নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" হজ্জ্ব " - ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত-বরকত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির ও প্রতিশ্রুতি দেয়।(ঈমান ও আমল - ১৮ / ১ )।

২৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১২


ছবি - channelionline.com

হজ্ব বা হাজ্জ ইসলাম ধর্মাবলম্বী অর্থাৎ মুসলমানদের জন্য একটি আবশ্যকীয় ইবাদত বা ধর্মীয় উপাসনা। এটি ইসলাম ধর্মের ৫ টি প্রধান স্তম্ভের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জীবনে একবার হজ সম্পাদন করা ফরজ বা আবশ্যিক। আরবি জিলহজ্ব মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ হজের জন্য নির্ধরিত সময়। হজ পালনের জন্য বর্তমান সৌদি আরবের মক্কা নগরী এবং সন্নিহিত মিনা, আরাফাত, মুযদালিফা প্রভৃতি স্থানে গমন এবং অবস্থান আবশ্যক। সকল মুসলমানের সারা জীবনের ধ্যান-জ্ঞান থাকে সারা জীবনে একবার হলেও বাইতুল্লাহ তাওয়াফ তথা কাবা শরীফ জিয়ারাত যা পৃথিবীর প্রথম ভূখন্ডে প্রথম মসজিদ এবং পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলে (মধ্যবর্তী স্থানে ) অবস্থিত। এটি সারা পৃথিবীর সকল মুসলিমদের বাৎসরিক তীর্থযাত্রাও বটে। হজ্জ্ব হল মুসলিম জনগণের সংহতি, এবং আল্লাহর নিকটে তাদের আনুগত্যের প্রদর্শনী। যিনি হজ সম্পাদনের জন্য গমন করেন তাকে বলা হয় হাজী।


হজ্ব শব্দের আভিধানিক অর্থ -

হজের আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা ও সফর বা ভ্রমণ করা।ইসলামী পরিভাষায় হজ হলো নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত স্থানে বিশেষ কিছু কর্ম সম্পাদন করা। হজের নির্দিষ্ট সময় হলো জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত পাঁচ দিন। হজের নির্ধারিত স্থান হলো হারামাইন শরিফাইন। এ জন্যই হাজিকে হাজিউল হারামাইন বলা হয়ে থাকে। হজের বিশেষ স্থানগুলো হলো মক্কা শরিফে-কাবা, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফাহ, মুজদালিফা ইত্যাদি এবং মদিনা শরিফে রাসুল (সাঃ) এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা।

হজের বিশেষ আমল বা কর্ম হলো ইহরাম, তাওয়াফ ও সাই, অকুফে আরাফাহ, অকুফে মুজদালিফা, অকুফে মিনা, দম ও কোরবানি, হলক ও কছর এবং জিয়ারতে মদিনা-রওজাতুল রাসুল ইত্যাদি। হজ ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি এবং আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ সকল মুসলমান পুরুষ ও নারীর ওপর জীবনে একবার হজ ফরজ।


ছবি - বিবিসি

হজ্জ্বের ঐতিহাসিক পটভূমি -

কাবাঘরে সর্বপ্রথম হজ্জ আদায় করেন দুনিয়ার প্রথম মানুষ ও ইসলামের প্রথম নবী আদম (আঃ)। তারপর নূহ (আঃ) সহ অন্য ইসলামের অন্যান্য নবী-রাসূল এ দায়িত্ব পালন করেন। ইব্রহিম (আঃ) এর সময় থেকে হজ্জ ফরয বা আবশ্যকীয় ইবাদত হিসেবে নির্ধারিত করা হয়। হিজরি সনের ১২তম মাস হলো জিলহজ্জ মাস। ইসলামের বর্ননা অনুসারে, এই সময়ই স্রষ্টা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে হজ্জ ফরজ হওয়ার কথা ঘোষণা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

কোনো কোনো বর্ণনায় আছে, এ আদেশের পর হযরত ইব্রাহিম(আঃ) আবু কোবাইস পাহাড়ে আরোহণ করে দুই কানে অঙ্গুলি রেখে ডানে - বামে এবং পূর্ব-পশ্চিমে মুখ ফিরিয়ে ঘোষণা করেছিলেন,"হে লোক সকল, তোমাদের পালনকর্তা নিজের গৃহ নির্মাণ করেছেন এবং তোমাদের ওপর এই গৃহের হজ্জ ফরজ করেছেন। তোমরা সবাই পালনকর্তার আদেশ পালন করো"।

এই বর্ণনায় আরো উল্লেখ আছে যে, হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর এই ঘোষনা স্রষ্টার পক্ষ থেকে বিশ্বের সবজায়গায় পৌঁছে দেয়া হয়। হজ্জ-এর বিভিন্ন আচার-করণীয়-কায়দা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিভিন্ন ইসলামিক বর্ননায় উল্লেখ আছে হযরত ইব্রাহিম(আঃ) স্রষ্টার নির্দেশে তাঁর স্ত্রী বিবি হযরত হাজেরাকে নির্জন মরুভূমিতে রেখে এসেছিলেন। সেখানে, ক্বাবা শরীফের অদূরে,বিবি হাজেরা নবজাত শিশু ইসমাইলকে নিয়ে মহাবিপদে পড়েছিলেন। সাহায্যের জন্য কাউকেও না পেয়ে তিনি পানির খোঁজে সাফা-মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করেছিলেন। এই ঘটনাকে স্মরন করেই হজ্বকালে মুসলিমদের জন্য সাফা- মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে হাঁটার নিয়ম রয়েছে।

ইসলামিক বর্ননায় আরো উল্লেখ আছে, স্রষ্টা বেহেশত বা স্বর্গ থেকে আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ) কে যখন পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন,এতে তারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। পরবর্তিতে উভয়ে আরাফাত ময়দানে এসে মিলিত হন। এই ঘটনার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ হজ্বের একটি অংশ হিসেবে মুসলিমরা আরাফাতের ময়দানে এসে উপস্থিত হয়ে স্রষ্টার কাছে কান্নাকাটি করে মাগফেরাত কামনায় ইবাদতে মগ্ন হন।

মক্কা বিজয় -এর দ্বিতীয় বছরে নবী হযরত মুহম্মাদ (সাঃ) তাঁর জীবনের সর্বশেষ হজ্জ পালন করেন। এটি বিদায় হজ্জ নামে মুসলিমদের কাছে পরিচিত। এর পূর্ববর্তী বৎসরে তিনি হজ্জ করেন নি।মক্কা বিজয়ের পরবর্তী বছরে ইসলামের প্রথম খলীফা আবুবকর (রাঃ) এর নেতৃত্বে হজ্জ সম্পাদিত হয়।পরবর্তী বৎসরে হযরত মুহম্মাদ (সাঃ) হজ্জের নেতৃত্বদান করেন। বিদায় হজ্জ-এর মাধ্যমে মহানবী (সাঃ) মুসলিমদের জন্য আদর্শরূপে হজ্জ পালনের নিয়মাবলী উল্লেখ এবং প্রদর্শন করেন। এই হজের সময় তিনি আরাফাতের ময়দানে যে ভাষণ প্রদান করেন, তা মুসলিম জাতির কাছে বেশ তাৎপর্যপূর্ন।

আল কোরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে হজ্জের গুরুত্ব -

হজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ ও মৌলিক ইবাদাত। জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন প্রত্যেক সচ্ছল মুসলিম নর-নারীর ওপর হজ পালন করা ফরজ। আত্মিক উন্নতি, সামাজিক সম্প্রীতি ও বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় হজের গুরুত্ব সর্বাধিক। মুসলিম বিশ্বের ঐক্য-সংহতি গড়তেও হজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব মুসলিমের করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেনাও লাভ করা যায় হজের বিশ্ব মহাসম্মিলন থেকে। হজ শুধু ইবাদতই নয়, বরং আত্মিক পরিশুদ্ধতার এক অনস্বীকার্য পদ্ধতি। আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হজের বিনিময় নিশ্চিত জান্নাত। এ সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে, "কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়"।(তিরমিযি শরীফ)।

সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে যাঁরা হজ পালন করবেন, আল্লাহ তাআলা তাঁদের হজ কবুল করবেন এবং তাঁদের জন্য অফুরন্ত রহমত ও বরকত অবধারিত। হজ ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি এবং আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ পুরুষ ও নারীর ওপর হজ ফরজ।

এ প্রসংগে আল কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন," তাতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে ,যেমন মাকামে ইবরাহীম(ইবরাহীমের দাঁড়ানোর জায়গা )। আর যে কেউ সেখানে প্রবেশ করে সে নিরাপদ হবে। আর মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ ঘরের হজ করা তার জন্য অবশ্য কর্তব্য । আর যে কেউ কুফরী করল সে জেনে রাখুক, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সৃষ্টিজগতের মুখাপেক্ষী নন"। অর্থ্যাৎ "আল্লাহর তরফ হতে সে সকল মানুষের জন্য হজ ফরজ করে দেওয়া হয়েছে, যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখে"। (সুরা আল ইমরান,আয়াত - ৯৭)।

মুসলিম শরিফের বর্ণিত হাদিসে রাসূল (সাঃ) বলেছেন,"হে মানব সম্প্রদায়! আল্লাহ তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ পালন করো"। নবী করিম (সাঃ) আরো বলেন, "হজ মানুষকে নিষ্পাপে পরিণত করে, যেভাবে লোহার ওপর হতে মরিচা দূর করা হয়" (তিরমিজি শরীফ)। এ ব্যাপারে রাসুলে কারিম (সাঃ) আরো বলেন,"যে ব্যক্তি যথাযথভাবে হজ পালন করে, সে পূর্বেকার পাপ হতে এরূপ নিষ্পাপ হয়ে যায় যেরূপ সে মাতৃগর্ভ হতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিন নিষ্পাপ ছিল"। (বুখারি শরীফ)।

যে ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ করা হয়েছে অথচ তিনি হজ আদায় করেন না, ইসলামে তার জন্য রয়েছে বিশেষ সাবধান বাণী। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, " যে ব্যক্তি হজ (ফরজ হওয়া সত্ত্বেও) তা আদায় না করে মারা যায়, তাকে বলে দাও সে ইহুদি হয়ে মরুক অথবা খ্রিষ্টান হয়ে"। (মুসলিম শরীফ)।

হজ শুধুই ইবাদত নয়। বিশ্বভাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাপক। হজের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ পবিত্র মক্কা নগরীতে একত্র হয়। ভাষা-বর্ণের ভিন্নতা, সাংস্কৃতিক-জাতীয় পরিচয়ের পার্থক্য ও ভৌগোলিক দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও বিশ্ব মুসলিমের ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত ও সুসংহত হয় পবিত্র হজ উদযাপনে। বিশ্ব মুসলিমের পারস্পরিক দুঃখ-অভাব, অভিযোগ-সমস্যা সম্পর্কে অবগত হওয়া ও তার সমাধানের সুযোগ হয় পবিত্র হজের বিশ্ব সম্মিলনে।



হজে যাওয়ার পূর্বে করণীয় সমুহ বা হজযাত্রীদের জন্য অবশ্য পালনীয় কতিপয় বিষয়


১। বিশুদ্ধ নিয়ত - - হজের জন্য চাই বিশুদ্ধ নিয়ত। নিয়ত বিশুদ্ধ না হলে ইবাদতও বিশুদ্ধ হবে না। রাসূল (সাঃ) বলেন, "নিশ্চয় আমলের প্রতিদান নিয়তের ওপর নির্ভরশীল"।(মুসলিম শরীফ ও বুখারি শরীফ)। তাই হজের আগে খুব ভালোভাবে নিয়ত পরিশুদ্ধ করে নিতে হবে যে, শুধু আল্লাহর হুকুম পালন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজে যাওয়ার ইচছা প্রকাশ করা হয়েছে। সুতরাং সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যেন, কোনভাবেই চাল-চলনে, পোশাক-আশাকে, ভাব-ভঙ্গি বা কথাবার্তায় লোকদেখানো, আত্মম্ভরিতা বা আত্মঅহংবোধ প্রকাশ না পায়।

২। হালাল উপার্জন - শুধু হজের জন্য নয় বরং জীবনের সবক্ষেত্রে হালাল উপার্জন অপরিহার্য। হালাল উপার্জন ইবাদত কবুলের শর্ত। রাসূল (সাঃ) বলেন, "বহু লোক দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসে এবং অত্যন্ত ব্যাকুলভাবে দু-হাত তুলে আল্লাহর দরবারে বলতে থাকে, হে পরওয়ারদিগার! হে রব! (আমার দোয়া কবুল কর) কিন্তু যেহেতু সে ব্যক্তির পানাহার সামগ্রী হারাম উপার্জনের, পরিধেয় পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম উৎসের এ অবস্থায় তার দোয়া কি করে কবুল হতে পারে"? (মুসলিম শরীফ, তিরমিজি শরীফ) ।

তাই হজযাত্রীর উচিত হজের পাথেয় হালাল নাকি হারাম-সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা।

৩। মানুষের হক-অধিকার-পাওনা ফিরিয়ে দেওয়া - কেউ যদি কারও নিকট টাকা-পয়সা পাওনা থাকে বা কোনভাবে কারো সম্পদ আত্মসাত করে থাকে বা কাউকে দৈহিক বা মানসিক ভাবে কষ্ট দিয়ে থাকে, তাহলে দাবীদার-পাওনাদারের ক্ষতিপূরণ দিয়ে অথবা ক্ষমা চেয়ে দায়-দায়িত্ব থেকে মুক্ত হয়ে হজের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা উচিত। কারণ, আল্লাহ বাকী সব অপরাধ ক্ষমা করলেও বান্দার হক আল্লাহও ক্ষমা করেন না। হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত মুমিনের রুহ (আত্মা) ঋণের সঙ্গে ঝুলে থাকে"। (তিরমিজি শরীফ)।

এ ক্ষেত্রে কোনো পাওনাদারের যদি মৃত্যু হয়ে থাকে, তবে অর্থ-সম্পদের বিষয়ে তার উত্তরাধিকারীদের সঙ্গে নিষ্পত্তি করে নিতে হবে। সম্ভব না হলে পাওনাদারের জন্য সওয়াবের নিয়ত করে তার পক্ষ থেকে সমপরিমাণ অর্থ সদকা করে দিতে হবে। দেনা-পাওনা সম্পূর্ণ আদায় না হলে এ সম্পর্কিত একটি তালিকা (ওসিয়তনামা) বাড়িতে আত্মীয়স্বজনের কাছে রেখে যাওয়া ভাল। পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব না হলে পাওনাদার থেকে অনুমতি নিতে হবে অন্যথায় হজে যাওয়া মাকরুহ হবে।

৪। পরিবার-পরিজনকে ন্যায় ও দ্বীনের ওপর চলার জন্য নসিহত করা - হজে যাওয়ার আগে পরিবার-পরিজনকে তাকওয়া অবলম্বন ও দ্বীনের ওপর চলার জন্য জোর উপদেশ দিতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সঠিক সময়ে, সহিহভাবে আদায় করার জন্য তাদের সুকৌশলে, মিষ্টি ভাষায় নসিহত করতে হবে এবং তাদের সার্বিক মঙ্গলের জন্য দেশে অবস্থানকালে এবং হজে গিয়ে দোয়া করা উচিত।

৫। স্ত্রী'কে বিবাহের দেনমোহর পরিশোধ করা - আমাদের সমাজে অনেকেই বিবাহের পরে স্ত্রীর দেনমোহর পরিশোধের ব্যাপারে উদাসীন থাকেন। অথচ দেনমোহর স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ঋণ এবং এ ঋণের প্রাপক স্ত্রী। এ থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ মাত্র দুটি ।
যথা -

১। বিবাহের সময় কাবিননামায় দেয়া দেনমোহর ওয়াদামাফিক পরিশোধ করতে হবে।
২। স্ত্রী স্বেচছায় কোন জোর-জবরদস্থি ব্যাতীত মনের খুশিতে স্বামীকে মাফ করে দেয়া।

স্ত্রীর দেনমোহরের ঋণ নিয়ে স্বামী মারা গেলে তাকে সেজন্য জবাবদিহি করতে হবে। দেনমোহরের ঋণ মাফ করে দেওয়ার জন্য স্ত্রীর প্রতি জোর-জবরদস্থি করা কঠিন গোনাহের কাজ। আবার, দেন মোহর পরিশোধ না করে হজে গেলে তা ঋণ হিসাবেই থেকে যাবে।আর তাই, কেউ দেনমোহর পরিশোধ না করে থাকলে হজে যাওয়ার আগে অবশ্যই স্ত্রীর নিকট থেকে দেনমোহরের একটি সমাধান করে যেতে হবে।

হজে যাবার পূর্বে আরো কিছু করণীয় বিষয় -

হজের মূল কাজগুলো জিলহজ মাসে সম্পাদিত হলেও এর আগের দুই মাসকেও হজের মাস বলা হয়ে থাকে এবং তা এ জন্য বলা হয়েছে যে, যাতে হজ আদায়ে ইচ্ছুক লোকেরা পরিপূর্ণভাবে হজের প্রস্তুতি নিতে পারে। সেই হিসেবে আল্লাহর যেসব প্রিয় বান্দা ও বান্দি যারা হজে যাওয়ার নিয়ত করেছেন, তাঁদের প্রস্তুতি বা করণীয় হলো -

১। আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা আদায় করা। হজে যাওয়ার সার্বিক সামর্থ্য ও সক্ষমতা লাভ করা একমাত্র আল্লাহর অনুগ্রহ ও নেয়ামত। অনেক মানুষ হজ করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা বুকে নিয়েই কবরে চলে যান। সুতরাং এই মহান সৌভাগ্য ও নেয়ামতের ওপর আল্লাহ তাআলার একনিষ্ঠ শুকরিয়া আদায় করা একান্ত কর্তব্য।

২। হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম একটি। অতএব, হজ আদায়ে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে সেই মহান কর্মের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও মর্যাদা বোঝার চেষ্টা করা উচিত।

৩। হজের সফর শুরু করার আগেই হজ বিষয়ে প্রিয় নবী (সাঃ)-এর হাদিস সমুহ মনোযোগ সহকারে পাঠ করে নেওয়া উচিত। আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবীজি (সাঃ) ইরশাদ করেন, "এক ওমরাহ পরবর্তী ওমরাহ পর্যন্ত (সগিরা) গুনাহগুলো মুছে দেয় আর হজে মাবরুরের প্রতিদান জান্নাত বৈ কিছু নয়"। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ১৬৮৩, মুসলিম শরীফ, হাদীস নং - ১৩৪৯) ।

এই হাদিস সামনে রেখে হজ আদায়ে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে যে হজে মাবরুর কী?
নিজের হজকে কিভাবে হজে মাবরুরে রূপান্তরিত করা যায়?

বস্তুত হজে মাবরুরের সংজ্ঞা জেনে তা কিভাবে অর্জিত হয়, সেই ব্যবস্থা এখন থেকেই গ্রহণ করতে শুরু করা।

৪। আর্থিক, শারীরিক ও হজের সফরের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি আরেকটি বিষয়ের প্রতি খুবই গুরুত্বারোপ করতে হবে। সেটি হলো, হজের মাসলা-মাসায়েল সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করা। হজ যেমন ফরজ, তেমনি হজ আদায়ে অতীব প্রয়োজনীয় মাসলা-মাসায়েল জানাও ফরজ। হজের মোবারক সফরে কখন, কোথায় কোন কর্ম সম্পাদন করতে হবে, তা সঠিকভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে । হজের প্রকারভেদ, করণীয় ও বর্জনীয়,এসব বিষয় অবশ্যই জানতে-বুঝতে হবে এবং সেই মোতাবেক আমল করতে হবে। নতুবা সেই হজ একটি সাধারণ ভ্রমণ ছাড়া কোনো কাজে আসবে না।

হজের ফজিলত -

মাবরুর (কবুল) হজের প্রতিদান জান্নাত ভিন্ন অন্য কিছু নয়। যে হজ করল ও শরিয়ত অনুমতি দেয় না এমন কাজ থেকে বিরত রইল, যৌন-স্পর্শ রয়েছে এমন কাজ ও কথা থেকে বিরত থাকল, সে তার মাতৃ-গর্ভ হতে ভূমিষ্ট ‘হওয়ার দিনের মতো পবিত্র হয়ে ফিরে এল।তাছাড়া আরাফার দিন মহান আল্লাহ এতো সংখ্যক মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন যা অন্য কোনো দিন দেন না।

সর্বোত্তম আমল কী এ ব্যাপারে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন। উত্তরে বললেন, " এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর প্রতি ঈমান, ও তারপর মাবরুর হজ যা সকল আমল থেকে শ্রেষ্ঠ "। হাদিসে আরো এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,"কারো ইসলাম-গ্রহণ পূর্বকৃত সকল পাপকে মুছে দেয়। হিজরত তার পূর্বের সকল গুনাহ মুছে দেয়, ও হজ তার পূর্বের সকল পাপ মুছে দেয়।

ইবনে মাসউদ হতে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে,"তোমরা পর পর হজ ও উমরা আদায় করো। কেননা তা দারিদ্র্য ও পাপকে সরিয়ে দেয় যেমন সরিয়ে দেয় কামারের হাপর লোহা-স্বর্ণ-রুপার ময়লাকে। আর হজ্জে মাবরুরের ছোয়াব তো জান্নাত ভিন্ন অন্য কিছু নয়"।

ক্রমশ -
=================================================================
তথ্য উৎস -

১। আল কোরআন ।
২। হাদীস ।
৩। নামাজ-হজ্জ -অজিফা ও মাসয়ালা মাসায়েল গ্রন্থ (লেখক - আলহাজ মাওঃ আ ন ম আবদুল মান্নান)।
৪। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড " এর উদ্যোগে প্রকাশিত,"যিয়ারতে বাইতুল্লাহ" শীর্ষক গ্রন্থ ।
৫। হজ গাইড - (বাংলা), লিংক - http://banglahajjguide.blogspot.com/2013/07/
৬। ওমরাহ পালনের নিয়ম - https://www.obokash.com/how-to-perform-umrah
৭। হজযাত্রীদের জন্য অবশ্য পালনীয় কয়েকটি বিষয় - Click This Link

=================================================================

পূর্ববর্তী পোস্ট -

ঈমান ও আমল - ১৭ - Click This Link
"লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত " - শুধু রমজানের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতই নয় শেষ দশকের সবগুলি বিজোড় রাতেই তার তালাশ করা উচিত । মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলমানদের করণীয় ।
ঈমান ও আমল - ১৬ Click This Link
" শান্তির ধর্ম ইসলাম " - আসুন এক নজরে দেখি ইসলাম কি এবং কেন ?
ঈমান ও আমল - ১৫ Click This Link
" পবিত্র মাস মাহে রমজান " - রহমত-বরকত-মাগফেরাতের এই মাসে কিছু আমলের অভ্যাস আমাদের সকলেরই করা উচিত।
ঈমান ও আমল - ১৪ Click This Link
" পবিত্র মাহে রমজান " - মাহে রমজানের ঐতিহাসিক পটভূমি , গুরুত্ব ও মর্যাদা ।
ঈমান ও আমল - ১৩ Click This Link
" পবিত্র মাস রজব " - রজব মাসের ফজিলত এবং আমল (করণীয়) ও বর্জনীয় ।
ঈমান ও আমল - ১২ Click This Link
" দোয়া " কি এবং কেন ? কাদের জন্য দোয়া শুধু ধোঁয়া বা কাদের দোয়া কবুল হয়না ?
ঈমান ও আমল - ১১ Click This Link
" পবিত্র ও সম্মানিত মাস মহরম " - হিজরি সনের প্রথম মাস এবং পবিত্র আশুরা ।ইসলামে আশুরার ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং আশুরার দিনে করণীয় ও বর্জনীয় ।
ঈমান ও আমল -১০ Click This Link
("পবিত্র মাস জিলহাজ্জ"-জিলহাজ্জের প্রথম দশ দিন মুসলমানদের নিকট বছরের সেরা দশদিন-ঈমান ও আমলের জন্য)।
ঈমান ও আমল - ৯ Click This Link
(" শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা " - যা সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব হাসিলে সাহায্য করে। পবিত্র রমজানের পর যা সকল মুসলমানেরই রাখা উচিত)।
ঈমান ও আমল - ৮ Click This Link
(আজ পবিত্র " লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত "। মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলমানদের করণীয় ।)
ঈমান ও আমল - ৭ Click This Link
("যাকাত " ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির ও প্রতিশ্রুতি দেয়)।
ঈমান ও আমল - ৬ Click This Link
("রোযা" ইসলামের তৃতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যার বিনিময় বা প্রতিদান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন নিজেই দিবেন)।
ঈমান ও আমল - ৫ Click This Link
(" নামাজ " ইসলামের দ্বিতীয় ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা মুসলিম-অমুসলিমের মাঝে পার্থক্যকারী সূচক হিসাবে বিবেচিত এবং মুসলমান মাত্রই দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে)।
ঈমান ও আমল - ৪ Click This Link
("ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ"- যার শুরুটা কালেমা বা ঈমানে। যা শুধু মুখে বলা নয়,অন্তরে বিশ্বাস ও কর্মে পরিণত করার বিষয়)।
ঈমান ও আমল - ৩ Click This Link
(তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব )।
ঈমান ও আমল - ২ Click This Link
("শুক্রবার - পবিত্র জুমা"- মুসলমানদের জন্য এক মর্যাদা ও ফজিলত পূর্ণ দিন এবং জুমার দিনের কতিপয় আমল )।
ঈমান ও আমল - ১ Click This Link
(যেসব আমলে মানুষের অভাব দূর হয় ও জীবন সুখের)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ধনীদের উচিত গরীবদের প্লান করে হজের ব্যবস্থা করা।

২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শূণ্য সারমর্ম ভাই, আপনার ছোট তবে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।

ধনীদের উচিত গরীবদের প্লান করে হজের ব্যবস্থা করা।

- ভাই কবিতার কথায় আছে,

" পরের কারনে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন-মন সকলি দাও।
তার মত সুখ কোথাও কি আছে,
আপনার কথা ভূলিয়া যাও"।

অথবা ধর্মের কথা , " সৃষ্টির সেবাই মানে স্রষ্টার সেবা"।

কথা আছে, করার সুযোগও আছে কিংবা আছে চাওয়া তবে কজনই বা তা মানতে বা করতে রাজী হয় বলেন।

২| ২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: হজ্ব প্যাগানদের একটা উৎসব।কিছু কাট ছাঁট করে ইসলাম এটা গ্রহন করে।অন্যকোন নবী মক্কায় আসছে বাইবেল বা তোরাহ থেকে তার কোন প্রমান পাওয়া যায় না।

২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

হজ্ব প্যাগানদের একটা উৎসব।কিছু কাট ছাঁট করে ইসলাম এটা গ্রহন করে। অন্যকোন নবী মক্কায় আসছে বাইবেল বা তোরাহ থেকে তার কোন প্রমান পাওয়া যায় না।

- মত-পথ ও করণীয় বিষয়ের অমিল সৃষ্টির শুরু থেকে তা সে ধর্মীয় কিংবা পার্থিব যে কোন বিষয়েই হোকনা কেন।

একই বিষয়ে ১০ জনের মতামত ১০ রকমের হতে পারে। থাকতে পারে ন্যায়-অন্যায় নিয়ে যার যার আলাদা দৃষ্টিভংগী।
আর তাইতো একই অপরাধে কোন বিচারক সাজা দিলেও আবার আপিলে অন্য বিচারক হয়ত দেয় বেকসুর খালাস। কাজেই , মানুষে মানুষে কিংবা শুধু দৃষ্টিভংগীর কারনেই একই বিষয়ে একেক জনের রায় ভিন্ন হতে পারে।

কাজেই , যা আপনার দৃষ্টিতে প্যাগানদের নিকট থেকে পাওয়া তাই হয়ত অন্য অনেকের নিকট ঈশ্বর-বিশ্ববিধাতার নিকট থেকে প্রেরিত বলে বিশ্বাস করে থাকেন। এখানে কেউ হয়ত ভুল নয় আবার কেউ হয়ত সঠিক নয়।
কারন - এ ব্যাপারে সত্যতা-সত্য যাচাইয়ের ক্ষমতা ঈশ্বর-বিশ্ববিধাতা মানুষকে দেয়নি।

তিনি শুধু মানুষকে দিয়েছেন চিন্তা করা ও ন্যায় অন্যায় বোধের ধারনা। বাকী সবটাই যার যার ব্যাপার । আর তাইতো মানুষ একই ব্যাপারে ভিন্ন রকম ধারনা পোষণ করে থাকে।

হযরত মুহামমদ (সাঃ) ছাড়া আর অন্য যেসব নবী-রাসুল হজ করেছেন তাদের অনেকের কথা আল কুরআনে বলা আছে। এখন এটাও বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস করা যার যার দৃষ্টিভংগীর ব্যাপার।

৩| ২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল লিখেছেন। এর বেশী আর কিছু বলব না
তবে হজ্জ্ব নিয়ে আমার চিন্তা-ভাবনা একটু ভিন্ন।

২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভাল লিখেছেন। এর বেশী আর কিছু বলব না

- শুকরিয়া। আর বেশী বলার দরকার নেই ভাইজান, যতটুকু বলেছেন তাই যথেষ্ট।


তবে হজ্জ্ব নিয়ে আমার চিন্তা-ভাবনা একটু ভিন্ন।

- মত-পথ ও করণীয় বিষয়ের অমিল সৃষ্টির শুরু থেকেই বিদ্যমান তা সে ধর্মীয় কিংবা পার্থিব যে কোন বিষয়েই হোকনা কেন। কাজেই এটাও দোষের কোন বিষয় নয় ভাইজান।

৪| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:১৬

রিদওয়ান খান বলেছেন: করনীয় আমলের মধ্যে নামাজ হচ্ছে এমন ইবাদত যাতে
ধনী-গরিব নির্বিশেষে পালন করতে হয়।

এছাড়া বাকিগুলো যেমন হজ্জ- সামর্থ্যবানদের জন্য, রোজা- সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য, (অসুস্থ-হায়েজগ্রস্ত মহিলা ও শরীয়ত সম্মত মুসাফির ব্যাতিত)
এমনিভাবে যাকাত- সামর্থ্যবানদের জন্য।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রিদওয়ান খান ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

করনীয় আমলের মধ্যে নামাজ হচ্ছে এমন ইবাদত যাতে ধনী-গরিব নির্বিশেষে পালন করতে হয়।

- ভাই আপনি তা সঠিক বলেছেন। কালিমা পাঠ তথা ঈমান আনার পর নামাজ হচছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যা মুসলমানমাত্রই দৈনিক ৫ ওয়াক্ত তথা প্রতিদিন ৫ বার আদায়ের কঠোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এছাড়া বাকিগুলো যেমন হজ্জ- সামর্থ্যবানদের জন্য, রোজা- সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য, (অসুস্থ-হায়েজগ্রস্ত মহিলা ও শরীয়ত সম্মত মুসাফির ব্যাতিত) এমনিভাবে যাকাত- সামর্থ্যবানদের জন্য।

- সাধারন তথা অপামর মানুষের জন্য ধর্মের পালনীয় বিষয় বলা যায় কালেমা-নামাজ-রোজা এতটুকুই ( রোজাতেও ক্ষেত্র বিশেষে কারো কারো জন্য কিছুটা ছাড় আছে )। আর হজ ও যাকাত সামর্থ্যবানদের জন্য।

৫| ৩০ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি হজ্ব করেছেন?
আমি করি নাই।
চলেন দুই ভাই একসাথে হজ্ব করি।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনি হজ্ব করেছেন?

-রাজিব ভাই, না এখনো আমার সেই সৌভাগ্য হয়নি।
তবে গত কয়েক বছর যাবত মনে প্রাণে চাচছি,যেন মহান আল্লাহপাক সুযোগ করে দেন পূণ্য ভূমি মক্কা-মদিনাতে একবার হলেও জিয়ারত করার তথা হজের সুযোগ দান করেন।

আমি করি নাই।

- আপনার জন্যও দোয়া রইলো যেন, মহান আল্লাহপাক আপনাকেও সুযোগ করে দেন পূণ্য ভূমি মক্কা-মদিনা জিয়ারত করার তথা হজের সুযোগ দান করার।


চলেন দুই ভাই একসাথে হজ্ব করি।

- মহান আল্লাহপাক চাইলে সবই সম্ভব । আল্লাহপাক আপনার চাওয়াকে কবুল করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.