নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - channelionline.com
১ম পর্বের লিংক - Click This Link
২য় পর্বের লিংক - Click This Link
৩য় পর্বের লিংক - Click This Link
শেষ পর্ব -
ওমরাহ হজ -
উমরা আবরী শব্দ, যার আভিধানিক অর্থ হলো ভ্রমণ করা, যিয়ারত করা । ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় হজ্জের নির্দিষ্ট দিনগুলো ব্যতীত মীকাত হতে ইহরাম বেঁধে কাবা শরীফ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ায় সাঈ করাকে উমরা বলা হয়। জীবনে একবার ওমরাহ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এটা যখনই করা হোক, তার জন্য প্রতিদান ও বরকত রয়েছে।
ওমরাহ কেন পালন করতে হয়
কোরআন ও হাদিসে ওমরাহর অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহপাক আল কোরআনে বলেন , " আর আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ্ব ও উমরাহ পূর্ণভাবে সম্পাদন কর, কিন্তু (ইহরাম বাঁধার পর) যদি তোমরা বাধাপ্রাপ্ত হও, তাহলে সহজলভ্য (পশু) কুরবানী কর এবং যে পর্যন্ত কুরবানীর (পশু) তার যবেহস্থলে উপস্থিত না হয়, তোমরা মস্তক মুন্ডন করো না (হালাল হয়ো না)। অতএব তোমাদের মধ্যে কেউ পীড়িত হলে, অথবা মাথায় কোন ব্যাধি থাকলে (এবং তার জন্য মস্তক মুন্ডন করতে হলে তার পরিবর্তে) সে রোযা রাখবে কিংবা সাদকাহ করবে, কিংবা কুরবানী দ্বারা তার ফিদ্ইয়া (বিনিময়) দেবে। অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ হবে, তখন তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি হজ্জ্বের পূর্বে উমরাহ দ্বারা লাভবান হতে চায়, সে সহজলভ্য কুরবানী করবে। কিন্তু যদি কেউ কুরবানী না পায় (বা দিতে অক্ষম হয়), তাহলে তাকে হজ্জের সময় তিন দিন এবং গৃহে প্রত্যাবর্তনের পর সাত দিন , এই পূর্ণ দশ দিন রোযা পালন করতে হবে। এই নিয়ম সেই ব্যক্তির জন্য, যার পরিবার-পরিজন পবিত্র কা’বার নিকটে (মক্কায়) বাস করে না। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ যে, আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা"।(সুরা বাকারা,আয়াত - ১৯৬)।
আবু হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত - রাসুল (সাঃ) বলেছেন,"এক ওমরাহ থেকে পরবর্তী ওমরাহ পর্যন্ত মাঝখানের গোনাহগুলোর জন্য কাফফারা স্বরূপ" । (বোখারি শরীফ, হাদীস নং - ১৬৮৩, মুসলিম শরীফ, হাদীস নং -৩৩৫৫)।
ওমরাহ দারিদ্র্য বিমোচন করে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত - রাসুল (সাঃ) বলেছেন,"তোমরা হজ ও ওমরাহ আদায় করো। কেননা, হজ ও ওমরাহ দারিদ্র্য বিমোচন ও গোনাহ দূর করে দেয় ঠিক সেভাবে, যেভাবে হাঁপরের আগুন লোহা, সোনা ও রুপা থেকে ময়লা দূর করে দেয়"। (তিরমিজি শরীফ,হাদীস নং - ৮১০)।
হজ ও ওমরাহর মধ্যে পার্থক্য
হজ ও ওমরাহর মধ্যে অনেক ধরনের পার্থক্য বিদ্যমান। এ পার্থক্যটা গুরুত্ব এবং পদ্ধতির মধ্যে। যেমন -
১। হজ ফরয - প্রত্যেক মুসলমানের জন্য তাদের জীবনকালে এটি পালন করা বাধ্যতামূলক যদি তারা শারীরিকভাবে উপযুক্ত এবং আর্থিকভাবে এটি করতে সক্ষম হয়। পক্ষান্তরে ওমরাহ সুন্নত।
২। হজ এক নির্দিষ্ট সময়ে করতে হয় কিন্তু ওমরাহ বৎসরে যে কোন সময়ই করা যায় তবে ৯ জিলহজ থেকে ১৩ জিলহজ পর্যন্ত ওমরাহ করা মাকরূহ।
৩। ওমরাহর মধ্যে আরাফাত ও মুযদালিফায় অবস্থান, দু’নামায এক সাথে আদায় করা ও খুতবার বিধান নেই। তাওয়াফে কুদূম এবং তাওয়াফে বিদা’ও নেই কিন্তু এই সব কাজ হজের মধ্যে রয়েছে।
৪। ওমরাহর মধ্যে তাওয়াফ আরম্ভ করার সময় তালবিয়াহ পড়া মওকুফ করা হয়। আর হজের মধ্যে জামরাতুল আক্বাবাহ’তে রামী (কংকর নিক্ষেপ) করার সময় মওকূফ করা হয়।
৫। ওমরাহ নষ্ট হলে বা জানাবত (ওই নাপাকী যা দ্বারা গোসল ফরয হয়।) অবস্থায় তাওয়াফ করলে (দম হিসেবে) একটা ছাগল বা মেষ জবেহ করা যথেষ্ট, কিন্তু হজে যথেষ্ট নয় বরং পরবর্তী বছর পুনরায় সম্পন্ন করতে হয়।
উমরার ফরয দু’টি -
১। ইহরাম পরিধান করা - ইহরাম পরিধানের আগে বেশ কিছু করণীয় আছে। এগুলো হলো - ইহরাম পরিধানের আগে সব ধরনের শারীরিক পরিচ্ছন্নতা অর্জন করতে হবে। যেমন, হাত-পায়ের নখ কাটা, গোঁফ, চুল ও নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা ইত্যাদি। ইহরাম পরিধানের আগে গোসল করা সুন্নত।
এরপর পুরুষদের সেলাইবিহীন পোশাক ও নারীদের যেকোনো উপযুক্ত পোশাক পরিধানের মাধ্যমে ইহরাম পরিধান করতে হবে। মিকাত (ইহরামের জন্য নির্দিষ্ট স্থান) বা তার আগে ওমরাহর নিয়ত করতে হবে। এরপর তালবিয়া পড়তে হবে। কেউ যদি ইহরাম করতে চায়, সে ফরজ গোসলের মতো গোসল করবে। তারপর মাথা বা দাঁড়িতে সুগন্ধি লাগাবে। গোসল ও সুগন্ধি ব্যবহারের পর ইহরামের কাপড় পরিধান করবে।
এরপর ফরজ নামাজের ওয়াক্ত হলে ফরজ নামাজ আদায় করবে। ফরজ নামাজের ওয়াক্ত না হলে অজুর সুন্নত হিসেবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে। নামাজের পর কিবলামুখী হয়ে ইহরাম পরিধান করবে। ইচ্ছা করলে বাহনে (গাড়িতে) উঠে যাত্রার প্রাক্কালে ইহরাম করতে পারেন। তবে মিকাত থেকে মক্কার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার আগে ইহরাম করতে হবে। ইহরামের নিয়তে এই দোয়া পড়া যায় - আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদুল উমরাতা ফা-ইয়াসসিরহা লি ওয়া তাকাব্বালহা মিন্নি।
২। পবিত্র কাবাগৃহ তাওয়াফ করা - পবিত্র কাবাগৃহ সাতবার প্রদক্ষিণ করাকে তাওয়াফ বলা হয়। ওমরাহর উদ্দেশ্যে মসজিদে হারামে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করে এ দোয়া পড়া, "বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ। আউজু বিল্লাহিল আজিম ওয়া বি-ওয়াজহিহিল কারিম, ওয়া সুলতানিহিল কাদিম; মিনাশ শায়তানির রাজিম। আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা"।
এরপর তাওয়াফ শুরু করার জন্য হাজরে আসওয়াদের দিকে এগিয়ে যাবে। ডান হাত দিয়ে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করবে ও চুমু খাবে। যদি হাজরে আসওয়াদে চুমু খেতে না পারে, হাত দিয়ে স্পর্শ করবে ও হাতে চুমু খাবে। যদি হাত দিয়ে স্পর্শ করতে না পারে তাহলে হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করে হাত দিয়ে ইশারা করবে এবং তাকবির বলবে। কিন্তু হাতে চুমু খাবে না।
এরপর ডানদিক ধরে চলতে থাকবে। বায়তুল্লাহকে বামদিকে রাখবে। যখন রুকনে ইয়ামেনিতে (হাজরে আসওয়াদের পর তৃতীয় কর্নার) পৌঁছবে তখন সে কর্নার চুমু ও তাকবির ছাড়া শুধু স্পর্শ করবে। যদি স্পর্শ করা সম্ভব না হয় তাহলে তাওয়াফ চালিয়ে যাবে, ভিড় করবে না।তাওয়াফের সময় কাবা শরিফ ও হাজরে আসওয়াদকে বাম দিকে রেখে রোকনে শামি ও রোকনে ইরাকি অতিক্রম করে রোকনে ইয়ামেনিতে আসবে। এ স্থানে তালবিয়া, তাকবির তাসবিহ ইত্যাদি পড়বে। অতঃপর (সম্ভব হলে) রোকনে ইয়ামেনি স্পর্শ করবে। সম্ভব না হলে দূর থেকে ইশারা করে হাজরে আসওয়াদের দিকে অগ্রসর হবে এবং কোরআনে শেখানো এ দোয়া পড়বে,"রাব্বানা আতিনা ফিদদুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াক্বিনা আজাবান নার"।
যখনই হাজরে আসওয়াদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে, তখন হাজরে আসওয়াদ অভিমুখী হয়ে তাকবির বলবে। তাওয়াফের অন্য অংশে যা কিছু খুশি জিকির, দোয়া ও কোরআন তিলাওয়াত করবে। তাওয়াফের মধ্যে পুরুষকে দুটি জিনিস করতে হয়।
১। তাওয়াফের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইজতেবা করা। ইজতেবা মানে ডান কাঁধ খালি রেখে চাদরের মাঝের অংশ বগলের নিচ দিয়ে এনে চাদরের পার্শ্ব বাম কাঁধের ওপর ফেলে দেওয়া। তাওয়াফ শেষ করার পর চাদর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেবে। কারণ ইজতেবা শুধু তাওয়াফের মধ্যে করতে হয়।
২। তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করা। রমল মানে ছোট ছোট পদক্ষেপে দ্রুত হাঁটা। আর বাকি চার চক্করে রমল নেই বিধায় স্বাভাবিক গতিতে হাঁটবে। সাত চক্কর তাওয়াফ শেষ করার পর ডান কাঁধ ঢেকে নিয়ে মাকামে ইবরাহিমে আসবে এবং পড়বে,"ওয়াত্তাখিজু মিম মাকামি ইবরাহিমা মুসল্লা"। অতঃপর মাকামে ইবরাহিমের পেছনে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পর সুরা কাফিরুন পড়বে। দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পর সুরা ইখলাস পড়বে।
দুই রাকাত সালাত আদায় করার পর জমজমের পানি পান করবে। মাতাফের (তাওয়াফ করার স্থান) চতুর্দিকে জমজমের গরম ও ঠাণ্ডা পানির জার / ড্রাম আছে। জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করবে এবং পান করার সময় বলবে, " আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফি’আ, ওয়ারিজক্বাও ওয়াসি’আ, ওয়াশিফাআম মিন কুল্লি দা’ঈ"।(হে আল্লাহ, আমাকে উপকারী জ্ঞান দান করুন! পর্যাপ্ত রিজিক দান করুন! সব রোগের শিফা দান করুন)।
উমরার ওয়াজিব দু’টি -
১। সাফা ও মারওয়ার মধ্যবর্তী (সবুজ বাতি) স্থানে সাতবার সাঈ করা - জমজমের পানি পান করে ধীরে ধীরে সাফা পাহাড়ে আরোহণ করবে। সাফা ও মারওয়া পাহাড় দুটি কাবা শরিফের পাশেই অবস্থিত। এরপর মাসআ (সাঈ করার স্থান) আসবে। যখন সাফা পাহাড়ের নিকটবর্তী হবে তখন পড়বে, "ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শাআইরিল্লাহ"। এই আয়াত শুধু সাঈর শুরুতে সাফার নিকটবর্তী হলে পড়বে। সাফা-মারওয়াতে প্রতিবার আয়াতটি পড়বে না। এরপর বলবে, " নাবদাউ বিমা বাদাআল্লাহু বিহি"। অর্থ্যাৎ - আল্লাহ যা দিয়ে শুরু করেছেন আমরাও তা দিয়ে শুরু করছি।
অতঃপর সাফা পাহাড়ে উঠবে, যাতে কাবা শরিফ দেখতে পায়। কাবার দিকে ফিরে আলহামদু লিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলবে। কাবা নজরে এলে কাবাকে সামনে রেখে দুই হাত তুলে দোয়া করবে। নবী (সাঃ)-এর দোয়ার মধ্যে ছিল , " লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহ, আনজাজা ওয়াদাহ, ওয়া নাসারা আবদাহ, ওয়া হাজামাল আহজাবা ওয়াহদা"।
এই জিকিরটি তিনবার উচ্চারণ করবে এবং এর মধ্যে দোয়া করবে। একবার এই জিকির বলবে,এরপর দোয়া করবে। দ্বিতীয়বার জিকিরটি বলবে এবং এরপর দোয়া করবে। তৃতীয়বার জিকিরটি বলে মারওয়া পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবে। তৃতীয়বার আর দোয়া করবে না। যখন সবুজ কালার চিহ্নিত স্থানে পৌঁছবে তখন যত জোরে সম্ভব দৌড়াবে। কিন্তু কাউকে কষ্ট দেবে না। দ্বিতীয় সবুজ রং চিহ্নিত স্থান থেকে স্বাভাবিক গতিতে হাঁটবে। এভাবে মারওয়াতে পৌঁছবে। সবুজ চিহ্নিত স্থানে এ দোয়া পড়বে, " রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতাল আ-আজজুল আকরাম"।
সবুজ চিহ্নিত স্থান অতিক্রম করে নারী-পুরুষ সবাই স্বাভাবিক গতিতে হাঁটবে। মারওয়ার ওপর উঠে কিবলামুখী হয়ে হাত তুলে দোয়া করবে। সাফা পাহাড়ের ওপর যা যা পড়েছে ও বলেছে এখানেও তা তা পড়বে ও বলবে। এরপর মারওয়া থেকে নেমে সাফার উদ্দেশে হেঁটে যাবে। স্বাভাবিকভাবে হাঁটার স্থানে হেঁটে পার হবে,আর দৌড়ানোর স্থানে দৌড়ে পার হবে। সাফা'তে পৌঁছার পর আগে যা যা করেছে তা তা করবে। মারওয়ার ওপরও আগের মতো তা তা করবে। এভাবে সাত চক্কর শেষ করবে। সাফা থেকে মারওয়া গেলে এক চক্কর। মারওয়া থেকে সাফাতে এলে এক চক্কর। সাঈর মধ্যে যা খুশি জিকির, দোয়া, কোরআন তিলাওয়াত করতে পারবে। সাঈ শেষ হলে এ দোয়া পড়বে,"রাব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাস ছামিউল আলিম"।
২। মাথার চুল মুণ্ডানো বা ছোট করা - সাত চক্কর সাঈ শেষ করার পর পুরুষ হলে মাথা মুণ্ডন করবে অথবা মাথার চুল ছোট করবে। মুণ্ডন করলে মাথার সর্বাংশের চুল মুণ্ডন করতে হবে। অনুরূপভাবে চুল ছোট করলে মাথার সর্বাংশের চুল ছোট করতে হবে। মাথা মুণ্ডন করা চুল ছোট করার চেয়ে উত্তম। নারীরা আঙুলের এক কর পরিমাণ মাথার চুল কাটবে।
এই আমলগুলোর মাধ্যমে ওমরাহ সমাপ্ত হবে। সুতরাং ওমরাহ মূলত ইহরাম, তাওয়াফ, সাঈ, মাথা মুণ্ডন বা মাথার চুল ছোট করা।
উমরা করা সুন্নত না ওয়াজিব
ওমরাহ সুন্নত, ফরজ নয়। এর দলিল হচ্ছে, জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে যে, ওমরাহ বাধ্যতামূলক কিনা? তিনি উত্তর দিয়েছেন, না। তবে ওমরাহ করা তোমার জন্য কল্যাণকর। (তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং - ৯৩১)। আর উমরা শুরু করলে তা পূর্ণ করা ওয়াজিব। তবে উমরা করার হুকুম কি? তা কি ওয়াজিব না সুন্নত ? এ বিষয়ে দু’টি মত রয়েছে।
ইমাম শাফেয়ি ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্মল (রহঃ) এর নিকট উমরা করা ওয়াজিব।
এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনের বাণী,"আর তোমরা হজ ও উমরা পূর্ণ কর আল্লাহর উদ্দেশ্যে "।(সূরা আল বাকারা,আয়াত - ১৯৬)। এই অভিমতের পক্ষে বেশ কিছু হাদিসও রয়েছে তন্মধ্যে কয়েকটি হল -
১। যেমন হাদিসে এসেছে, "ইসলাম হল এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মাবুদ নেই ও মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল। সালাত কায়েম করবে, জাকাত আদায় করবে, হজ্জ ও উমরা আদায় করবে এবং জানাবাতের (সহবাস, স্বপ্নদোষ, বীর্যপাত ইত্যাদির) পর গোসল করবে, পরিপূর্ণরূপে ওজু করবে ও সিয়াম পালন করবে (ইবনে খুযাইমা, হাদিসটি মুসলিমের শর্তে সহীহ)।
২। হযরত আয়শা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন, "নারীর ওপর কি জিহাদ ফরজ? উত্তরে রাসূল (সাঃ) বললেন, তাদের ওপর জিহাদ আছে যে জিহাদে কিতাল (যুদ্ধ) নেই। আর তা হল হজ্জ ও উমরা (আহমদ : ২/১৬৫ ,ইবনে মাজাহ , হাদিস নং ২৯০১)। এ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে মেয়েদের জন্য উমরা ওয়াজিব। যখন মেয়েদের জন্য উমরা ওয়াজিব হল তখন পুরুষদের জন্য তো অবশ্যই।
৩। এক ব্যক্তি রাসূল (সাঃ)এর কাছে এসে বললেন আমার পিতা খুব বৃদ্ধ। তিনি হজ্জ-উমরা করতে অপারগ, এমনকি সফরও করতে পারেন না। উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)বললেন, ‘তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ ও উমরা পালন করো। (আবু দাউদ শরীফ, হাদিস নং - ১৮১০ এবং তিরমিযী শরীফ,হাদিস নং ৯৩০)।
উভয়পক্ষের দলিল পর্যালোচনা করলে বিশুদ্ধ মত হল উমরা করা ওয়াজিব।
উমরা কখন করা যায়
আরাফা দিবস তথা ৯ ই জিলহজ ও ১০, ১১, ১২ ও ১৩ জিলহজ্জ এই পাঁচ দিন ব্যতীত বছরের বাকি দিনগুলোতে যে কোনো সময় উমরা আদায়ে কোনো সমস্যা নেই।
উমরার মীকাত
উমরাকারী যদি এই মীকাতের বাইরে থেকে আসে তাহলে মীকাত থেকে ইহরাম বেঁধে আসতে হবে (মুসলিম শরীফ - হাদিস নং ১১৮১)। উমরাকারী যদি হেরেমের অভ্যন্তরে থাকে তাহলে হেরেম এর এরিয়া থেকে বাইরে যেতে হবে। হিল্ল থেকে ইহরাম বাঁধতে হবে। সবচেয়ে নিকটবর্তী হিল্ল হল তানয়ীম, যেখানে বর্তমানে মসজিদে আয়েশা রয়েছে।
ওমরাহর নিয়্যাত
" আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদুল উমরাতা ফাইয়াসসিরহু লি ওয়া তাকাব্বালহু মিন্নি" । বাংলা নিয়ত - হে আল্লাহ! আমি ওমরার ইচ্ছা করছি। আপনি আমার জন্য তা সহজ করে দিন এবং আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন।
উমরা আদায়ের পদ্ধতি
তালবিয়া পাঠ অব্যাহত রেখে পবিত্র কাবার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে হবে। পবিত্র কাবার চার পাশে মাসজিদুল হারামের যে কোনো দরজায় প্রথমে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা যাবে। আল্লাহ যেন তাঁর রহমতের সকল দরজা খুলে দেন সে আকুতি নিয়ে মসজিদে প্রবেশের সময় সম্ভব হলে নীচের দোয়াটি পড়া।
- বিসমিল্লাহে ওয়াস্সালাতু ওয়াস্সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আল্লাহুম্মাগফিরলি যুনুবী, ওয়াফতাহ্লি আবওয়াবা রাহমাতিক। অর্থ - আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। সালাত ও সালাম রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ওপর। হে আল্লাহ আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের সকল দরজা উন্মুক্ত করে দিন।
এরপর তাওয়াফ শুরু করা। বায়তুল্লাহ শরীফ দেখামাত্র দু’হাত উঠানোর ব্যাপারে যে একটি কথা আছে তা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। তবে বায়তুল্লাহ শরীফ দৃষ্টির আওতায় এলে দোয়া করার অনুমতি রয়েছে। ওমর (রাঃ)) যখন বায়তুল্লাহর দিকে তাকাতেন তখন নীচের দোয়াটি পড়তেন,"আল্লাহম্মা আনতাস্ সালাম ওয়া মিনকাস্ সালাম ফাহায়্যিনা রাব্বানা বিসসালাম"।
যথার্থভাবে তাওয়াফ সম্পন্ন করার জন্য নিুবর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখা
১। ছোট-বড় সকল প্রকার নাপাকি থেকে পবিত্র হয়ে তাওয়াফ করা।
২। প্রতিবার তাওয়াফের শুরুতে মনে মনে নিয়ত করা। এ ক্ষেত্রে সাধারণভাবে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেই চলবে। বিভিন্ন পুস্তকে তাওয়াফের যে নিয়ত লেখা আছে তা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।
৩। সতর ঢাকা অবস্থায় তাওয়াফ করা।
৪। হাজরে আসওয়াদ ইস্তিলাম (চুম্বন-স্পর্শ) অথবা ইশারা করে তাওয়াফ শুরু করা এবং হাজরে আসওয়াদ বরাবর এসে তাওয়াফ শেষ করা।
৫। হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করতে না পারলে হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র ডান হাত উঠিয়ে ইশারা করা ও বলা বিসমিল্লাহে আল্লাহু আকবার ।অর্থ - আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি, আল্লাহ মহান।
৬। হাতিমের বাইরে দিয়ে তাওয়াফ করা।
৭। হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে য়ামানি ব্যতীত কাবার অন্য কোনো অংশ তাওয়াফের সময় স্পর্শ না করা। হাঁ, তাওয়াফ শেষ হলে বা অন্য কোনো সময় মুলতাযামের জায়গায় হাত-বাহু-গণ্ডদেশ ও বক্ষ রাখা যেতে পারে।
৮। মাকামে ইব্রাহীম স্পর্শ না করা।
৯। পুরুষদের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব পবিত্র কাবার কাছ দিয়ে তাওয়াফ করা।
১০। নারীদের ক্ষেত্রে পুরুষদের থেকে একপাশ হয়ে তাওয়াফ করা।
১১। খুশুখুজুর সাথে তাওয়াফ করা ও অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা না বলা।
১২। রুকনে য়ামানি ও হাজরে আসওয়াদের মাঝে নিুোক্ত দোয়া পড়া - রাব্বানা আতিনা ফিদ্ দুনইয়া হাসানাতান ওয়াফিল আখিরাতে হাসানাতান ওয়াকেনা আযাবান্ নার। অর্থ- হে আমাদের রব! আমাদেরকে এই দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর আর জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদেরকে বাঁচাও (সূরা বাকারা ২০১)।
১৩। প্রত্যেক তাওয়াফে ভিন্ন ভিন্ন দোয়া আছে এরূপ বিশ্বাস না করা।
১৪। সাত চক্করে তাওয়াফ শেষ করা।
১৫। তাওয়াফ করার সময় নারীদের স্পর্শ থেকে যথাসম্ভব বেঁচে থাকা।
১৬। তাওয়াফ শেষে মাকামে ইব্রাহীমের পিছনে দু’রাকাত সালাত আদায় করা। জায়গা না পেলে অন্য কোথাও আদায় করা।
১৭। সালাত শেষে যমযমের পানি পান করা ও মাথায় ঢালা।
উমরার ফজিলত
হজ ও ওমরাহর ফজিলত অপরিসীম। হজের সময়টা নির্দিষ্ট কিছুদিন হলেও বছরের যেকোনো সময় ওমরাহ করা যায়। তবে হজের নির্ধারিত বিশেষ সময়ে (৯ জিলহজ থেকে ১৩ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন) ওমরাহ পালন করা বিধেয় নয়। এই পাঁচ দিন ছাড়া বছরের যেকোনো দিন যেকোনো সময় ওমরাহ পালন করা যায়। হাদিসে এসেছে, "রমজান মাসে উমরা আদয় করা এক হজ্জের সমান"। (তিরমিযী শরীফ,হাদিস নং -৮৬১ ,ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৯৮২)।
এ ব্যাপারে হাদীসে আরো বলা হয়েছে, " এক উমরা থেকে অন্য উমরা, এ-দুয়ের মাঝে কৃত পাপের কাফফারা"।(বুখারি শরীফ,হাদিস নং - ১৬৫০)। হাদীসে আরো বলা হয়েছে, " যে ব্যক্তি এই ঘরে (কাবা) এলো, অতঃপর যৌনতা ও শরীয়ত-বিরুদ্ধ কাজ থেকে বিরত রইল সে মাতৃ-গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট ‘হওয়ার দিনের মত হয়ে ফিরে গেল"। (বুখারি ও মুসলিম শরীফ) ।
ওমরাহর পার্থিব ও অপার্থিব উপকার
ওমরাহ হজ পালনের পার্থিব ও অপার্থিব উপকার -
১। গুনাহ মাফ হয় - রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "এক ওমরাহর পর আরেক ওমরাহ,উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের (গুনাহর) জন্য কাফফারাস্বরূপ।আর জান্নাতই হলো কবুল হজের প্রতিদান। (বুখারি শরীফ, হাদিস নং- ১৭৭৩)। তাই সামর্থ্য থাকলে সুযোগ পেলেই ওমরাহ করা উচিত।
২। রিজিক বাড়ে - অধিক ওমরাহ করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা ওমরাহ পালনকারীর রিজিকে বরকত দেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, "তোমরা ধারাবাহিক হজ ও ওমরাহ আদায় করতে থাকো। এ দুটি আমল দারিদ্র্য ও গুনাহ বিদূরিত করে দেয়। যেমন - ভাটার আগুনে লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা-জং দূরীভূত হয়ে থাকে। (তিরমিজি শরীফ , হাদিস নং - ৮১০)।
৩। রমজানে ওমরাহ হজতুল্য - রমজান মাসে ওমরাহ পালন করলে হজের সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যায়। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সাঃ) এক আনসারি নারীকে বলেন,"আমাদের সঙ্গে হজ করতে তোমার বাধা কিসের? ইবনে আব্বাস (রাঃ) নারীর নাম বলেছিলেন; কিন্তু আমি ভুলে গেছি। ওই নারী বলল, ‘আমাদের একটি পানি বহনকারী উট ছিল; কিন্তু তাতে অমুকের পিতা ও তার পুত্র (অর্থাৎ নারীর স্বামী ও ছেলে) আরোহণ করে চলে গেছেন। আর আমাদের জন্য রেখে গেছেন পানি বহনকারী আরেকটি উট, যার দ্বারা আমরা পানি বহন করে থাকি। নবী (সাঃ) বলেন, আচ্ছা, রমজান এলে তখন ওমরাহ করে নিয়ো। কেননা রমজানের একটি ওমরাহ একটি হজের সমতুল্য"।(বুখারি শরীফ, হাদিস নং - ১৭৮২)।
৪। হজ-ওমরাহকারী আল্লাহর মেহমান - হজ ও ওমরাহ পালনকারীরা আল্লাহর মেহমান বা প্রতিনিধি। ইবন ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেন, "আল্লাহর পথে যুদ্ধে বিজয়ী, হজকারী ও ওমরাহকারী আল্লাহর মেহমান বা প্রতিনিধি। আল্লাহ তাদের আহবান করেছেন, তারা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আর তারা তাঁর কাছে চেয়েছেন এবং তিনি তাদের দিয়েছেন। (ইবন মাজাহ, হাদিস নং - ২৮৯৩)।
৫। হজ-ওমরাহর সফরে মারা গেলে - হজ-ওমরাহ করার নিয়তে বের হয়ে মারা গেলে হজের সওয়াব পেতে থাকবে। আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি হজের উদ্দেশে বের হয়েছে; অতঃপর সে মারা গেছে, তার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত হজের নেকি লেখা হতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি ওমরাহর উদ্দেশে বের হয়ে মারা যাবে, তার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত ওমরাহর নেকি লেখা হতে থাকবে"।(সহিহুত-তারগিব ওয়াত-তারহিব, হাদিস : ১১১৪)
৬। প্রতি কদমে নেকি - আনাস ইবন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেন, "কারণ যখন তুমি বাইতুল্লাহর উদ্দেশে আপন ঘর থেকে বের হবে, তোমার উটনীর প্রত্যেকবার পায়ের ক্ষুর রাখা এবং ক্ষুর তোলার সঙ্গে সঙ্গে তোমার জন্য একটি করে নেকি লেখা হবে, তোমার একটি করে গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে এবং তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে"। (সহিহ তারগিব, হাদিস : ১১১২)
হজ পরবর্তী জীবন যাপন -
হজ শেষে বাড়ি প্রত্যাবর্তনের সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নতের যথাযথ অনুসরন করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যে দ্বীনকে স্বচ্ছ-শুভ্র আকারে রেখে গেছেন তা প্রচার ও প্রসারে সর্বশক্তি প্রয়োগের মনোবৃত্তি নিয়ে এবং কখনো কোনো কাজে যেন সুন্নতে রাসূল পরিত্যাগ না হয় সে ধরনের মানসিকতা নিয়ে মদিনা থেকে দেশে ফিরে আসা উচিত।হজের সফরের পূর্ণ সময়টা মূলত মানুষের জীবনে তাকওয়া ও খোদাভীতি অর্জনের এক মোক্ষম সময়। এ স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষণে একজন মানুষ নিজেকে পরিপূর্ণ মুত্তাকী হিসেবে গড়ে তোলে। তাই দেশে ফিরেও যেন সেই তাকওয়া অটুট থাকে সেদিকে লক্ষ রাখা আবশ্যক।হজের সফরের আগে থেকে পেশাগত অথবা অন্য কোনো কারণে কোনো প্রকার গুনাহর কাজে জড়িত থাকলে হজ সফরের পূর্বেই তা থেকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক হয়ে যাওয়া এবং হজের সময়জুড়ে আল্লাহর কাছে বারংবার কায়মনোবাক্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকা জরুরি। আর হজ শেষে দেশে ফিরে সব রকমের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক।এ জন্য আল্লাহওয়ালাদের সংস্পর্শে থাকা উচিত।
এ সম্পর্কে কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে- ". হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক"। (সূরা তাওবা,আয়াত - ১১৯)। আর তাই বাকী জীবন গুনাহর পরিবেশ বর্জন করে নেক ও সৎ লোকদের পরিবেশে নিজেকে অভ্যস্ত করে গুনাহমুক্তভাবে কাটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা সবার অপরিহার্য এবং উচিত।
হাদিসের শিক্ষা-
১। ইসলামের রুকন বা স্তম্ভ পাঁচটি। যা ব্যতীত ইসলাম পরিপূর্ণ হয় না।
২। ইসলামে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার মূল কালিমা হলো এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকারের কোনো উপাস্য নেই এবং হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল।
৩। ঈমান গ্রহণের পর মুসলমানের প্রথম কাজই হলো নামাজ আদায় করা এবং নামাজের ব্যাপারে অলসতা না করা।
৪। মুসলমানদের মধ্যে যারা সম্পদের মালিক, তাদের জন্য যাকাত আদায় করা নামাজের মতোই ফরজ। তাদের জন্য জাকাত আদায় থেকে বিরত থাকার কোনো সুযোগ নেই।
৫। পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থিত বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌছতে আর্থিক এবং শারীরিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমানের জন্য সামর্থ্য হওয়ার সংগে সংগে হজ আদায় করা। কেননা সামর্থবানদের জন্য জীবনে একবার হজ আদায় করা নামাজ ও যাকাতের মতোই ফরজ।
৬। আল্লাহ তাআলার হুকুম - যে ব্যক্তি ঈমান গ্রহণের পর রমজান মাস পাবে, ওজর না থাকলে তাঁর জন্য রমজান মাসজুড়ে সিয়াম সাধনা পালন করা নামাজের মতোই ফরজ।
৭। ইসলামের প্রথম রুকন থেকেই বুঝা যায় যে, ইসলাম মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ তাআলার আনুগত্য ও স্বীকৃতি দেয়ার নির্দেশ দেয় এবং অবাধ্যতা ও শিরক থেকে নিষেধ করে।
হজ্জ এমন একটি ইবাদত যেখানে একজন মুমিনের শারীরিক,মানসিক ও আর্থিক ইবাদতের সমন্বয় ঘটে। একই সাথে তার মন-মানসিকতা ও চরিত্রের সংশোধন এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির চরম উৎকর্ষ সাধিত হয়। মুমিনগণ তাদের গুনাহসমুহ মোচনের সুযোগ পায়।
সুতরাং, হজের দিনগুলোতে ইবাদত পালনে পূর্ণ মনোযোগী থাকতে হবে। অহেতুক কথা ও কাজে সময় নষ্ট করা যাবে না। কারও সঙ্গে অন্যায় আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদ করা যাবে না। প্রত্যেক আমলের ক্ষেত্রে নিয়ত বিশুদ্ধ রাখার পাশাপাশি সুন্নত পালন এবং বিদআত বর্জনের চেষ্টা করতে হবে। হজ পালনকালে শৃঙ্খলা রক্ষায় রাষ্ট্রের দেওয়া নিয়ম ও নির্দেশনাগুলোও মেনে চলতে হবে। এর ফলে সেবা প্রদান ও বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা সহজ হয়। আল্লাহতায়ালা সবার হজ ও যাবতীয় ইবাদতকে কবুল করুন।
পরিশেষে… মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট থেকে বান্দার গুনাহ মাফ করানোর একটি অনন্য ইবাদত হল হজ্জ । উল্লেখ্য অন্যান্য ইবাদতের মত হজ্জের জন্যও রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু আহকাম ও আরকান। তাই শুদ্ধভাবে হজ্জ পালন করতে হলে হজ্জের এসব আহকাম-আরকান সর্ম্পকে স্বচ্ছ ও পর্যাপ্ত ধারণা থাকা অপরিহার্য। ভূল-ভ্রান্তির কারনে সহীহভাবে হজ্জ আদায় না হলে এ ভুল শুধরানোর সুযোগ জীবনে আর নাও আসতে পারে। সম্মানিত হাজ্জীগনকে হজ্জের জরুরী আহকাম আরকানগুলো সর্ম্পকে কিছুটা ধারণা দেওয়ার প্রয়াসে এ পোস্ট ।
মহান আল্লাহপাক মুসলিম উম্মাহকে ইসলামের প্রতিটি রুকন বা স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে শিরক ও কুফরমুক্ত ঈমান লাভের তাওফিক দান করুন। পরকালে নাজাতের উত্তম ফয়সালা দান করুন। আমিন।
=========
তথ্য উৎস -
১। আল কোরআন ।
২। হাদীস ।
৩। নামাজ-হজ্জ -অজিফা ও মাসয়ালা মাসায়েল গ্রন্থ (লেখক - আলহাজ মাওঃ আ ন ম আবদুল মান্নান)।
৪। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড " এর উদ্যোগে প্রকাশিত,"যিয়ারতে বাইতুল্লাহ" শীর্ষক গ্রন্থ ।
৫। হজ গাইড - (বাংলা), লিংক - http://banglahajjguide.blogspot.com/2013/07/
৬। ওমরাহ পালনের নিয়ম - https://www.obokash.com/how-to-perform-umrah
৭। হজযাত্রীদের জন্য অবশ্য পালনীয় কয়েকটি বিষয় - Click This Link
৮।হজ,ওমরাহ ও যিয়ারত গাইড- https://www.hadithbd.com/books/section/?book=25
==================================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
ঈমান ও আমল - ১৮/৩ - Click This Link
হজ্জ্ব - ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির ও প্রতিশ্রুতি দেয়।
ঈমান ও আমল - ১৮/২ Click This Link
হজ্জ্ব - ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির ও প্রতিশ্রুতি দেয়।
ঈমান ও আমল - ১৮/১ Click This Link
" হজ্জ্ব " - ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত-বরকত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির ও প্রতিশ্রুতি দেয়।
ঈমান ও আমল - ১৭ - Click This Link
"লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত " - শুধু রমজানের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতই নয় শেষ দশকের সবগুলি বিজোড় রাতেই তার তালাশ করা উচিত । মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলমানদের করণীয় ।
ঈমান ও আমল - ১৬ Click This Link
" শান্তির ধর্ম ইসলাম " - আসুন এক নজরে দেখি ইসলাম কি এবং কেন ?
ঈমান ও আমল - ১৫ Click This Link
" পবিত্র মাস মাহে রমজান " - রহমত-বরকত-মাগফেরাতের এই মাসে কিছু আমলের অভ্যাস আমাদের সকলেরই করা উচিত।
ঈমান ও আমল - ১৪ Click This Link
" পবিত্র মাহে রমজান " - মাহে রমজানের ঐতিহাসিক পটভূমি , গুরুত্ব ও মর্যাদা ।
ঈমান ও আমল - ১৩ Click This Link
" পবিত্র মাস রজব " - রজব মাসের ফজিলত এবং আমল (করণীয়) ও বর্জনীয় ।
ঈমান ও আমল - ১২ Click This Link
" দোয়া " কি এবং কেন ? কাদের জন্য দোয়া শুধু ধোঁয়া বা কাদের দোয়া কবুল হয়না ?
ঈমান ও আমল - ১১ Click This Link
" পবিত্র ও সম্মানিত মাস মহরম " - হিজরি সনের প্রথম মাস এবং পবিত্র আশুরা ।ইসলামে আশুরার ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং আশুরার দিনে করণীয় ও বর্জনীয় ।
ঈমান ও আমল -১০ Click This Link
("পবিত্র মাস জিলহাজ্জ"-জিলহাজ্জের প্রথম দশ দিন মুসলমানদের নিকট বছরের সেরা দশদিন-ঈমান ও আমলের জন্য)।
ঈমান ও আমল - ৯ Click This Link
(" শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা " - যা সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব হাসিলে সাহায্য করে। পবিত্র রমজানের পর যা সকল মুসলমানেরই রাখা উচিত)।
ঈমান ও আমল - ৮ Click This Link
(আজ পবিত্র " লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত "। মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলমানদের করণীয় ।)
ঈমান ও আমল - ৭ Click This Link
("যাকাত " ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির ও প্রতিশ্রুতি দেয়)।
ঈমান ও আমল - ৬ Click This Link
("রোযা" ইসলামের তৃতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যার বিনিময় বা প্রতিদান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন নিজেই দিবেন)।
ঈমান ও আমল - ৫ Click This Link
(" নামাজ " ইসলামের দ্বিতীয় ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা মুসলিম-অমুসলিমের মাঝে পার্থক্যকারী সূচক হিসাবে বিবেচিত এবং মুসলমান মাত্রই দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে)।
ঈমান ও আমল - ৪ Click This Link
("ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ"- যার শুরুটা কালেমা বা ঈমানে। যা শুধু মুখে বলা নয়,অন্তরে বিশ্বাস ও কর্মে পরিণত করার বিষয়)।
ঈমান ও আমল - ৩ Click This Link
(তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব )।
ঈমান ও আমল - ২ Click This Link
("শুক্রবার - পবিত্র জুমা"- মুসলমানদের জন্য এক মর্যাদা ও ফজিলত পূর্ণ দিন এবং জুমার দিনের কতিপয় আমল )।
ঈমান ও আমল - ১ Click This Link
(যেসব আমলে মানুষের অভাব দূর হয় ও জীবন সুখের)
১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:২৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোগল সম্রাট হুজুরে আলা (স্যার), আপনার ছোট তবে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।
তাহলে যাদের সামার্থ্য নাই তাদের গুনাহ এতো কুইক মাফ হবার কোন অফশন নাই । এই জন্য সামার্থ্য বানেরা বার বার গুনাহ করে বার বার ওমরাহ করে । কি সুন্দর মাল্টিপল অফশন
- স্যার, যে কোন অফারের জন্য কিছু শর্ত প্রযোজ্য থাকে। ঠিক তেমনি এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরার গুনাহ মাফ হয়
বা হবে তখনই যখন সেই ব্যক্তি ধর্মের বাকী হুকুম-আহকামগুলো যথাযথভাবে সারা বছর পালন করবে। এখন কেউ যদি ওমরাহ করে এসে গোমরাহীতে (অন্যের জমিনের আইল ঠেলে কিংবা এমন সব কাজ করে যা ইসলামের হুকুমের সাথে যায়না - তাহলে তার ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হবে বলে মনে হয়না)।
আর ভাইজান সরি হুজুরে আলা মোগল সম্রাট , আপনি একজন মোগল সম্রাট হিসাবে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন কিংবা উপভোগ করবেন , তা হাবসী-দাস-নওকর-আম জনতার জন্য সেগুলি আলৌকিক কিংবা স্বপ্ন বলে মনে হবে - তাই নয় কি?
আর তাইতো যখন কারো নিকট অনেক অর্থ থাকে সে অনেক অফারই গ্রহণ করতে পারে - অর্থের বিনিময়ে । যা একজন অর্থহীন কিংবা গরীব মানুষের নিকট অলীক কল্পনা বলে প্রতিভাত হবে।
২| ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:১০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আল্লাহ আমাদের দাওফিক দান করুন।++++++
১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:২৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
আল্লাহ আমাদের দাওফিক দান করুন।++++++
- মহান আল্লাহ সকল মুসলমান নর-নারীকে সাথে সাথে আপনাকে-আমাকেও জীবনে একবার হলেও মকবুল হজ তথা মক্কা-মদিনা জিয়ারতের তওফিক দান করুন।
অফটপিক - অনেকদিন পরে দেখলাম ভাই আপনাকে। দেখে ভাল লাগল ।
তবে আমিই মনে হয় এখন অনিয়মিত সামুতে সময়াভাবে। আর তাইতো মিস করি আপনাদেে সকলকে প্রতিনিয়ত।
৩| ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:১৭
শোভন শামস বলেছেন: সুন্দর ও তথ্য বহুল পোস্ট, ধন্যবাদ +++
১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৩১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন শামস ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
সুন্দর ও তথ্য বহুল পোস্ট, ধন্যবাদ +++
- শুকরিয়া এবং আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
- মহান আল্লাহ সকল মুসলমান নর-নারীকে সাথে সাথে আপনাকে-আমাকেও জীবনে একবার হলেও মকবুল হজ তথা মক্কা-মদিনা জিয়ারতের তওফিক দান করুন।
৪| ১১ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মের এই পাপ মোচনের বিষয়টা মানুষকে পাপ করতে উদ্বুদ্ধ করে।পৃথিবীর সকল ধর্মে এই বিষয়টা আছে।এটা না থাকলে মানুষ পাপ করতে চিন্তা করতো।মানুষের করা আইনে এমন ব্যবস্থা নাই।মানুষের আইন ঈশ্বরের আইনের থেকে উত্তম।
১২ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
ধর্মের এই পাপ মোচনের বিষয়টা মানুষকে পাপ করতে উদ্বুদ্ধ করে।পৃথিবীর সকল ধর্মে এই বিষয়টা আছে।এটা না থাকলে মানুষ পাপ করতে চিন্তা করতো।
- যেখানে স্বার্থ আছে সেখানেই দ্বন্দ্ব আছে। আর যেখানে দ্বন্দ্ব আছে সেখানেই পাপ আছে/থাকে। কারন, মানুষের জীবনটাই চলছে স্বার্থ এবং দ্বন্দ্বের উপর ভর করে।যতক্ষণ মানুষের সামনে স্বার্থের (কিছু পাওয়ার আকাংখা বা সম্ভাবনা) প্রশ্ন থাকে ততক্ষণই মানুষ কিছু করে বা সচল থাকে। যেখানে পাওয়ার কোন আশা থাকেনা সেখানে কেউ কিছু করার জন্য আগ্রহবোধ করবে না । তা সে পাপই হোক কিংবা পূণ্য,অথবা দুনিয়া কিংবা পরকাল বিষয়ক যাই হোক না কেন।
এখন এই স্বার্থের দ্বন্দ্বে মানুষ ভূল করে রিপুর তাড়নায় কিংবা লোভের বশবর্তী হয়ে কিংবা ইচছায় বা অনিচছায় যেভাবেই হোক কিছু অন্যায় করে ফেলবে। এটাই মানুষের ধর্ম । পরে মানুষ যখন তার ভূল বুঝতে পারে বা পারবে এবং তার উপলব্ধি হবে যে , সে একটা অন্যায় করে ফেলেছে এবং তা থেকে সে ফেরত আসতে চায় বা সেই অন্যায়ের কিভাবে প্রতিবিধান করবে তাদের জন্যই ধর্ম সেই পাপ মোচনের পথ দেখিয়ে দেয় বা কিভাবে সে তা থেকে মুক্তি পেতে পারে ,সেই পথ বাতলে দেয়। এটা কোন দোষের নয় বরং এটাই সবচেয়ে ভাল পথ বলে মনে হয়।
মানুষের করা আইনে এমন ব্যবস্থা নাই।মানুষের আইন ঈশ্বরের আইনের থেকে উত্তম।
- মানুষের করা আইনেও মানুষকে ভূল স্বীকার করে নির্দিষ্ট সময় সাজা ভোগ কিংবা জেল জরিমানার বিনিময়ে মওকুফের পথ আছে। আর মানুষের তৈরী আইন ঈশ্বরের আইনের থেকে উত্তম - আপনার এ কথার সাথে আমি যদিও একমত নই তবে অনেকেই হয়ত আপনার সাথে একমত হতে পারে। তার জন্য দুঃখিত।
৫| ১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েক বিয়ে দিয়ে আমি হজ্বে যাবো ইনশাল্লাহ।
১২ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
মেয়েক বিয়ে দিয়ে আমি হজ্বে যাবো ইনশাল্লাহ।
- মহান আল্লাহ সকল মুসলমান নর-নারীকে সাথে সাথে আপনাকে-আমাকেও জীবনে একবার হলেও মকবুল হজ তথা মক্কা-মদিনা জিয়ারতের তওফিক দান করুন এবং আপনার কন্যাদের সুখী-সুন্দর ও শান্তিময় জীবন উপহার দিন।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪
মোগল সম্রাট বলেছেন:
এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরার গুনাহ মাফ হয়
তাহলে যাদের সামার্থ্য নাই তাদের গুনাহ এতো কুইক মাফ হবার কোন অফশন নাই । এই জন্য সামার্থ্য বানেরা বার বার গুনাহ করে বার বার ওমরাহ করে । কি সুন্দর মাল্টিপল অফশন