নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য ও সুন্দরের পক্ষে।

আশরাফুল ইসলাম মাসুম

বেকার সমস্যা মুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাই।

আশরাফুল ইসলাম মাসুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অদ্ভুত শোনালেও এটাই সত্য।আমরা মানুষ নই নাস!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩২

না কোনো ফান নয়,সিরিয়াসলি বলছি আমরা মানুষ নই!আমরা কেউ বাংলায় মানুষ,মানব;ইংরেজীতে Man বা জার্মান ভাষায় Mann,Mansch নই যদিও এগুলো সবই সমার্থক শব্দ!আমরা সবাই নাস,ইনসান বা বনী আদম যা আরবি ভাষার শব্দ!কেন?আরবী ভাষার এত মাহাত্ম্য কিসের?ব্যাখ্যা করলেই বিষয়টি পরিস্কার হবে!
মানুষ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে,
মনুষ্য = মনু + ষ্ণ্য বা মানব
শব্দের অপভ্রংশ থেকে! মানব
শব্দের ব্যাসবাক্য "মনুর পুত্র", যেমনঃ
দানবের ব্যাসবাক্য "দনুর পুত্র"! কিন্তু এই
মনু আসলে কে?হিন্দুরা বিশ্বাস
করে কৃষ্ণের নির্দেশে ব্রম্মা
সৃষ্টির শুরুতে সকল আত্মাকে
প্রজাপতি রুপে একই মুহুর্তে সৃষ্টি করেছিল,ভিন্ন ভিন্ন প্রাণী হিসেবে নয়!এরপর এই প্রজাপতিগুলো তাদের 'কর্মফল' অনুযায়ী মৃত্যুর পর বিভিন্ন প্রাণীরূপে জন্ম নিতে থাকে!আমরা সবাই জানি হিন্দুরা পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে!এমনকি তাদের মতে কর্মফল অনুযায়ী মানুষ থেকে অন্য প্রাণী বা অন্য প্রাণী হতেও মানুষ জন্ম নিতে পারে!এভাবে প্রজাপতিগুলোর পুনঃপুনঃ জন্মের একপর্যায়ে জন্ম নেয় প্রথম মানুষ
মনু!অর্থাৎ হিন্দু ধর্মগ্রন্থের মতে আমরা সবাই এই মনু ঋষির পুত্র বা বংশধর!এখান থেকেই এসেছে মনুর পুত্র মানব শব্দটি!এমনকি ইংরেজি Man,জার্মান Mann,Mansch শব্দগুলোও এসেছে এই মনুর গল্প থেকেই!
এসব শব্দগুলো একই উৎস ইন্দোইউরোপীয় ভাষা থেকেই এসেছে এবং শব্দগুলোর মধ্যে এজন্য উচ্চারণগত সাদৃশ্যও রয়েছে(উইকিপিডিয়া)!কিন্তু এ গল্পটি মুসলিম,খ্রীষ্টান,ইহুদিদের বিশ্বাসের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক!
কুরআনে আল্লাহ আমাদের সম্বোধন করার সময় নাস,ইনসান,বনী আদম এই আরবী শব্দগুলো ব্যাবহার করেছেন যার সাথে মানুষ,মানব,Man বা Mansch শব্দগুলোর উচ্চারণগত বা উৎপত্তিগত কোনো ন্যুনতম সাদৃশ্যও নেই !
আল্লাহ কুরআনের জন্য অন্য কোনো ভাষা
বেছে না নিয়ে একমাত্র আরবীকেই উপযুক্ত ভাষারূপে বেছে নিয়েছেন!আল্লাহ যে বিজ্ঞানময়,সর্বজ্ঞ তা এসব ছোট ছোট উদাহরণেও বোঝা যায়!যেমনঃ
আল্লাহ যদি বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় কুরআন প্রকাশ করতেন আর আমাদের মানবজাতি বা Man বলে সম্বোধন করতেন তাহলে পরোক্ষভাবে মনুর এই কাল্পনিক গল্পকেই স্বীকৃতি দেয়া হতো না?এমনকি জান্নাতে যখন জান্নাতিরা কথা বলবেন তখনও এই অলীক গল্পের লেজুড় জান্নাতেও
চলে যেত এসব শব্দের পিছু পিছু কারণ সেখানে সবাই পবিত্র কোরআনের ভাষাতেই কথা বলবেন!
আল্লাহ বলেছেন আমরা সবাই আদম সন্তান! আল্লাহ আমাদের নাম দিয়েছেন ইনসান,নাস
বা বনী আদম!ইসলাম সকল অসামঞ্জস্য
থেকে পবিত্র বিশুদ্ধ,স্বতন্ত্র! আলহামদুলিল্লাহ!সকল প্রশংসা আল্লাহর!
তবে হ্যাঁ,ল্যাটিন ভাষায় মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo Sapiens!এর সাথেও মনুর কোনো সম্পর্ক নেই কিন্তু এটা কেতাবী ভাষা! দৈনন্দিন কথোপকথনে এটি ব্যাবহারের উপযোগী নয়!তবে নাস,ইনসান শব্দগুলো স্বাচ্ছন্দ্যেই কথোপকথনে ব্যাবহারের উপযোগী!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৭

নতুন বলেছেন: ঠিক আছে আপনি তাহলে নাস...

আমরা সবাই মানুষই থাকি।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৩

আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: আপনি কিভাবে মানুষ থাকবেন?সবাই তো আমরা বনী আদম!

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

আধারে আমি৪২০ বলেছেন: আপনি আসলেই মানুস নন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৫

আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: আপনি কিভাবে মানুস ভাই?

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রসুলুল্লার (স) ইসলাম প্রচারের আগে আরবী কোন পবিত্র ভাষা ছিল না।
ঐ অঞ্চলের ইহুদি, খ্রীষ্টান ও মক্কাবাসি কাফেরদের দির্ঘদিনের প্রচলিত ভাষাই ছিল আরবি।
আল্লাহ কুরআনের জন্য অন্য কোনো ভাষা বেছে না নিয়ে একমাত্র আরবীকেই উপযুক্ত ভাষারূপে বেছে নিয়েছেন, সেটা "আরবীভাষা পবিত্র" সে কারনে নয়।
কারন কোরানের আয়াত নাজেল হয়েছে যার কাছে, রসুলুল্লার (স) ওনার মাতৃভাষা, সে কারনেই।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৮

আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী
ঠিক বলেছেন। তবে যেহেতু আল্লাহ সবকিছু নির্ধারণ করেন কাজেই রাসুল সাঃ আরবে জন্মাবেন এবং তাঁর ভাষা হবে আরবি এটাও নিশ্চয়ই আল্লাহই নির্ধারণ করেছেন।পরকালের একমাত্র ভাষাও হবে আরবি।সুতরাং আরবি ভাষার যখন এত মর্যাদা দিয়েছেন আল্লাহ তাহলে অবশ্যই এটাকে তিনি বিশুদ্ধ রাখবেন রাসুলের সাঃ জন্মের পূর্ব থেকেই,এটাই তো স্বাভাবিক!

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি কিভাবে মানুষ থাকবেন?সবাই তো আমরা বনী আদম!

ভাই বনী আদম আরবীতে বনি আদম... সব কিছুই কি আরবীতে অনুসরন করতে হবে?

উপরে হাসান ভাই ব্যক্ষ্যা করেছেন যে আরবীর বিষেসত্ব যে সেটা রাসুল সা: এর মাতৃভাষা অন্য কিছু না।

আরবীর চেয়ে আমাদের বাংলা ভাষা অনেক বেশি উন্নত। বাংলাতে আপনি প্রায় সবকিছুই লিখতে এবং বলতে পারবেন কিন্তু আরবীতে অনেক শব্দ নাই। তাহলে আরবী কিভাবে সেরা হইলো?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫২

আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: হাসান কালবৈশাখীর মন্তব্যের জবাব দিয়েছি।

৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: Nas - Meaning of Nas
What does Nas mean?
Nas - Meaning of Nas
What does Nas mean?

[ syll. nas, na-s ] The baby boy name Nas is pronounced as NAHZ †. Nas is mainly used in Spanish and English, and its language of origin is Etrusk and Arabic.

Bani (بنو) is Arabic for "the children of" or "descendants of" and appears before the name of a tribal progenitor. The English counterpart would be "House of", for example the House of Saud.[1] Another example of the usage is the Bani Quraish, the tribe from which Muhammad came, for which a Quranic Surah is also named.

For example, "Bani Kaab" literally means the sons of Kaab: the Kaab tribe. Due to the Arabic grammar rules, the word can sometimes become "Bani" depending on the context. For example, it is "Banu Kaab's language", but "belongs to the Bani Kaab". Sometimes, its "Banis".

"Bani Israel" is a common Arabic word for the children of Israel; a Quranic chapter is named so. The term itself is very close to its Hebrew counterpart: B'nei Yisrael' (בני ישראל) (also B'nai Yisrael, B'nei Yisroel or Bene Israel).


[ syll. nas, na-s ] The baby boy name Nas is pronounced as NAHZ †. Nas is mainly used in Spanish and English, and its language of origin is Etrusk and Arabic.

"Linguists say that the word "insân" has two roots. The first one is "nisyân" which means "to forget". And the second one is "unsiyah", which means "to relate, to love-be loved, to become close to s.o., to get or give a reaction. [...]."

Ibn Abbas(RA) said that al-insân is called so beacuse of his forgetfulness.

It is interesting to note that the Arabic word for human being is 'insan' which is derived from the word 'nasiya' which means 'to forget.' This indicates that it is in human nature to forget and make mistakes and so Muslims believe that humans should be aware of this and be quick to repent if they do wrong and not dwell on it afterwards as everyone makes mistakes.

উপরে আপনার উল্লেখীত ৩টি শব্দের ব্যাখ্যা অর্থ ! বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া!

আর সকল ধর্মের গোড়া কিন্তু এক স্রষ্ঠারই! মাঝৈ মাঝৈ দেখি গীতায় নবিজির নামের সূত্র আছে বলে অনেকে দাবী করে! তো এখন আবার মানুষ শব্দে এলার্জি কেন তবে? ইব্রাহিম আ: এর ধর্মতো মাত্র ৫০০ বছরে ৩৬০টি মূর্তিতে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল!
ধরে নিলাম আপনার কথঅই ঠিক। মানুষ মানে মনুর পুত্র! যেহেতু আল্লাহ বলেছেন এমন কোন জনপদ নেই যেখানে আমি আমার নবী-রাসুল পাঠাইনি! সেই হিসাবে আমাদের ভারত বর্ষ, বাংলা মুলূকতো বাদ থাকার কথা না! এখানে তবে কে বা কারা নবী রাসূল ছিলেন?
মনু, কৃষ্ণ, বৌদ্ধ নয়তো?
হয় এই সত্য মানতে হয়- নয়তো আল্লাহর কথা মিথ্যা (নাউজুবিল্লাহ) বলতে হয়।
এখন আপনি বলেন- এখানে হাজার বছরে একত্ববাদ মূর্তিতে প্রতিস্থাপিত হয়ে থাকলেও মূল কি মিথ্যা হয়ে গেছে? বা যায়?
তবে আর মানুষ হতে আপত্তি কেন???
মানুষ তুমি মানুষ হও ;)

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগু
অবশ্যই আল্লাহ সমগ্র পৃথিবীতেই নবী রাসুল পাঠিয়েছেন। ভারতবর্ষেও নিশ্চয়ই পাঠিয়েছেন! হতেও পারে হিন্দুদের কোনো কল্পিত দেবতাই হয়তো প্রকৃতপক্ষে নবী ছিলেন!এসব প্রাগৈতিহাসিক ঘটনা!এসব এখন এত বিকৃত অবস্থায় চলে গেছে যে প্রকৃত সত্যটা হয়তো উদঘাটন করা অসম্ভব!

৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

স্বস্তি২০১৩ বলেছেন: শুধু শুধু মন্তব্য পাওয়ার জন্য আজাইরা লেখা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৫

আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: আজাইরা লেখায় মন্তব্য করলেন কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.