নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহামহিম হুজুরে আলা শেখ হাসিনার বিখ্যাত সব উক্তির মাঝে সবচেয়ে সেরা তথা ব্লকব্লাস্টার এই উক্তি। শেখ হাসিনার মুখ থেকে তাহার ২১ বছরের শাসনামলে এরকম হাজারো-লাখো মধুর বাণী তথা উক্তি নির্গত হয়েছে প্রতিনিয়ত। যাতে আমজনতা প্রতিদিন জানত নতুন নতুন সব তথ্য-তত্ত্ব এবং বিমোহীত হওয়ার অভিনয় করতে বাধ্য হত চোখ-কান বন্ধ রেখে,মিথ্যার আড়ালে সত্যকে ঢেকে রেখে। উনার সেই সব উক্তির কোন কোনটা হয়েছে ফ্লপ (কাচামরিচ শুকিয়ে রেখে দেওয়া),কোনটা হয়েছে সুপার ফ্লপ (কুমড়ো দিয়ে কুমড়ানী তথা বেগুনি)। কোনটা হয়েছে সেমি হিট কিংবা হিট। আবার কোনটা হয়েছে সুপার হিট । আর সব কিছু ছাপিয়ে এ উক্তি হয়েছে ব্লকব্লাস্টার তথা এর সাফল্যের জোয়ার এতটাই প্রবল ছিল যে, এ সাফল্যের জোয়ারে তিনি ও তাহার ক্ষমতার মসনদ সহ ভেসে গেছে দেশের সীমা ছাড়িয়ে অসীমে -
কোন মানুষ যখন দায়িত্বশীল জায়গায় থাকে তা সে প্রশাসনিক কিংবা রাজনৈতিক যাই হোক না কেন তখন সে কিছু ক্ষমতা ভোগ করে। আর সেই ক্ষমতাশীন থাকা অবস্থায় সে ক্ষমতার মধুর রসের সাথে সাথে আরও কিছু বিশেষ কারনে নিজেকে বিশেষ কিছু ভাবতে থাকে। আর সেই কারনে তখন সেই ক্ষমতাশীনরা নানা ধরনের মধুর বাণী প্রতিনিয়ত প্রসব করতে থাকে,যাতে তারা জনগনকে বোদাই আর নিজেকে মহা জ্ঞেনী হিসাবে তুলে ধরতে চেষ্টার কোন কসুর করেনা। তারই ধারাবাহিকতায় পীরজাদী শেখ হাসিনা তাহার সুদীর্ঘ ২১ বছরের সালতানাতে মুজিবের শাসনামলে হাজারে লাখো মধুর বাণী প্রসব করছেন তাহার নিজস্ব ভংগিমায়। আসুন সবাই মিলে কিছুটা সময় হুজুরে আলা পীরজাদি শেখ হাসিনার মধুর উক্তি সমুহের স্মৃতিচারন করি এবং দো-জাহানের অশেষ নেকী হাসিল করি। সাথে সাথে দুঃখিত মনে সেলিব্রেশন করি দেশে তাহার অনুপস্থিতিকে।
তাহার সর্বশেষ ও বিখ্যাত উক্তি দ্বারাই শুরু করি, আজকের স্মৃতিচারন আসর। যে উক্তির কারনেই শেখ সালাতানাতের শাসন খতম হয়ে ভেসে গেছে বানের জলের মত , আর মহামতী শেখ হাসিনা বেড়াতে গিয়েছেন পাশের দাদার দেশে নিজের দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে।
১। ''মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে''? কোটা আন্দোলনের প্রশ্নে হুজুরে আলা পীরজাদি শেখ হাসিনার মধুর উক্তি - লিংক - https://www.banglatribune.com/national/854787/
রবিবার ১৪ জুলাই ২০২৪,বিকালে নিজের সরকারি বাসভবন (নিজের নামে লিখে নিয়েছিল সারা জীবনের তরে) গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে কোটা আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পীরজাদি শেখ হাসিনা। পীরজাদি শেখ হাসিনার এই এক মধুর উক্তিকে দেশের ছাত্র-জনগন এত সিরিয়াস ভাবে নিয়েছিল যে এর প্রভাবে পুরো সালাতানাতে মুজিব খতম হয়ে গেছে এবং ২১ বছরের প্রতাপশালী স্বৈরশাসক ৩৬ শে জুলাই (৫ ই আগস্ট) দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই এক মধুর বচন যে তাহার সালতানাত খতমের সিলমোহরের কারন হয়ে যাবে তা তিনি ঘুনাক্ষরেও ভাবতে পারেননি। এ নিয়ে তাহার আফসোস থাকবে আমরণ।
২। ''আমি আছি তাই বাংলাদেশ নিরাপদে আছে। আমার চোখ বন্ধ হলে কী হবে তা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জানেন''-
আজ ১৫ দিন উনি বাংলাদেশে নেই।দেশের মানুষ প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিচছে এবং মন থেকে উনার জন্য দোয়া করছে যাতে করে উনি ভাল থাকেন, আমাদের যা হয় হউক। উনাকে আমাদের নিয়ে আর ভাবতে হবেনা। উনি এখন নিজেকে নিয়ে ভাবুক। উনি নিজেকে ভাবে আওলিয়া-কামেল তথা জনাচার ( জনগনের সেবক) আর পাবলিক উনাকে ভাবে অনাচার (পাবলিকের খাদক) তথা স্বৈরাচার। হায়রে জীবন------
৩। আমি বিদায় নেয়ার জন্য প্রস্তুত - লিংক - Click This Link
বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর-২০২২ বলেছিলেন, '' টানা তিনবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল বলে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এখন বিদায় নেয়ার জন্য আমি প্রস্তুত''। তিনি আরো বলেছিলেন,''দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। আমিও চাই আওয়ামী লীগে নতুন নেতৃত্ব আসুক। নেতৃত্ব কাউন্সিলরা ঠিক করেন। কাউন্সিলদের সিদ্ধান্তটাই চূড়ান্ত। আওয়ামী লীগের আগামী কাউন্সিলে যদি একজন কাউন্সিলরও আমাকে নেতৃত্বে না চায় তাহলে আমি থাকব না। আমি বিদায় নেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি''।
হুজুরে আলা চলে যাবেন বলেছিলেন তবে সেখানে ছোট করে একটা যদি ''আওয়ামী লীগের আগামী কাউন্সিলে যদি একজন কাউন্সিলরও আমাকে নেতৃত্বে না চায় তাহলে আমি থাকব না'' লাগিয়েছিলেন। তখন কার এমন বুকের পাটা ছিল যে,সালতানাতে শেখের সাম্রাজ্যে কেউ তাহার গদীনশীন কন্যাকে বলবে আপনাকে আমরা চাইনা । তবে তাহার ওয়াদাকৃত সে বিদায় তিনি ২০২৪ সালে এসেও এমনি এমনি নিতে চাননি, মেরে-কেটে, কেঁদে-কেটে মাসাকার করেও ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। জনগন তাহাকে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত ক্ষমতার চেয়ার আকড়ে ধরে ছিলেন হুজুরে হাসিনা।
৪। ''সব হারিয়ে আমার শুধু দেবার পালা, মানুষের জন্য করে যাচ্ছি। দেশের মানুষের জন্য যা ত্যাগ করার করবো, আমি জীবন দিতেও প্রস্তুত'' লিংক - https://www.ajkerpatrika.com/285310/
০২ আগস্ট ২০২৩ বুধবার বিকেল ৪টায় রংপুর বিভাগীয় সমাবেশে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন,''বাবা-মা-ভাই সব হারিয়েছি। আমার তো হারাবার কিছু নেই। একটা মানুষ আপনজন হারালে শোক সইতে পারে না। আর আমি একই দিনে সব হারিয়েও শুধু একটা প্রতিজ্ঞা নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মুখে অন্ন জোগাব। প্রতিটি মানুষের ঘর করে দিব। প্রতিটি মানুষের জীবনমান উন্নত করব। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আগামীতে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব তবে ২০২৪ সালে এসে জনগনের চুম্মা-চাটিতে টিকতে না পেরে তাহার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার খায়েশ ছেড়ে দাদাদের দেশে চলে গিয়েছেন নিজের প্রাণের মায়ায়------
৫। ইউনূসকে চুবানি দিয়ে পদ্মা সেতুতে তোলা, আর খালেদাকে টুস করে নদীতে ফেলা উচিত - লিংক - https://www.prothomalo.com/politics/
বুধবার ১৮ ই মে ২০২২, আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে বক্তৃতাকালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ''একটি এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছে, তাকে পদ্মা নদীতে দুইটা চুবানি দিয়ে তোলা উচিত। মরে যাতে না যায়, পদ্মা নদীতে একটু চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত। তাহলে যদি শিক্ষা হয়। পদ্মা সেতুর অর্থ বন্ধ করাল ড. ইউনূস। কেন? গ্রামীণ ব্যাংকের একটি এমডি পদে তাকে থাকতে হবে''?
- এখন আপনারাই বলেন, '' ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকের একটি এমডি পদে থাকতে পারবেন না, যেটা উনি গড়েছেন। সেটা চাইলে উনি লোভী। আর হুজুরে আলা আজীবন দেশের ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখবেন - যেটা উনার কিংবা উনার বাপের নয় । সেখানে উনি লোভী নয়, উনি নির্মোহ , আহা সাধু সাধু!!!!!!!!!!!!!!!
এরপর বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, "খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। সেতুতে যে স্প্যানগুলো বসাচ্ছে, এগুলো তার কাছে ছিল জোড়াতালি দেওয়া। জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। আবার তার সঙ্গে কিছু দোসরেরাও…তাদেরকে এখন কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত ''।
উনি খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন। জনগন এখন তাকেই ক্ষমতা থেকে টুস করে নয় ঘাড় ধাককা দিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। একেই বলে, "যেমন কর্ম তেমন ফল''।
৬। '' মাথায় পচন নাই এবং কী পেলাম, কী পেলাম না, সে হিসাব মেলাতে আমি আসিনি। কে আমাকে রেকোগনাইজ করলো আর কে করলো না, সে হিসাব আমার নাই। একটাই হিসাব, এই বাংলাদেশের মানুষ, তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে কিছু কাজ করতে পারলাম কি না, সেটাই আমার কাছে বড়'' - লিংক - https://www.prothomalo.com/bangladesh/
বুধবার ২২ শে নভেম্বর ২০১৭ ,সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে সংসদে প্রধানমন্ত্রী ,''আমি নিজে সততার সাথে দেশ চালাতে চেষ্টা করছি। একটা কথা মনে রাখবেন, মাথায় পচন ধরলে সবখানেই পচন ধরে। যেহেতু মাথায় পচন নাই, শরীরের কোথাও একটু-আধটু ঘা-টা থাকলে সেগুলো আমরা সেরে ফেলতে পারব''। তিনি আরো বলেন, ''আমার অনুভূতি এটাই, কী পেলাম, কী পেলাম না, সে হিসাব মেলাতে আমি আসিনি। কে আমাকে রিকগনাইজ করল (স্বীকৃতি দিল), করল না, সে হিসাব আমার নাই। একটাই হিসাব এই বাংলাদেশের মানুষ, তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে কিছু কাজ করতে পারলাম সেটাই আমার কাছে বড়''।
উনি কখনো কে কি বললো-বলবে তা নিয়ে ধার ধারতেন না। উনি কখনো জনগনের কথা শুনতেননা এবং তাই করতেন যা উনার ভাল লাগত। আর তাইতো জনগন মওকা পেয়ে উনাকে ছক্কা মেরে মাঠ থেকে আউট( ক্ষমতা থেকে বাহির) করে দিয়েছে চোখের পলকে।
৭। আমার বেয়াই রাজাকার হলেও যুদ্ধাপরাধী নয় - লিংক - https://thebarta.com/politics/
দেশ প্রেমিক (আওয়ামীলীগ) ও রাজাকার এই বিভাজনের রাজনীতিই ছিল হাসিনার শাসনের মূলমন্ত্র। উনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররহ হোসেন ১৯৭১ একাত্তরে সালে একজন চিহ্নিত রাজাকার ছিলেন,কিন্তু বেয়াই বলে তাহার বিরুধ্যে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না,চারিদিক থেকে এমন অভিযোগ উঠার পর এই বিষয়ে প্রথমবারের মত মে ১৫, ২০১৬ মুখ খুলেছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলছিলেন আমার বেয়াই রাজাকার নয়।৭১ যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানে পক্ষ নিয়েছিলেন বটে কিন্তু তিনি কোন অপরাধ করেন নি।খুন ধর্ষণ এগুলির কোনটির সাথেই আমার বেয়াই জড়িত ছিলেন না।তিনি শুধু রাজনৈতিক ভাবে পাকিস্তান না ভাঙ্গার পক্ষে ছিলেন। এটা কখনো যুদ্ধাপরাধ হতে পারেনা। তিনি বলেন বি,এন,পি জামায়াত শিবিরের রাজাকারেরা অপপ্রচার চালাচ্ছে আমার বেয়াই রাজকার,যা বাস্তবিক পক্ষে সত্য নয়।এটা আমার বিরুধ্যে অনেক ষড়যন্ত্রের একটি অংশ।
আহা বেশ, বেশ বেশ । অন্য সবার জন্য যা ফাসির কারন,উনার জন্য তা মুর গা চুরি। এই মুরগা চুরির অপরাধে বাকীদের ফাসির কারন হলেও উনার বেয়াই হুজুরে আলা সুফী। কি চমতকার বিচার ,হাসুর সাম্রাজ্যে --------
৮। ''অনেক রক্ত আর ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। কাজেই এ দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনীর সজাগ ও সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। যাতে এই স্বাধীনতা নিয়ে যেন কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে''। -
লিংক - https://www.prothomalo.com/bangladesh/
বিএমএতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে শেখ হাসিনা বুধবার ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ বলেন,''মনে রাখবে, অনেক রক্ত আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। কাজেই এ দায়িত্ব পালনে তোমাদের সজাগ ও সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।তিনি আরো বলেন,''আজ থেকে তোমাদের ওপর ন্যস্ত হচ্ছে দেশমাতৃকার মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই হবে তোমাদের জীবনের প্রথম ও প্রধান ব্রত''।
শেখ হাসিনার এ আহববান সেনাবাহিনী মনে রেখেছে। তাইতো সেনাবাহিনী দেশমাতৃকার মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব পালন করেছে হাসু বু'জিকে ক্ষমতাহীনের বাঁশ দিয়ে। কোটা নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে যখন পুলিশ-বিডিআর-র্যাবের শেষে যখন কারফিউ জারি করে এবং ছাত্র-জনতার উপর সেনাবাহিনীকে আরও বেশী শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ প্রদান করেন তখন দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী তাহার সেই অন্যায় আদেশ মানতে অস্বীকার করেন। এর ফলে শেখ স্বৈরাচারী হাসিনার পতন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। পরবর্তীতে শেখ হাসিান ৫ ই আগস্ট পদত্যাগ করেন এবং দেশত্যাগ করেন। এর ফলে দেশ রক্ষা পায় আরও ব্যাপক প্রাণহানী থেকে এবং জনগন লাভ করেন ২য় স্বাধীনতা।
৯। বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হলে অসাধ্য সাধন করতে পারে -
- এ বাণী তিনি যথার্থই বলেছিলেন। আর তাহার এ মধুর বাণীতে উদ্ধুদ্ধ হয়ে দেশের অপামর ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাহার সুদীর্ঘ ২১ বছরের স্বৈরাচারী শাসনকে শুধুমাত্র কয়েকদিনের তুমুল আন্দোলনে তাহার ক্ষমতার মসনদের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল নিজেদের প্রাণের মায়া তুচছ করে। পরিশেষে ঐক্যবদ্ধ বাঙালিদের গণ আন্দোলনে টিকতে না পেরে ক্ষমতার মসনদ ত্যাগ করে পালিয়ে গিয়েছেন রাম রাজ্যে।
তাহার আরও কিছু মধুর বচন ( বিখ্যাত উক্তি )
১। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরো আগেই একটি উন্নত দেশে পরিনত হত। - হাচা কতা---- শেখ মুজিবের সরকার এমন এক সময়ে উৎখাত হয়েছিল, যখন তাঁর জনপ্রিয়তা তলানিতে নেমে এসেছিল। একসময় শেখ মুজিব জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন। আর সেখানে তিনি পৌঁছেছিলেন ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই। ইতিহাসে এ রকম দৃষ্টান্ত বিরল; কিন্তু কয়েক বছরের ব্যবধানে এমন পরিবর্তন হলো, যেটা অনেকেই ভাবতে পারেননি।লিংক - Click This Link
২। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টিকারীরা যেন ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে না পারে। সেজন্য প্রত্যেককে সজাগ থাকতে হবে । ,আমার থেকে বড় সন্ত্রাস এ দেশে কোতা থেকে আসব-
৩। আমার কাছে ক্ষমতা মানেই হচ্ছে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করা। জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা , শুধু গনভবন,আজীবন দেশের ক্ষমতা,ছেলে-নাতি-পুতি-আতি-পাতিদের বিনাপয়সায় থাকা খাওয়া চাই।
৪।ব্যবসা করতে আসিনি, দেশ গড়তে এসেছি । - আহা, কথা শুনে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
৫।যদি আলোচিত হতে চাও, সমালোচনা কে ভয় করো না| মনে রেখো সমালোচনাও এক প্রকার আলোচনা
৬। আমি শান্তি চাই, প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না - আহা বেশ বেশ বেশ- যা চেয়েছেন তাই পেয়েছেন। আল্লাহ তা'আলা আপনাকে শান্তি দিন।
৭।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের জনগণ কিছু পায় আর বাকি সবাই লুটে খায় - সুযোগ পাইলে আবার খাইব।
৮। আমার চেয়ে বেশী দেশপ্রেমিক আর কে আছে? - আহা , সাধু সাধু ,একজনও নেই।
৯।দেশের মানুষ এখন চার বেলা খাচ্ছে - । মানুষ ৩ বেলা খায় সবার রাজ্যে, আরা হাসুর রাজ্যে ৪ বেলা। সব কিছুই একটু বেশী বেশী - এই আরকি
১০।দেশে এখন কোনো বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই। মানুষের যাতে মনে থাকে যে আগে লোডশেডিং ছিলো সেজন্য আমি ইচ্ছে করে লোডশেডিং করার নির্দেশ দিয়েছি যাতে করে আদানী থেকে বিদ্যুত আনাকে জায়েজ করা যায়- এতটুকুই।
১১। বিরোধী দলে গেলে কখনো হরতাল করবো না - এমন সিস্টেম চালু করেছি,সকল বিরোধীদল থাকবে যাদুঘরে আর আমি থাকব আজীবন ক্ষেমতায়
১২। আমার মন্ত্রীরা কথায় নয়; কাজে স্মার্ট - তাইতো আমার পিয়নও ৪০০ কোটির মালিক , আর আমার মন্ত্রীরা ইস্মার্ট - তাইতো তাদের টাকা ব্যাংকে নয় ইথারে। কারন ব্যাংকে রাখলে হিসাব থাকে , আর বাইরে রাখলে বেশুমার ইস্মার্ট
১৩। প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয় আমার সারা জীবনের লক্ষ্য এটা দাদাদের এতটা দিয়েছি আজীবন মনে রাখবে এবং আমার দূর্দিনে বিনা শর্তে জায়গা দিবে। হয়েছেও তাই
১৪। আমি নিজে নিয়মিত নামাজ পড়ি, কোরান থেকে তেলওযাৎ করে দিনের কাজ শুরু করি। আমি জানি, নবী করিম বলেছেন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না - - তাইতো আমি কোন কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি করিনা। শুধু হাপিস ( গুম-খুন) করে ফেলেছি।কারন - আমি বাড়াবাড়িতে বিশ্বাসী না , সমুলে উপড়ে ফেলায় বিশ্বাসী
১৫। আমার ৭২ বছর বয়সের ৬০ বছরই কেটেছে রাজনীতিতে। স্কুল থেকে রাজনীতি শুরু করেছি এখনো অব্যাহত আছে। রাজনীতিতে কে কী করেছে অনেক ঘটনা চোখে দেখেছি - তবে শেষ দৃশ্যটাএভাবে হবে, তা আমি ভাবিনি।আমি তা লেখিনি। এটা দেশদ্রোহী-রাজাকার-বিরোধীদল সব মিলে চক্রান্ত করে তৈরী করেছে। আমি আপাতত দেশে ছেড়ে যাচছি তবে পরে ঠিকই তোমাগো দেইখা লমু , ততদিন বাংগালীজাতি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও
=========
পূর্ববর্তী পোস্ট
''মধুর বচন'' - ৪ - "শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন নি, তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী" -
Click This Link
"মধুর বচন" - ৩) - "প্রধানমন্ত্রী(শেখ হাসিনা)'র বেহেশতে যাওয়ার হক আছে" এবং "আল্লাহ শেখ হাসিনার জন্য ফেরেশতা পাঠাবেন, এটা যদি মনে না করেন ইমান চলে যাবে"। লিংক - Click This Link
" মধুর বচন " - ২ - রাস্তা বন্ধ করে জনগণকে কষ্ট দিয়ে আর সমাবেশ করতে দেয়া হবে না - ওবায়দুল কাদের ও বাস্তবতা।
Click This Link
" মধুর বচন " - ১ - আহা কি চমতকার দেখা গেল- Click This Link
২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
আজ আমার এক নেপালী কলিগ বলছিলো, যে একটা কথা কিভাবে একজন মানুষের সারা জীবনের সন্মান ধলিস্বাত করে সেটার বড় উদাহরন শেখ হাসিনা।
- আমাদের নেপালী ভাই যথার্থই বলেছেন।
সামান্য একটা কথার আবেদন (প্রভাব ) কতটা ব্যাপক হতে পারে উনি তা হয়ত জানতেন তবে মানতেন না। আর এই না মানার পরিণতিই হল ক্ষমতাহারা এবং দেশ থেকে বিতাড়ন।
তাছাড়া মহামানব ও জ্ঞানীরাও সবসময় বলেন, একজন মানুষের জীবনে তাহার সবচেয়ে বড় শত্রু তাহার জিহ্বা এবং লজ্জাস্থান। এজন্য তারা এ দুয়ের ব্যবহারে সতর্ক থাকতে বলেছেন । কারন - দুনিয়ার বেশীরভাগ অনাচার এবং অশান্তি এ দুয়ের কারনেই তৈরী হয়।
২| ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: হাসু আপা'র ১০০টি মহান বাণী নিয়ে একটা পুস্তিকা প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।
২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
হাসু আপা'র ১০০টি মহান বাণী নিয়ে একটা পুস্তিকা প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।
- আপনি আসলী বিরোধীদলের লোক তথা------ কার -------
না হলে হাসু আপার কাতারে কাতারে মহান বাণী দিয়ে যেখানে এনসাইক্লোপিডিয়া অব হাসিনা লেখা যায় সেখানে শুধুমাত্র ১০০ মধুর বাণী ।
এ মেনে নেওয়া যায়না। এ আমাদের হাসুদির মহান উন্নয়ন ও চরম মেধার অবমূল্যায়ন । দেশপ্রেমিক জনগন এরকম কাজ মেনে নিবেন না-------
৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: তাইলে ১লাখ বাছাই করা শ্রেষ্ঠ অমর বাণী!!!
২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ মেরে ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
তাইলে ১লাখ বাছাই করা শ্রেষ্ঠ অমর বাণী!!!
- এবার ঠিক আছে, এই সংখ্যা তাহার সাথে যায়
কারন - তাহার যেই বিশাল জ্ঞান ভান্ডার এবং সমুদ্রসম কথারাশি তাতে লাখের নীচে হলে তাহার প্রতি অসম্মান করা হবে।আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করে দেই এনসাইক্লোপিডিয়া অব হাসিনা (বাণী) লেখার কাজ।
আপনি কি বলেন ?
৪| ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:০৭
নয়া পাঠক বলেছেন: ক্ষমতায় থাকার জন্য এইসব মধুর বচন ব্যবহার করেছে, আর কাজ করেছে ঠিক তার উল্টোটা। তেনার ধারণা ছিল, বাংলাদেশ মানে তিনি যা বলবেন তাই, তিনি যেভাবে ইচ্ছা দেশটাকে লুটে-পুটে খাবেন চ্যালা-চামুন্ডা নিয়ে, সেটাই ঠিক, কারণ দেশটা তার বাবার। আর এদেশে গণতন্ত্রের নামে পরিবারতন্ত্র কায়েম এবং বাকস্বাধীনতা হরণ করাই তার কাছে বৈধ এবং সঠিক মনে হয়েছে, তাই উনি সেটা করেছেন। আপনি কে ভাই তা নিয়ে কপচানোর, সাহস আছে বটে আপনার, আওয়ামী ও সহযোগী সকল সন্ত্রাসী সংগঠন একদম চুপচাপ বসে থাকবে এটা ভাববেন না, তাদের কাছে আমার আপনার, তথা দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন শুধু ক্ষমতা। এর জন্য তারা যে কোন কিছু করতে একবিন্দুও পিছপা হবে না। এই দল এবং সেই দল যে দলই বলুন বাংলাদেশের পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির যতগুলো দল রয়েছে সব একই ধাঁচের, একই ছাঁচের, এবার সময় এসেছে এই সব গার্বেজ চিরতরে ছুড়ে ফেলে আমাদের দেশটাকে সুন্দর করে সাজাবার। সেজন্য যা করা প্রয়োজন আমাদের ঠিক তাই করতে হবে। প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থানে সৎ থাকতে হবে, ন্যায়কে ন্যায় আর অন্যায় কে অন্যায় বলা শিখতে হবে। সকল আপামর জনগণকে একজোট থাকতে হবে। আরও অনেক কাজ রয়েছে এখন আমাদের সামনে, যার কিছু কিছু নিয়ে আমি কয়েকটি ব্লগ লিখেছি। সময় পেলে পড়ে দেখতে পারেন। অবশ্য আমি যা লিখেছি তা কমন বিষয় যা আপনিও জানেন। ধন্যবাদ আমাদের সামনে সুন্দর সুন্দর কিছু মহান বাণী(?) প্রকাশ করার জন্য।
২২ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৫১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মেরে ভাই, আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
- আসলেই ভাই - ক্ষমতায় থাকার জন্যই এইসব মধুর বচন ব্যবহার করেছে তবে কাজ করেছে উল্টোটাই। এখন সবার সামনে সুযোগ এসেছে দেশকে গড়ার দল-মতের উপরে উঠে। নিজ নিজ জায়গায় আমরা যদি ভাল থাকি এবং যথাযথভাবে নিজ নিজ কাজ করি তাহলে সামনে ভাল কিছু হবে বলেই মনে হয়।
আরও অনেক কাজ রয়েছে এখন আমাদের সামনে, যার কিছু কিছু নিয়ে আমি কয়েকটি ব্লগ লিখেছি। সময় পেলে পড়ে দেখতে পারেন। অবশ্য আমি যা লিখেছি তা কমন বিষয় যা আপনিও জানেন। ধন্যবাদ আমাদের সামনে সুন্দর সুন্দর কিছু মহান বাণী(?)
- এখন ঘুরে আসলাম আপনার ব্লগ বাড়ী থেকে । অবশ্যই আবার আসব,পড়ব এবং মন্তব্য করব।
ভাল থাকবেন।
৫| ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০৪
ঊণকৌটী বলেছেন: একটা প্রশ্ন ? গত পনেরো দিন ধরে ব্লগে যেসব লেখা পাচ্ছি তা আগে কখনো দেখিনি তারমানে কি ধরে নেবো দেশে এতই কি অন্ধকারের শাসন শোষণ চলেছিল, ভয়ে কেউই মুখ খুলতে চাননি না কি আমল চেঞ্জ হওয়ার পরে কে কত বিপ্লবী তার প্রতিযোগীতা চলছে ,গণতন্ত্র মানে মনে করি কিছু বলার বা শুনার স্বাধীনতা
২২ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:২৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ঊণকৌটী ( আপনি কি ভাই নাকি বোন ) , আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দুঃখিত দেরিতে জবাবের জন্য।
একটা প্রশ্ন ? গত পনেরো দিন ধরে ব্লগে যেসব লেখা পাচ্ছি তা আগে কখনো দেখিনি তারমানে কি ধরে নেবো দেশে এতই কি অন্ধকারের শাসন শোষণ চলেছিল, ভয়ে কেউই মুখ খুলতে চাননি না কি আমল চেঞ্জ হওয়ার পরে কে কত বিপ্লবী তার প্রতিযোগীতা চলছে ,গণতন্ত্র মানে মনে করি কিছু বলার বা শুনার স্বাধীনতা
- এটা কি আর বলতে হয় ভাইজান।
কি ধরনের শাসন চলেছে গত ১৫ বছর?
- দেশে চলেছে শেখ সালাতানাতের শাসন উইথ নামে কিছুটা গণতন্ত্র আর বাকীটা স্বৈরাতন্ত্র @ হাসু বুবুর উন্নয়ন - সহযোগীতায় চানক্য মোদী।
ভাইজান/বনি - বাচচারা যখন নতুন হাটতে শিখে তখন খুশিতে খালি দৌড়ায় হাটেনা এবং বার বার হোচট খেয়ে পড়ে যায়। তখন ব্যাথা পেলেও কাঁদেনা,হাটতে পারার খুশিতে।
ঠিক এই অবস্থাই হয়েছে এখন আমাদের সবার। ১৫ বছর পর হাসু বুজির পতনের পর সবাই প্রাণ খুলে হাসছে,বুক ভরে নিঃশ্বাস নিচছে এবং হাত খুলে লিখছে।
৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:১৩
ঊণকৌটী বলেছেন: অবশ্য আমি মনে করি 1947 থেকে 2024 এদেশে কোনদিনই গণতন্ত্রর গ ও ছিলোনা, আজও নাই মনে হয় না আগামীতেও আসবে, যতদিন না কোন সরকার ফ্রি শিক্ষা সাথে ধর্মমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করে
২২ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: অবশ্য আমি মনে করি 1947 থেকে 2024 এদেশে কোনদিনই গণতন্ত্রর গ ও ছিলোনা, আজও নাই মনে হয় না আগামীতেও আসবে, যতদিন না কোন সরকার ফ্রি শিক্ষা সাথে ধর্মমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করে
- আপনি যা বলেছেন, তা হয়ত সঠিক । তবে একেবারে গণতন্ত্র ছিলনা এমনটা নয় তবে নামে গণতন্ত্র উইথ সাম আদার তন্ত্র-মন্ত্র অবশ্যই ছিল।
তবে শেখ হাসুর সালতানাতে যে গণতন্ত্রর গ ও ছিলনা , এটা ঠিক।
অন্যদিকে ধর্মমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা কখনো ভাল ফল বয়ে আনবে বলে মনে হয়না।
কারন - ধর্ম মানুষকে মানবিক হতে বলে।ভাল কাজ করতে বলে,খারাপ কাজ করতে নিষেধ করে। ধর্মের সাথে গণতন্ত্রের সরাসরি কোন বিরোধ আছে বলে আমার মনে হয়না।
৭| ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৩৯
কামাল১৮ বলেছেন: লেখার সাইজ দেখেই প্রাণ ওষ্ঠাগত।তাই মন্তব্য থেকে বিরত থাকলাম।দেখি কোন মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য করতে পারি কিনা।
২২ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দুঃখিত দেরিতে জবাবের জন্য।
লেখার সাইজ দেখেই প্রাণ ওষ্ঠাগত।তাই মন্তব্য থেকে বিরত থাকলাম।দেখি কোন মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য করতে পারি কিনা।
- ভাই , কাউকে অনুসরন করা ভাল তবে অন্ধ অনসুরন ভালো নয়।
একই গুরুর শিষ্য ভাল তবে গুরু মারা শিষ্যও ভাল নয়।
যে কোন বিষয়ে কিছু বলতে গেলে সে বিষয়ে জেনে এবং বুঝে কিছু বলতে হয়। কিছু না বুজেই মন্তব্য করা মহা জ্ঞানীর পরিচায়ক।
তারপরও শুকরিয়া যে গুরুর মত গরু দেকেননি শুধু লেখার সাইজ দেখেছেন।
৮| ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১৮
এম ডি মুসা বলেছেন: শেখ হাসিনার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে পারে নাই। এটা তার ব্যর্থতা এবং মানুষের দমন পীড়ন এটি ছিল বড় দুঃশাসন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ১১ জানুয়ারি ভাষণ শোনার পর আমি বঙ্গবন্ধু শাসন আমলে বুঝতে পারছি। তিনি অন্যায় দমন করতে গিয়ে তিনি জীবন হারিয়ে ফেলেছেন। রাজনীতি উর্দ্ধে বঙ্গবন্ধু। শেখ হাসিনা এই দেশ কিছু কাজ করছেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, টানেল , ঢাকা হাইওয়ে রোড, দেশের সকল প্রাইমারি স্কুলের সরকারি করন, বিনামূল্যে বই বিতরণ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা। শেখ হাসিনার সরকারে আমলে চাকরি দুর্নীতি ছিল এটি ছিল সবচেয়ে খারাপ দিক।
২২ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ এম ডি মুসা ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দুঃখিত দেরিতে জবাবের জন্য।
শেখ হাসিনার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে পারে নাই। এটা তার ব্যর্থতা এবং মানুষের দমন পীড়ন এটি ছিল বড় দুঃশাসন।
- লেবু কতটুকু কচলানো উচিত কিংবা লেবু বেশী কচলাইয়া কখন যে তিতা করে ফেলেছেন তা শেখ হাসিনা বুঝতে পারেন নি। নিজের বাপকে জোর করে দেশের বাপ বানাতে গিয়ে কখন যে দেশের জনগনের মন থেকেই উঠিয়ে ফেলেছেন তা হয়ত উনি বুঝতে পারেন নি কিংবা উনার চারিপাশের লোকেরা উনাকে বুঝতে দেননি। বড়ই আফসোস।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ১১ জানুয়ারি ভাষণ শোনার পর আমি বঙ্গবন্ধু শাসন আমলে বুঝতে পারছি। তিনি অন্যায় দমন করতে গিয়ে তিনি জীবন হারিয়ে ফেলেছেন। রাজনীতি উর্দ্ধে বঙ্গবন্ধু।
- দেশের প্রথম স্বাধীনতায় শেখ মুজিবের যে অবদান ছিল তা সবাইকে যেমন মানতে হবে,ঠিক তেমনি শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করে দেশের জনগনের মন থেকে উঠে গিয়েছিলেন - এটাও মনে রাখতে হবে। রাজনীতিতে ভূলের মাশুল খুবই বেশী দিতে হয় । আর এটাই হয়েছে বাপ-বেটি দুজনের সাথে।
শেখ হাসিনা এই দেশ কিছু কাজ করছেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, টানেল , ঢাকা হাইওয়ে রোড, দেশের সকল প্রাইমারি স্কুলের সরকারি করন, বিনামূল্যে বই বিতরণ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা। শেখ হাসিনার সরকারে আমলে চাকরি দুর্নীতি ছিল এটি ছিল সবচেয়ে খারাপ দিক।
- কিছু স্থাপনা নির্মান যদি হয় উন্নয়ন তাহলে শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করেছেন। আর যে কোন খরছের সময় যদি হিসাব না করে করা হয় নিজের দেশের গোয়া মারা ( ক্ষতি করা, তাহলে উনি চরমভাবে দেশের ক্ষতি করেছেন।
শেখ হাসিনা আর দুর্নীতি?
উনি কখনো দুর্নীতি করেন নি। কারন উনি যেখানে নীতি কি জিনিষ তাই জানেন না, সেখানে দুর্নীতির প্রশ্ন আসবে কেন?
৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট।
২২ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।
গুড পোস্ট।
- শুকরিয়া ভাই।
আপনাকে সামুতে দেখলে ভাল লাগে ভাই। থাকুন আমাদের মাঝে, সামুর সাথে।
১০| ২২ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭
জুন বলেছেন: এই বক্তব্যটা যে কত জঘন্য তা বোধহয় উনি নিজেও উপলব্ধি করতে পারেন নাই। ভিডিওতে দেখেছি সে সময় তার চেহারাটাও ভয়ংকর ছিল। পরে উনি আবার অস্বীকার করেছেন যে এই কথা উনি বলেন নাই। কি আজব!
২২ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন জুন,আপনার মন্তব্যের জন্য।
এই বক্তব্যটা যে কত জঘন্য তা বোধহয় উনি নিজেও উপলব্ধি করতে পারেন নাই।
- বোন , আপনি যদি উনার জীবনে যত কথা বলেছে, যত জায়গায় ভাষন দিয়েছে কিংবা অন্যকারো সম্পর্কে উনি যা বলেছে সেই সব একটা একটা করে রিভিউ করেন তাহলে, কোথাও উনাকে আপনি একজন মিতভাষী কিংবা উপলব্ধিশীল মানুষ হিসাবে খুজে পাবেন না।
উপলব্ধি তাদের জীবনেই হয় যাদের ভাল-খারাপ,ন্যায়-অন্যায় বোধ প্রখর।
অর্থ্যাৎ যে যত মানবিক,তার উপলব্ধিবোধ ততটাই গভীর। তারা একটা কথা বললেও হিসাব করে বলে কিংবা নিয়মিত তারা তাদের কাজের হিসাব নিকাশ করে।
শেখ হাসিনা ছিল আপাদমস্তক একজন হিংস্র-নিস্টুর মহিলা, যাহার নিকট তাহার ক্ষমতাই শেষ কথা এবং প্রতিশোধের নেশাই যাহার জীবনের মূল ব্রত । আর ছিল সোনাগাজী র শিষ্যা,যে মানুষকে ছোট করে কুৎসিত মজা পেত।
ভিডিওতে দেখেছি সে সময় তার চেহারাটাও ভয়ংকর ছিল। পরে উনি আবার অস্বীকার করেছেন যে এই কথা উনি বলেন নাই। কি আজব!
- এ মহিলা ১০০ কথার মাঝে আমার মনে হয় ৫০ ভাগই মিথ্যা বলত এবং কিছু সময় পরে অবলিলায় অস্বীকার করত, সব রকম প্রমাণ থাকার পরও।
এ আজব নয় বোন এটাই বাস্তব। আমাদের শাহজাদী অব শেখের।
১১| ২২ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি তো সুন্দর একটি কাজ করেছেন। গোছানো পোস্টে অনেক মধুর বচন একত্রিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। পোস্ট প্রিয়তে রেখে দিলাম। +
২২ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন নকিব ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি তো সুন্দর একটি কাজ করেছেন।
- শুকরিয়া ভাই।
গোছানো পোস্টে অনেক মধুর বচন একত্রিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। পোস্ট প্রিয়তে রেখে দিলাম। +
- তাহার মধুর বচনগুলি কেন যেন আমি আগে থেকেই রেখে দিতাম, হয়ত আজকের এই লেখার জন্যই।
আবারো ধন্যবাদ পোস্ট প্রিয়তে রেখে দেয়ার জন্য।
১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬
আপেক্ষিক বলেছেন: আগামী বইমেলায় বই চাই
৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ আপেক্ষিক ভাই,আপনার ছোট তবে তাৎপর্যে ব্যাপক-বিশাল মন্তব্যের জন্য।
আগামী বইমেলায় বই চাই
- দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট সঠিক শেখ সালাতানাতের তথা আওয়ামী উন্নয়ন ইতিহাস তুলে ধরার সাথে সাথে পীরজাদী হুজুরে আলা হাসু বুবুর জ্ঞেনের ভান্ডার তথা মধুর বাণীকে পুস্তকাকারে তথা ইতিহাসে স্থান দেয়ার জন্য বই লেখা অতীব জরুরী। তবে তার জন্য বাজেট (নয়-ছয় করা সহ) তথা টাকা কোতা থেকে পাব তাহাই মাথায় আসছেনা ।
এ ক্ষেত্রে সামু ভার্চুয়ালি বিনা পয়সার লেখার সুযোগ দিয়েছে ,তাই বাজেট (পয়সা) জরুরী না তবে বই আকারে প্রকাশের জন্য টাকা অবশ্যি দরকার । যদি আপনি টাকার অ্যারেঞ্জ করে দেন বা কোন উৎসের সন্ধান দিতে পারেন তাহলে আপনাকেও যথাযোগ্য সম্মানিতে সম্মানিত (ঘুষ না ভাই বকশিস বা স্পীড মানি ) করা হবে।
আর আপনার এই মহান কাজ ও আমার এই আকাজের ফলে জাতি পেতে পারে হাসু বুবুর মধুর বাণীর রসালো স্বাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১
নতুন বলেছেন: আজ আমার এক নেপালী কলিগ বলছিলো, যে একটা কথা কিভাবে একজন মানুষের সারা জীবনের সন্মান ধলিস্বাত করে সেটার বড় উদাহরন শেখ হাসিনা।