নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার দেশকে ভালোবাসি

আমি নিজের সম্পর্কে উদাসীন হলেও আমার দেশ সম্পর্কে সচেতন

বেলাল তামজীদ

আমার প্রবাস জীবনের প্রতিটিদিন আমি আমার সোনার বাংলাকে মিস করছি

বেলাল তামজীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চীনে উচ্চশিক্ষার ধাপসমূহ (A to Z )

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

আমি চীনে আছি দীর্ঘ ৬ বছর ধরে ,এই ৬ বছরে না হলেও লাখ খানেক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি আর হাজের খানেক মেইল পেয়েছি চীনে উচ্চ শিক্ষার ব্যপারে। আজকে আমার এই লেখায় চীনে উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে সব কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আশা করি এই লেখাটা পড়ার পর চীনে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে কারো মনে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না ।আমি লেখাটা পয়েন্ট আকারে লিখলাম যেন আপনাদের প্রত্যেক টা খুঁটিনাটি চোখে পড়ে। প্রথম থেকেই শুরু করা যাক।

১. যোগ্যতা :

এম বি বি এস : বিদেশে MBBS পড়তে চাইলে সবচেয়ে বেশি সতর্কতার প্রয়োজন হয়। এই ক্ষেত্রে পয়েন্ট requirements এবং ভার্সিটি BMDC লিস্টেড কিনা সেটা দেখা সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । পয়েন্ট requirements এর ক্ষেত্রে চাইনিজ ভার্সিটির চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন । SSC +HSC মিলিয়ে ৭ পয়েন্ট হলেই চীনের অধিকাংশ মেডিকেল এ পড়া যায় । কিন্তু এতে লাভের এর চেয়ে ক্ষতি বেশি। BMDC বর্তমানে SSC+HSC এর সম্মলিত পয়েন্ট ৯ (SSC কিংবা HSC এর কোনটা তে ৪ পয়েন্ট এর কম থাকা যাবে না ) না হলে বাংলাদেশে কিংবা বিদেশে মেডিকেল পড়ার অনুমতি দেয় না । সুতরাং কম পয়েন্ট নিয়ে বিদেশ থেকে পড়ে এসেও দেশে ডাক্তারি করা সম্ভব নয়।BMDC নির্দিস্ট সংখ্যক কিছু ভার্সিটিতে বাংলাদেশীদের পড়ালেখার অনুমতি দিয়ে থাকে। এবং এই লিস্ট টা কিছু দিন পর পর হালনাগাত করে । আর বিদেশে মেডিকেল পড়তে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই অবশ্যই BMDC থেকে অনুমতিপত্র নিয়ে যেতে হবে নাহলে পরবর্তিতে বাংলাদেশে ডাক্তারি/প্রাক্টিস করতে সমস্যা হতে পারে। । মাত্র ১২০০ টাকার বিনিময়ে ঢাকায় অবস্থিত BMDC এর অফিস থেকে এই অনুমতিপত্র নেওয়া যাবে । আর একটা কথা বলে রাখি , চীনে MBBS এ বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের ফুল ফ্রি স্কলারশিপ দেয় না , তবে বার্ষিক রেজাল্ট এর উপর ভিত্তি করে প্রতি বছর সেরা ছাত্রছাত্রীদের ১০০০-৫০০০ ইউয়ান স্কলারশিপ দেয় ।

ব্যাচেলর (ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিবিএ): চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিবিএ পড়ার জন্য তেমন কোন পয়েন্ট requirements নেয়। তবে ভালো ভার্সিটিতে পড়তে চাইলে অবশ্যই ভালো পয়েন্ট দরকার হয়। চীনে বেশ কয়েকটি নামি ভার্সিটিতে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ দেয় (টিউশন ফি সম্পূর্ন ফ্রি) । তবে এই ক্ষেত্রে ভালো রেজাল্ট এর পাশাপাশি সঠিক নিয়মে এপ্লিকেশন করাটা খুব প্রয়োজন । তবে চীনের বেশিরভাগ ভার্সিটিতে ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ কিংবা প্রভিনশিয়াল স্কলারশিপ ও দিয়ে থাকে ,যেটা টিউশন ফি এর অর্ধেক টাকার সমান বা একটু বেশি। বাংলাদেশ থেকে যে কেউ চাইলেই এই স্কলারশিপ এ পড়তে আসতে পারে। তবে এখন বেশিরভাগ ভার্সিটি ঝামেলা এডানোর জন্য এজেন্টদের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করতে চায়। সে ক্ষেত্রে আপনাকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। একটা বিষয় সব সময় মনে রাখবেন , ' Government Scholarship " এর জন্য আপনি ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবেন । সে ক্ষেত্রে কোন এজেন্ট এর দরকার হয় না ।

মাস্টার্স এবং পিএইচডি : মাস্টার্স এবং পিএইচডি ছাত্রছাত্রীদের জন্য সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হচ্ছে চীনে "মাস্টার্স এবং পিএইচডি" তে পড়তে চাইলে কোন এজেন্ট এর মাধ্যমে এপ্লিকেশন না করায় ভালো। আপনি নিজেই নিজের জন্য এপ্লিকেশন করবেন। চীনে "মাস্টার্স এবং পিএইচডি" তে এপ্লিকেশন করার সময় হচ্ছে মার্চ থেকে এপ্রিল ।তবে কিছু ভার্সিটি তে মে-জুন মাসেও এপ্লিকেশন করা যায়। "মাস্টার্স এবং পিএইচডি" এর ছাত্রছাত্রীদের জন্য চীন সরকার বেশ কিছু স্কলারশিপ প্রদান করে।
a ।Chinese Government Scholarship : যেটা CSC স্কলারশিপ নামেই বেশি পরিচিত। এই স্কলারশিপে টিউশন এবং হোস্টেল ফি সম্পুর্ন ফ্রি থাকে, এবং এবং প্রতি মাসে ৩০০০-৩৫০০ ইউয়ান দেওয়া হয় হাত খরচ হিসেবে। অনেক ভার্সিটি তাদের পিএইচডি এর ছাত্রছাত্রীদের বছরে ২ বার করে রাউন্ড বিমান টিকেট ও দিয়ে থাকে। তবে এই স্কলারশিপ এর সুবিধা যেমন বেশই তেমনই এই স্কলারশিপ পাওয়াও অনেক কঠিন। যাদের cGPA ৩. ২ এর অধিক এবং IELTS এ ৬ + স্কোর আছে তাদের এই স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভবনা বেশি।
b ।Chinese Provincial Scholarship : এই স্কলারশিপে টিউশন এবং হোস্টেল ফি সম্পুর্ন ফ্রি থাকে, এবং এবং প্রতি মাসে ৮০০ -১০০০ ইউয়ান দেওয়া হয় হাত খরচ হিসেবে । এই স্কলারশিপটা পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ ।
c । University Scholarship ঃ এই ক্ষেত্রে ২ ধরনের স্কলারশিপ দেওয়া হয় ।
=) এই স্কলারশিপে টিউশন এবং হোস্টেল ফি সম্পুর্ন ফ্রি থাকে তবে কোন হাত খরচ দেওয়া হয় না ।
=) এই স্কলারশিপে টিউশন ফি সম্পুর্ন ফ্রি থাকে কিন্তু হোস্টেল ফি প্রদান করতে হয় ।যেটা প্রতি বছর ৩০০০-৫০০০ ইউয়ান। এই স্কলারশিপ এ ও কোন হাত খরচ দেওয়া হয় না ।


ব্যাচেলর এর ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস :
১।পাসপোর্ট ।
২।পাসপোর্ট সাইজ এর ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড) ।
৩।SSC এবং HSC এর সার্টিফিকেট আর মার্কশিট ।
৪।ইংলিশ proficiency সার্টিফিকেট (যদি থাকে) ।
৫। সংশ্লিস্ট ভার্সিটি এর এপ্লিকেশন ফর্ম ।
৬।মেডিকেল রেপোর্ট ।
৭।পুলিশ ক্লিয়ারেন্স (এটা প্রদান করা ভালো যদিও সব ভার্সিটি চায় না ) ।

মাস্টার্স এবং পিএইচডি এর ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস :
১।পাসপোর্ট ।
২।পাসপোর্ট সাইজ এর ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড) ।
৩।ব্যাচেলর ডিগ্রী সার্টিফিকেট আর মার্কশিট (উভয় ই নোটারাইজড কপি) ।
৪।রিকোমেন্ডেশন লেটার (কমপক্ষে ২ জন প্রফেসর এর )।
৫।স্টাডি প্লান (৮০০-১০০০ শব্দের এবং অবশ্যই অবশ্যই নিজে লেখার চেষ্টা করবেন, কারণ স্টাডি প্লান খুবই গুরুত্বপূর্ণ )।
৬।মেডিকেল রিপোর্ট (United হসপিটাল থেকে করা যায় ) ।
৭ । সিভি (যদি থাকে) ।
৮। ইংলিশ proficiency সার্টিফিকেট (যদি থাকে) । IELTS থাকলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভবনা বেশী।
৯। সংশ্লিস্ট ভার্সিটি এর এপ্লিকেশন ফর্ম ।
১০। প্রকাশনী (যদি থাকে, পিএইচডি এর ছাত্রছাত্রীদের জন্য) ।

নোট : সব ডকুমেন্টস এর শুধুমাত্র স্ক্যান কপি লাগবে । তবে স্ক্যান করা ডকুমেন্টস যেন খুব পরিষ্কার বুঝা যায়।

২. কোর্স সার্চঃ MBBS এবং ব্যাচেলর ডিগ্রী ছাত্রছাত্রীদের জন্য কোর্স বাছায় করা খুবই সহজ কিন্তু মাস্টার্স এবং পিএইচডি এর ছাত্রছাত্রীদের খুব সতর্কতার সাথে কোর্স বাছাই করা । মাস্টার্স এবং পিএইচডি এর ছাত্রছাত্রীদের প্রথমে ভার্সিটি পছন্দ করতে হবে ,তারপর সংশ্লিস্ট ভার্সিটি এর ওয়েব সাইট এ গিয়ে কোর্স পছন্দ করতে হবে । আপনার বাছাই করা কোর্স যেন আপনার পূরবর্তী কোর্স এর সাথে মিল থাকে। তাহলে স্কলারশিপ পাওয়া টা সহজ হয় । চীনে প্রায় সব Subjects এই ব্যাচেলর , মাস্টার্স এবং পিএইচডি করা যায়। শুধুমাত্র আপনাকে সতর্কতার সাথে খুঁজে নিতে হবে ।


৩. কোর্স বাছাই : শুধু চীনে না, বাইরের যে কোনো দেশে পড়তে যাওয়ার আগে অবশ্যই দেখে নেয়া লাগে যেসব বিষয় সেগুলো হলো-

a) সাবজেক্ট : মাস্টার্স এবং পিএইচডি এর ছাত্রছাত্রীদের Subject যথাক্রমে ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স এর Subject এর সাথে সংশ্লিস্ট থাকতে হবে । যেমন আপনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ব্যাচেলর করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সংশ্লিস্ট Subject পছন্দ করলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভবনা বেশি , কিন্তু কম্পিউটার বা এমবিএ এর জন্য আবেদন করলে স্কলারশিপ এর সম্ভবনা অনেক কমে যাবে। এই বিষয় টা খুব ই গুরুত্তপূর্ন ।

b) ভাষা : চীনে ইংলিশ এবং চাইনিজ ২ ভাষা তেই পড়ালেখা করা যায়। যদিও ৮০% এর বেশী শিক্ষার্থী ইংলিশ মিডিয়ামেই পড়ালেখা করে। কারণ চাইনিজ ভাষাটা বেশ কঠিন । তবে আপনি চাইলেই চাইনিজ ভাষায় ও পড়তে পারেন, সে ক্ষেত্রে প্রথমে ১ বছরের একটা চাইনিজ ভাষা শিক্ষা কোর্স করতে হবে এবং বছর শেষে HSK LEVEL ৪ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এই পরীক্ষায় পাশ করলেই কেবল মাত্র আপনি Major Subject এ পড়ার সুযোগ পাবেন ।

c) সেমিস্টার .: চীনে ৯৫% ভার্সিটিতে সেপ্টেম্বের সেশন থেকে ক্লাস শুরু হয় এবং কিছু ভার্সিটিতে মার্চ থেকে Major ক্লাস শুরু করে। তবে আপনি চাইলে মার্চ মাসে এসে চাইনিজ শিখতে পারেন ৬ মাস । তারপর সেপ্টেম্বরে Major ক্লাস এ জয়েন করতে পারবেন।

d) খরচ, ফি এবং স্কলারশিপ ফান্ডিং : সোজা কথা বলতে গেলে চীনে MBBS পড়তে গড়ে ২৫-৪০ লাখ টাকা খরচ হয় । তবে ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্কলারশিপ থাকায় খরচ অনেক কম, মাত্র ৪-৭ লাখ টাকায় কোর্স শেষ করা যায় ,যেটা ঢাকার অনেক প্রাইভেট ভার্সিটি এর চেয়েও কম। আর মাস্টার্স এবং পিএইচডি এর কথা তো উপরে উল্লেখ করলাম । তেমন টাকার দরকার হয় না । চীনে মাঝারি শহর গুলাতে খাওয়া খরচ বাবদ প্রতি মাসে ৮-৬ হাজার টাকা লাগে। এই ক্ষেত্রে বাইরে না খেয়ে নিজে রান্না করে খাওয়া শ্রেয়। খরচ সাশ্রয়ী হয় ।

e ) ভার্সিটি পছন্দ করা : এই অংশ দেখাটা জরুরি এই কারণে যে, ভার্সিটির অবস্থান (র‍্যাঙ্কিং), শহরের অবস্থা, থাকার ব্যবস্থা কেমন – এই ব্যাপারগুলা ক্লিয়ার থাকা দরকার। প্রথমে আপনাকে আপনার পছন্দ মত ভার্সিটি খুঁজে বের করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ওভেবসাইট থেকে ভার্সিটি এর তথ্য এবং রেঙ্কিং সম্পর্কে জানতে পারবেন। সামগ্রিকভাবে ভার্সিটি কেমন সেটা না দেখে আপনার পছন্দ করা Subject এ কতটা ভালো সেটা দেখা জরুরি । আর ভার্সিটিতে কত জন বিদেশি ছাত্রছাত্রী আছে সেটাও একবার দেখে নিবেন । চীনের ৯০% ভার্সিটি এর ইংলিশ ওভেবসাইট আছে, সুতরাং এই তথ্যগুলা খুঁজতে খুব একটা কষ্ট করতে হবে না । আর প্রত্যেক ভার্সিটি এর ওভেবসাইট এ যোগাযোগের জন্য ফোন নাম্বার এবং মেইল এড্রেস দেওয়া থাকে। আপনি চীনে আসার পূর্বে অবশ্যই অবশ্যই ভার্সিটি এর সাথে যোগাযোগ করে আসবেন। আপনি মেইল করলে ভার্সিটি সাত দিনের মধ্যে রিপ্লে দিবেই।

f) শহরঃ শহর পছন্দের ক্ষেত্রে ব্যাচেলর এর ছাত্রছাত্রীদের একটু বেশি সচেতন থাকতে হবে , কেননা তারা নিজের টাকায় পড়ালেখা করবে ( Scholarship কম ব্যাচেলর এ ) । তবে বেশীরভাগ মাস্টার্স এবং পিএইচডি এর ছাত্রছাত্রীরা যেহেতু প্রতি মাসে হাত খরচ পেয়ে থাকেন তাই তাদেরকে ভালো শহরে যাওয়াই ভালো। আর ব্যাচেলর এর ছাত্রছাত্রীদের প্রধান ২ টি শহরে না যাওয়াই ভালো। কারণ বেইজিং এবং সাংহাই চীনের প্রধান শহর হওয়াতে জীবন যাত্রার মান অনেক বেশী এবং প্রাত্যহিক জীবন যাপনের খরচ অন্য শহর গুলার তুলনায় অনেক বেশী।

৪. আবেদন করা : চীনে "মাস্টার্স এবং পিএইচডি" তে এপ্লিকেশন করার সময় হচ্ছে মার্চ থেকে এপ্রিল ।তবে কিছু ভার্সিটি তে মে-জুন মাসেও এপ্লিকেশন করা যায়। আর ব্যাচেলর রা ছাত্রছাত্রীরা মার্চ সেশন এর জন্য নভেম্বর থেকে জানুয়ারি আর সেপ্টেম্বর সেশন এর জন্য মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

৫. ভিসা : চীনের ভিসা পাওয়া খুব একটা জটিল কিছু নয় । কাগজপত্র ঠিক থাকলে সাধারণ কয়েকটি প্রশ্ন করেই ভিসা দিয়ে দেয়।এই ক্ষেত্রে যে প্রশ্ন করেন তার কয়েকটি নমুনা দিয়ে দিলাম।
a. ভার্সিটি সম্পুর্ন নাম , এড্রেস ,কোন শহর/প্রভিন্স ইত্যাদি।
b. কিভাবে এপ্লাই করলেন সেটা জানতে চাইতে পারে।
c. আপনার শখ , ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে পারে।
d. ব্যাংক স্টেটমেন্ট সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে পারে।
e. দু-একটি ইংলিশ ওয়ার্ড এর অর্থ জিজ্ঞেস করতে পারে।

নোট : সম্পুর্ন কথোপকথন ইংরেজী তে হবে ।


ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ
১।পাসপোর্ট ।
২।নির্দিস্ট মাপের ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড, প্রস্থ ৩৩ mm এবং দৈঘ্য ৪৮ mm , মাথার উপর ৩-৫ mm জায়গা খালি থাকতে হবে, মুখের নিচের অংশ থেকে চুলের উপরের অংশের প্রস্থ ১৫-২২ mm এবং দৈঘ্য ২৮-৩৩ mm হতে হবে ) ।
৩।সকল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট ( অরিজিনাল ) ।
৪। ব্যাংক স্টেটমেন্ট(ব্যাংক এ ৩ লাখ টাকার ডিপোসিট এবং ৬ মাসের লেনদেন দেখাতে হবে) ,ব্যাংক সলভেন্সী।
৫।এপ্লিকেশন ফর্ম (অনলাইন এ পাওয়া যাবে) ।
৬। মেডিকেল রেপোর্ট ।

৬। বিমান টিকেট : মাত্র ২৫-৩৫ হাজার বিনিময়ে ঢাকা থেকে চীনের অধিকাংশ শহরের বিমান টিকেট পাওয়া যায়। আর আপনি সাথে করে ২০-৩০ কেজি মালামাল নিয়ে যেতে পারবেন।চীনে প্রায় সব কিছুই পাওয়া যায়। সুতরাং আপনার বইপত্র আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলা মনে করে নিয়ে আসবেন।


আমি এই লেখার মাধ্যমে প্রায় সবকিছু তুলে ধরার চেস্টা করেছি। এই বাইরে যদি কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের আগ্রহ থাকে বা জানার থাকে তাহলে আমাকে মেইল করতে পারেন অথবা ফেইসবুকে যোগাযোগ করতে পারেন।

কিছু প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট :

১। Click This Link (এইখানে সব ভার্সিটি এবং Subjects এর ব্যাপারে জানতে পারবেন)
২। https://www.4icu.org (বিভিন্ন ভার্সিটি এর র‍্যাংক সম্পর্কে জানতে পারবেন )
৩। https://studyinchina.csc.edu.cn/#/filling/ ( Government Scholarhip এ আবেদন করতে হবে এইখানে )
৪। Click This Link ( আরও একটা স্কলারশিপ এ আবেদন করার ওয়েবসাইট)
৫। Click This Link (এজেন্সি নাম্বার , দরকারি)
৬। https://scu.17gz.org/member/login.do (ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করার ওয়েবসাইট দেখতে এইরকম )
৭। http://iso.hust.edu.cn
http://gjc.wtu.edu.cn/view.jsp?newsID=396
http://english.whut.edu.cn/profile/
http://english.bit.edu.cn. (কয়েকটি ভার্সিটি এর ওয়েবসাইট)

লেখক : বেলাল তামজীদ
চায়না থ্রি গর্জেস ইউনিভার্সিটি
ইছাং,হুবেই,চীন
মেইল : [email protected]
ফেইসবুকঃ facebook.com/belal.tamjeed

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়লাম

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০২

বেলাল তামজীদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: বুঝলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.