নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি -un.org
ছবি - bing.com
বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪,আজ থেকে ঠিক একমাস আগে গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বিগত ১৬ বছরের শাসনামলে শেখ হাসিনার কঠোরভাবে বিরোধীমত দমন ও স্বৈরশাসনের ফলে আওয়ামীলীগ ও তাহার প্রশাসন পরিণত হয়েছিল গণশত্রুতে। ইতিহাসের এক অমোঘ-অনিবার্য পরিণতি অপেক্ষা করছিল হাসিনার জন্য। দেশ-বিদেশের সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল কখন-কোন সময় হাসিনা সরকারের পতনের ঘন্টা বাজবে এবং সাথে সাথে আওয়ামীলীগেরও সর্বনাশ হবে। অবশেষে গত ৩৬ শে জুলাই তথা ৫ আগস্ট ২০২৪ ছাত্র-জনতার বিপ্লব তথা গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। অপমানজনকভাবে দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং ৩ দিন দেশ সরকারবিহীন থাকার পর ছাত্র-জনতার দাবী ও চাওয়ার মুখে ৮ ই অগাস্ট প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার।
শেখ হাসিনা নিজেকে নিয়ে এমন ভাবত যে, সে না থাকলে বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়ে অচল হয়ে যাবে এবং তাকে ছাড়া এই অভাগা জাতির কোন গতি নাই। তাই সে দিনরাত এক করে এই জাতির সেবা করছে তাহার মনের মাধুরী মিশিয়ে।আর তাহার সেই মনের মাধুরী মিশানো শাসন একটানা প্রায় ১৬ বছর সহ ২১ বছর দেখেছে-টের পেয়েছে বাংগালী জাতি।দেশে ছেড়ে পালিয়ে গিয়েও শেখ হাসিনা এবং তাহার শাসনের সুবিধাভোগী, চেতনার পুজারী ও এক শ্রেণীর সুশীলরা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে।তারা প্রতিনিয়ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচছে। যার ফলে দেখা গেছে বিচারক ক্যু,আনসার বিদ্রোহ,ডাক্তার ধর্মঘট,শ্রমিক বিদ্রোহ সহ নানা ঘনঘটা। অন্তর্বর্তী সরকার বিচক্ষনতার সাথে এবং দেশে আপামর ছাত্র-জনতার সহযোগীতায় সে সব ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দিয়ে হাটি-হাটি,পা-পা করে এগিয়ে চলছে শোষন-বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে।
দেশে শেখ হাসিনার একটানা ১৫ বছর ৭ মাস সহ ২১ বছরের স্বৈরশাসন তথা শেখ সালাতানাতের শাসন খতম হয়েছে ১ মাস। সেই হিসাবে আজ পূর্ণ ১ মাস বাংলাদেশ দেশ হাসিনা বিহীন। একনজরে আসুন দেখি হাসিনা বিহীন গত ১ মাস দেশ কিভাবে চলছে এবং এ সময়ে দেশের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীকে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে গত এক মাসে প্রশাসনের শীর্ষপদে ব্যাপক রদবদলের ঘটনা ঘটেছে, যা এখনও চলমান আছে। সেইসঙ্গে, দেশের আর্থিকখাতসহ বেশকিছু ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে সংস্কার উদ্যোগ। পাশাপশি, স্থানীয় জনপ্রতিধিদের (যাদের সবাই বিনাভোটে নির্বাচিত) অপসারণ করে তাদের জায়গায় বসানো হয়েছে প্রশাসক। ব্যাংকখাত সংস্কারে সিদ্ধান্ত হয়েছে আলাদা কমিশন গঠনের। সেই সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে হাসিনা শাসনে অনিয়ম-জালিয়াতির ঋণ ও পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার। অন্যদিকে কর্মবিরতি ও হামলার ভয় কাটিয়ে আবারও মাঠে ফিরেছে পুলিশ। পোশাক ও লোগো পরিবর্তনসহ নানান সংস্কারের মাধ্যমে বাহিনীকে জনবান্ধব করে গড়ে তোলার কথা বলছে নতুন সরকার। হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ আমলের এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে হচ্ছে একের পর এক মামলা হতে দেখা যাচ্ছে, গ্রেফতারও হয়েছেন অনেকে এবং বাতিল করা হয়েছে ১৫ ই আগস্টের সরকারী ছুটি।
১। পুলিশের থানায় ফেরা -
বিগত ১৭ বছরে হাসিনা পুলিশকে আওয়ামী পুলিশ হিসাবে গড়ে তুলেছিল। পুলিশের দলীয় আচরনের কারনে জনগণ ছিল পুলিশের উপর মহাক্ষুদ্ধ। এর ফলে ৫ ই অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সারাদেশে পুলিশের উপর নজিরবিহীন হামলার ঘটনা ঘটে।এমন পরিস্থিতিতে কর্মস্থলে নিরাপত্তা, পুলিশ হত্যার বিচার, ক্ষতিপূরণসহ বেশকিছু দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা। এতে চুরি-ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়াসহ দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতে ব্যাপক অবনতি ঘটে। একপর্যায়ে, স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবীরা রাত জেগে পাড়া-মহল্লায় পাহারা দেওয়া শুরু করেন। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বেশ কয়েক দফা বৈঠকের পর পুলিশের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। সেইসঙ্গে, কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলেন, ১৫ই অগাস্টের মধ্যে কাজে যোগ না দিলে তিনি চাকরি করতে ইচ্ছুক নন বলে ধরে নেয়া হবে। এ অবস্থায় ১১ই অগাস্ট কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে থানায় ফেরেন পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের মনোবল বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশকে জনবান্ধব বাহিনী হিসাবে গড়ে তুলতে পুলিশের পোশাক ও লোগো পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
২। প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল
গত এক মাসে প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে ব্যাপক রদবদল হতে দেখা গেছে, বিশেষতঃ অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর। স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নতুন করে বদলি, পদায়ন ও নিয়োগ করা হয়েছে কয়েকশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে। অনেকেই হয়েছেন বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও (ওএসডি)। বেশ কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসরেও পাঠানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে ইতোমধ্যেই বাদ পড়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের দায়িত্বে থাকা তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করা মাসুদ বিন মোমেন। একইভাবে, চাকরি হারিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম তার জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান।
তাছাড়া ৬ই অগাস্ট চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের চুক্তি বাতিল করে নতুন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) করা হয় অতিরিক্ত আইজিপি’র দায়িত্বে থাকা মো. ময়নুল ইসলামকে।বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানসহ আরও অনেক কর্মকর্তাকে।প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে যাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তারা ‘শেখ হাসিনার সরকারের অনুগত’ ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের জায়গায় আগের কোণঠাসা বা বঞ্চনার শিকার কর্মকর্তারা প্রাধান্য পাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে।
৩।বিচার বিভাগে বড় পরিবর্তন
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর বিচার বিভাগেও বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটতে দেখা গেছে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে গত ১০ই অগাস্ট পদত্যাগে বাধ্য হন আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিরাও তার সঙ্গে পদত্যাগ করেন।এ ঘটনার পর নতুন বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন আপিল বিভাগের বিচারক সৈয়দ রেফাত আহমেদ। একইভাবে, আপিল বিভাগে নতুন আরও চার বিচারপতিকে নিয়োগ দেওয়া হয়।এদিকে, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।আবার আগের নিয়োগ বাতিল করে সম্প্রতি সারা দেশে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে ২২৭ জন আইনজীবীকে নতুন নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
৪। প্রশাসনে পদত্যাগের হিড়িক
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর সরকারি, আধা-সরকারি, এমনকী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের হিড়িক দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় পদ ছাড়ছেন, আবার অনেক প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ, অপমান-অপদস্তসহ নানান চাপের মুখে কর্তা ব্যক্তিরা পদত্যাগে বাধ্য হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে গত চার সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ শীর্ষ পদের ব্যক্তিরা দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিগগিরই নতুন উপাচার্য নিয়োগ হবে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে গত নয়ই অগাস্ট পদত্যাগ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তার আগের দুইদিনে ডেপুটি গভর্নরসহ অন্তত চারজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সাদা কাগজে লিখিত দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করানো হয়।পরবর্তীতে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) সদ্য সাবেক নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুরকে নতুন গভর্নর করা হয়।
একইভাবে, গত কয়েক সপ্তাহে ঢাকা ওয়াসা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।অন্যদিকে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকসহ অন্তত আটটি ব্যাংকের আগের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
৫। ড. ইউনূস ও খালেদা জিয়ার সাজা বাতিল
আওয়ামী লীগ শাসনামলে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরজাহান বেগমকে।কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার আগের দিন তাদের দু’জনেরই সাজা বাতিল করে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
একইভাবে, তারা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের মামলা থেকেও সম্প্রতি খালাস পেয়েছেন। যদিও শুরু থেকেই অধ্যাপক ইউনূস বলে আসছিলেন যে, ‘হয়রানি’ করার জন্যই ভিত্তিহীন মামলায় তাদের ফাঁসানো হয়।অন্যদিকে, শেখ হাসিনার আমলে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের জেল দেওয়া হয়েছিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। কিন্তু সরকার পতনের একদিন পরেই রাষ্ট্রপতি তার সাজা মওকুফ করে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন।
৬। শেখ হাসিনা ও তাহার কেবিনেট সদস্য সহ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মামলা
দুর্নীতি, হত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ নানান অভিযোগ থাকার পরও গত দেড় দশকে যাদের বিরুদ্ধে সেভাবে আইনি ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি, আগের সরকারের সেইসব ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এখন মামলা হতে দেখা যাচ্ছে।এর মধ্যে ইতোমধ্যেই শতাধিক মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, যেগুলোর বেশিরভাগই হত্যা মামলা।একইভাবে আসামি হয়েছেন সজীব ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ রেহানাসহ আওয়ামী লীগ সভাপতির পরিবার ও নিকট আত্মীয়দের অনেকে।সেইসঙ্গে, সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব নেতার বিরুদ্ধে মামলা হতে দেখা গেছে। বাতিল করা হয়েছে শেখ হাসিনাসহ আগের সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট।
বিভিন্ন মামলায় ইতোমধ্যেই আনিসুল হক, টিপু মুনশি, দীপু মণি, সালমান এফ রহমান, জুনাইদ আহমদ পলকসহ অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। আদালতে নেওয়ার সময় তাদের অনেকের উপর হামলাও হয়েছে।এছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, চট্টগ্রাম বন্দরের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলসহ অনেকে।
৭। দেশের সকল রাজনৈতিক দলের সাথে ডঃ ইউনুসের বৈঠক (আওয়ামীলীগ ও তাহার জোটে থাকা দল ব্যতীত)
ক্ষমতা গ্রহণের পর আনু্ষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে সব দলই ‘ইউনূস সরকারের’ প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি সহ জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, গণ অধিকার পরিষদ (পৃথক বৈঠকে দুই অংশ), এ বি পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজনৈতিক দলগুলো জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সময় দেবে তারা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে যে সময়ের প্রয়োজন তা দিতে সম্মত হয়েছে তারা। যতদ্রুত সম্ভব ‘ছাত্র-জনতা হত্যাকারী’ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনার দাবি করেছে। এ ছাড়া মিথ্যা, হয়রানিমূলক ও গায়েবি মামলা-মোকদ্দমার নিষ্পত্তি, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে গণবিরোধী কার্যক্রমের বিচার দাবিসহ বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক রাষ্ট্রীয় ছুটি বাতিলেরও দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকারী ব্যক্তি ও দল ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গোমতী নদীর পাড়, কুমিল্লা ছবি: মাহফুজুল হাসান
৮। বাংলাদেশে অগাস্টে ভয়াবহ বন্যা -
প্রতিবছর জুলাই- আগস্ট মাসে বাংলাদেশে বন্যা নতুন কিছু নয়। তবে এবার যেসব জেলায় বন্যা হয়েছে, সেসব এলাকার পরিস্থিতি সাধারণত এতটা খারাপ কখনো হয় না।আবার এত দ্রুত পরিস্থিতি এতটা খারাপও সাধারণত হয় না। এবারের বন্যায় পানি এত দ্রুত বেড়েছে যে অনেক এলাকায় মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ারও সময় পায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উজানে যে বৃষ্টি গত কয়েক দিন ধরে হচ্ছে তা স্বাভাবিক নয় মোটেও। ১৯ অগাস্ট থেকে ২১ অগাস্ট পর্যন্ত ত্রিপুরায় অতি ভারি বর্ষণ হয়েছে। অন্তত ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ বৃষ্টিপাত আরও অব্যাহত থাকার আভাস রয়েছে।
আগস্ট মাসে বাংলাদেশের উপরে লঘুচাপের প্রভাবে এবং মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বাংলাদেশের উপর থাকার কারনে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। লঘুচাপটা এমন এক জায়গায় থাকার ফলে সাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প এসেছে চট্টগ্রাম দিয়ে। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বাতাসের ফলে লঘুচাপটি দুর্বল না হওয়া পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে।বাংলাদেশের মত ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরাতেও বেশি বৃষ্টি হয়েছিল।সেই পানির প্রভাবও বাংলাদেশে এসে পড়ছে। পানি যাবার মূল জায়গাটাতো বাংলাদেশ। প্রচণ্ড বেগে এই পানি আসছে, যা সামনে পাচ্ছে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল।
৮। গুমের ঘটনা তদন্তে কমিশন
জাতিসংঘের গুম বিরোধী সনদে বাংলাদেশ সাইন করেছে এবং দেশে গুমের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন করেছে সরকার।আওয়ামী লীগ আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া বা গুম হওয়া ব্যক্তিদের অনেকেরই খোঁজ মিলছে সরকার পরিবর্তনের পর। আগের সরকারের নির্দেশেই বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে তুলে নিয়ে বছরের পর পর আটকে রেখেছিলেন বলে ভুক্তভোগীদের বর্ণনায় জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন একজন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী।
৯। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান ও আর্থিক খাত সংস্কারে উদ্যোগ
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সীমাহীন দূর্নীতি ও ব্যাংকিংখাতে ‘নজিরবিহীন লুটপাট’ হয়েছে জানিয়ে এ খাতকে স্থিতিশীল করার জন্য পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে সরকার। ক্ষমতা গ্রহণের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি কোন কাজে যেন আর দুর্নীতি না হয়, সেটি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বলেন অধ্যাপক ইউনূস। ‘দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে সেবা সহজ করার মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’ব্যাংকিং খাতের টেকসই সংস্কারে ইতোমধ্যেই আলাদা ব্যাংকিং কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
১০। শিক্ষাখাতে পরিবর্তন
নুরুল ইসলাম নাহিদের হাত ধরে শিক্ষার মৃত্যুযাত্রা শুরু হয়ে শিক্ষা আপা ( দিপু মনি ) র হাতে দাফন-কাফন সম্পন্ন হওয়ার অপেক্ষায় থাকা শিক্ষা খাতকে আবার আগের বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা চালু করার পাশাপাশি পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
১১। ১৫ আগস্টের সরকারী ছুটি বাতিল
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা নেওয়ার পর গত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান মৃত্যুদিন ১৫ আগস্টে সারা দেশে ব্যাপক আয়োজনে শোকদিবস পালিত হতে দেখা গেছে। জাতীয় দিবস হিসেবে ওইদিন সরকারি ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতার পালা বদলের পর এক সপ্তাহের মাথায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের একমাস পূর্তি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,''যে সুযোগ তারা আমাদের জন্য তৈরি করে দিয়েছেন সে সুযোগ আমরা কখনো হাতছাড়া হতে দেব না। আজ তাদের স্মৃতিময় দিনে আবারো প্রতিজ্ঞা করলাম তাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়বোই''। তরুণ বিপ্লবীরা দেশের মানুষের মনে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন জাগিয়েছে তা পূরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলে,''শহীদদের আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করতে চাই। এক নতুন যুগের সূচনা করতে চাই''।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাহার সহ-উপদেষ্টাদের কর্তব্য ও দায়বদ্ধতায় ২৭ দিন এবং হাসিনাবিহীন ১ মাসের বাংলাদেশ ভাল-খারাপ মিলিয়ে এগিয়ে যাচছে। দেশে হয় এই একমাসে খুব বেশী কিছু দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়নি এটা ঠিক,তবে এটাও ঠিক গত ১ মাসে কারো উপর কোন প্রশাসনিক হয়রানী যেমন হয়নি ঠিক তেমনি না হয়েছে কোন বড় ধরনের রাষ্ট্রীয় দূর্নীতির প্রচেষ্টা। গরীব দেশ,বিপুল জনসংখ্যার সাথে সাথে সীমাহীন সমস্যায় পতিত দেশের সকল সমস্যার সমাধান ১ মাসে কিংবা হুট করে করা সম্ভব নয়। তবে সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব না হলেও সমাজে-প্রশাসনে সহ সব জায়গায় সমস্যা সমাধানের যে প্রচেষ্টা দেখা যাচছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাহার সহ-উপদেষ্টাদের ,তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তার সাথে সাথে দল-মত নির্বিশেষে আপামর জনগন সরকারকে নিঃশর্ত সহযোগীতার যে ধারা দেখা যাচছে তাতে আমরা আশাবাদী যে, ছাত্র-জনতা-প্রশাসনের সহযোগীতায় সকল সমস্যার সমাধান করে একদিন যথার্থই শোষণ-বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাত ধরে।
তথ্যসূত্র
১। শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে যেসব বড় পরিবর্তন হলো - Click This Link
২। ৪ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক সন্ধ্যায়
লিংক - Click This Link
৩। ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক: রাজনৈতিক দলগুলো যে বার্তা দিলো - https://www.rtvonline.com/bangladesh/286251
৪। অগাস্টের বন্যার এমন ভয়াল রূপ কেন? লিংক - Click This Link
৫। ভারত থেকে ঢুকছে পানি, বন্যায় তলিয়েছে ফেনী-কুমিল্লা অঞ্চল - লিংক -
Click This Link
৬। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে কী সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো?- Click This Link
৭।আওয়ামী লীগ পতনের পর দেশে যেসব বড় পরিবর্তন হলো - https://www.ittefaq.com.bd/699040/
৮।হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন ইসির পদত্যাগ - Click This Link
পূর্ববর্তী পোস্ট -
===============
১৭।'' বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন '' নাকি " বাংলাদেশে ও তাহার জনগনের জন্য গজব আইন''?
Click This Link
১৬।"শেখ হাসিনার একটানা ১৫ বছরের শাসন বনাম তথাকথিত আওয়ামী উন্নয়ন " -
Click This Link
১৫।" আসন ভাগা-ভাগি (সিলেকশনে) কিংবা ভোটের আগেই বিজয়ী আওয়ামীলীগ "- এভাবে আর কত দিন?
Click This Link
১৪।"জাতীয় নির্বাচন ২০২৪" - সমস্যা ও সমাধান, কোন পথে - কত দূর?।
Click This Link
১৩।" দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে আওয়ামীলীগ " এটা কিসের ইংগিত দেয়? - Click This Link
১২। "আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী" - আসুন একনজরে দেখি আমাদের স্বপ্নপুরীর সর্বশেষ অবস্থা।
Click This Link
১১।"স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের আলোচ্যসূচী" - সত্যিটা কি ? Click This Link
১০। " সংবিধান থেকে একচুলও নড়া হবে না" - নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাস্তবতা ।
১ম পর্ব - Click This Link
শেষ পর্ব - Click This Link
৯।"হিরো আলম কার প্রতিদ্বন্দ্বী " - Click This Link
৮। সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ কিংবা বিক্রি - সত্যিটা কি ? - Click This Link
৭।আমেরিকার ভিসা নীতি বনাম বাংলাদেশের ভিসা নীতি-এর পর কি হবে?-
Click This Link
৬। আমার সোনার বাংলা কি কোটিপতি ও খেলাপি ঋণ তৈরীর কারখানা ? - Click This Link
৫। " রংপুর সিটি কর্পোরশন নির্বাচন - লাঙলের জয় ও নৌকা চতুর্থ " - কি বার্তা দেয় আমাদের? - Click This Link
৪। " বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন " - তুমি কার ? -
Click This Link
৩। সামাজিক রীতি-নীতি-শিষ্ঠাচার এখন যাদুঘরে - আপনি কি একমত ? -
Click This Link
২। বর্তমান সময়ে আমরা কি একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টিশক্তি হীন জাতি বা প্রজন্মে পরিণত হচছি বা হতে যাচছি? -
Click This Link
১। আমাদের সমাজের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়ছে ? -
Click This Link
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ আফলাতুন হায়দার চৌধুরী ভাই , আপনার ছোট তবে চমতকার ইতিবাচক মন্তব্যের জন্য।
অসাধারন, তথ্যসমৃদ্ধ এবং মন ভালো করা একটি পোষ্ট।
- ১ মাস খুব বেশী সময় নয় - আমাদের জন্য। যারা বেঁচে আছি মুক্ত আছি হাসিনাবিহীন বাংলাদেশে, তবে তা অবশ্যই আনন্দময় ও স্বাধীনতার। তাদের নিকট কৃতজ্ঞতা যাদের জীবন-রক্তের বিনিময়ে দেশ মুক্তি পেয়েছে হাসিনা নামক দানবীয় সরকারের হাত থেকে আর আমরা উপভোগ করছি দ্বিতীয় স্বাধীনতা।
সাথে সাথে কৃতজ্ঞতা ডঃ ইউনুস সহ সকল উপদেষ্টাদের যাহারা আমাদের এই দেশকে হাসিনা পরবর্তী সময়ে এগিয়ে নেবার প্রত্যয়ে হাল ধরেছেন হাজারো লাখো সমস্যা জেনেও।
স্বাধীনতা, আমার স্বাধীনতা।
- স্বাধীনতা, আসলেই এ এক অন্যরকম অনুভূতি।
আমরা সবাই মিলে দ্বিতীয় স্বাধীনতাকে সফল করার জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে চেষ্টা করব - এই হোক আমাদের সকলের অংগীকার। আ
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩
কিরকুট বলেছেন: পার্থক্য তেমন অনুভব করছি না। যাস্ট ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত আগুনে পরেছি। আগে কড়াইতে সিদ্ধহতাম এখন আগুনে রোস্ট হচ্ছি।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কিরকুটভাই,আপনার তুলনামূলক মন্তব্যের জন্য।
পার্থক্য তেমন অনুভব করছি না। যাস্ট ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত আগুনে পরেছি। আগে কড়াইতে সিদ্ধহতাম এখন আগুনে রোস্ট হচ্ছি।
- ভাই , যে কোন বিষয়ের প্রার্থক্য অনুভব করা বা দৃশ্যমান পরিবর্তনের জন্য একটা মিনিমাম সময়ের দরকার হয়। ডঃ ইউনুস সহ উপদেষ্টাদের কর্তব্য গ্রহনের আজ ২৭ দিন যা একটা দেশ ও দেশের প্রশাসনের জন্য খুবই কম সময়। এত কম সময়ে আসলে এই বিষয়ে উপসংহারে আসলে তা উনাদের প্রতি এরকম অবিচার করা হবে।
১৭ বছরের ফুটন্ত কড়াই ঠান্ডা হতে কিছুটা সময় লাগবে । সময় লাগবে নতুন করে আরেকটি চুলা জালাতে তথা নতুন কিছু করতে।
তবে আমরা যে যে দল-মতই করিনা কেন ভাই ,এটা আপনি অবশ্যই স্বীকার করবেন যে - উনারা ভাল কিছু করার চেষ্টা করছেন । দেশের সাধারন মানুষ ও তাদের আকাংখার প্রতি লক্ষ্য রেখে এবং নির্মোহ ভাবে।
আর ফলাফলের জন্য দিতে হবে তাদেরকে যৌক্তিক সময়। আশা করা যায় ভাল কিছু হবে।
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫২
খাঁজা বাবা বলেছেন: প্রশাসনে রদবদল ধীর, ঢালাও ভাবে সবাইকে জানিন দেয়া হচ্ছে, ঢালাওভাবে সবার নামে খুনের মামলা ছচ্ছে যা কোর্টে টিকবে না। এরা খালাস পেয়ে যাবে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ খাঁজা বাবা (আপনি বাবা তবে আমার ভাই) ভাই,আপনার সত্য মন্তব্যের জন্য।
প্রশাসনে রদবদল ধীর, ঢালাও ভাবে সবাইকে জানিন দেয়া হচ্ছে, ঢালাওভাবে সবার নামে খুনের মামলা ছচ্ছে যা কোর্টে টিকবে না। এরা খালাস পেয়ে যাবে।
- সরকারী কর্মকতা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ । এত ব্যাপক-বিশাল ও বড় প্রশাসনে চাইলেই তড়িঘড়ি কে বড় পরিবর্তন সম্ভব না । পাশাপাশি সবাই যে দোষী এমনও নয় এবং কিছু এমন পদ-জায়গা আছে যা চাইলেও পরিবর্তন সম্ভব নয়। আরও আছে প্রশাসন চালু থাকার বিষয়টি। কারন - সরকার শুধু সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু প্রশাসনের ধারাবাহিকতা কিংবা কাজ চলে আমলাদের মাধ্যমে। কাজেই - ধীরস্থিরভাবে প্রশাসনিক পরিবর্তন বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক।
আর মামলা যা হচছে তাতে যাচাই বাছাই করেই হওয়া উচিত, যাতে করে অযথা কেউ হয়রানী না হয় কিংবা অন্যায়কারী যেন সঠিক সাজা পায়। কেউ কেউ হয়ত পূর্বের সরকার যা করেছে বা তাদের সাথে যা হয়েছে তাই করতে চাচছে। তবে তা একদমই যে ঠিক নয় এটা শেখ হাসিনাকে দেখেও যদি না শিখে তবে তাদেরও ইতিহাসের নির্মম শিক্ষার কথা কিছুটা হলেও মনে রাখা উচিত। কারন - ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করেনা তার কৃতকর্মের প্রতিদান দিতে।
৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রশাসনিক রদবদল চোখে পড়ার মতো। ধুপধাপ মামলা হচ্ছে, আগের মামলার লোকজন মুক্তি পাচ্ছে। আওয়ামী লীগ বা সমর্থকরা মারের ওপর আছে। দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন আগেও হতো, এখনও হচ্ছে। চাঁদাবাজি-গুণ্ডামি আগে আওয়ামী লীগ করত, এখন সে জায়গায় বিএনপি আসছে। কেন্দ্র থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু ভাই,আপনার চরম সত্য মন্তব্যের জন্য।
প্রশাসনিক রদবদল চোখে পড়ার মতো।
- যা পরিবর্তন হচছে প্রশাসনে তার সবই প্রশাসনের উচু স্তরে। মাঝারি বা নীচু স্তরে। আর আমরা সবাই জানি, যে কোন সরকারে সবসময় প্রশাসনের উচু স্তরের নিয়োগ হয় দলীয় আনুগত্য বিবেচনায়। সেই হিসাবে এসব রদবদল অনুমিত।
ধুপধাপ মামলা হচ্ছে, আগের মামলার লোকজন মুক্তি পাচ্ছে।
- কিছু দিন তা চলবে এবং সময়ের সাথে সাথে তা থেমেও যাবে। অবশ্য ১ মাসের মাথায়ই এ ধারা কমে এসেছে বলে মনে হয়।
আওয়ামী লীগ বা সমর্থকরা মারের ওপর আছে।
- এটা শতভাগ সঠিক তা বলা যায়না। শুধু কিছু ঘটনা ঘটেছে যারা পূর্বে জনগনের উপরে সরাসরি নির্যাতন করেছে বা জড়িত ছিল। আমার মনে হয় সাধারন সমর্থকদের সাথে এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি।
দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন আগেও হতো, এখনও হচ্ছে।
- অনেকেই সুযোগ বুঝে সুযোগ নিতে চাচছে। তবে এসবও কমে আসবে সময়ের সাথে সাথে।
চাঁদাবাজি-গুণ্ডামি আগে আওয়ামী লীগ করত, এখন সে জায়গায় বিএনপি আসছে। কেন্দ্র থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
- প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মই হচছে কোন কিছু খালি না থাকা। একের অবর্তমানে অন্যে এসে সেই কালি জায়গা দখল করে নেয়। এখানেও তাই হতে চাচছে। তবে আশার কথা হলো এই যে, বিএনপি সেই দখলদারিদেরকে উৎসাহিত করছেনা এবং প্রমাণিত ক্ষেত্রে-ঘটনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচছে।
সব মিলিয়ে আশা করা যায় একটা নতুন ও বৈষম্যহীন সমাজের।
৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৬
কামাল১৮ বলেছেন: পরিবর্তনের সময় কিছু দুঃখ কষ্ট থাকে।যারা রিকশায় চলতো তারা কোটি টাকার গাড়ীতে চড়ছে এটা দেখে ভালো লাগছে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।
পরিবর্তনের সময় কিছু দুঃখ কষ্ট থাকে।যারা রিকশায় চলতো তারা কোটি টাকার গাড়ীতে চড়ছে এটা দেখে ভালো লাগছে।
- কামাল ভাই, যে কোন পরিবর্তনের ফলাফল দুই দিকের (দু-তরফ) হয়ে থাকে । এক দিকে পরিবর্তনের সুফলভোগী,অন্যদিকে পরিবর্তনের ফলে সুবিধাহারা।
এখন , আপনি যা বলেছেন সেটাকে যদি এভাবে দেখি পরিবর্তনের আগে যারা অন্যদেরকে শোষন করে কোটি টাকার গাড়ীতে চড়েছে তারা পরিবর্তনের ফলে তাদের অর্জিত অবৈধ সুযোগ হারিয়ে ফেলেছে এবং যাদেরকে শোষণ করা হয়েছে তারা তাদের হারানো সুযোগ তথা সম্পদ ফিরে পেয়েছে। এর ফলে তারা এখন গাড়ী চড়তে পারেছে। এটাই হয়তো হয়েছে , তাই কি?
৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩
জটিল ভাই বলেছেন:
চমৎকার বিশ্লেষণ ♥♥♥
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জটিল ভাই ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।
চমৎকার বিশ্লেষণ ♥♥♥
- শুকরিয়া - জটিলাবাদ ভাইজান
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৯
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: : অসাধারন, তথ্যসমৃদ্ধ এবং মন ভালো করা একটি পোষ্ট।
স্বাধীনতা, আমার স্বাধীনতা।