নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার রান্না ঘর!!!

১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:৪৯



বুঝলাম লকডাউনে ভাবীর সাথে অনেক মারামারি কাটাকাটি চলছে, আসেন এবার কিছুক্ষন বিরতি দিয়ে রান্নাবান্না করি। আর সারপ্রাইজ দেন ভাবীদেরকে, অন্তত একটা দিন শান্তিতে থাকতে দেন বেচারীদের........ :-B

রান্না শব্দটা জীবনভর আমার কাছে আতংকের নাম ছিল। মানুষ ক্যামনে ঘন্টার ঘন্টার পর চুলার সামনে দাঁড়ায়ে খুন্তি নাড়ে তা আমার কাছে বরাবরেই বিস্ময়। দেশে থাকতে ভুলেও উকিঁ দেই নাই। মানুষ শখ করেও অনেক সময় রান্না করে আমি তাও করি নাই। কিন্তু প্রবাসে তো আর আমার এ্যাসিসটেন্টরা নাই যে হুকুম করলেই তামিল হবে :((

এখানে আসার পর থেকে একপ্রকার রেডি ফুডের উপ্রে জীবন কাটাইছি। যেমন সকালে সিরিয়াল, এখানে শত শত ভ্যারাইটির সিরিয়াল পাওয়া যাই। দুধে ঢালো আর খাও, শেষ সকালের নাস্তা। দুপুরে রেডি বার্গাার পেটি পাওয়া যায় যা সকালে একটু তেলে ভেজে দুইখান পাউরুটি বা বানের মাঝে ঢুকায়ে একটু লেটুসপাতা আর সাথে কিঞ্চিত সস। ব্যাস রেডি পরিবারের সকলের দুপুরের লাঞ্চ। আর রাতে সপ্তাহে একদিন রেধেঁ রাখা মাংস, ৩/৪ রকমের সব্জি দিয়ে কিছু একটা রান্নার চেস্টা.... সাথে ডাল। ব্যাস পোলাপান খাইলে ভালো, না খাইলে পিৎজার অর্ডার, অফিস থেকে ফেরার পথে কোন ইন্ডিয়ান দোকানের বিরিয়ানী কিংবা ম্যাকের বার্গার। শেষ রাত দিন!

কিন্তু জীবনের এই প্রথম দীর্ঘ বন্দী জীবন পাওয়ার পর বুঝলাম এতো আরামের জীবন আমার না। সারাদিন গড়াগড়ি করতে করতে টায়ার্ড। আর এদিকে চারপাশের রেডিফুডের দোকানও বলতে গেলে বন্ধ, এরকম মাইনকার চিপায় পড়ে কিছু একটা করে সময় কাটানোর জন্য রান্নাঘরে ঢুকলাম। প্রথম প্রথম এক্সপেরিমেন্ট শুরু করলাম ইউটিউব দেখে, সকলেই খেয়ে বললো খারাপ না। (অবশ্য খারাপ বলার মতো সাহস সঞ্চার করতে হয়তো পারে নাই)। তারপর আমার সাহস বেড়ে গেল, একে একে ট্রাই করতে লাগলাম বিভিন্ন আইটেম। দেখলাম ব্লগার শায়মা হতে বেশী বাকি নাই B:-/ । তাই সাহস করে এই পোস্ট কিছু ট্রিক্স এন্ড টিপস্.......।

ঘরে পাতা দই:


এই এক জিনিস আমি জীবনে বহুবার ট্রাই করছি কিন্তু কোনভাবেই সফল হই নাই। একবার জোড়া লাগেতো আরেকবার ভাঙ্গে, একাকার অবস্থা। আর এখন মুহুর্তেই বানাতে পারি দারুন স্বাদের দই।

ট্রিক্স এন্ড টিপস্:

১) দুধটা যত পারেন ঘন করার চেস্টা করবেন। চিনি আগেই মেশাবেন নিজের পছন্দ মতো জ্বালের সময়।
২) দই এর বীজটা যথা সম্ভব ফ্রেস ইউজ করার চেস্টা করবেন।
৩) গরম দুধের সাথে বীজটা ইউজ করবেন না বরং একটু হালকা গরমের সাথে ইউজ করবেন।
৪) দুধটা ব্লান্ড করে নিলে খুব ভালো হয়।
৫) মাটির পাত্র ইউজ করলে দই এ পানি কম জমবে নতুবা কাঁচের পাত্রে দিতে পারনে। তবে কোনভাবেই স্টিল বা অন্য কোন পাত্রে দিবেন না। (আমি অন্তত সফল হইনি)।
৬) যদি ওভেন ইউজ করেন তাহলে ১০ মিনিট হাই হিট দিয়ে ওভেন বন্ধ করে পাত্রে দই বসায়ে দিবেন ৪/৫ ঘন্টার জন্য। ওভেন না হলে হালকা গরম স্থানে বেশ ভালোভাবে মোটা কোন কাপড় দিয়ে দিবেন পাত্রের উপরে।


চিকেন মাঞ্চুরি :


এটা আমার পোলাপানের খুব পছন্দ। বানানো একটু ঝামেলা বাট এই ফাঁকে সব্জী খাওয়াতে পারি। তাই এই রেসিপি এখন আমার নিত্য সঙ্গী।

ট্রিক্স এন্ড টিপস্:

১) শুধু চিকেনের বুকের মাংস নিলে ভালো হয়। এবং খুব ছোট ছোট টুকরো করবেন।
২) এক ঘন্টা মেরিনেট করবেন সয়াসস, একটু আদা বাটা, একটা ডিম, একটু কর্ন ফ্লাওয়ার ও ময়দা, সাথে গুড়া মরিচ।
৩) ব্যাস এক ঘন্টা পর তেলে ভেজে উঠিয়ে নেবেন।
৪) আচ্ছা মত সব্জী নিবেন। কিউব করে কাটবেন। অল্প টমেটু সস, সয়া সস এর সাথে গোল মরিচ দিয়ে স্বী কিছুটা ভেজে ভাজা চিকেন মেশাবেন।
৫) যদি হালকা ঝোল চান তাহলে একটু কর্ন ফ্লাওয়ার ঠান্ডা পানিতে গুলে তার সাথে মিশিয়ে দিবেন। ব্যাস রেডি রেস্টুরেন্ট স্টাইলের চিকেন মাঞ্চুরি ।


হানি গার্লিক চিকেন :


এটা ও আমার পোলাপানের খুব পছন্দ করে। আসলে পোলাপানকে চিকেন আইটেম যেমনই করেন না কেন ওরা পছন্দ করবে।

ট্রিক্স এন্ড টিপস্:

১) রেসিপি খুব সোজা। নরমাল চিকেন রান্নার মতোই তবে গরম সমলা, জিরা, হলুদ দিবেন না। আদা, গোল মরিচ আর কাচাঁ মরিচ ইউজ করবেন।
২) তেলের উপর শুধু এক্সট্রা রসুন কুচি দিবেন। আর বাকি মসলা দিয়ে ভুনা করার পর প্রচুর মধু দিবেন। নামানোর আগে সাদা তিল দিলে একটু ডেকোরেশন হলো এই যা।


ক্রিমি টফু/পনির :


এটা আমি খেয়েছিলাম আমার এক ইন্ডিয়ান ফ্রেন্ড এর বাসায়। ওরা সব কিছুর সাথেই বলতে গেলে পনির ইউজ করে, যেমন পালং পনির, সব্জী পনির, পনির ডাল....। তবে পনির বা টফু দিয়ে এ ক্রিমি আইটেমটা পোলাও দিয়ে দারুন খেতে। রান্না কিন্তু খুবই ইজি।

ট্রিক্স এন্ড টিপস্:

১) আমি টফু দিয়েই বেশী করি কারন টফু বেশী পুস্টিকর তাই। টফু না পেলে পনির দিয়ে করতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে ভাজার স্টেপটা বাদ দিবেন।
২) টফু প্যাকেট থেকে বের করে বেশ ভালোভাবে মুছে নিবেন টিস্যু দিয়ে। তারপর সামান্য লবন ও বারবিকিউ মসলা দিয়ে মেখে হালকা তেলে ভেজে নিবেন।
৩) ঘরে যেই বাদাম থাকুক না কেনো তা একটু পানিয়ে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখবেন। আমি কাজু ইউজ করদে পছন্দ করি। তেলের উপর সেই বাদাম, টমেটু, ও পেয়াজ ভেজে তা ব্লান্ড করে নিবেন।
৪)তারপর অন্যান্য শাহী রান্নার মতই তেল বা ঘিতে পেয়াজ, আদা, রসুন, গরম মসলা দিবেন তবে সবই খুব সামান্য পরিমান। এর সাথে দিবেন ব্লান্ড করা পেস্ট ও স্বাদের জন্য সামান্য টমেটু সস। ব্যাস টফু মিশিয়ে নিলেই তৈরী হয়ে গেল মজাদার ক্রিমি টফু।


এখানে আমি ডিটেইলস রেসিপিতে গেলাম না কারন ইউটিউবে এতো এতো রেসিপি আছে যে যেকোন একটা ফলো করে স্টেপ বাই স্টেপ করতে পারবেন যেকোন রান্না। সারা জীবন রান্না থেকে পালিয়ে বেড়ালেও এখন মনে হয় রান্না জিনিসটা এতোটা খারাপ না, অনেকটা আর্ট! একটু ধৈর্য্য রাখলেই চমৎকার কিছু তৈরী হয়। নেক্সট্ মিস্টির রেসিপি নিয়ে আসবো। কারন এরই মাঝে বেশ কয়েক পদের মিস্টি বানিয়েছি যা সত্যিই ভালো হয়েছে।

আজকের মতো খোদা হাফেজ, ও ভালো কথা.... ছোট্ট একটা রান্না ঘরের ট্রিক্স ভাইদের জন্য যারা নাকি হাড়ি পাতিল বেসিন মাজতে মাজতে হাত ক্ষয় করে ফেলছেন! কিছুতেই নাকি পরিস্কার হচ্ছে না হাড়ি পাতিল! নো প্রবলেম... সামান্য বেকিং সোডা ছড়িয়ে মেঝে নিন দেখবেন সব ঝকঝকে :-B :-B !!!!

ছবি ক্রেডিট: নিজের সহ গুগুল মামার

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:১১

জাফরুল মবীন বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে।মন্তব্যে প্রথম হওয়ার চেষ্টা।অন্য আলাপ পরে =p~

১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:১৯

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা................ মন্তব্যে প্রথম হওয়ার জন্য কি পুরস্কার দেওয়া যায় ভাবছি! ওকে পেয়েছি স্যামন বারবিকিউ!! এই যে এখানে....

২| ১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:২২

জাফরুল মবীন বলেছেন: আমি একজন দই এক্সপার্ট! (নিজের ঢোল নিজেই পিটাইলাম!)।বগুড়ার দই তৈরির কৌশল বের করতে প্রায় ১মাস দই নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেছিলাম।ব্যাস তাতেই অনেককিছু শেখা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

আমি রান্না-বান্না নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করি।তাই এ পোস্ট মন্তব্যের আগেই প্রিয়তে গেছে।ইদের আগে এরকম একটা পোস্ট আসা দরকার ছিলো।ধন্যবান বোনটিকে।

কিন্তু শুধু মিষ্টি কথায় তো আর চিড়া ভিজবে না;তাই বোনটির জন্য আমার আরেক কোড ব্রেক করে তৈরি করা (শ্রীমঙ্গলের রমেশের ৭রঙের চা-এর ফর্মূলা বের করার পরীক্ষণের ফসল) ড্রিংসক সার্ভ করলাম ;)

১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:৩৮

সোহানী বলেছেন: হায় হায় আমি কারে কি বলি আর কারে রান্না শেখাই!! কই যে লুকাই!!..... পোস্টাতো দেখি উইড্রো করতে হবে। এতো এতো পাকা রাধুনীর ভীড়ে আমার এই ভুয়া রান্না কোন জায়গায় স্থান করবে.... :(( :((

এরকম ভিন্ন কালারের স্টেপ আমি ট্রাই করিনি এখনো। সবেতো মাত্র শুরু করলাম যাত্রা......। করবো ধীরে ধীরে...............

৩| ১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:২৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: দইটাতো একেবারে দেশের বগুড়ার দই এর মত লাগছে। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। :``>>

১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:৪১

সোহানী বলেছেন: শুরু করে দেন নিজেই বানানো। এমন কঠিন কিছু না। দু'একবার ভুল হবে তারপর দেখবেন ঠিক হয়েগেছে।

৪| ১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিকই কইছেন.....রান্নাবান্না একটা আর্ট। দ্যাখছেন, সাহস কইরা রান্নাঘরে ঢুইকা গেলে কিন্তু ব্যাপারটা খারাপ না। এনজয় করা যায়। আমি তো আবার রান্নাবান্নায় একজন এক্সপার্ট মানুষ জানেনই। দই আমি খাই না। টফু আমার কাছে একটা টেস্টলেস জিনিস। একবার রান্না করছিলাম, বাঙ্গালী জিহ্বার পছন্দ হয় নাই।

আমার এহন প্রধান খাদ্য হইলো মাছ আর সব্জী। কোন মাংসই ততটা ভালা পাই না। তয় চিকেন মান্চুরীটা পছন্দ হইছে। একটা টেরাই দিমুনে।

কুমীর সাহেবাকে নড়াচড়া করতে দেখে ভালো লাগলো।

১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৪

সোহানী বলেছেন: হায় কুন কুক্ষনে যে রান্নার পোস্ট দিসি এখন দেখি পুরা ব্লগময় সব এক্সপার্ট রাধুনীরা। আমি আগে ভাবছিলাম একমাত্র শায়মাই রাধুনী আছে, এখন দেখি সবাই টমি মিয়া !!!!

বলেন কি!! দই আমার খুব প্রিয়। আর টফুটা এভাবে রান্নায় ট্রাই করতে পারেন, খারাপ না।

সব্জী ঠিকাছে কিন্তু মাছ কাটা হেপা নেয় কে?? দোকান থেকে কেটে নিয়ে আসতে পারি কিন্তু ধুইয়ে দিবে কে????? এই ঝামেলায় এই পর্ব বাদ দিসি।

চিকেন মাঞ্চুরী কিন্তু বাচ্চাদের বেশী পছন্দ। আর আমি ওদের পছন্দ মাথায় রেখেই রান্না করি সবসময়। আমি বলতে গেলে ভেজিটেরিয়ান। মুরগী খাই না, মাছ পাই না, স্বাস্থ্য চিন্তা কইরা গরু তেমন খাই না............ বাদ থাকলো ঘাস মানে সব্জী খাওয়া!!! এইটাই বলতে গেলে চালাই।

নেন আপনার জন্য বাটার সব্জী......

হালকা ভাপে দিয়ে বাটার দিয়ে নেড়ে চেড়ে নিবেন। দারুন খেতে কিন্তু!!!!

৫| ১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:১৪

ইসিয়াক বলেছেন: ওফ! দারুণ রান্নাবান্না।
আমি অবশ্য খেতে খুবই পছন্দ করি। শুধু খেতে না আমি রান্না করতেও ভালোবাসি। আমার রান্না নাকি খুবই স্বাদের,লোকে বলে আর কি :( মা শিখিয়েছিলেন ছোট বেলাথেকেই।
#চিকেন মাঞ্চুরিটা ট্রাই করবো। সম্ভব হলে আজই্।
চমৎকার পোষ্ট। ভালো লাগলো।

১৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০

সোহানী বলেছেন: এই পোস্টের স্বার্থকতা হলো ব্লগের সকল টমি মিয়াকে খুঁজিয়া বাহির করতে সাহায্য করিয়াছে B:-/ !

আর আমার মা ছিলেন পুরাই উল্টা। রান্নাঘরের আশেপাশে হাটতে দিতেন না হাত পুড়ে যাবে কিংবা কোন ঝামেলা বাধাঁবো সেই কারনে।

চিকেন মাঞ্চুরিটা ট্রাই করবেন, খেতে কিন্তু ভালোই।

এবার হয়ে যাক আপনার রেসিপি!

৬| ১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অসাধারণ। কাজে লাগবে।

১৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০

সোহানী বলেছেন: আপনিতো একাই থাকেন, মালয়শিয়ান রেসিপি নিয়ে আসেন.........

৭| ১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রান্না জানা অনেক বড় ব্যাপার। নিজে রান্না করে খেতে পারা ও পরিবার পরিজনকে খাওয়াতে পারা সৌভাগ্যের ব্যাপার বলে মনে করি। আমার রান্না আমার ছেলেমেয়ে বেশ পছন্দ করেন - অবস্যই এটি আমার জন্য সৌভাগ্য।

আপনার রান্না জানা ও রান্নার প্রতি আগ্রহ জেনে খুব ভালো লেগেছে। অনেক খাবার আছে যা কোনো রেষ্টুরেন্টে রান্না হয় না। যেমন কাঁচা আম দিয়ে টেংরা মাছ অথবা পুঁটি মাছের টক ঝোল - নিজে রান্না জানলে সম্ভব। আপনার খুব সুন্দর রান্না বিষয়ক পোস্টে লাইক+++

১৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

সোহানী বলেছেন: কাঁচা আম দিয়ে টেংরা মাছ অথবা পুঁটি মাছের টক ঝোল ..... এগুলো ট্রাই করার জন্য উপকরন এখানে পাওয়া যায় না। ফ্রোজেন কিছু মাছ পাওয়া যায় তা আমার একবারেই পছন্দ না। বেশীরভাগই দেখা যায় ডেইট এক্সপায়ার্ড। বাঙ্গালী/ইন্ডিয়ান দোকানে বিক্রি করে।

আর এখানে এরকম আয়েশ করে রান্না মনে হয় কেউই করে না, ঠাকুর ভাই। কারোই সময় নাই, সবাই দৈাড়ের উপর থাকে।

অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

৮| ১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি আগে ভাবছিলাম একমাত্র শায়মাই রাধুনী আছে, এখন দেখি সবাই টমি মিয়া !!!! আপনের তো দেহি স্মৃতি লোপ পাইছে। দুইন্নার সবচেয়ে কঠিন যে রান্না (হায়দ্রাবাদী দম বিরিয়ানী) সেইটা নিয়া যহন পোষ্ট দিছিলাম তহন কি কইছিলেন ভুইলা গ্যাছেন গা?? B-)

মনে করায়া দিলাম। টমি মিয়ার কামই হইলো রান্নাবান্না। আমার তো তা না; কাজেই হের চাইতে আমার ক্রেডিট বেশী! :-B

সব্জীটা আপনে রানছেন? চেহারা-ছবি তো লোভনীয়। এইটা অবশ্যই টেরাই করমু। অবশ্য সব্জীর আমি বহু বহু পদ রান্ধি। আমার সব এক্সপেরিমেন্ট এখন সব্জীর উপ্রে।

১৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

সোহানী বলেছেন: ওওওও.... ভুইলা গেছি। আচ্ছা আপনার সূচিপত্র দেইখা ঢু দিমু। এইবার ঈদে তাইলে হায়দ্রাবাদী দম বিরিয়ানী টেরাই দিমু! :-B:-B

তা ঠিক, টমি মিয়ার চাইতে আমরাই বেশী এক্সপার্ট!!

সব্জী নিয়া কিন্তু আমিও এক্সপেরিমেন্ট চালাই। কারন নিজেরে খাওয়া লাগে তাই।

এটা সবচাইতে ইজি বাট খেতে ভালো। তবে এর ট্রিক্স হলো, বাটারে পেয়াজটা একটু লাল করে ভেজে তারপর সব্জী দিবেন। আর স্টিম করার সময় পেয়াজ চাক করে কেটে দিবেন সাথে মটরসুটি দিলে স্বাদটা ভালো হয়।

৯| ১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:১৫

মিরোরডডল বলেছেন: মাঝে মাঝে শখ করে রান্না করি আপু । ভালোই লাগে ।
বাট ইট হ্যাজ টু বি শর্টকাট । ইউটিউবে কুইক রেসিপি বা ঝটপট রান্না বলে সার্চ দিয়ে যেটা পাই সেরকম কিছু করি ।

আপু দই বানাতে একবার ট্রাই করেছিলাম । খেতে মজাই ছিল কিন্তু লুক হয়েছিল ভয়াবহ । তাই আর সে পথে যায়নি কখনও । আপুরা বানাবে আর আমরা খাবো । :)

চিকেন মাঞ্চুরিটা খুবই ইয়াম লুক হয়েছে আপু । নেক্সট টাইম কিন্তু কুইক রেসিপি টিপস নিয়ে আসবেন । যেটা করতে নট মোর দেন ১০/১৫ মিনিটস সেরকম কিছু । পারলে আরও কম । :P

১৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

সোহানী বলেছেন: হাঁ, কিছু কুইক রেসিপিও ট্রাই করেছি ও সাক্সেস হয়েছি যেমন ব্রাউনি ইন দা মগ, পিগি ইন দা ব্লান্কেট! এগুলো এখানার পপুলার আইটেম। অনেকটা রেডি ফুডের বিকল্প। বিকেলের নাস্তায় এটা খেতে ভালোলাগে। নেক্সট্ নিয়ে আসবো।

আমাদের এখানে সুবিধা হলো আপনি যাই চান তাই মুহুর্তেই গ্রোসারী স্টোরে পাবেন, তাই সহজেই যেকোন কিছু বানানো যায়। দেশে যেমন অগোরা বা মিনা বা গুলশানের বড় দেকান ছাড়া খুব টাফ কিছু খুজেঁ পাওয়া।

তবে সব আইটেমই কিন্তু ১০/১৫ মিনিটের বেশী লাগে না যদি ধোয়া বাছা ইনক্লুড না করেন :-B:-B:-B

১০| ১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৪০

ওমেরা বলেছেন: রান্না আমি ভালই পারি, কিন্ত খুবই ঝামেলা মনে হয়।

১৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

সোহানী বলেছেন: আমারো তাই মনে হয় সবসময়। বাট বাধ্য হয়েই ঢুকতে হয়েছে.......

১১| ১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৪১

জুন বলেছেন: যখন রান্নার দরকার ছিলনা তখন বিভিন্ন সৌখিন রান্না করতে যেতাম সোহানী আম্মার বকাঝকা শুনেও। তবে মোটাদাগের রান্নাগুলো শিখিয়েছিল এই ধারণা থেকে যে কেমন পরিস্থিতিতে পরতে হয় ভবিষ্যতে কে জানে। কিন্ত এখন বাধ্য হই সময় সময়, কিন্ত রান্না করতে ইচ্ছে করে না :-/
পোস্টে প্লাস রইলো।

১৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

সোহানী বলেছেন: আপনার মা শিখিয়েছিল আর আমার মা রান্নাঘরের আশেপাশে হাটতে দিবেন না। বিদেশে আসার পর প্রথম ভাত রান্না করতে যেয়ে কমকরে দশবার মাকে ফোন দিতাম। ভাত সিদ্ধ হলো কিনা তা কেমন বোঝা যাবে এ ট্রিক্স শিখতেই আমার জীবন শেষ!

এখানে অনেকটা পার্টি কালচার। বিশেষকরে সামারে আমরা পালা করে সবার বাসাই দাওয়াত খাই। তাই রান্না শিখতে হয় অনেকটা বাধ্য হয়ে। প্রথমবার যখন বাসায় দাওয়াত দিয়েছিলাম তখন পাশের বাসার এক ভাবীকে দিয়ে রান্না কেরিয়েছিলাম। তারপর আস্তে আস্তে এখন সাহস হয়ে গেছে। তবে এ লকডাউনেই রান্নার কৈাশল শিখে গেছি।

১২| ১৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রয়োজনে উপাস থাকবো। রান্না করতে জানিনা। একবার কিছু করে দেখালে বরাবর সেটা আমাকেই করতে হয়।

১৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

সোহানী বলেছেন: হেহেহেহে সেটা আমরা জানি, নিজের বাপ ভাই জামাইরে দেখে আপনাদের চরিত্র বুঝি, কতটা ফাকিঁবাজ। তবে আমার হাজবেন্ড দারুন গরুর মাংস রান্না করে। অনেক এক্সপার্টরা ওর কাছে টিপস্ নিতে আসে।

একবার অন্তত ভাবীরে আপনার গাছের করোলা ভাজি খাওয়ান!!

১৩| ১৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খেতে খারাপ লাগে না। ভাজাভুজি পছন্দ করিনা। তাইবলে যদি রান্না করে খাওয়ার কথা বলেন তাহলে রাতে উপোস নিশ্চিত। সকালে চিঁড়ে কলা খেয়ে দুপুরে দেখা যাবে কোন বিকল্প হয় কিনা।আপোষ বলতে বাসনকোসন ধুয়ে দিতে রাজি আছি। অন্যথায় ঘুম....

১৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সোহানী বলেছেন: এই জন্যইতো আপনাদের জন্য রেসিপি দিলাম। আপনাদের দরকার বিদেশে আসা, তাহলে টের পাবেন কত ধানে কত চাল।

আমার বাবা এ জীবনে রান্না ঘরে উকিঁ দেয়নি। না খেয়ে বসে থাকে যতক্ষন না কেউ খাবার দেয়। আর আমার শশুড় আমেরিকা থাকেন বলে উনি সব কাজ করতে পারেন। এমন কি উনার রান্নাও অসাধারন। আমার বাসায় আসলে উনাকে প্রায় আব্দার করি এটা ওটা রান্না করার।

বাসনকোসনও ঠিকভাবে ধুয়ে দিতে পারনে তো!

১৪| ১৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:১৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সবজির রেসিপি দিয়েন । ডায়াবেটিস রোগী বেশী এখন

১৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সোহানী বলেছেন: ওকে দিবো নেক্সট্......

১৫| ১৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:১১

রাজীব নুর বলেছেন: রান্না বান্না আমি শিখতে পারবো না। আমাদের বংশের ছেলেরা রান্না ঘরেও যায় না।
কথায় বলে মেয়েদের ঘর দুইটা- আতুর ঘর আর রান্না ঘর।

নিশ্চয়ই মন্তব্য পড়ে আপনার রাগ হচ্ছে?
বোন আমি চেষ্টা করি সুরভিকে ঘরের সমস্ত কাজে সহযোগিতা করতে।

১৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

সোহানী বলেছেন: ওওও আচ্ছা তাই নাকি?? মেয়েরা আতুর ঘর, রান্না ঘর, অফিস ঘর, বাজার ঘর, সামাজিক ঘর সব সামাল দিবে। আর আপনারা সারা শহর হেটে হেটে মানুষ দেখবেন!!!

আপনার জন্যই এই পোস্ট...
পতিসেবার- একাল ও সেকাল.......... নারী দিবসের নারী ভাবনা

দেশের বাইরে মালয়শিয়া আর সাইপ্রাসে যখন ছিলেন তখন কে আপনাকে রান্না করে খাইয়েছে?

১৬| ১৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

আল-ইকরাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে আপনার উদ্যোগটি বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ। রান্না করা আমার প্রিয় কাজের একটি। তবে প্রতিদিন নয়। প্রায়ই আমার অর্ধেকটাকে রান্নায় সাহায্য করে আমি বেশ সুখ অনুভব করি। ভাল থাকুন।

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১০

সোহানী বলেছেন: অর্ধেকটাকে রান্নায় সাহায্য নয় পুরো রান্না একদিন করে ফেলুন। আমিও ভয়ে ঢুকতাম না, এখন সাহস হয়ে গেছে কয়দিনেই।

অনেক ভালো থাকুন।

১৭| ১৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: রান্না শব্দটা জীবনভর আমার কাছে আতঙ্কের নাম ছিল। নস্টালজিক হয়ে গেলাম! আজকের ফুলটাইম রাঁধুনী এই আমি একদা রান্না ফাঁকি দেবার জন্য কত বুদ্ধি বের করতাম :(

তবে এটা ঠিক, কষ্ট করে করা রান্না খেয়ে সন্তানের পরিতৃপ্ত মুখ দেখতে পেলে সব কষ্ট উধাও হয়ে যেত... আপনারও শুরু হলো, এখন চলতেই থাকবে নানারকম রান্না... দেখা যাচ্ছে আতঙ্ক কাটিয়ে রান্না শুরু করার পর অল্পদিনেই চৌকস হয়ে উঠেছেন!! আরো ভালো ভালো সব রান্না করুন, শুভকামনা রইল।

সবগুলো আইটেমই ভালো হয়েছে। দেখা যাক, এই পোস্ট কোন ভাবীকে যদি একদিনের জন্যও রান্নাঘর থেকে ছুটি দেয়...... তেমন কোন আলামত অবশ্য এপর্যন্ত দেখলাম না!!

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১৯

সোহানী বলেছেন: আমার আতংক পুরোপুরি কিন্তু কাটেনি। এগুলো একেবারে ছকের রান্না তাই সাক্সেস হয়েছি। যখন নতুন কিছু দিবেন তখন কাইত। আর আমার যেহেতু এতে তেমন আগ্রহ নেই তাই ভালো কিছু খেলে বুঝতেও পারি না কিভাবে রান্না হয়েছে।

আমার এক প্রতিবেশী ছিলেন যিনি নতুন কিছু খেলেই পরদিন রান্না করতে বসতেন। আর প্রতিদিনই দেখতাম উনার এক্সপেরিমেন্ট। তাতে আমাদের লাভ হতো, গিনিপিগ হিসেবে ভালো কিছু খেতাম। কারন উনার কোন কিছুই ব্যার্থ হতো না। তবে উনার সমস্যা ছিল কিছুতেই রেসিপি বলতেন না। তারপর রিকোয়েস্ট করলে ভুলভাল বলে দিতেন...হাহাহাহা বাঙ্গালি মানসিকতা!!!!

এই পোস্ট কোন ভাবীকে যদি একদিনের জন্যও রান্নাঘর থেকে ছুটি দেয়...... তেমন কোন আলামত অবশ্য এপর্যন্ত দেখলাম না!!... সেই আশায় আছি। কিন্তু দেখলাম সবাই টমি মিয়া! তবে ভাবীদের নিস্কৃতি দেয় কিনা তার ইঙ্গিত পেলাম না।

১৮| ১৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:১২

নতুন বলেছেন: লকডাউনে বাসায় বসে বসে প্রতিদিন নতুন নতুন রান্না ট্রাই করতে ছিলাম। যদি রোজা শুরু না হইতো হবে ওজন ১০ কেজি বাড়তো। :)

চিকেনের ডিস গুলি ট্রাই করবো।

বাপ বেটি মিলে রান্না করি, ভিডিও বানাই। ডানা আমাকে খুবই উপভোগ করে।

BBQ chicken wings গত রাতে বানাইছিলাম... সবাই এক পিস করে নেন।

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:২৪

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা.... আমারো ঠিক একই অবস্থা! লকডাউনের পনের দিনে দুই পাউন্ড ওয়েট গেইন। ভাগ্যিস রোজা শুরু হয়ে গেছে। তবে এখন নানা পদের ইফতার বানাই।

আপনার চিকেন উইং কিন্তু দারুন দেখতে হয়েছে। ওভেনে করেছেন নাকি চুলায়। আমি এখানে এসে প্রথমেই বারবিকিউ আইটেম শিখেছিলাম। কারন ওটা ইজি।

বাপ বেটির রান্নার ভিডিও এর অপেক্ষায়!!!

১৯| ১৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

সাইন বোর্ড বলেছেন: লোভনীয় আয়োজন, তবে ইফতারের পর একটু হিসেব করে খেতে হবে ।

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:২৫

সোহানী বলেছেন: রোজার পরে খাবেন। এখন ভাজি পোড়া কম করে খাবেন।......

২০| ১৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:০৯

ইসিয়াক বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: রান্না বান্না আমি শিখতে পারবো না। আমাদের বংশের ছেলেরা রান্না ঘরেও যায় না।
কথায় বলে মেয়েদের ঘর দুইটা- আতুর ঘর আর রান্না ঘর।
=p~ =p~ =p~ =p~ B:-/

২০ শে মে, ২০২০ রাত ২:৪৩

সোহানী বলেছেন: জমিদার সাহেবদের কাজ কর্ম কথা বার্তাই আলাদা.... B:-/

আতুর ঘর আর রান্না ঘর এ মেয়েদেরকে পাঠান আর সংসারের আয় দেখেন মা-বাবা! জমিদার রাজিব সাহেবের কথা বার্তা ভাব সাবই আলাদা। সবাইতো আর রাজ কপাল নিয়ে জন্মায় না।

২১| ১৯ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাগ্যিস ইফতারির পর পোষ্টে ঢুকেছি ;)
ঘরে পাতা দই দেখেইতো জিভে জল এসে গেল :) হা হা হা
রোজার মাঝে এলে মাকরুহ হয়ে যেত :P

দারুন সব রেসিপি।
আহা ছবিতে কি আর স্বাদ মেলে!!! এমনিতেই তোমার চকোলেট মিস করেছী মেলাতে যেতে না পেরে!
এখন আবার সব ছবি দিয়ে রসনায় জল ঝরাচ্ছো! :((

কানেকানে বলি আমি কিন্তু গরুর গোস্তের দারুন ভূনা নানতে পারি ;)
হা হা হা

পোষ্টে +++

২০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:০৩

সোহানী বলেছেন: রোজার দিনে দিলাম কারন পেটে ক্ষিধা নিয়ে রান্না ভালো হবে B:-/ ! মাকরুহ হবার সুযোগ নেই, তার আগেই পেটে চালান দিতে পারবা।

গরুর গোস্তের ভূনা করে আমার পার্টনার। তার দেশী স্টাইলের মাংস রান্না অসাধারন।

দেখলা পোস্টটা দিয়ে ভালোই করেছি, সব টমি মিয়াদের খুজেঁ পাচ্ছি। যাহোক তোমারটা ও দিয়ো, ট্রাই করবো একদিন। এখানে গরুর মাংস ভালো পাওয়া যায়। একটু দূরে. আধা ঘন্টা ড্রাইভিং। তারপরও আমি সেখানেই যাই কিনতে। আমি গরু পছন্দ করি বাট রেড মিট বলে একটু সাবধানে খাই।

২২| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:০২

মা.হাসান বলেছেন: ভাগিনা-ভাগিনি-দুলাভাইয়ের জন্য আন্তরিক সমবেদনা রইলো ।

২০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:০৫

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা........ শুনো, লকডাউনে সব রেস্টুরেন্ট বন্ধ! কুনু উপায় নাই কিন্তু ভেবে দেখো!! আমার এক্সপেরিমেন্ট কিন্তু ভালোই চলছে...।

২৩| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

রান্না একটি কঠিন শিল্প। যারা এই শিল্পের কারিগর তারা সত্যিই অসাধারণ মানুষ। প্রতিনিয়ত তারা সৃষ্টি করেন অপূর্ব সব স্বাদ।

২০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:০৬

সোহানী বলেছেন: কঠিন একটা জিনিস। বাট করতে পারলে খারাপ লাগে না।

২৪| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপু, আমি চিকেন মাঞ্চুরিয়ান খেয়েছি। তবে নিজে কখনো বানাইনি। আপনার রেসিপি মত একদিন তৈরী করবো। হানি গার্লিক চিকেন এবং ক্রিমি পনির খাওয়া হয়নি। মনে হচ্ছে দারুণ সুস্বাদু হবে। আমি খুব ভালো রান্না করি। দেশে আসলে আপনার পছন্দের খাবারগুলো রান্না করে খাওয়াবো।

২০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:০৮

সোহানী বলেছেন: আগে আপনার আচারের রেসিপি দেন। আমি এ জীবনে আচার বানাইনি। একবার ট্রাই করতে চাই। তবে এখানে কাঁচা আম পাওয়া বেশ কঠিন কাজ। চাইনিজ দোকানে পাওয়া যেতে পারে।

ওকে দেশে আসলে সত্যিই যাবো কিন্তু!!

২৫| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ১২:২২

জুন বলেছেন: সোহানী আপনার লেখায় নষ্টালজিক হয়ে আবার আসলাম। আমার মা ঢাকায় স্কুল টিচার ছিলেন। আমার মা এর হাতে আমাদের পড়ালেখার হাতে খড়ি। আমার মা এর লেখা ছিল মুক্তোর মত। সুন্দর হাতের লেখা শিখিয়েছিলেন আম্মা। আমাদের কোন টিচার ছিল না। মায়ের কাছেই আমার বড় ভাই আর আমি পড়েছি এস এসসি পর্যন্ত। আমাদের দু বোনকে আমার শুধু রান্নাই শেখায় নি, যত রকম সেলাই আছে যেমন উল বোনা, কুরুশ বোনা, যত রকম এম্ব্রয়ডারী, সেলাই মেশিনে জামাকাপড় বানানো, আগে নিজেই সব সেলাই করতাম। এখন দরজীর কাছে যাই। ছবি আকা ছাড়া আরো অনেক কিছু।
আর ঘুড়ি উড়ানো, ঘুড়ির সুতায় মাঞ্জা দেয়া, মার্বেল খেলা, লাট্টু ঘোড়ানো এসবের অন্য ওস্তাদ ছিল :P ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস কত রকম খেলা। আমাদের বাচ্চারা তো কিছুই শিখলো না কম্পিউটার ছাড়া। দুঃখই হয়।
শুধু শুধু রান্নাঘরে গিয়ে বিরক্ত করা আমাদের রাধুনি মেয়েটারও অপছন্দ ছিল :(
রাত্রির শুভেচ্ছা আপনাকে সোহানী :)

২০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:১৮

সোহানী বলেছেন: আপনার মায়ের জন্য ভালোবাসা।

এসএসসি এর পর কিছু হাতের কাজে হাত দিয়েছিলাম মায়ের উৎসাহে, ওটা ওই পর্যন্তই। এরপর ধরা হয়নি। মা সারাক্ষনই পড়ার পিছনে লেগে থাকতো, অন্য কিছু করার সুযোগ ছিল না। বিশেষ করে রান্নাঘরে মা যাওয়া পছন্দ করতেন না।

আমি কিন্তু এখানে আমার বাচ্চাদের রান্না শেখাই। আর এ লকডাউনে ওরা বাসায় থাকার কারনে ভালোই সুযোগ হচ্ছে। মেয়েতো আমার সার্বক্ষনিক এ্যাসিসটেন্ট। আমরা একেকদিন একেকটা রান্না টার্গেট করি। আর ছেলেকে এটা সেটা রান্না করতে দেই। কাল ও বিফ স্টেক রান্না করেছে একা। একটু পুড়িয়ে ফেলেছিল বাট খেতে ভালো ছিল। আর মেয়ে একাই কাল কেক বানিয়েছে ফ্রস্টিং সহ। আর ছেলে আমাকে অসম্ভব সাহায্য করে সবকিছুতে। কাটা বাছা ধোয়া, এখানে এটা না হলে কাজ করা কষ্টকর।

এভাবেই চলছে বন্দী জীবন..........

২৬| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৩৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: দেশে আসলে জানাবেন । দাওয়াত দিলাম । একবেলা রান্না করে খাওয়াবেন ।
রান্না ছাড়া নিজের সব কাজ নিজে করি । প্রয়োজন হলে রান্নাও শিখে নিব ।

২০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:১৯

সোহানী বলেছেন: হেহেেহে............ ঠিক আছে।

শুরু করেন, দেখবেন একো কঠিন কাজ না।

২৭| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ২:১৮

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: এই লকডাউনে সবাই শেফ হয়ে গিয়েছে আপু =p~ আর যারা আগে থাকতেই শেফ তাঁরা হয়েছে আরও বেশী পাকা । আমার হোমমেড খাবার নিয়ে একটা আইডিয়া আছে তাই আমিও প্রায় প্রতিদিন কিছু না কিছু ট্রাই করছি । তবে দই একদিন করেছিলাম হয় নি :| তবে কিছু জিনিস খুব ভালো হয়েছে তার মধ্যে গরুর মাংসের কালা ভুনা একটা :#)



আর আঁচারে আমি বরাবরই পাকা :P


হানি চিকেনটাও করবো একদিন ইনশাআল্লাহ ।

২০ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:২৪

সোহানী বলেছেন: কালা ভুনা ট্রাই করেছি, খারাপ হয়নি কিন্তু আচার এখনো চেষ্টা করিনি। কারন, এখানে আম জলপাই সহ আচারের মূল উপাদানের দূস্প্রাপ্যতা। কাচাঁ আমের খোজেঁ যেতে হলে আমাকে ঘন্টাখানেক ড্রাইভ করতে হবে!!! তারউপর অনেক দাম..। তারচেয়ে রেডি আচার পাওয়া যায় সেটাই কেনা ভালো। আমি রুচির অথবা শানের আচার কিনি।

তোমার দুইটাই দারুন লুক হয়েছে। রেসিপি সহ একদিন হাজিরা দাও...

২৮| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ২:৪৫

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: প্রথমে তো শায়মা আপুর পোস্ট ভেবেছিলাম। পরে খেয়াল করলাম এটা সোহানী আপুর পোস্ট।
আপু, রান্না করতে খারাপ লাগলেও ডাল -ভাত যাই হোক বাসায় রান্না খাবার ই খাওয়ার চেষ্টা করি। আগে রান্নার কিছুই জানতাম না। ইউটিউব দেখে দেখে এক্সপেরিমেন্ট চালাই আর টেস্টার হিসেবে বর মশাই তো আছেই। বেচারা ভালোমন্দ সব খেয়ে নেয়। যদিও সহজে প্রশংসা করতে চায়না কিন্তু আমিও কিছুটা বেহায়া গোছের। নিজে থেকে বারবার জিজ্ঞেস করে একরকম জোর করে প্রশংসা আদায় করি। হা হা ..
তবে বাড়ির লোকজন সবাই কাজে সাহায্য করলে এতটাও কষ্ট হতোনা মেয়েদের।

২০ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:৩০

সোহানী বলেছেন: শায়মা এখনো রোজার সাজুগুজু টেবিলের পোস্ট দেয়নি তাই সে গ্যাপ ফিলাপ করছি......

হুম একজন টেস্টার ছাড়া পাকা রাধুনি হওয়া সম্ভব নয়! টেস্টাররা সহজে প্রশংসা করতে চায় না। কারন তাহলে নতুন নতুন আইটেম পাবে না!!!

দেশে থাকতে শখ করে বাইরে খেতাম আর এখানে প্রয়োজনে বাইরে খাই। কারন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দৈাড়ের উপর থাকলে রাধবো কখন? আর আমাদের রান্নাতো ও আর কানাডিয়ানদের মতো না যে সব কাচাঁ খাবো!! তেল নুন মসলা জোগাড় করে রাধতে যাওয়া চাট্টি খানি কথা না।

বাড়ির লোকজনতো ভাবে রান্না মানে ছু মন্ত্র দিলেই হয়ে যায় তাই তারা সাহায্যের হাত বাড়ায় না।

২৯| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:০২

অনল চৌধুরী বলেছেন: আমি নুডুলস,অনেক শাক-সব্জি দিয়ে ম্যাগী স্যুপ, ফ্রাইড রাইস( কেউ ভাত রান্না করে দিলে) আর বিভিন্নভাবে ডিম রান্না করতে পারি।
কিন্ত সাদা ভাত পারি না!!!!!

২০ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:৩২

সোহানী বলেছেন: নুডুলস রান্না করতে পারেন মানে অনেক কিছুই পারেন। আমার কাছেতো নুডুলসই কঠিন মনে হয়। সব্জী ঠিকভাবে সিদ্ধ হলেঅ কিনা, নুডুলস বেশী গলে গেল কিনা, মসালার পরিমান ঠিক হলো কিনা....... অনেক হ্যাপা!

সাদা ভাত শিখতে আমার বছর খানেক লেগেছিল।

৩০| ২০ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা। হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই ধরেছেন। বাসন কোসন পরিষ্কার করতে আমি সাধ্যমত চেষ্টা করি। কিন্তু বাড়ীওয়ালার তা পছন্দ নয়।এখন কাজ পছন্দ না হলে সে দায় কি আমার, এটাই তো আমার মাথায় আসে না। আমার পুত্রের কথায়, বাড়ির সবচেয়ে কঠিন কাজটি হল প্রত্যাহ সকালে ট্যাঙ্কে জল তোলা, সেটাই পাপা করে। বাচ্চারা তো সত্যি কথাই বলে। তবুও কারোর মন পাইনা। আমি ওনাকে একদিন বললাম, তোমার মাছের জলটা আরেকটু দেবে? ওমা! খানিক বাদে সত্যিই আমার পাশে এসে কোমরে হাত দিয়ে কটমট কইরা কইলো, নোংরা জল খেতে নেই।তাই পরিষ্কার জল দিলাম। আমি বেচারা! শেষমেষ মাছঝোল বলাতে সে যাত্রায় রক্ষা পাই।

২০ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:৩৭

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা, বাচ্চারা তো সত্যি কথাই বলে। এতো কাজ করেন, জল তোলেন, বাসন কোসন অর্ধেক পরিষ্কার করেন, নিজের কাপড় বিছানায় রাখেন, জুতো জোড়া খুলে বাসায় ঢুকেন, টেবিলের মাঝ থেকে প্লেট নেন, মাঝে মাঝে বাজারে যেয়ে পচাঁ মাছ কিনে আনেন.............। তারপরও বাড়ীওয়ালার কাজ পছন্দ না হয় না B:-/

৩১| ২০ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:৩২

জাফরুল মবীন বলেছেন: ধন্যবাদ স্যামন বারবিকিউয়ের জন্য :)

২০ শে মে, ২০২০ রাত ৯:২৮

সোহানী বলেছেন: আমি কিন্তু অনেক ধরনের জুস বা স্মুদি বানাই। জুস এবং সালাদ নিয়ে আমি এক্সপেরিমেন্ট করি।

কাচাঁ আম দিয়ে একটা টক মিস্টি রেসিপি আছে যেটা সবাই খুব পছন্দ করে। এখানে কাচাঁ আম পাওয়া যায়না বলে করতে পারি না। স্মুদির রেসিপি আগেই দিয়েছি তবে নেক্সট নিয়ে আসবো জুসের রেসিপি।

৩২| ২০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

শের শায়রী বলেছেন: দেরীতে হইলেও এই লেখার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম, আমার মত যারা সারা জীবন শুধু পানি রান্না করতে শিখছে, তাদের আপনি বৌ কে সারপ্রাইজ দেবার নাম করে রান্না শিখানোর বুদ্ধি করছেন, কিন্তু এক বারো কি ভাবছেন, এই করোনা চইলা গেলে তহন যদি ডেইলি কয় রান্না করতে .... তহন কৈ যামু |-) ? এমনিতেই দৌড়ের ওপর তার উপ্রে রান্না শিইখা নিজের জীবন বাকীটাও ত্যাজ পাতা বানাইতে পারুম না, পারুম না, পারুম না তা আপনে যতই সার প্রাইজ দেন B:-)

তয় মিষ্টি দইটা খাইতে ভালোবাসি, চিকেন মাঞ্চুরি আরো কি সব জানি নাম সব গুলা খাইতে মন চাইতাছে :(

২০ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৪০

সোহানী বলেছেন: শুনেন, একেতো ফাঁকিবাজ তারপর আইলসা।

পানি যে রান্না করতে পারেন তার প্রমান দেন! কারন দেশে পানি রান্না অনেক কঠিন কামের একটা। ফুটাও, ছাকো, ফিল্টারে দাও, জগে ভরো...........!!! এতো কঠিন কাম আপনি করেন বলেতো মনে হয় না B:-/ B:-/

ভাবীর জীবন যে ত্যাজ পাতা বানাইয়া ছাড়ছেন তা আপনার বিবাহ সংক্রান্ত লিখা পইড়াই টের পাইছি! বেচারীর লাইগা একরাশ সমবেদনা!

৩৩| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫৬

কালো যাদুকর বলেছেন: লোভনীয় সব খাবার দাবার। রান্নাটা মেয়েদের সহজাত ব্যাপার। এতদিন বিদেশে আছি, আমি সিউর, আমি এরকম করে খাবার বানাতে পারব না।

২১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সোহানী বলেছেন: কারন আপনি চেস্টা করেননি। একটু চেস্টা করে দেখুন, দেখবেন অতোটা কঠিন না।

আর বিশেষ করে বিদেশ থাকার কারনে যেকোন উপাদানই কিন্তু সহজলোভ্য। দেশের মতো বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে যেতে হয় না। এক সুপারস্টোরেই সব কিছু পাওয়া যায়।

৩৪| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪১

শায়মা বলেছেন: আপুনি!!!

দেখলে চাইলে নিজেই দোকান বা রেস্টুরেন্টের চাইতেও মজাদার খানা পিনা রাঁধা যায়!! :)

২২ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

সোহানী বলেছেন: হুম সেটাই শায়মা!

৩৫| ২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চিকেন দুইটাই ফ্যাব !!
দারুন ব্যাপার স্যাপার :)

২৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:২৯

সোহানী বলেছেন: তুমি হইলা পাকা রাধুনী। আমিতো সবে শুরু করলাম।.......

৩৬| ২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'লকডাউন' আপনাকে ডাঁকসাইটে অফিশিয়াল (অনুমান) থেকে পাক্কা রাঁধুনীতে রূপান্তর করেছেন জেনে ভাল লাগলো। এটা একটা মৌলিক অর্জন এবং কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য।

আপনার এ পোস্টে কী মন্তব্য করবো তা নিয়ে সংশয়ে আছি। পোস্টের শিরোনাম দেখে ভেতরে প্রবেশের ইচ্ছে ছিল না, কিন্তু আপনার পোস্ট বলে কথা। শিরোনাম যাই হোক, জানি এর ভেতরে প্রবেশ করলে কিছু না কিছু পাবোই।

আমি এ বিষয়ে এতটাই আনাড়ি যে জীবনে এক কাপ চা পর্যন্ত কখনো নিজে বানিয়ে খাইনি। ডিম হয়তো কখনো সখনো ভেজে খেতে পেরেছি, কারণ ছোটবেলায় মাঝে মাঝে আম্মাকে সাহায্য করতাম নাস্তা বানানোর সময়, যখন আম্মা স্কুল পড়ুয়া বড় ভাই বোনদেরকে স্কুলে পাঠানোর আগে নাস্তা তৈরী করতে গিয়ে হিমসিম খেতেন, আর ওরা পড়ার টেবিলে আটকে থাকতো। সেই সময় থেকেই পেঁয়াজ ছেলা ও কাটা, কাঁচা মরিচ কুচিকুচি করে কাটা শিখেছিলাম। এতটুকুই আমার সঞ্চয় রান্না বিষয়ক অভিজ্ঞতার। এমনকি বিদেশে একটানা ৫/৬ বছর থাকার সময়েও এর চেয়ে বেশী কোন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারিনি, আমার স্ত্রী এ ব্যাপারে আমার উপর অত্যন্ত সদয় ছিলেন বলে। অবশ্য আমি এর জন্য স্বেচ্ছায় ডিশ ওয়াশারের কাজ করতাম, মাঝে মাঝে ফ্লোর মপিং ও করে দিতাম। আর তার এ বদান্যতার স্বীকৃতিস্বরূপ এ জীবনে কখনো তার রান্নার কোনরূপ সমালোচনা করিনি ( আসলে সমালোচনা করার মত তেমন কিছুই পাইনি কখনো। সে যেমন রন্ধন পটিয়সী, আমিও তেমনি সর্বভূক! :)) ছোটবেলায় আম্মাকেও রান্নাঘরে সাহায্য করতে আমার খুব ইচ্ছে হতো। আর কিছু পারতাম না বলে আম্মাও প্রথমোক্ত কাজটা আমাকে দিয়ে মাঝে মাঝে করাতেন। আর খেতে বসার আগে জগে পানি ভরা, যার যার জায়গায় প্লেট, গ্লাস রাখা, ইত্যাদি কাজ আমি করতাম। অভ্যাসবশতঃ এখনো মাঝে মাঝে করি। :)

এই এমন একজন আমিই আপনার পোস্টে প্রবেশ করে দেখি এখানে এত এত পাকা রাঁধুনী আর টমি মিঞাদের ভিড়! তবে আমার মতও দুই একজন আনাড়ি এখানে প্রবেশ করেছে দেখে সাহস পেলাম। পোস্ট যেমন, মন্তব্য প্রতিমন্তব্যগুলোও তেমনি উপভোগ্য হয়েছে। বেশ কয়েকটাতে 'লাইক'ও দিয়েছি। তবে সবার সেরা মন্তব্য করেছেন মনে হয় মা.হাসান, ২২ নম্বরে। :)
আর আপনার ১৭, ৩০ ও ৩২ নং প্রতিমন্তব্যগুলোও উপভোগ্য হয়েছে।

চিকেন মাঞ্চুরি এবং হানী গার্লিক চিকেন এর ছবি দেখে মনে হচ্ছে ওগুলো সেরকমই হয়েছে।

"আমার বাসায় আসলে উনাকে প্রায় আব্দার করি এটা ওটা রান্না করার" (১৩ নং প্রতিমন্তব্য) - হাউ সূইট! খুব ভাল লাগলো আপনার শ্বশুর সাহেবের এ কর্মদক্ষতার কথা জেনে।

ভীতি-জাগানিয়া পোস্টেও একটা প্লাস দিয়ে গেলাম! :)

২৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:৪৯

সোহানী বলেছেন: ও মাই গড! আমার পোস্ট মানে অলস মস্তিস্কের বকবকানী। যখন কাজের প্রেসার থাকে তখন মাথায় সব লিখা কিলবিল করে। কিন্তু যখন ফ্রি থাকি তখন মাথায় কিছুই থাকে না।

তবে এ লকডাউন আমার জন্য অনেকটা আশির্বাদ। অনেকদিন পর নি:শ্বাস নিতে পারছি। নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারছি। বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে পারছি। এ সময়ে অনেক কিছুর মাঝে মেয়েকে বাংলা শিখিয়েছি, অনেক অনেক মুভি দেখেছি, বাচ্চাদেরকে নিজের না বলা অনেক গল্প বলেছি, ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করেছি, ঘর সাজিয়েছি আর রান্না করেছি ও রান্না শিখিয়েছি বাচ্চাদের। পাকাঁ রাধুনি হতে পেরেছি কিনা জানি না তবে রান্না করার সাহস সঞ্চয় করেছি।

আমাদের দেশে ছেলেদেরতো এক প্রকার অলিখিত নিষেধ রান্না করা। আর সেখানে আমরা মেয়ে হিসেবেও আমাদেরকে রান্না ঘরে ঢুকতে দিতো না মা। সে হিসেবে আপনি অবশ্যই ঠিক আছেন। আমার বাবাকেও দেখেছি জীবনে এক গ্লাস পানি এনে খায়নি। সেটাও আম্মু টেক কেয়ার করেছে। আর তাই আম্মু ছাড়া আব্বুর জীবন এখন অনেক অনেক কষ্টকর। অথচ কিছু বেসিক কাজ জানা দরকার সবারই ছেলে বা মেয়ের। আমাদের মায়েরা কোনভাবেই ছেলেদেরকে এ কাজে হাত দিতে দেয় না। তাই আমি আমার ছেলেকে পুরোপুরি রান্নাতে লাগাই। কালই বিন বার্গার, পটেটো ওয়েজস, সালাদ ডিনারে বানিয়েছে।

ভাবী সবকিছু টেককেয়ার করছে বলে আপনার করার করার প্রয়োজন হচ্ছে না। এমন একজন প্রেমময়ী স্ত্রী যে জীবনের আশীর্বাদ।

আর টমি মিয়াদের কথা বলবেন না। খাতা কলমে ফেইসবুকে তারা অনেক কিছু। কিন্তু যখনই বাসায় ভাবীদেরকে সাহায্য করতে বলবেন তখনই তারা ত্রিসীমানায় থাকবে না........হাহাহাহাহা।

আর ভীতি-জাগানিয়া পোস্টেও প্লাসের জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.