নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - বণিকবার্তা
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সেই সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের পর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্তও দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র ২২ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। চলতি ২০২৪ সালের মার্চে এসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। আর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর সময় দেশে সেই খেলাপি ঋণের পরিমাণ অন্তত ২ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
শেখ হাসিনার একটানা ১৫ বছরের শাসনে তথাকথিত আওয়ামী উন্নয়নের নামে দেশী ও বিদেশী উৎস থেকে নেয়া হয়েছে বিপুল পরিমান ঋণ। যা টাকার অংকে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার মতো । আর এ বিশাল পরিমান সরকারি ঋণ রেখে দেশ থেকে ৩৬ শে জুলাই ২০২৪ (৫ ই আগস্ট ২০২৪) দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন গণ আন্দোলনে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন সরকারের ঋণ স্থিতি ছিল মাত্র ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। সে হিসাবে আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলেই সরকারের ঋণ স্থিতি ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ২০৬ কোটি টাকা বেড়েছে, যা সরকারের মোট ঋণের প্রায় ৮৫ শতাংশ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যে গত দেড় দশকে সরকারের অস্বাভাবিক ঋণ বৃদ্ধির এ চিত্র উঠে এসেছে।
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে সর্বদা ঘোষিত বাজেটে সরকারের পরিচালন ব্যয় মেটানো ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা বলে দেশী-বিদেশী উৎস থেকে এ বিপুল পরিমান ঋণ নেয়া হয়েছে। যদিও শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির বেশুমার অভিযোগ রয়েছে।এ সময়ে অবাধ লুণ্ঠনের শিকার হয়েছে দেশের ব্যাংক খাত। অভিযোগ আছে, জনগণের লুণ্ঠিত এসব অর্থ পাচার হয়েছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) তথ্য বিশ্লেষণে পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনামলে দেশ থেকে অন্তত ১৪ হাজার ৯২০ কোটি বা ১৪৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় অন্তত ১৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী প্রতি ডলারে ১১৮ টাকা ধরে)। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যবহারযোগ্য নিট রিজার্ভ রয়েছে মাত্র ১৬ বিলিয়ন ডলারেরও কম। লিংক - Click This Link
দেশের রাজনীতি-অর্থনীতি নিয়ে আওয়ামী সরকারের সফলতার দাবী কিংবা উন্নয়নের পরিসংখ্যানের সাথে দেশ-বিদেশের বেশীরভাগ সুধীজন- অর্থনীতিবিদরা গত ১৫ বছরে কখনো একমত হননি। এমনকি দেশের সাধারন মানুষেরাও সরকারের সফলতার দাবী কিংবা উন্নয়নের পরিসংখ্যানের সাথে বেশীরভাগ সহমত নয়।কারন জিডিপি নিয়ে তথ্যের অসংগতি-লুকোছাপা কিংবা মিথ্যা তথ্য প্রদান, খেলাপী ঋনের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ না করা, নির্বাচন-উন্নয়ন নিয়ে অলীক দাবী এবং দৃশ্যমান সুশাসনের অভাব। সব মিলিয়ে বিগত ১৫ বছরে তারা দেশের ভাবমূর্তিকে পৌছে দিয়েছিল খাদের কিনারে। যদিও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বণিক বার্তাকে বলেন," ‘গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি জঞ্জালে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা আগে বলতাম অর্থনীতি খাদের কিনারায়। কিন্তু এখন অর্থনীতি পুরোপুরি খাদের মধ্যে পড়ে গেছে"। - Click This Link
আওয়ামী শাসনামলে শেখ হাসিনার স্নেহভাজন ও আর্শিবাদধন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরগণও তাহার এ কাজে উদার ও অন্ধ সমর্থন দিয়ে গেছেন দেশের চেয়ে ব্যক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে। তবে সবচেয়ে বেশী অবৈধ সমর্থন-সুযোগের অপব্যবহার হয়েছে মনে হয় সদ্য সাবেক-নিঁখোজ বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সময়ে। অবশ্য শেখ হাসিনা তথা আওয়ামীলীগ সরকার গত ১৫ বছরের শাসনামলে শুধু ব্যাকং খাত তথা দেশের অর্থনীতিই নয় বরং উন্নয়নের দোহাই দিয়ে দেশের নির্বাচন কমিশন,আইন-বিচার ব্যবস্থা সহ সব জায়গায় দলীয়করন করে সাংবিধানিক প্রতিস্টানগুলি অকার্যকর করে একদলীয় শাসন কায়েম করে দেশের অর্থনীতিসহ মৌলিক সবকিছু ধ্বংস করে গেছেন বলেই মনে করা হয়। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত সোমবার ০৫/০৮/২৪ ইং তারিখে রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগ করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। তার সঙ্গে পালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও। কয়েকদিন ধরেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, সংসদ, প্রধানমন্ত্রী পরিবারের সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, সরকার ঘনিষ্ঠ বড় ব্যবসায়ী, ক্ষমতাসীন দলের বহু নেতা দেশ থেকে পালিয়েছেন। সাথে সাথে নিঁখোজ আছেন/ পালিয়ে গেছেন তার সময়ের প্রবল-প্রতাপশালী আমলা- উপদেষ্টা, মন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণর আব্দুর রউফ তালুকদারও। এ এক বিরল ঘটনা এবং দলীয় আনুগত্যের চরম নিদর্শনও বটে ।
আওয়ামীলীগের দাবীকৃত তথাকথিত উন্নয়নের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, "আওয়ামী লীগ গত দেড় দশকে দেশে কিছু রাস্তাঘাট, ব্রিজ, মেট্রেরেলের মতো অবকাঠামো তৈরি করেছে। বিপরীতে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের বিচার বিভাগ, প্রশাসন, পুলিশ, বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচন কমিশনসহ কোনো প্রতিষ্ঠানই বেঁচে নেই। এসব প্রতিষ্ঠানকে জীবিত করতে দেশের বহু বছর সময় লাগবে। এসব ক্ষতির কোনো মূল্য নিরূপণ করা সম্ভব নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ম্যান্ডেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্ররা রাষ্ট্রের খেলোয়াড়ের বদল চায়নি, তারা খেলার বদল চেয়েছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে রাজনৈতিক কাঠামো থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নতুন করে গড়ে তুলতে হবে"।
শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে শুধু অর্থনীতিকেই নয় বরং সমাজের প্রতিটা জায়গাকেই ধ্বংস করে গেছেন,যার ক্ষত সারাতে দেশ ও জাতির লাগতে পারে কয়েক যুগ।এখন ছাত্রদের দাবী তথা দল-মত নির্বিশেষে সকল আমজনতার দাবী জনগনের ভোটাধিকার ফেরতের। সাথে সাথে দাবী নিরপেক্ষ প্রশাসন ও পতিত শাসক ও দূর্নীতিপরায়ন আমলাদের বিচার। এ সব যদি যথাযথভাবে করা সম্ভব হয় তাহলে আবার হয়ত ঘুরে দাড়াবে আমাদের দেশ ও তার অর্থনীতি।আর এসবের জন্য প্রয়োজন দল-মতের উপরে থেকে,ব্যক্তিগত লাভালাভের উপরে থেকে নির্মোহভাবে যার যার উপর অর্পিত কর্তব্য যথাযথভাবে পালনের। এভাবেই হয়ত দেশের মৃতপ্রায় অর্থনীতি আবার সুস্থ-সবল হবে এবং এগিয়ে যাবে ও দেশের হবে প্রকৃত উন্নয়ন। সবশেষে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর মতে, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রকে নতুন করে মেরামতের দ্বার উন্মোচিত হয়েছ। জনগণ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলে শেখ হাসিনার এ পদত্যাগ সম্ভাবনার দ্বার হিসাবে বিবেচিত হতে পারে"। এ ব্যাপারে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন,"গতকাল একটি অভূতপূর্ব, অভাবনীয় ও অকল্পনীয় বিজয় অর্জিত হয়েছে। অনেকের মতে এটা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। গত ১৫ বছর আমরা অনেকটা কারাগারের মধ্যে ছিলাম। এ সময় আমরা আমাদের বাক্স্বাধীনতা ও অন্যান্য নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম"।- https://www.prothomalo.com/politics/ug4tpopr2e
বদিউল আলমের সাথে একমত হয়ে আমজনতা হিসাবে আমিও একথা বলতে চাই," আসুন আমরা সবাই দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে সকল জনগণ নিজ নিজ জায়গায় দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেই এবং সকল প্রকার হানা-হানি,হিংসা-বিবাদ ভুলে একযোগে দেশের পূর্ণগঠনে কাজ করি"।
- দেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার এবং ঋণ করেছে সাড়ে ১৫ লাখ কোটি টাকার বেশি। লিংক - Click This Link
- সংসদ নির্বাচন নিয়ে টিআইবি - 'প্রশ্নবিদ্ধ, 'অভূতপূর্ব', 'অবিশ্বাস্য' - https://www.bbc.com/bengali/news-46877838
- বাংলাদেশে নামে মাত্র সংসদীয় গণতন্ত্র আছে - টিআইবি - https://www.bbc.com/bengali/news-49498702
পূর্ববর্তী পোস্ট -
===============
১৫। " আসন ভাগা-ভাগি (সিলেকশনে) কিংবা ভোটের আগেই বিজয়ী আওয়ামীলীগ "- এভাবে আর কত দিন?
Click This Link
১৪।"জাতীয় নির্বাচন ২০২৪" - সমস্যা ও সমাধান, কোন পথে - কত দূর?।
Click This Link
১৩।" দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে আওয়ামীলীগ " এটা কিসের ইংগিত দেয়? - Click This Link
১২। "আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী" - আসুন একনজরে দেখি আমাদের স্বপ্নপুরীর সর্বশেষ অবস্থা।
Click This Link
১১।"স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের আলোচ্যসূচী" - সত্যিটা কি ? Click This Link
১০। " সংবিধান থেকে একচুলও নড়া হবে না" - নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাস্তবতা ।
১ম পর্ব - Click This Link
শেষ পর্ব - Click This Link
৯।"হিরো আলম কার প্রতিদ্বন্দ্বী " - Click This Link
৮। সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ কিংবা বিক্রি - সত্যিটা কি ? - Click This Link
৭।আমেরিকার ভিসা নীতি বনাম বাংলাদেশের ভিসা নীতি-এর পর কি হবে?-
Click This Link
৬। আমার সোনার বাংলা কি কোটিপতি ও খেলাপি ঋণ তৈরীর কারখানা ? - Click This Link
৫। " রংপুর সিটি কর্পোরশন নির্বাচন - লাঙলের জয় ও নৌকা চতুর্থ " - কি বার্তা দেয় আমাদের? - Click This Link
৪। " বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন " - তুমি কার ? -
Click This Link
৩। সামাজিক রীতি-নীতি-শিষ্ঠাচার এখন যাদুঘরে - আপনি কি একমত ? -
Click This Link
২। বর্তমান সময়ে আমরা কি একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টিশক্তি হীন জাতি বা প্রজন্মে পরিণত হচছি বা হতে যাচছি? -
Click This Link
১। আমাদের সমাজের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়ছে ? -
Click This Link
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ আহলান ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
সময়োপযোগী পোষ্ট। আরো গবেষণা করতে হবে ... শুভ কামনা।
- জানা-বুঝার ( গবেষনা) জায়গায় আমরা বাংগালীরা সেরা। আমরা আমরাই- এখানে আর কেউ সারা দুনিয়ায় আমাদের কাতারে। তবে আমলে ( কাজে ) আমরা খুবই দূর্বল। এখন আমাদের সকলকে মিলেমিশে জানা-বুঝার সাথে সাথে বেশী বেশী করে আমল ( কাজ) করতে হবে দেশের জন্য।
শুভ কামনা ভাই আপনাকেও।
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
করুণাধারা বলেছেন: এতগুলো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে ব্রিজ মেট্রোরেল তৈরি করে লাভ কি!
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ করুণাধারা ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
এতগুলো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে ব্রিজ মেট্রোরেল তৈরি করে লাভ কি!
- পুরনো - প্রতিষ্ঠিত সব ধ্বংস করে নতুন কিছু বানালে (ব্রিজ-মেট্রোরেল-টানেল ) তবেই না নিজেদের নাম তাতে যোগ করা যাবে।
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২১
নয়া পাঠক বলেছেন: সরকারী সকল প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জনগণের নিকট জবাবদিহীতার মুখোমুখি করতে হবে। ন্যায়-প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সহ আইন সকলের জন্য সমান করতে হবে। যেন কেউই আর অন্যায় করে পার না পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশ থেকে পরিবার ভিত্তিক রাজনীতি সম্পূর্ণরূপে বিতাড়িত করতে হবে। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে হবে। আর সর্বোপরি যথাস্থানে যোগ্য ব্যক্তিদের বসাতে হবে। ন্যায়-কে ন্যায় আর অন্যায়-কে অন্যায় বলতে হবে।
এরকম কিছু ব্যবস্থা যদি আমরা সমাজের সকলে মিলে করতে পারি তাহলেই এত বড় একটা গর্ত হতে আমরা উত্তোরণের সুযোগ পেতে পারি।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:২৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নয়া পাঠকভাই, আপনার বাস্তব-বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্যের জন্য।
সরকারী সকল প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জনগণের নিকট জবাবদিহীতার মুখোমুখি করতে হবে। ন্যায়-প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সহ আইন সকলের জন্য সমান করতে হবে। যেন কেউই আর অন্যায় করে পার না পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশ থেকে পরিবার ভিত্তিক রাজনীতি সম্পূর্ণরূপে বিতাড়িত করতে হবে। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে হবে। আর সর্বোপরি যথাস্থানে যোগ্য ব্যক্তিদের বসাতে হবে। ন্যায়-কে ন্যায় আর অন্যায়-কে অন্যায় বলতে হবে
- সেটাই ভাই।আমাদের সকলকে দল-মতের উপরে উঠে-থেকে, "ন্যায়-কে ন্যায় আর অন্যায়-কে অন্যায় বলতে হবে এবং আমাদেরে নিজ নিজ জায়গার অর্পিত কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করতে হবে"।
এরকম কিছু ব্যবস্থা যদি আমরা সমাজের সকলে মিলে করতে পারি তাহলেই এত বড় একটা গর্ত হতে আমরা উত্তোরণের সুযোগ পেতে পারি।
- সবাই মিলে আমরা বেরিয়ে আসব এ গর্ত থেকে ইনশাআল্লাহ।
৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬
কামাল১৮ বলেছেন: লক্ষন ভালো দেখা যাচেছে না।৭১এর নয় মাসেও দেশে পুলিশের কার্যক্রম প্রায় ছিলই না।কিন্তু সমাজ এতো উশৃঙ্খল ছিলো না।লুটপাট ছিলো না।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই, আপনার বাস্তব মন্তব্যের জন্য।
লক্ষন ভালো দেখা যাচেছে না।৭১এর নয় মাসেও দেশে পুলিশের কার্যক্রম প্রায় ছিলই না।কিন্তু সমাজ এতো উশৃঙ্খল ছিলো না।লুটপাট ছিলো না।
- কামাল ভাই , "অতীতের দীর্ঘশ্বাস আর ভবিষ্যতের আশ্বাস থেকে বর্তমান গুরুত্বপূর্ণ। আগে কি ছিল বা এখন কি হবে থেকে - আমরা কি করছি এটাই বেশী গুরুত্বপূর্ণ"। সমাজ-দেশে অনেক বড় একটা পরিবর্তন যেমন হয়েছে ঠিক তেমনি এই পরিবর্তনের ফলে একটা প্রশাসনিক-সামাজিক শুন্যতাও তৈরী হয়েছে। এই শূন্যতায় ভর করে কেউ কেউ উশৃংঙ্খলতা কিংবা খারাপ কাজ যেমন করতে চাচছে কিংবা করছে আবার এসবের মাঝেও কেউ কেউ সেই শুন্যতা পূরনের ও চেষ্টা করছে।
একটা দেশ-সমাজে শতভাগ খারাপ যেমন নেই ঠিক তেমনি শতভাগ ভাল মানুষও হয়না। দোষে - গুনেই মানুষ.
আমরা আশাবাদী ঠিক হয়ে যাবে সব। দু-এক দিনের মাঝেই।
৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯
সোনাগাজী বলেছেন:
উপরে লিখে দেন, ইহা কি গরুর রচনা, নাকি পোষ্ট? তখন আমি ভাববো পড়তে হবে কিনা।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাগাজী ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
উপরে লিখে দেন, ইহা কি গরুর রচনা, নাকি পোষ্ট? তখন আমি ভাববো পড়তে হবে কিনা।
- আপনি যে কারো লেখা না পড়েই মন্তব্য করেন - এটা আবারও প্রমাণ করলেন।
৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমার মতে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় ভুল ছিল প্রকৃত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করা ।
আমি আমার দোহারের কথা বলতে পারি।
সেখানে 72 সালে কিংবা আরো ১০ বছর আগে যারা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মী ছিলেন তাদেরকে মূল্যায়ন করা হয়নি ।
ঢাকা ১ আসনের এমপি যিনি ছিলেন সেই দরবেশ বাবা তিনি কখনোই আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন না ।
এছাড়া আর এক নেতা এডভোকেট মান্নান খান তিনিও কখনোই আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন না ।
সাম্প্রতিককালে উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আলমগীর হোসেন কোন সময়ই আওয়ামীলীগের লোক ছিলেন না ।
অথচ তাকে তিন তিনবার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়ে আনা হয়েছে।
এখানে কমপক্ষে তিনজন ত্যাগী নেতাকে মূল্যায়ন করা সম্ভব ছিল ।
উনার অজস্র ভুল আছে।
যেই ভুলের পরিণতি আমরা দেখতে পেলাম।
শেষ পর্যন্ত উনাকে যেটা করতে হলো সেটা স্বৈরাচারী এরশাদও করে নাই।
১১ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দুঃখিত দেরিতে জবাবের জন্য।
আমার মতে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় ভুল ছিল প্রকৃত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করা ।
- ভাই , উনার ভুলের শেষ নেই।অহংকারের বশে এবং ক্ষমতার মোহে তিনি শুধু ভুল আর ভুলই করে গেছেন।
আমি আমার দোহারের কথা বলতে পারি। সেখানে 72 সালে কিংবা আরো ১০ বছর আগে যারা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মী ছিলেন তাদেরকে মূল্যায়ন করা হয়নি ।
ঢাকা ১ আসনের এমপি যিনি ছিলেন সেই দরবেশ বাবা তিনি কখনোই আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন না । এছাড়া আর এক নেতা এডভোকেট মান্নান খান তিনিও কখনোই আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন না ।
সাম্প্রতিককালে উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আলমগীর হোসেন কোন সময়ই আওয়ামীলীগের লোক ছিলেন না । অথচ তাকে তিন তিনবার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়ে আনা হয়েছে।এখানে কমপক্ষে তিনজন ত্যাগী নেতাকে মূল্যায়ন করা সম্ভব ছিল ।
- দরবেশের সাথে আওলিয়ায়ে হাসিনা মিলেছিল। এর থেকে ভাল সমন্বয় আর কি হতে পারে। আর যেখানে সব ভোগী নেতাদেরই জয়জয়কার সেখানে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন হবেনা এটাই স্বাভাবিক ।
উনার অজস্র ভুল আছে। যেই ভুলের পরিণতি আমরা দেখতে পেলাম।শেষ পর্যন্ত উনাকে যেটা করতে হলো সেটা স্বৈরাচারী এরশাদও করে নাই।
- উনার তুলনায় এরশাদ শিশু স্বৈরাচার আর উনি জাদরেল স্বৈরাচারী ।
৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার এতো সমালোচনা না করে ওনার জন্য কিছু কাপড় চোপড় দিল্লীতে পাঠিয়ে দেন।
১১ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দুঃখিত দেরিতে জবাবের জন্য।
ওনার এতো সমালোচনা না করে ওনার জন্য কিছু কাপড় চোপড় দিল্লীতে পাঠিয়ে দেন।
- ভাই , মন থেকেই দিতে চাই, তবে আমাদের মনের কোন দাম নেই ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৬
আহলান বলেছেন: সময়োপযোগী পোষ্ট। আরো গবেষণা করতে হবে ... শুভ কামনা।