নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি!

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৭



আমার একজন বান্ধবী অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি করে দেশে ফিরে আসে। আমি খুব তাজ্জব হয়ে ওর কাছে জানতে চাইলাম তুই কি মনে করে দেশে যেখানে সবাই বিদেশে চলে যায়। সে আমাকে অবাক করে দিয়ে বললো, দোস্ত আমার কেন যেন দেশে জ্যাম ধুলা বালি ভিড়াভিড়ি ভাল্লাগে। শুনশান রাস্তা দিয়ে চললে আমার কাছে কেমুন কেমুন যেন লাগে:P । এখন আমার অবস্থা হয়েছো ও তাই। দেশ থেকে ফেরার পর সবাই শুধু দেশের জ্যাম ধুলা বালি ভিড়াভিড়ির মাঝে কিভাবে সার্ভাইব করলাম তা জানতে চায়। এবং এখন আমি অপ্রত্যাশিতভাবে উত্তর দেই যে আমার দেশে জ্যাম ধুলা বালি ভিড়াভিড়ি ভাল্লাগে। দেশে গেলাম আর রাস্তা পাইলাম কানাডার ৪০১ এর রাস্তার মতো ...... এইটা কিছু হইলো!!! তাইলে ঢাকার বৈশিষ্ট্ হইলো কেমনে। ঢাকা মানেই ধাক্কাধাক্কি, ঢাকা মানেই জ্যামে ঘন্টার পর ঘন্টা, ঢাকা মানেই ধুলা বালিতে ভরা রাস্তায় রাস্তায় ময়লা। এর ভীতরেই এক ধরনের চার্ম আছে সেটা বুঝে নিতে হবে B:-/

তবে এবার দেশে যেয়ে চারপাশে বিভিন্ন রাস্তায় ব্রিজ এ কাজ ছিল চোখে পড়ার মতো। এখন হয়তো কিছুটা এলোমেলো আছে কিন্তু এগুলোর কাজ শেষ হলে সবাই কিছুটা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলবে নিশ্চয়। তবে এয়ারপোর্ট থেকে বা ঢাকার বাইরের হাইওয়ের উন্নয়ন ছিল চােখে পড়ার মতো। কোথাও তেমন জ্যামে বসে থাকতে হয়নি। নির্ধারিত সময়ের মাঝেই পৈাছাতে পেরেছি সবখানে।

আরো ভালো লেগেছে এয়ারপোর্টের ভীতরের পরিবেশ। আগে যখন এয়ারপোর্টে নামতাম ইমিগ্রেশান পার হলেই দালাল শ্রেনীর লোকজন ঘিরে ধরতো। বেল্ট থেকে ব্যাগ নামানো এক দু:সাধ্য ব্যাপার ছিল। কারন অপ্রয়াজনীয় লোকজনের ভীড় লেগেই থাকতো সেখানে। তারপর চারপাশে সাহায্যের নামে হয়রানী চলতেই থাকতো। কিন্তু এবার এসব কোন ঝামেলায় পড়তে হয়নি। কোন বাধাঁ ছা্ড়াই এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে পেরেছি। আরেকটি বিষয় ছিল, আগে বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে গরীব দু:খী মানুষের ছবি দেয়া ছিল। সাথে নোংরা, ভাঙ্গা চেয়ার, বাথরুমের অবস্থা যেনতেন ছিল। কিন্তু এবার বেশ ঝকঝকে চেহারা, চমৎকার সব ছবি ও যথাযথ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ছাপ ছিল সর্বত্র।

তবে এতা সব উন্নয়নের মাঝে সবকিছু ছাড়িয়ে আমার কাছে খটকা লেগেছে সব কিছুর এতো এতো দাম ...... সবাই কিভাবে বেচেঁ আছে? সরকারী আমলারা ঠিক আছে, বেতন ভাতা যা পায় তা দিয়ে চলার কথা। কিন্তু গরীব কেরানী বা গার্মেন্টস্ কর্মীরা কিভাবে এ সামান্য টাকায় সংসার চালাচ্ছে। সামান্য কিছু বাজার করে বিল দিতেই আঁতকে উঠতে হয়, ৫/১০ হাজারের নীচে কোন বিলই শোধ করা যায় না। ছেলের জন্য একটা পান্জাবী আর একটা কটি কিনে বিল দিতে দেখি এগারো হাজার টাকা। আগে দেখতাম ২ হাজার টাকায় ভালো ড্রেস পাওয়া যেতো আড়ং বা অন্যান্য ভালো মানের দোকানে। আর এখন ৫ হাজারে কাপড় কিনে একবার ধোয়ার পর দেখি রং ছড়ায়ে কাপড়ই শেষ :( । কিভাবে সংসার চালাচ্ছে বিশেষ করে মধ্যবিত্ব শ্রেণী, কতটা কম্প্রোমাইজ করছে তারা জীবনের সাথে??

পাশাপাশি বিলাশী জীবনের ছোয়া সবখানে। লেটেস্ট স্যামসাং বা আইফোনের ছড়াছড়ি। অনেকের হাতে দেখি ড্রোন ও আছে!! দামী যেকোন গ্যাজেটই দেখি পরিচিতরা অবহেলায় ইউজ করছে চারপাশে। দামী ব্যান্ডের সব আইটেমই দেখলাম এখানে ইউজ করে সবাই। এমন কি যে কসমেটিক্ বা যে চকলেট আমরা এখানে কিনতেও একটু দ্বিধা করি সেগুলোও সবাই কিনছে দেদারছে একই বা তারচেয়ে বেশী দাম দিয়ে। এখনতো মনে হচ্ছে দেশের বাইরের থেকে এসে আমরাই দেখি নিতান্ত গরীব :(

তবে যেটা মনে হলো সবকিছুকে ছাড়িয়ে কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ফেইসবুক। একই রংয়ের ড্রেস পরে ছবি, কোথাও বেড়াতে যাবার ছবি, কোথাও খাবারের ছবি, নামী দামী কাপড় পড়ে পোজ দেয়া ছবি......... ছবি ছবি আর ছবি। সব অনুষ্ঠান, আয়োজন সব কিছুই ফেইসবুক কেন্দ্রিক। শুধু ছবি তুলবে বলে হাজার হাজার টাকার দামী ড্রেস কেনা হয়, পার্লারে সাজা হয়। হাজারের নীচে কোন পার্লারের বিল নেই, কয়েক হাজারের নীচে কোন ভালো শাড়ি নেই। সবস্তানে সব অনুষ্ঠানেই সবার আলোচনার বিশেষ অংশ জুড়েই যেন ফেইসবুক, কেমন ছবি হলো, কেমন সাজ হলো, কাকে কেমন লাগছে............ সব কিছুই যেন ফেইসবুকের মাঝে সীমাবদ্ধ।

হয়তো অল্প সময়ে ছিলাম বলে অনেক কিছুই আমার কাছে খটকা লেগেছে। কিংবা সব কিছুই ঠিকভাবেই চলছে আমি শুধুই দেখছি আধো ঘুমে আধো জাগরণে জেটল্যাগের কারনে ;)

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।

ছবি: গুগল মামা!

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৭

বিষন্ন পথিক বলেছেন: কইলে তো কবেন কইয়ালাইছি বাট দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে না থাকলেও সড়কে বা গলিতে আছে
আগে বিদেশ থেকে গেলে চরম ভাও ছিলো, এখন দুই পয়সার বেইল নাই, ডলার ভাংগাইতে গেলে দোকানী মনে মনে বলে 'এই কয়ডা ডলার নিয়া আইসে হালার ফহিন্নির পুত'
দেশ ভ্রমন আনন্দময় হোক, শুভকামনা

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫০

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা.............. আসলেই আমরাই ফহিন্নির পুত, কয়ডা ডলার নিয়া আইসি !!!!!!!

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমি তিনবার পাসপোর্ট ভিসা রেডি করেছি। এমন কি প্লেনের টিকিট পর্যন্ত কাটা হয়েছে। সব ঠিক ঠাক।কিন্তু আমি যাই নি। যেতে পারি নি।

যাওয়ার আগের দিন মনে হয়-
রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে পারবো না।
পরিচিত মানূষজন আত্মীয়স্বজনদের দেখতে পাবো না।
জ্বর এলে কেউ ভালোবেসে কপালে হাত রাখতে পারবে না।
ভাঙ্গা আর ব্যস্ত ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে পারবো না।

এসব মনে করে আমার আর বিদেশ যাওয়া হয়নি।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৪

সোহানী বলেছেন: কথাটা ঠিক না রাজিব ভাই। বিদেশে আড্ডা, চায়ের দোকান, জ্বর এলে কেউ ভালোবেসে কপালে হাত রাখার মতো কেই সবই আছে। একবার সাহস করেই চলে এসে দেখেন.............

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমাদের টাকার অভাব নাই, যেমন মনে ভেজাল ঢুকেছে তেমনি রুজিতেও ভেজাল ঢুকে গেছে। কোথাও ন্যায় নীতি কিচ্ছু নাই আপি। শুধু বিলাসিতা বেড়েছে। জীবনের উন্নয়ন হয়েছে মনের শুদ্ধতার উন্নয়ন হয়নি।

সুন্দর লিখা

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৪

সোহানী বলেছেন: "জীবনের উন্নয়ন হয়েছে মনের শুদ্ধতার উন্নয়ন হয়নি"..... ঠিক বলেছো। আর হবে কি করে!!! সারাক্ষনইতো দেখি ফেইসবুকে বুদ হয়ে থাকে B:-/

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চরম বাস্তবতার নিখুঁত প্রকাশ ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৫

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই।

৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: প্রথম প্যারার শেষ লাইনের প্রথম শব্দটি ঠিক করে দিন আগে। বাকিটা পড়ে পরে আসছি।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৫

সোহানী বলেছেন: প্রথম শব্দটি "ঢাকা"। এতে কি কোন ভুল আছে?

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: বছর পনেরো আগে যখন ক্যাম্পাস ছাড়বো-ছাড়বো করছি, তখন ইউকের একটা বাংলা টিভি চ্যানেলে অ্যাপ্রেন্টিস হিসেবে কাজ করার সুযোগ হাতছানি দিয়েছিলো। সিএনই-এর কথামত যে সুযোগটা বিলম্বিত হয়ে স্থায়ী হওয়ারও আশা দিচ্ছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য বা স্থায়ীভাবে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমি বরাবরই ইনজামামের রান নেওয়ার মত অলস! বাইরে চলে যাওয়ার অনিচ্ছা নিয়ে আমার একটা লেখাও আছে, যেখানে আপ্নি লম্বা মন্তব্য করেছিলেন।

কিন্তু এই অনিচ্ছার পেছনে শুধুই যে অলসতা, তা নয়। বরং চলে গেলে পরিচিত প্রতিবেশ না পাওয়া, ক্যাম্পাসের আড্ডার সুযোগ হারানো, সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে বেলালের দোকানের ছা-ছপ-সিঙারা মিস করা, লোকাল বাসে উঠে ঝগড়া করতে না পারা বা প্রতিনিয়তে দেশকে দোষারোপ করার সুযোগ না পাওয়ার শংকাও কাজ করে :-P । কারণ ওই যে শেষে বললেন- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...

ভালো থাকবেন।
শুভ ব্লগিং।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১১

সোহানী বলেছেন: যা বলার তা আমি কিন্তু আমার দীর্ঘ মন্তব্যে বলে দিয়েছি। কারন তিথিরা এখানের ধুলা বালি আর জ্যামের বাইরে যখনই পা দেয় তখনই কঠিন বাস্তবতার সামনে পড়ে। হয় স্রোতের সাথে চলো নতুবা মরো অথবা সামর্থ্য থাকলে পালাও।

অনেক দিন থেকেই ইচ্ছে এরকম কোন তিথির বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখতে কিন্তু সময় বড় কঠিন.....................।

তারপরও আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





সোহানী আপা,
প্রবাস হচ্ছে প-র-বা-স। অনেকটা গানের মতো “ওরে ও পরদেশী, ও… পরদেশী যাবার আগে দোহাই লাগে একবার ফিরে চাও আবার তুমি আসবে ফিরে আমায় কথা দাও” পরদেশ শব্দটি শুনতেই মনে হয় আসহ বিপদসংকেত!

আর নিজের দেশ যেমন হোক নিজের দেশ। তবে দেশে মানুষের হাতে যে বেশী টাকা হয়ে গেছে তা কিন্তু নয়, ব্যাপার হচ্ছে মানুষ টাকা খরচ করা শিখে গেছে। অকারণ টাকা খরচ! আর বিলাসিতা ও জীবন হয়েছে ফেসবুক কেন্দ্রিক। মৃত্যুবাড়িতে মৃত মানুষের ও কবরের ছবি তুলে নিয়মিত ফেসবুকে শেয়ার করছে মানুষ নামক অমানুষ। তাছাড়া প্রতিদিন নিজের ৫ - ১০ টি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করছে। টিভি নাটক আর ফেসবুকের কল্যানে এদের ভাষা হয়েছে বস্তির ভাষা। সর্বোপরি এখন দেশের সবাই হয়েছেন ধর্মবিদ ও রাজনীতিবিদ, সবাই সবাইকে ধর্মজ্ঞান দিচ্ছেন যত্রতত্র - এতো এতো ধর্মীয় জ্ঞান বাংলাদেশের মানুষের আছে ভাবতেও অবাক লাগে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২১

সোহানী বলেছেন: ধর্মীয় জ্ঞানের পাল্লায় হয়তো পড়িনি সময় স্বল্পতার জন্য। কিন্তু মানুষ যে যথেষ্ট বিলাসী জীবন চালায় তা বুঝতে পেরেছি। আর ফেসবুক কেন্দ্রিক জীবনে বিলাসী না হয়েই উপায় কি???? যা আছে তা দিয়েই কাপড়ের দোকানের বিল আর পার্লারের বিল দিয়েই শেষ .................।

৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: অনেক কিছু বলার ছিল, এখন কিছুই বলব না, বলতে ইচ্ছে হয় না, সাহস হয় না। একজন টিএনও ৯২ লাখ টাকার গাড়ী পায় আর সাধারন জনগনের ডাকঘর সঞ্চয়ের ওপর মুনাফা ১১.২৫% থেকে ৬% নেমে আসে এক কলমের খোচায়। ভালোই আছেন বিদেশে আছেন, এদেশে আমাদের মত মধ্যবিত্ত এখন অনেকেই দুবেলা খেয়ে কাটিয়ে দেয় কিন্তু বাইরে হাসি মুখে বলতে হয় তিন বেলাই মাছ, মাংস খেয়ে আছি, বড় জ্বালায় আছে এই ধুক পুক করে টিম টিমে মধ্যবিত্তরা, তবে আর বেশী দিন না ডাইনোসারের মত বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত অচিরেই লোপ পাবে।

বলব না, বলব না বলেও কিছু বলে ফেললাম। :)

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৭

সোহানী বলেছেন: পৃথিবীর সকল কষ্ট মধ্যবিত্তদের। ওরা না পারে গিলতে না পারে ফেলতে। না পারে হাত পাততে না পারে অন্যায়ের পিছনে ছুটতে্ ..। বাইরের চাকচিক্যের মাঝে আড়াল করে রাখে সকল দু:খ কষ্ট। বড়ই কষ্ট ওদের। কিন্তু এভাবে থাকবে না এরা। বিলুপ্ত হবে ধীরে ধীরে। শুধুমাত্র দুই শ্রেণীই থাকবে... উপর আর নীচ।

সঞ্চয়ের সুদের হারে হাত দিবে কারন হিসাব সহজ। এতো বেশী বাড়তি টাকা দেশে যে ব্যাংকে আমানত বা সঞ্চয়ের প্রয়োজন নেই। যার আছে সে এক ধাক্কায় কানাডার বেগম পাড়ায় চলে আসে। ক'দিন ধরে খুব লেখা লেখি হচ্ছে এখনকার পত্রিকাগুলোতো দেশ থেকে পালিয়ে আসা রাঘব বোয়ালরা। কিন্তু আমরাইতো তাদের পথ করে দিচ্ছি।

৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর ।+

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:১৮

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ কবি

১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ আপু লম্বা সময় পর এলো বেশ কিছু আলদা করে নজর কাড়ে।
আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক ; তবে শ্রেণী বিভাজন বাড়ছেই। আপনি ৭/১৫ দিন সুস্থ্য ভাবে কাটিয়ে যেতে পারবেন ১৬ তম দিন থেকে আপনি বিছানায়। গত ছয় মাস থেকে আমি সাফারার। আশা করছি এতদিনে ঢাকা আমাকে চিনবে।

হুম তারপর ও প্রাণের ঢাকা
সোনার বাংলা কে ভালোবাসি।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২০

সোহানী বলেছেন: সেটা আমি জানি মনিরা। তারপরও আমার কেন যেন খারাপ লাগে না। কোথাও তাড়াহুড়া না থাকলে ধুলা ময়লা খেতে খেতে না হয় বাড়ি ফেরা।

তুমি দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিলে বলে এডজাস্ট করতে অবশ্যই সময় নিবে। তুমি কি পুরোপুরি চলে এসেছো?

১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




আসলেই তাই। বিদেশের রাস্তায় লোকজন নেই, ম্যাদা মারা সুনসান রাস্তা, ধূলো নেই, খিস্তি-খেউর নেই, হৈহৈ-রৈরৈ নেই ; এগুলো কি কিছু হলো? কারো সাঁতে-পাঁচে নাক গলানো নেই, ঠ্যাং ধরে নীচে নামানো নেই, কনুইয়ের গুঁতো দিয়ে পথ করে নেয়ার দরকার নেই, যেখানে সেখানে হিসু করা নেই, পথে ঘাটে হিসুর গন্ধও নেই ; এটা কি কোনও জীবন ?

দেশ হো তো এ্যায়সা, বাংলাদেশ য্যায়সা ! এখানে প্রান আছে, আছে জীবনের সকল স্পন্দন, কষ্ট আছে- সুখও আছে, ক্লেশ আছে স্বস্তিও আছে। বর্নালী মানুষও আছে, আছে কালো মানুষও ! সে জন্যেই তো বলে -- হে আমার দেশ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩৯

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা.... সেটাইতো বলি ;) .......। এটাই ঢাকার চিত্র। বিদেশে থাকি বলে যারাই দেশ থেকে যায় তারাই এক হাত নেয় জ্যাম ধুলা বা ভিড়াভিড়ির। তাদের উদ্দেশ্যেই আমি বলি এসব কথা। দেশ থাকবে দেশের মতো.... উনিশ কিংবা বিশ B:-/

কিন্তু সবকিছুকে ছাড়িয়ে যে ক্লেশ অঅছে তার জন্যই চলে যেতে হয়...............

১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৮

অভি চৌধুরী বলেছেন: আমার নিজের অর্থ সম্পদ না থাকলেও আমার বাবজানের তাতে তেমন কমতি নেই, খুব বেশি না হলেও আমার বাবজান অভাবে থাকেননি কোনদিন যেদিন থেকে তিনি নিজের পায়ে দাড়িয়েছেন, সেই তিনি আমাদের শিখিয়েেছেন কেনা কাটা কেমন হতে হয় কোথা থেকে হতে হয়, আড়ং এর কোন সাইন রাস্তায় পড়লে তিনি বলতেন চোখ বন্ধ কর।বনানি গুলশান ধানমন্ডির মত ব্যয় বহুল জায়গা গুলো আমরা বরাবরি এড়িয়ে চলেছি, নিউমার্কেটের নুরজাহান থেকে জামা গুলতে আমি কোন কমতি দেখিনি সেই আড়ং বা অন্য সব ঢং এর দোকান গুলো থেকে। দেশে আড়ঙএর মত কিছু রক্তচোষা কোম্পানি আছেন যারা ধনীমানুষের রক্ত চোষেন।এতে আমি ওদের উপর বিরক্ত নই, এদেরর দরকার আছে সমাজের উপরি কামাইয়ের উপসে পড়া ধন দৌলত লুপে নিতে ।কিন্তু সমস্যা হলো সমাজে কিছু হিনমন্যতায় ভোগা রোগা মানুষ আছেন তারাও সেসব জায়গায় ভির জমায় টাকা খরছ করে ভিৎ নষ্ট করে।

আপনিতো কানাডা থাকেন , যেটাই কিনবেন সেই অংককে ৮০ দিয়ে ভাগ দিলেইতো হয়। আত্মা শান্ত হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ বাইরের দেশের প্রতিটা পয়শা কথা বলে, সেসব টাকা অযথা ভাসিয়ে দেওয়া যায়না, ইউরপের কোন এক দেশে আমার এক বন্ধুর সাথে গোটা সাতেক দিন থাকা হয়েছিলো। আমি আকাশ থেকে পড়েছিলাম তাদের জীবন যাপন দেখে, দুজনই কাজ করে, সেটা বর্ণনা দিতে পারবোনা এখানে এতটাই কষ্টের বিষয়, তবে তৃপ্তি দেখেছি তাদের চোখে মনে,সেটাই সুন্দর।

এই দুনিয়াতে কোন উন্নত দেশ নেই যাদের রাস্তা নেই। আগে রাস্তা হোক মানুষে চলতে শিখবে বাঁচার জন্য, সব কিছুই সুন্দর হয়ে উঠবে সহসাই।

ধন্যবাদ

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০০

সোহানী বলেছেন: আসলে আড়ং বা অন্যান্য দোকানগুলোকে আমি একটু সাপোর্ট করি। তারা রাখুক বেশী দাম, যার আছে সে কিনবে। সবার জন্য অবশ্যই অল্টারনেটতো আছেই। কিন্তু আমাদের দেশে জীবন ধারনের পার্থক্যটা চোখে পড়ার মতো যা বিদেশে বসে চিন্তাই করা যায় না। আমি বা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো একই দোকানের খাবার খাই, আলাদা কিছু নেই। আবার একই দামের জিনিস কিনি। কিভাবে?? এখানেও আড়ং টাইপ দোকান আছে। কিন্তু তার দামের পার্থক্য কখনই আকা ছোয়া নয়। তারউপর ছাড়ের ছড়াছড়ি। আমার মতো গরীব মানুষরা সুযোগের স্বদব্যবহার করে। যখনই ছাড় দেয় তখনই কিনে। এর উপর একটা লিখা ছিল আমার........
দাড়ান দিচ্ছি!!
জীবন এখানে যেমন ............. আমার প্রবাস জীবনের ডায়রী...ছাড় ছাড় ছাড় ;) ;)


আর ৮০ দিয়া ভাগ দিয়াইতো অক্কা পাওয়া অবস্থা....... :((

১৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাত সুখের কিন্তু যাতনাময় অনুভূতিতে ভালো লাগা। বয়স যত বাড়ে ততই শিকড়ের টান আমাদেরকে শৈশব কৈশোরের সেই ধুলোবালি মাখা গ্রাম্য পরিবেশে ফিরতে চায়। যদিও তখন চাইলেই আর গ্রামে ফিরে যাওয়া যায় না। ততদিনে বিদেশেও যে শিকড় অনেক গভীরে প্রবেশ করেছে।


শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩৩

সোহানী বলেছেন: হয়তো তাই, "বয়স যত বাড়ে ততই শিকড়ের টান আমাদেরকে শৈশব কৈশোরের সেই ধুলোবালি মাখা গ্রাম্য পরিবেশে ফিরতে চায়"। কিন্তু কেন যেন আমার কাছে সে রকম ফিরে যাবার আকুতি তেমন নেই। কারন যে তিক্ত অভিজ্ঞতা সম্বল করে এসেছি সেটা ফিরে পেতে চাই না। আর বিদেশের শিকড় গভীরে না যেয়ে ও উপায় নেই।নআমরা না হয় কিছু স্মৃতি নিয়ে আসি কিন্তু আমাদের সন্তানরা তেমন কিছুই নিয়ে আসে না। তাই তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া খুব কঠিন হয়ে যায়।


আপনার অনেক লিখা ব্লগে এসেছে কিন্তু এখনো পড়া হয়নি। এসেই মারাত্বক বিজি আছি। সময় নিয়ে পড়বো..........

১৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৬

কনফুসিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ "শের শায়রী" আমার মনের অব্যক্ত শব্দগুলো বলে দেওয়ার জন্য।


"যে সবে বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী,
সে সব কাহার জন্ম নির্নয় ন জানি।
দেশি ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায়,
নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশে ন যায়?
মাতা পিতামহ ক্রমে বঙ্গেত বসতি,
দেশি ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি।/si]"

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি
জন্ম দিয়েছো তুমি মাগো, তাই তোমায় ভালোবাসি
আমার প্রাণের বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি
প্রাণের প্রিয় মাগো তোকে, বড় বেশী ভালোবাসি…


আমার রক্তের প্রতিটি সিরায় সিরায় আমি দেশপ্রেম অনুভব করি, কিন্তু দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক যে অবক্ষয় দিন দিন হচ্ছে তা দেখে আমি সংকিত। প্রতিনিয়ত শংকার মধ্যেই কাটাই, জীবনের কোন নিশ্চয়তা নাই। তাই সুযোগ পেলেই আমি এদেশ ছেড়ে চলে যেতে চাই।

আর নাহয়, আমি এদেশের সকল কিছুকে শূন্য থেকে শুরু করতে চাই। সকল হিংস্র, বর্বর ও লোভী পশুগুলোকে হটিয়ে মানুষকে দেখতে চাই। মানুষের কল্যান চাই, দেশের সামগ্রিক উন্নতি চাই।
তিনবেলা বিশুদ্ধ খাবার, পানি চাই। প্রকৃত শিক্ষা চাই। অসুস্থতার জন্য ভেজালবিহীন ওষধ চাই। গরীবের ভরসার জায়গা চাই, নিরপেক্ষ প্রশাসন চাই।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০৮

সোহানী বলেছেন: একটানে এতোগুলো চাওয়ার কথা বলেছেন যে ভুলেই যাচ্ছি এগুলো আমাদের মৈালিক চাহিদা। একটা রাস্ট্র গঠন মানে তার দেশের জনগণকে এ সেবাগুলো নূন্যতম দিবে। কিন্তু অবাক বিস্বয়ে দেখি যে দেশের মানুষগুলো কানাডার মতো জায়গায় দেশের টাকা দিয়ে সবচেয়ে দামী এরিয়াতে বিলাশবহুল বাড়ি বানায় সে দেশের মানুষগুলোই এক বেলা খাবারের জন্য হাহাকার করে। হায়রে দেশ!...

যে দেশের মানুষ তার রক্তের প্রতিটি সিরায় সিরায় দেশপ্রেম অনুভব করে সে দেশের সেই মানুষগুলোই প্রতিনিয়ত শংকার মধ্যেই কাটায়, তাদের জীবনের কোন নিশ্চয়তা নিরাপত্তা নাই। ......হায়রে দেশ!

১৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:৫৩

কাছের-মানুষ বলেছেন:
দেশের ধুলাবালি মানুষজন আমারো খারাপ লাগে না।

দেশে জিনিষ পত্রেরে দাম অনেক বেশী, তবে কাপর-চোপরের দাম আমার সহনীয় মনে হয়।
জামা কাপরের দাম খুব সস্তা যদি আপনি দেশের গলা কাটা দোকান গুলোতে না যান! আমি দরিদ্র মানুষ, যখনই দেশে যাই বঙ্গমার্কেট থেকে সব সময় জামা কাপড় কিনে আনি, সেখানে
সরাসরি গার্মেন্সের কাপড়চোপড় আসে, একটু দেখে কিনতে হয়! এবার আমেরিকায় আসার আগেও সেখান থেকে কিনে আনলাম!

তবে কাচা বাজার, অন্যান্য খরচ অনেক বেশী! কোন এক রিপোর্টে পড়লাম, সাউথ এশিয়াতে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশী এক্সপেন্সিভ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৬

সোহানী বলেছেন: আমিও রিপোর্টটি পড়েছি। সাউথ এশিয়াতে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশী এক্সপেন্সিভ শহর।

শুধু কাঁচা বাজার কেন সব কিছুর দামই আকাশ ছোয়া। আপনি পকেটে যত টাকাই নিন বাজার করতে যেয়ে কতটা কম্প্রোমাইজ করতে হচ্ছে তা এবার যেয়ে বুঝেছি।

আমিও দরিদ্র ভাই। সময় স্বল্পতার কারনে বঙ্গমার্কেট বা নুরজাহানে যেতে পারিনি। তা না হলে আমি সেখান থেকেই কিনি।

১৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি- মা দরিদ্র হলেও তাকে তো ভালবাসবই...

উন্নয়নের যে কথা বললেন তা ঠিক। এখন দুই শ্রেণীর মানুষের জীবনযাত্রা আরামদায়ক, এক ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক, দুই খেটে খাওয়া মানুষ। কিন্তু মধ্যবিত্তদর কাছে জীবন মানে সংগ্রাম, তারা ক্রমশ হেরে যাচ্ছে। একই পাড়ায় একজন দুই লাখ টাকা দামের গরু কোরবানি দেন, আর তার প্রতিবেশী সন্তানদের কোরবানির গোশত খাওয়াবেন বলে ঠেলাগাড়ি থেকে গোশত কেনেন, যেখানে দরিদ্র লোকেরা বিক্রি করে গেছে! আরো নানা উদাহরণ দিতে পারতাম।

সামাজিক/ আর্থিক এই বৈষম্য মানুষের মধ্যে জন্ম দিয়েছে ক্ষোভ আর অসহিষ্ণুতার, যার অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর কিছু নয়। আমরা যারা দেশে থাকি তারা প্রতিনিয়ত এই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যাই।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৮

সোহানী বলেছেন: চীন বরাবরেই নিজেদের অন্ধকার দিক লুকিয়ে রাখে। আমরা শুধু চীনের চোখ ঝলসানো আলো দেখি, ওদের বুলেট ট্রেন দেখি, সাংহাই নগরের উঁচা দালান দেখি আর সারা বিশ্বকে দেয়া হুমকি ধমকি দেখি। কিন্তু সেখানের সাধারনের জীবন যাপন দেখি না, দেখি না তাদের প্রতি দিনের আত্ম চিৎকার, সামান্য আহারের বিনিময়ে ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা পরিশ্রমী মানুষগুলোকে, দেখিনা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষগুলোর বাচাঁর আকুতি।

মধ্যবিত্তের রক্তক্ষরণ অনেক গভীরে। তাই তার আত্ম চিৎকার কেউই দেখতে পায় না। তারা ভান ধরে কোরবানী দেবার কিন্তু সামর্থ্যে কুলায় না আবার পারেও না ঠেলাগাড়ি থেকে গোশত কিনতে......।

১৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৫৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: নিজের ঘর, নিজের জায়গা, নিজের জমি, নিজের দেশ; সবই নিজের এর মজাই যেন আলাদা।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৮

সোহানী বলেছেন: অব্যশই.........

১৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: এত মানুষের ভীড় তবুও ঢাকার একটা আলাদা চার্ম আছে---কি জানি এই আলাদা আকর্ষণ হয়ত এত মানুষের জন্যই।

দেশে ভাল কাপড় কিন্ত সস্তাতেও পাওয়া যায়।শুধু নামীদামী দোকানগুলো গলা কাটে।
এখানে নিত্যকার প্রয়োজনীয় পন্যে কিনতে হিমশিম খেতে হয়--কিন্ত ফুটানি করার জন্য মানুষ দেখি ভালই খরচ করে--এত টাকা কোথায় পায় কে জানে!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৯

সোহানী বলেছেন: সেটা আমারো প্রশ্ন .. এত টাকা কোথায় পায় কে জানে!

১৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: কথাটা ঠিক না রাজিব ভাই। বিদেশে আড্ডা, চায়ের দোকান, জ্বর এলে কেউ ভালোবেসে কপালে হাত রাখার মতো কেই সবই আছে। একবার সাহস করেই চলে এসে দেখেন......

আসলে আমি ঘকুনো মানুষ।
নিজের পরিচিত মানুষ, নিজের পরিচিত জায়গা ছাড়া নিরাপদ বোধ করি না।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪০

সোহানী বলেছেন: হুম তা বুঝতে পারছি। কিন্তু একবার ঘর থেকে বেড়িয়েই দেখুন পৃথিবীটা অনেক অনেক বড়........

২০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিভাজনের ব্যবধানটাও বুঝি ভুলতে বসেছে মানুষ- টিকে থাকার অবিরাম সংগ্রামে।

এত বেশি দূরত্ব তার কারণ খুঁজে প্রতিকারের সংগ্রামে নামার মানুষ কই।
সকলেই সেই ইদুর দৌড়ে ব্যাস্ত। বাকীরা অক্ষম।
নীতি নৈতিকতা, কেবলই অভিধানের গহনে লুকানো।

বস্তুবাদের বিষ নিশ্বাসে জর্জর চেতনা। সাফল্যের মাপকাঠি কেবলই অর্থযোগ। বৈধ না অবৈধ ইমাম সাহেবও প্রশ্ন করার নৈতিকতা, শক্তি হারিয়ে সমপর্ণ করেছেন। আম জনতা প্রশ্ন করবে কোত্থেকে?

সন্তানদের নীতি কথা বোঝাতে গেলে চোখ উল্টে দেয়ার হাল! -তুমি পারোনা তাই এত কথা! ভাবটা এমন!
অথবা ঠিকাছে তবে চলো ইউরোপ আমেরিকাতেই। নূন্যতম অধিকার টুকুতো আছে সেখানে!
সেখানে যাওয়া তো কমলাপুর ষ্টেশনে গিয়ে ট্রেনে চড়া না বা বরিশালের লঞ্চে উঠে বসা না- কে বোঝায় কাকে?

এরই মাঝে বেঁচে থাকা!
আলহামদুলিল্লাহ বলে।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৮

সোহানী বলেছেন: আসলে আমরা অনেক অনেক বেশী সহনশীল। সহ্য করার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছি অথবা বলা যায় আমরা যে সহ্য করছি সেটাই হয়তো বুঝতে পারি না। কিছু না পেতে পেতে পাওয়ার অধিকারই হারিয়েছি।

আর বৈধ বা অবৈধ শব্দটার সীমানা এমনভাবে ব্লার হয়ে গেছে যে এর মাঝে পার্থক্য খুঁজতে যাওয়া নিতান্ত বোকামী। তাই নীতি আদর্শ ন্যায় এ কঠিন কঠিন শব্দগুলো মধ্যবিত্তরা আঁকড়ে ধরে অকালে ধূঁকে ধুঁকে মরছে। হয় মরো না হয় স্রোতের সাথে মিশে যাও...............................................................

২১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রথম শব্দটি "ঢাকা"। এতে কি কোন ভুল আছে?[/sb
আমার পিসিতে প্রথম শব্দ অন্য একটি, যাই হোক সঠিক শব্দটা হবে ঢাকা মানেই ধুলা বালিতে ভরা রাস্তায় রাস্তায় ময়লা।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৮

সোহানী বলেছেন: উপস!!! ঠিক করেছি..............

২২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মধ্যবিত্ত নিয়ে ভাবে কয়জন।

দিনশেষে দেশকে ভালবাসতে পারাটাই বড় কথা।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৯

সোহানী বলেছেন: কেউই ভাবে না বলেই তো ওরা এখন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী......

২৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০১

রুপ।ই বলেছেন: এখানে তো কষ্টের পয়সা তাই গায়ে লাগে আর বাংলাদেশে যাদের অনেক আছে তাদের কাউকে না কাউকে ঠকিয়ে সম্পদ গড়ে তোলা ..........তাই ওখানে মধ্যবিত্তের জীবন করুন । লেখা ভাল লেগেছে।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫০

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই, এখানে তো কষ্টের পয়সা তাই গায়ে লাগে।

২৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এমন একটা বিষয় নিয়া লেখছেন, যেইটা নিয়া মন খুইলা কথা কওয়া যায় না। কারন, মন খুইলা কইতে গেলে অনেক কথা কওন লাগবো।

অল্প কয়েকদিন দিন ছিলেন, সব কিছু ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক। আলোর নীচে অন্ধকার থাকে......কোন এক জ্ঞানী কয়েকদিন আগে আমারে কইছিল। আপনের উপ্রে ঝাইরা দিলাম। =p~

একটা প্রশ্ন রাইখা বিদায় লই.......আমাগো দ্যাশের মাইনসে (আমলা-কামলা-রাজনীতিবিদ-সাধারন মানুষ সবার কথাই কই) দ্যাশটারে কি আসলেই ভালোবাসে?

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৫

সোহানী বলেছেন: ভালো মন্দ দুইটাই কইছি আপনি অর্ধেক লিখা পইড়া খালি ভালোটাই দেখলেন :D । ঝাড়াঁঝাড়িঁর কিছু নাই, আমি দেশে আসি ও নিজেরে আপডেট করি সময় সময়.......।

আমাগো দ্যাশের সক্কল মাইনসে আমলা-কামলা-রাজনীতিবিদ-সাধারন মানুষ সবাই যদি দ্যাশটারে ভালোবাসতো তাইলে তো কানাডা মালয়শিয়ান সরকারের গরীব দু:খী দেশ থেইকা সক্কল ইনভেস্টমেন্ট বন্ধ হইয়া যাইতো :P । তাগো এত্তো দামী দামী বাড়ি গাড়িগুলা কে কিনতো??????? হাই প্রোফাইল ডেভলাপাররা আর টেসলার ডিলাররা না খাইয়া মরতো ;)

২৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরে না, লেখা অর্ধেক পড়ি নাই.......পুরাই পড়ছি। খালি কইতে চাইছি, যেইটারে আপনের কাছে ভালো মনে হইছে, সেইটা মন্দের ভালো, আরো ভালো হইতে পারে....সুযোগও আছে, কিন্তু হয় না। সেইটাই আমার দুঃখ।

একটা স্টার্টিং পয়েন্ট থিকা পাচ জনে দৌড় শুরু করলে সবাই আগায়, যে সবচেয়ে পিছনে থাকে সেও কিন্তু আগায়! তারে কি আসলে আগানো কয়? কন দেহি!! :(

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৭

সোহানী বলেছেন: অব্যশই আগায়। সেতো সেইখানে দাঁড়ায়ে থাকতে পারতো তা না কইরা ধোড়াছে :P । তারে আপনি কি কাছে আগানো কইবেন না.....।

আরো ভালো জেতো পারতো আবার আরো খারাপ ও হইতে পারতো.......। তারতো সীমা পরিসীমা নাই B:-/

২৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

শামস্ সাকী বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। মানে আামরই লগ-ইন করা হয়ে ওঠেনি অহেতুক ব্যস্ততার কারনে। লেখাটায় বেশ মজা পাইছি, কারন সম্পুর্ণ আমার-ই কথা। এর সাথে অবশ্য আমার আর একটা লাইন থাকে, " এখানে আসলে আমরা মাফিয়াদের মতো চলাফেরা করি। ইচ্ছা করলেই রাস্তায় সিগারেট টানতে টানতে যেতে পারছি, কিম্বা পনিটা শেষ করে রাস্তায় বোতল ছুড়ে মারতে পারি, কার কি বলার আছে!!!???" এরকম আরও অনেক সুবিধা আমরা পাই স্বাধীনতা সূত্রে(?) বাইরের দেশে এই সুবিধামতো চলতে চাইলে অবশ্যই মাফিয়া হতে হবে।
শেষাংশ সম্পর্কে- আমরা মানুষকে অনুসরণ করতে থাকি সবসময়ই, তা হোক জেনেবুঝে, অথবা নীজের অজান্তেই; মানুষ হিসেবে এটা একধরনের জেনেটিক ত্রুটি। তবে সবচেয়ে মজার লাগে যে জিনিষটা, তা হলো আমাদের এই সাব কন্টিনেন্টের মানুষগুলো খারাপ জিনিষটাতে বেশি আকৃষ্ট হয়। যেমন একটা কথার কথা অমুক অনেক ভালো কাজ করে তা কেউ দেখতর গ্যালো। গিয়ে দেখল ওইলোক কাজের ফাঁকে বসে এক ছিলিম গাজায় দম দিচ্ছেন। তো যে ছেলেটা বা মেয়েটা দেখতে গিয়ে তার কাজ দেখে পুরাই মুগ্ধ। কয়েকদিন পর দেখবেন ওই ছেলে বা মেয়েটা কাজটা দেখে কিছু শেখেনি, কিন্তু গাজাটা শিখে ফেলেছে। অমুকের হয়তো ওই গাজার পিছনেও একটা ফিলসফি আছে, কিন্তু দর্শনার্থী ছেলে/মেয়েটাকে কিন্তু ওই ফিলসফি স্পর্শও করতে পারেনি। হাহ হাহ হা।।।
এরকম কাছাকাছি অবস্থা ফেসবুকেও। "নদীর ওপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপারেই সব সুখ আমার বিশ্বাস"
ধন্যবাদ সোহানী, আপনার সময় নষ্ট করলাম।। ভলো থাকবেন, আর লাভ্লি লাভ্লি লেখা লেখবেন। :)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৬

সোহানী বলেছেন: "এখানে আসলে আমরা মাফিয়াদের মতো চলাফেরা করি। ইচ্ছা করলেই রাস্তায় সিগারেট টানতে টানতে যেতে পারছি, কিম্বা পনিটা শেষ করে রাস্তায় বোতল ছুড়ে মারতে পারি, কার কি বলার আছে!!!???"

এইটাই হইলো আসল কথা। আমরা কাউরে পড়োয়া করি না... কোন আইন না, মানুষ না, সামাজিকতা না, ভদ্রতা না, মানবিকতা না। আর তাইতো আমরা সত্যিকারের মাফিয়া এখানে।

আরে আপনার গান্জার উদাহরন পইড়াতো আমি হাসতে হাসতে ব্যাকুল। চমৎকারভাবে সত্যটাই তুলে ধরছেন ব্রাদার :P

লাভ্লি লাভ্লি লেখা লিখতে চাই কিন্তু সমস্যা হইলো ব্লগে ঢুকলে লিখা পড়তেপড়তেই সময় শেষ নিজের লিখার কথা মনে থাকে না :((

২৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:৪০

শামস্ সাকী বলেছেন: বাহ্ !!! সোহানী বেশি পড়ো কম ল্যাখো নীতিতে বিশ্বাসী। গুড এটা একটা ভালো অপশন। বলতে গ্যালে আমিও তা-ই করি।(টিমটি)
আমি আসলে অনেকদিন লিখতে পারছিনা ডিয়ার। গতকাল রাতে আমি অনেক দিন পর একটা লেখা লিখলাম। সুযোগ হলে পড়বেন। আর দয়া করে সত্যি একদম ভিতর থেকে সমালোচনা করবেন(অবশ্যই আশা করছি)। আবার এইমাসে কাজও নাই, তাই ভবলাম এই মাসটা শুধু লিখবো।সেক্ষেত্রে দেখা হবে প্রতিদিনই(টেক্সট দর্শন), যদি আপনিও ঢু মারেন আর কি! বড় কোন সমস্যা বা কুন্ঠা না থাকলে আমাকে ফেবুতে সংযুক্ত করতে পারেন। /ThunderFromHell

ভালো থাকবেন, প্রতিউত্তরে বাকিটা শুনবো।
শুভরাত্রি।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪১

সোহানী বলেছেন: আপনি ভালো লিখেন। যদিও আমার কবিতা পড়া হয় কম। আপনি লিখতে থাকুন......

আমি যুক্ত হবো আপনার সাথে ফেবুতে..........। আমার আইডি সোহানী সোহানী নামে।

২৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লেখাটি পাঠে খুশী হলাম এই ভেবে যে দেশের উন্নয়নের কিছু চিত্র দৃশ্যমান হচ্ছে কিংবা হওয়ার পথে আছে।
১৯৭২ সালের হেনরি কিসিঞ্জারের ‘ইন্টারন্যাশনাল বটমলেস বাস্কেটের’ তাচ্ছিল্য থেকে বেরিয়ে এসে আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি ।স্বল্পোন্নত দেশের’ গ্লানি থেকে বের হতে আমাদের সময় লেগে গেছে ৪৩ বছরেরও বেশি। এটা অবশ্য আমাদের সকলের সমন্বিত চেষ্টার ফসল ।

দেশের মানুষের ভোগ প্রবনতা ও ক্রয় কালচালের চিত্র বেশ সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন আপনার লেখাটিতে ।
দেখা যায় যে গড় হিসাবে দেশে মানুষের আয় বাড়ছে। বাড়ছে ক্রয় ক্ষমতাও। একই সঙ্গে সমানতালে বাড়ছে আয়-ব্যয় বৈষম্য। জীবন যাত্রার ব্যয় যে হারে বাড়ছে সে হারে আয় বাড়ছে না নিম্ন ও মধ্যবিত্তের। যাদের সম্পদ রয়েছে বেশি তাদের সম্পদ বাড়ছে দ্রুত গতিতে।

দেশের মধ্যবিত্ত ও নিন্ম বিত্তের মানুষের চাল চিত্রও কিছুটা উঠে এসেছে লেখাটিতে । বিপনী বিতানগুলিতেও রয়েছে ভিন্নমুখী
চিত্র ও বিপনন ব্যবস্থা ।এদেরপালে হাওয়া দিচ্ছে ফেইসবুক কালচার। এরফলে অবস্থা আআরো বৈচিত্রতা পাচ্ছে। চাপ পড়ছে
মধ্যবিত্তের উপরে। দেশের মধ্যবিত্তের মানুষের মাসিক আয়ের প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগই ব্যয় হয় বাড়ি ভাড়ায়। সঙ্গে যোগ হয় পোষ্যদের স্কুল-কলেজের বেতন, যাতায়াত ভাড়া, চিকিৎসা ব্যয়।সরকারি ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান টিসিবি এর বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব)-এর তথ্যমতে, গত এক বছরে মানুষের দৈনন্দিন ব্যয় প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে। বিপরীতে আয় বেড়েছে মাত্র ৪ থেকে ৬ শতাংশ।

সামপ্রতিক বছরগুলিতে বিদ্যুৎ ও গ্যাস, নিত্যপণ্য, বাড়ি ভাড়া, যাতায়াত ব্যয় বেশি মাত্রায় বেড়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সন্তানের লেখাপড়ার খরচ এবং পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার বাড়তি ব্যয়। নিম্ন আয়ের মানুষ বড় কোনো অসুখ না হলে চিকিৎসা নিচ্ছে না।এমন কি বেশিরভাগ নিম্ন-মধ্য আয়ের মানুষ সাধারণ কোনো শারীরিক সমস্যায় চিকিৎসকের কাছে যান না। বরং তারা ফার্মেসিতে গিয়ে সমস্যার কথা বলে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ নিচ্ছেন। এতে তৈরি হচ্ছে অন্য জটিলতা। অপেক্ষাকৃত কমদামি, মানহীন কিংবা ভেজাল ওষুধের শিকার হচ্ছেন এই শ্রেণির মানুষ। যা মানুষের শরীরে বড় ধরনের সংক্রমণ সৃষ্টি করছে।

দেশে সম্পদ আয় বন্টনে বৈষম্য দিন দিন বাড়ছেই । গিনি সহগের (Gini coefficient) মাধ্যমে আয়বৈষম্য চিহ্নিত করা হয়। ২০১০ সালে গিনি সহগ ছিল দশমিক ৪৫৮। ২০১৯ সালে এসে দাঁড়ায় দশমিক ৪৯৩। কোনো দেশের গিনি সহগ দশমিক ৫০-এর বেশি হলে সে দেশকে উচ্চ বৈষম্যের দেশ হিসেবে ধরা হয়। সে দৃষ্টিকোন হতে দেখলে আমাদের দেশের অবস্থান দেখলে কিছুটা হতাসই হতে হয় । তাই এই মহুর্তে বাংলাদেশে আয়ের সুসম বন্টন পদ্ধতি বের করা ও তা বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরী । কিন্ত তা হবেটা কিভাবে । দেশের সম্পদ যে ভাবে বেগম পাড়ায় চলে যাচ্ছে তা আরো কিছুদিন চললে অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে কে জানে । তবে ইদানিং দেখলাম বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বেশ লেখা লেখি হচ্ছে । বেগমপাড়ার নব্য বাংগালী
ধনকুবেরদের বিরোদ্ধে টরেন্টোতে সাধারণ বাংগালী অধিবাসীগন বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন বলেও জানা যায় ।মনে হচ্ছেএখান থেকে সম্পদের পাচার বন্ধ করতে না পারলেও সেখানকার মেহনতী বাংগালী প্রবাসীগন যদি ইফেকটিভ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেন , বিভিন্ন মিডিয়ায় তাদের পাচারকৃত সম্পদের উৎস সন্ধানে প্রয়াস নেন ও তা কানাডিয়ান সিভিল সোসাইটিসহ সংলিষ্ট সরকারী মহলে জানান দেন এবং একটি হিডেন দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে এর বিরোদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে পারেন তাহলে এদেশ হতে বেগম পাড়ায় সম্পদ পাচার বন্ধ হলেও হতে পারে । দেশেও আয় বৈষম্য কিছুটা হলেও দুর হতে পারে।

গুরুত্বপুর্ণ লেখাটি প্রিয়তে গেল ।

শুভেচ্ছা রইল

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৯

সোহানী বলেছেন: আপনার মন্তব্য মানে আমাকে বিশাল সময় বরাদ্দ করতে হয়... সাথে গবেষনা :P

যাই হোক, ইন্টারন্যাশনাল বটমলেস বাস্কেটের’ তাচ্ছিল্য থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের ৪৩ বছর লেগেছে বা কোন দেশের ৪.৩ বছর লাগে এটা ডিপেন্ড করে অনেক কিছুর উপর। যা বরাবরেই আমাদের দেশে বিদ্যমান ছিল না। সবার ভুমিকাই এখানে বড় পাথেয় অন্তত আমাদের মতো স্বল্প সম্পদের দেশের জন্য।

আয় বাড়তেই হবে যেখানে ইনফ্লেশান রেট চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে কিন্তু ভোগ বাড়ার এ দৃশ্য কিন্তু নতুন আমার কাছে। আগে যেমন সঞ্চয় ছিল প্রথম পছন্দ সবার আর ভোগ ছিল পশ্চিমার মূল মন্ত্র। এখন দেশের এ ব্যাপক পরিবর্তন চোখে লাগার মতো। আসলে আমি এর জন্য ফেইসবুককে ক্রেডিট দিবো। সবাইকে দেখানো মানসিকতা থেকে আজ এটি তৈরী হয়েছে বলেই মনে করি। অব্যশই এটি ভালো দিক....। কিন্তু এর টানাপোড়নে ঘায়েল হচ্ছে মধ্যবিত্ত সমাজ। না পারে ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে বিরত থাকতে না পারে তা ম্যানেজ করতে। তাই খরচকে কম্প্রোমাইজ করতে যেয়ে ফার্মেসীর দোকানীই ভরসা। ৬০০ টাকার ডাক্তারের খরচ বাঁচানোই মূল কথা।

গিনি সহগের (Gini coefficient) মাধ্যমে আয়বৈষম্য এর যে সূচক বললেন তা ফলাফল অদূর ভবিষ্যতে আরো বাড়বে বলেই মনে হয়। যদি না রাতারাতি কোন পদক্ষেপ না নেয়া হয়। আর এ নিয়ে সবাই খুব একটা চিন্তি বা বুঝে বলে মনে হয় না।

হাঁ, ডলি বেগম সহ বেশ কিছূ রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যাক্তিত্ব এ নিয়ে ইদানিং সোচ্চার হয়েছে। কিন্তু কিভাবে কি..... যেখানে বাংলাদেশই তৈরী হতে দিচ্ছে এ ধরনের মানুষদের সেখানে কানাডা কেন তাদের বাধাঁ দিবে। আজ কানাডা বাঁধা দিলে কাল আম্রিকা তাদের সাদরে গ্রহন করবে। মাঝখান থেকে কানাডা বিশাল রেমিটেন্স হারাবে।

হায় হায় আমার ছাতা মাথা ব্যাঙ এর ছাতা লিখা কে পছন্দ করে B:-/

২৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দিনদিন মধ্যেবিত্তদের জন্য জীবন ধারন অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৫

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই সোহেল ভাই। তার ছাপ এখন দেশের সর্বত্র.............

৩০| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এতকিছুর পরও দেশটা আমার জন্মভূমি

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:২৯

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই........ এইতো আমারই দেশ, আমার জন্মভূমি!

৩১| ১০ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:৫৩

জাহিদ হাসান বলেছেন: :) :``>> :``>>

১০ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৩৯

সোহানী বলেছেন: B:-) B:-) B:-) B:-)

৩২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ঢাকা মানেই ধাক্কাধাক্কি" - চমৎকার বলেছেন! :) কথাটা বহু অর্থেই সত্য।
"সবকিছুই ফেইসবুক কেন্দ্রিক" - সোনার বাংলায় এটাও আজ সত্য বটে। প্রত্যেক ঘরে ঘরে অহেতুক অনেক সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে এই মেকী বিনোদনের জন্য।
তারপরেও, ঢাকার অন্যান্য উন্নয়নকে আপনি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেছেন, এটা ভালো লাগল।
"গড় হিসাবে দেশে মানুষের আয় বাড়ছে। বাড়ছে ক্রয় ক্ষমতাও। একই সঙ্গে সমানতালে বাড়ছে আয়-ব্যয় বৈষম্য। জীবন যাত্রার ব্যয় যে হারে বাড়ছে সে হারে আয় বাড়ছে না নিম্ন ও মধ্যবিত্তের। যাদের সম্পদ রয়েছে বেশি তাদের সম্পদ বাড়ছে দ্রুত গতিতে" (২৮ নং মন্তব্য) - এমন পরিস্থিতি একটা সুস্থ সমাজের জন্য সহায়ক নয়। আশাকরি, যেভাবেই হোক, এ পরিস্থিতির দ্রুত অবসান হবে। অবশ্য আলী ভাইও আমার মত চিন্তা করে যথার্থই বলেছেন, "তাই এই মহুর্তে বাংলাদেশে আয়ের সুসম বন্টন পদ্ধতি বের করা ও তা বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরী"

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সোহানী বলেছেন: আসলে আমি দেশকে দেখি অপার সম্ভাবনাময় দেশ। একটু যদি সঠিক পরিকল্পনা করা যেত তাহলে বিশাল কিছু হতে পারতাম আমরা। হায় কেউ কি একটু ভাববে দেশ নিয়ে!!!

হাঁ, আয়-ব্যয় বৈষম্য দুষ্টকটুভাবে বাড়ছে। কারন দেশে এখন এক শ্রেনী শোষক আর আরেক শ্রেনী শোষিত। সম্পদ কেড়ে নেয়াটাই স্বাভাবিক। তাই গরীব হচ্ছে আরো গরীব, ধনী হচ্ছে আরো ধনী। তার উপর মরার ঘা হলো বিদেশে টাকা পাচার। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

কিন্তু কে এ নিয়ে ভাববে? এককভাবে কোন কিছুই হবে না। বরং সেই কোনঠাসা হয়ে যাবে। দরকার কঠিন পলিসি। কিছুদিন হাউকাউ চলবে তারপর সবাই মেনে নিবে। কেউ আছে কি এ নিয়ে ভাববে???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.