নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাক্তার VS সাংবাদিক ........ আসল কসাই কে??!

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:১৯



করিমনের এটি চতুর্থ সন্তান পেটে, প্রায় ৮ মাসের শেষের দিকে। ভ্যান চালক হারুনের যা আয় তা দিয়ে এতোগুলো পেটের আহার জোটানোই কষ্ট সেখানে গর্ভবতী বউ এর বাড়তি খাবার জোগাড় কোনভাবেই সম্ভব নয়। হাড়জিরজিরে করিমনের এ নিয়ে চাহিদা থাকলেও থাকতে পারে কিন্তু কোন দু:খবোধ নেই।

গত তিনদিন ধরে তলপেটের ব্যাথার সাথে সন্তানটি পৃথিবীতে আসার জন্য আগমনী বার্তা জানান দিতে থাকে। হারুনকে বলতেই কোন গুড়ুত্ব দিল না। বললো, ময়নার মা আয়াতো আছেই। আগের ছাওয়ালগুলাতো তার হাতেই হইছে, এ নিয়ে প্যারেশানীর কিছু নাই। এই বলে অভয় দিল করিমনকে। কিন্তু করিমন বুঝতে পারলো এবারের ব্যাথা অন্যরকম। একটু পরপর তলপেটে খুব ঘাই দিতে থাকে। পুরুষমানুষ হারুন জানে না এ ব্যাথার কি কষ্ট, একটু সহ্য করো বলেই দায়িত্ব পালন শেষ করে হারুন।

সকাল থেকেই এ ব্যাথা বাড়ার সাথে সাথে পানি ভাঙ্গতে থাকে করিমনের। উপায় না দেখে ময়নার মাকে ডাকতে যায় হারুন। কিন্তু সব দেখে ময়নার মা জানায় এ তার সাধ্যের বাইরে। কারন পেটের পানি ভাঙ্গছে কিন্তু বাচ্চা নীচে নামছে না। তাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেবার পরামর্শ দিল ময়নার মা। করোনায় সব যাতায়াত বন্ধ থাকায় কোনভাবেই কোন ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করতে না পেরে আট বছরের বড় মেয়েটিকে নিয়ে নিজের ভ্যান নিয়েই রওনা দিল হারুন।

দীর্ঘ ছয় ঘন্টা ভ্যান চালিয়ে হাসপাতালের কাছাকাছি পৈাছানোর আগেই একটি মৃত সন্তান প্রসব করে করিমন। করিমনের ব্যাথার চিৎকার, আট বছরের বড় মেয়েটির কান্না আর হারুনের আহাজারিতে চারপাশ থেকে ছুটে আসে মানুষ। কিছু মানুষের সহায়তায় তাকে পৈাছে দেয় হাসপাতালে। এরই মাঝে দেখা যায় একজন স্থানীয় রিপোর্টারকে। দারুন একটি মর্মশ্পর্শী গল্পের মাল মসলা পেয়ে দ্রুতই লিখে পাঠায় হেড অফিসে।

হাসপাতালে তখন ডিউটি ডাক্তার রেখা। তার সাধ্যমত প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার পর বুঝতে পারলো সদ্যপ্রসূত মা'কে বাচাঁনোর মতো জ্ঞান তার নেই। সে কল দিলো বিভাগীয় প্রধান কে। গাইনী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা: রাহেলা মাত্রই ডিউটি শেষ করে বাসায় রওনা দিচ্ছিল। খবর পেয়েই দৈাড়ে ফিরে আসে ও এ্যাটেন্ড করে রোগীকে। প্রয়োজনীয় সব ব্যাবস্থা নেবার পর রোগীর অবস্থা যখন স্টাবল হলো তখন বাকিদের সব বুঝিয়ে দিয়ে হাসপাতাল ছাড়েন ডা: রাহেলা।

পরদিন হাপাতালে ওয়ার্ড ডিউটির মাঝে প্রিন্সিপাল স্যার ডেকে পাঠায় ডা: রাহেলাকে, মিনিস্ট্রি থেকে কল করে খুজঁছে তাকে। একটু অবাক হলেও ফোন ধরে রাহেলা। তীর্যক ভাষায় আক্রমন করে জানতে চায় কেন রোগীকে ফিরিয়ে দিয়েছে সে, যার কারনে পথেই বাচ্চা প্রসবে বাধ্য হয়। কোন রোগী, কেন, কোথায় কিছুই বুঝতে না পেরে অবাক হয়ে কথা খুঁজতে লাগলো রাহেলা। তাড়াতাড়ি প্রিন্সিপাল সাহেব ফোনটি ধরে কোনরকমে বিষয়টি দেখবেন বলে সামাল দিলেন তৎক্ষনাত।

ফোনটি রেখেই পত্রিকা খুজঁতে লাগলেন প্রিন্সিপাল সাহেব। হাঁ, খুজে পেলেন খবরটি.....
"করোনা সন্দেহে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয় গর্ভবতীকে, তাই পথেই মৃত বাচ্চা প্রসব।"

............................
উপরের লিখাটি সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করেই লিখা। তবে কিছু প্রশ্ন সবার কাছে...

১) একজন সাংবাদিক তার পত্রিকার কাটতি বাড়ানোর জন্য মিথ্যে সংবাদ বা রং লাগিয়ে সংবাদ পরিবেশন কতটুকু নৈতিক?

২) নৈতিকতা, সেবা, মানবতা এসব কঠিন কঠিন শব্দের একমাত্র সোল এজেন্ট কি শুধু ডাক্তাররা? নেতা, সাংবাদিক সহ বাকি সবার জন্য বড্ড সেকেলে কি?

৩) একজন ডাক্তারের কি পরিবার থাকতে পারে না বা নিজের অসুস্থতা? তাদেরকে কি করোনা সালাম জানায়. আক্রান্ত করে না?

৪) একজন ডাক্তার কি পরিমান পরিশ্রম করে তা কি আপনারা জানেন? নিজের পরিবারকে কতটুকু সময় দেয় তারা তার কতটুকু খোঁজ রাখেন আপনারা?

৫) হয়তো কিছু কসাই ডাক্তার অবশ্যই আছে। যারা নিজেদেরকে টাকার মেশিন বানিয়েছে। কিন্তু এ স্বল্প সংখ্যক কসাই ছাড়াও কি কোন ভালো ডাক্তার এর দেখা আপনার পান নাই? নিজেকে প্রশ্ন করুন?

একজন ডা: তুষার ডাক্তারদের নিরাপত্তায় পিপিই কথা বলাতে আজকে তাঁকে নিয়ে ট্রোল করছেন, হুমকি দিচ্ছেন। একবারও কি ভেবে দেখেছেন তারা অসুস্থ হলে আপনার সেবা কে করবে? বড় বড় নেতারা না হয় বুঝলাম সিঙ্গাপুর যাবে, মাদ্রাজ যাবে কিন্তু আপনি কি করবেন? এ কসাই ডা: তুষারই আপনাকে ভালো করবে, তারাই আপনার ও আপনার প্রিয়জনের জীবন বাচাঁতে লড়ে যাবে।

সারা বিশ্বে আজ ডাক্তারদেরকে হিরোর মর্যাদা দিচ্ছে আর তার বিপরিতে আমরা তাদেরকে অপদস্থ করার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি। রচনা করে চলছি আধা সত্য গল্প। অবশ্য এ নৈতিকতা বা আদর্শ সাংবাদিকদের কাছে জানতে চাওয়াও আমার কাছে হাস্যকরই মনে হয়। কারন অনেক পেশার মতো সাংবাদিক পেশাও এখন একটি আদর্শবিহীন পেশা!

আমার পরিবারের সবাই এ ডাক্তারী পেশায় আছে বিধায় আমি জানি কি অমানুষিক পরিশ্রম করে যাচ্ছে তারা। দিন নেই রাত নেই, পরিবার নেই, কাজ করে যাচ্ছে। এমন কি নিজের টাকায় পিপিই কিনেই কাজ শুরু করেছিল তারা। তারপরও আপনাদের খুশি করা যায় না। আপনারা কি চান একটু বলবেন কি??

শুভ বুদ্ধির উদয় হোক সবার! ভালো থাকুন, গৃহে থাকুন, সুস্থ থাকুন।

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যেহেতু ঘটনাটা সত্য, কাজেই ঘটনাটা মর্মস্পর্শী। নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।

ডাক্তারদের মধ্যে কিছু আছে অর্থ পিচাশ, অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু তাদের মধ্যেই কখনো কখনো আমরা ঈশ্বর দর্শনের সুযোগ পাই। আজ গোটা বিশ্ব যখন ভয়ে ত্রস্ত তখন কিন্তু এই সমস্ত মানুষগুলো প্রত্যক্ষভাবে করোনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে নিজের বা নিজের পরিবারকে না ভেবে নিজের প্রাণকে তুচ্ছ জ্ঞান করে জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এরপরেই আছে দেশের পুলিশ বাহিনী এবং রাস্তার ঝাড়ুদার শ্রেণী। কাজেই যে কথা বলার, দুএকজনের আচরণ দেখে কখনই গোটা ডাক্তার, পুলিশ সমাজের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তোলা কখনোই সুবিবেচনাপ্রসূত আচরণ নয়। বরং তাদের প্রতি অন্তরের স্যালুট জানিয়ে অন্তত মানবিক ভাবে তাদের পাশে দাঁড়াই।

আর এদের সঙ্গে সমানে কাজ করে চলেছে ইয়োলো জার্নালিজম। এই মুহূর্তে উপমহাদেশের মানবতার পক্ষে অন্য অর্থে সম্প্রীতির পক্ষে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলে ইয়োলো জার্নালিজম।

সবশেষে বলার যে শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন লোকের সংখ্যা এখন মাইক্রোস্কোপিক সংখ্যালঘুতে পরিণত। অন্তত মোদির ভারত এদিক দিয়ে বিশ্বে এক নম্বরে। কাজেই যে বিষবাষ্প আর সমাজে ছেয়ে গেছে জানিনা তা কোনদিন মুক্ত হবে কিনা।

ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন সবসময়।



১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:২৮

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পদাতিক ভাই।

"এই মুহূর্তে উপমহাদেশের মানবতার পক্ষে অন্য অর্থে সম্প্রীতির পক্ষে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলে ইয়োলো জার্নালিজম।"- খুব ভালো বলেছেন। আর এর কারনেইতো সারা বিশ্বে এমন অস্থিরতা। আমরা জানি না কি হচ্ছে! আমাদের যা দেখানো হয় তাই আমরা দেখি।

ডাক্তারদের মধ্যে অর্থ পিচাশ কিছু আছে কিন্তু এ সংকট মূহুর্তে যারা কাজ করছে তাদের অবদান অস্বীকার করাটা কতটুকু নৈতিক? আসলে আমাদের মগজে শুধু সমালোচনার বীজ বোনা আছে এ্যাপ্রিসিয়েশান বলে যে কোন শব্দ আছে তা আমরা জানি না।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এক সময়ের ছিনতাইকারী,চাদাবাজরা এখন সাংবাদিক বনে যাচ্ছে। আমাদের এক কাজের ছেলে এখন সাংবাদিক।
বর্তমানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভবঘুরে আর টাউটের অপর নাম সাংবাদিক।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:২৯

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা............ কাজের ছেলে সাংবাদিক!!!!!!! হায় হায় এ কি শুনাইলেন ভাই? আমিতো অজ্ঞান!!!!!

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব পেশাতেই কিছু কুলাঙ্গার থাকে। অনেক ভালো ডাক্তার আছেন যারা দক্ষতায় ও নৈতিকতায় উভয় ক্ষেত্রেই অনেক উঁচু মানের। কিন্তু একথাও সত্য যে এ দেশের অধিকাংশ practicing ডাক্তার প্রেসক্রিপশন লেখার জন্য ওষুধ কোম্পানি থেকে টাকা নেয়, প্যাথলজিকাল টেস্টের জন্য কমিশন গ্রহণ করে। মজার ব্যাপার হোল এটাকে অধিকাংশ ডাক্তার অন্যায্য মনে করে না। নৈতিকতাও এখন একটা আপেক্ষিক ব্যাপার হয়ে গেছে। যে ৫ টাকা চুরি করে সুযোগ পেলে সে ৫ লাখ টাকাও চুরি করবে। সরকারী হাস্পাতালে কয়জন ডাক্তার ঠিক মত কাজ করে? অনেক ক্ষেত্রে আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এর জন্য দায়ী। যারা এই ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে তারা দুর্নীতি গ্রস্ত। পুলিশ বা আর্মিকে আমরা অনেক সময় সমালোচনা করি কিন্তু এই করোনা সঙ্কটে তারা কি দায়িত্ব অবহেলা করছে? করছেনা তার কারণ প্রথমত কিছু প্রাথমিক শৃঙ্খলা তাদের মধ্যে আছে। এছাড়া আরেকটা কারণ হোল তারা জানে তাদের পেশাটাই এমন এবং এটাকে তারা মেনে নিয়েই চাকরি করছে। কিন্তু আমাদের ডাক্তারদের একটা অংশ ভুলেই গেছে যে তাদের পেশাটা একটা অতি জরুরী ও ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। এরা যখন পেশায় প্রবেশ করে তখন এদের ঝুঁকি নেয়ার মন মানুশিকতা আছে কিনা তা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকা উচিত। কারণ ডাক্তারদের অনেক সময় যুদ্ধ ক্ষেত্রেও কাজ করতে হয়। করোনা পরিস্থতি যুদ্ধের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। তবে সরকার সময় মত ডাক্তারদের PPE বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করেনি। অশ্ত্র ছাড়া যুদ্ধে পাঠানো যায় না। ডাক্তারদেরকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করতেও সরকার ভুল পথে হাঁটছে।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৩৬

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর।

আমাদের দেশেররে ডাক্তাররা সবাই সৎ এ কথা কেউই বলবে না। তবে পুলিশ বা অন্যান্য সরকারী পেশার তুলনায় যেতে চাই না তারপরও বলবো যে সংখ্যাটা বললেন সেরকম কাজে অবহেলা করার মতো ডাক্তার সত্যিই কম। আমি নিজেই ডাক্তার ফ্যামিলির মানুষ হয়েও কতরকমের ভোগান্তি হয়েছে তার ইয়াত্তা নেই। তারপরও এ সংকটের মূহুর্তে ওদের কাজের সহযোগিতাই করা উচিত।

সবচেয়ে বড় কথা কোন রকম প্রয়োজনীয় উপকরণ ছাড়া ওদেরকে কাজে পাঠানো কতটুকু নৈতিক?

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: বাংলাদেশে সাংবাদিক আছে নাকি? জানতাম নাতো!

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৩৭

সোহানী বলেছেন: হাহাহা............. লাইক ইউর কমেন্টস্!

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার ঘরেও আমার কন্যা ডাক্তার হয়ে বেরোবে, ইনশাল্লাহ এ বছর শেষে। আমি দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে ডাক্তারদের অবর্ণনীয় সাফারিং দেখে আমি খুব মুষড়ে পড়েছিলাম, কেন আমার মেয়েকে এ পেশায় দিলাম? আমার আফসোসের অন্ত ছিল না। কিন্তু পরে আমি মনকে সান্ত্বনা দিয়েছি- সবাই তো পারছে, আমার মেয়েও পারবে। ওরা এই অমানবিক কষ্ট সহ্য করে বলেই ওরা মানবতার সেবক।

তবে, আমাদের দেশে ডাক্তারদেরকে 'কসাই' যে বলা হয়, তার জন্য কিছু স্বার্থপর, অর্থপিপাসু ও দুর্নীতিগ্রস্ত ডাক্তাররা দায়ী, যারা সরকারি হাসপাতালে নাম লিখিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে প্র্যাক্টিস করেন এবং সরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি না করিয়ে নিজের প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। এই দুর্নীতিগ্রস্তদের আগে বাছাই করে শায়েস্তা করা দরকার এবং সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তারদের প্রাইভেট ক্লিনিকে প্র্যাক্টিস করার পলিসিও কঠোরভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা দরকার।

পোস্টে যে গল্পের কথা বলেছেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের পর সারাদেশে এরকম প্রচুর ঘটনা ঘটেছে। এমনকি, এর উলটো ঘটনাও ঘটেছে- করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে, কিন্তু পরিবার এটা গোপন করেছে, যাতে করোনার জন্য আইসোলেশন বা লকডাউনে না পড়তে হয়। চিন্তা করুন তাদের মানসিকতা।

এরকম ইয়েলো জার্নালিজমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয় অতিব জরুরি।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৫৪

সোহানী বলেছেন: সোনাবীজ ভাই, আপনার মেয়েতো বের হবে তাই আগেই বলি, আর যাই করেন গাইনীতে দিয়েন না। জীবন একেবারে ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে যাবে। আপনি কাছ থেকে দেখেছে ন বলে বুঝতে পারছেন ওরা কতটা কষ্ট করে। কিন্তু এ ভীতরের চিত্রটা সবাই দেখতে পায় না বলেই এমন চিন্তা ভাবনা তাদের মাঝে কাজ করে।

সম্পূর্ন সহমত যে, কিছু ডাক্তার সরকারি হাসপাতালে নাম লিখিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে প্র্যাক্টিস করেন। এবটু তাকালেই বুঝবেন ওরা হয়তো কোটি টাকা আয় করছে কিন্তু পরিবার বলে কিছু নেই ওদের। তবে শুধু এক পক্ষ দোষারোপ করাও ঠিক নয় কারন একজন ডাক্তারের ক্যাপাসিটি দিনে ২০ রোগী দেখার কিন্তু সিরিয়ালে থাকে ২০০। তাহলে ডাক্তার ক'জনকে ফেরাবে?

এখানে আমাদের পুরো ব্যবস্থাই অনেকাংশে দায়ী। ডাক্তার অনুপাতে রোগীর সংখ্যা দেখলেই মাথা খারাপ হবার অবস্থা।

আর ওইসব লোকদের গোপনীয়তার কারনেইতো আজ আমরা দূর্যোগের মাঝে আছি। তবে এ ক্ষেত্রে আমি সরকারকে এর জন্য দায়ী করবো। প্রথম থেকে যদি আরেকটু সচেতন হতো তাহলে এ পর্যায়ে পৈাছাতো না।

জার্নালিস্ট নিয়ে লিটন ভাইয়ের মন্তব্য দ্রষ্টব্য।

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,






আপনার এমন লেখা দেখেই লগ-ইন হওয়া। অনেক প্রশ্ন রেখেছেন ।

সাংবাদিকদের যদি চিকিৎসা বিজ্ঞান সংক্রান্ত খবর ছাপাতেই হয় তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কে তাদের নূন্যতম জ্ঞান থাকা ফরজে আইন। নতুবা বিভ্রাট ঘটবেই।
মেট্রোনিডাজোল আর ওমিপ্রাজোলকে তারা অবশ্য অবশ্যই এককাতারে ফেলে সবটা গুলিয়ে দিয়ে করা হচপচ খবরে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে ফেলবেনই।

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এক সময়ের ছিনতাইকারী,চাদাবাজরা এখন সাংবাদিক বনে যাচ্ছে। আমাদের এক কাজের ছেলে এখন সাংবাদিক।
এই যদি হয় অবস্থা ( যা সত্য) তবে যা হবার তাই হবে এবং এ থেকেই ডাক্তারদের উপরে চা-পাতি চালাবেন সাধারণ মানুষ।

আপনার প্রশ্নগুলোর জবাবে আর এই পোস্টে যারা যারা মন্তব্য করেছেন এবং করবেন তাদেরকে বলি সংযুক্ত লিংক দু'টোতে গিয়ে দেখে আসুন সত্যটি যুগ যুগ ধরে কি---- (যদিও আগের লেখা কিন্তু এর প্রাসঙ্গিকতা এখনও ফুরোয়নি)
।।চিকিৎসক- রোগী: একটি জটিল মনঃস্তত্ব

।।চিকিৎসক- রোগী: একটি জটিল মনঃস্তত্ব ।।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৫৯

সোহানী বলেছেন: সেটাই কথা, এ ধরনের নিউজে পত্রিকায় ছাপা হয় দিনের পর দিন আর তাই সাধারন মানুষ ডাক্তারদেরকে মনে করে শত্রু আর সাংবাদিককে মনে করে বন্ধু! কাজের ছেলে সাংবাদিক হলে মেট্রোনিডাজোল আর ওমিপ্রাজোলকে তারা অবশ্য অবশ্যই এককাতারে ফেলবে সেটাই স্বাভাবিক!!!

লিখাটি পড়েছি কিনা মনে নেই!

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,





কিছুটা শুধরে দিলুম।
।।চিকিৎসক- রোগী: একটি জটিল মনঃস্তত্ব ।। পর্ব - এক

।।চিকিৎসক- রোগী: একটি জটিল মনঃস্তত্ব ।। শেষ পর্ব

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:০০

সোহানী বলেছেন: আসছি পড়ে!!

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একটু তথ্য বিভ্রাট যে কত বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে...
যদি জানতো সো কলড সাংবাদিকরা কলম ছুড়ে ফেলে দিতো।

দায়হীনতার সংস্কৃতির বিষফল।
তা শুধু একজন প্রসুতির রিপোর্টের নয়,
তা জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার
তা ভোটচুরির
তা নীতি নৈতিকতা হীনতা
তা স্বৈরাচারিতার
তা নিরব/সরব সমর্থনের

এ দায় থেকে কেউ মুক্ত নই। প্রত্যেকেই নিজের স্ব-পক্ষে দায়মোচনে
একঝুড়ি কু যুক্তি হাজির করতে পারলে- দায়বদ্ধতায় শুধু একটি দায়'এর যুক্তিই যথেষ্ট!

যেমন এই প্রসূতির ঘটনা সত্য, তেমনি কিন্তু আমার ফেসবুকে দেখেছো -মুক্তিযোদ্ধা এক ভাইয়ের ৬ হাসপাতালের
প্রত্যাখ্যানের ঘটনাও সত্য। এরকম শত ঘটনা আজ নিত্যতায় পর্যবসিত।
যে ডাক্তাররা হাই ভিজিটে চেম্বারে বসার জন্য উদগ্রীব ছিলেন- সকল চেম্বার আজ খা খা করে!
রোগী নিয়ে আমি নিজের এপয়েন্টমেন্ট পাইনি।
আর অতি সাধারন সর্দি জ্বরেও তারা যে রকম ওভার আতংক শো করে তাইবা কতটা যৌক্তিক।
সতকর্তা আর আতংক কিন্তু এক নয়।

সকলেরই নিজ নিজ অবস্থায়নে আত্ম দায়বদ্ধতায় কাজ করলেই অনেক অনাকাংখিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
ভাল থেকো। ভাল থাকুক জগতের সকল প্রাণী।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:১৫

সোহানী বলেছেন: ভৃগু, এর চেয়ে আর সত নেই. "সকলেরই নিজ নিজ অবস্থায়নে আত্ম দায়বদ্ধতায় কাজ করলেই অনেক অনাকাংখিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব।" কিন্তু তা কি সম্ভব!! স্বার্থের টানে, লোভের টানে সবকিছুই আজ অন্ধ।

আমি পড়েছি মুক্তিযোদ্ধার ৬ হাসপাতালের প্রত্যাখ্যানের ঘটনা। এখন আমাকে বলো, সরকার যদি সময়মতো প্রয়োজনীয় পোষাক সহ সব কিছু ডাক্তারদেরকে দিতো তাহলে কি আজ এমন হতো দেশে! না, হতো না। ক'জন এমন নিশ্চিত মৃত্যুর কাছে নিজেকে সপে দিবে? একজন করোনা রোগী মানেই আরো অসংখ্য ইনফেক্টেড রোগী। এরকম অবস্থায় ক'জন সামনে আসবে?? আগে সবকিছু দিক তারপর যদি ওরা ডিউটি না দেয় তখন ব্যাবস্থা নেয়া হোক। তুমি কোন কিছুই দিবা না আবার তাদেরকে মৃত্যু মুখে ফেলে দিবা, তারপর কেন যায়নি তার জন্য বিচার বসাবা!!!! সত্যিই সেলুকাস কি বিচিত্র এ দেশ!!!

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সবাই সমান না। মন্দ বেশী আর কসাই বেশী ।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:১৬

সোহানী বলেছেন: হয়তো।

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: বোন আসসালামু আলাইকুম।

ডাক্তাররা কেমন আমি জানি না।
তবে সাংবাদিকরা কেমন তা আমি জানি।

আপা এটা দরিদ্র দেশ। চাকরি বাচাতে অনেক কিছু করতে হয়।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:১৭

সোহানী বলেছেন: ওলাইকুম আসসালাম ভাই!

চাকরি বাচাতে অনেক কিছু করতে হয় মানি কিন্তু তারা নিজেদেরকে তুলশি পাতা ভাবে কিনা তাই বলা........।

১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: এই পোস্টের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় তারপরেও লিখতে বাধ্য হচ্ছিঃ

প্রতিটা মানুষেরই কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। খুব কম মানুষই পারে সকল ধরণের সীমাবদ্ধতাকে ঠেলে সরিয়ে সামনে এগোতে। এইটা বলার কারণ হচ্ছে, কিছু পেশায় আপনি নিজে থাকলেও, আপনার ওপরে অন্য অনেক মানুষের জীবন মরণ নিরভর করে। তাই, জীবিকা অরজন আপনার মুল লক্ষ্য হলেও পেশা নির্ধারণে বা বাছাই করার সময়ে সতর্ক হোন। আপনি যে দায়িতবনিতে পারবেন না সেই দায়িত্বকে শুধু জীবিকার তাগিদে পেশা হিসেবে না নেয়াই ভালো।

ধন্যবাদ!

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৪৪

সোহানী বলেছেন: অনেক কথা সহজেই বলা যায় কিন্তু বাস্তবতা অনেক কঠিন। আপনি কি আপনার পছন্দের পেশায় আছেন? সে পেশার পুরোপুরি দায়িত্ব পালনে আপনি কি সমর্থ?........ আগে নিজেকে দাড়ঁ করিয়ে প্রশ্নের খুঁজে!!

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫১

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে, আমি আরেকটি পোস্ট লিখেই ফেলেছি :-B

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৪৫

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ অবশ্যই পড়বো।

১৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: বোন, আগে একটা প্রবাদ ছিল “যার নাই কোন গতি সে করে পন্ডিতি (মাষ্টারি)” আর এখন “যার নাই কোন গতি সে করে ডাক্তারি” :#) । নিজের এক মাত্র কাকা সহ আত্মীয় স্বজনদের মাঝে যে কত জন ডাক্তার বা হবু ডাক্তার গুনতে গেলে কাগজ কলম নিয়ে বসতে হবে। যাক এগুলো কোন ব্যাপার না, ব্যাপার হল আমাদের সো কল্ড শিক্ষিত গোষ্ঠীর মাঝে সব থেকে শিক্ষিত গোষ্ঠী ডাক্তারের সাথে পাবলিক ইন্টার‍্যাকশানটা সব থেকে বেশী যেখানে সরাসরি টাকা পয়সার লেনদেন ঘটে, যার কারনে পান থেকে চুন খসলেই বা দু চারজনের খারাপ খাসলতের দায় সবার ঘাড়ে গিয়ে পরে। এটাও কোন ব্যাপার না।

এই মহামারীর সময় কয়টা ডাক্তার পিপিই পেয়েছে? হ্যা পেপারে দেখছি ৩ লাখ না ৪ লাখ পিপিই ডাক্তারদের দেয়া হয়েছে, অথচ কয়জনে জানে এই পিপিই কিন্তু আপনার প্যান্ট শার্টের মত কিছু না, একটা ডাক্তারি পিপিই (এই পিপিই মানেই বা কয় জন জানে? আমার জবে পিপিই কম্পোলসারি দেখে এ নিয়ে ভালো জ্ঞান আছে, যদিও আমার প্রফেশান ডাক্তারি না) ১২ ঘন্টা / ২৪ ঘন্টা প্রোটেকশান দিতে সক্ষম। কোথাও হয়ত দেখা গেল এক খান মাস্ক দিয়ে পিপিই দেয়া হয়েছে, কোথাও এক খান প্রোটেকটিভ স্যুট, এক খান মাস্ক দিয়ে পিপিই দেয়া হয়েছে। অথচ পিপিই মানে যে এক খান মাস্ক, এক খান প্রোটেকটিভ স্যুট না এই জ্ঞান কয়জনের আছে? একটু জিজ্ঞাস করেন তো বাচ্চালোগকো ডাক্তারি পিপিইর মাঝে কি কি জিনিস থাকে? বহুত জ্ঞানী গুনী ভ্যাটকাইয়া চাইয়া থাকবে। অজ্ঞানতা থেকে স্বাভাবিক ভাবে সমালোচনা তো হবেই।

ডাক্তাররা শ্রীকৃষ্ণের সংশপ্তক না। তারাও মানুষ, এদের মাঝে ভালো যেমন আছে, কসাই তেমন আছে। সাফিশিয়েন্ট পিপিই ছাড়া এই মুহুর্তে রোগীর সেবা দিতে যাওয়া মানে, আত্মহত্যা করতে যাওয়া। যারা এত জ্ঞান দেয় তাদের একটু বলেন একটা করোনা ইউনিটের ১০০ গজ দূর থেকে ঘুরে আসতে! যাক বাদ দেন। এগুলো নিয়েই আমরা বেচে আছি। ডাক্তারদের মোটিভেট করতে কয়জন জন প্রতিনিধি তাদের সাথে নিয়ে মুভ করছে? কয়জন জন প্রতিনিধি ডাক্তারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে যথাযথ ব্যাবস্থা নেবার অনুরোধ করছে? জানি জবাব নাই। নিজেদের ব্যার্থতা যেন অহেতুক ডাক্তার ভার্সাস পাব্লিক করে আড়াল না করি।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:১৭

সোহানী বলেছেন: "যার নাই কোন গতি সে করে ডাক্তারি”... আপনার এ কথার সাথে আমি কোনভাবেই এক হতে পারলাম না শের ভাই। যে চেষ্টা এবং মেধা লাগে অন্তত সরকারী মেডিকেলে পড়তে তা আপনি জানেন। বেসরকারী মেডিেকেলে ও বলতে গেলে এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রন।

আর পিপিই কি জিনিস তা মনে হয় খুব কম লোকেই জানে। কোথায় যেন খবরে দেখলাম রেইনকোর্ট দিচ্ছে পিপিই বলে। আর এন৯৫ মাস্ক ক'জন চিনে, সবার কাছেতো সেই টিস্যু পেপারের মাস্ক!

কসাই ডাক্তার অবশ্যই আছে। কিন্তু যতবেশী বলা হয় তার বিপরীতে কি কেউ তাদের সীমাবদ্ধতা দেখার চেস্টা করেছে????

আসল কথা নিজেদের ব্যার্থতা ঢাকতেই ডাক্তার ভার্সাস পাব্লিককে দাঁড় করানোর চেস্টা একটি পুরোনো কৈাশল।

১৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: আমাদের ধৈর্য কম । সত্য মিত্থা যাচাই না করে যেমন সাংবাদিকরা খবর ছেপে দেয় তেমন পাঠকরাও তাতে হুমড়ি খেয়ে পরে । আর এই ধরনের নেগেটিভ সংবাদ গুলো পাঠক খায় বেশী কারন এসব নিয়ে সমালোচনা করা যায় আর অবশ্যই আমরা সমালোচনা করতে ভালোবাসি ও ভালোবাসি একে অপরের দোষ ধরতে ।
একটা সংবাদ পেলে তা যাচাই বাছাই করার সময় কই ? পাবলিসিটি বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় প্রথম হতে হবে যে। ফেসবুকে শেয়ার বাড়াতে হবে যে । আর পড়াশোনা করলেও আমরা শুধু পাশ করার জন্য পড়ি, শেখার জন্য নয় । কত দ্রুত পড়া শেষ করে পাশ করে চাকরী পাওয়া যাবে । সাংবাদিকতাও তাই হয়ে গিয়েছে ।
তবে সান্তনা একটাই, ডাক্তার হোক কিংবা সাংবাদিক, সবাই একরকম নয় ।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:২১

সোহানী বলেছেন: চমৎকার বলেছেন কথার ফুলঝুরি! আমরা সমালোচনা করতে ভালোবাসি ও ভালোবাসি একে অপরের দোষ ধরতে । আর এ কারনেই নিজের গায়ে কাপড় আছে কিনা জানি না কিন্তু অন্যের কাপড়ের বাছ বিচারে পারদর্শী।

আর সাংবাদিকদের কথা আর নাই বা বলি। সবাই বুঝে তারপরও বিশ্বাস করে।

১৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের দেশে কিছু ডাক্তার এই মহান পেশাটাকে এমনই পচিয়েছে যে, মানুষ এখন ডাক্তারদের নামে কোন নেগেটিভ নিউজ দেখলেই আগুপিছু না ভেবে বিশ্বাস করে বসে। এর দায় কিন্তু ডাক্তার সমাজ এড়াতে পারে না। অন্যসব বিতর্ক বাদ.....আমাদের দেশের ডাক্তারদের মানসিকতায় সমস্যা আছে......এটা কিন্তু সত্যি।

এর বেশী কিছু কমু না.....শ্যাষে আমারে কতিপয় আত্মীয়-স্বজন একঘরে কইরা ফালাইতে পারে! :P

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:২৬

সোহানী বলেছেন: মানসিকতার অবশ্যই সমস্যা আছে। তবে তার আগে রোগী আর ডাক্তারের অনুপাতটা বলেন মফিজ ভাই। এরকম ১৯ কোটি লোকের দেশে এরা যে মাথা ঠান্ডা করে চিকিৎসা করে যাচ্ছে সেটাইতো বেশী!

১৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৫

আরোগ্য বলেছেন: আপু ঘটনাটি পড়ে কষ্ট পেলাম। তবে আপনার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারবো কিনা জানি না। তবে আমার অল্প জ্ঞানে যা মনে হয় তা হল ভালো মন্দ সব ক্ষেত্রেই বিদ্যমান, দোষ যদি কারও থাকে তা হল বিবেকহীনতা ও সরকারি গাফেলতির।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:২৭

সোহানী বলেছেন: বিবেকহীনতা ও সরকারি গাফিলতি আছে বলেইতো আজ আমাদের এ অবস্থা।

১৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৩

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষের অজ্ঞতাই এই সবের জন্য দায়ী।

দেশের জনগন কিন্তু সব সময়েই বড় ডাক্তারের কাছে যাবে।

সবাই যে কোন রোগের জন্যই্ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে নাম লেখাবে।

ডাক্তারাও জনগনকে বুঝিয়ে বলতে চায় না। তারাও নিজেদের বড় ভাবেন এবং জনগনকে সেবা দেবার দরকার মনে করেনা কারন এখনো দরকার চেয়ে ডাক্তার কম।

দেশে যখন ডাক্তারের পরিমান বাড়বে এবং হাসপাতালের পরিমান বাড়বে তখন হাসপাতাল এবং ডাক্তারও রোগীদের তেল দেবে যেন তারা বেশি রোগী পায়।

ক্লিনিকে রোগির হয়রানীর পেছনে ক্লিনিক মালিকের ভুমিকাই বেশি। তারা টাকার বেশি আয়ের জন্য ডাক্তারকে বেশি চাপ দেয় বেশি কমিশন দেয়।

অনেক ভালো ডাক্তার আছে, সংখাটা আসলে বেশি।

বত`মানে সাংবাদিকতায় অনেক বাটপারী ঢুকে গেছে। বত`মানে সাংবাদিকের চেয়ে সাংঘাতিকের সংখ্যা বেশী।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

সোহানী বলেছেন: ব্যবসা ব্যবসা ব্যবসা ... আমাদের দেশের এটাই মূলমন্ত্র নতুন ভাই। কিভাবে টাকা বানাবো সেটাই আসল কথা। এর মাঝে পড়ে ডাক্তারী পেশাও কম বেশী হয়েছে। সেটা আমি বিশ্বাস করি, কিন্তু কথা হলো নৈতিকতার প্রশ্ন সব পেশার কাছে। সবকিছুতে ডাক্তারদের এককভাবে দায়ী করা হয়, কেউ বলে না হাসপাতাল ব্যবসায়ী মালিকদের চাপ।

"বর্তমানে সাংবাদিকতায় অনেক বাটপারী ঢুকে গেছে। বর্তমানে সাংবাদিকের চেয়ে সাংঘাতিকের সংখ্যা বেশী।".... এর বাইরে কিছু মন্তব্য করা উচিত নয় আমার।

১৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৮

ইফতি সৌরভ বলেছেন: কিছু দিন আগে অনেক পত্রিকায় এমন দুইটি খবর এসেছিল যার একটিতে প্রথমে কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়ে যায় এবং সেখানকার ধাত্রী অবস্থা সুবিধাজনক নয় বিধায় দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে/হাসপাতালে নিতে বলে। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে লকডাউন চলছিল এবং রাস্তায় রাখা কাটা গাছের অংশ সরাতে সময় বেশি লাগায় রাস্তায় প্রসব হয়ে যায়। অপরটি আপনার লেখার সাথে হুবহু মিল। কিন্তু আমরা ভিতরে না পড়েই প্রতিবাদ করে অস্থির!

মাঝে মাঝে মনে হয়, সাংবাদিকদের দেশ, হাসপাতাল সহ সব চালানোর একচ্ছত্র অধিকার দেওয়া হোক। ক্রিকেট, ফুটবল, হাডুডু খেলায় তাদেরকে পাঠানো হোক।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

সোহানী বলেছেন: "মাঝে মাঝে মনে হয়, সাংবাদিকদের দেশ, হাসপাতাল সহ সব চালানোর একচ্ছত্র অধিকার দেওয়া হোক। ক্রিকেট, ফুটবল, হাডুডু খেলায় তাদেরকে পাঠানো হোক।"............ এর বাইরে কোন কিছু লেখা উচিত হবে না B:-/

১৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের আসল সমস্যা হলো দেশের মানূষ গুলো অমানবিক হয়ে পড়েছে। রিদয়হীণ হয়ে পড়েছে।
শুধু ডাক্তার বা সাংবাদিক সব শ্রেনী পেশার মানূষের একই অবস্থা।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

সোহানী বলেছেন: সহমত রাজিব ভাই। ২০ কোটি লোকের দেশে এর চাইতে বেশী কিছূ আশা করা যায় না।

২০| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৪

আশাবাদী মানব বলেছেন: সর্বদা অস্থিরতায় ভর করেই পথ চলছে মানব সমাজ। যাচাই বাছাই না করেই একজনের ভুল কাজ দিয়ে একটা পেশাকেই হেয় করে ফেলে। সামগ্রিকভাবে কোন পেশার লোকই খারাপ না। এখানে ভাল বা খারাপ উভয় ভাগই আছে। সবাই যদি এই বিষয়টি সর্বদা মনে রাখতাম কতই না ভাল হত। আর বর্তমান মিডিয়া টিআরপি কে যেভাবে মূল্য দেয়, অন্য কোন কিছুকেই অতটা মূল্য দেয় না। কোন বিষয়ে মন্তব্য করার আগে বিচার বিবেচনা করেই মন্তব্য বা প্রচার করা উচিত।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোহানী বলেছেন: " বর্তমান মিডিয়া টিআরপি কে যেভাবে মূল্য দেয়, অন্য কোন কিছুকেই অতটা মূল্য দেয় না।". আর সে কারনেইতো খুন, ধর্ষন এর খবর পাতায় পাতায়। ভালো কিছু কেউই পড়তে চায় না তাই তারা ভালো কিছূ ছাপাতেও চায় না।

২১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৯

নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: যাই-ই বলুন, কসাই ডাক্তারের সংখ্যা শতকরা ৯৫-৯৮ ভাগ।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোহানী বলেছেন: আপনার ধারনাটি ভুল।

২২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:০৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: Click This Link

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সোহানী বলেছেন: পড়েছি লিকাটি, সত্যিই দু:খজনক।

২৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৫৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: সোহানী,
কি বলবো বুঝতে পারছি না ।
অনেক আগে -কলেজে পড়ি মনে হয় । চোখে একবার খুব ব্যাথা হলো । রাত জেগে একটু বেশি পড়াশোনার চাপ দিলেই চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে, ব্যাথা বেড়ে যাচ্ছে । চশমা মনে হয় নিতে হবে ভেবে একটু পুলকিত হচ্ছিলাম । বন্ধুদের মধ্যে অল্প দু একজন তখন মাত্র চশমা পরে। ভালো ছেলে,ছাত্রদের ব্রামিন গোত্রের একজন হয়ে যাবো যাবো ভাবছি।কে যেন এপয়েন্টমেন্টটা করে দিয়েছিলো মনে নেই ।যাহোক গেলাম ডিএমসিএইচের অপথালমোলজিস্ট রিটায়ার্ড এক প্রফেসরের কাছে ।উনি কখনো অপথালমোলজি-র হেড ছিলেন ওখানে । অনেক দেখে শুনে উনি বললেন আমার কিছু হয়নি, কোনো চশমা লাগবে না ! খুবই রাগ হয়েছিল সেদিন আমাকে ব্রামিন গোত্রে ঢোকার সুযোগ না দিয়ে নমশূদ্র করে রাখাতে সেই প্রফেসরের ওপর ! সেই ঘটনার বিশ বছর পরে যখন আমেরিকায় আমাকে প্রথম চশমা নিতে হলো সেদিনও আমার অপথালমোলজিস্ট ডক্টর ফোর্ডের (এই মহিলাকে চোখ দেখার জন্য নোবেল পুরুস্কার দেবার ব্যবস্থা থাকলে আমি তার নাম প্রস্তাব করতাম ! সি ইজ দ্যাট গুড ডক্টর !) ওপর ভীষণ রাগ হয়েছিল আমাকে চশমা দিয়ে দিল বলে । আসলে ডাক্তারদের কাজটা কঠিন । আপনার লেখার সাথে অমত নেই । পিপিই ছাড়া পেশেন্ট এটেন্ড করে ডাক্তারদের আমরা সুইসাইড করতে বলতে পারি না । কিন্তু মাত্রই আমার লেখায় মুনিরা সুলতানার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে বললাম এখানে (মিশিগানে)পিপিই ছাড়াই ডাক্তার, নার্স আর অন্য হেলথ ওয়ার্কাররা কেমন কোরনার নিশ্চিত মৃত্যুর সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছেন পেশেন্টদের বাঁচাতে । কোনটা যে হিরোইক আর কোনটা যে না জীবন মৃত্যুর এই সন্ধিক্ষণে আসলেই বুঝতে পারছি না । যাহোক লেখাটা নিয়ে যাদের ভাববার কথা তারা নিশ্চয়ই কোনো অবসরে ভাববেন । লেখায় ভালো লাগা ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৮

সোহানী বলেছেন: নাইমুল ভাই, পরিস্থিতি এখন যা দাড়িঁয়েছে তাতে প্রতি মূহুর্তেই অস্থিরতা বাড়ছে। মিশিগানের মতো জায়গায় যদি পিপিই ছাড়াই ডাক্তার, নার্স আর অন্য হেলথ ওয়ার্কারদেরকে কাজ করতে হয় সেখানে আমাসর আপনার দেশের কথা না বলাই ভালো। তবে দু:খ যে এ মূহুর্তে কি নিয়ে আমরা সিরিয়াস হবো আর কি নিয়ে দৃ:খ করবো সে জ্ঞান ও আমাদের নেই। এখন হিরো বলে যাদেরকে তেল দিচ্ছি আসলে তা এক প্রকার তাদেরকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়া। তবে কথা হলো মৃত্যুমুখে ঠেলে ও দিবো আবার শোকজ নোটিশ ও দিবে!! সত্যিই সেলুকাস বিচিত্র ......................

আপনার চশমা না নেবার কাহিনীও কিন্তু চমকপ্রদ। আমিও মনে হয় এমন করে ছোটবেলায় চশমা নিয়েছিলাম। তারপর বড়বেলায় ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলাম.....হাহাহাহা

২৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২০

নীল আকাশ বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এক সময়ের ছিনতাইকারী,চাদাবাজরা এখন সাংবাদিক বনে যাচ্ছে। আমাদের এক কাজের ছেলে এখন সাংবাদিক। বর্তমানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভবঘুরে আর টাউটের অপর নাম সাংবাদিক।
এইদেশে সাংবাদিকদের লেখার মান নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন তোলা উচিত। বিশেষ করে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় যেইগুলি চলে।
একটা মৃত্যু সংবাদও একেক পত্রিকাতে একেক ভাবে আসে। সংবাদপত্রগুলিতে যেমন লোকজন কাজ করে ঠিক তেমনি মাঠ পর্যায়ে সংবাদ সংগ্রহ লোকজন। বেশিরভাগ সময় এরা মনগড়া আর বানোয়াট কাহিনী ছাপিয়ে দেয়। ধর্ষণ বা মেয়েদের এই ধরণের কিছু পেলে তো আর কথাই নেই। বেশ কয়েকদিনের সিরিয়াল লেখা বানিয়ে ফেলে।

গুরুজী বলেছেনঃ সাংবাদিকদের যদি চিকিৎসা বিজ্ঞান সংক্রান্ত খবর ছাপাতেই হয় তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কে তাদের নূন্যতম জ্ঞান থাকা ফরজে আইন। নতুবা বিভ্রাট ঘটবেই।
শুধু এই বিষয় নয়। সাংবাদিকদের যে কোন টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে লেখার সময় সাবধান হওয়া উচিত। আসলে আন্দাজে কোন কিছুই লেখা উচিত নয়।

তবে দেশে এখন সত্যই যে অবস্থা সেটা হল - ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দার। ডাক্তারদের যেভাবে কোন রকম PPE বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা ছাড়া চিকিতসা করতে পাঠানো হচ্ছে এ যেন বন্দুক ছাড়া যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে। এর জন্য দায় অবশ্যই সরকারকে নিতে হবে।

হাতের পাঁচ আঙ্গুল যেমন এক সমান নয় ঠিক তেমনি সব ডাক্তার'রাও এক নয়।

ধন্যবাদ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৩

সোহানী বলেছেন: ভাইরে, একজন ডাক্তার হতে হলে যে পড়াশোনা করা লাগে তা অবিশ্বাস্য। কম বা বেশী সে কিছুটা হলেও মানবিক। কিন্তু কাজের ছেলে যদি সাংবাদিক হয় তাহলে মানবিক সঙজ্ঞাটা কেমন অদ্ভুত শোনায়। আমি শিক্ষার বাইরে অন্য কিছু মানতে নারাজ। শিক্ষাই চোখ খুলে দেয় আমার আপনার সবার। কাজের অর্ধ বা অশিক্ষিত এ ধরনের লোকজন দায়িত্বে আছে একজন ডাক্তারের যোগ্যতা বিচারের।............. অদ্ভুত সিস্টেমের ভীতর দিয়ে যাচ্ছি আমরা।

হাতের পাঁচ আঙ্গুল যেমন এক সমান নয় ঠিক তেমনি সব ডাক্তার'রাও এক নয়।.......... সহমত

২৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

জুন বলেছেন: আমাদের দেশের ডাক্তারদের মানসিকতায় সমস্যা আছে......এটা কিন্তু সত্যি।
এর বেশী কিছু কমু না.....শ্যাষে আমারে কতিপয় আত্মীয়-স্বজন একঘরে কইরা ফালাইতে পারে!

ভুয়ার সাথে একমত। আমারও অনেক আত্নীয় ডাক্তারি পেশায় জড়িত। একজন আবার প্রথম থেকেই নির্ধারিত করোনার বিষেসায়িত হাস্পাতালে আছে। প্রচন্ড পরিশ্রমে বেচারা কাহিল।
তাছাড়া আমাদের ব্লগের বিশিষ্ট ডাক্তার ব্লগার আহমেদ জী এসও আপনার কসাই শব্দে মাইন্ড করতে পারে সোহানী :P
ভালো লাগা রইলো।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৬

সোহানী বলেছেন: কি অবস্থা এখন আপনার? কিছু একটা কাজে নিজেকে বিজি রাখেন। লিখালিখি শুরু করেন................

২৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৫১

অনল চৌধুরী বলেছেন: হাতুড়ে চিকিৎসকরা কি চিকিৎসক?
একইভাবে ছিনতাইকারী,চাদাবাজ বা দলীয় লেজুড়রা কি সাংবাদিক?
সাংবাদিক হওয়া এতো সোজা না।
এটা চিকিৎসা বা প্রকৌশলের মতো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে শেখা যায় না।
নিজের ভিতরে বিবেক,নৈতিকতা,দেশপ্রেম এবং সৃজনশীলতা থাকলেই শুধু প্রকৃত সাংবাদিক হওয়া যায়।
এরকম সাংবাদিকরা ১৯৭১ এ ছিলেন। যাার স্বাধীনতার জন্য জনগণকে সচেতন করেছেন।
সিরাজউদ্দিন হোসেন,নিযামউদ্দিন আহমেদ,মোনাজাত উদ্দিন,শামসুর রহমান ছিলেন সত্যিকারের সাংবাদিক।
দুই মতিউর,আনিসুল,এমদাদুল,পীর-ফকির,নিজামী-এরা টাকালোভী চক্র সাংবাদিকতার জানে কি আর বোঝে কি????

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৮

সোহানী বলেছেন: সহমত।

সাংবাদিক হওয়া এতো সোজা না। নিজের ভিতরে বিবেক,নৈতিকতা,দেশপ্রেম এবং সৃজনশীলতা থাকলেই শুধু প্রকৃত সাংবাদিক হওয়া যায়।

২৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: এদেশের মানুষ আসলে কোয়ালিফাইড ডাক্তার ডিজার্ভ করে না, তারা ডিজার্ভ করে সংবাদিক নামক কিছু সাংঘাতিক প্রাণী।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১০

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা................ সহমত। কেমন আছেন, অনেকদিন আপনার দেখা নেই।

২৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। ভাল আছি।
আশা করি আপনিও ভাল আছেন।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৫

সোহানী বলেছেন: ভালো আছি। ১০০% গৃহবন্দী। যদিও এখানে সবাই খুব সাবধানী তারপরও সবাই বের হয় না।

২৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: জুন বলেছেন: আমাদের দেশের ডাক্তারদের মানসিকতায় সমস্যা আছে......এটা কিন্তু সত্যি।
এর বেশী কিছু কমু না.....শ্যাষে আমারে কতিপয় আত্মীয়-স্বজন একঘরে কইরা ফালাইতে পারে!
ভুয়ার সাথে একমত।
== জুনাপার সাথে একমত।

তবে কিছু সত্যিকারের ভালো ডাক্তারও ঐ সকল অর্বাচীনের সাথে জনরোষের শিকার হচ্ছে। এ দেশে ডাক্তারদের বাটপাড়ি নতুন নয়। যদিও সব পেশাতেই বাটপাড়ি এ দেশে ফরযে কেফায়া হয়ে গেছে। ঘুষ নিয়ে আসরের নামাজ কাযা হওয়ার জন্য বিলাপ করার লোকও এখন ভুরিভুরি। সিস্টেমই আমাদের এ অবস্থায় এনেছে।

তাই আমরা এখন কেউ এগুলোর জন্য বকা দিব, আর কেউ বকা খাব। সিস্টেম যে জায়গাতে রয়েছে, সে জায়গাতেই থাকবে। কারণ ঐটা যে মহান দেশপ্রেমিক নেতা ও আমলা নামের কামলাদের হাতে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৫৭

সোহানী বলেছেন: এ দেশের কোন পেশা সৎ বা সৎ থেকে কাজ করতে পারছে? একটাও নেই। কেউ চাইলেও সৎ থাকতে পারবে না কোনভাবেই। ওই যে বললেন," সিস্টেমই আমাদের এ অবস্থায় এনেছে।" এ সিস্টেম ভাঙ্গার জন্য যে উপাদান দরকার তা আমাদের নেই বা অর্ঝন ও সহজ নয়।

৩০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪০

অনল চৌধুরী বলেছেন:
এসব কথার মারপ্যাচ বাদ দিয়ে স্পষ্টভাবে বলেন যে বেসরকারী মেডিকেলে পড়তে কতো টাকা খরচ হয় আর সরকারীতে কতো।
জনগণের করের ২৫-৩০ লাখ টাকা দিয়ে পড়ে চিকিৎসক হয়ে যেসব লোক আজ জমিদারি দেখায়, তাদের কয়জন বাপের টাকায় বেসরকারীতে পড়তে পারতো।
আর পৃথিবীর কোন দেশের চিকিৎসকরা বাংলাদেশেরগুলির মতো রোগীর কিডনি চুরি করে বিক্রি করে দেয় আর মহিলা রোগী ধর্ষণ করে?
রোগী ধর্ষণে বাংলাদেশেরগুলি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
https://youtu.be/15Kx-P5tX4I
আর এসব অপরাধে কোনোদিন কোনো চিকিৎসকের শাস্তি হওয়া দূরে থাক, সব ডাক্তার আর বিএমডিসি মিলে অভিযোগকারীকেই অপরাধী বানিয়ে যেকোনো অপকৌশলে অপরাধী চিকিৎসককে রক্ষা করে।
বাংলাদেশে ইচ্ছাকৃত ভূল চিকিৎসা, কিডনি চুরি বা রোগী ধর্ষণের অপরাধে আজ পযর্ন্ত একজন চিকিৎসকেরও শাস্তি হয়নি কেনো?
এদের কারণেই প্রতিবছর এদেশের রোগীরা ভারতে গিয়ে প্রতিমাসে শত শত কোটি টাকার মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যায় করে।
https://youtu.be/jRUCLrNwes0

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:০০

সোহানী বলেছেন: যে কয়টা পয়েন্ট আপনি বলেছেন তার বিপরিতেও অনেক পয়েন্ট আছে। তারপরও আমি বলবো, যার যার পেশা থেকে সৎ ভাবে কাজ করার নামই মনুষত্ব্য। অবশ্য এ শব্দটি আমাদের ডিকশেনারীতে আছে কিনা সন্দেহ।

৩১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: এসব কথার মারপ্যাচ বাদ দিয়ে স্পষ্টভাবে বলেন যে’’’’ দু:খিত,এই মন্তব্যটা অপনাকে না,ফেসবুকে চিকিৎসকদের পক্ষে মন্তব্য করা আরেকজন চিকিৎসককে বলেছিলাম।
তবে এই শব্দগুলি বাদ দিয়ে অন্যগুলি এখানকার সবার জন্য।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:০১

সোহানী বলেছেন: ওকে......

৩২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কিছু অসৎদের জন্য সব সেক্টরেই ভালদেরও বদনাম হয়।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:০১

সোহানী বলেছেন: সহমত

৩৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৫৫

বিভ্রান্ত পাঠক বলেছেন: এদের অধিকাংশই পড়ালেখা করেনা।।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:০২

সোহানী বলেছেন: আসলেই তাই।

৩৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:১৭

রাফা বলেছেন: সাংবাদিকতা বা ডাক্তারি দু‘টো পেশাই জনসেবামূলক পেশা। এই কথাটা যেমন তথাকথিত কিছু ডাক্তার বা সাংবাদিক মনে রাখেনা তার বিপরীতে নিবেদিত প্রান অবশ্যই আছে। এর উৎকৃষ্ট প্রমান‘তো করোনার ক্রান্তিকালে দেখতেই পারছেন। সামনের সাড়িতেই এদের অংশ গ্রহণ।

আমাদের বাসার কাজের বুয়ার ছেলে যার খুব বেশি হলে রিক্সা চালানো বা ড্রাইভার হওয়ার কথা । কিন্তু সে তার মেধা দিয়ে শিক্ষক হয়েছে।উদাহারণটা আমার ভলো লাগেনি কাজের ছেলের।

ধন্যবাদ,সোহানি।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:১৩

সোহানী বলেছেন: যার যার জায়গায় যদি সঠিক কাজটি করে তাহলে সব সমস্যারই সমাধান হয়ে যায়। আর তা করিনা বলেই যত সমস্যা।

কাজের ছেলের উদাহরন এখানে লিটন ভাই এনেছে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার জন্য নয় বরং যেকোন ব্যাকগ্রাইন্ড এর মিনিং বোঝানোর জন্য। আপনিই বলুন, যেসব সাংবাদিক এখন দেশে কাজ করছে তার কতজন এর সাংবাদিকতার ব্যাকগ্রাইন্ড আছে? কিন্তু মেডিকেল কলেজ পাশ ছাড়া ডাক্তারী কি সম্ভব? তাহলে একজন অর্ধশিক্ষিত মানুষ কিভাবে মূল্যায়ন করবে পরিস্থিতির?

৩৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাংবাদিকতার মান আজ অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে। তাদের অনেকেই চমক সৃষ্টির জন্য অনায়াসে সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশ্রিত করে রিপোর্ট করে। ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই আছে, তবে সে সংখ্যাটা নগণ্য।
পোস্টে প্লাস +

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:১৫

সোহানী বলেছেন: তাদের অনেকেই চমক সৃষ্টির জন্য অনায়াসে সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশ্রিত করে রিপোর্ট করে। .......... ঠিক এটাই বলতে চেয়েছি। তাদের পত্রিকার কাটতির জন্য সত্য অর্ধসত্য রচনা চলে কিন্তু দেশের কোন আইনেই এর বিচার নেই।

৩৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু প্রতিমন্তব্য দেওয়ার সবুজ বাটন আসছে না। আজ সারাদিন খুব ভুগেছি। কখন উত্তর দিতে পারবো জানিনা।
ভালো থাকুন সবসময়।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৭

সোহানী বলেছেন: নো প্রবলেম ব্রাদার.....

৩৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: উভয় পেশাতেই এখন অপেশাদার আচরণ এবং নৈতিক অবক্ষয় প্রকটভাবে দৃশ্যমান।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৮

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই। আর এ কারনেই বাকি সবাই অসহায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.