নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১ম পর্বের লিংক - Click This Link
১ম পর্বের পরে -
ছবি - p.dw.com
হজের ইচ্ছা বা হজের নিয়ত -
সাধারণ ভাবে হজ পালন করতে যাওয়ার ইচ্ছাকে হজের নিয়ত বলে। যা হতে পারে মাইন্ড সেটআপ, আর্থিক ভাবে সক্ষমতা এবং অন্যান্য বিষয়। কারও নিয়ত হতে পারে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে নিজেকে তৈরি করা। তবে ইসলামের মতে হজের মূল লক্ষ্যই হবে আল্লাহর রাহে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া। নিজেকে আল্লাহর জন্য তৈরি করা। যার অন্তর কেবল আল্লাহ ভয়ে বিগলিত হবে। কোন ধরনের গর্ব অহংকার তার মনে ঠাই পাবে না। তিনি কেবল আল্লাহকে খুশী করার জন্যই হজ করবেন। লোক দেখানোর কোন ইচ্ছা সেখানে স্থান পাবে না। সেখানে থাকবে কেবল আল্লাহ ভয়ে ভীত এক একটি মুজাহিদ।
হজের তালবিয়া
"লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক, লা-শারিকা-লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল-মুল্ক, লা শারিকালাক"।
অর্থ - আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি হাজির! আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোনো অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার। আপনার কোনো অংশীদার নেই।
হজ্জ কাদের উপর ফরজ
মহান আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্ট ভাষায় সামর্থ বান মুসলিম প্রাপ্ত বয়স্ক নর-নারীর উপর জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ করিয়া দিয়েছেন। অর্থাৎ পরিবার-পরিজন, চাকর-বাকরদের ভরনপোষণ নিশ্চিত করে কোন ব্যক্তির নিকট হজ্জে যাওয়া-আসা ও পথের খরচ থাকলে তাহলে তার উপর হজ্জ ফরজ।
হজ ফরয হওয়ার শর্ত ৫টি।
১। মুসলিম হওয়া - মুসলমানের বিপরীত হচ্ছে কুফফার( অর্থাৎ কাফেরগন) সুতরাং কাফেরদের উপর হজ্জ ফরজ নয়।
২। বোধশক্তিসম্পন্ন তথা বিবেক-বুদ্ধিমান হওয়া - এর বিপরীত হচ্ছে পাগল উন্মাদ, সুতরাং পাগলের উপর হজ্জ ফরজ নয় এবং পাগলকে হজ্জ পালন করতে হবেনা।
৩। বালেগ হওয়া - যে ব্যক্তি সাবালক হয়নি তার উপর হজ্জ ফরজ নয়। সুতরাং যদি নাবালক ব্যক্তি হজ্জ আদায় করে তাহলে তার হজ্জ নফল হজ্জ হিসাবে গন্য হবে।
৪। স্বাধীন হওয়া - ক্রীতদাস-দাসীদের উপর হজ্জ ফরজ নয়। সুতরাং যদি সে হজ্জ আদায় করে তাহলে তার হজ্জ নফল হিসাবে গন্য হবে। যদি সে স্বাধীন হয়ে যায় তাহলে পূনরায় ফরজ হজ্জ আদায় করবে।
৫। সামর্থ্যবান হওয়া - পরিবার-পরিজন, চাকর-বাকরদের ভরনপোষণ নিশ্চিত করে কোন ব্যক্তির নিকট হজ্জে যাওয়া-আসা ও পথের খরচ থাকলে তাহলে তার উপর হজ্জ ফরজ।
প্রতিটি মুসলিম, বোধশক্তি সম্পন্ন, প্রাপ্ত বয়ষ্ক, স্বাধীন এবং সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর হজ ও উমরা ফরয তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে আরেকটি শর্ত যুক্ত হব - মাহরাম থাকা। হজের সফরে তাদের সাথে মাহরাম (যাদের সাথে দেখা-সাক্ষাত জায়েয) পুরুষ থাকতে হবে। হজ ও উমরার ক্ষেত্রে সামর্থ্যবান বলতে দৈহিক ও আর্থিক উভয় সামর্থ্যকে বুঝানো হয়েছে।
হজের ফরয,ওয়াজিব ও সুন্নাত সমুহ -
হজের ফরজ ৩টি -
এক - ইহরাম বাঁধা - ইহরাম বাঁধা অর্থাৎ হজ্বের নিয়ত করা। হে আল্লাহ! আমি হজ্ব উমরা এবং কাবাগৃহ তাওয়াফের জন্য নিয়ত করলাম। তুমি তা কবুল কর।
দুই - উ’কুফে আ’রাফা (বা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা) - জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখ ফজরের পর থেকে সূর্যাস্ত যাওয়া পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা।
তিন - তাওয়াফে জিয়ারাত, (মাথা মাথা মুন্ডন বা মাথার চুল ছাটবার পরে কাবা শরীফ প্রদক্ষিণ করা ) - অর্থাৎ মক্কা শরীফ পৌঁছার পর সর্বপ্রথম কাজটি হলো চারবার কাবাগৃহটি প্রদক্ষিণ করা আবার হজ্জ্বের কাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরার সময় সর্বশেষ কাজ হলো তিনবার কাবাগৃহ প্রদক্ষিণ করে রওনা হওয়া।
ছবি - arabnews.com
হজের ওয়াজিব ৮ টি -
এক - মীকাত (ইহরামের নির্দিষ্ট স্থান) থেকে ইহরাম বাঁধা।
দুই - সাফা ও মারওয়া পাহাড়গুলোর মধ্যবর্তী স্থানে ৭ বার সাঈ করা এবং সাফা থেকে সাঈ শুরু করা ।
তিন - অকুফে মুযদালিফায় (৯ই জিলহজ) অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যদয় পর্যন্ত একমুহূর্তের জন্য হলেও অবস্থান করা।
চার - মিনায় তিন শয়তান (জামারাত) সমূহকে পাথর নিক্ষেপ করা।
পাঁচ - হজে তামাত্তু ও কিবরান কারীরা ‘হজ’ সমাপনের জন্য দমে শোকর করা।
ছয় - ইহরাম খোলার পর মাথার চুল কাটা বা মাথা মুন্ডানো।
সাত - তাওয়াফে যিয়ারাত আইয়্যামে নহরের (দিনের বেলায়) মধ্যে সম্পাদন করা
আট - মক্কার বাইরের লোকদের জন্য তাওয়াফে বিদা অর্থাৎ মক্কা থেকে বিদায়কালে তাওয়াফ করা।
উল্লেখিত কাজসমূহের মধ্যে কোনো একটি ছুটে গেলে হজ আদায় হয়ে যাবে তবে, ছুটে যাওয়া কাজের জন্য দম (অর্থাৎ কাফফারা স্বরূপ কুরবানি) দিতে হবে।
হজের সুন্নত আমল সমুহ -
হজ্জের সুন্নত অনেক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল -
১। ইহরাম বাঁধার সময় গোসল বা অজু করা এবং শরীরে সুগন্ধি মাখা।
২। নতুন বা পরিষ্কার চাদর পরা (পুরুষদের সাদা রঙের ইহরামের কাপড় পরিধান করা)।
৩। বেশী বেশী তালবিয়াহ পাঠ করা
৪। ৮ই জিলহজ্জ বাদ ফজর মিনার উদ্দেশ্যে রওয়া হওয়া এবং তথায় পাঁচ ওয়াক্ত সালাত (নামায) আদায় করা। (ভিড় এড়াবার লক্ষ্যে বা অন্য কোনো কারণে ফজরের পূর্বে ও রাতে রওনা দেয়াও জায়েজ।)
৫। ৯ই জিলহজ্জ সূর্যোদয়ের পর মিনা হতে আরাফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া। পূর্বে ও রাতে যাওয়াও দিবাগত রাত্রে মুযদালিফায় থাকা।(কোনো অসুবিধার কারণে বা ভিড় এড়াবার লক্ষ্যে বা অন্য কোনো কারণে ফজরের পূর্বে ও রাতে রওনা যাওয়াও জায়েজ।)
৬। ৯ই যিলহজ্জ সূর্যাস্তের পর আরাফা থেকে মুযদালিফায় এসে রাতযাপন করা। (উল্লেখ্য, মুযদালিফায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই কিছুক্ষণ উকুফ বা অবস্থান করা ওয়াজিব, সুবহে সাদিকের পূর্বে অবস্থান করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।)
৭।আরাফাতের ময়দানে গোসল করা ((তবে পানির পরিমাণ বুঝে গোসল করা উচিত। সামান্য পানি দিয়ে গোসল করলেও সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। কেউ কেউ আরাফায় পৌছে প্রচুর পানি অপচয় করে গোসল করে ও কাপড় ধুয়ে পানি শেষ করে ফেলে। ফলে কোনো কোনো ক্যাম্পে অযু, এস্তেঞ্জা ও খাবার পানি নিয়ে সকলকে সংকটে পড়তে হয়)।
৮। সাফা মারওইয়ায় সায়ীর সময় সবুজ দুপিলারের মধ্যবর্তী স্থান পুরুষের জন্য দৌড়ে অতিক্রম করা এবং অবশিষ্ট স্থান হেঁটে চলা।
৯। জিলহাযের ১০-১১-১২ তারিখে (কোরবানির দিনগুলোতে) মিনায় রাত যাপন করা।
১০। তাওয়াফের প্রত্যেক চক্করে হাজরে আসওয়াদে চুমু দেয়া। চুমু দেয়া সম্ভব না হলে হাজরে আসওয়াদের দিকে হাত উঁচিয়ে ইশারা করে হাতে চুমু দেয়া।
এছাড়াও আর যে সমস্ত আমল রয়েছে, এর সবগুলো সুন্নত অথবা মুস্তাহাব।
ছবি - বিবিসি
হজ্জের প্রকারভেদ
হজ্জ ৩ প্রকার । যথা -
১। হজ্জে ইফরাদ - মীকাত থেকে শুধু হজ্জের উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধাকে হজ্জে ইফরাদ বলা হয়। আর যিনি ইফরাদ হজ্জের নিয়ত করেন, তাকে মুফরিদ বলে ।
ইফরাদ হজের নিয়ম - হজের মাসগুলোতে শুধু হজের ইহরাম বাঁধার জন্যحَجًّا لَبَّيْكَ (লাব্বাইকা হজ্জান) বলে তালবিয়া পাঠ শুরু করা। এরপর মক্কায় প্রবেশ করে তাওয়াফে কুদূম অর্থাৎ আগমনী তাওয়াফ এবং হজের জন্য সাঈ করা। অতঃপর ১০ যিলহজ কুরবানীর দিন হালাল হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায় থাকা। এরপর হজের অবশিষ্ট কাজগুলো সম্পাদন করা।
হজ্জে ইফরাদ বা শুধুমাত্র হজের নিয়ত - হে আল্লাহ, আমি হজ্জ করার ইচ্ছা পোষন করছি।সুতরাং তুমি তা আমার জন্য সহজ সাধ্য করে দাও এবং আমার পক্ষ থেকে তা তুমি কবুল কর।
২। হজ্জে কিরান - মীকাত থেকে হজ্জ ও উমরাহর উদ্দেশ্যে একই সাথে নিয়ত করা এবং একই ইহরামে উমরাহ করার পর হজ্জ আদায় করাকে হজ্জে কেরান বলে ।আর যিনি কেরান সম্পূর্ণ করেন তাকে কারিন বলে।
কিরান হজের নিয়ম - কিরান হজ দু’ভাবে আদায় করা যায়।
ক) মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধার সময় একই সাথে হজ ও উমরার ইহরাম বাঁধার জন্য لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا (লাব্বাইকা উমরাতান ওয়া হজ্জান) বলে তালবিয়া পাঠ শুরু করা। তারপর মক্কায় পৌঁছে প্রথমে উমরা আদায় করা এবং ইহরাম অবস্থায় মক্কায় অবস্থান করা। অতঃপর হজের সময় ৮ যিলহজ ইহরামসহ মিনা-আরাফা-মুযদালিফায় গমন এবং হজের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করা।
খ) মীকাত থেকে শুধু উমরার নিয়তে ইহরাম বাঁধা। পবিত্র মক্কায় পৌঁছার পর উমরার তাওয়াফ শুরু করার পূর্বে হজের নিয়ত উমরার সাথে যুক্ত করে নেয়া। উমরার তাওয়াফ-সাঈ শেষ করে ইহরাম অবস্থায় হজের অপেক্ষায় থাকা এবং ৮ যিলহজ ইহরামসহ মিনায় গমন ও পরবর্তী কার্যক্রম সম্পাদন করা।
হজ্জে কিরানের নিয়ত - হে আল্লাহ, আমি উমরাহ ও হজ্জ একই ইহরামে আদায় করার ইচ্ছা পোষন করছি।অতএব, তুমি উভয়টিকে আমার জন্য সহজ সাধ্য করে দাও এবং আমার পক্ষ থেকে তা তুমি কবুল কর ।
৩।হজ্জ তামাত্তু - হজ্জের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মীকাত থেকে উমরাহ এর ইহরাম বাঁধা ।উমরাহ করার পর ইহরাম খুলে ফেলা এবং মক্কায় অবস্থান করে হজ্জের সময় মক্কা থেকে ইহরাম বেঁধে হজ্জ সম্পূর্ণ করাকে তামাত্তু হজ্জ বলে । আর যিনি এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেন তাকে মুতামাত্তে বলা হয়।
তামাত্তু হজের নিয়ম -
হাজী সাহেব হজের মাসগুলোতে প্রথমে শুধু উমরার জন্য তালবিয়া পাঠের মাধ্যমে ইহরাম বাঁধবেন। তারপর তাওয়াফ ও সাঈ সম্পন্ন করে মাথা মুণ্ডন অথবা চুল ছোট করার মাধ্যমে উমরা থেকে হালাল হয়ে যাবেন এবং স্বাভাবিক কাপড় পরে নেবেন। তারপর যিলহজ মাসের আট তারিখ মিনা যাবার আগে নিজ অবস্থানস্থল থেকে হজের ইহরাম বাঁধবেন।
তামাত্তু হজ তিনভাবে আদায় করা যায়
ক) মীকাত থেকে উমরার ইহরাম বেঁধে মক্কায় গিয়ে তাওয়াফ সাঈ করে মাথা মুণ্ডন অথবা চুল ছোট করে হালাল হয়ে যাওয়া এবং হজ পর্যন্ত মক্কাতেই অবস্থান করা। ৮ যিলহজ হজের ইহরাম বেঁধে হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করা।
খ) মীকাত থেকে উমরার নিয়তে ইহরাম বেঁধে মক্কা গমন করা। উমরার কার্যক্রম তথা তাওয়াফ, সাঈ করার পর কসর-হলক সম্পাদন করে হালাল হয়ে যাওয়া। হজের পূর্বেই যিয়ারতে মদীনা সেরে নেয়া এবং মদীনা থেকে মক্কায় আসার পথে যুল-হুলাইফা বা আবইয়ারে আলী থেকে উমরার নিয়তে ইহরাম বেঁধে মক্কায় আসা। অতপর উমরা আদায় করে কসর করে হালাল হয়ে যাওয়া; তারপর ৮ যিলহজ হজের জন্য নতুনভাবে ইহরাম বেঁধে হজ আদায় করা।
গ) ইহরাম না বেঁধে সরাসরি মদীনা গমন করা। যিয়ারতে মদীনা শেষ করে মক্কায় আসার পথে যুল-হুলাইফা বা আবইয়ারে আলী থেকে উমরার নিয়তে ইহরাম বাঁধা অতপর মক্কায় এসে তাওয়াফ, সাঈ ও কসর-হলক করে হালাল হয়ে যাওয়া। এরপর ৮ যিলহজ হজের ইহরাম বাঁধা।
হজ্জে তামাত্তুর নিয়ত - তামাত্তু হাজী আলাদা আলাদা ভাবে হজ্জ ও উমরাহর নিয়ত করবেন। প্রথমে উমরাহ আদায়ের সময় ইহরাম বেঁধে এরুপ নিয়ত করবেন , - হে আল্লাহ, আমি একটি উমরাহ করার ইচ্ছা পোষন করছি।সুতরাং তুমি তা আমার জন্য সহজ সাধ্য করে দাও এবং আমার পক্ষ থেকে তা তুমি কবুল কর। উমরাহ করা শেষে মক্কা শরীফে হজ্জের সময় আবার ইফরাদ হজ্জের অনুরুপ ইহরাম ও নিয়ত করবেন।
হজ্জের কতিপয় পরিভাষা ও এর বর্ণনা -
১। ইহরাম - ইহরাম মূলত হজ্জের নিয়ত করা। পুরুষের জন্য দু’খানা সেলাইবিহীন চাদর পরিধান করা এবং মাথা ও মুখম-ল খোলা রাখা হয়। মহিলাদের জন্য মুখ ও দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত খোলা রাখতে হয়।
২। ইজতেবা - ইজতেবা অর্থ ইহরামের চাদর ডান বগলের নীচের দিক থেকে পেঁচিয়ে এনে বাম কাঁধের উপর স্থাপন করা।
৩। দম - হজ্জ বা উমরাহ আদায়ে কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে অথবা ইহরাম নষ্ট হয় এমন কাজ করলে হারাম এলাকার ভেতরে একটি পশু কোরবানি করে গরীবদের মধ্যে বিতরণ করতে হয়।
৪। সায়ী - সাফা ও মারওয়াহ পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাতবার প্রদক্ষিণ করাকে সায়ী বলা হয়।
৫। হাদী - হজ্জের কোরবানি (তামাত্তু ও ক্বেরান আদায়কারীদের উপর ওয়াজিব)।
৬। তাওয়াফ - পবিত্র কাবাঘরকে ৭ বার প্রদক্ষিণ করাকে তাওয়াফ বলে।
৭। তাওয়াফে ইফাদা/জিয়ারাহ - হজ্জের ফরজ তাওয়াফ যা আরাফাত, মুজদালিফা ও মিনার প্রথম দিনের কাজ শেষে মক্কায় এসে সম্পন্ন করতে হয়।
৮। বিদায়ী তাওয়াফ - হজ্জ বা ওমরাহর যাবতীয় কাজ শেষে মক্কা ত্যাগের পূর্বের তাওয়াফ।
৯। রমল - মক্কায় পৌঁছে প্রথম তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে পুরুষগণ ছোট ছোট পদক্ষেপে সামান্য দৌড়ের ভঙ্গিতে দুই হাত দুলিয়ে চলা।
১০। হাতীম - কাবাঘরের রোকনে ইরাকী ও রোকনে শামীর মাঝে দেয়াল ঘেরা অর্ধচক্রাকৃতি অংশ যা পূর্বে কাবাঘরের অংশ ছিল।
১১। রমি - রমি অর্থ কঙ্কর নিক্ষেপ। জামরাতে হাজীসাহেবগণ ১০ জিলহজ্জ বড় জামরাতে ৭টি এবং ১১ ও ১২ জিলহজ্জ ৩টি জামরাতে ৭টি করে কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। কঙ্কর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব।
১২। মাবরুর হজ্জ - যে হজ্জে হাজীকে কোনো গোনাহ স্পর্শ করে না এমন হজ্জকে মাবরুর হজ্জ বলে।
হজ্জের সফরের সময় যেসব দ্রব্যাদি সঙ্গে রাখা প্রয়োজন -
১। যোগাযোগের জন্য আন্তর্জাতিক ফোন নম্বরসহ মোবাইল, প্রয়োজনীয় অর্থ, পবিত্র হজ্জবিষয়ক ও প্রয়োজনীয় বই, পুরুষের ইহরামের জন্য আড়াই হাত বহরের আড়াই গজ করে দুই পিস ও তিন গজ করে দুই পিস সাদা কাপড়, মহিলাদের ইহরামের জন্য সালোয়ার, কামিজ ও বোরকা ইত্যাদি সাধারণ কাপড়ই যথেষ্ট।
২। কোমরে বাঁধার জন্য ১টি বেল্ট, একজোড়া স্পঞ্জের স্যান্ডেল সঙ্গে নিবেন এবং তাওয়াফের সময় জুতা/স্যান্ডেল রাখার জন্য একটি কাপড়ের ব্যাগ, পাসপোর্ট ও মূল্যবান কাগজপত্র রাখার জন্য একটি গলার ব্যাগ, একটি ইহরামের কাপড় রাখার ব্যাগ, একটি পাথর রাখার ব্যাগ, একটি ছাতা, ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার সময় মাথা মুন্ডানোর জন্য ব্লেড ও রেজার সঙ্গে নেয়া।
৩। এ ছাড়াও পরিধেয় বস্ত্র পরিমাণ মতো সঙ্গে নেয়া যাহা ইহরাম খোলার পর ব্যবহার করিতে হইবে। যেমন- লুঙ্গি, পায়জামা-প্যান্ট, জামা, গেঞ্জি, টুপি, গামছা, জুতা, মোজা, মহিলাদের জন্য সালোয়ার, কামিজ, ওড়না, বোরকা সঙ্গে রাখবেন।
৪। খাবারের জন্য মেলামাইন প্লেট, গ্লাস, চায়ের কাপ, প্রয়োজনীয় শুকনা খাবার, মেসওয়াক/ব্রাশ ও পেস্ট, লাইলনের রশি, টয়লেট পেপার, আয়না, চিরুনী, তেল, সাবান, দাঁতের খিলাল, ব্যক্তিগত খরচের টাকা, প্রয়োজনীয় প্রেসক্রিপশনসহ ৪৫ দিনের ওষুধ, বিছানার চাদর, একটি প্লাস্টিক মাদুর, পাম্পিং বালিশ, ইত্যাদি সঙ্গে নেয়া আবশ্যক।
মীকাতের বিবরণ এবং বাংলাদেশীদের জন্য মীকাতের স্থান -
স্থান অথবা কালের সীমারেখাকে মীকাত বলে। অর্থাৎ এহরাম ব্যতীত যে স্থান অতিক্রম করা যায় না, অথবা যে সময়ের পূর্বে হজ্জের এহরাম বাঁধা যায় না সেটাই হল মীকাত। বাংলাদেশীদের মীকাত হল ‘ইয়ালামলাম’ নামক পাহাড়। যাঁরা বিমানে যাবেন তাঁরা ঢাকা থেকে ইহরাম বেঁধে নেবেন। মনে রাখতে হবে যে, ইহরাম বাঁধা ছাড়া মীকাত অতিক্রম করা যাবে না।
মক্কা থেকে মীকাতসমূহের দূরত্ব -
১। যুল হুলায়ফা - মক্কা থেকে ৪২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বর্তমানে আবয়ারে আলী বলে জায়গাটি পরিচিত। মদিনাবাসী এবং ওই পথ হয়ে যারা আসেন যুল হুলায়ফা তাদের মীকাত।
২। জুহফাহ - এই জায়গাটি বর্তমানে পরিত্যক্ত হওয়ায় রাবেগ থেকে মানুষেরা এহরাম বাঁধে। মক্কা থেকে রাবেগের দূরত্ব ১৮৬ কিলোমিটার। সৌদি আরবের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকার লোকজন, পশ্চিম ও উত্তর আফ্রিকার লোকজন, লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান ও ফিলিস্তিনবাসীরা এই জায়গা হতে এহরাম বাঁধেন।
৩। কারনুল মানাযেল - এই জায়গার অন্য নাম আস্সাইলুল কাবির। মক্কা থেকে এর দূরত্ব ৭৮ কিলোমিটার। ইরাক ইরান ও অন্যান্য উপসাগরীয় অঞ্চলের লোকদের মীকাত হল এই কারনুল মানাযেল।
৪।ইয়ালামলাম - মক্কা থেকে এর দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। ইয়েমেনবাসী ও পাক-ভারত-বাংলাসহ প্রাচ্য ও দূর প্রাচ্য হতে আগমনকারীদের জন্য মীকাত হল এই ইয়ালামলাম।
ইহরাম
ইহরাম বাঁধার অর্থ হল ইহরামের কাপড় পরে উমরা বা হজ্জের নিয়ত করা। ইহরামের কাপড় পরিধানের পূর্বে পরিচ্ছন্নতার জন্য নিুলিখিত কাজ করা মুস্তাহাব -
নখ কাটা, গোফ খাট করা, বগল ও নাভির নীচের লোম পরিষ্কার করা। তবে ইহরামের পূর্বে পুরুষ ও মহিলাদের মাথার চুল কাটার বিষয়ে কোন বিধান পাওয়া যায় না। উল্লেখ্য যে, দাড়ি কোন অবস্থায়ই কাটা যাবে না। নখ-চুল কাটার পর গোসল করাও মুস্তাহাব। হাদীসে এসেছে, " গোঁফ ছোট করা, নখ কাটা, বগল পরিষ্কার করা এবং নাভির নীচের লোম পরিষ্কার করার কাজ গুলোকে ৪০ রাতের বেশি সময় অতিক্রম না করার জন্য আমাদেরকে সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে "। (মুসলিম শরীফ, হাদীস নং -২৫৮)।
ইহরামের কাপড় পরিধানের পূর্বে মাথায়, দাড়িতে ও সারা শরীরে সুগন্ধি মাখা মুস্তাহাব। ইহরাম পরিধানের পর যদি এর সুগন্ধ শরীরে থেকে যায় তাতে কোন অসুবিধা নেই, তবে মেয়েরা সুগন্ধি মাখবে না। চাদরের মত ৫ হাত লম্বা সেলাইবিহীন দু’খানা সাদা পাক-পবিত্র কাপড় সংগে নিতে হবে। একখানা পরতে হবে, অপরখানা শরীরে জড়িয়ে নিতে হবে (এটা পুরুষের জন্য)। ৩য় আর কোন প্রকার কাপড় গায়ে রাখা যাবে না। যেমন টুপি, গেঞ্জি, জাইঙ্গা বা তাবীজ ইত্যাদি। তবে শীত নিবারণের জন্য চাদর ও কম্বল ব্যবহার করা যাবে।
মেয়েদের ইহরামের জন্য বিশেষ কোন পোষাক নেই। মেয়েরা সাধারণত যে কাপড় পরে থাকে সেটাই তাদের ইহরাম। তারা নিজ ইচ্ছা মোতাবেক ঢিলেঢালা ও শালীন পোষাক পরবে। তবে তা যেন পুরুষের পোষাকের মত না হয়। এটা কাল, সবুজ বা অন্য যে কোন রঙের হতে পারে। ইহরাম অবস্থায় মেয়েরা মুখ ঢেকে রাখবে না, নিকাব ও হাতমোজা পরবে না। তবে ভিন্ন পুরুষ সামনে এলে মুখ আড়াল করে রাখবে। অর্থাৎ নিকাব ছাড়া ওড়না বা অন্য কোন কাপড় দ্বারা মুখমণ্ডল ঢাকার অনুমতি আছে। ইহরাম অবস্থায় পায়ের গোড়ালী ঢেকে রাখে এমন কোন জুতা পরা যাবে না। কাপড়ের মোজাও পরবে না। তবে সেন্ডেল পরতে পারে।
ছবি - banglatribune.com
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ
১। সেলাইযুক্ত যে কোনো কাপড় বা জুতা ব্যবহার, এক্ষেত্রে স্পঞ্জ সেন্ডেলের ব্যবহার করা।
২। মস্তক ও মুখমন্ডল (ইহরামের কাপড়সহ যে কোন কাপড় দ্বারা) ঢাকা।
৩। পায়ের পিঠ ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।
৪। চুলকাটা বা ছিড়ে ফেলা।
৫। নখকাটা।
৬। ঘ্রাণযুক্ত তৈল বা আতর লাগানো।
৭। স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক মিলন করা।
৯। শিকার করা।
১০। ঝগড়া বিবাদ বা যুদ্ধ করা।
১১। চুল-দাড়িতে চিরুনী বা আঙ্গুলী চালনা করা, যাতে তা ছিঁড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে।
১২। শরীরে সাবান লাগানো।
১৩। উকুন, ছারপোকা, মশা ও মাছিসহ কোনো জীবজন্তু হত্যা করা বা মারা।
১৪। কোনো গুনাহের কাজ করা।
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষেধ এর কোন একটা কাজ যদি ভুলে বা না জেনে করে ফেলে তাহলে কোন দম বা ফিদইয়া দিতে হবে না। স্মরণ হওয়া মাত্র বা অবগত হওয়ার সাথে সাথে এ কাজ থেকে বিরত হয়ে যাবে এবং এজন্য ইস্তেগফার করবে। তবে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হলে হজ্জ বাতিল হয়ে যাবে।
ইহরামরত অবস্থায় বৈধ কাজসমূহ -
১। গোসল করতে পারবে। পরনের ইহরামের কাপড় বদলিয়ে আরেক জোড়া ইহরামের কাপড় পরতে পারবে, ময়লা হলে কাপড় ধৌত করা যাবে।
২।ইহরাম অবস্থায় শিঙ্গা লাগানো, ফোঁড়া গালানো, দাঁত উঠানো ও অপারেশন করা যাবে।
৩। মোরগ, ছাগল, গরু, উট ইত্যাদি জবাই করতে পারবে এবং পানিতে মাছ ধরতে পারবে।
৪।মানুষের জন্য ক্ষতিকারক প্রাণী যেমন - কুকুর, চিল, কাক, ইঁদুর, সাপ, বিচ্ছু, মশা, মাছি ও পিঁপড়া মারা যাবে। (নাসাঈ ২৮৩৫)।
৫।প্রয়োজন হলে আস্তে আস্তে শরীর চুলকানো যাবে।
৬। বেল্ট, আংটি, ঘড়ি, চশমা পরতে পারবে।
৭। যেকোন ছায়ার নীচে বসতে পারবে।
৮। সুগন্ধযুক্ত না হলে সুরমা ব্যবহার করা যাবে।
৯। মেয়েরা সেলাইযুক্ত কাপড় পরতে পারবে এবং অলংকারও ব্যবহার করতে পারবে।
১০। ডাকাত বা ছিনতাইকারী দ্বারা আক্রান্ত হলে আত্মরক্ষার্থে আক্রমণকারীকে হত্যাও করা যাবে। আর নিজে নিহত হলে শহীদ হবে। এ উদ্দেশ্যে অস্ত্রও বহন করা যাবে।
১১। ইহরাম অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে ইহরামের কোন ক্ষতি হয় না।
ক্রমশ ------
================================================================
তথ্য উৎস -
১। আল কোরআন ।
২। হাদীস ।
৩। নামাজ-হজ্জ -অজিফা ও মাসয়ালা মাসায়েল গ্রন্থ (লেখক - আলহাজ মাওঃ আ ন ম আবদুল মান্নান)।
৪। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড " এর উদ্যোগে প্রকাশিত,"যিয়ারতে বাইতুল্লাহ" শীর্ষক গ্রন্থ ।
৫। হজ গাইড - (বাংলা), লিংক - http://banglahajjguide.blogspot.com/2013/07/
৬। ওমরাহ পালনের নিয়ম - https://www.obokash.com/how-to-perform-umrah
৭। হজযাত্রীদের জন্য অবশ্য পালনীয় কয়েকটি বিষয় - Click This Link
==================================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
ঈমান ও আমল - ১৮/১ - Click This Link
হজ্জ্ব - ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির ও প্রতিশ্রুতি দেয়।
ঈমান ও আমল - ১৭ - Click This Link
"লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত " - শুধু রমজানের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতই নয় শেষ দশকের সবগুলি বিজোড় রাতেই তার তালাশ করা উচিত । মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলমানদের করণীয় ।
ঈমান ও আমল - ১৬ Click This Link
" শান্তির ধর্ম ইসলাম " - আসুন এক নজরে দেখি ইসলাম কি এবং কেন ?
ঈমান ও আমল - ১৫ Click This Link
" পবিত্র মাস মাহে রমজান " - রহমত-বরকত-মাগফেরাতের এই মাসে কিছু আমলের অভ্যাস আমাদের সকলেরই করা উচিত।
ঈমান ও আমল - ১৪ Click This Link
" পবিত্র মাহে রমজান " - মাহে রমজানের ঐতিহাসিক পটভূমি , গুরুত্ব ও মর্যাদা ।
ঈমান ও আমল - ১৩ Click This Link
" পবিত্র মাস রজব " - রজব মাসের ফজিলত এবং আমল (করণীয়) ও বর্জনীয় ।
ঈমান ও আমল - ১২ Click This Link
" দোয়া " কি এবং কেন ? কাদের জন্য দোয়া শুধু ধোঁয়া বা কাদের দোয়া কবুল হয়না ?
ঈমান ও আমল - ১১ Click This Link
" পবিত্র ও সম্মানিত মাস মহরম " - হিজরি সনের প্রথম মাস এবং পবিত্র আশুরা ।ইসলামে আশুরার ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং আশুরার দিনে করণীয় ও বর্জনীয় ।
ঈমান ও আমল -১০ Click This Link
("পবিত্র মাস জিলহাজ্জ"-জিলহাজ্জের প্রথম দশ দিন মুসলমানদের নিকট বছরের সেরা দশদিন-ঈমান ও আমলের জন্য)।
ঈমান ও আমল - ৯ Click This Link
(" শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা " - যা সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব হাসিলে সাহায্য করে। পবিত্র রমজানের পর যা সকল মুসলমানেরই রাখা উচিত)।
ঈমান ও আমল - ৮ Click This Link
(আজ পবিত্র " লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত "। মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলমানদের করণীয় ।)
ঈমান ও আমল - ৭ Click This Link
("যাকাত " ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির ও প্রতিশ্রুতি দেয়)।
ঈমান ও আমল - ৬ Click This Link
("রোযা" ইসলামের তৃতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যার বিনিময় বা প্রতিদান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন নিজেই দিবেন)।
ঈমান ও আমল - ৫ Click This Link
(" নামাজ " ইসলামের দ্বিতীয় ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা মুসলিম-অমুসলিমের মাঝে পার্থক্যকারী সূচক হিসাবে বিবেচিত এবং মুসলমান মাত্রই দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে)।
ঈমান ও আমল - ৪ Click This Link
("ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ"- যার শুরুটা কালেমা বা ঈমানে। যা শুধু মুখে বলা নয়,অন্তরে বিশ্বাস ও কর্মে পরিণত করার বিষয়)।
ঈমান ও আমল - ৩ Click This Link
(তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব )।
ঈমান ও আমল - ২ Click This Link
("শুক্রবার - পবিত্র জুমা"- মুসলমানদের জন্য এক মর্যাদা ও ফজিলত পূর্ণ দিন এবং জুমার দিনের কতিপয় আমল )।
ঈমান ও আমল - ১ Click This Link
(যেসব আমলে মানুষের অভাব দূর হয় ও জীবন সুখের)
০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাহাদাত উদরাজী ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
একবার হজ্ব করতে হবে, সময় আর নেই তেমন।
- আপনার চাওয়া পূর্ণ হোক। দয়াময় বিধাতা আপনাকে-আমাকে-আমাদের সকলকে শারিরীক-মানষিক-আর্থিক সামর্থ্য দিক একবার মকবুল হজের তথা মক্কা-মদিনা জিয়ারতের।
২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৬
কামাল১৮ বলেছেন: ইসলামের আকিদা মতে,হজ্ব কি অতীতের সব গুনাহ মাপ করে দেয়।অন্যান্য ধর্মে অতীতের সব গুনাহ মাপের অনেক নিনজা টেকনিক আছে।
০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:০৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
ইসলামের আকিদা মতে,হজ্ব কি অতীতের সব গুনাহ মাপ করে দেয়।
- ইসলামী আকিদা বা বিশ্বাস ও আল কোরআন-হাদীসের নির্দেশনা অনুযায়ী মকবুল হজ তথা যে হজ আল্লাহ কবুল করে নেন সে হজের পর মানুষ তেমন বিশুদ্ধ-নির্দোষ হয়ে যায় যেমনটা সে জন্মের সময় ছিল। তবে এসবই আল্লাহর অংশ তথা আল্লাহর আদেশ-নিষেধ না মানার ফলে যে অপরাধ সে সব তিনি মাফ করে দিবেন বলে ওয়াদা করেছেন।
তবে বান্দার হক তিনি মাফ করবেন না।কেউ যদি কোন মানুষের হক তসরুফ করে কিংবা কারো পাওনা না দেয়, বোনের হক মেরে দেয় কিংবা বউয়ের দেনমোহর না দেয় বা কাউকে বিপদে ফেলে তার থেকে ফায়দা হাসিল করে কিংবা ফাইল আটকিয়ে পয়সা নেয় অর্থ্যাৎ কোন না কোন ভাবে অন্যের টাকা-পয়সা-সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে এবং অন্যায় ভাবে কাউকে কষ্ঠ দিলে সেই বান্দা যতক্ষণ না মাপ করবেন ততক্ষণ আল্লাহও ক্ষমা করবেন না বলে ঘোষনা দেয়া আছে। যদি ক্ষতিগ্রস্ত বান্দা মাপফ করে দেন তাহলে আল্লাহও ক্ষমা করে দিবেন।
অন্যান্য ধর্মে অতীতের সব গুনাহ মাপের অনেক নিনজা টেকনিক আছে।
- সকল আব্রাহামিক ধর্মের এটাই নিনজা টেকটিক বলতে পারেন।
এর বাইরে আর কোন পথ আছে বলে আমার জানা নেই।
৩| ০৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬
নতুন বলেছেন: বর্তমানে ওমরাহ, হজ্জ খবই ভালো একটা ব্যবসা।
সৌদি সরকারের জন্য বছরে অনেক বড় একটা অংক যোগ হয় অর্থনিতিতে।
আর মানুষকে হজ্জ, ওমরাহ করাতে অনেক মানুষ ব্যবসা করে।
মজার বিষয় হইলো সৌদিতে বাংলাদেশীরা সব খানেই আছে। আপনি যদি যে কেন দোকানে গিয়ে জিঙ্গাসা করেন ভাই এইটার দাম কত। তবে দেখবেন কোন না কোন একজন বাঙ্গালী আপনার প্রশ্নের জবাব দেবেন।
০৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
বর্তমানে ওমরাহ, হজ্জ খবই ভালো একটা ব্যবসা। সৌদি সরকারের জন্য বছরে অনেক বড় একটা অংক যোগ হয় অর্থনিতিতে। আর মানুষকে হজ্জ, ওমরাহ করাতে অনেক মানুষ ব্যবসা করে।
- যেহেতু প্রতি বছর কয়েক লক্ষ মানুষ সারা দুনিয়া থেকে ওমরাহ, হজ্জ করতে যায় এবং এসব কিছু করতে অর্থের হাত বদল হয় ।কাজেই ওমরাহ, হজ্জকে ঘিরে রাষ্ট্র থেকে ব্যক্তি,আর্থিক লেন-দেন তথা ব্যবসা হবেই (ভিসা,এয়ারলাইন্স,হজ এজেন্সি,হজ গাইড, মুদ্রা বিনিময়,কাপড়,জুতা থেকে আরো অনেক ব্যবসাই) । আর এসবকে ঘিরে অনেক মানুষের জীবন জীবিকার পথও তৈরী হয় । এ এক সার্কেল । কেউ সওয়াব কামায় আর কেউ জীবন জীবিকার জন্য পয়সা কামায়।
মজার বিষয় হইলো সৌদিতে বাংলাদেশীরা সব খানেই আছে। আপনি যদি যে কেন দোকানে গিয়ে জিঙ্গাসা করেন ভাই এইটার দাম কত। তবে দেখবেন কোন না কোন একজন বাঙ্গালী আপনার প্রশ্নের জবাব দেবেন।
- আমার মনে হয়, অভিবাসী কর্মীরা বর্তমানে সারা দুনিয়াতেই ছড়িয়ে পড়েছে শুধু মংগল গ্রহ ছাড়া(যদিও অনেকে বলে যে নোয়াখালী রাষ্ট্রের লোকেরা মংগল গ্রহেও আছে)। আর মধ্যপ্রাচ্যে বাংগালীরা সেই আশির দশক থেকেই দাপিয়ে বেড়াচছে ( দেশ ত্যাগ না করে উপায় কি ভাইজান ( ।ছোট দেশ ,জনসংখ্যা বেশী। কাজের সুযোগ সীমিত। কারিগরী শিক্ষা তথা জ্ঞানও কম । কাজেই মধ্যপ্রাচ্যই ভরসা।ইউরোপ-আমেরিকা স্বপ্নের দেশ)। ।
কাজেই যখনই কিছু জিজ্ঞাসা করবেন, তারা অতি আগ্রহে জবাব দিবে, " আরে আপনি আমার দেশি ভাই , কি লাগব খালি বলেন"।
৪| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: বেশ সাজানো গোছানো লেখা।
০৬ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
বেশ সাজানো গোছানো লেখা।
- শুকরিয়া ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: একবার হজ্ব করতে হবে, সময় আর নেই তেমন।