নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - dhakatribune.com
দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা লাঙল প্রতীকে ২২৯টি কেন্দ্রের ফলাফলে পেয়েছেন পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের আমিরুজ্জামান পিয়াল পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন হাতি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৮৩ ভোট এবং আওয়ামী লীগের মূল প্রার্থী নৌকা প্রতীকে হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ভোট পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৬। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে থেকে ২২৯টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন। এর আগে, সাধারন জনগন দিনভর উৎসব আমেজে ভোট দিয়ে তাদের নেতা বা মেয়র নির্বাচন করে রসিকবাসী।
ছবি - thedailystar.net
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাড হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার থেকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৯২ বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। এমনকি, ইসলামী আন্দোলনের আমিরুজ্জামান পিয়াল পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট যা আওয়ামী লীগের মূল প্রার্থী তথা নৌকা থেকে ডাবল।
এক নজরে ভোটের প্রাপ্ত ভোটের পরিসংখ্যান -
** মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (জাপা - লাঙল) ১,৪৬,৭৯৮ ভোট
** আমিরুজ্জামান পিয়াল (ইসলামী আন্দোলন - হাত পাখা ) ৪৯,৮৯২ ভোট
** লতিফুর রহমান মিলন (বিদ্রোহী - আ. লীগ- হাতি ) ৩৩,৮৮৩ ভোট
** হোসনে আরা লুত্ফা ডালিয়া (আ. লীগ - নৌকা ) ২২,৩০৬ ভোট
নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিসি ক্যামেরায় সারা দিন ভোট পর্যবেক্ষণ করেন। বিকেল ৫টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিছুটা ধীরগতি, এ ছাড়া ভোটার উপস্থিতিও বেশি। এ কারণে ভোটগ্রহণ শেষ হতে রাত ৮টা বাজতে পারে"। এর আগে দুপুরের দিকে ভোট চলাকালে সিইসি নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, "রংপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ভোটারদের উপস্থিতি আমাদের মতে সন্তোষজনক। সিসিটিভির মাধ্যমে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি"।
এ ভোটের মাধ্যমে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ভালো ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বছর শেষ করল। আগামী বছরের শেষের দিকে এই কমিশনের অধীনেই শুরু হবে জাতীয় নির্বাচনের। নির্বাচন কমিশন তাদের আয়োজিত এই নির্বাচনে জনগনের মাঝে এই বার্তা পৌছে দিতে পেরেছে যে, তারা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে আন্তরিক যদিও নির্বাচনে গোলযোগ না হলেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতির কিছুটা অভিযোগ ছিল। এই নির্বাচনের মাধ্যমে কমিশন তাদের নিরপেক্ষতা ও আন্তরিকতা প্রমাণে আরো একধাপ এগিয়ে গেল বলেই মনে হয়।
সব দেখে শুনে মনে হয়েছে, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের প্রচেষ্টায় ভোট দেয়ার সুযোগ পাওয়ায় জনগণ স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে ভোট দিতে গিয়েছে এবং তাদের পছন্দের মানুষকেই নগর নেতা বা মেয়র নির্বাচিত করেছে যাতে গণতন্ত্রের মূল বিষয়ের (কোন প্রকার বাঁধা বিহীন মত প্রকাশ ও ভোটাধিকার প্রয়োগ ) প্রতিফলন হয়েছে । আবার , বছর শেষের নির্বাচনে জনগণও দেখিয়ে দিয়েছে যে , যদি তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তবে তারা সকল ভয়-ভীতির উর্ধ্বে উঠে তাদের পছন্দমতই শাসক নির্বাচন করবে কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নয়।
এই নির্বাচনের ফলাফল রংপুরের বাইরের তথা সারা দেশের সাধারন মানুষের সাথে সাথে শাসকদল আওয়ামী লীগকে কি মেসেজ দেয় বা কিভাবে তারা তাদের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করে তাই ভাবনার বিষয় । এই ফলাফল উভয়কেই তাদের করণীয় সম্পর্কে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে বলেই মনে হয়। আর তাই, উভয়ে (জনগণ ও শাসকদল ) কিভাবে এই ফলাফলকে বিচার করবে এবং তাদের ভবিষ্যত করণীয় ঠিক করবে তাই দেখার বিষয়। তবে যে যেভাবেই দেখুক-ভাবুক-করণীয় নির্ধারিত করুক না কেন " প্রশাসন তথা নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও জনগনের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ" - ই শেষ কথা হওয়া উচিত। তাতে যেই প্রার্থী বা যে দলই নির্বাচিত হোক না কেন।
========
তথ্যসূত্র-
১। Rangpur city election on December 27 - Click This Link
২। রংপুর সিটি নির্বাচন: নৌকাকে হারিয়ে লাঙলের জয় - Click This Link
৩। বিপুল ভোটের ব্যবধানে মোস্তফা পুনরায় রংপুর সিটির মেয়র নির্বাচিত - https://m.dailyinqilab.com/article/544087/
৪। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, - জাপার মোস্তফা আবার মেয়র - Click This Link
৫। Rangpur Mayoral Election: JP’s Mostafa wins, AL polls only 8pc - Click This Link
==================================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
৪। " বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন " - তুমি কার ? -
Click This Link
৩। সামাজিক রীতি-নীতি-শিষ্ঠাচার এখন যাদুঘরে - আপনি কি একমত ? -
Click This Link
২। বর্তমান সময়ে আমরা কি একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টিশক্তি হীন জাতি বা প্রজন্মে পরিণত হচছি বা হতে যাচছি? -
Click This Link
১। আমাদের সমাজের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়ছে ? -
Click This Link
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কাজী ফাতেমা ছবি , আপনার ছোট কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ সত্য মন্তব্যের জন্য।
কত কাল ধরে ভোট দেই না
- কত দিন, আহাঃ কত দিন।
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৪
ফয়েজ উল্লাহ রবি বলেছেন: ভোট কি দিনেই হয়েছিলো?
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ফয়েজ উল্লাহ রবি ভাই , আপনার ছোট কিন্তু অনুসন্ধানমূলক মন্তব্যের জন্য।
ভোট কি দিনেই হয়েছিলো?
- সারা দিন মিডিয়ার কল্যাণে তাই মনে হয়েছে যে ভোট দিনেই হয়েছে।
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভাই ভোট কি?
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই , আপনার ছোট তবে চমতকার মন্তব্যের জন্য।
ভাই ভোট কি?
- ভাই, আপনার মত আমারও জিজ্ঞাসা ভোট কি ?
বর্তমানের একটা প্রজন্ম আসলেই মনে হয় সঠিক জানেনা ভোট কি বা কেনই বা ভোট।
৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এইসব নিয়ে আগেই আশাবাদি হওয়ার কোনো কারণ নেই।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মরুভূমির জলদস্যু ভাই , আপনার ছোট তবে --বাদী মন্তব্যের জন্য।
- এইসব নিয়ে আগেই আশাবাদি হওয়ার কোনো কারণ নেই।
- ভাই,
কথায় আছেনা -
" সংসার সাগরে দুঃখ তরংগের খেলা, আশাই তার একমাত্র ভেলা "। - আসলে এখন আমাদের আশাবাদী হওয়া ছাড়া আর কিই বা করার আছে হাজারো সমস্যার বেড়াজালে জড়িত জীবনে। আশাই আমাদেরকে হয়ত পরবর্তী গন্তব্যে পৌছাতে সাহায্য করবে বা আঁধারে আলো দেখাবে।
কাজেই যতক্ষণ জীবিত আছি ততক্ষণ নিরাশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই ভাইজান।আশা না থাকলে ত বেঁচে থাকার মানেই ফুরিয়ে যাবে।
৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫০
রাফখাতা- অপু তানভীর বলেছেন: সরকারি দল আসলে এতো উন্নয়ন করেছে বিগত বছর গুলোতে, জনগন এতো খুশি হয়েছে যে বর্তমানে তাদের বিপক্ষে যদি একটা কলাগাছকেও দাড় করানো হয় এবং সুষ্ঠ নির্বাচন হয় তাহলে সেই কলাগাছই জিতবে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাফখাতা- অপু তানভীর ভাই , আপনার ছোট তবে সরেশ মন্তব্যের জন্য।
সরকারি দল আসলে এতো উন্নয়ন করেছে বিগত বছর গুলোতে, জনগন এতো খুশি হয়েছে যে বর্তমানে তাদের বিপক্ষে যদি একটা কলাগাছকেও দাড় করানো হয় এবং সুষ্ঠ নির্বাচন হয় তাহলে সেই কলাগাছই জিতবে।
- " উন্নয়নের জোয়াড়ে (গরমে),
দেশবাসী- আর সি খান আরামে"।
তবে, আর সি ঠিকই খাচছে সরকারি দলের সুবিধাভোগীরা আর পরাণ যাচছে ( দেশের আমজনতার। তারা না পারছে কইতে, না পারছে বাঁচতে (মরাও যাচছেনা নানা রকম বিধি-নিষেধের কারনে)।
জনগণ যদি ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারে তবে ক্ষমতাশীন দলের জন্য কিছুটা ভয়ের হলেও (কেউ হয়ত ৭ আসনের বেশী পাবে। আবার কেউ হয়ত শতভাগ আসন ধরে রাখতে পারবে না) পুরো ভয়ের কোন কারন আছে বলে মনে হয়না। তবে ঘটনা প্রবাহে মনে হচছে তারা জনগণকে এবার হয়ত ভোটাধিকার দিবে ,যদিও তাতে নানা প্রশ্ন উকি দেয় তাদের ভিন্নধর্মী কাজকর্মে ।
অফটপিক -
আপনার সামুর বয়স যদিও ৬ বছরের অধিককাল তবে আজই প্রথম আপনাকে জানলাম-দেখলাম। আপনি কি কোন ভাবে গল্পাকার অপু তানভীর ভাইয়ের সাথে জড়িত কিংবা তার জড়ুয়া ভাই?
জানবার মুন চায়।
৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১০
রাফখাতা- অপু তানভীর বলেছেন: এটা আমারই একটা মাল্টি নিক । ঐ নিকের পাসওয়ার্ড অনেক বড়, মোবাইল থেকে লগিন করলে এই নিকে লগিন করে মন্তব্য করি মাঝে মাঝে ।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ অপু (রাফখাতা- অপু তানভীর) ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
এটা আমারই একটা মাল্টি নিক । ঐ নিকের পাসওয়ার্ড অনেক বড়, মোবাইল থেকে লগিন করলে এই নিকে লগিন করে মন্তব্য করি মাঝে মাঝে ।
- ভালো লাগলো জেনে যে আপনারও জড়ুয়া ভাই আছে।
এতদিন শুধু শায়মা বনির জড়ুয়া বোনদের সাথে পরিচিত ছিলাম । আজ, অপু ভাইয়ের জড়ুয়া ভাইয়ের সাথে পরিচিত হয়ে চমতকার লাগছে।
রাফখাতা ভাইয়ের বাড়ীতে রাফলি শুধু চোখ বুলালাম। দেখে-শুনে পরে মন্তব্য করব।
৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: এটা সরকারের এসিড টেস্ট নির্বাচন ছিলো... অর্থাৎ পুলিশকে নিরপেক্ষ রেখে নির্বাচন করলে কি ফল হয়- সেটা দেখার জন্যই এই নির্বাচন। ভবিষ্যতে এমন আত্মঘাতি ঝুঁকি সরকার আর নিবে না।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই , আপনার নির্মোহ তবে চরম মন্তব্যের জন্য।
এটা সরকারের এসিড টেস্ট নির্বাচন ছিলো... অর্থাৎ পুলিশকে নিরপেক্ষ রেখে নির্বাচন করলে কি ফল হয়- সেটা দেখার জন্যই এই নির্বাচন।
-আমার মনে হয়, আপনার কথাই সঠিক।
গাইবান্ধা উপনির্বাচনের ঘটনার পরে সরকার আর ২য় বার সেই ধরনের ঘটনার পূণরাবৃত্তির ঝুঁকি নিতে চায়নি বলেই মনে হয়। তাতে অবশ্য সরকারেরই লাভ হয়েছে ভোটের ফলে কোন ধরনের প্রভাব বিস্তার না করে। দেশে-বিদেশে নির্বাচন-নির্বাচন কমিশন নিয়ে যে সমালোচনা তা কিছুটা হলেও কমবে এই ভোটের ফলাফলে যাতে করে কিছুটা হলেও ভাবমূর্তি ভাল হবে সরকারের।
ভবিষ্যতে এমন আত্মঘাতি ঝুঁকি সরকার আর নিবে না।
- "সরকার সুযোগ দিতে চায় রয়ে সয়ে আর পাবলিক সুযোগ পেলেই কাজে লাগাতে চায় ধুম-ধাম করে " - এ জন্যইতো সরকার কোন ঝুঁকি নিতে চায়না। তাতে সরকারের কি দোষ।
৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: বিজয়ীকে একটা "কাঁঠালের বার্গার" উপহার দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি...
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ফুয়াদের বাপ ( আমার ভাই), আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
বিজয়ীকে একটা "কাঁঠালের বার্গার" উপহার দেওয়ার জোর দাবী
- ভাই, শুধু "কাঁঠালের বার্গার" উপহার দিবেনা। তার সাথে সাথে গদিতে কাঠালের আঠাও লাগিয়ে দিবে যা দুনিয়ার কোন তেলেই ছুটবেনা। আঠা ছুটানোর চেষ্টাতেই মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০
সোনাগাজী বলেছেন:
জাতীয় চোর, জেনারেল এরশাদ ও কিছু মিলিটারী অফিসার মিলে ক্যানটনমেন্টে "জাপা"র জন্ম দিয়েছিলো; এই দলটাকে রাখা মানে গণতন্ত্র হত্যাকারীদের রাজনীতি করার লাইসেন্স অব্যাহত রাখা।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাগাজী ভাই, আপনার একপেশে ও জবরদস্তিমূলক মন্তব্যের জন্য।
জাতীয় চোর, জেনারেল এরশাদ ও কিছু মিলিটারী অফিসার মিলে ক্যানটনমেন্টে "জাপা"র জন্ম দিয়েছিলো; এই দলটাকে রাখা মানে গণতন্ত্র হত্যাকারীদের রাজনীতি করার লাইসেন্স অব্যাহত রাখা।
- আপনি যে অভিযোগ করেছেন সেই অভিযোগের সত্যতা একেবারে যে নেই, এমনটা নয় তবে এরশাদ থেকেও শতগুনে বড় কামেল-দরবেশদের ইত্যবসরে দেশবাসীর দেখার সৌভাগ্য হয়ে গেছে। কাজেই, জনগণের দরবারে এ অভিযোগ আর ধোপে টিকবে বলে মনে হয়না।
তারপরও, এরশাদ কিংবা খালেদা অথবা অন্য যেই হোক না কেন, তারা তাদের অতীত - বত'মান সহ সকল আমলনামা নিয়ে জনগণের সামনে যাবে এবং জনগণ যদি তাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসায় তখন কারো কিছু বলার থাকে বলে মনে হয়না। এখন জনগণকে তাদের ভোটাধিকার দেন এবং তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করুন। এটাই গনতন্ত্রের কথা।
জনগন তাদের না ভোট দিলে এমনিতেই তারা ইতিহাস হয়ে যাবে আর যদি জনগন তাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসায় তাহলে নতুন ইতিহাস রচিত হবে। আর সেই ইতিহাসকে আমাদের মেনে নিতে হতে হাসিমুখে ও খোলা মনে। তাই নয় কি ভাইজান।
১০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯
কামাল১৮ বলেছেন: এই নির্বাচনের ফলাফল দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের চিত্র পাওয়া যাবে না।এরশাদ এই এলাকায় দারুন জনপ্রিয়।আর এরশাদ যে কি চিজ তা আমার চেয়ে আপনি ভালো জানেন।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল ১৮ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
নির্বাচনের ফলাফল দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের চিত্র পাওয়া যাবে না।এরশাদ এই এলাকায় দারুন জনপ্রিয়।আর এরশাদ যে কি চিজ তা আমার চেয়ে আপনি ভালো জানেন।
- এরশাদ রংপুরের ছেলে এবং ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কিংবা ক্ষমতাহীন সবসময় তাদের পাশে- কাছে ছিল। আর এ কারনেই সে সেই এলাকায় প্রবাদ পুরুষ। তার বিরুদ্ধে যত অভিযোগই থাকুক সে যে দেশের উত্তরাঞ্চল সহ সারাদেশে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতাদের একজন ছিল তা না মানার কোন সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। এখন, সে পরলোকে চলে গেছেন যেখানে সে পৃথিবীর সকল ভাল- খারাপের বাইরে। সে নেই তবে তার প্রতিষ্ঠিত দল আছে এবং সেই দলের মনোনীতকে প্রার্থীকে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের নেতা বানিয়েছেন। খারাপ কিছু নয় ব্যাপারটা। আর এটাই গণতন্ত্র।
এটাও ঠিক, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন যাকে জাতীয় নির্বাচনের সাথে মিলানোর কোন সুযোগ নেই । তবে এতে করেও রাজনৈতিক দল ও এর নেতাদের প্রতি জনমতের প্রতিফলন ঘটে (যেহেতু এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনও দলীয় ভাবে হচছে যা আওয়ামীলীগের একক অবদান) যা জাতীয় পযার্য়ের ভোটে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসাবে প্রভাব বিস্তার করে বা করতে পারে।তাই তাকে একেবারে খাটো করে দেখারও সুযোগ নেই।
১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সোনাগাজী বলেছেন:
মেয়রকে মেয়র বলা দরকার, "নগরপিতা" শব্দটি ব্যবহার করা ঠিক নয়।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সোনাগাজী ভাই, আপনার প্রতি- মন্তব্যের জন্য।
মেয়রকে মেয়র বলা দরকার, "নগরপিতা" শব্দটি ব্যবহার করা ঠিক নয়।
- আমি সঠিক জানিনা নগরপিতা শব্দটি কেন ব্যবহার ঠিক নয়।
তারপর আপনার মতকে সম্মান করে তা পরিবর্তন করে দিয়েছি ভাই। সেখানে নগরপিতার পরিবর্তে নেতা বা মেয়র লিখে দিয়েছি।
১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এর প্রতিফলন জাতীয় নির্বাচনে হবে বলে মনে হয় না।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
- এর প্রতিফলন জাতীয় নির্বাচনে হবে বলে মনে হয় না।
আপনি যা বলেছেন তা একদিকে সঠিক বলছেন।
কারন, স্থানীয় সরকার ভোট আর জাতীয় পযার্য়ের ভোটে অনেক অনেক প্রাথ'ক্য আছে।তবে জনগণকে যদি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেয়া হয় তবে এসবও গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে,একথা নিঃসন্দেহে।
১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারি দেখানোর জন্য ইচ্ছাকৃত সাজানো নির্বাচন হয়তোবা । আগের সব নির্বাচনের মত নিয়ে নিলে নৌকার জামানত বাজেয়াপ্ত হতো না।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই, আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারি দেখানোর জন্য ইচ্ছাকৃত সাজানো নির্বাচন হয়তোবা । আগের সব নির্বাচনের মত নিয়ে নিলে নৌকার জামানত বাজেয়াপ্ত হতো না।
- ভাই, হতে পারে আপনি যা বলেছেন বা যেভাবে ভাবছেন তাই সঠিক । আবার তাদের অতীত কাজকর্মের দিকে তাকালে তার যে সম্ভাবনা নেই এমনটাও মিথ্যা নয়।
তবে, আমার যা মনে হয় - গাইবান্ধা উপনির্বাচনের ঘটনার পরে সরকার বনাম নির্বাচন কমিশন যেভাবে মুখোমুখি চলে গিয়েছিল সরকার তার থেকে বেরিয়ে আসার পথ পেয়েছে এ নির্বাচনের মাধ্যমে। আবার আস্থা সংকটে ভোগা নির্বাচন কমিশন ও কিছু করে দেখাতে চাচছে চূড়ান্ত নির্বাচনের আগে এসব স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে।এতে তারাও জনগণ ও দেশী-বিদেশী অংশীদার দেখাতে পেরেছে যে, তারা সঠিক নির্বাচন আয়োজনে সক্ষম ও আন্তরিক। এদিকে,সরকারও বিরোধীদলকে আস্থায় আনতে ও নির্বাচন কমিশনকে সবার নিকট গ্রহনযোগ্য করতে চেষ্টা চালাচছে। তারই, সফল পরিণতি জাপার প্রার্থীর জয়। এসবে অবশ্য সরকারেরই সবচেয়ে বেশী লাভ হয়েছে ভোটের ফলে কোন ধরনের প্রভাব বিস্তার না করে।
১৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাই আপনাদের হয়েছে -
জিতলে নির্বাচন সুষ্ঠু, আর হারলে রাতের ভোট।
অপু ভাই বলছে একটা কলাগাছ দাঁড় করিয়ে দিলেও জিতবে। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।
সুষ্ঠু নির্বাচনের সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম।
অনেকের কাছে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভাল নির্বাচন ২০০৮, অবস্য আসিফ নজরুল বলেছেল সেটা সবচেয়ে খারাপ নির্বাচন।
অনেকের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন মানে ১৫ ই আগস্ট এর মত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হাসিনা বিহীন নির্বাচন হচ্ছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সুষ্ঠু নির্বাচন। হ্যাঁ সে নির্বাচনে কলাগাছ শতভাগ জয় হবে। গ্যারান্টেড।
আর আপনিও বা কি।
আপনি কি ধরেই নিয়েছেন যে আওয়ামী লীগকে শতভাগ জিততে হবে?
লীগ একটা সিট হারলে সেটা কি বিশাল বার্তা বহন করে?
একটা বার্তা হয়ে যায়। যে এখন থেকে কলাগাছই জিতবে। উন্নয়নের হিংসায়।
আর আপনি কি নির্বাচনে ফলাফল গুলো যে লিংকগুলো দিয়েছেন সেগুলো কি ভালোভাবে পড়াশোনা করেছেন?
সেখানে কি আওয়ামী ভোট সব নাই হয়ে গেছে?
পত্রিকা একটু ভালোভাবে পড়েন।
আওয়ামী ভোটাররা নেই হয়ে যায়নি।
কাউন্সিলার ভোটে আওয়ামী লীগ জয় হয়েছে। অর্থাৎ ভোটাররা ব্যাক্তি হিসেবে মেয়র কে যোগ্য মনে করে ভোট দিলেও বাকিটা দলের একজনকে দিয়েছে।
এতে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির চেয়ে বেশি সংখ্যক কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছে।
অর্থাৎ স্থানীয় নির্বাচনে দল পছন্দের চেয়ে ব্যক্তি পছন্দ বেশি ভূমিকা রাখে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই, আপনার সুচিন্তিত, বিস্তারিত এবং বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্যের জন্য।
ভাই আপনাদের হয়েছে - জিতলে নির্বাচন সুষ্ঠু, আর হারলে রাতের ভোট।
- ভাই, দয়া করে বলবেন - এর জন্য দায়ী কে?
অপু ভাই বলছে একটা কলাগাছ দাঁড় করিয়ে দিলেও জিতবে। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।
- জনগন তাই ভাবে যা তারা দেখে ও বিশ্বাস করে , এতে দোষের কিছু নেই। জনগনের ভাবনা জনগন ভাববে আর প্রশাসন / সরকারের কাজ সরকার করবে।
সুষ্ঠু নির্বাচনের সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম। অনেকের কাছে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভাল নির্বাচন ২০০৮, অবস্য আসিফ নজরুল বলেছেল সেটা সবচেয়ে খারাপ নির্বাচন।
অনেকের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন মানে ১৫ ই আগস্ট এর মত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হাসিনা বিহীন নির্বাচন হচ্ছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সুষ্ঠু নির্বাচন। হ্যাঁ সে নির্বাচনে কলাগাছ শতভাগ জয় হবে। গ্যারান্টেড।
- ভাই , আপনি যা বলেছেন এসবতো স্বামী / স্ত্রীর মান-অভিমানের মতো ব্যাপার হয়ে গেল না? যেখানে যে কোন ছোট-খাট বিষয় নিয়েই চাইলে সারাদিন চাপান-উতোর (কথা চালাচলি) করা যায়।
এ একটা দেশের শাসক-প্রশাসক নিয়োগের প্রক্রিয়া( নির্বাচন )।এখানে মান-অভিমানের কোন জায়গা নেই। নেই কোন রাগ-বিরাগের স্থান। এ প্রক্রিয়া ( নির্বাচন ) হতে হবে পরিষ্কার ও আইনি কাঠামোর মাঝে এবং জনগনের ভয়-ডর বিহীন অংশগ্রহনে।
আমার মতে, সুষ্ঠু নির্বাচন মানে সকল দলের ও সকল প্রার্থীর সমান সুযোগ ও সক্রিয় অংশগ্রহন ও জনমতের প্রতিফলন।(সকল প্রার্থীরা তাদের করনীয় কাজের তালিকা নিয়ে জনগনের সামনে যাবে/প্রচার-প্রচারনা চালাবে নিয়ম-নীতির মাঝে থেকে এবং প্রশাসন সবাইকে সমান সুযোগ সুবিধা দিবে -অনুরাগ-বিরাগের বাইরে থেকে ।নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন ঘোষনা করবে এবং জনগন যথাসময়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। ভোটের শেষে নির্বাচন কমিশন স্বচছ ও স্বাধীনভাবে ভোট গণনা করবে এবং জনমতের রায়ে যে বিজয়ী হয় তাকেই নির্বাচিত ঘোষনা করবে)।এটাই সুষ্ঠু নির্বাচন ,এর বাইরে কোন কিছু যদি হয় তবে তার সবই সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাঁধা হিসাবেই বিবেচিত হয়/হবে। - আমি জানিনা , আপনি আমার সাথে একমত হবেন কিনা এ বিষয়ে?
আর আপনিও বা কি। আপনি কি ধরেই নিয়েছেন যে আওয়ামী লীগকে শতভাগ জিততে হবে? লীগ একটা সিট হারলে সেটা কি বিশাল বার্তা বহন করে? একটা বার্তা হয়ে যায়। যে এখন থেকে কলাগাছই জিতবে। উন্নয়নের হিংসায়।
- ভাই রাজনীতিতে ৫১:৪৯ ই মেজরিটি এবং এটাই চেক এবং ব্যালেন্স নীতিতে সবচেয়ে কার্যকরী। নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা শক্তিশালী বিরোধীদলের অনুপস্থিতি শাসকদলকে অনায্য সুবিধা দেয় তথা জনগনের অনেক মৌলিক অধিকার শাসকদলের দ্বারা রহিত হবার সুযোগ থাকে। এটা শুধু আমাদের দেশে নয় ,সারা দুনিয়াতেই একই রকম বলে ধরা হয়।
এখন, জনগনের ভোটের ফলে আওয়ামীলীগ যদি শতাধিক আসনও হারায় তাতেও আওয়ামীলীগের কোন ভয় থাকার কথা নয় । কারন,এর পরও সরকার গঠনের জন্য তাদের কাছে প্রয়োজনীয় আসন থাকবে কিন্তু আওয়ামীলীগের কাজকর্মে এমন মনে হয় যে তারা ৩০০ সহ ৩৫০ (৫০ সংরক্ষিত) আসনই নিজেরা ধরে রাখবে যে কোন মূল্যে। সমস্যা ভাই এখানেই।
আপনি দাবী করছেন, সরকার দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন দেশের জনগনের জন্য । তাহলে ভরসা রাখুন জনগনের উপর। জনগনকে ভোটাধিকার ও শাসক নির্বাচনের সুযোগ দিন। তারা অবশ্যই সরকারের ভাল কাজের ও দেশ বিরোধীদের খারাপ কাজের মূল্যায়ন করে রায় প্রদান করবে। এখানে হিংসার কোন অবকাশ আছে বলে মনে হয়না। জনগনের রায়ে যদি সরকারকে আবার শাসন করার সুযোগ মিলে তাহলে স্বাগতম এবং বাকী সকল দলকে জনরায় মেনে সরকারকে তার কাজ এগিয়ে নিতে সহযোগীতা করতে হবে ।
আর যদি জনগন সরকারী দল ব্যতীত অন্য কাউকে শাসক হিসাবে বেছে নেয় তবে জনরায়ের প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা রেখে তা মেনে নেয়া সরকারী দলের দায়িত্ব । তাহলেই মিটে যাবে সকল ঝামেলা ও হানাহানি।দেশ এগিয়ে যাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়।
আর যে কোন ছোট-খাট কাজের পরেই আমাদের সবারই তার ফলাফল নিয়ে ভাবার সুযোগ এনে দেয়,যাতে করে ভবিষ্যতে এ জাতীয় কাজে আরো ভালো ফল লাভ করা যায়। আর দেশ শাসনেত এ আরো বেশী জরূরী সরকারের জন্য। কারন, সরকারের যে কোন ভাল কাজের সুবিধা যেমন সরকার ও জনগণ ভোগ করে ঠিক তেমনি সরকারের যে কোন ভূলের ফল সরকার ও জনগণ উভয়েই ভোগ করে এবং তা সরকারের ভাবমূর্তির উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। কাজেই, যে কোন কাজেই কি প্রভাব হয়/হতে পারে তা ভাবা দোষের নয় এবং তাই সুশাসন।
আর আপনি কি নির্বাচনে ফলাফল গুলো যে লিংকগুলো দিয়েছেন সেগুলো কি ভালোভাবে পড়াশোনা করেছেন? সেখানে কি আওয়ামী ভোট সব নাই হয়ে গেছে?
পত্রিকা একটু ভালোভাবে পড়েন। আওয়ামী ভোটাররা নেই হয়ে যায়নি।
- ভাই, আপনি-আমি-আমরা সবাই পুরো ছবি হয়ত দেখছিনা বা পর্দার পিছনে কি আছে/হচছে তা জানিনা। যতটুকু আমরা দেখছি গনমাধ্যমের কল্যানে ও ভোটের ফলাফলে তার উপরই মানুষ আলোচনা-সমালোচনা করবে। এখন এসব আলোচনা-সমালোচনাকে সরকারকে পজেটিভলি নিতে হবে এবং তার উপর নির্ভর করেই তাদের পরবর্তী কর্মকৌশল সাজাতে হবে। আর যে কাউকে শতভাগ আসনে কিংবা সব স্থানীয় নির্বাচনেই জিততে হবে এমন কথা নয়। কথা হলো - জনরায়ের ফলে যদি কেউ শতভাগ ভোটে জিতে আসেন সমস্যা নেই । সমস্যা তখনই তৈরী হয়/হবে যখন তাতে ভিন্নরকম কিছু করা হয় এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা না থাকে । জনগনকে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে দিতে হবে এবং জনরায়ের ফলে যে বা যারাই শাসক নির্বাচিত হবে তাকে সহযোগীতা করতে হবে, দল-মত নির্বিশেষে - এতটুকুই।
কাউন্সিলার ভোটে আওয়ামী লীগ জয় হয়েছে। অর্থাৎ ভোটাররা ব্যাক্তি হিসেবে মেয়র কে যোগ্য মনে করে ভোট দিলেও বাকিটা দলের একজনকে দিয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির চেয়ে বেশি সংখ্যক কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছে।অর্থাৎ স্থানীয় নির্বাচনে দল পছন্দের চেয়ে ব্যক্তি পছন্দ বেশি ভূমিকা রাখে।
-ভাই, কথাত এটাই এবং তাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা । ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করে ভোট দিবে সেই নির্বাচিত ও শাসক হবে। এর বাইরে অন্য কোন পথ নেই । এই ব্যবস্থার সমর্থনে ও লালনে-পালনে সরকার-বিরোধীদল উভয়কে সহ জনগনকেও আন্তরিক হতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর নেতাদের জনগনের সামনে যেতে হবে তাদের সমর্থনের জন্য এবং জনগন যে রায় দিবে তা মেনে নিয়ে বিজয়ী-বিজেতা উভয় দলই তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করবে। এখানে কোন ধরনের আপসের সুযোগ নেই।
হাসান ভাই -
অনেক বড় জবাবের জন্য দুঃখিত। আমরা সাধারন মানুষ, দল মতের উপরে । তবে দেশের একজন সাধারন নাগরিক হিসাবে সকল প্রকার রাজনৈতিক হানা-হানি, মতবিরোধ-লড়াই পরিহার করে শান্তিতে দুবেলা দুমঠো ভাত খেতে পারলেই ভাল আছি বলে ভাবি। দেশের যে কোন ভালো খবর এবং সরকারের যে কোন ভালো কাজ আমাদেরকে যেমন গর্বিত করে, দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায় ঠিক তেমনি দেশের যে কোন ক্ষতিতে কিংবা সরকারের কোন খারাপ খবরে আমরা ব্যতীত হই। কারন, আমরা যে যেই দলেরই অনুসরাী হইনা কেন, দিন শেষে আমরা সবাই বাংলাদেশী এবং সরকার মানেই বাংলাদেশ। কাজেই,সরকার ও দেশকে আলাদা করে দেখার কোন সুযোগ আমাদের সামনে নেই।
আমার এ লেখার উদ্দেশ্য-লক্ষ্য সরকারের কোন সমালোচনা কিংবা কাউকে আঘাত করা নয় শুধু আমাদের উপলব্ধির জন্য যাতে করে আমরা সবাই দেশ-জাতি ও সমাজকে নিয়ে নিজ নিজ জায়গা থেকে পজেটিভলি ভাবি ও কাজ করি। তারপরও , যদি আমার কোন কথায় আপনি সমান্যতম খারাপ অনুভব করে থাকেন তার জন্য আমি আবারও ক্ষমা চাচছি।
১৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৯
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: ভোট কি খায়, নাকি মাথায় দেয়- ভুলে গেছি।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কবিতা ক্থ্য ভাই, আপনার ??? মন্তব্যের জন্য।
ভোট কি খায়, নাকি মাথায় দেয়- ভুলে গেছি।
- বর্তমানের একটা প্রজন্মই মনে হয় ভুলে গেছে, ভোট কি জিনিষ বা কেনই বা এই ভোট ?
১৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৩
বিটপি বলেছেন: এরশাদ মরে যাবার পর জাতীয় পার্টি বলে কিছু নেই। এটি এখন আওয়ামী লীগের পালিত গাধায় পরিণত হয়ে গেছে। দেবর ভাবীর মধ্যে যখন ঝগড়া লাগে, তখন আ'লীগের এক ধমকে সব সোজা হয়ে যায়। এক ঘাটে এসে চুক চুক করে পানি খায়।
এরকম দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য মাঝে মাঝে এর দুই একটাকে একটু দাঁড় করিয়ে দেয়া জরুরী। রংপুরের মেয়র হিসেবে জাতীয় পার্টিকে জিতিয়ে দেয়ার মাধ্যমে চাউর হল যে জাতীয় পার্টি বলে কিছু একটা আছে। এটা আওয়ামী লীগের ভালোর জন্যই ভালো। সেখানেও আওয়ামী লীগকে জিতিয়ে জাতীয় পার্টির ক্ষোভের শিকার হলে আওয়ামী লীগের জন্য তা কিছুতেই ভালো ফল বয়ে আনত না।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বিটপি , আপনার জোস মন্তব্যের জন্য।
এরশাদ মরে যাবার পর জাতীয় পার্টি বলে কিছু নেই। এটি এখন আওয়ামী লীগের পালিত গাধায় পরিণত হয়ে গেছে। দেবর ভাবীর মধ্যে যখন ঝগড়া লাগে, তখন আ'লীগের এক ধমকে সব সোজা হয়ে যায়। এক ঘাটে এসে চুক চুক করে পানি খায়।
- এটা আপনি ঠিকই বলেছেন। এরশাদ মরে যাবার পরেই নয়, বেঁচে থাকার সময়ও এভাবে ব্যবহৃত হয়েছে বা হতে বাধ্য হয়েছে জেল থেকে বেঁচে থাকার জন্য আওয়ামীলীগের দ্বারা। এরশাদকে ব্যবহার করে ও তার দলের উপর ভর করেই এখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় টিকে আছে।আর জাতীয় পার্টির নেতারাও সবাই ক্ষমতার কিছুটা ভাগ-স্বাদ পেয়ে যাবর কাটছে । মাঝে দেবর সাব (জি এম কাদের) একটু ইদিক-সেদিক কথা বলেছিল আর তাই আদালতের মাধ্যমে জিহববা (কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে) কেটে দিয়েছে , যা এক কথায় বিরল। ইদিকে ভাবী সাব আওয়ামীলীগের কথার বাইরে একপাও এদিক-সেদিক যাবেনা যা এক কথায় সত্যিকারের (গৃহপালিত ) বিশ্বস্ত বিরোধীদলেরই পরিচয় বহন করে। আর সরকার প্রধান ডাক দিলেই বা একটু ধমক-চোখরাঙানী দিলেই তাদের সকল খেল খতম হয়ে যায় পাংচার হওয়া টায়ারের মতন। আহা কি মজা।
এরকম দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য মাঝে মাঝে এর দুই একটাকে একটু দাঁড় করিয়ে দেয়া জরুরী। রংপুরের মেয়র হিসেবে জাতীয় পার্টিকে জিতিয়ে দেয়ার মাধ্যমে চাউর হল যে জাতীয় পার্টি বলে কিছু একটা আছে। এটা আওয়ামী লীগের ভালোর জন্যই ভালো। সেখানেও আওয়ামী লীগকে জিতিয়ে জাতীয় পার্টির ক্ষোভের শিকার হলে আওয়ামী লীগের জন্য তা কিছুতেই ভালো ফল বয়ে আনত না।
- রংপুরের মেয়র হিসেবে জাতীয় পার্টিকে জিতিয়ে দেয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সুবিধা বেশী হয়েছে জাতীয় পার্টি থেকে। কারন, এর ফলে এক ঢিলে কয়েক পাখি মেরে নিয়েছে সরকার।নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা-ভাবমূর্তি বাড়ানোর পাশাপাশি জাতীয় পার্টির সন্তুষ্টি সাথে সাথে দেশ বিদেশে দেখানো যে এখনো দেশে ভাল নির্বাচন হয় এবং ক্ষমতাশীনদের হারিয়ে অন্য কেউ নির্বাচিত হয় । তার মানে দেশে ফেয়ার নির্বাচন হয়। সব দিক দিয়ে দেখলে তা সরকারের জন্য ভালই হয়েছে তার প্রার্থী হারের মাধ্যমে।
১৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: নির্বাচন নিয়ে সাধারন মানুষের কোনো আগ্রহ নেই।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
নির্বাচন নিয়ে সাধারন মানুষের কোনো আগ্রহ নেই।
- ভাই নির্বাচন নিয়ে সাধারন মানুষের কোনো আগ্রহ না থাকলেও ক্ষমতাশীনদের এই নির্বাচন নির্বাচন খেলা তথা ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য আইনি মাধ্যম হিসাবে নির্বাচনকে ব্যবহার করা নিয়ে আগ্রহের কোন কমতি নেই । আর তাইতো এতসব আয়োজন-মহড়া নির্বাচন নিয়ে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কত কাল ধরে ভোট দেই না