নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশই মনে হয় একমাত্র দেশ, যেখানে সারাদেশকে ও এর কোটি কোটি মানুষকে অনিরাপদ করে-রেখে শুধুমাত্র একটি পারিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ আইন ও রাষ্ট্রীয় ব্যয়ে বিশেষ বাহিনী নিয়োজিত করা হয় এবং আইন করে জনগনের দেয়া করের কোটি কোটি টাকায় একটি পরিবারের সদস্যদের যুগ যুগ ধরে আরাম আয়েশের যোগান দেয়ার জন্য বাধ্য করা হয়। এ এক আজব আইন, যে আইনের বলে কোটা প্রথার সুবিধাভোগী হয়ে সেই পরিবারে সদ্য জন্মানো শিশুরও সারা জীবনের আরাম আয়েশের দায় বর্তায় একই সময়ে জন্ম নেয়া এ পরিবারের বাইরের সদ্যোজাতের উপরও। যেখানে এই পরিবারের বাইরে জন্ম নেওয়া একটি শিশু জন্মের সাথে সাথেই ভাগীদার হয়ে যায় লাখ লাখ টাকার রাষ্ট্রীয় ঋনের, সেখানে এই পরিবারে জন্ম নেওয়ার কারনে সেই সদ্যোজাত হয়ে যায় ভিভিআইপি, যাহার সারা জীবনের জন্য সব কিছুর যোগানের দায় দেশের মেহনতি মানুষের। যেখানে দেশের কোটি কোটি মানুষ দিন-রাত পরিশ্রম করে দুমুটো খাওয়ার জন্য এবং আইনের সাহায্য চাওয়া তাদের জন্য দুঃসাহস বা স্বপ্ন , সেই তারাই খেয়ে না খেয়ে যোগান দিবে এই পরিবারের খাবার-বাসস্থান-নিরাপত্তা সহ সব কিছু। হায়রে সোনার দেশ ও গজব আইন - বাংলাদেশ। অবশেষে ২৯ শে আগস্ট,বৃহস্পতিবার-২০২৪ আজব এ আইনের গজব থেকে জাতি মুক্তি পেল নোবেল বিজয়ী এবং প্রধান উপদেষ্টা ডাঃ ইউনুসের হাত ধরে।
জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯
১। ২০০৯ সালে “জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯ প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল।
২। ২০১৫ সালে ওই আইন অনুসারে বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুবিধাদি প্রদানের গেজেট জারি করা হয়।
জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা সম্পর্কিত আইনের প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য - শেখ মুজিবুর রহমান (১৭ মার্চ ১৯২০-১৫ আগস্ট ১৯৭৫) ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। শুরুতে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি, এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ খ্রীস্টাব্দের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে সপিরবারে হত্যা করা হয়। তখন বিদেশে অবস্থানের কারনে তাহার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর ১৫ই আগষ্ট আবার রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘জাতীয় শোক দিবস‘ হিসেবে ঘোষনা করেন এবং সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ মুজিবকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দেন। পরবর্তীতে শেখ মুজিবের পরিবারের জীবিত সদস্যদের নিরাপত্তা রক্ষায় রাষ্ট্র কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে এ আইনটির প্রস্তাব করা হয়।বিলে জাতির পিতার পরিবারে সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা এবং তাদের সন্তান এবং ক্ষেত্রমত সন্তানদের স্বামী বা স্ত্রী এবং তাদের সন্তান (আতি-পাতি-নাতি-পুতি)। এ এমন এক আইন, যেখানে শুধুমাত্র একটি পরিবারের নিরাপত্তা জন্য একটি আইন করা হয়।
আইনের বিধান বা আইনে কি বলা হয়েছে
এই আইনে বংশানুক্রমিক ভাবে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাদের ছেলে-মেয়ে দ্বারা পয়দাকৃত (আতি-পাতি-নাতি-পুতি) বংশধর ভিআইপি নিরাপত্তা ও সরকারিভাবে নিরাপদ ও সুরক্ষিত আবাসন এবং প্রয়োজনীয় অন্য সুবিধাদি পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সেস অর্ডিন্যান্স-১৯৮৬ এর আওতায় জাতীয় অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের (ভিআইপি) জন্য যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়,আইনের ৪ নম্বর ধারায় সরকারীভাবে শেখ মুজিবের পরিবার-সদস্যদের আজীবন যেকোন স্থানে সেরকম নিরাপত্তা প্রদান করার কথা বলা হয়েছে। এ নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকার পরিবার-সদস্যদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়ার কথাও উল্লেখি হয়েছে। একই ধারার উপধারা ৩-এ, সরকার জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের প্রত্যেকের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত আবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সেই বিবেচনায় প্রয়োজনীয় অন্য সুবিধাদি প্রদান করার বিধান রাখা হয়েছে।
আমরা সবাই দেখেছি যে, হাসিনা তাহার পুরো শাসনামলে সব সময় বলত যে সে কিছু চায়না কিংবা তাহার কিছু চাওয়া পাওয়ার নাই - এ যে কত বড় মিথ্যা এবং সে কত বড় জালিয়াত ছিল, শুধু এই আইনের দিকে তাকালে একজন নাবালকও অবাক হয়ে যাবে। যেখানে রাষ্ট্রীয় ভাবে সম্পূর্ণরূপে বিনা খরচায় জীবনের জন্য যত ধরনের উপকরন দরকার তাহার-তাহার ছেলে-মেয়ে,নাতি-পুতি-ছতিদের তাহা আজীবনের জন্য নিশ্চিত করেছে,সেখানে তাহার আর কি চাওয়া থাকতে পারে তাহা আমাদের বোধগম্য নয়। যেখানে একজন সাধারন মানুষ নিজের জীবনে দুমুটো খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে হিমশিম খাচছে সেখানে তিনি বিনা খরচায় (জনগনের করের টাকায় ) আয়েসী জীবন-যাপন করেছে আর প্রতিনিয়ত চেতনার মিথ্যা কাহিনী বলে জনগনকে বোকা বানিয়ে রেখে দেশকে লুটে-পুটে খেয়েছে যুগ যুগ ধরে।
এক নজরে বিশেষ এই আইন -
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন ১। (১) এই আইন জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
আইনের সংজ্ঞা ২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
(১) "জাতির পিতা" অর্থ The Proclamation of Independence বা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার রূপকার, বাংলাদেশের স্থপতি এবং সংবিধান (চতুর্থ সংশোধন) আইন, ১৯৭৫ (১৯৭৫ সনের ২নং আইন) এর ধারা ৩৪ এর দফা (খ) দ্বারা সাংবিধানিকভাবে জাতির পিতা হিসাবে স্বীকৃত
(২) "পরিবার-সদস্য" অর্থ জাতির পিতার জীবিত দুই কন্যা এবং তাঁহাদের সন্তানাদি।
আইনের প্রাধান্য ৩। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর হইবে।
৪। (১) Special Security Force Ordinance, 1986 (Ordinance No. XLIII of 1986) এর অধীন Very Important Person এর জন্য যেরূপ নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে সেইরূপ নিরাপত্তা সরকার জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণকে আজীবন সর্বস্থানে প্রদান করিবে।
২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকার পরিবার-সদস্যগণের মতামতকে প্রাধান্য দিবে।
(৩) জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে সরকার-
(ক) তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে উক্ত পরিবার-সদস্যগণের প্রত্যেকের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত আবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে এবং
(খ) উহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধাদিও তাঁহাদিগকে প্রদান করিবে।
সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) বিল-২০২১ সংসদে তোলেন। ১৯৮৬ সালের একটি অধ্যাদেশ দিয়ে বর্তমানে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিলে জাতির পিতার পরিবারে সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা এবং তাদের সন্তানা এবং ক্ষেত্রমত সন্তানদের স্বামী বা স্ত্রী এবং তাদের সন্তান। আগের আইনের বিষয়গুলোও নতুন আইনের প্রস্তাবে রাখা হয়েছে। নতুন করে যুক্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দৈহিক নিরাপত্তা প্রদান।সরকারি গেজেট দিয়ে ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরাও এই আইনের অধীনে নিরাপত্তা পাবেন।
বিলে আরো বলা হয়েছে, এসএসএফের তত্ত্বাবধান ও নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যাস্ত থাকবে।এসএসএফকে তল্লাশি, আটক, ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতাসহ থানার একজন ওসির যেসব ক্ষমতা আছে, এসএসএফের একজন কর্মকর্তার এই আইনের অধীনে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সারা দেশে সেই ক্ষমতা থাকবে এবং জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, এসএসএফ তাদের দৈহিক নিরাপত্তা দেবে।
শুধুমাত্র শেখ পরিবারকে নিরাপদে রাখার জন্য দেশের কোটি কোটি টাকা খরচ করে তাহার জন্য বাড়ী-বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) এবং এসএসএফের তত্ত্বাবধান ও নেতৃত্ব শেখ হাসিনার উপর ন্যাস্ত করা, এ সবই তাহার কিছু না চাওয়া-পাওয়ারই (নির্লোভ মানষিকতা ও মাছুম চেহারা ) প্রমান বহন করে ।
আইনের বিশেষ বিশেষ দিক সমুহ-
১। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ‘জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯’ প্রণয়ন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবিত দুই কন্যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানদের আজীবন বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
২। বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন ২০২১, যেটি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের “তাদের অবস্থান নির্বিশেষে” রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি হওয়া ছাড়াও একই ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
৩। এই আইনের অধীনে একজন ‘ভেরি ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট পারসন’-এর (ভিআইপি) জন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে, তাদের জন্যও আজীবন একই ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
৪। এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক সদস্যের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত আবাসনসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে এই আইনে।
৫। বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন ২০২১ সালে প্রণীত হয় যাতে ভিভিআইপি যেমন রাষ্ট্রপতি এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের যেকোনো স্থানে সমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
৬। যদি কোনো ব্যক্তি এই ব্যক্তিদের (শেখ পরিবারের যে কোন সদস্য ) শারীরিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে, তাহলে এসএসএফ সদস্যদের তাকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রয়েছে। ঐ ব্যক্তি গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করলে কিংবা গ্রেপ্তার প্রচেষ্টায় বাধা দিলে, যথাযথ হুঁশিয়ারি প্রদানের মাধ্যমে এসএসএফ তার বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগ বা যেকোনো প্রয়োজনীয় উপায়ে হুমকি নিরসন করতে পারে। সোজা উপরে পাঠিয়ে দেয়ার / হত্যা করার বৈধতা।
৭। এই আইনের আওতায় এসএসএফ এর সদস্যদের কৃত কর্মের (খুন-হত্যা-গুম) জন্য সরকারের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া কোন মামলা করা যায় না। দেশে প্রচলিত আইনি বাধ্যবাধকতা থেকে দায়মুক্তি।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৩৬ শে জুলাই ( ৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর গত ২৫ শে আগস্ট রোববার এই দুই আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে -
১। জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯ এবং
২। বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন ২০২১ এর ধারা ২(খ), ২(গ), ৮(১), ৮(৩), ৮(৪) এবং ৯(২); যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যগণ লেখা আছে সেগুলো অসাংবিধানিক এবং অবৈধ ঘোষণা করার জন্য রিট করা হয়েছে।
রিটে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ডিজি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং শেখ রেহেনার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তিকে বিবাদী করা হয়েছে।
এ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেবল একটি পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য আইনটি করা হয়েছিল, যা একটি সুস্পষ্ট বৈষম্য।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল বৈষম্য দূরীকরণে দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করেছে।
'' বর্তমানে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া অবস্থায়'' রহিয়াছে বিধায় এ বিষয়ে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই আইনটি রহিতকল্পে অধ্যাদেশ জারি করা প্রয়োজন।এ প্রেক্ষাপটে, উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠক কর্তৃক ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়।
শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাবার পর থেকেই এই বৈষম্যমূলক আইন বাতিল করা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আইনটি সংশোধন করার প্রস্তাব উঠছে এবং 'জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ প্রস্তাব অনুমোদন পেলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, তাদের সন্তান এবং সন্তানদের স্বামী-স্ত্রী ও নাতি-নাতনিদের নিরাপত্তার জন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নিরাপত্তা সুবিধা, নিরাপদ আবাসনসহ সরকার থেকে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে এবং দেশ মুক্ত হবে এক আজব আইন থেকে এবং বেঁচে যাবে দেশের কোটি কোটি টাকা।
তথ্যসূত্র
১। জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯ - লিংক - http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-1028.html
২।সংবিধানে শেখ মুজিব - Click This Link
৩। জাতির জনক - https://bn.wikipedia.org/wiki/
৪। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেবে এসএসএফ, সংসদে বিল - Click This Link
৫। এসএসএফ আইনে যুক্ত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিরাপত্তা দেয়ার বিধান - https://www.jagonews24.com/national/news/667908
৬। জাতির পিতার পরিবারের নিরাপত্তা আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট - https://www.banglatribune.com/others/859884/
৭। ‘জাতির পিতার’ পরিবারের নিরাপত্তা আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ - Click This Link
৮।বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন বাতিল হচ্ছে - লিংক - https://www.ittefaq.com.bd/698015/
৯। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা বিশেষ নিরাপত্তা পাবেন না - Click This Link
পূর্ববর্তী পোস্ট -
===============
১৬। "শেখ হাসিনার একটানা ১৫ বছরের শাসন বনাম তথাকথিত আওয়ামী উন্নয়ন " -
Click This Link
১৫। " আসন ভাগা-ভাগি (সিলেকশনে) কিংবা ভোটের আগেই বিজয়ী আওয়ামীলীগ "- এভাবে আর কত দিন?
Click This Link
১৪।"জাতীয় নির্বাচন ২০২৪" - সমস্যা ও সমাধান, কোন পথে - কত দূর?।
Click This Link
১৩।" দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে আওয়ামীলীগ " এটা কিসের ইংগিত দেয়? - Click This Link
১২। "আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী" - আসুন একনজরে দেখি আমাদের স্বপ্নপুরীর সর্বশেষ অবস্থা।
Click This Link
১১।"স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের আলোচ্যসূচী" - সত্যিটা কি ? Click This Link
১০। " সংবিধান থেকে একচুলও নড়া হবে না" - নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাস্তবতা ।
১ম পর্ব - Click This Link
শেষ পর্ব - Click This Link
৯।"হিরো আলম কার প্রতিদ্বন্দ্বী " - Click This Link
৮। সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ কিংবা বিক্রি - সত্যিটা কি ? - Click This Link
৭।আমেরিকার ভিসা নীতি বনাম বাংলাদেশের ভিসা নীতি-এর পর কি হবে?-
Click This Link
৬। আমার সোনার বাংলা কি কোটিপতি ও খেলাপি ঋণ তৈরীর কারখানা ? - Click This Link
৫। " রংপুর সিটি কর্পোরশন নির্বাচন - লাঙলের জয় ও নৌকা চতুর্থ " - কি বার্তা দেয় আমাদের? - Click This Link
৪। " বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন " - তুমি কার ? -
Click This Link
৩। সামাজিক রীতি-নীতি-শিষ্ঠাচার এখন যাদুঘরে - আপনি কি একমত ? -
Click This Link
২। বর্তমান সময়ে আমরা কি একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টিশক্তি হীন জাতি বা প্রজন্মে পরিণত হচছি বা হতে যাচছি? -
Click This Link
১। আমাদের সমাজের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়ছে ? -
Click This Link
২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জটিল ভাই, যথারীতি আপনার জটিল মন্তব্যের জন্য।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় সামনে আনার জন্যে জটিলবাদ।
- জটিলাবাদের জন্য মাছি'য়া বাদ ।
আচ্ছা, কোনোভাবে কি সোনাগাজির জন্যেও এই আইন প্রযোজ্য হতে পারেনা?
- কন কি?
তাইলে সামু বিরান ঐ যাইব না
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: দেশের সংবিধানকে পরিবারের সংবিধান বানানো হয়েছে আর কি!
২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ইফতেখার ভূইয়া ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
দেশের সংবিধানকে পরিবারের সংবিধান বানানো হয়েছে আর কি!
- ভাই, দেশটা তাহার বাপের আর দেশের সংবিধান তাহার লেখার রাফ খাতা ছিল , আর তাইতো যখন যা খুশী সেই মত রাফ খাতার পাতা ছিড়ত এবং সুবিধামত নতুন পাতা আটা দিয়ে লাগাইয়া লইত ( সংবিধানে নিজের সুবিধামত সংযোজ-বিয়োজন বা কাটা-ছেড়া-জোড়া-তালি দিত)
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
দেখা হবে রাজপথে বলেছেন: মিঃ জটিল* গাজী বাবুর জন্য এই আইন আম্রিকায় বলবৎ আছে।
এই আইনের বিস্তারিত জেনেছিলাম মাত্র মাস খানেক আগে সম্ভবত। তখন ভাবিনি এই আইন কখনো বাতিল হতে পারে- আজ আনন্দে উদ্বাহু নৃত্য করিতে ইচ্ছা করিতেছে।
২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ দেখা হবে রাজপথে ভাই ( ভাই নাকি বোন সঠিক জানিনা), আপনার সরস মন্তব্যের জন্য।
মিঃ জটিল* গাজী বাবুর জন্য এই আইন আম্রিকায় বলবৎ আছে।
- কন কি ভাই , গাজী সাহেবের জন্য আমেরিকায় আলাদা করে আইন বানিয়েছে? আমেরিকা কেন তাহার জন্য এ আইন বানইল? সে কি আমেরিকা স্বাধীন করছে ।
এই আইনের বিস্তারিত জেনেছিলাম মাত্র মাস খানেক আগে সম্ভবত। তখন ভাবিনি এই আইন কখনো বাতিল হতে পারে- আজ আনন্দে উদ্বাহু নৃত্য করিতে ইচ্ছা করিতেছে।
- ভাই, আপনে আমি অনেক কিছুই জানিনা-জানতাম না । দাদী তাহার নানারকম ভেলকিবাজির সাথে সাথে চেতনার বড়ি খাইয়ে পুরো দেশ-জাতিকে অচেতন করে রেখে সব লুটে নিয়েছে আর আমরা বসে বসে ঝিমুয়েছি রাণীক্ষেত রোগে আক্রান্ত মুরগীর মত।
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৮
কামাল১৮ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে পরিবারের সবাইকে এমন কি শিশু সন্তাকেও মেরেফেলা যায় এবং তার কোন বিচার চাওয়া যাবে না এমন আইন করা যায়।বিচিত্র এই দেশ।এবং তার পক্ষে সাফাই গাওয়ার কুলাঙ্গারও পাওয়া যায়।
২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
ঠিকই বলেছেন।সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে পরিবারের সবাইকে এমন কি শিশু সন্তাকেও মেরেফেলা যায় এবং তার কোন বিচার চাওয়া যাবে না এমন আইন করা যায়।বিচিত্র এই দেশ।এবং তার পক্ষে সাফাই গাওয়ার কুলাঙ্গারও পাওয়া যায়।
- কিছু মানুষ ভুলে যায় বিজ্ঞানের সাধারন তত্ত্ব, " প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীত প্রক্রিয়া আছে ''
কিংবা ধর্মের বাণী, '' কেউ কারো সাথে অন্যায় করলে তার পরিণাম এ দুনিয়াতেই ভোগ করতে হবে ও সাথে সাথে পরকালেও বিচার হবে''
অথবা প্রবাদ প্রবচন, '' পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তে যায় "
এবং " যেমন কর্ম তেমন ফল" -
এখন আপনি বলেন, যে যেমন কর্ম করবে সে তার ফল ভোগ করবে। তার জন্য অন্যের দুঃখ পাওয়া কি বাধ্যতামূলক?
৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২২
দেখা হবে রাজপথে বলেছেন: আমি ভাই, বইন না। আলাপে বুঝেন না পুরানো মাল? পাসওয়ার্ড হারায়ে নতুন নামে এসেছি। আপনাদের সবার লেখার সাথে পরিচিত।
একটু অপেক্ষা করেন; দেখা হবে রাজপথে,কথা হবে মিছিলে...
২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ দেখা হবে রাজপথে ভাই , আপনার সরস প্রতি মন্তব্যের জন্য।
আমি ভাই, বইন না।
- বালা লাগল লিংগ নিশ্চিত করনের জন্য।
আলাপে বুঝেন না পুরানো মাল? পাসওয়ার্ড হারায়ে নতুন নামে এসেছি। আপনাদের সবার লেখার সাথে পরিচিত।
- পুরানা চাল ভাতে বাড়ে,স্বাদও বালা তয় কেরি ( পোকা থেকে সাবধান থাকতে হয়,ইডা (পাসকোড) ভুইলে গেলেন কেমনে?)
একটু অপেক্ষা করেন; দেখা হবে রাজপথে,কথা হবে মিছিলে...
- দুই মিনিট খাড়ান, ৫ মিনিটে আইতাছি
ভাল থাকবেন ভাই।
৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: ওইটা কি জয়ের মেয়ে? এদের জামাই জন বউরাও তো ওই তালিকায় ছিল- নাকি?
আহারে কত সুখের জীবন ছিল, এক্কেবারে রূপকথার মত
৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:২১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
ওইটা কি জয়ের মেয়ে? এদের জামাই জন বউরাও তো ওই তালিকায় ছিল- নাকি?
- তপন ভাই, দেখুন জামই-ব্উ ও তাহার বংশধরদের ছবি ।
আহারে কত সুখের জীবন ছিল, এক্কেবারে রূপকথার মত
- আসলেই ভাই , সুখের জীবন আহা কোটা সুবিধায় রুপালী পর্দার রুপকথার মত সুখের জীবনই ছিল।
শেখের পরিবারের বর্তমান-ভবিষ্যত সদস্য সবার।
৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০৭
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এখানে যাদের ছবি আছে, তাদের মধ্যে নিচের লাইনের ২য় জন (বাম থেকে), খুব সম্ভবত টিউলিপ নাম। উনিই সেই উনি না যিনি বাংলাদেশী না বলে দাবী করেছিলেন?
৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ঋণাত্মক শূণ্য ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
এখানে যাদের ছবি আছে, তাদের মধ্যে নিচের লাইনের ২য় জন (বাম থেকে), খুব সম্ভবত টিউলিপ নাম। উনিই সেই উনি না যিনি বাংলাদেশী না বলে দাবী করেছিলেন?
- ভাই , উনিই তিনি তবে আপনি যদি এখন মাননীয়া শাহজাদী ছে শাহজাদী ( শেখের বেটির বেটি/নাতনি) কে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে উনি হয়ত বলবেন - এ রকম কথা আমি জীবনেও বলিনি।
কারন - এই বংশের সব গুলাঐ পীরানে পীর মিথ্যুক পীর।
৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:৫৬
এম এ কাশেম বলেছেন: মাইরের উপর কোন ঔষধ নাই,
মাইর যখন শুরু হইলো - কিসের আইন আর কিসর গাইন,
সব এপার ছেড়ে ওপারে।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ এম এ কাশেম ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
মাইরের উপর কোন ঔষধ নাই,মাইর যখন শুরু হইলো - কিসের আইন আর কিসর গাইন,সব এপার ছেড়ে ওপারে।
- ভাই হাচা কতা কইছেন একখানা।
মাইরের উপরে আসলে কোন ঔষধই নেই। মাইরের সামনে আইন-গাইন সব পগার পার @ ওপার
৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরণের আইন পুরোপুরি অসাংবিধানিক। আপনার পোস্টের বিষয়ে আরও কিছু লেখার ইচ্ছে আছে। এখন সংক্ষেপে লিখলাম।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
এই ধরণের আইন পুরোপুরি অসাংবিধানিক।
- ভাই , একটা দেশ যখন কখন কারো বাপের সম্পদ হিসবাে পরিগণিত হয় আর সেই দেশের সংবিধান যখন হয়ে যায় তাহার লেখার রাফ খাতা ( , তখন সাংবিধানিক- অসাংবিধানিক প্রশ্নই অবান্তর।আর তাইতো হাসু'নি মনের আনন্দে যখন খুশী সেই মত রাফ খাতার পাতা ছিড়ত এবং সুবিধামত নতুন পাতা আটা দিয়ে লাগাইয়া লইত ( সংবিধানে নিজের সুবিধামত সংযোজ-বিয়োজন বা কাটা-ছেড়া-জোড়া-তালি দিত)।
আপনার পোস্টের বিষয়ে আরও কিছু লেখার ইচ্ছে আছে। এখন সংক্ষেপে লিখলাম।
- সবার লেখা-বলাতেই একসময় সরল সত্য বেরিয়ে আসবে এবং প্রতিষ্ঠিত হবে। অপেক্ষায়
১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: - ভাই, দেশটা তাহার বাপের আর দেশের সংবিধান তাহার লেখার রাফ খাতা ছিল
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ফ্যাসিস্ট আরচণ করে এসেছে। সময় হয়েছে দলটিকে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার। হিটলারের ফ্যাসিস্ট দলতো আর জার্মানীতে নেই, তাহলে এদেরকে কেন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে না সেটাই মূল আলোচনা হওয়া উচিত।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ ইফতেখার ভূইয়া ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ফ্যাসিস্ট আরচণ করে এসেছে। সময় হয়েছে দলটিকে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার। হিটলারের ফ্যাসিস্ট দলতো আর জার্মানীতে নেই, তাহলে এদেরকে কেন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে না সেটাই মূল আলোচনা হওয়া উচিত।
- আওয়ামী লীগের ৩ মেয়াদের ( ১ ম মেয়াদ শেখ মুজিব ১৯৭২-১৯৭৫, ২ য় মেয়াদ শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ এবং ৩ য় মেয়াদ ২০০৯-২০২৪ ) বাপ-বেটি দু জনেই একই রকম আচরন করেছে দেশ ও জনগনের সাথে ।তারা আওয়ামীলীগের নমিনেশনে বিজয়ী হয়েছে এবং দেশ শাসন করেছে। সেই হিসাবে তাদের অপরাধের দায় দল হিসাবে আওয়ামীলীগের উপরও বর্তায়।
আবার দেশের স্বাধীনতা অর্জনে রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামীলীগের অনেক অবদান আছে। শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা তাদের ব্যক্তিগত আগ্রহে সেই দলকে ব্যবহার করেছেন, যাহার দায় তাদের। দলের নয়।
তৃণমূলে ও জনমতের ভিত্তিতে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি এদেশের সবচেয়ে বড় দুটি রাজনৈতিক দল, যাদের নিষিদ্ধ ঘোষনা করলে দেশ-সমাজের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবেও নানা রকম সমস্যা তৈরী হবার সম্ভাবনা আছে। কাজেই দল হিসাবে আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা যৌক্তিক প্রতীয়মান নাও হতে পারে।
তবে আওয়ামীলীগকে ব্যবহার করে যে বা যারাই অনৈতিক কাজ করেছে, তাদের সঠিক বিচার হওয়া উচিত। এ বিষয়ে কারো কোন দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ আছে বলে মনে হয়না।
১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: শেখ হাসিনার পরিবারের এ টু জেড সবাই ভন্ড লুটেরা। আওয়ামী লীগ পরিবারও একই আদর্শের।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দুঃখিত দেরিতে জবাবের জন্য।
শেখ হাসিনার পরিবারের এ টু জেড সবাই ভন্ড লুটেরা। আওয়ামী লীগ পরিবারও একই আদর্শের।
- শেখের পরিবারের যে ইতিহাস সম্প্রতি জানা যাচছে তা যদি সত্যি হয় তাহলে এ পরিবারের মানুষগুলি লুটেরা না হওয়াটাই অস্বাভাবিক হতো। অন্যদিকে বাপকা বেটি - যেমন বাপ তেমনি তার মেয়ে হয়েছে - এটাও রক্তের সংযোগ।
আর আওয়ামীলীগ - এটা এখন শেখের পারিবারিক ব্যবসার হাতিয়ার।
১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৬
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা তাদের ব্যক্তিগত আগ্রহে সেই দলকে ব্যবহার করেছেন, যাহার দায় তাদের। দলের নয়।
আওয়ামী লীগ কিংবা বি.এন.পি. দলগুলো যে পরিবারতান্ত্রিক সেটা নতুন করে বলার প্রয়োজন মনে করি না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে শেখ আর তার বেটীই ঐ দল নিয়ন্ত্রন করেছে। যেমন করেছে জিয়ার বংশ বি.এন.পি.-এর ক্ষেত্রে। শেখ বংশ ছাড়া আওয়ামী লীগের ব্র্যান্ড ভ্যালু শূন্যের কোঠায় বলে আমার ব্যক্তিগত ধারনা। শেখ বংশ আর আওয়ামী লীগ সমার্থক। গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের রেকর্ড বাজিয়ে বর্তমানের দুর্নাম মোছা সম্ভব নয়। বিগত অর্ধ শতাব্দীতে আওয়ামী লীগের মত এতটা দুর্নীতিগ্রস্থ ও রক্ত পিপাসু আর কোন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের মানুষ দেখেনি। প্রশাসনকে ব্যবহার করে এরা যতটা রক্তপাত করেছে তাতে তাদের বিগত সরকারের সকল এম.পি.-কে একযোগে ফাঁসি দিলেও সেটার দায় শোধ হবে না বলে আমি মনে করি।
আপনি, জনমতের কথা বলেছেন। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি দেশের বেশীরভাগ মানুষ আওয়ামী লীগ পছন্দ করে না। মানবতা বিরোধী অন্যায় অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের মতো ভয়ংঙ্কর ও সন্ত্রাসী দল তথা সংগঠন নিষিদ্ধকরণ সময় ও দেশের সকল মানুষের দাবী হওয়া উচিত এখানে ব্যক্তিগত ভালোলাগা না লাগার কোন বিষয় নেই। খুব শীঘ্রই আর্ন্তজাতিক আদালতেও সেই বিষয়গুলো দেখতে পাবেন, ধৈর্য্য রাখুন। ধন্যবাদ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ ইফতেখার ভূইয়া ভাই, আপনার চমতকার বিশ্লেষণাত্মক প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
আওয়ামী লীগ কিংবা বি.এন.পি. দলগুলো যে পরিবারতান্ত্রিক সেটা নতুন করে বলার প্রয়োজন মনে করি না। --------------------আপনি, জনমতের কথা বলেছেন। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি দেশের বেশীরভাগ মানুষ আওয়ামী লীগ পছন্দ করে না। মানবতা বিরোধী অন্যায় অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের মতো ভয়ংঙ্কর ও সন্ত্রাসী দল তথা সংগঠন নিষিদ্ধকরণ সময় ও দেশের সকল মানুষের দাবী হওয়া উচিত এখানে ব্যক্তিগত ভালোলাগা না লাগার কোন বিষয় নেই। খুব শীঘ্রই আর্ন্তজাতিক আদালতেও সেই বিষয়গুলো দেখতে পাবেন, ধৈর্য্য রাখুন। ধন্যবাদ।
- ভাই আপনার মত করে আমি ও দেশের আপামর জনগনও সহ চায় আওয়ামীলীগের সকল অন্যায়-অবিচার-লুটের বিচার।তবে আমার চাওয়া শুধু নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ বিচার ও আন্তর্জাতিক মানের আইনি প্রক্রিয়া।
আওয়ামী নেতাদের সাজা প্রদান ও বিচার প্রক্রিয়া যেন সকল প্রকার অনুরাগ-বিরাগের উপরে থেকে যথাযথ মান রক্ষা করে চলে এতটুকুই। এ বিচার প্রক্রিয়া যেন বিগত আওয়ামীলীগের প্রহসন বিচারের মত না হয় এবং ফরমায়েসী রায়ে শেষ না হয়। আইনকে তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে দিয়ে,তাদের যথযথ সাজা যেন নিশ্চিত করা হয় - এতটুকুই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৭
জটিল ভাই বলেছেন:
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় সামনে আনার জন্যে জটিলবাদ। আচ্ছা, কোনোভাবে কি সোনাগাজির জন্যেও এই আইন প্রযোজ্য হতে পারেনা?