াঘাট থেকে পশরধার এবং ওড়াবুনিয়া পর্যন্ত ৫টি জায়গায় ছোট বড় মিলিয়ে ৫৫০ ফুট ,দাকোপ ইউনিয়নের পোদ্দারগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় ৬শত ফুট ওয়াপদা বেড়িবাঁধ রাস্তা নদী গর্ভে বিলিন হতে চলেছে। আবার কোন কোন জায়গায় মাত্র দুই-তিন ফুট বাকি আছে। এ সব এলাকা জরুরী ভিত্তিতে মেরামত ও বিকল্প বাঁধ নির্মানের জন্য এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সংশি¬ষ্ট কতৃপক্ষসহ পানি সম্পাদ মন্ত্রনালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান,আইলার পরবতী সময় উপকূলীয় এলাকার মানুষকে রক্ষার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড আইলায় ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধসহ বর্তমানে ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাধ গুলি দ্রুত নির্মান করেন। বর্তমানে ওই এলাকার স্থানীয় নদ-নদীতে স্বাভাবিক অপেক্ষা প্রতিদিন জোয়ারের পানি ৪ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাঁধ ভাংগতে পারে।বর্তমানে এ সকল ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ গুলি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্ধ না থাকায় এই মূহূর্তে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।তবে সংস্কারের জন্য সংশিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট অর্থ বরাদ্ধ চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন জরুরী ভিত্তিতে বেশি ঝূকিপূর্ণ এলাকায় রিং বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
©somewhere in net ltd.