নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" ক্ষণ গণনা " - আর বাকী ১০০ দিন ফিফা (কাতার) বিশ্বকাপ - ২০২২। আসুন একনজরে দেখি কাতার বিশ্বকাপের খুটিনাটি।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:২৪


ছবি - sportingnews.com

আজ থেকে ঠিক ১০০ দিন পরে ২১ শে নভেম্বর ২০২২ সোমবার (সর্বশেষ খবর অনুসারে, কাতার ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হবে পূর্বের নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে ২০/১১/২০২২ রোববার), স্থানীয় সময় ভোর ৫ টা (বাংলাদেশ সময় সকাল ৮ টা) কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে কিক আউটের মাধ্যমে শুরু হবে ফিফা (কাতার ) বিশ্বকাপ -২০২২ যাতে মুখোমুখি হবে সেনেগাল বনাম নেদারল্যান্ডস। আর এর ফলেই শুরু হয়ে যাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী (ফুটবল) যা চলবে ২৮ দিন ব্যাপী এবং যাতে বুদ হয়ে থাকবে এশিয়া থেকে আফ্রিকা, ইউরোপ থেকে আমেরিকা সহ সারা বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী। সাথে সাথে হাজার মাইল দুরে আমাদের দেশও বাইরে থাকবে না বিশ্বকাপের ঢামাডোল তথা আনন্দ- উল্লাস থেকে। দেশের ফুটবলপ্রেমীরা তাদের সামর্থ্য অনুসারে তাদের ঘর-বাড়ী-অফিসে উড়াবে নিজ নিজ সমর্থক দেশের পতাকা এবং চায়ের দোকানে ঝড় উঠবে মেসি-নেইমার এর মাঝে কে সেরা তা নিয়ে এবং কে জিতবে এবারের বিশ্বকাপ ফুটবল তা নিয়ে চায়ের দোকান থেকে অফিস-বাসা সরগরম থাকবে বিশ্বকাপের পুরো সময় যা সময়ে সময়ে পরিবর্তন হবে কারো হাসি কিংবা কারো কান্নায়। হবে নিজ নিজ সমর্থিত বিজয়ী দলের সমর্থনে আনন্দ মিছিলও

বিশ্বকাপ ফুটবল -

সারা বিশ্বে যত ধরনের খেলাধুলা প্রচলিত আছে তার মধ্যে জনপ্রিয়তা ও অর্থনৈতিক উপযোগীতার বিচারে ফুটবল অন্যতম একটি খেলা। ধনী-গরীব প্রায় সকল দেশেই সারা বছর ব্যাপী ফুটবল খেলা হয়ে থাকে। এই ফুটবল খেলা চলে দেশে দেশে স্থানীয়ভাবে, লীগ ভিত্তিক কিংবা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবেও। আর তাইতো সারা বিশ্বে দেখা যায় আরব কাপ ফুটবল,আফ্রিকান দেশ কাপ ফুটবল,ইউরো কাপ ফুটবল কিংবা দক্ষিণ আমেরিকান কনফেডারেশন কাপ ফুটবল । এসব খেলা হয়ে হয়ে থাকে দেশ-মহাদেশ ভিত্তিক বা এক একটি এলাকা নিয়ে। আর প্রতি চার বছর পর পর সারা দুনিয়ার সকল জাতিগোষ্ঠী থেকে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ৩২ টি দল দিয়ে বৈশ্বিকভাবে যে ফুটবল আসরের আয়োজন করা হয় তাকেই বলা হয় বিশ্বকাপ ফুটবল। ফিফা বিশ্বকাপ (FIFA World Cup ) যা ফুটবল বিশ্বকাপ নামেও পরিচিত এবং এটি একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যেখানে ফিফা (Federation Internationale Football Association বা আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ) এর সহযোগী দেশগুলোর পুরুষ জাতীয় ফুটবল দল অংশ নেয়। ফিফা বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। ১৯৩০ সালে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং এখন পর্যন্ত চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি।

সাধারণত ফুটবল বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতাটি দুটি ভাগে বিভক্ত। বাছাইপর্ব ও চূড়ান্ত পর্ব । চূড়ান্ত পর্যায়ে কোন দল খেলবে তা নির্বাচনের জন্য অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে বাছাইপর্বে অংশ নিতে হয়। বর্তমানে মূল বিশ্বকাপের আগের তিন বছর ধরে প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার বর্তমান ধরন অনুযায়ী ৩২টি জাতীয় দল চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়। আয়োজক দেশে প্রায় একমাস ধরে এই চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা চলে। এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ২১টি আসরে কেবল ৮টি জাতীয় দল বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে। বর্তমান শিরোপাধারী চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। সর্বশেষ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে রাশিয়ায়, ২০১৮ সালের ১৪ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। সেই বিশ্বকাপে ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে ৪-২ গোলে পরাজিত করে শিরোপা জিতে নেয়।


ছবি - google.com


ফিফা (কাতার ) বিশ্বকাপ -২০২২

ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপের ২২তম আসর বসতে চলেছে মধ্যপ্রাচ্যের মরুর মুসলিম দেশ কাতারে। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে ( নভেম্বর ২১ - ডিসেম্বরে ১৮) দেশটির পৃথক পাঁচটি শহরের ৮টি স্টেডিয়ামে লড়বে ৩২টি দল বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে। সাধারণত জুন-জুলাইয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন হলেও কাতারের উষ্ণ মরু আবহাওয়ার কারণে বছরের শেষদিকে হবে এবারের টুর্নামেন্ট। শীত আসন্ন হওয়ায় খেলোয়াড় এবং দর্শকদের কথা চিন্তা করেই কাতার বিশ্বকাপ পিছিয়েছে ফিফা।


ছবি - Alamy Stock Photo

কেমন হলো এবারের বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান -

কাতারের রাজধানী দোহায় গত ১লা এপ্রিল ২০২২ হয়ে গেল সালের ফিফার এবারের বিশ্বকাপের ড্র। মুসলিম দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম কোনো দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের আয়োজক হচ্ছে কাতার যে আয়তনে খুবই ছোট (১১,৪৩৭ বর্গ কিঃমিঃ) কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে খুবই শক্তিশালী একটি দেশ। ১ লা এপ্রিল - ২০২২ , শুক্রবার দেশটির "দোহা এক্সিবিশন অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে" জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরস্কার বিজয়ী অভিনেতা ইদ্রিস এলবা এবং প্রখ্যাত ক্রীড়া উপস্থাপিকা রেশমিন চৌধুরী উক্ত অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন। প্রায় ৪০ মিনিট স্থায়ী সরাসরি পরিবেশনা (লাইভ পারফরম্যান্স) গুলিতে কাতারের ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার সংমিশ্রণে আকর্ষণীয় স্পটলাইট উজ্জ্বল করতে ফাইনাল-ড্র শো কাতারের ইতিহাস এবং ভবিষ্যৎকে জমকালো ফুটবল উদযাপনে মিশ্রিত করতে এবং সারা বিশ্বের প্রতিটি কোণে লাইভ দেখানো হয় । এবারের বিশ্বকাপের অংশগ্রহণকারী ৩২টি দলের মধ্যে তখন পর্যন্ত ২৯টি দল তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছিল। আর বাকি তিনটি দল প্লে-অফ খেলে জুনে তাদের জায়গা করে নিয়েছে এবারের আসরে।

ড্র অনুষ্ঠানে শো বিনোদনের মধ্যে ছিল ফিজিরির ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র শিল্পের একটি লাইভ অডিওভিজ্যুয়াল পারফরম্যান্স, যা ফয়সাল আল তামিমি এবং গ্রেগ এম জনসন দ্বারা রচিত এবং আলি আল-হাদ্দাদ অভিনীত, যেখানে প্যারিসের ল্যুভর থেকে বিশ্বজুড়ে আইকনিক ভবনগুলির ভিজ্যুয়াল দেখানো হয়েছিল।


ছবি - fifplay.com

কে পড়ল কোন গ্রুপে বা কে খেলবে কার সাথে

আগামী ২১ নভেম্বর কাতারে বসবে ফুটবল বিশ্বকাপের জমকালো আসর যার বাকী আর মাত্র ১০০ দিন।" দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ"-কে বরণ করে নিতে অপেক্ষায় সারা দুনিয়ার মানুষ। তার সাথে এবার সবার আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে কাতারের শৈল্পিক স্টেডিয়ামগুলো। আর ১০০ দিন পরেই সারা বিশ্ব কাঁপবে ফুটবল জ্বরে এবং সেই জ্বরে সবাই বুদ হয়ে থাকবে প্রায় ২৮ দিন ধরে। এবারের আসর ২১শে নভেম্বর সোমবার থেকে শুরু হবে এবং এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে (২৮ দিন) শেষ হবে ১৮ ডিসেম্বর রবিবার যা কাতারের জাতীয় এবং স্বাধীনতা দিবসও ।

২০২২ সালের বিশ্বকাপের টুর্নামেন্টটি ৩২ টি দল ( ৮টি গ্রুপ), গ্রুপ পর্বে প্রত্যেকে প্রত্যেকের সাথে মুখোমুখি হবে এবং প্রতিটি গ্রুপ থেকে শুধুমাত্র শীর্ষ দুটি দল (চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ ) পরবর্তী পর্বে (নক আউট পর্ব - যার দল হবে ১৬টি ) যাবে।

আসুন,এক নজরে দেখে নিই বিশ্বকাপের আট গ্রুপের সদস্যদের -

গ্রুপ এ - কাতার, নেদারল্যান্ডস, সেনেগাল, ইকুয়েডর।

গ্রুপ বি - ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, ওয়েলস

গ্রুপ সি - আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, পোল্যান্ড, সৌদি আরব।

গ্রুপ ডি - ফ্রান্স, ডেনমার্ক, তিউনিসিয়া, অস্ট্রেলিয়া

গ্রুপ ই - স্পেন, জার্মানি, জাপান, কোস্টারিকা

গ্রুপ এফ - বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো, কানাডা।

গ্রুপ জি - ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড, সার্বিয়া, ক্যামেরুন।

গ্রুপ এইচ - পর্তুগাল, উরুগুয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, ঘানা।

বিশ্বকাপ ২০২২ টুর্নামেন্ট ফরম্যাট এবং খেলার সূচী -

গ্রুপ পর্বে বেঁচে থাকা ১৬ টি দল থেকেই নকআউট প্রতিযোগিতা শুরু হবে। যেখানে বিজয়ী দল পরবর্তী পর্বে এগিয়ে যাবে, আর পরাজিতরা ঘরে ফিরে যাবার বিমান ধরবে। প্রতি খেলায় একজনকে বিজয়ী হতে হবে। খেলার ফলাফল নির্ধারিত সময়ে না হলে প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় খেলবে এবং তাতেও ফলাফল না আসলে পেনাল্টি কিক ব্যবহার করা হবে।

২০২২ সালের মৃত্যুর দল বা Death Group কোনটি -

গ্রুপের সদস্যদের ফুটবল শক্তি-ক্ষমতা,অতীত ইতিহাস এবং বর্তমান খেলোয়ারদের কর্মক্ষমতার বিচারে প্রতি বিশ্বকাপে ফুটবল বিশেষজ্ঞদের দ্বারা একটি গ্রুপকে মৃত্যুর দল বা Death Group হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। যেখানে গ্রুপের প্রায় সমস্ত দলেরই ফুটবলের সমৃদ্ধ অতীত ইতিহাসের সাথে সাথে বর্তমান বিশ্ব ফুটবলেও যাদের ভাল অবস্থানে আছে এবং এরা সবাই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।আর এসব বিচারে যে দলটিকে অন্যদের তুলনায় বেশি প্রতিযোগিতামূলক বলে মনে করা হয় তাকেই আখ্যায়িত করা হয় "মৃত্যুর দল" হিসাবে ।

এবারের বিশ্বকাপে যদিও সুস্পষ্ট ভাবে কোনো "গ্রুপ অব ডেথ" নেই তবে দলগুলোর শক্তি-সামর্থ্যের বিচারে গ্রুপ " ই / E " সবচেয়ে কঠিন গ্রুপ বলে মনে হচ্ছে। কারন, গ্রুপ " ই / E "- তে রয়েছে ইউরোপের দুই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ও স্পেন। জার্মানি চারবার বিশ্বকাপ জিতেছে (১৯৫৪,১৯৭৪,১৯৯০ এবং ২০১৪), স্পেন ২০১০ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গ্রুপ " ই / E " এ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল জাপানও রয়েছে। আর তাই এসব কিছু বিচারে জার্মানি, স্পেন, জাপান এবং কোস্টারিকাকে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ এ গ্রুপ অফ ডেথ হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে।




আল রায়ান স্টেডিয়াম (দোহা)।

কাতার বিশ্বকাপের শৈল্পিক স্টেডিয়ামগুলো -

প্রতি ৪ বছর পর পর বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই এক উত্তেজনা-শিহরন-আবেগের এক চরম প্রকাশ , যা নিয়ে সারা দুনিয়ার সব দেশেই মাতামাতি হয়ে থাকে এবং সারা বিশ্ব বুদ হয়ে থাকে ফুটবলের নেশায় । তার সাথে সাথে সমর্থক-দর্শকরা দলের বিজয়ে যেমন আনন্দ-উল্লাস করে ঠিক তেমনি সমর্থিত দলের পরাজয়ে ভেংগে পড়ে হতাশায়। আর তাই "দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ" কে বরণ করে নিতে অপেক্ষায় সারা দুনিয়া । গত প্রায় ৩ বছর যাবত করোনা অতিমারী ও সাম্প্রতিক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কিংবা চায়না-আমেরিকা সংকটের মাঝেও সাধারন মানুষের মাঝে বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে আগ্রহ কমবে বা কমেছে বলে মনে হয়না। আবার কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের সাথে সাথে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে কাতারের শৈল্পিক স্টেডিয়ামগুলো। উল্লেখ্য যে, কাতার বিশ্বকাপ হবে ৮টি স্টেডিয়ামে যার সবগুলিই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও নান্দনিক স্থাপত্য শৈলিতে নির্মিত যেন শিল্পীর তুলির নিখুঁত ছোঁয়া ।




আল থুমামা স্টেডিয়াম (দোহা)।
ছবি - thestadiumbusiness.com

কাতারে বিশ্বকাপের খেলা কখন শুরু হবে -

গ্রুপ পর্যায়ের খেলা - ২১ শে নভেম্বর - ২ রা ডিসেম্বর ২০২২ ( গ্রুপ পর্বের খেলা শুরু হবে ২১ শে নভেম্বর সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৫ টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৮ টা) আল থুমামা স্টেডিয়ামে, যাতে মুখোমুখি হবে সেনেগাল বনাম নেদারল্যান্ডস । যার ধারন ক্ষমতা ৪০,০০০ জন।

গ্রুপ পর্বে প্রতিদিন চারটি পর্যন্ত ম্যাচ হবে এবং তা সারাদিন চলতে থাকবে। প্রতিটা স্টেডিয়াম ও খেলার সময়সূচী (স্থানীয় সময় ভোর ৫ টা,সকাল ৮ টা, সকাল ১১ টা এবং দুপুর ২ টা) এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে যে কোন দর্শক চাইলে ও টিকেট প্রাপ্তি সাপেক্ষে একাধিক ম্যাচ স্টেডিয়ামে বসে দেখতে পারবে।




রাস আবু দাউদ স্টেডিয়াম

রাউন্ড ১৬ -

রাউন্ড ১৬ খেলা চলবে ৩ - ৬ ই ডিসেম্বর ২০২২ । প্রতিদিন দুটি করে খেলা চলবে যা শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল ১০ টা এবং দুপুর ০২ টায়।




খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ( দোহা )


কোয়ার্টার ফাইনাল - কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা চলবে ৯ - ১০ শে ডিসেম্বর ২০২২ । প্রতিদিন দুটি করে খেলা চলবে যা শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল ১০ টা এবং দুপুর ০২ টায়।




এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম (দোহা)

সেমিফাইনাল - সেমিফাইনাল খেলা চলবে ১৩ - ১৪ ই ডিসেম্বর ২০২২ । প্রতিদিন একটি করে খেলা চলবে যা শুরু হবে স্থানীয় সময় দুপুর ০২ টায়।




আল বাই্য়্যেত স্টেডিয়াম (আল খোর )

তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ - তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ হবে ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ স্থানীয় সময় সকাল ১০ টায় খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।




আল ওয়াককরাহ স্টেডিয়াম (দোহা)
ছবি - archdaily.com

ফাইনাল - ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ (বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা শুরু হবে ১৮ ই ডিসেম্বর , রোববার স্থানীয় সময় সকাল ১০ টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১ টা) লুসাইল স্টেডিয়ামে, যার ধারণক্ষমতা ৮০,০০০ জন।




লুসাইল স্টেডিয়াম (লুসাইল সিটি)
ছবি - worldbuildingsdirectory.com


কি কি কাজ করা যাবে না কাতার বিশ্বকাপে বা নিষিদ্ধ কাজ সমুহ -

ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপের ২২তম আসর বসতে চলেছে কাতারে। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশটির পৃথক পাঁচ শহরের ৮টি স্টেডিয়ামে লড়বে ৩২টি দল। কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের এই টুর্নামেন্ট দেখতে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ক্রীড়ামোদীরা যাবেন দেশটিতে। তবে আসর যে দেশেই বসুক, বিশ্বকাপ উপলক্ষে খেলা ছাড়াও আরও অনেকভাবে বিনোদন খোঁজেন দর্শনার্থীরা। এবারের আয়োজক দেশ কাতার ‘রক্ষণশীল মুসলিম’ দেশ হিসেবে পরিচিত। সে কারণে তারা মদ, পর্নোগ্রাফি, বিবাহ-বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক, সমকামিতার মতো বেশ কিছু কাজের ওপর দিয়েছে নিষেধাজ্ঞা। আসুন, এক নজরে দেখি যে সব জিনিষ বা কাজ কাতারে নিষিদ্ধ বা বিশ্বকাপ উপলক্ষেও করা যাবেনা কাতারে -


ছবি - istockphoto.com

১ । ই-সিগারেট বা ভেপ নিষিদ্ধ

বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাতারে নেশাজাতীয় পানীয় / মদের সাথে সাথে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও কাতারে ভেপিং বা ই-সিগারেট গ্রহণ নিষিদ্ধ ২০১৪ সাল থেকেই। কাউকে যদি ভেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়, তাহলে কাতারে আপনাকে ১০ হাজার রিয়াল বাংলাদেশি অর্থে যা দাঁড়ায় প্রায় ৩ লাখ টাকারও কিছু বেশি। এখানেই শেষ নয়, সঙ্গে হতে পারে ৩ মাসের জেলও। পুরোনো এই আইনটি সম্প্রতি আবারও সামনে এনেছে ইংলিশ সংবাদ মাধ্যম। আর কিছুদিন পরেই যে বিশ্বকাপ, সেখানে থাকবে প্রচুর ইংলিশ ভক্তদের আনাগোনা, যাদের অনেকেই হয়তো অভ্যাসবসত ই-সিগারেট নিয়ে গেলেও যেতে পারেন। সে কারণে আগেভাগেই দর্শকদের সতর্ক করে দিচ্ছে ইংলিশ সংবাদ মাধ্যম। সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ইউরোপে ই-সিগারেট বা ভেপিং জনপ্রিয়তা পাচ্ছে দিনে দিনে। মূলত এই ভেপিং করা হয় নিকোটিন ও বিভিন্ন স্বাদ-গন্ধ মিশ্রিত তরল উত্তপ্ত করার মাধ্যমে। তবে এমন কিছু কাতারে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

২০১৬ সালে কাতারের জনস্বাস্থ্য বিভাগের অসংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান ডা. খুলুদ আল মুতাওয়া বলেন, "২০১৪ সালে আইন বিভাগের নির্দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা হয়। আমরা সব সুপার মার্কেট, ফার্মেসি ও অন্যান্য আউটলেটগুলোকে বলে দিয়েছি যেন এসব বিক্রি না করা হয়। আমরা বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোর কাস্টমস বিভাগকেও বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি যেন কাতারে ই-সিগারেট আনার অনুমতি না দেওয়া হয়"। তিনি আরো বলেন," ‘মানুষজন এই দেশে অন্য দেশ থেকেও এগুলো অর্ডার করে আনতে পারবেন না। অন্যরাও এই দেশে ভেপ পাঠাতে পারবে না। যাদের কাছে ই-সিগারেট পাওয়া যাবে, তাদেরই যথাযথ শাস্তির মুখোমুখি করা হবে"।

এমন আইন থাকার কারণে দেশের ভেপ গ্রহণকারীদের কাতার বিশ্বকাপে ই-সিগারেট নিয়ে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক ভেপ ক্লাব লিমিটেডের পরিচালক ড্যান মার্চেন্ট। তিনি বলেন, "আমরা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভেপিংয়ের প্রতি ভিন্ন ভিন্ন আচরণ লক্ষ্য করেছি, কিছু কিছু জায়গায় এটা নিষিদ্ধ। যদি ভেপিং নিষিদ্ধ এমন কোনো দেশে আপনি যান, তাহলে জরিমানা কিংবা তার চেয়ে খারাপ কিছুর ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। যেসব ফুটবল ভক্তরা কাতার বিশ্বকাপে যাবেন, তাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে, কারন সেখানে শাস্তিটা বেশ কঠিন"।

তবে দেশটিতে প্রথাগত সিগারেট খাওয়ার বৈধতা দেওয়া আছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, দেশটির প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস আছে ১২ শতাংশের, যা যুক্তরাজ্যের সিগারেট খাওয়া জনসংখ্যার চেয়ে বেশ কম, যুক্তরাজ্যে ১৫ শতাংশ মানুষ সিগারেট খেয়ে থাকেন।

২। বিশ্বকাপের সময় যে সব কাজ করতে ও যে সব জিনিষ বহন করতে পারবেন না দর্শকরা

কাতার ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়ায় মদ,মাদকজাত দ্রব্য এবং সামাজিক জীবন ও পরিবেশের উপর নানাবিধ বিধিনিষেধ / প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। ফুটবল দর্শকরা নিজেদের ব্যাগেজে মদ বা অ্যালকোহল বহন করতে পারবেন না। কোনো ধরনের মাদকজাত দ্রব্য কাতারে অনুমোদিত নয়। এছাড়া পর্নোগ্রাফি, শুকরের মাংস এবং অন্যান্য ধর্মের বই নেয়া যাবে না।


ছবি - istockphoto.com

একেবারেই কি অ্যালকোহলমুক্ত হবে কাতার বিশ্বকাপ?

সফরকারীদের অ্যালকোহল বহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও একেবারেই মদ্যপান নিষিদ্ধ করা হয়নি কাতার বিশ্বকাপে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত বার এবং হোটেলগুলোতে সীমিত পরিমাণে অ্যালকোহল সরবরাহের অনুমতি দেয়া হয়েছে। মদ্যপানের ক্ষেত্রে রয়েছে বয়সসীমাও। ২১ বছরের কম কেউ অ্যালকোহল গ্রহণ করলে তাকে ৩ হাজার কাতারি রিয়াল জরিমানা করা হবে , অন্যথায় ছয় মাসের জেল।


২.১ - যেমন কাপড় পরা যাবে না -

বিশ্বকাপের দর্শনার্থীদের কাতারে রক্ষণশীল পোশাক পরতে হবে এবং পোশাকে শালীনতা রক্ষা করার অনুরোধ জানিয়েছে কাতার সরকার। হোটেলের বাইরে বের হওয়ার সময় নারীদের কাঁধ ঢাকা পোশাক পরতে হবে,সঙ্গে লং স্কার্ট অথবা ট্রাউজার পরতে হবে। সমুদ্র সৈকতে নারীদের বিকিনি পরিধানে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। তবে হোটেলের প্রাইভেট পুলে এই পোশাকে গোসল করতে পারবেন নারী সমর্থকরা। শুধু মহিলাদের ক্ষেত্রে নয়, পুরুষদের পোশাকেও বাধ্যবাধকতা দিয়েছে কাতার সরকার। জনসম্মুখে খালি গায়ে এবং শর্টস পরে ঘোরাফেরা করা যাবে না।

২.২ - " অবৈধ যৌন মিলন " (ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড) নিষিদ্ধ -

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মিরর জানিয়েছেন, এবারের বিশ্বকাপে এক রাতের"অবৈধ যৌন মিলন" (ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড) নিষিদ্ধ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রতিটি ম্যাচ শেষেই রাতভর পার্টি চলে কিন্তু কাতারে তা নিষিদ্ধ। দর্শকদের সাবধান করে দিয়ে দেশটির পুলিশ জানায়, " দম্পতি না হলে বিশ্বকাপ দেখতে এসে যৌন মিলন করা যাবে না"। এই প্রতিযোগিতায় এক রাতের যৌনমিলন থাকবে না। পুলিশ আরও জানিয়েছে, কোনো পার্টি করা যাবে না। নিয়ম না মানলে জেল হতে পারে। বিশ্বকাপে এই প্রথমবার এভাবে যৌন মিলন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে এবং এ ব্যাপারে সমর্থকদের সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধরা পড়লে তার সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে।

২.৩ - বিবাহবহির্ভূত সঙ্গী নিয়ে যাওয়া যাবে না কাতারে -

কাতারে বিবাহ বহির্ভূত যৌন মিলন সম্পর্ক একেবারেই নিষিদ্ধ। দেশটিতে এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। যদিও বিশ্বকাপের আয়োজক সংস্থা ফিফা বলছে, সব ধরনের মানুষকে এই প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। তবে,কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে আসা সমর্থকদের সঙ্গী নির্বাচনে সীমাবদ্ধতা দেয়া হয়েছে। বিয়ে ব্যতীত প্রেমিক - প্রেমিকারা হোটেলে এক সঙ্গে অবস্থান করতে পারবেন না কাতারে।

২.৪ - সমকামী সম্পর্ক নিষিদ্ধ

কাতারে সমকামী সম্পর্ক নিষিদ্ধ। এছাড়া সমকামীতাকে জোরালোভাবে অনুৎসাহিত করা হয়েছে কাতার বিশ্বকাপে । অভিযোগ প্রমাণ হলে জেল-জরিমানার ঘোষণাও দিয়ে রেখেছে দেশটির সরকার। কাতার সুপ্রিম কমিটির পক্ষ থেকেও সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কাতার ফুটবল সংস্থার সেক্রেটারি বলেন, "কাতার খুব রক্ষণশীল দেশ। এখানে অনেক কিছুই সম্ভব নয়। সমকামিতা শুধু সেখানে প্রকাশ করা উচিত যে দেশে এটা মানা হয়"।

কাতার বিশ্বকাপে ফিফার প্রধান নির্বাহী নাসের আল খাতের বলেন, "প্রত্যেক সমর্থকের নিরাপত্তা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সবার সামনে ব্যক্তিগত ভালোবাসা দেখানো আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়। সেটা সবার জন্যই প্রযোজ্য"।




West bay
ছবি - iloveqatar.net


Corniche
ছবি - iloveqatar.net


Lusail Katara Hotel
ছবি - iloveqatar.net

কাতার বিশ্বকাপে যা কিছু প্রথম হচছে -

১। কোন মুসলিম দেশে ও মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম বিশ্বকাপ -

কোন মুসলিম দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রথম বিশ্বকাপ ও দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানে ২০০২ অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর এশিয়ার মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম বিশ্বকাপে এবং সব মিলিয়ে এটি এশিয়ার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। মহাদেশগুলির মধ্যে, ইউরোপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১১ টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে। দক্ষিণ আমেরিকা ৫ টি, উত্তর আমেরিকা ৩ টি এবং আফ্রিকা ১ টি আয়োজন করেছে।

২। প্রথমবারের মত জুন-জুলাইয়ের পরিবর্তে নভেম্বরের শীতকালে বিশ্বকাপ -

এই প্রথমবারের মতো, থ্যাঙ্কসগিভিংস ডে - এ (থ্যাঙ্কসগিভিং ডে হলো নভেম্বর মাসের চতুর্থ বৃহস্পতিবার এবং উত্তর আমেরিকা মহাদেশে এ দিনটিকে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয়। এ দিনটির অর্থ ফসল কাটার মরসুম এবং বছরের অন্যান্য আশীর্বাদ উদযাপন করা । ২০২২ সালের থ্যাঙ্কসগিভিংস ডে হলো 24 নভেম্বর বৃহস্পতিবার ) বিশ্বকাপের ম্যাচ হবে। কাতারের গ্রীষ্মকালীন প্রচন্ড গরমের কারণে, এবারের বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টটি তার স্বাভাবিক সময় জুন-জুলাই থেকে নভেম্বরে সরানো হয়েছে। এটিই হবে প্রথম বিশ্বকাপ যা মে, জুন বা জুলাই মাসে হচছেনা।

৩। ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপ -

কাতার ২০২২ সালের বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়াম নির্মাণ সহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করছে বলে জানা গেছে ,যা কাতারকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপে পরিণত করেছে। তুলনামুলক ভাবে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে রাশিয়া ১০ থেকে ১৫ বিলিয়ন খরচ করেছে বলে জানা যায়।

৪। কাতারের বিশ্বকাপের সব স্টেডিয়াম খুবই নিকটবর্তী ও সর্বোচ্চ দূরত্ব সড়ক পথে এক ঘণ্টার মধ্যে -

কাতারের বিশ্বকাপের সব স্টেডিয়াম একে অপরের খুবই নিকটবর্তী এবং সর্বোচ্চ দূরত্ব সড়ক পথে এক ঘণ্টার মধ্যে ।এ কারনে ২০২২ সালের বিশ্বকাপে ভেন্যু থেকে ভেন্যুতে যেতে দর্শক-খেলোয়াড়দের বেশি দূর ভ্রমণ করতে হবে না যা তাদের সময় ও অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য কারী হবে। কাতারের আটটি বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম একে অপরের থেকে গাড়ি চালানোর এক ঘন্টার মধ্যে। আর এমনটা হওয়ার পিছনে যে কারন কাজ করেছে তা হলো কাতার আয়তনে খুবই ছোট একটি দেশ।

৫। ৩২ টি দল নিয়ে শেষ বিশ্বকাপ

কাতার বিশ্বকাপই শেষ ৩২ টি দল নিয়ে খেলা শেষ বিশ্বকাপ । ২০২৬ সাল থেকে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে ৪৮ দল, যার শুরু হবে ২০২৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্বকাপে।২০২৬ সাল বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম হবে যেটিতে ৪৮ টি দল অংশগ্রহণ করবে। কাতারে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ৩২ দলের ফর্ম্যাটে ৭ম এবং শেষ বিশ্বকাপ হবে।

আইন-শৃংখলা,নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক অবস্থার বিচারে কাতার সারা পৃথিবীতে প্রথম সারির একটি দেশ। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসাবে তারা যেসব উন্নয়নমূলক কাজ করেছে তা এককথায় অভুতপূর্ব। আর এসবই সম্ভব হয়েছে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দুরদর্শী ও বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং Supreme Committee for Delivery & Legacy 'র সার্বিক তত্ত্বাবধানে। আর তাই সব কিছু মিলিয়ে আশা করা যায় , ২০২২ সালে ফুটবল প্রেমীরা কাতারে একটি চমৎকার,আকর্ষনীয় ও নিরাপদ ফুটবল বিশ্বকাপ উপভোগ করতে পারবে এবং দর্শক ও সারাবিশ্বের মানুষ পাবে মুসলিম,শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে নতুন করে পরিচিতি।

সর্বশেষ খবর -

কাতার বিশ্বকাপের সূচী কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে তা আগেই জানা গিয়েছিল তবে ফিফার অফিসিয়াল ঘোষণা এসেছে বৃহস্পতিবার ১১/০৮/২০২২ রাতে এবং কাতারের বিশ্বকাপের সার্বিক তত্ত্বাবধানকারী "Supreme Committee for Delivery & Legacy '' নিশ্চিত করেছেন শুক্রবার ২০২২ । সর্বশেষ খবর অনুসারে, কাতারে ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হবে পূর্বের নির্ধারিত সময় ২১/১১/২০২২ এর চেয়ে একদিন ২০/১১/২০২২ আগে , যেখানে স্বাগতিক কাতার ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে। আর ফিফা এটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে বৃহস্পতিবার (১১/০৮/২০২২)। আগের সূচী অনুসারে প্রথম ম্যাচ হতো সেনেগাল বনাম নেদারল্যান্ডস এর। এর ফলে বিশ্বকাপের সময় বেড়ে ২৮ দিন থেকে ২৯ দিন হল। তবে নতুন সূচী অনুসারে শুরু একদিন আগে হলেও ফাইনালের দিন ঠিকই থাকছে ১৮ ই ডিসেম্বরে।

হঠাৎ করে কেন বদলানো হলো কাতার বিশ্বকাপের সূচী ? এর জবাবে ফিফার বিবৃতিতে বলা হয়েছে,"এই সিদ্ধান্ত ফিফার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করবে যেখানে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হয়ে থাকে স্বাগতিক বা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। আর এই পরিবর্তন এর মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপের শুরু থেকে চলে আসা ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হলো।

আর প্রথম ম্যাচের সময়ের পরিবর্তনের ফলে ২১ নভেম্বরের নেদারল্যান্ডস বনাম সেনেগালের ম্যাচটির সময় পুনঃনির্ধারিত করা হয়েছে।দিনের বাকী ২ খেলার সময় অপরিবর্তিত রয়েছে।

শুক্রবার ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের সার্বিক তত্ত্বাবধানকারী "Supreme Committee for Delivery & Legacy '' কর্তৃক প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে ফিফার এই সিদ্ধান্তের জন্য আয়োজক দেশটির সমর্থনও নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, "দর্শক-সমর্থকদের উপর এই সিদ্ধান্তের প্রভাব ফিফা দ্বারা মূল্যায়ন করা হয়েছে। এই পরিবর্তন দ্বারা প্রভাবিত দর্শক-সমর্থকদের জন্য একটি সফল টুর্নামেন্ট নিশ্চিত করতে আমরা একসাথে কাজ করব এবং সেই ম্যাচের টিকিটধারীদের ইমেলের মাধ্যমে যথাযথভাবে অবহিত করা হবে যে প্রাসঙ্গিক ম্যাচগুলি পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে এবং তাদের টিকিটগুলি নতুন তারিখ / সময় অনুসারে বৈধ থাকবে বা তারা একই টিকেট দিয়ে পরিবর্তীত সূচী অনুযায়ী ম্যাচ দেখতে পারবে।

তথ্যসূত্র ও সহযোগীতায় - উইকিপিডিয়া,আল জাজিরা,গালফ নিউজ,বিবিসি,সিএনএন ও nbcnewyork/sports।

=====================================================================

কাতার বিষয়ক আরো দুটি পোস্ট -

২। " বিশ্ব সেরা বিমানবন্দর - ২০২১ " - বিশ্বের সেরা কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (স্কাইট্র্যাক্সের বার্ষিক র‍্যাংকিং অনুসারে) ও আমাদের অবস্থান।লিংক - Click This Link
১।ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২, কাউন্ট ডাউন (২০/১১/২০২০) দুই বছর বাকি।কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ প্রস্তুতির সর্বশেষ আপডেট। - Click This Link

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:৫৪

জোবাইর বলেছেন: অনেকগুলো তথ্য একসাথে সুন্দরভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ। বিশেষ করে ছবি ও তথ্যসূত্রের উল্লেখসহ প্রতিটি বিষয়কে আলাদাভাবে উপস্থাপন করায় পোস্ট দীর্ঘ হলেও পড়তে অসুবিধা হয়নি। তবে শিরোনামটি এখনও আগের ট্র‌্যডিশনে রয়ে গেছে অর্থাৎ খুবই লম্বা! তিন বাক্যের :) শিরোনাম যতটুকু সম্ভব ছোট হওয়াই ভালো। লম্বা হলেও অবশ্যই এক বাক্যের হওয়া উচিত। শুভেচ্ছা নেবেন, ভালো থাকুন।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জোবাইর ভাই, কষ্টকরে আপনার পোস্ট পড়া ও চমতকার একটি মন্তব্যের জন্য।

লেখা আপনার কাছে ভাল লেগেছে ও পড়তে খারাপ লাগেনি জেনে খুবই ভাল লাগলো। আসলে এক লেখায় সবগুলি তথ্য দিতে চাইলে লেখা বড় হয়ে যায়। আর এটা আমার একটা বদভ্যাস ও বলতে পারেন। লিখতে গেলে খালি মনে হয় কি বাদ পড়ে গেল বা আর কিছু কি দরকারী তথ্য আছে যা যোগ করা দরকার । এ করতে করতেই লেখা ----------------

শিরোনাম ---------------

দেখেনত ভাই , এখন ঠিক আছে কিনা?
আপনার পরামর্শ ভবিষ্যতে শিরোনাম দেয়ার সময় মনে রাখতে চেষ্টা করব।

আবারো ধন্যবাদ রইলো ভাই আপনার প্রতি এবং দোয়া র|ইলো ভাল থাকার।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অনেকদিন পরে পোস্ট করলেন।
বিশাল বড় পোস্ট।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ দস্যু ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

অনেকদিন পরে পোস্ট করলেন।

সময় পাইনারে ভাই , কামলা খাইটা। আগে ত পেট পুজা তার পর সাহিত্যের আরাধনা।

বিশাল বড় পোস্ট।

কি আর করা ভাই ।
চাইলেও ছোট হয়না।
একটু কষ্ট করে পড়ে নিবেন ,এই আরকি চাওয়া।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫১

শায়মা বলেছেন: আমি মনে হয় একটাই মানুষ যার স্পোর্টসে খুব একটা আনন্দ নেই।


শুধু বাংলাদেশ জিতলেই হলো। :)

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা বনি, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আমি মনে হয় একটাই মানুষ যার স্পোর্টসে খুব একটা আনন্দ নেই।

- এ দোষের কোন বিষয় নয় বনি, এ মানব প্রকৃতিরই অংশ। একেক জনের আগ্রহ - আনন্দ একেক বিষয়ে। যেমন - আপনার আগ্রহ - আনন্দ ঘর সাজানো এবং মজার মজার খাবার দাবার তৈরীতে।

শুধু বাংলাদেশ জিতলেই হলো। :)

- বনি যে কি বলেন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আমাদেরকে কি কেউ হারাতে পারবে? যে কোন কিছুতেই ।
আমরা জানি আমাদেরকে কেউ হারাতে পারবেনা আর তাইতো আমরা যামুনা এত দূরে মরুর দেশে পরিবার-পরিজন ছেড়ে খেলতে।

আর খেলা ছাড়াই ত আমাদের দেশে কাপ চইলে আসে , তাইলে খেলুক কিললাই কন?

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০২

জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার লেখা পেলাম। ফুটবল নিয়ে আমার তেমনটা ক্রেজ নাই। যারা ভালো খেলে তাদেরই সাপোর্টার আমি।

১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

অনেক দিন পর আপনার লেখা পেলাম।

ভাইরে, আমরা আমজনতা ত বেহেশতে নাই যে হুর-গেলমান-আলাদীনের দৈত্যরা সব রেডি করে দিবে আর আমরা বসে বসে খাব।সাধারন মানুষের কাতারে থেকে দুইবেলা দুইমুঠো খাবার যোগাড়ের ব্যবস্থা করার পর সময় পাইনারে ভাই , কামলা খাইটা।তাও মরুর বুকের ৪০-৪৫ ডিগ্রী গরমে। কোন লেখক যেন বলেছিলেন , " আগে চাই বাংলা ভাষার গাথুনী,তারপর ইংরেজী শিখার পত্তন"। উনার সাথে মিলিয়ে বলতে হয়, " আগে পেট পুজা তার পর সাহিত্যের আরাধনা"। আর তাই----------------------

ফুটবল নিয়ে আমার তেমনটা ক্রেজ নাই। যারা ভালো খেলে তাদেরই সাপোর্টার আমি।

- আমারও আপনার একই রকম অবস্থা , সেই রকম মানে কাউকে এতটা বালা ;) বাই না তয় ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনা জিতলে ভাল লাগে, এই আরকি ভাইজান।

আর সর্বোপরী কানে কানে একটা কথা কই , " আমার মনে বিয়ের পর সংসারের চাপে চিরে-চ্যাপ্টা হতে হতে আবেগটা কইমে যায় । যে কোন বিষয়ে আবেগটা আর সেইভাবে বেরিয়ে আসেনা যেটা বিয়ার আগে হালুম :(( করে বেরিয়ে আসত । ( ইডা আমার অভিমত , জানিনা আপনি আমার সাথে একমত কিনা?)

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: একসময় সেই খেলা দেখতাম। ব্রাজিল-বার্সা সাপোর্টার। রীতিমত পাগল ফ্যান বলা যায়। কিন্তু এখন আর খেলা দেখা হয় না। খবর ও রাখা হয়না। রোনালদো-কে ছেড়ে দেওয়ার কারণে রিয়ালের উপর ক্ষেপে ছিলাম। সেটার রেশ কাটতে না কাটতে বার্সা মেসিকে ছেড়ে দিল। মেসি-নেইমার এখন আমার পছন্দেরই এক দলে খেলছে এখন একসাথে। কিন্তু বার্সা-রিয়ালের উপর রাগ করে ফুটবল দেখা ও বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এখন ও চলছে রাগ-অভিমান। ব্রাজিল সাপোর্টার হিসেবে চাইব ব্রাজিল জিতুক। কিন্তু মেসি-র ও একটি কাপ পাওয়া দরকার।

১৪ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: স্বাগতম কিশোর মাইনু ভাই, আপনাকে আমার ব্লগে এবং ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

একসময় সেই খেলা দেখতাম। ব্রাজিল-বার্সা সাপোর্টার। রীতিমত পাগল ফ্যান বলা যায়।

- ভালো লাগলো, অন্তত আপনাকে একজন পেলাম এ লেখার মাধ্যমে যার ফুটবলের প্রতি অসম্ভব ভালোলাগা ছিল , যাকে বলে পাগলা সমর্থক। আসলে এ এক অন্যরকম ভালবাসা ও আবেগ । যে বা যারা এতে আক্রান্ত হয়নি সে তা কিছুতেই অনুভব করতে পারবে না।

কিন্তু এখন আর খেলা দেখা হয় না। খবর ও রাখা হয়না।রোনালদো-কে ছেড়ে দেওয়ার কারণে রিয়ালের উপর ক্ষেপে ছিলাম। সেটার রেশ কাটতে না কাটতে বার্সা মেসিকে ছেড়ে দিল। মেসি-নেইমার এখন আমার পছন্দেরই এক দলে খেলছে এখন একসাথে। কিন্তু বার্সা-রিয়ালের উপর রাগ করে ফুটবল দেখা ও বন্ধ করে দিয়েছিলাম।

- এ সম্পূর্ণরূপে চরম আবেগেরই বহিঃপ্রকাশ। যে একসময় যাকে বেশী ভালবাসে তার একটু অবহেলা বা ব্যর্থতায় নিজের আবেগেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটে এভাবেই ।

এখন ও চলছে রাগ-অভিমান। ব্রাজিল সাপোর্টার হিসেবে চাইব ব্রাজিল জিতুক। কিন্তু মেসি-র ও একটি কাপ পাওয়া দরকার।

- যতদিন আমাদের জীবন আছে ততদিন আমাদের মান-অভিমান চলতেই থাকবে। তবে আপনার মত আমিও চাই এবার আর্জেন্টিনা শিরোপা জিতুক , মেসির জন্য হলেও। কারন, এটাই হতে পারে মেসির শেষ বিশ্বকাপ।

ভাল থাকবেন এবং উপভোগ করবেন বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা - এটাই প্রত্যাশা । কারন, খেলা হলো নির্মল বিনোদনের এক মাধ্যম।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অপেক্ষায় রইলুম।

১৪ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনার মত আমি-আমরা-বিশ্ববাসী সবাই অপেক্ষায় ------------

৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৯

সাসুম বলেছেন: বিশাল লেখা ।

লেখার পেছনে মূল রিজন- কাতার কত উন্নত দেশ , সভ্য দেশ, তারা হারাম সেক্স, সমকামিতা এসব নিষিদ্ধ করেছে। সোবাহানাল্লাহ্ ,মাশাল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ্‌।

এদিকে সেই দেশে সিগারেট নিষিদ্ধ না তবে ই ভেপ নিষিদ্ধ! মানে গাঞ্জা কি পরিমান খাইলে এই ধরনের আইন করতে পারে একটা দেশ!

তবে ইন্টারেস্টিং বিষয় টা হল যেটা আপনি সযতনে এড়িয়ে গিয়েছেন। মানে চেরি পিকিং করে ভাল জিনিষ টা বের করেছেন বাট খারাপ জিনিষ টা বাদ দিছেন। এটা যদিও আপনার পুরানো অভ্যাস।

যাই হোক আমি না হয় তুলে ধরি-

এই বিশ্বকাপ আয়োজন কোন মতেই কাতারে হবার কথা ছিল না, সকল কল্পনা জল্পনা শেষে সবাইকে অবাক করে দিয়ে কাতার এটার দায়িত্ব পায়।

কিভাবে? দুর্নীতি করে, চুরি করে, ঘুষ দিয়ে।

ততকালীন উয়েফা প্রেসিডেন্ট এবং সেপ ব্লাটার এর পর নেক্সট ফিফা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দৌড়ে থাকা কিংবদন্তী মিশেল প্লাতিনি ১.৩৫ মিলিয়ন পাউন্ট ঘুষ নিয়ে কাতার কে এই বিশ্বকাপ আয়োজন পাইয়ে দিয়েছিলেন। সেজন্য ফুটবল থেকে প্লাতিনি নিষিদ্ধ হয়েছেন ৫ বছর আর গ্রেফতার হয়েছেন পুলিশের হাতে ।


এছাড়া,

কাতার ফুটবলের তৎকালীন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ বিন হাম্মান বিশেষ তহবিল থেকে বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় ফুটবল কর্মকর্তাদের সমর্থন আদায়ে নগদ অর্থের যোগান দিয়েছেন বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করা হয় সানডে টাইমসের রিপোর্টে। প্রতিবেদনে বলা হয়,আফ্রিকার ৩০টি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিদের নিয়ন্ত্রিত অ্যাকাউন্টে ২ লাখ ডলার দিয়েছেন বিন হাম্মান। কাতারের প্রতি সমর্থন জানাবে এ শর্তে আফ্রিকায় কিছু চ্যারিটি ফুটবলসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছেন তিনি এবং আরো অর্থের যোগান দিয়েছেন। এক কর্মকর্তা ফুটবল মাঠের উন্নয়নে নামে তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে দুই লাখ ৩২ হাজার ডলার দেয়ার জন্য হাম্মানের কাছে অনুরোধ করেছিলেন।

এছাড়া ফিফার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ত্রিনিদাদের নাগরিক জ্যাক ওয়ারনারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৬ লাখ ডলার জমা করেছেন বিন হাম্মান। এরমধ্যে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠান নিয়ে ভোটাভুটির আগে সাড়ে চার লাখ ডলার জমা দেয়া হয়েছে। অবশ্য বিন হাম্মান এ সব অভিযোগের বিষয়ে কোনো জবাব দেন নি এবং হাম্মানের পক্ষ থেকে তার ছেলেও এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকার করেছেন। এর আগেও হাম্মানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
ফিফা সভাপতি পদে নির্বাচনের চেষ্টায় কর্মকর্তাদের উৎকোচ দেয়ার ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় ২০১১ সালে বিশ্ব ফুটবল জগৎ থেকে বিন হাম্মানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।


একথা একদম ক্লিয়ার করে বলা যায়- কাতার বিশ্বকাপ এর এই আয়োজন চুরি করা, আরেক জনের কাছ থেকে ছিনিয়ে আনা, ঘুষ দিয়ে আদায় করা এবং দুর্নিতির মাধ্যমে প্রাপ্ত।


আপনি আপনার বিশাল লেখায় ইসলামিক দেশ কাতারের মূল্যবোধ, উন্নতি, আইন কানুন এবং সব মিলিয়ে দেখানোর চেস্টা করেছেন- একটা মুসলিম দেশ হিসেবে চমৎকার সব হালাল ভাবে কাতার ফুটবল আয়োজন করবে।

বাট এটা বলতে ভুলে গেছেন- এর পেছনের আয়োজন পুরাটাই হারাম ভাবে অর্জিত।

অবশ্য মোসলমান দের কাছে চুরি, ডাকাতি, ঘুষ, দুর্নিতি এসব কোন অপরাধ না, একমাত্র অপরাধ হল দুইজন মানুষ নিজ ইচ্ছা লাগালাগি করা। হোক সেটা স্ট্রেইট কাপল কিংবা হোমোসেক্সুয়াল কাপল।


আপনার এই চেরি পিকিং করে , এত বড় অপরাধের কথা বাদ দিয়ে এই বিশাল ইসলামিক রাষ্ট্র কাতার বন্দনা পোস্টে মাইনাস দিলাম।

১৪ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই ,অনেক অনেক দিন পর আপনে আমার বাড়ী আসার জন্য এবং বরাবরের মত একদম হাচা :(( মন্তব্যের জন্য।

বিশাল লেখা । লেখার পেছনে মূল রিজন- কাতার কত উন্নত দেশ , সভ্য দেশ, তারা হারাম সেক্স, সমকামিতা এসব নিষিদ্ধ করেছে। সোবাহানাল্লাহ্ ,মাশাল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ্‌।

- ভাইগো , আমার লেহার মূল ইচছা আছিল, যারা খেলা দেখতে আইব তাদের কিছুটা সাহায্য করা আর যারা ঘরে বসে খেলা দেখব তাদের দরকারী কিছু তথ্য দেয়া। ।

কিন্তু, আপনে যেভাবে ভাবছেন আমি সেভাবে যদিও ভাবিনি তয়, " আপনার কথা শুনে মনে লয়, আমনি যা বলেছেন তা মিছা কিন্তু নয়"। চিল্লাইয়া বলেন, হাচা কইলাম কিনা?

এদিকে সেই দেশে সিগারেট নিষিদ্ধ না তবে ই ভেপ নিষিদ্ধ! মানে গাঞ্জা কি পরিমান খাইলে এই ধরনের আইন করতে পারে একটা দেশ!

- এই ব্যাপারে কবি (আমি) নীরব। কারন, একটা দেশের জন্য প্রযোজ্য আইন তৈরী হয় নানা জিনিষের (সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক,ধর্মীয় ) প্রভাবের উপর নির্ভর করে। আর সে সবের জন্য আছে যথাযথ কর্তৃপক্ষ । কাজেই দেশের (সে আমার নিজের কিংবা পরদেশ যাই হোক ) প্রচলিত আইনের সমালোচনা করা এটা মনে হয় আমার অধিকারের পরিধির বাইরে।

তবে ইন্টারেস্টিং বিষয় টা হল যেটা আপনি সযতনে এড়িয়ে গিয়েছেন। মানে চেরি পিকিং করে ভাল জিনিষ টা বের করেছেন বাট খারাপ জিনিষ টা বাদ দিছেন। এটা যদিও আপনার পুরানো অভ্যাস।

- আমাগো একেক জনের একেক দিকের বদভ্যাস আছে, ইডা অস্বীকার করার ব্যাপার না । কারন, কথায় আছে না ভাই, " সুজনে সুযশ গায়, কুযশ ঢাকিয়া" - আর তাই আমি হয়ত খারাপটা বাদ দিয়ে শুধু ভালটাই (উপর) দেখিয়েছে ,ভিতরে যাইনি।

কারন, ভাই দেখেন - আমরা আশরাফুল মাখলুকাত, বাহিরে দেখতে আমরা সবাই বড় সৌন্দর্যময় । "সেই আমাদেরই যদি ভিতর দেখতে যান তাহলে দেখবেন মূত্র-বিষ্ঠায় পরিপূর্ণ এক ময়লার চলমান ভাগাড়"। দেখতে আমি-তুমি-সে যতই ভাল দেখাক না কেন।

এখন আপনি যদি ইডা (অন্যের দোষ ঢেকে রাখা) আমার বদভ্যাস হিসাবে বিচার করেন তবে আমি এই দোষে দোষী যা আমি নিজে নিজেই স্বীকার করে নিলাম এবং আপনার প্রদত্ত যে কোন শাস্তি মাথা পেতে নিয়ে নিব।

১৪ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: যাই হোক আমি না হয় তুলে ধরি - এই বিশ্বকাপ আয়োজন কোন মতেই কাতারে হবার কথা ছিল না, সকল কল্পনা জল্পনা শেষে সবাইকে অবাক করে দিয়ে কাতার এটার দায়িত্ব পায়।

কিভাবে? দুর্নীতি করে, চুরি করে, ঘুষ দিয়ে।

ততকালীন উয়েফা প্রেসিডেন্ট এবং সেপ ব্লাটার এর পর নেক্সট ফিফা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দৌড়ে থাকা কিংবদন্তী মিশেল প্লাতিনি ১.৩৫ মিলিয়ন পাউন্ট ঘুষ নিয়ে কাতার কে এই বিশ্বকাপ আয়োজন পাইয়ে দিয়েছিলেন। সেজন্য ফুটবল থেকে প্লাতিনি নিষিদ্ধ হয়েছেন ৫ বছর আর গ্রেফতার হয়েছেন পুলিশের হাতে ।


- আপনের মত আমিও বলি , " যাহা রটে তাহা কিছুনা কিছু বটে" । আবার আমরা সবাই এও জানি, সারা দুনিয়ার যে কোন (কার্য কিংবা ঘটনা) কিছুই ঘটে থাকে দুজনের মাঝে এবং তা ঘটে থাকে উভয়ের দেয়া-নেয়ার সামর্থ্যের মাঝে। আর এরজন্য আসলে সার্বজনীন কোন আইন বা নিয়ম নীতি ও নেই।

এখন কাতার যদি ফিফাকে ম্যানেজ ;) করে বিশ্বকাপ আয়োজনের যুযোগ পেয়ে থাকে ( এটা ম্যানেজ বা প্রমাণ করেই পেতে হবে যে কোন আয়োজককে। কারন, ফিফা যে কাউকে এত বড় আয়োজনের সুযোগ দিবেনা। তারা দেখবে অনেক কিছুই) তবে এটা একের দৃষ্টিতে বৈধ হলেও অন্যের দৃষ্টিতে অবৈধ বলে বিবেচিত হতে পারে।

এর সবচেয়ে ভাল উদাহরন আমাদের দেশেই এখন চলমান। একই দলের হলেও ( বিরোধী দল দুর কি বাত ) শুধু মজা নিয়ে ঘসাঘসি (স্বার্থের সংঘাতে) যে কাউকে যে কোন ঐতিহ্যবাহী বিশেষণে ভূষিত করতে এক মুহূর্তও দেরী হয়না । তার অতীত যতই সাফসুতরো হউক যে কেউ একবার সেই ট্যাগ লাগাইলেই হইলো । হাচা-মিছা কে দেখতে যায় , বলেন?

এছাড়া, কাতার ফুটবলের তৎকালীন শীর্ষ কর্মকর্তা----------------------
একথা একদম ক্লিয়ার করে বলা যায়- কাতার বিশ্বকাপ এর এই আয়োজন চুরি করা, আরেক জনের কাছ থেকে ছিনিয়ে আনা, ঘুষ দিয়ে আদায় করা এবং দুর্নিতির মাধ্যমে প্রাপ্ত।


- এই ন্যায়-অন্যায়ের ( যদি সত্যি সত্যি তাই হয়ে থাকে) বিচারে ভার আমার মত হাভাতের নয়। এ রথি-মহারথীদের ব্যাপার।আমি শুধু খেলা দেখব আর গান গাইব - তাইরে নাইরে না ।

আপনি আপনার বিশাল লেখায় ইসলামিক দেশ কাতারের মূল্যবোধ, উন্নতি, আইন কানুন এবং সব মিলিয়ে দেখানোর চেস্টা করেছেন- একটা মুসলিম দেশ হিসেবে চমৎকার সব হালাল ভাবে কাতার ফুটবল আয়োজন করবে।

- এসব ত ভাই মিছা নয় ।

বাট এটা বলতে ভুলে গেছেন- এর পেছনের আয়োজন পুরাটাই হারাম ভাবে অর্জিত।

- আমি বিচারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ নই এবং এসব ব্যাপারে যে প্রক্রিয়া অনুসরন করা হয়েছিল সেখানে কতটুকু মান অনুসরন করা হয়েছিল তা চাইলেও আমরা প্রমাণ করতে পারব না । আর এসব প্রমাণের জন্য গত কয়েক বছর যাবত সারা বিশ্বের বড় বড় মিডিয়া ও পক্ষ-বিপক্ষ বহু চেষ্টা করছে (এক পক্ষ নিজেকে নির্দোষ আরেক তাকে দোষী ) তবে এ ব্যাপারে শতভাগ দোষী মনে হয় কাউকে করা যায়নি (সেপ ব্লাটার, মিশেল প্লাতিনি,মোহাম্মদ বিন হাম্মান,আফ্রিকান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কিংবা জ্যাক ওয়ারনার ) তেমনি শতভাগ নির্দোষও প্রমাণীত হয়নি।

কাজেই , আমি সেটা কিভাব বলব ভাই বলেন, যে এ আয়োজন পুরাটাই হারাম ভাবে অর্জিত।

অবশ্য মোসলমান দের কাছে চুরি, ডাকাতি, ঘুষ, দুর্নিতি এসব কোন অপরাধ না, একমাত্র অপরাধ হল দুইজন মানুষ নিজ ইচ্ছা লাগালাগি করা। হোক সেটা স্ট্রেইট কাপল কিংবা হোমোসেক্সুয়াল কাপল।

- আমনে মানুষটা ভাই বহুত বদ :P বদ আছেন । খালি উপর-নীচ আর লাগালাগি তে লই যান। নিজেরটা ছাড়ি যেহানে খুশি সেহানে কিংবা পিছে লাগানোর ক্ষেত্রে এহন সাবধানতা জরুরী ( হক্কলের ) , কারন - মাংকিপক্স B-)) আছেনা ।

আপনার এই চেরি পিকিং করে , এত বড় অপরাধের কথা বাদ দিয়ে এই বিশাল ইসলামিক রাষ্ট্র কাতার বন্দনা পোস্টে মাইনাস দিলাম।

- আপনি প্রদত্ত (-) মাইনাস - এটাই আমার বড় প্রাপ্তি । আপনার (-) মাইনাস অন্য যে কারো (+) প্লাস থেকে অধিক মূল্যবান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.