নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি-bdnews24.com
বুধবার (২০/০১/২০২১) বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১১টায় (স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে ১২টা) যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ৭৮ বছর বয়সী বাইডেন। তাঁর সঙ্গে শপথ নেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও।যার ফলে জো বাইডেনের রাষ্ট্রপতি হিসাবে এবং কমলা হ্যারিসের উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে চার বছরের মেয়াদকাল শুরু হল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলের পশ্চিম ফ্রন্টে ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর আগে কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ করেছিলেন।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর পরই বাইডেন ওভাল অফিসে কাজ করার জন্য প্রস্তুত হন। করোনাভাইরাসের নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার শপথ অনুষ্ঠান বেশ আলাদা হয়েছে। শপথ ও অন্য অনুষ্ঠানে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের কাছে শপথ নেয়ার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, "গণতন্ত্রের জয় হয়েছে"। ট্রাম্প শাসনের অশান্ত বছরগুলোর পর এক তার বার্তা দিয়ে দেয়া বক্তব্যে তিনি "সব আমেরিকানদের"- এমনকি যারা তাকে ভোট দেয়নি তাদেরও প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।নতুন পরিস্থিতিতে এবারের অভিষেক অনুষ্ঠান নানাভাবেই উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে। কারণ, এবারই প্রথম ফার্স্ট লেডিসহ সদ্য সাবেক হওয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সসম্মানে ও সগৌরব বিদায় বিশ্ববাসী দেখেনি , যা মার্কিন প্রেসিডেন্সি বদলের ক্ষেত্রে একটি আইকনিক দৃশ্য হিসেবে বরাবর বিবেচিত হয়ে আসছিল এতদিন।
ছবি-btcnews.com
তার পূর্বসূরি তিনজন প্রেসিডেন্টে শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বারাক ওবামা, যার অধীনে আট বছর ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন বাইডেন, বিল ক্লিনটন, জর্জ ডাব্লিউ বুশ ও ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও উপস্থিত ছিলেন।বাইডেনের আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন কমালা হ্যারিস। এই পদে দায়িত্ব নেয়া প্রথম নারী এবং প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও এশিয়ান-আমেরিকান ব্যক্তিও তিনি।
ছবি- ittefaq.com
গত ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের সহিংস সমর্থকরা ক্যাপিটল ভবনের দখল নেয়ার ঘটনার পর অনুষ্ঠানকে ঘিরে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, মিস হারিস ও তার স্বামী ডো এমহফের সালে পেনসিলভেনিয়া এভিনিউ দিয়ে হেটে হোয়াইট হাউসে পৌঁছান। ওই সময় বন্ধু এবং সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানান তারা।শপথ অনুষ্ঠানে লেডি গাগা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। সেই সাথে ছিলেন জেনিফার লোপেজ ও গার্থ ব্রুকস।আমেরিকার প্রথম ন্যাশনাল ইয়ুথ পয়েট লরেট অ্যামান্ডা গোরম্যান তার লেখা দ্য হিল উই ক্লাইম্ব নামে কবিতাটি আবৃত্তি করেন। লিংকন মেমোরিয়ালে সন্ধ্যায় আয়োজিত এক কনসার্টে উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন টম হ্যাংকস, ব্রুস স্প্রিংস্টিন, জন লিজেন্ড, জন বন জোভি, জাস্টিন টিম্বারলেক ও ডেমি লোভাটো।
ছবি-anandabazar.com
শপথ নেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু উল্লেখযোগ্য নীতি পাল্টে দেয়ার কাজ শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শপথ নেয়ার পর হোয়াইট হাউসে যাওয়ার সময় তিনি টুইটে বলেন, "আমাদের সামনে যে সঙ্কট রয়েছে সেটি সামাল দিতে অপচয় করার মতো কোনো সময় নেই।"
আর তারপরই ,করোনাভাইরাস সঙ্কট মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় পদক্ষেপ জোরদারসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ১৫টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। অন্য নির্বাহী আদেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন এবং অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থানকে ঠিক উল্টে দিয়েছেন।
প্রথম দিন বাইডেন কী কী নির্বাহী আদেশে সই করেছেন -
নির্বাহী আদেশের বর্ণনা করে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন "শুধু ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে বড় ক্ষতিগুলোই সংশোধন করবেন না বরং তিনি দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।"
১।করোনাভাইরাস মহামারী সামাল দিতে ধারাবাহিক কিছু পদক্ষেপ নেয়া হবে। এতে এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে চার লাখেরও বেশি প্রাণহানি হয়েছে। সব ধরণের কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে।মহামারীর বিষয়ে পদক্ষেপের সমন্বয় করতে একটি আলাদা দফতর গড়ে তোলা হবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যেতে ট্রাম্প প্রশাসনের শুরু করা প্রক্রিয়া স্থগিত করা হবে।
২।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এর সাথে আবারো যুক্ত হওয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তার মুখপাত্র স্টিফানি দুজারিক জানান, মহাসচিব বলেছেন যে, সমন্বিত বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাইডেন আরো জানিয়েছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই হবে তার প্রশাসনের অন্যতম অগ্রাধিকার।
৩।২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে আবার যোগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্বাহী আদেশ সই করেছেন তিনি। গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি থেকে বের হয়ে এসেছিলেন ট্রাম্প।
৪।বিতর্কিত কিস্টোন এক্সএল পাইপলাইনের প্রেসিডেন্সিয়াল অনুমোদন বাতিল করেছেন বাইডেন।এই পাইপলাইনের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদী ও নেটিভ আমেরিকান গোষ্ঠীগুলো এক দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই করে আসছে।হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, শুক্রবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে প্রথম বিশ্বনেতা হিসেবে ফোন করার পর এ বিষয়ে তার সাথে আলোচনা করবেন বাইডেন।বেসরকারিভাবে অর্থায়নে থাকা পাইপলাইনটির মূল্য প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার। কোম্পানিটি কানাডার আলবার্টা থেকে নেব্রাস্কায় দৈনিক আট লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত তেল পরিবহন করতো।২০১৫ সালে এই পাইপলাইন কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠায় আনা একটি বিলে ভেটো দিয়েছিলেন বারাক ওবামা। কিন্তু সেটি উল্টে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
৫।অভিবাসনের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের জারি করা জরুরি প্রস্তাবনা বাতিল করেছেন বাইডেন। এই জরুরি প্রস্তাবনার অধীনে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে অর্থায়ন এবং বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
অন্য নির্বাহী আদেশগুলো বর্ণ এবং লৈঙ্গিক সমতা বিষয়ক।
বাইডেন প্রেসিডেন্সির আওতায় প্রথম অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তিনি কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বার্থকে প্রচার করবেন নাকি "সাদামাটা সত্য" উপস্থাপন করবেন।এর উত্তরে তিনি বলেন, "মুক্ত ও স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকার প্রতি গভীর শ্রদ্ধার" সাথে তিনি ‘সরকারে স্বচ্ছতা এবং সত্য ফিরিয়ে আনতে’ প্রেসিডেন্টের সাথে কাজ করবেন।
অপরদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রেস সেক্রেটারি প্রায় সময়ই মিডিয়ার সাথে একটি বিবাদময় সম্পর্ক ছিল।
শেষ দিন কি করে গেলেন ট্রাম্প -
ছবি-amadershomoy.com
বিদায়ের আগে শেষ মুহূর্তে বিদায় ভাষণে যা বললেন ট্রাম্প - যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিদায় নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শেষ বেলায় তিনি চেয়েছিলেন জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিদায় নিতে। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। তাই কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই হোয়াইট হাউজ ছেড়েছেন।
ছবি-yahoo.com
স্থানীয় সময় গতকাল সকাল ৭টায় স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়েন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস থেকে হেলিকপ্টারে করে তিনি যান মেরিল্যান্ড সামরিক ঘাঁটিতে। সেখানে ট্রাম্পের পরিবারের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পের বেশ কিছু সমর্থকও। মেরিল্যান্ডের ওই ঘাঁটিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেওয়া শেষ বক্তৃতায় নিজের দল, পরিবারের সদস্য ও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প। কথা বলেন করোনা মহামারি ও নতুন প্রশাসন নিয়েও। সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, "আপনারা সত্যিই অসাধারণ"। মার্কিনদের কর কমানোর সিদ্ধান্তকে নিজের সাফল্য উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, "আমি আশা করছি তারা (নতুন প্রশাসন) এটি আর বাড়াতে পারবে না। আর গত চার বছরে আমাদের যে সাফল্য, তা কোনো মানদণ্ডেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই"। শেষ বক্তৃতায় নতুন প্রশাসনকে শুভকামনা জানান ট্রাম্প। তবে বাইডেন কিংবা কমলা হ্যারিস—কারো নামই উচ্চারণ করেননি তিনি। বক্তৃতার শেষে সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "খুব শিগগিরই আমরা আবারও ফিরে আসব। হয়তো অন্য কোনো মাধ্যমে আমাদের মধ্যে দেখা হবে"। বক্তৃতা শেষ করে ফ্লোরিডায় নিজের রিসোর্টের উদ্দেশে রওনা হন ট্রাম্প, যেখানে আগেই তাঁর আসবাব পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সকল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ রয়েছে।তাই তিনি হোয়াইট হাউস থেকে সরকারি অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন।
হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে বিদায়ী বক্তব্য দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, "আমরা যা করতে এসেছিলাম তা করেছি। আমি কঠিন লড়াই, সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করেছিলাম"।তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "বর্তমানে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ হলো, আমাদের দেশের উদারতার প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাওয়া"।
ট্রাম্প তার সময়ের বিভিন্ন শান্তি চুক্তির কথা উল্লেখ করেন। বলেন, "দশকের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমি গর্বিত যেকোনো নতুন যুদ্ধ শুরু করিনি"ক্যাপিটল হিলে হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "ক্যাপিটল আক্রমণে সকল আমেরিকান আতঙ্কিত হয়েছিলো। এটা কখনই সহ্য করা যায় না"।
বুধবার সকাল ৮টায় মেরিল্যান্ডে অ্যান্ড্রুজ ঘাঁটিতে ট্রাম্পের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল হোয়াইট হাউস। সেখান থেকে বিদায় অনুষ্ঠান শেষে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পাম বিচে চলে গেছেন ট্রাম্প। সেখানে তার মার-এ-লাগো রিসোর্টে শুরু করবেন পরবর্তী জীবন।ট্রাম্প বুধবার সকালের পরে দায়িত্ব ছেড়ে গিয়েছেন কারণ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ মুহূর্তের সুযোগটুকুও তিনি নিয়েছেন এবং যাবার আগে কিছু কাজ করে গেছেন।
ক্ষমতা ছাড়ার আগে একদম শেষ মুহূর্তে ১৪০ জনের জন্য ক্ষমা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জো বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি ক্ষমার এই ঘোষণা দেন।হোয়াইট হাউজের একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সবমিলিয়ে ৭৩ জনকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৭০ জনের সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে নিজের বা পরিবারের সদস্যদের জন্য তিনি কোনো ক্ষমা ঘোষণা করেননি।
ক্ষমা ঘোষণার ব্যাপারটি হোয়াইট হাউজ থেকে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের জন্য একটি নিয়মিত ঘটনা। প্রতি বছর হোয়াইট হাউজ ছাড়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা অনেককেই ক্ষমা করে দেন। ক্ষমা ঘোষণা করা হলে তার বিরুদ্ধে থাকা সকল ফৌজদারি সাজা বাতিল হয়ে যায়। অন্যদিকে তিনি কারাদণ্ড কমিয়েও দিতে পারেন।
সম্প্রতি ক্ষমতা ছাড়ার আগে তিনি অনেকের জন্যই ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। উল্লেখ যোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন, তাঁর সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন রয়েছেন, যার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছেন সাবেক নির্বাচনী প্রচারণা ম্যানেজার পল ম্যানাফোর্ট, দীর্ঘদিনের সহযোগী রজার স্টোন এবং জামাতা জ্যারেড কুশনারের পিতা চার্লস।
গত বছর অস্ত্র সংক্রান্ত ফেডারেল অভিযোগে সাজা হওয়া লিল ওয়েইন ও কোডাক ব্ল্যাক। দুর্নীতির অভিযোগে তার ২৮ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল ডেট্রয়েটের সাবেক মেয়র কিলপ্যাট্রিকে। এছাড়াও ১৮ মাসের সাজা থেকে পূর্ণ ক্ষমা পেয়েছেন অ্যান্থনি লেভানডোস্কি। তিনি ছিলেন গুগলের সাবেক প্রকৌশলী।
আবার ২০১৩ সালে চাঁদাবাজি, ঘুষ গ্রহণ, বীমা জালিয়াতি, অর্থ পাচারের অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই বছরের নজরদারি আর ২৫ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছিল অ্যারিজোনা থেকে নির্বাচিত রিপ্রেজেন্টেটিভ রিক রেনজিকে। এছাড়াও রয়েছেন রিপাবলিকান তহবিল সংগ্রহকারী, যিনি চীনা এবং মালয়েশিয়ান স্বার্থে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে লবিং করার জন্য তহবিল গ্রহণ করার অভিযোগ স্বীকার করা এলিয়ট ব্রোডি।
ট্রাম্প কি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করছেন !!
বিদায় ভাষনে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বলা ,"খুব শিগগিরই আমরা আবারও ফিরে আসব। হয়তো অন্য কোনো মাধ্যমে আমাদের মধ্যে দেখা হবে" এ কথার পর জল্পনা-কল্পনা চলছে যে ট্রাম্প হয়ত নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে চলেছেন।এক প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, নতুন দল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গত সপ্তাহে সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলেছেন ট্রাম্প। নতুন দলের নাম ঠিক করেছেন, ‘প্যাট্রিয়ট পার্টি’।খবরে আরও বলা হয়, তবে নতুন দল খোলার বিষয়ে ট্রাম্প কতখানি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তা এখনও পরিষ্কার বলা যাচ্ছে না। তবে ২০১৬ সালে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার আগে ট্রাম্প সমর্থকগোষ্ঠীর বেশিরভাগকেই দলীয় কার্যক্রমে তেমন পাওয়া যায়নি।
২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তেমন হলে রিপাবলিকান পার্টির ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য প্রার্থীদের জন্য তা চিন্তারই বিষয়। তবে এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের বাইরে তৃতীয় কোনো শক্তিশালী পক্ষের দেখা মেলেনি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত "অভিশংসন-সিনেটে শুরু হচ্ছে ট্রাম্পের বিচার"।যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলার সময় সমর্থকদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার আগামী সপ্তাহ দেশটির কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে শুরু হবে।ক্যাপিটল হিলে হামলায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ দ্বিতীয়বার ট্রাম্পকে অভিশংসিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ক্ষমতা ছাড়ার পর কোনো প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের বিচার সিনেটে করা হবে। মার্কিন সিনেটে দোষী সাব্যস্ত হলে আর কখনো কোন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না ট্রাম্প।
সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
জবাবদিহীতা - ভাবছিলাম ,ট্রাম্প (পাগলারে) নিয়ে আর কিছু লিখবনা ,তবুও ব্লগার (বোন) জুনের অনুরোধ পাগলার শেষ দিনের কাজ-কর্ম নিয়ে আর একটা পোস্ট ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুদুর রহমান (শাওন) ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
ট্রাম্প ভালভাবে সম্মানের সাথেই যেতে পারত শুধু তার গোর্য়াতুমির জন্য একরকম অপমানিত ভাবে বিদায় নিতে হয়েছে ।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: জুন আপাকে ধন্যবাদ যে তার জন্যই আমরা সুন্দর একটি লেখা পড়তে পারলাম। তবে হ্যা পাগলাটা নতুন করে যুদ্ধ শুরু করে নাই। ট্র্যাম্প ছিল আসলে ব্যবসায়ী, তাই তার ভেতর মজ্জাগত রাজনৈতিক মারপ্যাচ ছিল না, যে কারনে তিনি বিদায় আসন্ন জেনেও অনেকগুলো ছেলেমানুষী করেছে-------দেখা যাক নতুন প্রেসিডেন্ট কি করে !!! মধ্যপ্রাচ্যের কোন উন্নতি হবে বলেও এখন পর্যন্ত আভাস পাই নাই----
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন,আপনার মন্তব্যের জন্য।৷ আসলে ঠি তাই। ট্রাম্প গতানুগতিক রাজনৈতিক নেতাদের মত ডিপ্লোমেটিক নন। সে অনেক কথাই অবলিলায় বলে ফেলত যা রাজনৈতিক নেতারা কখনো বলার কল্পনা ও করতনা। আর সে এতবড় একটা দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েও বিবেক দিয়ে চলত না। সে টিনএজ ছেলেমেয়ের মত আবেগ দিয়ে সিদ্ধান্ত নিত। এটাই সমস্যা। আর মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা? এটা পরিবর্তন এর সম্ভাবনা ক্ষীণ। কার আমেরিকার কোন প্রেসিডেন্টের পক্ষেই ইহুদি লবীর চাপ সামলানো সম্ভব নয় বা তাদেরকে কেউ চটাবেও না। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: ট্রাম্প আর পত্রিকার পাতায় আসবে না।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
ট্রাম্প পত্রিকার পাতায় আসবে ভাই । তবে অন্য কোন ভাবে, অন্যকোথায় ।হয়ত হোয়াইট হাউজে বা মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসাবে নয়।
৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩০
জুন বলেছেন: ট্রাম্পের জন্য আমি দুঃখিত। বেচারা ঝানু ব্যাবসায়ী হলেও সারা দুনিয়ার এই পচাগলা রাজনৈতিক প্যাচ বোঝে নাই। আমেরিকা ছাড়াও অনেক দেশের নেতারা রাজীনিতির মারপ্যাঁচ এর আড়ালে মুলত ব্যাবসাই করে বা করে গেছে। তিনি সরাসরি করেছেন। এখন আবার নতুন করে নতুন বোতলে পুরনো রুহ আফজা (মদ বললে কেউ কেউ হয়তো নারাজ হবে) শুরু হবে ঐ ন্যাটোতে যেয়ে মাতব্বরি, বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তিতে যোগদান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য এইসব। নতুন কোন ভিশনারি প্রকল্পর কথা তাদের নির্বাচনী ইশতেহারেও ছিল না, এখনো শুনি নাই, আগামীতে বলে কি না দেখি।
বড় বড় অস্ত্র ব্যাবসায়ী তাদের হয়ে অস্ত্র বেচাকেনা করছে। থাই সরকার চীন থেকে একটা পুরনো ঝরঝরা সাবমেরিন কিনতে চেয়েছিল কত বিলিয়ন ডলার দিয়ে।থাইরা চিল্লাচিল্লি করে সেটা থামিয়েছে। কিন্ত অনেক দেশের জনগন তাদের শাসকদের কাছে অসহায়।
যাইহোক দেখি বাইডেন কি করে? ৮ ই ফেব্রুয়ারি থেকে তো ইম্পিচমেন্ট শুরু হবে। সেখানে কোন নাটক অপেক্ষা করছে আল্লাহ মালুম। অনেক তথ্য দিয়ে সাবলীল একটি পোস্ট কামরুজ্জামান।
ভালো লাগা আর প্রিয়তে রইলো।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন জুন , আপনার মন্তব্যের জন্য।
ট্রাম্প না গতানুগতিক বা পেশাদার রাজনৈতিক নেতা নন এবং পেশাদার রাজনৈতিক নেতাদের মত কুটনীতি তেমন বুঝেন তবে ব্যবসা বুঝেন ১৬ আনা। আর তাই সে তার ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করে গেছেন ভালভাবে।তবে মহললার বা পাড়ার বখাটে ছেলের মত সারা দুনিয়াকে হুমকি-ধামকি দিয়েছেন পুরো শাসনকাল জুড়ে। যেমন বখাটেরা হুমকি দেয় পাড়ার সুন্দরী মেয়েদের।
এটা একদম ঠিক,আর এখন আবার সেই খাড়া-বড়ি-থোর / থোর-বড়ি-খাড়া একই প্রক্রিয়া চলবে ।আর জনগন এই গতানুগতিকতা থেকে বের হবার জন্যই পাগলাকে ভোট দিয়েছিল,তবে তারা (জনগনের) খুব ভাল অভিজ্ঞতা পায়নি।আর তাইত আবার সে চির চেনা পথেই হাটা।
চায়না সারা দুনিয়ায় সস্তা জিনিষের ব্যবসা করে আর আমেরিকা করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা।আর আমেরিকার ক্ষমতার মসনদে যেই বসবে সেই এই ব্যবসার জন্য যা দরকার তাই করবে।কারন,অস্ত্র ব্যবসায়ী আর ইহুদি লবি এই দুয়ের চাপ আমেরিকার কোন রাষ্ট্রপতির পক্ষে এড়িয়ে যাওয়া বা সামলানো সম্ভব না।
তবে পাগলার জন্য মনে হয় , ভবিষ্যতে খারাপ খবরই মিলবে।তবে আশার কথা এটা যে,আমেরিকান রা আমাদের তৃতীয় বিশ্বের দেশের নেতাদের মত হিংসাপরায়ণ নয়।কাজেই আশা করা যায় সঠিক ও ন্যায় বিচারই পাবে সে।
৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৪
জুন বলেছেন: মোহাম্মদ কামরুজ্জামান আপনি যা বলেছেন তা সবই বুঝি, সবই মানি। আসল কথা হলো গনতন্ত্রের প্রতি আমার কেমন যেন একটা ঘেন্না ধরে গেছে। আমাদের দেশে গনতন্ত্র এখন দলীয় তন্ত্র। শাসক দল যেই ক্ষমতায় থাকুক তাদের বিরুদ্ধে কিছু বললে আপনার অবস্থা কাহিল। এখানে দলের সবাই রাজা আর বাকি সব আমরা প্রজা। ভারত এত বড় একটি গনতান্ত্রিক রাস্ট্র সেখানে আজ গনতন্ত্রের লেবাসে মৌলবাদী + লৌহ শাসন চলছে। থাইল্যান্ডে সামরিক শাসক আমাদের এরশাদ কাকুর মতই একপেশে একটা নির্বাচন দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছে কিন্ত মনে প্রানে এবং কাজে পুরোই স্বৈরশাসক। দেশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা কথা বলবেন কি অমনি রাজা তথা রাজতন্ত্রের অপমান বলে তাকে ভয়ংকর আইন লেসে ম্যাজেস্টি দিয়ে বিনা বিচারে কঠোর শাস্তি সহ মিনিমাম ১৪ বছরের জেল। গলা টিপে মারছে বিরোধী জনমতকে। সুতরাং প্রজাহিতৈষী শাসন শুধু বইতেই পড়েছি, কাজে কলমে নেই।
সুতরাং বাইডেনের ডেমোক্রেসি যেন আব্রাহাম লিংকন এর বিখ্যাত উক্তি গভমেন্ট ফর দ্যা পিপল, বাই দ্যা পিপল, অফ দ্যা পিপলই হয়।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বোন দুনিয়ার কোথাও গনতন্ত্র এখন আর গনতন্ত্র নেই। এখন তা স্বার্থতন্ত্র অথবা সেমি রাজতন্ত্রে পরিবর্তন হয়ে গেছে।যদিও ইউরোপ বা আমেরিকা-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া-সিংগাপুর-অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সহ কিছু দেশে এখনো তা টিম টিম করে জলছে বা চলছে। তবে আফ্রিকা, এশিয়া, লাতিন আমেরিকার বেশীরভাগ দেশই এখন শাসকদের জন্য-তাদের পরিবারের জন্য-তাদের ভবিষ্যতের জন্য। জনগনের স্বার্থ দুর কি বাত , মন কি বাত বি নেহি হে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১১
মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: ট্রাম্পের বিদায়বেলাটা ভালো হলোনা, আহারে বেচারা!!