নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে আওয়ামীলীগ " :( এটা কিসের ইংগিত দেয়?( আম জনতার সমসাময়িক ভাবনা - ১৩)।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৬


২৯ অক্টোবর যাত্রাবাড়িতে লাঠি হাতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। (ছবি : টিবিএস)

একটি দেশের জনগনের প্রাত্যহিক জীবনের প্রয়োজন পূরণের জন্য এবং রাষ্ট্রের করণীয় কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পাদনের জন্য সার্বভৌম রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের অধীনে বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা থাকে। সেই সব সংস্থা পরিচালনার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ থাকে যা দেশের প্রচলিত আইন কর্তৃক স্বীকৃত ও তারা আইনের সীমারেখার মাঝে থেকে কাজ করে এবং সেখানে তাদের প্রত্যকের কাজের জন্য থাকে প্রশাসনিক জবাবদিহীতার সাথে সাথে ব্যক্তিগত জবাবদিহীতাও ।

সেই হিসাবে ব্যাংক পরিচালনার জন্য যেমন থাকে ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ঠিক তেমনি দেশের খনিজ কিংবা প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ-পরিচালনার জন্য আছে পেট্রোবাংলা। শিক্ষার জন্য আছে শিক্ষা বোর্ড কিংবা বিদ্যুত-পানির জন্য আছে ডেসা কিংবা ওয়াসা বা চিকিৎসার জন্য বিএমডিসি। এসব কর্তৃপক্ষ তাই করে যা তাদের কর্ম এলাকা এবং তারা সেই সব লোকই নিয়োগ করে যারা স্ব স্ব পেশায় অভিজ্ঞ। এখন যার বিদ্যুৎ সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই তাকে যদি বিদ্যুতের দায়িত্ব দেয়া হয় কিংবা যার অর্থনীতি সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই তাকে যদি অর্থের দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে না বিদ্যুত ঠিকমত চলবে না অর্থনীতি তার স্বাভাবিক গতিপথে চলবে। সব জায়গায় তখন নয়-ছয় (৯-৬) হবে অর্থ্যাৎ সমাজের সব জায়গায় লেজগোবরে পরিস্থিতি তৈরী হবে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দেশে পুলিশের পাশাপাশি আনসার-বিজিবি-শিল্প পুলিশ-পর্যটক পুলিশ-এসএসএফ-সেনা বাহিনী-নৌ বাহিনী-বিমান বাহিনী-র‌্যাব -গোয়েন্দা পুলিশ সহ আরো অনেকেই আছেন যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দেশের প্রচলিত আইন কর্তৃক স্বীকৃত এবং তারা তাদের কাজের এলাকায় অভিজ্ঞও বটে। আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী (রক্ষী বাহিনী নয়) দেশের সাথে সাথে দেশের বাইরেও (জাতিসংঘের অধীনে) সুনামের সাথে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচছে।

বিভিন্ন পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে মূল যে ব্যাপার তা হলো - এসব (স্ব স্ব পেশায়) পেশায় যারাই নিয়োগ প্রাপ্ত হয় তাদের পেশাগত দক্ষতা ও আরও ভাল পরিষেবার জন্য কর্তৃপক্ষ সময় সময় (নিয়োগের পর পরই, কাজ শুরুর আগে কিংবা পুরো কর্মকালে) নানা রকম পেশাগত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে যাতে যাতে ভালভাবে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এত সব বাহিনী ও তাদের এত এত পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকার পরও এখন আওয়ামীলীগ ( বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল যাদের ব্যানারে দেশের সরকার এখন ক্ষমতায় এবং রাজনৈতিক দল ও সরকারের কাজ সম্পূর্ণরূপে আলাদা আলাদা হওয়া উচিত এবং এটাই নিয়ম) যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করে -

> আওয়ামীলীগের এ সহায়তায় কতটা নিরপেক্ষ হবে? তারা যে বিরোধীমতকে দমনে তা ব্যবহার করবেনা,এ নিশ্চয়তা কে দেবে?
> যারা পেশাগত ভাবে রাজনীতি করে (যাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নেই কোন প্রশিক্ষন) তারা কিভাবে নিরপেক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর মত সুশৃংখল বাহিনীকে সহায়তা করবে ? কিংবা
> আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মত পেশাদার একটি বাহিনী যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একটি রাজনৈতিক দলের সহায়তার উপর নির্ভর করে বা করতে হয় কিংবা তারা যদি কারো মতের দ্বারা প্রভাবিত হয় তাহলে তাদের পেশাদারিত্বের উপর কি প্রশ্ন উঠবেনা ?


আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যদি সত্যি সত্যি রাজনৈতিক দলের প্রভাবে পরিচালিত হয় - এর ফলে সমাজে-দেশে-দেশের বাহিরে এ বাহিনীর পেশাদারিত্ব সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনার সাথে সাথে সমাজে এক ক্ষতিকর ধারার তৈরী হবে যেখানে যে কোন ক্ষমতাশীন দল খুব সহজেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিরোধী দল-মতকে দমন করতে চাইবে। যা দেশের রাজনীতি, দল হিসাবে আওয়ামীলীগ-বিএনপি কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারোর জন্য ভাল ফল বয়ে আনবে বলে মনে হয়না।

কাজেই, রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামীলীগ-বিএনপি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য নিজ নিজ করণীয় নিয়ে জনগনের সামনে যাবে এবং রাজনীতি করবে। জনগন যাকে বা যার করনীয় কাজে খুশী হয়ে তাদের নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচিত করবে তারা সরকার গঠন করবে এবং সেই সরকার দেশ পরিচালনা করবে। এদিকে - আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সকল রাগ-অনুরাগ-বিরাগের বাইরে থেকে নির্মোহভাবে দেশের মংগলের জন্য পেশাগতভাবে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে যেখানে আওয়ামীলীগ-বিএনপি কিংবা বিরোধীদল বলে কোন কিছু থাকবেনা এবং এটাই সকলের জন্য মংগলজনক।

এ আমার মত আমজনতার অভিমত ও ভাবনা।
জানিনা আপনারা কিংবা সরকার-প্রশাসন আমার এ ভাবনা কিংবা অভিমতের সাথে একমত হবেন কিনা।

জবাব দিহীতা - আমার মত আমজনতার ভাবনার সাথে সাথে সামুর ব্লগাররা এ ব্যাপারে কে কি ভাবছেন তা জানার জন্যই এ লেখা। এখানে আওয়ামীলীগের বিরোধীতা করা কিংবা তাদের চাওয়া সঠিক নয় - তা বলারও বিষয় নয়। বিষয়টা হলো নৈতিকতার এবং পাঠককে এর সাথে রাজনীতির দূরতম কোন সম্পর্কও না খোজার বিনীত অনুরোধ রইলো।

তথ্যসূত্র -

> আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে আ’লীগ -লিংক - Click This Link
> অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ - https://silkcitynews.com/
> অবরোধ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে আ’লীগ - https://www.learncobd.live/
>অবরোধ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে আ.লীগ- Click This Link

পূর্ববর্তী পোস্ট -
===============

১২। "আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী" - আসুন একনজরে দেখি আমাদের স্বপ্নপুরীর সর্বশেষ অবস্থা।
Click This Link
১১।"স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের আলোচ্যসূচী" - সত্যিটা কি ? ( আম জনতার সমসাময়িক ভাবনা - ১১) Click This Link
১০। " সংবিধান থেকে একচুলও নড়া হবে না" - নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাস্তবতা"- Click This Link
৯।"হিরো আলম কার প্রতিদ্বন্দ্বী " - Click This Link
৮। সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ কিংবা বিক্রি - সত্যিটা কি ? - Click This Link
৭।আমেরিকার ভিসা নীতি বনাম বাংলাদেশের ভিসা নীতি-এর পর কি হবে?-
Click This Link
৬। আমার সোনার বাংলা কি কোটিপতি ও খেলাপি ঋণ তৈরীর কারখানা ? - Click This Link
৫। " রংপুর সিটি কর্পোরশন নির্বাচন - লাঙলের জয় ও নৌকা চতুর্থ " - কি বার্তা দেয় আমাদের? - Click This Link
৪। " বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন " - তুমি কার ? -
Click This Link
৩। সামাজিক রীতি-নীতি-শিষ্ঠাচার এখন যাদুঘরে - আপনি কি একমত ? -
Click This Link
২। বর্তমান সময়ে আমরা কি একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টিশক্তি হীন জাতি বা প্রজন্মে পরিণত হচছি বা হতে যাচছি? -
Click This Link
১। আমাদের সমাজের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়ছে ? -
Click This Link

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭

অরণি বলেছেন: সহায়তা এটাকে বলেনা এটা পুরাই গুন্ডামী।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ অরণি, আপনার ছোট তবে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।

সহায়তা এটাকে বলেনা এটা পুরাই গুন্ডামী।

- সহায়তা বলতে আমরা সাপোর্ট কিংবা সহযোগীতাই বুঝে থাকি । যেমন - ডাক্তারের সহায়তাকারী হলো নার্স, ড্রাইভারের সহায়তাকারী হলো হেলপার কিংবা মন্ত্রীর সহায়তাকারী হলো পিএ।

এরা সবাই যে যেই কাজ সম্পর্কে মোটামুটি জানে তাকেই সেই কাজে সহায়তাকারী হিসাবে নিয়োগ করা হয়ে থাকে।

সেখানে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী কিংবা নেতারা আইনশৃংখলা রক্ষার মত একটি দায়িত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল পেশায় কিভাবে সাহায্য করবে সেটাই আমার বোধগম্য নয়।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:২১

মৃতের সহিত কথোপকথন বলেছেন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যদি সত্যি সত্যি রাজনৈতিক দলের প্রভাবে পরিচালিত হয়[/sb আপনার এখনও কেন মনে হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী একটি বিশেষ দলের হয়ে কাজ করছে?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মৃতের সহিত কথোপকথন (আপনি কি ভাই নাকি বোন :(( নাকি দরবেশ বাবা - বুঝবার পারছিনা ), আপনার মন্তব্যের জন্য।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যদি সত্যি সত্যি রাজনৈতিক দলের প্রভাবে পরিচালিত হয় - আপনার এখনও কেন মনে হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী একটি বিশেষ দলের হয়ে কাজ করছে?

- আপনি হয়ত এভাবেই মন্তব্য করতে চেয়েছিলেন যে , "যেখানে আমি বলেছি - আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যদি সত্যি সত্যি রাজনৈতিক দলের প্রভাবে পরিচালিত হয়" সেখানে আপনি বলতে চেয়েছেন " আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী অলরেডি একটি বিশেষ দলের হয়ে কাজ করছে"।

আপনি যা বলেছেন বা বলটে চেয়েছেন তা অনেকাংশেই সত্যি তবে তাতে কিছুটা হলেও রাখ-ঢাক ছিল । এখন তারা যদি ঘোষনা দিয়েই মাঠে নামে তথা উভয়ে-উভয়ের সাথে (আওয়ামীলীগ-পুলিশ) আম-দুধের মত মিলে যায়, তাহলে এই অভাগা জাতির সামনে ঘন দূর্দিন ঘনিয়ে আসছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

এমনিতেই আমজনতার আছে মাইনকা চিপায় ,তাদের মিলনে তারা থাকবে শিক কাবাবের মুরগী-গরুর মত শিকের মাঝে ।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৩১

ঢাবিয়ান বলেছেন: ইঙ্গিত খুব পরিষ্কার । পুলিশের সাথে হেলমেটলীগও মাঠে থাকবে। ২৮ শে অক্টোবরের কিছু নিউজ ক্লীপে জিন্স পড়া কিছু পুলিশ দেখেছি!!

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাবিয়ান ভাই , আপনার ছোট তবে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।

ইঙ্গিত খুব পরিষ্কার ।

- ইঙ্গিত যে পরিষ্কার তা বুঝা যাচছে,এতদিন কিছুটা হলেও রাখ-ঢাক ছিল এখন হবে খুল্লাম-খুল্লা - এই আরকি :((


পুলিশের সাথে হেলমেটলীগও মাঠে থাকবে। ২৮ শে অক্টোবরের কিছু নিউজ ক্লীপে জিন্স পড়া কিছু পুলিশ দেখেছি!!

- "পুলিশ - হেলমেটলীগ ভাই ভাই,
এদের ছাড়া ক্ষমতার ধারাবাহিকতা রক্ষার কোন উপায় নাই
ভোটারদের দরকার নাই" - এই হওয়া উচিত এখনকার আওয়ামীলীগের স্লোগান।

অবশ্য এ স্লোগান প্রকাশ্যে না হলেও - " তলে তলে -------------------- "

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫১

সোনাগাজী বলেছেন:



ভিসানীতির কি অবস্হা?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাগাজী ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভিসানীতির কি অবস্হা?

- সোনাগাজী ভাই , আমার মনে হয় এ বিষয়ে আপনি আমার থেকে বেশী ধারনা রাখেন। তারপরেও , আমার যা মনে হয় -

< আমরা বাংগালীরা নগদে বিশ্বাসী এবং আবেগে ভেসে যাওয়ার জাতি । কাজেই -

< আমেরিকা যখন বাংলাদেশের জন্য ভিসানীতির ঘোষনা দিয়েছিল তখন অনেকেই কিছুটা ভয়ে ছিল বা ভয় পেয়েছিল। তবে সেই ভয়টা সবার কেটে গেছে যখন আমেরিকা বলেছে যে, ভিসা নিষেধাজ্ঞাদের তালিকা প্রকাশ করবেনা (বাকী/গোপন) বলেছেন তখন।

< কারন - যদি এটা তারা নিজেরা প্রকাশ না করে তাহলে যে নিষেধাজ্ঞা পাবে সে কখনো তা প্রকাশ করবেনা এবং যদি তারা সরকারকেও জানায় তাহলে সরকারও তা মরে গেলেও প্রকাশ করবেনা (সেটার প্রমাণ সে সময়েই আমাদের সরকার দিয়েছেন। কারন আমেরিকা জানানোর পরেও তারা যখন কিছু বলেনি তখন তারা বাধ্য হয়ে ঘোষনা দেয় ) যদিনা খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমান বা বিএনপির কেউ হন।

< আমাদের সরকার বাহাদুর শেখ হাসিনা হচছেন বলিউডের ভাইজানের মত,যিনি একবার যা বলেন তা করেই থাকেন যেকোন ভাবে ও মূল্যে। সে আর কাউকে শুনেন না। তা সে আমেরিকা-ইউরোপ-সউদি-দুবাই (এর প্রমাণ তিনি অনেক ভাবেই দেশবাসীর সামনে রেখেছেন এবং তিনি যা চান তা তিনি করেই থাকেন যে ভাবেই হোক না কেন। তা সে হামলা-মামলা-আইন-বিচার-সংবিধানের দোহাই-নিজের প্রয়োজনে ও সুবিধার দিকে লক্ষ্য রেখে তার সংশোধন-নতুন নতুন আইন- দিনের ভোট রাতে কিংবা মৃত মানুষকে জীবিত ও প্রবাসীকেও ভোটে দেখিয়ে ১০০ ভাগ ভোট - যেভাবেই হোক না কেন)।

< এখন আওয়ামীলীগ তথা সরকার ভাবছে উনারা বলবে আমরা শুনব না । তাহলে কি হবে?
কিছুই হবেনা। যেমন হয়নি ভিয়েতনামে, ভেনিজুয়েলায়-সিরিয়া-জিম্বাবুয়ে কিংবা আফ্রিকার আরও অনেক দেশে। আর কোন রকমে একবার ছলে-বলে কৌশলে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গেজেট প্রকাশ করতে পারলেই হলো---------------

তারপরে যা করবে তা করবে আদালত ও পুলিশ ।
আহা কি আনন্দ। আকাশে বাতাসে।

< তবে সব শেষে আমার যা মনে হয়, " এবার যেভাবে সারা দুনিয়া তথা ইউরোপ-আমেরিকা-জাতিসংঘ সহ মানবাধিকার ও
উন্নয়ন সহযোগীরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখছেন এবং প্রতিনিয়ত সাবধানীবাণী দিয়ে যাচছেন , সে ব্যাপারে সরকারের ভাবার অবকাশ আছে। এবার যে ২০১৪ কিংবা ২০১৮ এর মত নির্বাচন কমিশন পাস ঘোষনা করে দিলেই পার পেয়ে যাবে এমনটা নাও হতে পারে।

< কারন - এক আমেরিকা যদি অর্থনৈতিক অবরোধের ঘোষনা দেয় তাহলে ধুকতে থাকা অর্থনীতির ১২ টা বাজতে ১২ ঘন্টাও লাগবেনা। আর আমেরিকার ঘোষনা মাত্রই আইএমএফ সহ সকল উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে সাথে ইউরোপ সহ সবাই গুড বাই বলতে সময় নিবেনা । হয়ত চীন ও রাশিয়া তখনো লেগে থাকবে সরকারের সাথে। তবে তাতে দেশের জন্য ভাল থেকে খারাপই বেশী হবে ।

আর ভারত?
চাচা আপনা প্রাণ বাঁচার আশায় সবার বিপক্ষে গিয়ে ২০১৪-২০১৮ এর মত কিছু যে করবেনা এটা নিশ্চিত।

কাজেই ভিসা নীতি সফল কি ব্যর্থ তা বুঝা যাবে ফেব্রুয়ারী ২০২৪ এর পরে বা সেই সময়।

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: প্রত্যেকের উচিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সাহায্য করা।সাহায্য না করা অপরাধ।যদি তারা সাহায্য চায়।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

প্রত্যেকের উচিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সাহায্য করা।সাহায্য না করা অপরাধ।যদি তারা সাহায্য চায়।

- রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক কাঠামোর আওতায় যদি যথাযথ কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের কাছে কোন বিষয়ে তথ্য চায় কিংবা কোন বিষয়ে সহযোগীতা কামনা করে তাহলে যার নিকট জানতে চায় বা চাইবে সেটা তার নৈতিক দায়িত্ব হিসাবে বিবেচিত হবে যে, তার জানা-বুঝার আওতার মাঝে থেকে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রদান করার। যেমন - অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক চলমান অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বেসরকারী অর্থনীতিবিদদের সহায়তা কামনা করেছে। তা শুধু এ বিষয়ে যাদের গভীর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা আছে তাদেরই সাহায্য কামনা করা হয়েছে কিংবা তাদের সাহায্যই হয়তো সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে। সবার সাহায্য নয়।

ঠিক তেমনি , আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সাহায্য করবে তারাই যাদের আইন-আইনের প্রয়োগ ও জন শৃঙ্খলা বিষয়ে গভীর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা আছে ।

আলোচ্য বিষয়ে ব্তর্মানে আওয়ামীলীগের সহায়তে শুধু বিরোধীমতকে দমনেই ব্যবহারের সম্ভাবনা তৈরী করছে যা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়ক না হয়ে বরং বিশৃঙ্খলা তৈরীতেই সহায়তা করবে।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের নিয়ম হচ্ছে জোর যার মুল্লুক তার।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

বাংলাদেশের নিয়ম হচ্ছে জোর যার মুল্লুক তার।

- তা ঠিক বলেছেন ।

তবে আগে এসব ব্যাপারে মানুষের বিবেক কিছুটা হলেও কাজ করত কিংবা কিছুটা নীতি-নৈতিকতার মাঝে থেকে করত।
এখন সব প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এবং সরাসরি হচছে , সমস্যা এটাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.