![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালো লাগে মানবিক অমানবিক সব আচার আচরন। উপভোগ করি জীবন, সম্পর্ক। টেকনো ফোবিয়া আছে। গান বাজনার লোক। তবে আপাতত ছুটিতে আছি; বেহায়া বেশরম চোরের দল যেদিন গান বাজনা থেকে সরে যাবে সেদিন আবার আসবো।
রাত তিনটা বাজে। জানালায় উকি দিয়ে আকাশ দেখছি। নক্ষত্র বাছাইয়ের মত জরুরী এবং কঠিন কাজ চলছে। কোন নক্ষত্রই ঠিক মনে ধরছে না। কোনটা ঝাপসা কোনটা আবার বেশী গাঢ় নীল। এর মধ্যে হয়েছে আরেক সমস্যা, কান্না থামাতে পারছি না। ঝাপসা চোখে নক্ষত্র বেছে নেয়া যাবে না। দেখা যাবে আজকে রাতে একটাকে ঠিক করলাম পরদিন রাতে সেটাকে মনে হবে জঘন্য। কাজ টা খুব কঠিন আর গুরুত্বপূর্ণ।
শেষমেষ নক্ষত্রটা আমি পেয়েছিলাম। গত বছর এইরকম দিনে, যেদিন হুমায়ূন আহমেদ চলে গেলেন আকাশের ওপারে। সারারাত ঘুমাতে পারলাম না। বাসায় একা ছিলাম। কাউকে শেয়ার করবো এমন কেউ নাই তখন। ভয়াবহ সেই একাকীত্ব। মনে হচ্ছিলো হুমায়ুন আহমেদ হয়তো কিছুক্ষনের মধ্যেই ঘুম থেকে উঠে সবাইকে চমকে দিয়ে বলবেন, 'কি ব্যাপার সবাই ঝিম ধইরা বইসা আছো ক্যানো?'
আমরা ঝুম ধরেই বসে ছিলাম, বেশ কয়েকদিন। উনার দাফন হয়ে যাবার পর বুঝলাম স্যার আসলেই নেই।
উনার কবরে খুব বৃষ্টি হয়েছিলো। জোৎস্নাও ছিল খুব। চান্দি পসর রাইত। বৃষ্টি এত বেশি ভালোবাসতেন বলেই সেই কয়টা দিন খুব বৃষ্টি ছিল।
একবছর পর আজকে সেইরকম একটা রাত। আকাশে জোৎস্না আছে। আমাকে একটুপর জানালার পাশে দাঁড়াতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে সেই নক্ষত্র টা। যার নাম আমি দিয়েছি হুমায়ূন। খুব উজ্জ্বল সেই নক্ষত্র, অনেক স্পষ্ট।
©somewhere in net ltd.