নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন কিরপিনের গল্প B-))

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৫



কিরপিন মা হাসান ভাই দেখি বহুদিন নিখোঁজ। বহুত টেনশানে আছি, কিরপিনগিরি করতে যাইয়া কই হারাইলো। আশা করি কিরপিনগিরির সানডে মানডে কইরা তাড়াতাড়িই ফিরা আসবেন। যাহোক, উনার অনুপস্থিতিতে কিরপিন পোস্ট মিস করছি তাই আমার দেখা কিছু কিরপিনের কিরপিনগিরি নিয়া আসলাম এবার :P

আমি তখন চাকরী করতাম একটা ইর্ন্টান্যাশনাল প্রতিষ্ঠানে। আমার মাথার উপর ছিল একজন ইন্টারন্যাশানাল বস্। যিনি প্রতিবেশী দেশের একজন। তো সেই ভদ্রলোকের মাসিক বেতন ছিল প্রায় ১০ লাখ টাকা। জ্বী, হার্টফেল করার কোন কারন নাই ব্লগবাসী। বাংলাদেশে এরকম ১০ লাখ টাকা মাসিক বেতনে অনেক অপদার্থ পোষা হয়। প্রায় তিন বছর তার সাথে কাজ করেছিলাম। এ বছর তিনেকে সে আমার জীবন সহ প্রজেক্টের বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছিল। যতদিন এ দেশে ছিল তাকে দেখেছি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের দেশের বদনাম করতে। আর আমাদের দেশের কিভাবে বাঁশ দেয়া যায় তা নিয়ে বিস্তর গবেষনা নিয়ে ব্যাস্ত থাকতে। যাহোক, তার কিছু দৈনন্দিন গাল-গপ্প নিয়ে আমার আজকের পোস্ট।

তার ফানি সব কাজের মাঝে আমার সবচেয়ে সবচেয়ে মজা লাগতো যখন পিয়নের সাথে ২ টাকা ৮০ পয়সা নিয়া আশি মিনিট ঝগড়া করতো। বিষয়টা এরকম, ভদ্রলোক প্রায় রিক্সা করে অফিসে এসে ভাংতি নাই অজুহাতে দাড়োয়ান পিয়ন সবার কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন। তারপর সে টাকা দেবার কথা বেমালুম ভুলে যেতেন। যার কারনে উনাকে রিক্সা দিয়ে আসতে দেখলেই দাড়োয়ানরা গেইট ছেড়ে পালাতো। সে একটা দেখার মতো দৃশ্য হতো। আমার দোতালা জানালা বরাবর গেইট দেখা যেত। যখনই দেখতাম দায়োনরা ভো দৈাড় দিচ্ছে তখনই বুঝতাম বস আইসা পড়ছে।

দাড়োয়ানকে না পেলে ভদ্রলোক সোজা অফিসরুমে ঢুকেই বেল টিপে পিয়নকে বলতো রিক্সাওয়ালাকে টাকা দিয়ে আসতো। প্রথম দিকে হয়তো কিছু দিতো বেচারা পিয়ন কিন্তু পরে সে চালাক হয়ে যায়। মুখের উপর টাকা নাই বলে দিব্বি দাড়িয়ে থাকতো। তখন বস সাহেব তার পকেট চেক করতে চাইতো। আর পিয়ন তার পকেটের সব খুচরা একসাথ করে টেবিলে রাখতো। আর ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজি হিন্দি মিশিয়ে বলতে থাকতো "খুচরা নেহি হায়, নো টাকা পয়সা। সব খরচ হো গিয়া"। এ দৃশ্য ছিল এক দেখার মতো। আমি ফ্রি তে সিনেমা দেখতাম আর নিজের মতো করে হাসতাম।

যখন পিয়ন থেকে কিছু খসাতে পারতো না তখন বলতো, যাও অফিসের অন্য যাও কারো কাছ থেকে নিয়ে আসো। এর পর থেকে পিয়ন বেচারা আমাদের যাকেই সামনে পেতো তার থেকে টাকা চাইতো। এভাবে জনে জনে টাকা খোঁজা আর নীচ থেকে রিক্সাওয়ালার চেঁচামেচি....। আরেকটা নতুন দৃশ্যের স্যুটিং।

কিন্তু আমার দশ লাখ টাকা বেতনের বস সে টাকা শোধ দিতে বেমালুম ভুলে যেত। এবং এ নিয়ে তুমুল ঝগড়া চলতো তাদের মাঝে। পিয়ন সাহেবও ছেড়ে দেবার বান্দা ছিল না কোনভাবে! হিসাব নিকাশ নিয়ে বসে পড়তো। আর এ টাকার হিসাব রাখার জন্য সে রীতিমত নোটবই পকেটে নিয়ে ঘুরতো।

যাহোক, তো বস একবার আমারে বললো, তোমাদের দেশের কেকের স্বাদ এতো খারাপ। প্রতি কামড়ে বালি দাঁতে লাগে।

আমি খুব অবাক হলে বল্লাম, সারা বিশ্বের বেস্ট কেক আমরা বানাই। একবার খেলে নাম ভুলে যেতে হয়। তা তুমি কোথা থেকে কেক কিনেছো?

সে উত্তর দিলো, ওই যে রাস্তার পাশের ঠেলাওয়ালারা যে কেক নিয়ে বসে থাকে সেখান থেকে।

আমার হার্টফেল অবস্থা। অনেক কষ্টে সামলে বল্লাম, ওইখানেতো আমাদের রিক্সাওয়ালারা বসে চা সিগারেট আর কেক খায়। সেটা একান্তই তাদের উপযোগী করে সস্তায় বানানো। তুমি আর কোথাও থেকে কেক খাও নাই?

সে বললো, না। আমি বাংলাদেশ থেকে কিছু কিনি না। দুই মাসে একবার ইন্ডিয়া যাই আর আসার সময় চাল ডাল তেল পেয়াজ আদা রসুন থেকে শুরু করে তার যাবতীয় দুই মাসের বাজার করে আনি। কিন্তু নাস্তার আইটেম শেষ হয়ে যাওয়াতে বাধ্য হয়ে কেক কিনলাম।

শুনে আমার আবেগে দু'চোখে পানি এসে গেল। আহারে, এমন গরীব মানুষ, দশ লাখ টাকা বেতনেও তার হয় না। ফুটপাথ থেইকা কেক কিনে খায়।

যাক ভাবলাম ব্যটা আমার দেশের এভাবে বদনাম হয়ে যাচ্ছে তাই তারে ভালো কিছু কেক খাওয়াই। তাই একদিন কুপার ও মি: বেকার থেকে কিছু কেক কিনে তার জন্য নিয়ে গেলাম। সেটা খেয়ে খুব অবাক হয়ে বললো, আরে এতো দেখি অসাধারন! কেমন দাম নিলো?

কেকের দাম শুনে তার এবার হার্টফেইল করার অবস্থা। বললো, ও নো, ইটস্ ভেরী এক্সপেন্সিভ। আই কেন্ট বিয়ার!

আমি ভাষা হারায়ে ফেল্লাম তার গরীবানা শুইনা।

যতদিন আমাদের সাথে ছিল কোনদিনই তাকে একটা পয়সাও দেশে খরচ করতে দেখি নাই। অফিসের কোন প্রোগ্রামে চাঁদা দেবার কথা শুনলে সে পালিয়ে বেড়াতো। কিন্তু খাবার সময় ঠিকই হাজির হতো। এবং অনুষ্ঠান শেষে কোন খাবার বাঁচলো কিনা তার হিসাব নিয়ে প্যাকেট করতো। তার এ হামলে পরার দৃশ্য ছিল দেখার মতো।

সে যে এ দেশে একটা টাকাও খরচ করে না তা নিয়ে বেশ গর্ব করে বলতো।

একবার তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কেন সে এরকম বাজার মাথায় করে আনে ইন্ডিয়া থেকে। সে উল্টা অবাক হয়ে আমাকে হিসাব দিলো এ দুই মাসে সে কত টাকা সেইভ করেছে বাংলাদেশে বাজার না করে। তারউপর সে টাকা নিজের দেশেই খরচ করতে চায় অন্য দেশে নয়।

তবে আমি সবচেয়ে অবাক হতাম যে প্রায় আমার দেশে বসে আমার দেশের বদনাম করতো সে অথচ কিছু চামচা হা হা হি হি বলে তার সাথে যোগ দিতো। কাউকে তেমনভাবে প্রতিবাদ করতে দেখিনি। দেশের মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট সে বন্ধের সুপারিশ করে। সমস্ত ফান্ড বন্ধ করে দেয়।

একবার আমি প্রচন্ড রাগে ও বিরক্ত হয়ে তার কাছে কৈফিয়ত চাইলাম, এ প্রজেক্ট তোমার ভাত রুটির বন্দোবস্ত করছে আর তুমি তা বন্ধের সুপারিশ করছো কেন?

সে খুব সহজে উত্তর দিলো, দেখো আমি আমার স্বার্থই দেখবো সবসময়। ইন্টারন্যাশানাল কনসালটেন্ট হিসেবে আমার সর্বোচ্চ মেয়াদ ৩ বছর। আর ছয় মাস পরেই আমার কন্ট্রাক্ট ক্লোজ হয়ে যাবে। তারপর বাংলাদেশে আমি আর চাকরী করতে পারবো না। এখন এ প্রজেক্ট বাংলাদেশ না পেলে ইন্ডিয়া অথবা আফ্রিকা পাবে। আর ইন্ডিয়া বা আফ্রিকা পেলেই আমার সেখানে জব হবে। কারন বাংলাদেশে আমি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা দিয়ে সহজেই সেখানে কন্ট্রাক্ট পাবো। বাংলাদেশ প্রজেক্টটা পেলেতো সে সুযোগ আমার থাকবে না।

তারপর তার সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করেকিভাবে প্রজেক্টটা উদ্ধার করেছিলাম তার গল্প আরেকদিন হবে।

যাইহোক, এ জীবনে যত কিরপিনের দেখা পেয়েছি সবই বলতে গেলে ছিল প্রতিবেশী রাস্ট্রের। এখন কানাডায় বসেও আমার এক কলিগ আছে। প্রতিদিন তার কাজ-কর্ম দেখে নিজেই হাসতে হাসতে অজ্ঞান হ্ই। সেই গল্পও আরেকদিন হবে।

সবাই ভালো থাকেন। আর পারলে দয়া করে কিরপিন মা হাসান ভাই আর শেরশাহ ভাইরে যেখান থেকে পারেন ধইরা আনেন। উনাদেরকে ছাড়া ব্লগ মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। এদিকে কাভা ভাইও দুইদিন পর পর কান্নাকাটি কইরা পোস্ট দেয় উনাদের খরায় :P

ও ভালো কথা, আমি কিন্তু এখন টিন এইজে। মানে ১৩ তে পা দিলাম। তাই বুইঝা শু্ইনা কথা কইয়েন। টিন এইজরে সামাল দেয়া কিন্তু বহুত কঠিন B:-/

ছবি: গুগুল মামা!

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কী, ওনার কিরপিনগিরি পড়ে আমার নিজের কাছে হাসির বদলে লজ্জা লাগতেছিল- মানুষ কীভাবে এমন ছ্যাচড়া হইতে পারে। তবে, তাদের কিরপিনগিরির কথা সর্বজনবিদিত।

তার সাথে তাল মিলিয়ে যারা এই দেশের বদনাম করতো, তাদের গালে কয়েকটা জুতার আঘাত রইল।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৯

সোহানী বলেছেন: সোনাবীজ ভাই রে, এটাতো তিন বছরের সামারি বল্লাম। কিন্তু এরকম একটা নেগেটিভ মানুষরে দিনের পর দিন সহ্য করা যে কঠিন তা বলে বোঝানো যাবে না।

আর যারা করতো তারাও তাদের স্বার্থে করতো। তারে খুশি না করলেতো তাদের চুরি, দুই নাম্বারীতে তো সে সাথ দিবে না। সোজা হিসাব। আর এরকম লোকই বেশী।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




প্রথমত ১০ লক্ষ টাকা বেতনভূক্ত কর্মচারী যখন রিক্সা বাহনে যাতায়াত করেন ধরে নিতে হবে ৭০’র দশক! - আল্লাহ মাফ করুন আপনি এই বয়সের হবার কথা না। আর ৭০’র দশকে বাংলাদেশে কারো দশ লক্ষ টাকা বেতন ছিলো আমার জানা নেই (হতেও পারে, অর্থাৎ আমার জানা নেই) - মজা করেছি। ভদ্রলোকের বাসা থেকে অফিস পায়ে হাটা দূরত্ব যা কিনা তিনি অফিসে কর্মরত কর্মীদের টাকায় রিক্সা ব্যবহার করতেন বলে ধারণা করছি।

ভারতীয় ভদ্রলোকের যে বিবরণ দিয়েছেন, বিবরণে আমার কাছে মনে হয়েছে ভদ্রলোকের বাড়ি নির্ঘাত হায়দ্রাবাদ/পশ্চিমবঙ্গ হবে। কারণ এই দুই এলাকার লোকের মতো টাকা পয়সা নিয়ে এতো বেহুশ/অজ্ঞান লোক সমগ্র ভারতে আর নেই। - আমার সাথে আমার বোন জুন আপা একমত হবেন আশা করছি।

কর্মজীবনে আমার এই দূর্লভ অভিজ্ঞতা আছে। ভারতীয় ইংলিশ অ্যাকসেন্ট (অনেকটা গানের স্বরে ইংরেজি কথা বলা) যখন বলতেন yaar could you borrow me 500 pounds তখন মনে হতো কতোদিকে কতো জনের উপর বোমা পরছে এই হায়দ্রাবাদির উপর একটা ছোটখাটো বোমা পরে না কেনো?

সেই গল্প আরেকদিন - এটি আমার কথা। - যাইহোক ভাইবোনের ভাষায় কথায় মিল থাকবে এটিই সাভাবিক। শুভ কামনা রইলো বোন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৬

সোহানী বলেছেন: তখন সরকার হাড়ি ছিল কিন্তু বুঝেনইতো সরকারী গাড়ির অবস্থা। যেদিন গাড়ি গ্যারেজে বা অন্য কোথাও থাকতো সেদিনই এটা চলতো।

তার বাড়ি দিল্লি, আগেই উল্লেখ করেছি। প্রচুর পশ্চিমবঙ্গ মানুষ পেয়েছি এবং কম-বেশী একই রকম। তবে হায়দ্রাবাদী পেয়েছি কিনা বলতে পারছি না। আর কানাডায়তো লক্ষ লক্ষ ইন্ডিয়ান। তাদের কারো বাড়ি হায়দ্রাবাদ কিনা জানতে চাই না। এখানে দেশ হিসেবে আলাদা করা হয়, দেশের প্রভিন্স হিসেবে নয়।

হাঁ, তাদের ইংলিশ এ্যাক্সেন্ট অনেকটা টক টক করে বলা। অবশ্য স্বাভাবিক, এ্যাক্সেন্ট ভিন্ন হবেই। তবে তাদের ইংলিশ ভালো, অন্তত আমাদের চেয়ে।

আপনার গল্প শোনার অপেক্ষায়।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যাক আপু শেষ পর্যন্ত মানলেন হারহাভাতের শীর্ষে আপনার প্রতিবেশী দেশ। মানুষের নগ্নতা অবক্ষয়তা বোঝার জন্য চোখ লাগেনা লাগে অনুভূতি।সেটা যে বোঝার আট বছর বয়সেই বুঝতে পারে আর না বোঝার হলে আশিতেও বুঝতে পারবে না। আমার এরকম অভিজ্ঞতা অনেক আছে।কয়েকটি উল্লেখ্য।
১-প্রবীন সহকর্মী বিলুবাবু। কর্মজীবনের প্রথম বছরে একটা বিশেষ উপলক্ষে দশটাকা চাইতে গেছি।চোখ মুখ বাঁকিয়ে পেটের সমস্যা দূখিয়ে ওসব উনি খাবেন না বলাতে আমি ফিরে আসি।পরে দোকান থেকে খাবারদাবার কিনে ওনাকে বাদ দিয়ে বাকি সবাইকে পরিবেশন করলে উনি প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হন।দুদিনের ঢুকেই উনার মত একজন সিনিয়রকে এমন অমান্য করাতে আমার ঊর্ধ্বতনের কাছে কাছে আমার নামে নালিশও করেন। যদিও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। মলত্যাগ ও মূত্রত্যাগ ছাড়া কিছুই যে উনি ত্যাগ করতে পারেন না সেটা সর্বজনবিদিত।
২-জীবনের কোন একটা পর্বে শিক্ষকতা পেশায় নাম লিখিয়েছিলাম।ক্লাসে পড়ানোর জন্য বিভিন্ন পাবলিশার্স থেকে প্রচুর বই পাওয়া যেত। আমাদের টেবিলের সামনেই থাকত স্পেসিমেন কপিগুলো। মাঝে মাঝে দেখি সেগুলো হাফিস হয়ে যায়। কে নিয়ে যান বা বইগুলো কোথায় যায় তার কোন হদিস পেতামনা। একজন সিনিয়র সহকর্মীর ছেলের অন্নপ্রাশনে অতিথি হিসেবে ওনার বাসভবনে গিয়ে দেখি আলমারিতে বইগুলোর পিছন দিক ফ্রন্টৈ রাখা। বাংলার এক মাস্টারমশাই স্রেফ কৌতূহলবশত কয়েকটি বই সোজা করতেই দেখি ইতিপূর্বে আমাদের হারিয়ে যাওয়া সব বই সেখানেই যত্ন করে গচ্ছিত রাখা। আমরা সেদিনে স্রেফ নীরব দর্শক হয়েছিলাম। সৌজন্য ভদ্রতাবশত সে কথা আজও মুখে বলতে পারিনি। তবে সেদিনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তার কখনো টেবিলে বই রাখতাম না। উল্লেখ্য চুরির হাত থেকে রক্ষা করতেই বাংলার মাস্টারমশাই রিটায়ারমেন্টের সময় স্টাফ রুমের সব জায়গাতেই আলমারির ব্যবস্থা করে গেছিলেন।
৩-বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা বাসে যেতে হতো। সহযাত্রী ছিলেন আমারই সিনিয়র এক সহকর্মী। বাসে উঠেই সে ভদ্রলোক একদম পিছনে চলে যেতেন। আমি ছিলাম সে দাদা বলতে অজ্ঞান। ভীষণই কৌতুক করতেন। সুতরাং উনার ফ্যান হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। টিকিট পরীক্ষক ভাড়া চাইলে নিজের সঙ্গে দাদার ভাড়াটাও মিটিয়ে দিতাম। কিন্তু কোন একদিন উনি আর পিছনে যেতে পারলেন না। এদিন কন্টাকটার ওনার কাছে ভাড়া চাইলে পকেটে হাত দিয়ে খুচরা নাই বলে শুধুমাত্র নিজের ভাড়াটা মিটিয়ে দেন। আমি অবশ্য সেদিন খুব খুশি হয়েছিলাম। কারণ এরপর থেকে আমার সৌজন্য দেখানোর তাকিদটি উঠে যায়।
৪-কাঁথি থেকে বাস ধরে সাতমাইল নামে একটি জায়গায় এক বন্ধুর বাড়িতে ঘুরতে গেছি। সকালে দুজনে মিলে প্রকৃতির ডাকে খোলা মাঠে চলে যায়। নির্মল প্রকৃতির মাঝে কাপড় উচু করে এভাবে হাওয়া খাওয়ার মজাই নাকি আলাদা, অবশ্য বন্ধুর কথানুযায়ী। এরপর জল খরচ করতে একটা পুকুরে যেতে হবে। কিন্তু তার আগে আমরা ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম। আমাদের মত পাঁচ-সাতজন দেখি একটু দূরে পা ঘষাঘষি করছে। এভাবে সময় নষ্ট করার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই, এখন ওখানে মা কাকিমারা আছে। আমি অবাক হয়ে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। যাই হোক নিজেদের ধৌত করে মাটিতে হাত ঘষে ওর জেঠুর বাড়িতে নিয়ে গেল। পরিচয় করিয়ে দিলো ভদ্রলোকের সঙ্গে। খুব আদর করে আমাদের চা বিস্কুট খাওয়ালো। যখন উঠবো,
-বাবু তোমাদের নয় টাকা হয়েছে।
বন্ধু আমার মুখের দিকে তাকাতেই বুঝে যায় ওর মুখের ভাষা।
আমি তৎক্ষণাৎ বলি, যাওয়ার আগে টাকাটা আমিই দিয়ে যাবো। উল্লেখ্য ওরা দুজনেই খুব খুশি হয়।
এমন আতিথেয়তা কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই জানলে হয়তো টাসকি খেয়ে যাবেন।


এরকম আরো অনেক অভিজ্ঞতা আছে কিন্তু আর দীর্ঘায়িত করবো না।




১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৮

সোহানী বলেছেন: পদাতিক ভাই, কিছু মনে করেইন না। আমার অভিজ্ঞতা কিন্তু ভয়াবহ তাদের নিয়ে। কিন্তু আপনার অভিজ্ঞতা শুনে মূর্ছা যাচ্ছি বিশেষ করে শেষেরটা শুনে। বাকি দুটি তবু মানা যায় কিন্তু অতিথিকে চা বিস্কিট খাইয়ে পয়সা চাইতেতো এ জীবনে শুনি নাই।

আমরা বাংলাদেশীরা পৃথিবীর যেখানেই থাকি মানুষকে খাওয়াতে পেরে দারুন খুশী হই। এখানে এখনো এবাবেই চলে। আমি একার কথা বলছি না, প্রায় প্রত্যেকেই এরকম। আমরা এ বাসা ও বাসা প্রায় রান্না-বান্না চালাচালি করি। তবে সত্য যে একজনই আমার প্রতিবেশী আপনাদের দেশের। তাকে এ পর্যন্ত কারো বাসায় কিছু পাঠাতে দেখি নাই এতোটা বছরে। এবং সত্য যে তাদের কমিউনিটি সম্পূর্ণ তাদের। ব্যাতিক্রমও আছে নিশ্চয়। কিন্তু আমি এ পর্যন্ত তাদের সাক্ষাত পাই নাই।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: কিরপিন হওয়াটা মনে হয় দোষের নয়। টাকা জমানো যায় =p~ আমার এক ইন্ডিয়ান ্প্রতিবেশিকে একবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম রাতে ডিনারে কি খায়। সে বলল একেকদিন একেকরকম। যেমন আগের রাতে খেয়েছে ডাল চাওল। আমি বললাম সাথে তরকারী কি ছিল? সে বলল তরকারী কেন থাকবে, ডালতো ছিল। #:-S

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩১

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা........

আমার এক ইন্ডিয়ান প্রতিবেশীর বাজরের হিসাব দেখে মূর্ছা গেছিলাম। সে গল্প আরেকদিন।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:



সোহানী আপু পোষ্ট পড়ে খুবই মজা পেলাম :)
আমার অবশ্য তাদের কাছ থেকে ভালো মন্দ দুই রকমের অভিজ্ঞতাই আছে ।

একবার প্রয়োজনে সিডনির বাইরে অন্য শহরে যাচ্ছি, তখন এক সাউথ ইন্ডিয়ান কলিগ তার কাজিনকে বলেছে ওখানে আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করতে আর কোম্পানি দিতে যেহেতু সে ওখানকার লোকাল । যদিও তার কোনও দরকার ছিলোনা । ভাবলাম যাচ্ছি কোনও গিফট নিয়ে যাই কাজিনের জন্য । কলিগ জানতে চাইলো কি কিনেছি, বললাম একটা পারফিউম । সে প্রায় ফিট হয়ে যায়, বলে তুমি টু ডলার শপ থেকে কিছু কিনতে পারতে । অথচ এটা কিন্তু তার কাজিনের জন্যই নিয়েছি ।

এবার কাজিনের গল্প বলি , তার নাম হচ্ছে এনাক । যেহেতু ছেলেটা আমাকে রিসিভ করলো প্লাস কোম্পানি দিয়েছে আমি তাকে বেশ কয়েকদিন রেস্টুরেন্টে নিয়ে লাঞ্চ করিয়েছি । সে আমাকে একদিন ডিনারে ডাকলো । নিজে এসে নিয়ে গেলো স্পেশাল ডিনার করাবে । যাবার পর দেখি ওখানে রান্নার কোনই আয়োজন নেই, কোনও খাবারের স্মেল নেই । ফাইনালি খাবার আসলো লেবানিজ ব্রেড আর পালং পনির । এটাই ডিনার :|

এনাক আমাকে প্রশ্ন করে তোমাকে কি একটা ব্রেড দিবো নাকি হাফ ? আমিতো স্পিচলেস আপু :(
লজ্জায় তাকে বললাম হাফই দাও । তখন জানতে চাইলো সাথে কি একটু বাটার দিবো নাকি এমনি খাবে । গড হেল্প মি ! বললাম এমনিই খাবো । মনে মনে বললাম শুধু শুধু বেচারার বাটার আর নাই খাই , সেভ করুক । এটাই ছিলো স্পেশাল ডিনার ।

খাবার সময় আর পারলাম না বলেই ফেললাম, তুমি বলছিলে আজ ডিনারটা স্পেশাল , কেনো ? উত্তর দিলো, আমি নরমালি শুধু পালং খাই, তুমি আজ আসবে বলে পনির দিয়েছে সাথে । ওহ মাই গড আপু, দম বন্দ হয়ে যাচ্ছিলো কতক্ষনে ওখান থেকে আসবো আমি । ফিরে এসে প্রানভরে হাসলাম , সামনে হাসতে পারছিলাম না =p~

আমরা বাংলাদেশীরা নিজেরা খাদ্যরসিক, খেতেও পছন্দ করি, খাওয়াতেও পছন্দ করি । এটা সত্যি ওরা ভাইবোন কাজিন দুজনেই খুবই আন্তরিক ছিল । মুখে মিষ্টি আর হেল্পফুল :)


১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৫

সোহানী বলেছেন: হাহাহা ডল আপু, আপনি তার পনির খরচ করালেন তা স্পেশালতো হবেই। ভাগ্যিস বাটারটা খরচ করেন নাই।

আমার এরকম অভিজ্ঞতা আছে। তারা কেন যেন খাবারের পিছনে কোনভাবেই খরচ করতে চায় না। আর আমরা যে খাবার নিয়ে এ বিলাশিতা করি এটা তাদের মগজে কিছুতেই আসে না।

আমি তাদের কৃপনতা নিয়ে মাইন্ড করি না। কিন্তু তারা আমাদেরকে মারাত্বক আন্ডারমাইন করে সেটা আমি প্রচন্ড অপছন্দ করি। এমন একজন ভারতীয় পাইনি যারা আমাদেরকে সন্মান দিয়েছে। তারা ধরেই নেয় আমরা হলাম হাভাতের দল। তাদের দয়ায় আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। যেটা আমি একেবারেই সহ্য করতে পারি না।

একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।

সুইজারল্যান্ডে একটা ট্যুরে অফিসিয়াল গেছিলাম ১০ দিনের জন্য। যেহেতু কাজটা ৫ দিনেই শেষ হয়ে যায়। তাই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছিলাম। ল্যুসানে সেরকম এক দল ভারতীর দেখা পাই। কথায় কথায় যখন জানলো আমি বাংলাদেশী তারা রীতিমত অবাক হলো ও বললো,

তুমি বাংলাদেশী মুসলিম হয়েও একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছো? দেশে গেলে তোমাকে মেরে ফেলবে না? তোমাদের মেয়েরাতো জানি ঘর থেকেই বের হতে পারে না। তাদের বোরকা পরে ঘরেই বন্দী করে রাখা হয়....। ব্লা ব্লা ব্লা।

আমি হাসুম না কাঁদুম বুঝি না, ভাষা হারায়ে ফেলেছিলাম।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



কি প্রজেক্ট ছিলো, কারা ফাইন্যান্স করতো? ভারতীয়রা পংগোপালের মতো, যেখানে যায়, উহা শেষ।

মা হাসান কি অন্য নিকে আছেন? শের শায়েরী'কে মাস'খানেক আগে একরার কিছুক্ষণের জন্য লগিন করা দেখেছিলাম।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৮

সোহানী বলেছেন: এটা হেলথ্ পজেক্ট ছিল ডব্লিও এইচ ও এর আন্ডারে।

"ভারতীয়রা পংগোপালের মতো, যেখানে যায়, উহা শেষ।"... ঠিক। এবং একজন কোনরকমে কোথাও ঢুকতে পারলে পুরা ইন্ডিয়ানদেরকে নিয়ে আসে। এটা কিন্তু বিশাল গুন তাদের। আর আমরা বাঙ্গালীরা পারলে লাথি মারি স্বদেশীদের।

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশে আমার এক ভারতীয় বস একবার আমাদের সাথে বিয়ের দাওয়াত খেতে গেলো। খাওয়ার পরে আমাদের মত ওনার হাত ধোয়ার জন্যও বেয়ারা গরম পানি আর সাবান দিলো টেবিলে ( যদিও আমি নিজেও এই বিশেষ কায়দায় বখশিস আদায় পছন্দ করি না। তারপরও অনেক সময় ওদের ফাঁদে পরে যাই। )। উনি এবং আমরা হাত ধুলাম। আমরা বখশিস দিলাম। উনি আমাদের বললেন বখশিশ দিয়ে দিতে কারণ ওনার কাছে বাংলাদেশী টাকা নেই। আসলে উনি সব সময়ই ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা সাথে রাখতেন না যেন ওনার সাথের লোকেরা টাকাটা দিয়ে দেয়। বেশীর ভাগ সময়ই বাইরে গেলে উনার সাথে দেশী কেউ না কেউ থাকত আর উনি তার সুযোগ নিতেন। ওনার জন্য আলাদা বাসার ব্যবস্থা ছিল কিন্তু উনি সেই সুবিধা নেন নাই। উনি গেস্ট হাউসে থাকতেন কারণ সেখানে থাকলে উনি বিনা মূল্যে গেস্ট হাউসের বাবুর্চি কাম পরিচারকের সেবা নিতে পারবেন। আলাদা বাসা নিয়ে থাকলে এই খরচ ওনাকে দিতে হবে। এতো হিসাব আমরা বাঙ্গালীরা অবশ্য বুঝি না। আমরা করি উল্টাটা। আমরা ধার করে ঘি খাই। দুইটাই খারাপ অভ্যাস।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫২

সোহানী বলেছেন: আমরা ধার করে ঘি খাই সত্য। কিন্তু এরকম নির্লজ্জতা করি না। ওদের টাকা খরচের কৃপনতা দেখলে নিজেই লজ্জা পাই। বিশেষ করে কোনভাবেই খাবারের পিছনে খরচ করে না। তবে এটা সত্য যে ওরা কিন্তু ঘুরাঘুরির পিছনে অনেক খরচ করে।

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি কৃপণ মানুষ নই। কৃপণতা আমার পছন্দ না।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫২

সোহানী বলেছেন: আমিও ক কৃপণতা পছন্দ করি না।

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ব্যস্ততার কারণে কোনো পোস্টের কমেন্ট পড়া হয় খুবই কম, যদি না সেটা কোনো বিশেষ বিষয়ের উপর হয়। এই পোস্টের কমেন্টগুলো পড়তে যেয়ে তো আমার ভিমড়ি খাওয়ার দশা হইয়া গেল। অন্য কোন বিশেষণ দিয়া আমার অবস্থা বোঝাবো, বুঝতে পারছি না। ডুলু, পচৌ আর সাচুর কমেন্ট পড়ে আসলে আমি আবারও নিজেই লজ্জা পাচ্ছি।

তবে, আলোচনাটা খুব একপেশে হয়ে যাচ্ছে। কিছু ভালো মানুষের কিছু ভালো দিকের কথা না বললে আমি নিজের কাছেই অপরাধী হয়ে থাকবো। সুদানে আমার ইমেডিয়েট বস ছিলেন একজন ভারতীয়। তার বাসায় দাওয়াত খেয়েছিলাম আমেরিকান, ব্রিটিশ, আরো কয়েকটা দেশের মানুষ একত্রে। আয়োজন ছিল গর্জিয়াস, হাইলি ইম্প্রেসিভ।

ইন্ডিয়ায় বেশ কয়েকটা উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে তাদের আয়োজন দেখেছি। ওগুলো সারাজীবন মনে রাখার মতো।

তারপর তাদের আপ্যায়নের কথা বলি। আমি কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের সময় কোলকাতায় ৪ মাসের মতো ছিলাম। আমার জন্য ১টা পাজেরো, ১জন ড্রাইভার, ১জন সহড্রাইভার ও একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট এই ৪ মাসের জন্য সম্পূর্ণ ছেড়ে দিয়েছিল, যদিও সবসময়ের জন্য আমার এসবের প্রয়োজন হতো না।

একবার বাংলাদেশে একটা ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্টে, আমেরিকা, চায়না, তুরস্ক, পাকিস্তান, ইন্ডিয়া, নাইজেরিয়া, মায়ানমারসহ প্রায় ১৫টা দেশের শতাধিক সদস্য ১ বছরের কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছিলাম। সেখানে পালাক্রমে প্রতিটা দেশই কান্ট্রি প্রেজেন্টেশনের আয়োজন করতো। প্রেজেন্টেশন শেষে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। প্রায় ২২ বছর আগের কথা। আমার এখনো মনে পড়ে, ইন্ডিয়ান আয়োজন ছিল সেরা আয়োজনগুলোর একটা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৩

সোহানী বলেছেন: সোনাবীজ ভাই, অবশ্যই ভালো এবং উদার মানুষ আছে। কিন্তু আমারি এমনই পোড়া কপাল এরকম কারো সাথে এ পর্যন্ত দেখা পাই নাই। উপরে যারা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে তারাও আমার মতোই পোড়া কপালী.........

শুধুমাত্র আমার একজন ভারতীয় কাশ্মিরী বান্ধবী আছে। সে এক্সেপশান। তারউপর কানাডায় বলতে গেলে ইন্ডিয়ানদের রাজত্ব। ওদের নিজেদের মাঝেই ওরা থাকে।

আপনার অভিজ্ঞতা শুনে ভালো লাগলো। এরকম গাড়ি বাড়ি সহচর দেবার ঘটনা বিশাল। দেশেই তো আমরা এরকম সার্ভিস কাউকে দেই না। আপনি ভাগ্যবান বটে।

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু গতসপ্তাহে মা.হাসান ভাইয়ের সঙ্গে একটা যোগাযোগ হয়েছিল।আগে পেশাগত কারণে মারাক্তক ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগে রিক্সা থেকে পড়ে গিয়ে আহত হন।হাতে চিড় ধরে। ল্যাপটপ চালানোর অবস্থায় নেই। এই সমস্যা মিটলে ব্লগে ফিরবেন বলে জানালেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৬

সোহানী বলেছেন: শুনে ভালো লাগলো যে উনি ভালো আছেন ব্যান্ডিজ নিয়েও। দেশে এই মোটর চালিত রিক্সা এটা বিরাট ঝামেলা। প্রায় এক্সিডেন্ট ঘটে।

যাহোক, উনার অপেক্ষায় থাকলাম।

১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩

জুন বলেছেন: পদাতিকের লেখায় মা হাসান সম্পর্কে জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনার কিরপিন উপাখ্যান নিয়ে কি আর বলবো ;)
তবে আপনি যা বর্ননা দিলেন তার ব্যাতিক্রমও আছে সোহানী, যাদের দু একজনের সাথে আমাদের খুব ভালো যোগাযোগ আছে কিন্ত :)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৭

সোহানী বলেছেন: আপনিও সোনবীজ ভাই এর মতো এক্সসেপশান। আমি পোড়া কপালী। এখনো দেখা পাই নাই।

মা হাসান ভাই এর খোঁজ পেয়ে ভালো লাগছে।

১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫

জুন বলেছেন: আই মিন মাহা সম্পর্কে জেনে খুব খারাপ লাগছে এটা লিখতে গিয়ে কি লিখলাম :`>
আসলে লেখার সময় মাথায় কিরপিন ঘুর ঘুর করছিল :``>>
আসলেও মাহাকে ব্লগে খুবই মিস করছি।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৯

সোহানী বলেছেন: উনি ভালো অঅছেন সেটাই কথা। এবং ফিরবেন তাও জানলাম। সাময়িক বিরতি।

কিরপিন ওক'দিন ধরে আমার মাথায়ূ ঘুরছে তাই এ পোস্ট!!!

১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৬

মিরোরডডল বলেছেন:



শায়রীকে আমিও দেখেছিলাম অনলাইনে, তার মানে ভালো আছে । আর পদাতিকের মাহা আপডেট জেনে ভালো লাগলো যে হি ইজ ওকে, যদিও আহত কিন্তু রিকশা থেকে পড়ে যাবার কথা শুনে আবার হাসিও আসলো :) কারন এ ঘটনা আমারও হয়েছিলো কয়েকবার । একবারতো হাতও ভেঙ্গেছি । সে যে কি ব্যাথা !! কিন্তু এই ব্যথার মাঝেও প্রথমেই যেটা মনে হয়েছে পরিচিত কেউ কি দেখলো যে আমি পড়ে গেছি রিকশা থেকে ! :``>> মাহার জন্য শুভকামনা । মাহার ফানি কমেন্টগুলো খুবই মিস করি ।





১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৪

সোহানী বলেছেন: এই ব্যথার মাঝেও প্রথমেই যেটা মনে হয়েছে পরিচিত কেউ কি দেখলো যে আমি পড়ে গেছি রিকশা থেকে ! হাহাহাহা

আপনার রিকশা থেকে পড়ে যাবার কথা শুনে খারাপ লাগলো। এটা কিন্তু দেশে প্রায় ঘটে। এই সেদিনই আমার ফুফু এরকম অটো রিক্সা থেকে পড়ে মাস খানেক হসপিটালে। আসলে এ অটো রিক্সাগুলোতো কিন্তু ব্রেক নেই। একমাত্র প্যাডেলে কন্ট্রোল। তাই হঠাৎ ব্রেক করতে গেলেই দূর্ঘটনা ঘটে।

শায়রী ভাই আর মাহা ভাইয়ের পোস্ট সত্যিই মিস করছি।

১৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:



@ ধুলো

আমিও কিন্তু বলেছি যে ভালোমন্দ দুরকমের অভিজ্ঞতা আছে । যেমন আমার আরেকটা কলিগ ছিল সেও সাউথের । সিনিয়র, আমাকে অনেক আদর করতো । ফেস্টিভের সময় এটা ওটা মজার ভারতীয় খাবার নিয়ে আসতো সব আমাদের কলিগদের সবার জন্য , আর আমার জন্য স্পেশালি আলাদা বাসায় খাবার বক্স করে দিয়ে দিতো ।

ধুলো কি ভিআইপি নাকি ? #:-S কলকাতা গেলে কিন্তু ধুলো রেফারেন্স দিয়ে দিবে, কেমন ?
আমারও ওগুলো চাই ১টা পাজেরো, ১জন ড্রাইভার, একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ।
সহড্রাইভার না হলেও হবে , ওটা ধুলোর জন্য থাক :)







১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০২

সোহানী বলেছেন: হাহাহা সোনাজীজ ভাইতো ভিআইপিই..। বুঝলা না! নাইলে গাড়ি বাড়ি নারী (থুক্কু) সহচর দিয়া রাখে!!!

আমার কিছু লাগবো না খালি গাড়িটা লাগবে! খুব তাড়াতাড়িই যাবো বেড়াতে ইন্ডিয়া। বাকি কিছু লাগবো না.......... ;)

১৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: কিরপিনের টাইটেল দেখে ভাবলাম আমার স্টকে ওয়ার্ল্ড ফেমাস একটা স্টোরি আছে সেটা শেয়ার করবো। কিন্তু আপনার লেখা এবং মিরোর আপুর মন্তব্য পড়ে দেখলাম আমারটা কিছুই না, ফু দিলে উড়ে যাবে।

মাহা ভাই কবর পাহারা দিয়ে পুরষ্কার পেলেন অথচ গাড়ীভাড়া বাঁচানোর জন্য পুরষ্কার গ্রহণ করছেন না।
তবে এই গল্প পড়ার পর দেখলাম মাহা ভাই কিছুতেই কিরপিন ক্যাটাগরিতে পড়ছেন না কারণ উনি হরলিক্সের বয়ামের বদলে মিনি প্যাকেট কিনেন।

কিরপিন পর্ব ২ এর অপেক্ষায় রইলাম। যেহেতু আপনি ১৩ তে পা দিলেন তাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৯

সোহানী বলেছেন: হাহাহা.... ঠিক! মাহা ভাই কিছুতেই কিরপিন ক্যাটাগরিতে পড়ছেন না কারণ উনি হরলিক্সের বয়ামের বদলে মিনি প্যাকেট কিনেন।

আপনারটা ফু দিয়ে উড়ায়েন না। তার আগেই শেয়ার করবেন। আমরা একটু জ্ঞানী হই।

"মাহা ভাই কবর পাহারা দিয়ে পুরষ্কার পেলেন অথচ গাড়ীভাড়া বাঁচানোর জন্য পুরষ্কার গ্রহণ করছেন না।"..... পুরস্কার স্বরুপ রিক্সা থেকে ধাক্কা দেয়া হয়েছে যাতে এরপর গাড়ি কেনার চিন্তা করে কিরপিনগিরি ছাইড়া।

কিরপিন পর্ব ২ কবে লিখবো তার কিন্তু ঠিক নাই। আমি এরকম অসংখ্য পর্ব শুরু করি কিন্তু আর শেষ করতে পারি না.......।

শুভেচ্ছা নিলাম। আর সাবধানে থাকবেন কিন্তু!!

১৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: কমেন্ট করার পর পদাতিক ভাইয়ের ১০ নং মন্তব্য পড়ে মাহা ভাইয়ের এক্সিডেন্টের বিষয়টা জানলাম।
আশা করছি আল্লাহর রহমতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১০

সোহানী বলেছেন: আশা করি তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন মাহা ভাই আর শের ভাই।

১৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপু, আমিও কিন্তু টিন এইজে B-)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১১

সোহানী বলেছেন: আসেন তাইলে আমরা একসাথে জন্মদিন পালন করি। B-)B-)B-)B-)

১৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: টিন এইজ এ পদার্পণে অভিনন্দন! আমার তো সবেমাত্র স্কুলে যাবার বয়স শুরু হল! :)
আপনার 'মহাকিরপিন' প্রাক্তন বস এর কাহিনী পড়ে যুগপৎ বিনোদিত এবং বিরক্ত হ'লাম। এমন কিরপিনও মানুষ হতে পারে! অপেক্ষায় আছি, কবে আমাদের স্বদেশী কিরপিন আপনার এ পোস্টে এসে একটি বা একাধিক যুতসই মন্তব্য করবেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, তার এহেন হঠাৎ করে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ায় বেশ উদ্বিগ্ন বোধ করছিলাম, কিন্তু পদাতিকের লেটেস্ট রিপোর্টে কিছুটা স্বস্তি পেলাম। তবুও, যতদিন না তিনি ব্লগে তার উপস্থিতি জানান দিয়ে যাচ্ছেন, ততদিন পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারবো না।
আমাদের প্রতিবেশিরা খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারটকে বেশ সহজ করে নিয়েছেন। প্রবাসে থাকাকালীন দেখেছিলাম, আমাদের এক বন্ধুপত্নী সারাদিন টই টই করে ঘুরে দুপুরে স্কুল থেকে বাচ্চাদেরকে নিয়ে এসে আধঘন্টার মধ্যে লাঞ্চ প্রস্তুত করে বাচ্চাদেরকে খাওয়াতো। লাঞ্চ কী? টেবিলটা তাড়াতাড়ি একটা ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে আগে থেকে তৈরি করে রাখা ময়দার ডৌ বেলে গরম তেলে ভেজে লুচির মত কিছু একটা বানিয়ে সকালের বেঁচে যাওয়া সব্জী আর দই দিয়ে বাচ্চাদের সামনে দিত, খেলে খাও নইলে না। বাচ্চাদের 'না-খাওয়া' নিয়ে ওনারা আমাদের মা দের মত হা পিত্যেশ করতেন না।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৮

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা........ আপনার স্কুলের যাত্রা সবসময়ই শুভ।

মহাকিরপিন কত প্রকার কি কি তা যদি জানতে চান তাহলে বলবো তাদেরকে বন্ধু বানান। নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরবে নি:শন্দেহে।

মাহা তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে এই আশা করি।

এরকম লাঞ্চ ট্রিটমেন্ট আমাদের বাচ্চাদেরকে দিতে হবে। আমাদের বাচ্চারা মনে করে তারা খেয়ে আমাদের উদ্ধার করে। আমাদের হা-পিত্যেশ এর কারনে এরা নিজেদের ভিআইপি ভাবে।

আপনি আমার আগের পোস্টটি পড়েননি, পড়ার অনুরোধ থাকলো।

১৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৫

রামিসা রোজা বলেছেন:

সোহানী আপা ,
আপনার কিরপিন বসের আপাদমস্তক কিপটামি পড়ে মনে
মনে ভাবছি পরিবারের বিশেষ করে বউয়ের সাথে এই
নিয়ে না জানি কতো ঝগড়াঝাটি হয় ।

মা হাসান ভাইয়ের খবর শুনে স্বস্তি পাইলাম ।
খায়রুল আহসান ভাইয়ের মন্তব্য খুব মজার হয়েছে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৯

সোহানী বলেছেন: একটুও হয় না বউয়ের সাথে ঝগড়াঝাটি। কারন তাদের বউরাও সেরকম। =p~

২০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৮

শাহ আজিজ বলেছেন: আমার সমসাময়িক তিন ভারতীয় , একজন মরদ দুইজন মহিলা , এরা বাসের টিকেট কাটত না । সামনের দরজা দিয়ে উঠে ঠেলে ঠুলে পেছনের দরজায় হাজির থাকত , নামার সময় টিকেট কই জিজ্ঞেস করলেই বাসের ফ্লোর খোজা খুজি শুরু করলে কন্ডাক্টর ওদের নামিয়ে দিত । একবার আমি টিকেট কিনেছি বলে ওরা সেকি বিস্ময় ! আমাকে বোকা বলল । একটা হাড়িতে ডাল এনে আমায় বলত আও এক কাঠঠে খানা খাতে হ্যায় , তুম চাউল কা এন্তেজাম কর । আমার স্ত্রী পৌছালে খুব চলতে শুরু করতেই আমি সাবধান করলাম যে এরা পুরাই ধান্ধা বাজ । কিছু একটা ভুলে রুমে ফিরে দেখি আমার ইন্ডিয়ান মরদ আমার আফটার শেভ লোশন গানা গাতে গাতে এস্তেমাল কর রাহে হ্যায় । বাস ভাড়া ১ টাকা থেকে তিন টাকা ছিল কিন্তু তাও মেরে দিত ।

রম্য সত্য গল্প খুব ভাল লাগলো ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৪

সোহানী বলেছেন: ও মাই গড আপনি এইটা কি শুনাইলেন। এতো দেখি কঠিন অবস্থা। কেমনে আপনি এদের সাথে চলেছেন! আমিতো অফিসেই বসে দম বন্ধ হয়ে যেত।

আল্লাহ রক্ষা করুক কোন ইন্ডিয়ানদের সাথে যেন চলতে না হয়।

২১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,





আমিও ভাষা হারায়ে ফেল্লাম আন্নের এমুন কিরপিনের গপ্পো পইড়রা। তয় আমাগো " মা হাসান"কে হারাইতে পারে নাই। বাঙালি মোগো হারাইবে এমুন কেউ জন্ম হয় নাই। :D :) ( মা হাসান নিশ্চয়ই এবার ছিনা টান করে হাটবেন :P )

এটা ঠিক ভারতীয়রা ক্যালকুলেটিভ খরুচে, স্বার্থের বাইরে এক পয়সাও খরচ করেনা। বেশির ভাগই আপনার গল্পের বস এর মতো।

মা হাসান কে অনেকদিন দেখিনা। যদিও আমার নিজেরই হদিশ ঠিক নাই। :(

আপনার এমন গপ্পের ফল্গুধারা বয়ে যাক মাঝে মাঝে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৭

সোহানী বলেছেন: আরে নাহ্ মা হাসান ভাইতো ওদের কাছে নস্যি। উনি সাতবার সালাম দিবে তাদের :P:P:P:P

স্বার্থের বাইরে এক পয়সাও খরচ করেনা। তবে দেখেছি ওরা খুব ঘুরতে যায়। পেটে পাথর বেধেঁ ঘোরাঘুরি করে। এমনও শুনেছি ওরা কেজি করে মিস্টি বিক্রি করে না। মাছ মুরগী সব পিস পিস করে বিক্রি করে্

মা হাসান ভাই পিরে আসবেন শীঘ্রই।

আমার আগের লিখায় আপনার অপেক্ষায় আছি জী ভাই।

২২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ব্যক্তিগত ভাবে আমি ভারতিয়দের থেকে কম কৃপণ না।রাস্তায় কোন বন্ধুর সাথে দেখাহলে যদি বলে,চল চা খাই তখন বলে নেই চায়ের পয়সা তুই দিবি নাকি আমি দিব।আমি জানি চা খেতে গেলে দুই আড়াইশ টাকা বিল হয়ে যাবে।আমি পকেটে খুব কম পয়সা রাখি।আর গত কয়েক বছরতো এক পয়সাও থাকে না।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:০০

সোহানী বলেছেন: আমি কিন্তু তা করি না। আমার ভালো লাগে কাউকে খাওয়াতে। তাই সবসময়ই হাতে টাকা রাখি যেন অপ্রস্তুত হতে না হয়।

২৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩১

করুণাধারা বলেছেন: সোহানী, কী এক অদ্ভুত জড়তায় আমাকে ধরেছে, কিছুতেই মন্তব্য করতে পারছি না। আপনার আগের পোস্টগুলো পড়েছি, মনে মনে মন্তব্য সাজিয়েছি কিন্তু লেখা হয়নি।

কিরপিনের কাহিনী দারুন হয়েছে, সেই সাথে মন্তব্যেও কয়েকজনের য় কিরপিনের কাহিনী পড়ে আনন্দ পেলাম। পড়তে পড়তে মনে পড়ল, আবু হেনা আশরাফুল ইসলাম কিরপিন বিষয়ক চমৎকার গল্প লিখেছিলেন। স্ট্রোক করার পর উনার খবর নেই, চিন্তিত হচ্ছি...

চেষ্টা করব আপনি লগইন থাকা অবস্থায় মন্তব্য করতে, একজনের ইমেইল এড্রেস দিতে চাই যেন আপনি কপি করে মন্তব্য মুছে দিতে পারেন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৫৮

সোহানী বলেছেন: হেনা ভাই ভালো নেই। উনি এখন প্যারালাইসিস অবস্থায় আছেন। ফেসবুকে উনার ছেলে খবরাটা দিলো।

[email protected]এ মেইল করতে পারেন আপু। অথবা ফেসবুকে https://www.facebook.com/sohani2018/ এ জানাতে পারেন। সময় উল্লেখ করে কল দিলে আমি কলব্যাক করবো।

২৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছে সেটা জানতে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৫৯

সোহানী বলেছেন: মন্তব্যগুলো লিখার চেয়েও ভালো হয়েছে। আপনার ফিরে আসা স্বার্থক।

২৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৩২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আসলে প্রত্যেক দেশীয়দের মধ্যেই কৃপণ আছে, তবে ভারতীয়রা গড়পড়তায় অনেকেই হিসেবি এবং খাওয়ার বিষয়ে অনেক কৃপণতা করে থাকে।

আমি কানাডার যে প্রতিষ্ঠানের আইটি সেক্টরে কাজ করি সেখানে ১০ বছর পূর্বে ৭০% কানাডিয়ান এবং ৩০% ভিনদেশি টেম্পোরারি ওয়ার্কার কাজ করতো। ভারতীয় আইটি কোম্পানিগুলোর আগ্রাসী জনশক্তি বিপণনের কারণে আমাদের ডিপার্টমেন্টে এখন কানাডার স্থায়ী বাসিন্দার অনুপাত ২০% আর ভিনদেশি (ভারতীয় বলাই অধিক যুক্তিযুক্ত) টেম্পোরারি ওয়ার্কার ৮০%।

আমার ভারতীয় সহকর্মীদের অনেকেই আমার সাথে লাঞ্চে গেলে পেট পুরেই খায়। কিন্তু ঘর থেকে সারাদিনের যে খাওয়ার নিয়ে আসে তা দিয়ে আমার মতো পেটুকের ২/৩ ঘন্টার মতোও পেট পুরবে বলে মনে হয় না। আর সন্তানদের খাওয়ানোর বিষয়ে খায়রুল আহসান ভাইয়ের অভিজ্ঞতার সাথে আমার অভিজ্ঞতা ১০০% একইরকম, "খেলে খাও নইলে না"। তবে এই স্বল্পহারের কারণে তাদের স্বাস্থ্য যে ভালো তা কিন্তু বলা যাবে না। এদের অনেকেই নানানা অসুখবিসুখে ভুগে থাকে।

কাপড় চোপড় ও অন্যান্য বিলাস সামগ্রী কেনাকাটায় তারা চরমপন্থী, খুব একটা খরচ করে বলে মনে হয় না। আমার এক সিনিয়র ভারতীয় সহকর্মীকে (যে আমার চাইতে অন্তত: হাজার বিশেক ডলার বেশি তনখা পেতো) নিয়ে আমি একদিন 'হাডসন ব্যে'তে গিয়েছি সেলে (sale) প্যান্ট কিনতে। সে ওখানে গিয়ে পুরা টাস্কি খেয়ে বললো "এদের কাপড় চোপড় তো অনেক দামি আর মানসম্পন্ন, সত্যি কথা বলতে কি আমি এই প্রথম এই স্টোরে আসলাম"। বুঝুন আমার অবস্থা !

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০৭

সোহানী বলেছেন: কানাডার ইন্ডিয়ানদের কথা বলে শেষ করা যাবে না। মানুষ কিভাবে এরকম ফকিরের মতো চলাফেরা করতে পারে তা আমি ভাবি।

আমরা nordstrom বা hudson bay ছাড়া কাপড়-চোপড় পড়ি না আর আমার দ্বিগুন বেতন পাওয়া ইন্ডিয়ান কলিগ thrift store ছাড়া কাপড় কিনে না। মিসিসাগায় তার ৪তালা বাড়ি আছে। বাজার করে স্টোরের ডিসপোসড্ রেক থেকে। তা কিনুক, সেটা নিয়ে কথা নাই। কথা হলো এতো এতো টাকা দিয়ে কি করবে নিবে???? এতোটা নির্লজ্জের মতো কৃপনতা চোখে লাগে।

২৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:০৭

করুণাধারা বলেছেন: আপনার জন্য শের শায়রীর ইমেইল এড্রেস এখানে দিয়েছি। আধা ঘন্টা পরে মুছে ফেলব, কারণ শের শায়রী নিজেও ইমেইল দিয়ে পরে মুছে দিয়েছিলেন।
view this link

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১১

সোহানী বলেছেন: আপু পেলাম নাতো?

২৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি একজন কৃপন কে চিনি যিনি তার গাড়ি খানা গ্যারেজ থেকে বের করে বাড়ির সামনে খোলা মাঠে ধির গতিতে চালাতেন তাও আধা ঘন্টা এর পর আবার তা গ্যারেজে রেখে দিতেন ব্যাপারখানা এমন না যে তিনি গাড়ি চালাতে পারেন, এটা তার দীর্ঘ ৩০ বছরের অভ্যাস। ঈদের সময় নামাজ পরে কারো সাথে কোলাকুলি করেন না দাওয়াত দেয়ার ভয়ে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১৩

সোহানী বলেছেন: তাও তো ভালো গাড়ি গ্যারেজ থেকে বের করে। আমি একজনকে চিনি যিনি তাও বের করেন না। গেস্ট আসলে শুধু বলেন, আহ্ ড্রাইভার থাকলে আপনাকে নামিয়ে দিতে পারতাম।

২৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
@ পদাতিক চৌধুরি দাদাঃ ৩ নাম্বার মন্তব্যে লেখা প্রতিটা ঘটনা নিয়ে এক একটা দারুন গল্প হবে। আশা করছি একটা দারুন সিরিজ হবে। প্রতিটা এক পাতার গল্প লিখে এখানে এবং গ্রুপে পোস্ট দিন। আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি পড়্রা জন্য। লাস্ট টা ১০ এ ১০।

@সোহানী আপুঃ কিরপিনের কাহিনী পড়ে মূর্ছা খাবার উপক্রম। তবে পোস্টের সাথে মন্তব্যগুলি আরো ভালো হয়েছে। হাসান ভাইকে আজকেই ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিবো।

খুব সুন্দর একটা পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৬

সোহানী বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি দাদার তিন নাম্বার অভিজ্ঞতা শুনে আমি মূর্ছা গেছি। আশা করি উনি আপনার অনুরোধ রাখবেন।

ভাইরে এ আর এমন কি, সে এবং তার পরবর্তী দোসর যা করেছে দেশের তার কথা বললেতো রাগে দু:খে মূর্ছা যাবেন।

হাসান ভাই আর শের ভাই এর খোঁজ খবর দেন। সত্যিই উনাদের মিস করছি..।

২৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৪

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট মানে, খুব মজার হা হা হা কি কৃপনরে বাবা!
আর পোস্টের সাথে ভালো লাগছে কমেন্টগুলো পড়ে। সবগুলো পড়তে পারিনি যদিও, তাই প্রিয়তে রাখলাম ,পবে পড়বো। খুব ব্যস্ততা তবু ব্লগে না এলে মনের মধ্যে কেমন কেমন লাগে।
# কবে যে মোবাইলে স্বাভাবিক ভাবে ব্লগে ঢোকা যাবে কে জানে। যাহোক শুভকামনা রইলো আপু ।
শুভসকাল।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫১

সোহানী বলেছেন: আমার লিখা থেকেও কমেন্টসগুলো বেশী মজার। কৃপনের দু:খ প্রিয়তে নেবার জন্য ধন্যবাদ।

মোবাইলে স্বাভাবিক ভাবে ব্লগে ঢোকা যাবে আশা করি। কাভা ভাই এ নিয়ে কাজ করছেন যতটুকু জানি। আসলে আমাদের দেশে কোন কাজ করা সত্যিই কঠিন তা যারা করে তারা হাড়ে হাড়ে বোঝে।

ব্যাাস্ততায়ও উকিঁ দেবার জন্য ধন্যবাদ।

৩০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৮

মিরোরডডল বলেছেন:



স্যরি, টিনেজ বার্থডে গার্লকে উইশ করা হয়নি :)
শুভ জন্মদিন আপু !






১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫২

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা.....উইশ পেয়ে যারপরনায় খুশি। যা একমাত্র ফ্রিতে পাওয়া যায় ও দেয়া যায়। যদিও তা দিতে অনেকেরই কার্পণ্য!!!!

৩১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৯

ঢুকিচেপা বলেছেন: ডল আপু আমিও তো উইশ করেছি কিন্ত কেক পেলাম না।
শেষে কি কিরপিনের খাতায় আর একটা নাম যোগ হতে যাচ্ছে ?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৬

সোহানী বলেছেন: আরে মাথা খারাপ...! কয়েকবার জন্ম নিলেও এরকম কিরপিন হতে পারবো না! এই নাও তোমার কেক...। কিরপিনগিরি বাদ...

৩২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৩

মিরোরডডল বলেছেন:

আরে নাহ ! ধৈর্যে মেওয়া ফলে ।
আপু নিশ্চয়ই কেকের সাথে আরও কিছু বানাচ্ছে ঢুকির জন্য তাই কেক দিতে দেরি হচ্ছে :)


১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৯

সোহানী বলেছেন: ধৈর্য্য ধরতে চায় না ঢুকি!!! কত কষ্ট করে আমার মেয়ে এ ছবিটা চুজ করেছে... :P

এবার আমার বার্থডেতে আমার ছেলে (টিনএজ) বিরিয়ানী রান্না করেছে। আর মেয়ে (ছোট) কেক বানেয়েছে। সাথে ছেলে তার নিজের আয়ের টাকায় চেইন লকেট গিফট্ করেছে.... :)

৩৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সিংহভাগ ভারতীয়দের কিরপিনগিরি প্রবাদ তুল্য। এইটা নিয়া আমার মনে হয় সবারই কমবেশী আভিজ্ঞতা আছে। তয়, আমাগো কিরপিন রিকসা থিকা পড়লো ক্যামনে বুঝলাম না। সিটবেল্ট বান্ধা যে জরুরী, এইটা তারে কে বুঝাইবো? তাছাড়া হ্যায় রিকসায় চড়ে ক্যান বুঝলাম না। হ্যার গাড়ি নাই!!! :-B

আপনে ১৩তে পা দিলে আমি কিন্তু অহন তরি এই দুইন্যায় আসি নাই!! =p~

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৫

সোহানী বলেছেন: আমাগো কিরপিন রিকসা থিকা পড়ছে কারন গাড়ি কিনে না। সে হিসাব কইরা দেখছে তেল, ইন্সুরেন্স, ইনস্টলমেন্ট, ড্রাইভার এর জন্য যা খরচ রিক্সা দিয়া তার সিকিভাগও না। কোন দু:খে গাড়ি কিনবো কন???

এতাে বয়স কমায়েন না ;) । আপনি ৪ বছর ৭ মাসের বাচ্চু।

৩৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫০

ঢুকিচেপা বলেছেন: কেকটা খুব সুন্দর, আমার তো পছন্দ হয়েছে।
এখানেই থাক কেক, সবাই আসবে আর খেয়ে যাবে।

সুন্দর ছবির জন্য ভাগ্নিটার জন্য।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৪৪

সোহানী বলেছেন: ওরে আমারে কি চকলেট কেক দিলা। এমনিতেই মটু হচ্ছি দিন দিন যতই ডায়েট করি না কেন!!

আমি অনেক লিখায় বলেছিলাম যে আমি অসম্ভব চকলেট পছন্দ করি। সবাই বিদেশ থেকে নাকি সাবান সেম্পু আনে আর আমি আনতাম সুটকেস বোঝাই করে চকলেট। এখনো এমন কোন চকলেই নাই যে টেস্ট করি নাই। একবার সুইজারল্যান্ডে কত মাইল দূরে ট্রেনে জার্নি করে চকলেট ফেয়ারে গেছিলাম। সত্য কথা যে স্পট তারা বানাচ্ছিল কিন্তু তা কেনার মতো সাহস ছিল না তখন। যে দাম ছিল তা আমার মতো টুরিস্ট যারা বাংলাদেশের মতো গরীব দেশ থেকে গেছিল তাদের সাধ্যের বাইরে ছিল। তখন কি আর করা, রেডিমেইড প্যাকেট চকলেট কিনেছিলাম। কিন্তু দেখেছিলাম কিভাবে অন দা স্পট চকলেট বানায়। ছবিও মনে হয় তুলেছিলাম।

৩৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:২০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সে টাকা নিজের দেশেই খরচ করতে চায় অন্য দেশে নয়।
....................................................................................
খবিস ইন্ডিয়ানরা এরকমই হয় , এক সময় প্রচুর ভারতে গিয়েছি
অথচ ভালো কোন বন্ধু হয় নাই তাদের এই স্বভাবের কারনে ।

.......................................................................................
টিনেজ ১৩ অর্থ কি ???
আবার কারও প্রেমে পড়তে চাও ?
হা হা হা বুঝলাম বয়স এখন ৩১ !

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৪৫

সোহানী বলেছেন: জী না আপনি বুঝেন নাই। টিন এজ মানে সামহোয়ারে আমি ১৩ বছরে পা দিয়েছি।

৩৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আবার এসেছি। গোটা বাংলাদেশে একমাত্র কিরিপিন মা.হাসান ভাই যিনি আজ ব্লগ সহ বাঙালি জাতির কাছে সমাদৃত। আর ভারতীয়রা প্রকৃত গত ভাবে কিরিপিন। উপরের সোনাবীজ ভাই ছাড়া আর কারো অভিজ্ঞতায় তার উল্লেখ পেলাম না। স্বভাবতই কিরপিন গিরিতে ভারত পেটেন্ট দাবি করতেই পারে। দিন শেষে তাই আমরা বিজয়ের হাসি হাসতেই পারি।
অফটপিক আপু; কলকাতায় এলে দয়াকরে হোটেল না নিয়ে এই কিরপিনের বাসায় আসার অনুরোধ রইলো। একবার অন্তত বিশ্বাস করুন,না খাইয়ে রাখবো না। হেহেহে....

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৮

সোহানী বলেছেন: সোনাবীজ ভাই ভিআইপি মানুষ। তার কথা আলাদা। আমরা হলাম ছারপোকা টাইপ মানুষ তাই আমাদের ক্ষেত্রে সাধারন বিষয়ই কাজ করে।.....হাহাহাহা

দাওয়াত কিন্তু কবুল করলাম ;) । দেখবেন যেকোন সময় কড়া নাড়ছি। সল্টলেকে আমার বেস্ট ফেন্ড এর বাসা। সত্যিই যাবো একদিন। আমরা কয়েকজন আছি বিভিন্ন দেশে ছড়ানো। আমরা যেকোন সময় দল বেধেঁ রওনা দিবো বিশ্ব ভ্রমণে। সেটা হতে পারে যেকোন সময়। খাওয়ান আর না খাওয়ান সেটা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। আমি এক প্যাকেট বিস্কুট খেয়ে দিন পার করতে পারি।....

অসংখ্য ধন্যবাদ দাওয়াতের জন্য। অনেক ভালো থাকেন।

৩৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৬

শায়মা বলেছেন: কিরপিনভাইয়া এসে গেছে আপু।

কালরাতেই তাকে দেখেছি ....

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৮

সোহানী বলেছেন: তাই নাকি! তাহলে সুস্থ্য আছেন আশা করি।

৩৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার চারিদিকে এত্ত এত্ত কিরপিন যে কিথা কইতাম।

বাংলাদেশের বড় বড় কোম্পানিগঞ্জ ধসিয়ে দিয়েছে বৈদেশিক উচ্চ বেতনে নিয়োগপ্রাপ্ত অপদার্থগুলো, এমন উদাহরণ এর অভাব নেই। তবে আপনার বস "ওয়ান পিস মেইড", ইন্ডিয়া থেকে বাজার করে আনা! রিয়েলি ম্যান... B:-)

আর ব্যাটারে রুচি চানাচুর খাওয়ানো উচিত ছিল, হ্যাতের রুচি নাইক্ক্যা =p~ =p~ =p~

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৬

সোহানী বলেছেন: দেশের যে কি অবস্থা এখন জানা নেই। কিন্তু যখন আমি জবে ছিলাম তখন তা ভয়াবহ ছিল। সব অপদার্থেদের দেশে আমদানী করতো। সে সব ছাগলরা দেশে এসে শুধু নিজের আখের গোছাতে ব্যাস্ত থাকতো।

৩৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৬

মা.হাসান বলেছেন: টিনেজ জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

কিরপিনকে স্মরণ করায় অশেষ কৃতজ্ঞতা।

আপনার বস একটু হিসেবি ছিলেন, বাদ বাকি ভালো মানুষই তো মনে হলো। উনি (নিজ) দেশকে ভালোবাসেন, বাংলাদেশের লোকদের দেশাত্ববোধ আমার কাছে ভারতীয়দের দেশাত্ববোধের চেয়ে কম মনে হয়। আর নিজের চাকরীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করা কি দোষের?

এডিবি/ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কে ভারতীয় প্রচুর। এদের সাথে টক্কর দিয়ে বাংলাদেশের জন্য কিছু বের করে নিয়ে আসা প্রায় অসম্ভব। ডাব্লিউএইচইউতেও মনে হয় একই অবস্থা। আপনি যা করতে পেরেছেন তার জন্য অভিনন্দন।

আমার অভিজ্ঞতায় বলে , এসব প্রতিষ্ঠানে যারা উচু বেতনে চাকরি করে তাদের অধিকাংশই (সবাই না) কানেকশনের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছে, যোগত্যা খুব কম।কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন হয় এমন প্রতিষ্ঠানে গেলে এরা এক মাসের কম সময়ে চাকরি হারাতো।

কেক কেনার জন্য কুপারস ভালো দোকান না। একদামে বিক্রি করে, দুই পিস কিনলেও কম নাই। এমন দোকান থেকে কেক কেমন করে কেনেন?

রিক্সার ঘটনা শুনে আমার নিজের দেখা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার ইচ্ছে হচ্ছে। সময় পেলে ব্লগে এই বিষয়ে পোস্ট দেবো।

@ভুয়া মফিজঃ আমি রিকসা সাধারণত চড়ি না। দু-চার কিলোমিটার রাস্তা হেটেই পার করে দেই। বেশি দূর হলে বাস। গুলশান থেকে ধানমন্ডি অনেকবার হেটে গিয়েছি। করোনার মধ্যে বাসে চড়া বন্ধ, সর্দিজ্বর থেকে সেরে ওঠার পর একটু দূরের রাস্তা হাটায় সমস্যা থাকায় রিকশায় উঠেছিলাম। অন্য সময় হলে শেয়ারে উঠতাম, এই সময়ে তা সম্ভব হয় নি। রিকশা ভাড়ার কথা মনে হলে এখনও বুকের মাঝে ছুরির মতো খোঁচা লাগে। যারা গাড়ি চড়ে অভ্যস্থ তারা সিট বেল্ট ভোলে না। যারা হেটে অভ্যস্থ তাদের মাথায় সিটবেল্টের চাইতে টাকার চিন্তাটাই বেশি কাজ করে। :(

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৮

সোহানী বলেছেন: যাক্ অনেকদিন পরে হলেও ফিরে আসায় শুভ কামনা। আপনাদের মতো লোকজন ব্লগে না থাকলে ব্লগ কেমন যেন খা খা করে।

হাঁ আপনার যুক্তি আমি স্বীকার করি। সে তার নিজের দেশ নিজের চাকরীর চিন্তা না করে আমাদের কথা কেন ভাববে। কিন্তু আমাদের উজবুক মানুষজন যারা তারা তেল মেখে পার করেছে তাদের জন্য একরাশ বিরক্তি।

একদম ঠিক বলেছেন, লাইন ঘাট ছাড়া অসম্ভব এ ধরনের পজিশানে আসা। সে সেভাবেই এসেছে। তার পরে এসেছিল এক ভুটানী। সে এর মতো কৃপন ছিল না ঠিকই কিন্তু দেশের বাকি বারোটা বাজিয়েছিল। সে ওগল্প আরেকিদিন।

কুপারস এর কেক আমার খুব পছন্দের। তবে ইউসুফের চকলেট ফ্রুটস কেকটা ভালো বেশী। এখন কি অবস্থা জানা নেই।

ইয়ে মানে, হাটা অবশ্যই ভালো এ পাবলিক বাস চলা থেকে। তবে এর পর থেকে রিক্সায় চড়লে অবশ্যই পার্সোনাল সিটবেল্ট নিয়ে যাবে ও তা বাঁধবেন। :P

৪০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩০

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: পোষ্ট এবং ৩৯ নম্বর কমেন্ট লাইক দিলাম

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৫২

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ ইমতিয়াজ ভাই। অনেকদিন পর আপনাকে মনে হয় দেখলাম।

৪১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৮

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: মন মেজাজ খারাপ থাকলেই আপনাকে খুঁজতে চলে আসি। আপা নতুন কিছু লিখেছেন কী না...
দেশের সব বসই একই? আমারও একজন বস আছে। উনার কাজে ৩০/৪০ টাকা খরচ করলে সহজে দিতে চান না। আবার ৫০ এর উপরে গেলে কোন কথা ছাড়া দিয়ে দেন...
টানা ৬ বছর সহ্য করছি এই যন্ত্রণাকে।
আর আপা নিয়মিত পড়তে চাই...
ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।

০২ রা মে, ২০২১ রাত ১১:৪৮

সোহানী বলেছেন: হায় হায়, মন মেজাজ তো আমি আরো বেশী খারাপ করে দিবো। কারন আমার টপিক্স বরাবরেই মেজাজ খারাপের টকিক্স!!

আসলে, আমাদের দেশের বসেরা নিজেদেরকে একটা ভিন্ন শ্রেণীর প্রানী মনে করেন। আমি বরাবরেই দেখেছি বস শ্রেনীরা তার উপরের বসদের তোষামোদ করেই দিন পার করতে সদা সচেস্ট থাকেন। নীচের দিকে কেউই তাকায় না।

আসলে ব্যাস্ততায় যতটুকু পারি লিখতে চেস্টা করি।

করোনায় দেশের জন্য মারাত্বক টেনশানে আছি। খুব সাবধানে থাকার চেস্টা করবেন। আর অনেক ভালাে থাকেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.