নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মহত্যা কারো জীবনে কোন ফলাফল নয়।

bangla51214

মন ভাল নেই

bangla51214 › বিস্তারিত পোস্টঃ

দক্ষিণাঞ্চল থেকে বিলুপ্তির পথে শাপলা শালুক

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা দক্ষিনাঞ্চল থেকে আজ বিলুপ্তির পথে। বিশেষ করে দক্ষিনাঞ্চলে এরে ফলন হত চোখে পড়ার মত। কিন্তু এখন দক্ষিণাঞ্চলে গ্রামের পর গ্রাম ঘুরলেও শাপলা পাওয়া দুস্কর।

খাল ও জলাশয় কমে যাওয়া, জমিতে অধিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে শাপলা এখন হারিয়ে যাচ্ছে। বর্ষা থেকে শরতের শেষ পর্যন্ত খাল-বিল, পুকুর, জলাশয় ও নিচু জমিতে প্রাকৃতিকভাবে জন্মাতো হাজার হাজার শাপলা ফুল, দেখে মন জুড়াতো। রং বেরঙের শাপলার বাহারি রূপ দেখে মুগ্ধহতো পথিক। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা পানিতে নেমে শাপলা তুলে সবজি হিসেবে বাজারে বিক্রী করত। গ্রাম বাংলার অনেক পরিবারে খাদ্য তালিকায় থাকতই শাপলা। ভিন্ন স্বাদের খাবার হিসেবে শহরের মানুষের কাছেও এটি জনপ্রিয় ছিল। শাপলা সাধারনত লাল ও সাদা রংয়ের বেশী দেখা যেত। এ ছাড়াও বেশ কয়েক ধরনের শাপলা এখানকার জলাভূমিতে দেখা যেত। এর মধ্যে লাল ও সাদা ফুল বিশিষ্ট শাপলা সবজি হিসেবে রসিকদের খাদ্য তালিকায় থাকত। এ গুলোর পুষ্টিগুন খুব বেশী বলে জানা যায়। লাল রংয়ের শাপলা ওষধি কাজে ব্যবহার করা হত। এছাড়াও শাপলা ফল দিয়ে সুস্বাদু খৈ তৈরী করে খাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন এখানকার লোকজন। এগুলো গ্রামাঞ্চলে ‘ঢ্যাপের খৈ’ বলে পরিচিত ছিল। শাপলার মাটির নিচের অংশকে শালুক বলা হয়। এ শালুক একধরনের খাদ্য হিসেবে পরিচিত ছিল। ছেলে-মেয়েরা শালুক খায় মজা করে। এ ধরনের উপকারী বস্তুটি আজ সম্পূর্ণভাবে বিলিনের পথে। একসময়ে যেখানে শাপলা শালুক দেখা যেত সেখানে আজ কচুরিপানা দেখা যায়।#####

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.