![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
T-20 বিশ্বকাপ উপলক্ষে বাংলাদেশের মাঠে-ঘাটে যে ফ্ল্যাশ মবের ঝড় উঠেছে তা দেখে বোধকরি আমার এই বুড়ো হৃদয়েও 'হেইয়ো, হেইয়ো' রবে দোলা লেগেছে। তরুণী-রমণীদের স্কিন-টাইট প্যান্ট আর আটোঁ-সাঁটো টি-শার্ট-কামিজে রমনীয় শরীরের আলগা প্রকাশ, দেহে কি যেন এক শিরশিরে আবেগের সৃষ্টি করে। সেই আবেগের আতিশয্যে বেসামাল আমার মন ফুৎকার দিয়ে বলে উঠে- ''আহা, বেশ, বেশ, বেশ!'' বঙ্গদেশী ললনাদের এহেন ছবিগুলো দেখতে দেখতে মনে হলো, আমার গিন্নী'র সাথেও মনের আবেগগুলো শেয়ার করা দরকার। গতকাল রাতে আমার বউকে এমনই কয়েকজন সুন্দরী তনয়া'র ছবি দেখিয়ে গর্বে বুক ফুলিয়ে বললাম, ''দেখেছো, আমাদের দেশ কেমন এগিয়ে যাচ্ছে! ভাবাই যায় না এটি বাংলাদেশ! আমাদের মেয়ে হলে আমরাও তাকে স্ট্রিট ড্যান্সার বানাবো।''
দেখি আমার হিজাব পড়া বউ মুখ অমাবস্যার মত অন্ধকার করে বললেন, ''ইয়া খোদা! তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে নাকি?'' উত্তরে মুচকি হেসে বললাম, ''ক্ষতি কি? সেইদিনই না দেখলাম একজন দাঁড়িওয়ালা রিলেটিভ তাঁর ১০ বছর বয়সী মেয়েকে স্কিন টাইট কাপড় পড়িয়ে সবার সামনে ডেং ডেং করে নাচালেন!!! তাদের মত লোক এমন করতে পারলে, আমাদের মত আম-জনতা'র মেয়ে-ছেলে নর্তকী হলে ক্ষতি কোথায়?''
কথাটা বলে নিজেই চিন্তায় পড়ে গেলাম। আরে, সত্যিই তো! যারা ছোটকাল থেকেই এমন শিক্ষা নিয়ে গড়ে উঠে, সেই মেয়েরা বড় হয়ে রাস্তা-ঘাটে নাচবে নাতো কি করবে?
কথাটা বেশি কড়া হয়ে গিয়েছিলো বোধহয়। তাই, বউকে খুশি করার জন্যে ইন্টারনেট থেকে বাংলাদেশের ঈদের একটি ফ্যাশন শো'র ভিডিও লিংক খুজে বেড় করলাম তাড়াতাড়ি। ভেবেছিলাম বাংলাদেশের হাত-কাটা, গলা-খোলা 'ঈদের' কাপড়-পড়া রুপসী র্যাম্প মডেলদের ক্যাটওয়াকগুলো দেখে আমার ঘরণী'র দিল খুশ হয়ে যাবে। ওমা, দেখি হুমড়ি খেয়ে এসে তার দুই হাত দিয়ে আমার দুই চোখ ঢেকে বললেন, ''ছিঃ! তুমার মাথাত দুষ হইসেনি? জলদি বন্ধ করো ইতা।''
আমি তো অবাক! দু চোখ কপালে আর ভ্রুগুলো অন্তরীক্ষে তুলে বললাম, ''আশ্চর্য তো, আমার মাথায় দোষ হবে কেন!!! এইটা তো ঈদের ফ্যাশন শো! রোজার শেষের দিকে আমাদের দেশের এগুলো হর-হামেশাই হয়! আর, ঈদের জন্যে এগুলো আয়োজন করা হয় বলে কোন গুনাহ-খাতার প্রশ্নই উঠে না। তাই, দেখলেও কোন ক্ষতি নেই। তুমি একজন আলিমা হয়েও এইটা জানো না!!!''
তবু দেখি আমার ব্উ অনড়। আমার চোখ আগে যেমন ঢেকে রেখেছিলেন, তেমনই ঢেকে রাখলেন। মনে হলো তার আঙুলগুলো আমার চোখে আরো জোরে এঁটে বসলো। তার আঙুলের ফাঁক-ফোকর দিয়ে যাওবা কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম, এখন সেইটাও একদম বন্ধ।
কি আর করা! মন খারাপ করে শেষ পর্যন্ত ল্যাপটপটা বন্ধ করতেই হলো! ধ্যাৎ! লাইফটা একদম ডাল!
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: ভালো তো! ভালো না। ফ্ল্যাশ মব মানেই স্কিন টাইট জিন্স পরিহিতদের বাধভাঙ্গা উদ্দাম ড্যান্স। ব্যাপক বিনোদন! কি বলেন?
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫
মদন বলেছেন: পুরাই...