নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
তুষার ঝড়ে প্রান হারানো জগদিশ প্যাটেলের পরিবার
হিন্দি মুভি সহজে দেখতে চাইনা। কারন কাহিনী সেই একই। তার উপর সেই বাচ্চাকাল থেকে শাহরুখ/সালমান/আমির আংকেলদেরকে দেখতে দেখতে টায়ার্ড। চারপাশের সবার ভালো রিভিউ দেখে ভাবলাম ছুটিছাটা চলছে, এই ফাঁকে সময় কাটাই। কিন্তু টিকেট কাটতে যেয়ে দেখি মাথায় হাত। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কোন শো এর টিকেটই নাই। অনেক কষ্টে একেবারে সামনের সারির টিকেট কোন রকমে ম্যানেজ করলাম। আর সাথে দুই পোলাপানকে জোর করে নিয়ে গেলাম। যদিও দু'জনের কেউই হিন্দি বোঝে না। মেয়ে আগেই ঘোষনা দিলো যে ঘাড় বাঁকা করে হিন্দি ছবি দেখার কোন মানে নাই তাই সে আমার ঘাড়েই আড়াই ঘন্টা ঘুমাবে। কিন্তু একটানে আড়াই ঘন্টা আমরা সবাই মুভিটা দেখলাম একটা সিনও মিস না করে। এবং অনেকদিন পর একটা ভালো এবং সমোপযোগী মুভি দেখলাম।
গত বছর জানুয়ারী মাসের ১৯ তারিখ। আমার স্পষ্ট মনে আছে তখন তুষার ঝড় হচ্ছিল। বাইরে প্রায় মাইনাস ৪০ এর কাছাকাছি ঠান্ডা। আমরা দীর্ঘদিন কানাডায় বাস করেও এরকম ঠান্ডায় সহজে বের হই না ঘর থেকে। সেদিন সকালে উঠে খবরের পাতায় চোখ বুলিয়ে আঁতকে উঠলাম, খুব কষ্ট হতে লাগলো খবরটা দেখে। কানাডা আর ইউএস বর্ডারে চারজনের লাশ পাওয়া গেছে। ধারনা করা হচ্ছে তারা ঠান্ডায় জমে মারা গেছে এবং সম্ভবত একই পরিবারের। এর মাঝে ১১ বছর ও ৩ বছরের দু'টি শিশু রয়েছে।
তারপরের খবর আসতে সময় নেয়নি। পরিবারটি ছিল জগদিশ প্যাটেল এর। গুজরাটের স্কুল শিক্ষক জগদিশ এর স্বপ্ন ছিল আমেরিকায় স্থায়ী হবে। তাই কানাডার ভিজিট ভিসায় এসে অবৈধভাবে পাড়ি দিচ্ছিল আমেরিকায়। কিন্তু কানাডার মতো দেশে তুষার ঝড়ে কেমন ঠান্ডা হতে পারে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র ধারনা হয়তো ছিল না তার। কিংবা যে দালাল তাদেরকে এ পথে নামিয়েছিল সেই হয়তো কিছু জানতে দেয়নি। এমন বৈরী আবহাওয়ায় অন্ধকারে মাইলের পর মাইল পায়ে হাঁটা প্রায় অসম্ভব একটা কাজ। কানাডিয়ানরাই সাহস করে না সেখানে নতুন আসা এশিয়ানদের জন্য কি ভয়াবহ কঠিন হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
এক জগদিশ প্যাটেলই নয়, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ অবৈধ পথে ইউরোপ, আমেরিকা সহ উন্নত দেশে জীবনের তাগিদে আসার চেস্টা করে। আর সে অবৈধ পথ যে কতটা কঠিন তা এক কথায় বলে বোঝানো যাবে না। এ অবৈধ পথকেই ডাংকি রুট বলা হয়। পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্র, হিংস্র পশু, হিংস্র মানুষ, বর্ডার বাহিনী, গুলি, কাঁটা তার, ইলেকট্রিক তার..................... মাইলের পর মাইল হেঁটে, কখনো গাড়ির বাম্পারে, কখনো কার্গোতে, কখনো সাঁতার কেটে, কখনো গভীর সমুদ্রে নৈাকায় পাড়ি দেয় দিনের পর দিন। তার উপর আছে খাবারের অভাব, পানির অভাব, অসুন্থতা...। কতজন মারা যাচ্ছে কেউই তার হিসেব রাখে না। কারন তাদের খবর কেউই জানে না। যারা পৈাছাতে পারে তারা কি সবাই থাকার অনুমতি পায়? না পায় না। সেখানেও আছে নতুন খেলা।
যেহেতু আমি প্রায় মাইগ্রেশান নিয়ে লিখালিখি করি তাই উপলব্ধি করতে পারছি মুভিটি। যাহোক, অনেক কথা বলে ফেললাম। ডাংকি মুভিটা এমনই কিছু নিয়েই নির্মিত। যারা অবৈধ পথে বিদেশ যাবার চিন্তা করছে তাদের জন্য একটা সাবধান বাণী। এরচেয়ে বেশী বলে ছবি দেখার আনন্দটা নষ্ট করতে চাই না। আর হাঁ, শাহরুখ আংকেলকে ভালোই লেগেছে। প্রত্যেকেই তাদের সেরা অভিনয় করেছে বলেই মনে করি। আর রাজকুমার হিরানীর ছবি মানেই বাড়তি আনন্দ।
কিছুটা হলেও সত্যটা জানবেন এ মুভিতে তাই সাবধানতা হিসেবে সবাইকে মুভিটি দেখার আমন্ত্রন রইলো। আর ভালো থাকুন সবাই এ ঠান্ডায়।
সোহানী
ডিসেম্বর ২০২৩
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৫৯
সোহানী বলেছেন: না আসেনি।
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯
অর্ক বলেছেন: ভালো লাগলো আপু। অল্প লেখা। শাহরুখ খান সত্যি আপনার আঙ্কেল? ব্যক্তিগতভাবে জানাশোনা আছে? মুম্বাইয়ে ওনার বাড়ি মান্নাতে গিয়েছিলাম। আপনার কথা বললে কি কিছু হতো?
ধন্যবাদ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:০১
সোহানী বলেছেন: অর্ক ব্রাদার সবকিছুতে এতো সিরিয়াস হইয়েন না রে ভাই।
ধন্যবাদ
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০১
জাহিদ অনিক বলেছেন: গুড আপু। রিভিউ ভালো হয়েছে। দশে কত দিবেন?
আমি এখনো দেখি নাই। দেখব।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:০২
সোহানী বলেছেন: দশে আমি ৯.৫ দিবো। দশে দশ দিতাম যদি না থ্রি ইডিয়েট দেখতাম। আমার দেখা ওয়ান অফ বেস্ট মুভি।
৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছবি দেখার কথা প্রায়ই ভাবি, কিন্তু জোশ পাই না
আচ্ছা, একের পর এক ব্লগার শাহরুখের ছবিই মুক্তি পাচ্ছে কেন? ব্লগার শাহরুখ ছাড়া কি আর কোনো ব্লগার নাই?
যাই হোক, খুব ভালো মেসেজ দিয়েছেন। সুন্দর পোস্ট।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:০৫
সোহানী বলেছেন: হাহাহা একের পর এক ব্লগার শাহরুখের ছবিই মুক্তি দিচ্ছে কারন পর পর তিনটা ছবিই তার যা বাজার দখল করেছে। মাঝখানে এনিমেল মুক্তি পেয়েছে কিন্তু এতো এতো ভায়োলেন্স যে দেখার সাহস করি নাই। আমি ওই খুনাখুনি পছন্দ করি না।
ছবি দেখেন। ভাবীকে নিয়ে বসে পান চিবাতে চিবাতে দেখবেন কিন্তু................
৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি ভাগ্যবান- অপেক্ষায় আছি এই ছবিটা দেখার জন্য যখন থেকে পত্রিকায় নামটা শুনেছি।
৩২ বছর ধরে কতই না পরিচিত নাম আমার এই 'ডাঙ্কি'
আর রাজকুমার হিরানীর হাতে ছাই সোনা হয়ে যায়।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:০৭
সোহানী বলেছেন: আপনার 'ডাঙ্কি' রুট নিয়ে সবগুলো লিখা পড়ে কমেন্ট করে এসেছি। আপনি চমৎকারভাবে লিখেছেন।
ভাগ্যবান কিনা জানি না। আমি যে শহরে থাকি সেখানে বেশীরভাগই ভারতীয়। তাই প্রচুর হিন্দি ছবি মুক্তি দেয়া হয়।
আর রাজকুমার হিরানী............. অসাধারন।
৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪
প্রামানিক বলেছেন: ডাংকি মুভির সাথে বাস্তবতা মিলিয়ে চমৎকার লেখা।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:০৮
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।
৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:২১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খুবই সংক্ষিপ্তকারে লেখা ডাংকি মুভি রিভিউটি সুন্দর হয়েছে ।এই সুযোগে আপনার পুরো পরিবারকে
দেখার ও জানার দুর্লভ একটি সুযোগও পাওয়া গেল । সকলের প্রতি শুভেচ্ছা রইল।
শাহরুখ- হিরানীর ডাংকি নিয়ে আপনার মত কোটি কোটি ভক্ত অনুরাগী এক্সাইটেড । অনেকেই গুগলের
কল্যানে ডাংকি শব্দের মর্মার্থ জেনে ফেলেছেন । এটা নিয়ে বেশ কিছু রিভিউ দেখেছি বিভিন্ন মাধ্যমে ।
তবে কারো মুখে একবারও শুনতে পেলামনা আমাদের দেশের একজন কীর্তিমান পরিচালকের নাম !
যিনি এমন এলিমেন্ট ওরিয়েন্টেড ষ্টোরিলাইন পেলে ধামাকা সিনেমা বানাতে পারবে ! তাহলে আমাদের
দেশে কি এমন কোন ফিল্ম মেকার নেই যিনি এমন একটি মুভি পর্দায় তুলে আনার মত ! স্বাভাবিকভাবেই
উত্তর হবে তিনি কোন দর্শকের চিন্তা চেতনা মগজ-মননে জায়গা দখল করতে ব্যর্থ , শুধু ব্যর্থই নন তারা
কোন চেষ্টাও করেন না এটাই সত্য !
এই গল্পেতো বাংলাদেশের কথাই আছে প্রকারান্তরে; আমাদের দেশের ছেলে , আমাদের আবেগ, আমাদের
বাস্তবতা ! একটা ষ্ট্রং সোসাল মেসেজও আছে । হিরানীর সিনেমার ডায়ালগ দিয়েই বলা যায় কিসিকা দিমাগ
মে ইয়ে সোচ আয়া ?এনিওয়ান ? ন্যাহি , সাব রেস মে লাগ গ্যায়ে -হিরানী কা ফিল্ম ক্য়ায়সা হোগা
এ কথা সত্য যে আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির গল্প বলার ধরনে অনেক সীমাবদ্বতা আছে । তারা প্রতিবারই
মৌলিক গল্প নিয়ে এসেছে বলে যে বানী শোনায় , সেই মৌলিক গল্পগুলি বরাবরই একই ধাচে ও ছাচে
তৈরী হয় , বাবা কেন চাকর , বৌ কেন চাকরানী , এই হলো আমাদের কমার্শিয়াল ফিল্মের কাঠামো ।
এই কাঠামো হতে বের হয়ে একজন ভাল স্টোরি টেলার আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে বড়ই প্রয়োজন ।
কামনা করি এই প্রয়োজন মেটাতে আপনার মতো সমসাময়িক সোসাল ইস্যুগুলি নিয়ে লেখার মত লেখকগন
এগিয়ে আসবেন । অবৈধভাবে বিদেশ যাবার গল্প আমরা কমবেশী সবাই জানি এই যুগে । কিন্তু আমরা
আমাদের লেখায়, গল্প কিংবা কবিতায় কয়জনে আপনার মত এমন করে লিখি।
শুধু ধারনা নয়, বিশ্বাস করি অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার করুন কাহিনী নিয়ে সিনেমার জন্য স্টোরি লেখার
ক্ষমতা আপনার আছে । আপনার লেখনি হতে যদি এমনতর স্টোরি আসে তাহলে হিরানীর মুভির মতই
বলা যাবে ; এক্সিলেন্স , এক্সিলেন্স কে পিছে ভাগো, দর্শকের পিছে ভাগার প্রয়োজন নেই ,দর্শক
দরজা ভেঙ্গে সিনেমা হলে ভীর করবে,পুর্ণ পোক্ষাগৃহে চলবে লাগাতার একটানা সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১৯
সোহানী বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ছোট্ট একটা ভুল বোঝাবুঝি শুধরে দেই। ছবিটি প্যাটেল পরিবারের যারা তুষার ঝড়ে প্রান হারিয়েছে।
আমাদের দেশে কিন্তু এখন দারুন কিছু মুভি হচ্ছে। রেহেনা মারিয়ম নূর অস্কার পর্যন্ত পৈাছেছে। আর ফারুকী তিশাতো আছেই আবার নতুন করে অনেক পরিচালক এসেছে যারা সত্যিই অসাধারন। একটু যদি সরকার এদিকে তাকাতো তাহলে আমরাও দারুন জায়গায় পৈাছাতাম। খুব খুব দরকার সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা।
আমাকে নিয়ে যে প্রশংসা বাক্য বলেছেন তার যোগ্য আমি নই। খেটে খাওয়া মানুষ আমি। সামান্য সময় বের করে লিখালিখি করি। আর লিখালিখির জগতে যে রেষারেষি পলিটিক্স ধান্ধা চলে তা দেখে উল্টো দিকে হাঁটা দিয়েছি। তার উপর একটা গল্প যদি কোন ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করি তাহলে সাথে সাথে তা ৫০ টা গ্রুপে অন্য নামে পোস্ট হয়। তা দিয়ে নাটক হয়। খুবই বিরক্তকর ও হতাশার। তাই গল্প পোস্ট করাও বন্ধ করেছি।
অনেক কিচু বলে ফেল্লাম। অনেক অনেক ভালো থাকুন।
৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৪৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: মুভি রিভিউটা বেশ ভালো লাগলো।
এই ব্লগে অনেকদিন আগে এরকম একটা ডাংকি রুটে ইউরোপ যাওয়া নিয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম। লেখাটির শিরোনাম বা লেখকের নাম ভুলে গেছি কিন্তু লেখাটা মনে খুব দাগ কেটেছিলো। আপনার এই রিভিউ পড়ে সেই গল্পের কথা মনে পরলো।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫০
সোহানী বলেছেন: অনেক লিখাই পড়েছি এ নিয়ে। মুভি ডকুমেন্টারীও দেখেছি। মানুষ যত জানবে তত সাবধান হবে। আর এ বিপদে পা দিবে না।
ধন্যবাদ শ্রাবণধারা।
৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:০৯
শার্দূল ২২ বলেছেন: আমাদের এলাকা থেকে ২৪ বছরের এক ছেলে আমেরিকা আসার পথে টেক্সাস সীমান্তে নদি পার হবার সময় ডুবে মারা যায়। তার মা এর সাথে আমার কথা হয়। ঐ মা শুধু ছেলের লাশ দেখার জন্য অঝরে কাঁদছে, শেষে আমি গেলাম মায়ের আকুতি রাখতে। মেক্সিকো হয়ে আসার সময় যারা মারা যায় তাদের মৃত দেহ যেখানে সংরক্ষণ করে রাখে সেখানে গিয়ে আমি স্তব্ধ। শতশশত মৃত দেহ। আমি কত সময় স্তব্ধ ছিলাম জানা নেই। বেশ কয়দিন আমি ঘুমাতে পারিনি ভালো করে, চোখ বন্ধ করলেই সেসব মৃত দেহ ভেসে উঠে।
আমার এখানে ৩ জন আছে যারা ঐ পথ দিয়ে এই দেশে এসেছে। তাদের বর্ণনা শুনেই আমি অবাক হতবাক নির্বাক। নাদিম আমার এখানে কাজ করছে বছর খানেক হলো। ঐ পথে আসার সময় অনেক কষ্টের একটি হলো এমন- যে যখন সাগর পাড়ে নৌকা থেকে নেমে দাড়িয়েছে ঠিক তখনি বিশাল ঢেউ এ নৌকা তার উপর উঠে পড়ে। সে পড়ে যায় নৌকার নিচে। অন্ধকারে কেউ দেখেনি কখন নাদিম নৌকার নিচে চলে গেছে। শরীরের প্রায় পুরোটা মাটির মধ্যে ডুবে যায়। কোন রকম নাক বের করে নিঃশ্বাস নিচ্ছিলো, নৌকার ঘষায় তার ডান কান ছিড়ে যায়। ঢেউ পানি বাতাসের শব্দে তার চিৎকার কেউ শুনেনি, একসময় তাকে টেনে বের করা হলো , চেহারা রক্তে ভেসে গেছে। সবাই সবার নিজেকে বাঁচাতে তাকে পথে রেখেই চলে যায়। সারা রাত সে সেখানেই পড়েছিলো। নিজের গেন্জি খুলে নিজেই কান মাথা বেধে ফেলে। পরদিন পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়। এটা ছিলো তার অনেক কস্টের একটি। এসব সবাই জানে জানছে। শুনতেছে, তবুও কেউ মানছেনা, আপনি জানেন প্রতিদিন কত হাজার মানুষ এই পথে স্বপ্নের দেশে আমেরিকায় আসছে। আর কত মানুষ মরছে। যারা এসে পৌছায় তাদের হাসিটা সবাই দেখে, যারা চলতি পথে হারিয়ে গেছে তাদের কথা কজন জানে?
মুভিটি দেখা হয়নি, দেখবো ভাবছি।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
শুভ কামনা
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৩
সোহানী বলেছেন: কি ভয়ংকর। মনটা ভীষন নাড়া দিলো। দু'টো ঘটনাই মর্মান্তিক। অল্প ক'জন হয়তো সফল হয় কিন্তু বাকিরাতো ওই মেক্সিকো বা অন্য দেশের লাশের মাঝে হারিয়ে যায়। হায় কেইউ হয়তো জানেই না তাদের কি হয়েছিল। কি কস্টের কি কষ্টের।
আমি এ পর্যন্ত এমন কারো দেখা পাইনি যারা এমন করে এসেছে। কানাডায় অবৈধ পথে যারা আসে তারা বেশীরভাগই ইউএস থেকে আসে। মৃত্যু কিছুটা কম বা রাস্তাও অতটা ভয়ংকর না। যদি না ঠান্ডার সময় রিস্ক নেয়। কিন্তু যারা আমেরিকা বা ইউরোপে আসে তাদেরকে পাড়ি দিতে হয় সে সব ভয়ংকর রাস্তা।
সবাই শুধু বাড়ি গাড়িটার ছবি দেখে কিন্তু তার পিছনের অন্ধকার দিকটা দেখে না।
চমৎকার মন্তব্যে ভালোলাগা।
১০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শুধরে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৬
সোহানী বলেছেন: প্যাটেলের পরিবারের মৃত্যু আমাকে বা আমার পরিবারকে ভীষন নাড়া দিয়েছিল। কারন ঠিক একই বয়সী বাচ্চা আমাদের পরিবারে আছে। কানাডায় কিন্তু এ নিয়ে কঠিন ইনভেস্টিগেশান হয়েছে। এবং মোটামুটি অনেক কালপ্রিটদের ধরতে পেরেছে এর সাথে জড়িত। তারপরও থেমে নেই আসা।
১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এমনসব অভিজ্ঞতা লব্দ ঘটনাগুলি নিয়ে লিখে ফেলন লম্বা চওরা
কাহিনী একটা , আমি শিউর আপনি হাত লাগালে পারবেন তা ।
আমি মাঝে মাঝে ভাবি প্রচুর অর্থ ব্যয় করে এতসব ঝক্কি যামেলা
বিপদ ও ঝুকি মাথায় নিয়ে অবৈধ পাথে ও উপায়ে কেন মানুষ
বিদেশে পারি জমায় । যে পরিমান পরিশ্রম , উদ্যোগ ও আর্থ
ব্যয় করে বিপদ মাথায় নিয়ে বিদেশ পারি দেয় তারা সেই একই
পরিমান অর্থ দিয়ে দেশে বসেই ভাল রোজকার করতে পারে এবং
পরে সেই সঞ্চিত অর্থ দিয়ে বিভিন্ন বৈধ উপায়ে বেশ সহজেই
ইচ্ছে করলে যেতে পারে । শুধু প্রয়োজন ধৈর্য ও নীজের যোগ্যতা
অনুযায়ী সঠিক উপায়ে বিদেশে যাওয়ার জন্য উদ্যোগী হওয়া।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:১৩
সোহানী বলেছেন: একদম মনের কথাই বলছেন। কিন্তু এ চিন্তাটুকু কারোই নেই। দেশে এতো এতো বেকার সরকার কি এ নিয়ে ভেবেছে? কোন উদ্যোগ নিয়েছে? কোন পরিকল্পনা করেছে?
উত্তরটা হলো, না।
আমি আপনি ভেবে কি হবে, ওদের কোন উপকার হবে?
কখনই হবে না। তাই ওরা পাগলের মতো দেশ ছাড়ছে। বৈধ অবৈধ কোন ব্যাপার না, দেশ ছাড়াই মূল বিষয়।
লিখবো অবশ্যই। কিন্তু সময় বের করা কঠিন হয়ে যায়। সারাদিন অফিস করে তারপর বুয়াগিরি করে আর সময় বের করতে পারি না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার জন্য। একদিন হয়তো সত্যি সব ছেড়েছুড়ে লিখালিখি করবো শুধু।
১২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০২
কাছের-মানুষ বলেছেন: উপরের ছবিটি দেখে আমিও ভেবেছিলাম, এটা আপনার পরিবার হয়ত!
আমার শহরে মনে হয় মুক্তি পায়নি! মুভিটি আমি ওটিটিতে এলে দেখব। রাজকুমার হিরানীর উপর আমার ঈমান আছে, তিনি নিশ্চয়ই ভাল কিছু বানিয়েছেন!
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:১৫
সোহানী বলেছেন: হাঁ ছবির ক্যাপশান দিতে ভুলে গেছিলাম।
ওটিটিতে অবশ্যই আসবে। তবে বড় পর্দায় সবার সাথে মুভি দেখার মজাই আলাদা। আমি কিন্তু প্রায়ই দেখি মুভি। আমার একটা মুভি দেখার গ্রুপ আছে। ধুমধাম করে দেখতে বের হয়ে যাই।
১৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: না আসেনি।
আসুক। তারপর দেখব। অন্য যে সাইটে ছবি আছে, সেগুলোর প্রিন্ট ভালো না।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:১৫
সোহানী বলেছেন: দেখুন, মুভিটা ভালো।
১৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫১
বিজন রয় বলেছেন: সবাই বলছে এই সিনেমা খুব ভাল হয়েছে।
তো?
দেখতে হবে, তাইতো?
আচ্ছা।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:১৬
সোহানী বলেছেন: হাঁ দেখতে হবে
১৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪২
করুণাধারা বলেছেন: মুভিটা দেখা হয়নি, এই রিভিউ পড়ে দেখতে ইচ্ছা হচ্ছে।
আমাদের রক্তে হয়তো যাযাবরের জিন আছে, তাই হয়তো আমরা অজানা দেশে ঠাঁই গাড়তে চাই। তারা বৈধ পথে যান, তাদের কোনো ঝুঁকি নেই, কিন্তু যারা অবৈধ পথে যান তারা কেন বিপুল অর্থ ব্যয় করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরদেশে ছুটে যান জানিনা। মাঝে মাঝেই যখন কোন বাংলাদেশীর এই বিপজ্জনক পথে মৃত্যুর খবর শুনি তখন আশা করি যে এটাই হয়তো এমন শেষ মৃত্যু হবে। কিন্তু কিছু দিন পর দেখা যায় আবার একই ঘটনা ঘটেছে।
কিছুদিন আগে দেখেছিলাম স্বপ্নের আমেরিকা যাবার শেষ পর্যায়ে ফ্লোরিডা উপকূলের কাছে নৌকা ডুবে কয়েকজন বাংলাদেশি মারা গেছেন। এরা প্রথমে গেছেন ব্রাজিল, সেখান থেকে দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশের জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে কিউবা হয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে তারা ফ্লোরিডা দিয়ে ঢুকতে চেয়েছিলেন। জনপ্রতি ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ করে গিয়েছিলেন। এই টাকা দিয়ে কেন তারা ব্যবসা করলেন না!!
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪০
সোহানী বলেছেন: এখানে দু'টো বিষয় কাজ করে,
এক, আমরা যারা দেশের বাইরে থাকি তারা শুধু চাক্যচিক্যটা দেখাই। পিছনের অন্ধকার দিক দেখাই না। যার কারনে দেশের সবাই ভাবে তার জীবনের যাবতীয় দু:খ কষ্টের সমাধান হবে দেশের বাইরে গেলে। তাই তারা প্রান বাজি রেখে ছুটে সর্টকাট সমাধানে।
দুই, দেশের সরকার বেকার, দূর্নীতি, বাটপারি, অসততা, আইনের শাসন নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। একটি ছেলে ৩০ লাখ টাকা দিয়ে ব্যাবসা খুলে কালকেই যে তার গলা ধাক্কা দিয়ে সব কেড়ে নিবে না তার গ্যারিন্টি কি কেউ দিতে পারবে? পারবে না। দেশ এখন অনিশ্চিতের দেশ।তাইতো কেউ শাহস করে না কিছু করতে।
এখানকার অবৈধ বা গরীব ছাত্রদের পরিশ্রম দেখলে ভীষন খারাপ লাগে। অমানুষিক পরিশ্রম করে তারা।
তাইতো এ ধরনের বড় বাজটের মুভি হলে মানুষ দেখবে বুঝতে বাস্তবতা।
১৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫২
শায়মা বলেছেন: কি কষ্টকর ঘটনাগুলো। জেনে খারাপ লাগছে আপুনি!
ম্যুভিটা দেখলে হয়ত আরও জানবো। দেখার চেষ্টা করবো।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪০
সোহানী বলেছেন: দেখো, ভালো লাগবে। অনেকদিন পর শাহরুখ এর একটা ভালো মুভি দেখলাম।
১৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২০
সোনালি কাবিন বলেছেন: রিভিউ দারুণ হয়েছে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪১
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাবিন। মুভিটা দেখুন।
১৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২১
সোনালি কাবিন বলেছেন: কিন্তু ঘটনা শুনে খারাপ লাগলো।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪২
সোহানী বলেছেন: এরকম ঘটনা লাখে লাখে ঘটছে। খুব কমই লাশ পাওয়া যায়। বেশীরভাগই জঙ্গলে পড়ে থাকে। কেউই জানে না তাদের খোঁজ।
১৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫২
জুন বলেছেন: সোহানী অত্যন্ত আবেগ অনুভূতি নিয়ে একটি লেখা লিখেছেন যা হৃদয়স্পর্শী। বেশ কয়েক বছর আগে রোমের এক ট্যুরিস্ট স্পটে শীর্নকায় এক বাংলাদেশী ভাই এক কিশোর যুবক গোলাপের স্টিক বিক্রি করছিল। আমরা বাংলাদেশ থেকে গিয়েছি শুনে জিজ্ঞেস করেছিল আমরা কি ডাংকি করে গিয়েছি নাকি? শব্দটার সাথে অপরিচিত থাকায় কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই এক বিশাল দেহী আফ্রিকান চত্বরের কিনারে এক জায়গায় তার জমা করা গোলাপগুলো ফেলে দিতে উদ্যত হলে সে প্রানপণে দৌড়ে যায়। এখনো মনে হলে অনেক কষ্ট লাগে।
আর কানাডায় দুই বাচ্চা সহ ভারতীয় বংশোদ্ভূত চারজন এর মর্মান্তিক মৃত্যু আমার মনে গভীর ছাপ ফেলে গিয়েছে। এছাড়া আরেকটি ঘটনা যারা আমেরিকায় অবৈধ ভাবে প্রবেশের চেষ্টায় লেকের মাঝে নলখাগড়ার বনে ডুবে মারা যায়।
একটুখানি ভালো জীবনের আশায় কি করুন মৃত্যু।
অনেক অনেক ভালোলাগা জানাচ্ছি। সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:১৬
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। আমরা লিখে যাই কিংবা বলে যাই কিন্তু যাদের শোনা দরকার তারা কি শোনে??
প্রতিদিন এরকম হাজার হাজার মারা যাচ্ছে। কয়জনের খোঁজ আমরা জানি? কারোই না। কারন তারা পরিচয়হীন লাশ। তাদের পরিচয় কোথাও থাকে না।
গতকাল বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশান এর একটা ইমিগ্রেশান নিয়ে টকশোতে অংশ নিয়েছিলাম। ইমিগ্রেশান নিয়ে কথা বলেছিলাম।
ভিডিওটা শেয়ার করতে চাইলাম কিন্তু পারছি না। ফেসবুক থেকে শেয়ার নিচ্ছে না সামহোয়ারে।
২০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অল্প কথায় রিভিউ ভালো হয়েছে। + +
৩৫ লাখ টাকা খরচ করে মানুষ কেন এমন দুর্বুদ্ধিতার পরিচয় দেয়, তা গবেষণার বিষয়। অজানা, অচেনা, অবৈধ পথে সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় বিপদসঙ্কুল এমন পথ পাড়ি দেয়ার হাতছানিতে সাড়া দেয়াটা দুঃসাহসিকতা, নাকি নির্বুদ্ধিতা তা বুঝতে পারছি না।
শার্দূল ২২ বর্ণিত কাহিনীটা পড়ে শিউরে উঠলাম।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪১
সোহানী বলেছেন: আসলে তারা অনেকটা অন্ধমোহে থাকে। মনে করে কি এমন কঠিন। তার উপর দালালদের মিথ্যে ফাঁদও একটি বড় কারন।
একটু যদি সরকার এসব যুবকদের নিয়ে কিছু চিন্তা করতো ও তারা দেশে কিছু করতে পারতো তাহলে হয়তো এ ৩৫ লাখ টাকা খরচ করে এরকম জীবন বাজি রাখতো না।
কিন্তু নিজের পরিবার ছাড়া কেউই নেই তাদের পাশে। হয়তো অনেক সময় পরিবারও থাকে না।
কানাডা বাংলাদেশে এসোসিয়েশানের আয়োজিত ইমিগ্রেশান বিষয়ে টকশোতে অংশ নিয়ে শার্দূল ২২ এর কাহিনী বলেছি আমি। আমি সত্যিই সকড্ ...।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: নেটফ্লিক্সে মুভিটা এসেছে?