নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" গর্ভনিরোধ বিপ্লব\'কে স্বাগতম - ১৮ থেকে ২৫ বয়সীদের বিনামূল্যে কনডম দেয়া হবে " - প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন । ( মধুর বচন - ৩ ) ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৩


ছবি - abcnews.go.com

উৎসর্গ ও প্রেক্ষাপট - রাজিব নুর ভাইকে এবং তার লেখা ধর্ম থেকে দূরে থাকুন, ভালো থাকুন পোস্টের প্রেক্ষাপটে - লিংক - Click This Link

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ফ্রান্সের তরুণ তরুণী বা যুবক-যুবতীদের বিনামূল্যে কনডম দেবে ফ্রান্স সরকার। যৌনতা থেকে সংক্রমণ রোধ বা কমানো এবং মেয়েদের অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ ঠেকাতে সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে তারা আশপাশে থাকা ওষুধের দোকান থেকেই এই জন্মনিরোধক কনডম সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন গত বৃহস্পতিবার (০৮/১২/২০২২) এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। আহা কি আনন্দ :P আকাশে-বাতাসে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, "আগামী জানুয়ারি থেকেই ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীরা ওষুধের দোকান থেকে বিনামূল্যে কনডম সংগ্রহ করতে পারবেন"। এ পদক্ষেপকে তিনি প্রতিরোধের ছোট বিপ্লব হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, "যৌনশিক্ষার বিষয়ে দেশে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যৌনশিক্ষার বিষয়ে খুব ভাল জানি না। বাস্তবতা অনেক আলাদা। এটি এমন একটি বিষয়, যেখানে আমাদের শিক্ষকদের আরও ভালভাবে ;) শিক্ষিত করতে হবে"।

বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, ২০২০ ও ২০২১ সালে ফ্রান্সে যৌন সম্পর্ক থেকে সংক্রামক রোগের হার ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হার কমাতে এ বছর শুরুর দিকে সরকার ২৫ বছরের কম বয়সী সব নারীকে বিনামূল্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রস্তাব দেয়। এবার ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের বিনা মূল্যে কনডম দেওয়ার ঘোষণা দিল সরকার। এর আগে ২০১৮ সালে যারা চিকিৎসক বা মিডওয়াইফের পরামর্শপত্র নিয়ে ফার্মেসি থেকে কনডম কিনেছিলেন, তাদের সবাইকে ওই কনডম কেনার অর্থ একটি উদ্যোগ নিয়ে ফেরত দেয়া শুরু করে সরকার। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন বলেন, আগের জারি করা স্বাস্থ্য পরিসেবার পাশাপাশি এখন ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের বিনামূল্যে কনডম দেওয়ার পরিসেবা চলমান থাকবে। এ ছাড়া ফার্মেসি থেকে দেশের সব নারীও বিনামূল্যে জন্মনিরোধক পাবেন এবং ২৬ বছরের কম বয়সীরা এইডস ব্যতীত কোনো পরামর্শপত্র ছাড়াই যৌন সম্পর্ক থেকে সংক্রামিত রোগের বিনামূল্যে পরীক্ষা করাতে পারবেন।

উন্নত দেশ হিসাবে ফ্রান্সের সরকার নাগরিকদের জন্য নানা রকম সামাজিক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকে । তার সর্বশেষ সংযোজন হতে যাচছে বিনামূল্যের কনডম বিতরন। যেহেতু ১৮ বছর পর সেসব দেশের নাগরিকরা স্বাধীন এবং তাদের সমাজে অবাধ যৌনতা বিদ্যমান। নারী-পুরুষ নির্বিশেষ পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে যে কোন সময়-যে কারো সাথে যৌন মিলন করতে পারে , আর তাই সেখানে অবাধ যৌন সম্পর্কের কারনে যৌন সংক্রামক রোগের হারও অনেক বেশী। জনগনকে এসব রোগের হাত থেকে রক্ষা করতেই সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপ । তবে, মানুষের নৈতিক চরিত্রের উন্নয়ন,একাধিক ও অবিশ্বস্ত যৌন সংগী পরিহার এবং বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ককে নিরুৎসাহিত করে বা বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক পরিহার করেও এ সব সমস্যার প্রতিবিধান করা যায় যা ভোগবাদী সমাজে অলীক কল্পনা মাত্র। কারন, সেখানে নর-নারী সবাই, " ধর তক্তা,মার পেরেক " নীতিতে বিশ্বাসী। তাদের কাছে ভোগই জীবন, সংযম জীবনের গতিহীনতার নাম। কারন, তারা প্রগতিশীল ও আধুনিক।

ইসলাম ধর্মে তথা মুসলিম সমাজে অবাধ যৌনতা শুধু নিষিদ্ধ নয় বরং তাকে নৈতিকতা বিরোধী ও চারিত্রিক শুদ্ধতার বিরোধী হিসাবেও বিবেচনা করা হয়। ইসলামে বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ককে শুধু নিরুৎসাহিতই করা হয়নি, এর সাথে সাথে এ জাতীয় ঘৃণ্য কাজের জন্য কঠোর শাস্তি বিধানের ঘোষনাও দেয়া হয়েছে। সকল প্রকার যৌন বাহিত রোগ থেকে রক্ষা,চারিত্রিক শুদ্ধতা বজায় রাখা, বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা রক্ষা ও জন্ম পবিত্রতা রক্ষা ও অপ্রত্যাশিত জন্মের রোধের জন্য সকলেরই অবাধ যৌনতা ও বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক পরিহার করা উচিত।
=========
পূর্ববতী পোস্ট

" মধুর বচন " - ২ - Click This Link
" মধুর বচন " - ১ - Click This Link

তথ্যসূত্র -

১।France makes condoms free for 18 to 25 year olds - https://www.bbc.com/news/world-europe-63915467
২।Macron announces free condoms for 18- to 25-year-olds in France - Click This Link
৩।France to make condoms free for anyone under 25, Macron says - Click This Link
৪। বিনামূল্যে যুবক-যুবতীদের কনডম দেবে ফ্রান্স - লিংক - Click This Link

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৪

কাঁউটাল বলেছেন: রাজিব নূরের কনডম কেনার পয়শা নাই?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কাঁউটাল ভাই, আপনারছোট তবে সরস :(( মন্তব্যের জন্য।

রাজিব নূরের কনডম কেনার পয়শা নাই?

- না ভাই , আমি আসলে এভাবে ভেবে রাজিব নূর ভাইকে উৎসর্গ করিনি ।

ভাই তার লেখায় বলেছেন, জীবন একটাই । আর তাই একজীবনে যতটুকু পারা যায় জীবনকে উপভোগ করে নিতে হয়।

আর এটাই ভোগবাদীদের অন্যতম যুক্তি । আর যুক্তির উপর ভর করে ভোগ বিলাসে মেতে উঠেন এর অনুসারীরা। আর তাইতো এইডস,সিফলিস,গণোরিয়া র মত যৌনবাহিত রোগের প্রার্দুভাব সেখানে বেশী । আর তা থেকে রক্ষা পেতেই তাদের বিনামূল্যে এ উপকরন বিতরন।

জীবনের সব জায়গায় ভোগ বা বেশী বেশী স্বাধীনতা অনেক সময় ভাল ফল বয়ে আনেনা আমাদের জন্য । এটা বোঝানোই আমার লেখার উদ্দেশ্য

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ইউরোপ-আম্রিকার সগ্গোলডেরে ফ্রিতে কনডম দেওন দরকার! এগুলি যত কম বাড়বে, ততই মানুষের শান্তি।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ঋণাত্মক শূণ্য ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

ইউরোপ-আম্রিকার সগ্গোলডেরে ফ্রিতে কনডম দেওন দরকার! এগুলি যত কম বাড়বে, ততই মানুষের শান্তি।

- সবাইকেই দেয়া ;) হবে।
কেউ জাবেনা খালি হাতে ।
খালি লাইন ধরে খাড়ান আর আওয়াজ দেয়া লাগবে।

আর মানুষ না বাড়লে ভাই বিপদও আছে। দুনিয়া বিরান হয়ে যাবেনা ?

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ওরা ওদের মত আমরা আমাদের মত বাঁচবো। আমরা মুসলিম।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

ওরা ওদের মত আমরা আমাদের মত বাঁচবো। আমরা মুসলিম।

- এটাই ভাই আসল কথা ।

সবারই আছে নিজের মত করে বাঁচার অধিকার।
তারা তাদের মত করে বাঁচবে আর আমরা আমাদের মত করে।



৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ক্লাস ওয়ানে যখন পড়ি তখন একটা বাচ্চাকে কনডম দিয়ে বেলুন বানাতে দেখে আমার আম্মার কাছে জোর আবদার করলাম যে আমাকেও যেন ঐ রকম একটা বেলুন কিনে দেয়। আমার আম্মা বিভিন্নভাবে আমাকে না করতে লাগলেন। শেষে না পেরে বললেন যে এই বেলুনে মানুষ পেশাব করে। আমার একদম বিশ্বাস হয় নাই। আমি ভাবলাম আমাকে ঐ বেলুন কিনে দিতে চায় না তাই আমার আম্মা এরকম বলছেন।

আমার বউ আমাকে বলল যে তারাও যখন খুব ছোট ছিল তখন দোকানে গিয়ে এভাবে কনডমের বেলুন কিনত বেলুন ফুলানোর জন্য।

আমার ধারণা ফ্রান্সের তরুণ তরুণীদের বেলুন হিসাবে এই কনডম বিতরন করা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েলের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা হিসাবে। সামনে মনে হয় নির্বাচন।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়েচুয়াত্তুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আমার মনে হয় কনডম তথা এই রাবারের বেলুন নিয়ে সবারই এরকম ছোটখান অম্ল- মধুর অভিজ্ঞতা আছে শৈশব কালে। ২৫ পয়সা পিস দোকানে কিনতে পাওয়া যেত যা খুব সম্ভবত সরকার পরিবার পরিকল্পনা অফিসের মাধ্যমে নারীদের বিনামূল্যে বিতরনের জন্য দিত। আহা কি যে মজার দিন ছিল বেলুন ফুলানো ও উড়ানো কিংবা ফট্টাস করে ফাটানো। তবে বড় হয়ে তার প্রকৃত ব্যবহার সম্পর্কে জেনে আর ধরা হয়নি কিংবা করা হয়নি কখনো তার ব্যবহার।

আমারও তাই ধারণা। সামনে ইলেকশন।
আর তাই বেলুন বিনামূল্যে সরবরাহ সরকারের পক্ষ থেকে। যাতে করে তরুণ প্রজন্মের সবাই বেলুনে করে মজার মজার সব দেশে ঘুরে ফিরে খেলা করতে পারে।

আহা কি আনন্দ, বেলুনে ভ্রমণ।

৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪

নতুন বলেছেন: ভাই আগের জামানায় ৪ জন স্ত্রী জায়েজ ছিলো। যত ইচ্ছা দাসী ও রাখা সম্ভব সেটা তারা রাখতে পারতো।

রাজারা হেরেমে উপপত্নি থাকতো।

নিয়ম শুধুই গরীবদের জন্য রে ভাই। :((

আর STD হয় অজ্ঞতার কারনে। যদি ঠিক মতন নিরাপদ ভাবে কামকাজ করে তবে STD থেকে বাচতে পারে।

আরেকটা জিনিস হইলো। বাস্তবতা মেনে নেন ভাই।

বর্তমানের জামানায় পুলাপাইনেরে যতই গুনাহ হবে, দোজখে যাবে ভয় দেখান তারা ভয় পায় না।

তাই তারা মেশিন চালানো বন্ধ করবেনা। তাই পুলাপাইনেরে নিরাপদে মেশিন চালানো শেখাতে হবে।

সমাজে কিছু পোলাপাইন আকাজ করবেই, আবার বেশির ভাগই ভালো থাকবে।

পতিতাবৃত্বির ইতিহাস দেখলে বোঝা যায় যে সমাজে আকাজ করনে ওয়ালা মানুষ অনেক আগে থেকেই আছে। তারা সমাজ, ধর্ম মানেনা। তাদের কোন দোহাই দিলে তারা থামবেনা। তাই তাদের শেখাতে হবে যাতে STD থেকে রক্ষা পায়।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

ভাই হক কতা কইচেন আপনি,নিয়ম খালি গরীবের জন্য প্রযোজ্য হয়। ধনীরা তার বাইরে থাকে কারন নিয়ম যারা বানায় তারা নিজেদের নিরাপদ রাখার পথ রেখেই নিয়ম তৈরী করেন যাতে প্র‍য়োজনে নিজেদের নিরাপদ রাখা যায়।

নিরাপদে কাম সারার জন্য ছালার কোন জুড়ি নেই। জয়তু ছালা। তুমি বড়ই মহান, তুমি আমাদেরকে দিয়েছ নিরাপদ কমে'র নিশ্চয়তা।আর বাস্তবতাও তাই বলে যে, " নগদ যা পাও লুফে নাও,বাকীর খাতা শুন্য থাক"। আর তাইতো আমরা সবাই মুফতে পেয়ে লুটতে ব্যস্ত। আহা কি আনন্দ, শুধু চাওয়া বেলুন তুমি ঊড়ে ( ফেটে) যেওনা। গুনাহ কি খায় না মাথায় দেয় - এটাই অনেকে এখন জানেনা। আর এমন স্পেশাল কিছু সুযোগ পেলে গুনাহকে অপেক্ষায় রেখেই ঝাপিয়ে পড়বে ছালা পড়ে।

তবে একটা কথা ঠিক ভাই, মেশিন যেখানে সেখানে যত্রতত্র নির্বিচারে চালালে মেশিনের স্থায়িত্ব কমে যাওয়ার পাশাপাশি মেশিনের ক্ষমতা ক্ষয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। থাকে বিকল হয়ে যাওয়ার ভয়। অবশ্য বিকল কিংবা ড্যামেজ এর ভয়ে মেশিন না চালানো ও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কথায় আছেনা," মেরেছ কলশির কানা, তাই বলে কি প্রেম দিবনা"? আর তাই এটাই ভাল মনে হয় প্রাক্টিস করা যে কলসির কানার আঘাত এড়িয়ে কিভাবে রসের হাড়ি থেকে রস খাওয়া যায় তার প্রাক্টিশ করা।

মানুষের আইন হউক কিংবা স্রস্টার আইন সবাই জানে যে, শতভাগ আইন কেউ মেনে চলবেনা। কিছু দুস্ট প্রকৃতির মানুষ থাকবেই যারা কিনা আইন ভাংবেই। আর তাদের জন্যই দুনিয়ায় সরকার বানিয়েছে জেলখানা আর আল্লাহ বানিয়েছেন দোযখ।তবে এসব শুধু কিছুটা লাগাম টেনে ধরা ও ভারসাম্য রক্ষার জন্য। যারা আকাম করার তারা করবেই তা থাকে বেহেশত দিয়ে দেয়া হোক কিংবা আগুনে পুড়ানো হউক।কাজেই স্লোগান এটাই হউক, " এইডস হলে রক্ষা নাই, ছালা (কন্ডম) পড়লে ভয় নাই"।

বেলুনে চড়ুন( ভ্রমণ), নিরাপদ থাকুন।

৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:০১

কামাল১৮ বলেছেন: সেই দেশের জন্য সঠিক সিধান্ত।আমাদের দেশের জন্য না।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই, আপনার সঠিক মন্তব্যের জন্য।

সেই দেশের জন্য সঠিক সিধান্ত।আমাদের দেশের জন্য না।

- কথাটা আপনি শতভাগ সঠিক বলেছেন।

এই দুনিয়ার সব কিছু সবার জন্য নয়।স্থান-কাল-পাত্র ভেদে যেমন একই জিনিষের ভিন্ন রুপ হয় ঠিক তেমনি তাদের দেশের জন্য যা প্রযোজ্য বা সঠিক সেটাই তাদের দেশের সরকার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সেটাই তাদের জন্য সঠিক।

আমাদের কৃষ্টি-সমাজ-সভ্যতা-সংস্কৃতির সাথে যা যায়না তা পরিহার করব এবং যা মানানসই তাই করব।

৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ২:০৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আর মানুষ না বাড়লে ভাই বিপদও আছে। দুনিয়া বিরান হয়ে যাবেনা ? - বেশ আগে মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যা? সুখবর হচ্ছে, জনসংখ্যা কমছে! টাইটেলে একটা লেখা লিখেছিলাম; এর শেষ অংশে লিখেছিলামঃ

ওভারঅল খবর হচ্ছে, সারা পৃথিবীতে আগে যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছিলো, তা মোটামুটি লাগাম টেনে ধরা হচ্ছে। তার সাথে সাথে বিভিন্ন দেশে একই লিঙ্গের বিবাহের কারণে ভবিষ্যতে জনসংখ্যা বাড়ার এই ধারা আরও কমবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

এতে ক্ষতি কি? সেটা বুঝতে হলে অনেক জ্ঞানী হতে হবে। অবশ্য অত্যাধিক জ্ঞানীরা এর মধ্যে ক্ষতির কিছু খুঁজে পায়নি এখনও।

কমছে কমুক না, আমার ঢাকায় একটা জমি কেনার শখ হয়েছে কয়েকদিন হলো। জনসংখ্যা কমলে দামও একটু কমতে পারে। তবে মনে হয় এর জন্য কয়েক শতাব্দী না হোক, বেশ লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হবে।

---------------------
আমার মতামত কি? আমি বলি বাচ্চা ফুটাও!

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ ঋণাত্মক শূণ্য ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

- আপনার লেখা পড়লাম । ভাল লাগল ও অনেক তথ্য জানতে পারলাম। এই জন্যই আসলে বলা হয় জানার জন্য পড়ার কোন বিকল্প নেই।

ওভারঅল খবর হচ্ছে, সারা পৃথিবীতে আগে যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছিলো, তা মোটামুটি লাগাম টেনে ধরা হচ্ছে। তার সাথে সাথে বিভিন্ন দেশে একই লিঙ্গের বিবাহের কারণে ভবিষ্যতে জনসংখ্যা বাড়ার এই ধারা আরও কমবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

- ৯০ এর দশকে যে হারে জনসংখ্যা বাড়তেছিল তাতে সারা দুনিয়াতেই জনসংখ্যাধিক্য নিয়ে ভয় ঢুকে গিয়েছিল । তার ফলেই চায়না তাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাধ্যতামূলক লাগাম ( খেলবা তবে বাচচা পয়দা করবা না) টেনে ধরেছিল । আমাদের দেশেও সরকার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাধ্যমে ঘরে ঘরে সুখী/কনডম/ভ্যাসেকটমি/লাইগেশন জোড়ে সোড়ে চালু করেছিল যা এখন অনেকটা ঢিমেতালে হয়ে গেছে।
এদিকে উন্নত দেশে দ্রুত জীবন ও রাষ্ট্রীয় সমর্থনে ও অনেক নর-নারীর যৌন জীবনে বৈচিত্র (লেসবিয়ান/গে) আসার কারনেও সামাজিক জীবনে কিছু পরিবর্তনের ফলে "খেলা জবর খেলছে , মাগার গোল দিতে/খেতে রাজী না " থাকার কারনে জন্মাহা কমছে।
আবার একসময় মানুষ সন্তানদেরকে ওল্ড এইজে সাপোর্ট পাবে সেই হিসাবে বিবেচনা করত। এখন উন্নত দেশে নাগরিকদের সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নানা রকম সুযোগ সুবিধার কারনে সন্তানদের উপর নির্ভরশীলতার হার কমে গেছে এবং কুকুর-বিড়ালের নির্ভরশীলতার হার বেড়ে গেছে।সন্তানদের জায়গা দখল করে নিচছে কুকুর-বিড়াল রা।

কমছে কমুক না, আমার ঢাকায় একটা জমি কেনার শখ হয়েছে কয়েকদিন হলো। জনসংখ্যা কমলে দামও একটু কমতে পারে। তবে মনে হয় এর জন্য কয়েক শতাব্দী না হোক, বেশ লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হবে।

- আমার ঢাকায় একটা জমি কেনার শখ - যদি আপনি বিশেষ দলের বিশেষ কেউ নূন্যতম সুবিধাভোগী না হল তাহলে তা শখই থেকে যাবে, এ জীবনে তা আর পূরণ হবে বলে মনে হয়না। আর জনসংখ্যা কমলেও আপনার কোন লাভ বলে মনে হয়না ভাইজান, কারন ওরা আছেনা ? উনারাই সব খেয়ে নিবে ঘাস-লতা-পাতা সহ সব।

আমার মতামত কি? আমি বলি বাচ্চা ফুটাও!

- খেল খেলা, হঠাও ছালা, ফুটাও বাচচা।
আহা কি মজা।

৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ মনে করে পশ্চিমা দেশ ফ্রী সেক্সের দেশ। বাস্তবতা সেটা না।

বাংলাদেশের ঢালীউডের ছবি দেখে যেমন বাংলাদেশী মানুষ সম্পর্ক ধারনা করা ঠিক না।

তেমনি হলিউড আর পর্ণ দেখে আমেরিকা আর পশ্চিমাদের সম্পর্ককে ধারনা করা ঠিক না।

গুগুলেই দেখতে পারবেন পশ্চিমা দম্পতি ( বিবাহিত বা লিভইন) বছরে ৫৪ বার অর্থ গড়ে সপ্তাহে ১ বার মিলিত হয়। খুব বেশি না।
এটা ঠিক এরা পাটি করে এবং তাতে এলকোহল থাকে, মানুষ বেশি পান করে বিয়ার যেটাতে এলকোহল বেশি থাকেনা।

পশ্চিমাদের জীবন খুব সহজ না, যখন কাজ শুরু করে তখন শুধুই ছুটির দিনে সময় পায় রিল্যাক্স করার।

আগে যেমন বলেছি। ধনীদের জন্য নিয়ম প্রজয্য না। বাংলাদেশেও ধনীর ছেলে মেয়েরা আমেরিকার মতন পাটি করে, মদ খায়, বিভিন্ন নারীর সঙ্গ নেয়।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

আমাদের দেশের মানুষ মনে করে পশ্চিমা দেশ ফ্রী সেক্সের দেশ। বাস্তবতা সেটা না।

- যাহা রটে তাহা কিছু না কিছু বটে । আর তাই সব সত্যি নয় আবার সব মিথ্যা নয়।

বাংলাদেশের ঢালীউডের ছবি দেখে যেমন বাংলাদেশী মানুষ সম্পর্ক ধারনা করা ঠিক না।তেমনি হলিউড আর পর্ণ দেখে আমেরিকা আর পশ্চিমাদের সম্পর্ককে ধারনা করা ঠিক না।

- চলচ্চিত্র বা সিনেমা একটি দেশের সামাজ-সংস্কৃতির দর্পণ স্বরূপ। চলচ্চিত্র বা সিনেমার কাহিনীতে তাই ফুটে উঠে বা তুলে ধরা হয় যা সেই সমাজের ও সংস্কৃতিতে প্রচলিত আছে।কাজেই সিনেমা দেখে ১০০ ভাগ না হলেও অনেকটাই সঈ দেশ-সমাজ
সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়।

গুগুলেই দেখতে পারবেন পশ্চিমা দম্পতি ( বিবাহিত বা লিভইন) বছরে ৫৪ বার অর্থ গড়ে সপ্তাহে ১ বার মিলিত হয়। খুব বেশি না। এটা ঠিক এরা পাটি করে এবং তাতে এলকোহল থাকে, মানুষ বেশি পান করে বিয়ার যেটাতে এলকোহল বেশি থাকেনা।পশ্চিমাদের জীবন খুব সহজ না, যখন কাজ শুরু করে তখন শুধুই ছুটির দিনে সময় পায় রিল্যাক্স করার।

- পশ্চিমারা বা শিক্ষিতদের মাঝে যে কোন বিষয়ের পরিসংখ্যান তথা হিসাব নিকাশের প্রচলন বেশী।আর তাইতো কে কয়বার মিলিত হয় ;) তার হিসাবও তাদের কাছে থাকে । এদিক দিয়ে আমরা গরীবরাই ভাল , কোন হিসাব নেই " বাতি নিবাও, কাম চালু কর"। ওরা বিয়ার খাউক আর যা কিছু করে করুক , আমরা আমাদের কাম করি।

আগে যেমন বলেছি। ধনীদের জন্য নিয়ম প্রজয্য না। বাংলাদেশেও ধনীর ছেলে মেয়েরা আমেরিকার মতন পাটি করে, মদ খায়, বিভিন্ন নারীর সঙ্গ নেয়।

- মজা-পার্টি এসব সব সমাজেই আছে তবে তার অনুষংগ কিংবা উপলক্ষ স্থান,কাল, পাত্র দেদে আলাদা হয় - এই যা। আমাদের দেশে সবাই যে ভাল এমন নয় আবার ইউরোপ-আমেরিকায় সবাই খারাপ এমনটাও নয়। এ দু সব সমাজেই বিদ্যমান।

৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট পড়লাম। মন্তব্য গুলোও পড়লাম।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

পোষ্ট পড়লাম। মন্তব্য গুলোও পড়লাম।

- পোষ্ট ও মন্তব্য পড়েছেন জেনে ভাল লাগল তবে কিছু বললেন না ভাইজান তাই মনটা খারাপ :(( ঐ গেল।

১০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৩

নতুন বলেছেন: বাংলাদেশের ঢালীউডের ছবি দেখে যেমন বাংলাদেশী মানুষ সম্পর্ক ধারনা করা ঠিক না।তেমনি হলিউড আর পর্ণ দেখে আমেরিকা আর পশ্চিমাদের সম্পর্ককে ধারনা করা ঠিক না।

- চলচ্চিত্র বা সিনেমা একটি দেশের সামাজ-সংস্কৃতির দর্পণ স্বরূপ। চলচ্চিত্র বা সিনেমার কাহিনীতে তাই ফুটে উঠে বা তুলে ধরা হয় যা সেই সমাজের ও সংস্কৃতিতে প্রচলিত আছে।কাজেই সিনেমা দেখে ১০০ ভাগ না হলেও অনেকটাই সঈ দেশ-সমাজ
সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়।


ঢালীউডের ছবি দেখে যদি আপনার মনে হয় বাংলাদেশের মেয়েরা এমন পোষাক পরে তবে তো আর কিছুই বলার নাই। B-))

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য এবং আতংকিত-সর্বনাশ ভয়ানক সব ছবির প্রচারপত্রের জন্য।

ভাই, এখন বয়স ঔ গেছে চওখেও ;) কম দেহি, তারপরও আপনি যা দেহাইছেন তাতে আমি দিশেহার। এগোর (ছবির কলা-কুশলি) একটারেও চিনিনা আর সবাই ভয়ংকর সৌন্দর্যের সাথে সাথে কেমনসব চমতকার সৌন্দর্যময় ছবির নাম । আহা বেশ!!!!!! বেশ !!!!!!! বেশ !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

এতগুলি চমতকার কালেকশনের জন্য একটা ধন্যবাদ আপনি প্রাপ্য । দিয়ে দিলাম দিল খুলে :((

অফ টপিক -- এ সব ছবি কি কেউ দেখে ?

১১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫২

নতুন বলেছেন: আমি গত ১৬ বছরের কর্ম জীবনে বিশ্বেরে প্রায় ৮৫ দেশের মানুষের সাথে কাজ করেছি।

আমাদের দেশের মানুষেরা পশ্চিমাদের এই সেক্স, মাদক নিয়ে খুবই অতিরন্জিত ধারনা পোষন করে।

আমাদের দেশে ওয়াজবাজ হুজুরেরা ঈহুদী, নাসারা অর্থই খুবই খারাপ মানুষ বলে সমাজে প্রচার করে এবং সাধারন মানুষ সেটাই ভাবে।

কিন্তু বাস্তবতা হলো বাংলাদেশের অনেক মানুষের চেয়ে তাদের অনেকেরই সততা বেশি।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই ,
আমার মনে হয়, ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে আমরা সবাই রসগোল্লা ভালবাসি এবং সবসময় তা নিয়ে আমাদের মাঝে একটা বিশেষ কিছু ব্যাপার বলে মনে হয়। অথচ ময়রার (রসগোল্লা তৈরীর কারিগর) কাছে তার জীবন-জীবিকা এবং কাজের অংশ ।রসগোল্লা তার কাছে আলাদা কোন আবেদন রাখেনা বরং তার রসের আঠায় তা সমস্যা বোধই হয় মনে হয়। অথচ সেই রসগোল্লার নাম শুনলেই আমাদের জীভে জল আসে।

ঠিক তেমনি, পশ্চিমারা তাদের দেহ-সেক্সকে এমন ভাবে বাইরে উপস্থাপন করে আসছে যুগ যুগ ধরে যা এখন তাদের নিকট এমন হয়ে গেছে যেমনটা ময়রার নিকট রসগোল্লা। অথচ আমরা না দেখে-না খেয়ে রসগোল্লার জন্য সবসময় হা-হূতাশ করি।ব্যাপারটা এমন হতে পারে বলে আমার মনে হয়।

এটা আপনি ঠিক বলেছেন, তারা আমাদের থেকে শতগুনে সৎ ও ভাল। এতে কোন সন্দেহ নেই । ওরা আমাদের মত ঢাক-ঢাক,গুড়-গুড় করেনা । যা করার তা উভয়ের মতের-মনের মিলেই করবে। আর তার তাল-মিল কেটে গেলে, " তোমার পথে তুমি যাও , আমার পথে আমি যাই । তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই" ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.