নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ

ইমন জুবায়ের

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]

ইমন জুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন রাজকুনোয়ার কিংবা লুৎফুন্নেসা বেগমের জীবন

১২ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৫

আমরা দেখেছি যে, পলাশীর যুদ্ধের পর নওয়াব সিরাজউদ্দৌলার পরিবারের নির্দোষ মহিলাদের সঙ্গে অন্যায় আচরণের ফলে মীরজাফরের ছেলে মীরন কে এক দৈব প্রতিশোধের সম্মূখীন হতে হয়। মীরজাফরের নির্দেশে ১৭৮০ সালে ঢাকার জিনজিরা প্রাসাদে বন্দিরত নওয়াব সিরাজউদ্দৌলার মা আমেনা বেগম ও খালা ঘসেটি বেগমকে নৌকায় তুলে নৌকাটি বুড়িগঙ্গায় ডুবিয়ে দেয় মীরন। এর অল্প কিছুকাল পরে মীরন পাটনার (বর্তমান বিহার)আমিমাবাদে বজ্রপাতে নিহত হন।

এ রকম অনেক বিস্ময়কর ঘটনা ও চরিত্র ১৭৫৭ কে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। বাংলার শেষ হতভাগ্য নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা, সেনাপতি মীরজাফর আলী খান, প্রাসাদ ষড়যন্ত্রকারিনী ঘসেটি বেগম, স্বার্থপর ব্যবসায়ী জগৎ শেঠ ও উমিচাঁদ এবং ইংরেজ বেনিয়া শ্রেণির স্বার্থ রক্ষাকারী রবার্ট ক্লাইভ। ১৭৫৭ কেবল বাংলার পটপরিবর্তনই নয়, সে সময় এমন সব ঘটনা ঘটেছিল যার অর্ন্তনিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করে আজও আমাদের কপাল কুঞ্চিত হয়ে ওঠে।







মুর্শিবাবাদের মানচিত্র। এককালের (সংযুক্ত) বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার রাজধানী ছিল এই মুর্শিদাবাদ। ভাগীরথী (গঙ্গা) নদীর তীরে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ নগর পূর্বাঞ্চলীয় মুগল প্রদেশ সুবাহ বাঙ্গালার প্রধান নগররুপে বিখ্যাত ছিল। অষ্টাদশ শতকে বাংলার নওয়াবদের আবাসস্থল ছিল মুর্শিদাবাদ নগর।



এই মুর্শিদাবাদ নগরেই নওয়াব সিরাজউদ্দৌলার দ্বিতীয় স্ত্রী লুৎফুন্নেসার উত্থান ঘটেছিল, ১৭৫৭-র রঙ্গমঞ্চে লুৎফুন্নেসার সেই উত্থান ছিল অতি বিচিত্র। প্রথম জীবনে লুৎফুন্নেসা ছিলেন মুর্শিবাবাদের নওয়াবের হাজারদুয়ারি প্রাসাদের এক হিন্দু পরিচারিকা । মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি প্রাসাদে নওয়াব সিরাজউদ্দৌলার মা আমিনা বেগমের সেবায় নিয়োজিত ছিল রাজকুনোয়ার । আমিনা বেগম রাজকুনোয়ার কে আপন কন্যার মতো স্নেহ করতেন। নম্র স্বভাবে রাজকুনোয়ার ছিল অত্যন্ত রুপসী এবং মধুরভাষীনি ।







মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি প্রাসাদ। এই প্রাসাদের কর্তৃত্ব নিয়েই ১৭৫৭-র ষড়যন্ত্র হয়েছিল, আর পরবর্তীকালে সেই ষড়যন্ত্রকারীদের জীবনও সুখের হয়নি ... এই প্রাসাদেই এককালে রাজকুনোয়ার বলে এক হিন্দু পরিচারিকা হয়ে উঠেছিল উচ্চাকাঙ্খি ...



রাজকুনোয়ার কি আমিনা বেগম-এর বেদনার্ত বিধবা জীবনের সঙ্গী হয়েছিল? আমিনা বেগম-এর জীবন তো তেমন সুখের ছিল না; আমিনা বেগমের স্বামীর নাম জৈনুদ্দীন। তিনি পাটনার (বিহার) নায়েব সুবাহদার ছিলেন। বিদ্রোহী আফগান নেতারা জৈনুদ্দীন কে হত্যা করে দু ছেলেসহ আমিনা বেগমকে বন্দি করে। আলীবর্দী খান বিদ্রোহী আফগান নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তাদের মুক্ত করেন। আমিনা বেগমের অন্য ছেলের নাম মির্জা মেহেদী। একে ১৭৫৭-র পর মীরজাফর আলী খান মির্জা মেহেদী কে ধীরে ধীরে টর্চার করে হত্যা করেছিল। তখনও বেঁচে ছিলেন আমিনা বেগম। শুনেছিলেন বড় ছেলের পর ছোট ছেলের হত্যার রোমহর্ষক কাহিনী...







দূর থেকে মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি প্রাসাদ। ... এর একতলায় আছে অস্ত্রাগার, রেকর্ড ঘর এবং অফিস ঘর। সিরাজের তরবারি, আলিবর্দীর তরবারী, নাদির শাহের বর্ম ও শিরস্ত্রান, মীরকাশিমের মুঙ্গের এর কারখানার বন্দুক এবং আরও বিভিন্ন ধরনের বন্দুক, ছোরা, বল্লম, খঞ্জর রয়েছে এই অস্ত্রাগারে। এছাড়া পলাশীর যুদ্ধে যে কামান ফেটে গিয়ে মীরমদন নিহত হয়েছিলেন সেটি এবং অকৃতজ্ঞ মহন্মদী বেগ যে ছোরা দিয়ে সিরাজ কে হত্যা করেছিল সেই ছোরাটাও সযত্নে রক্ষিত আছে অস্ত্রাগারে।



নওয়াব আলীবর্দীর স্ত্রী শরীফুন্নেছা। তার বড় মেয়ে মেহেরুন্নেসা; লোকে তাকে ঘসেটি বেগম নামেই চিনত। দু’ বোনের ব্যাক্তিত্ব পার্থক্য ছিল; একজন অ্যাকটিভ তো অন্যজন প্যাসিভ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মতো মনে হয়। এ ক্ষেত্রে শেখ রেহানা =আমিনা বেগম; আর ঘসেটি বেগম= ... আমিনা বেগমের তুলনায় ঘসেটি বেগম অনেক ডায়ানামিক পারসোনালিটির অধিকারী ছিলেন- সেই তুলনায় আমিনা বেগম অনেকটাই নিষ্প্রভ...উপরোন্ত সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বড় বোন।কাজেই ঘসেটি বেগমের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকার কথা না।

তাই বলছিলাম রাজকুনোয়ার কি আমিনা বেগমের বেদনার্ত বিধবা জীবনের সঙ্গী হয়েছিল ?







মুর্শিদাবাদের বর্তমান ছবি।



নিসন্দেহে বুদ্ধিমতি ছিল রাজকুনোয়ার। নার্ভাস আমিনা বেগম কে সাহস যোগাত? আমিনা বেগম এর সঙ্গে মুর্শিদাবাদ প্রাসাদের তরুণী হিন্দু দাসী রাজকুনোয়ার বিশেষ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল-যা ১৭৬৫ অবধি টিকে ছিল।







মুর্শিদাবাদের বর্তমান ছবি। রাজকুনোয়ার কি মুর্শিদাবাদের মেয়ে? রাজকুনোয়ার কি বাঙালি ছিল? নাকি পশ্চিমদেশিয়? মানে উত্তর ভারতের? রাজকুনোয়ার বাঙালি হলে কি স্থানীয়? মানে মুর্শিদাবাদের মেয়ে? বাঙালি মেয়েরাও তো সেই রকম সুন্দরী হয়। কোনওকালে এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে কি?



আমরা অনুমান করতে পারি রাজকুনোয়ার কেবল রুপসী ও বুদ্ধিমতী ছিল না, ছিল উচ্চাকাঙ্খিও, মানে অ্যাম্বিশাস। সে তরুন সিরাজকে দেখত মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি প্রাসাদে। ভবিষ্যতের বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার নওয়াব। সিরাজ সুদর্শন ও সুন্দর তরুণ। তবে যেন কিছু দুঃখী নওয়াব। তার কারণ আছে। সিরাজউদ্দৌলার প্রথম বিবাহ হয়েছিল ইরিজ খান নামে একজন অভিজাত ব্যক্তির কন্যার সঙ্গে, সেই মেয়ের নাম উমদাতুন্নিসা, অবশ্য তাকে হাজারদুয়ারি প্রাসাদের সবাই ‘বহু বেগম’ বলে ডাকত। উমদাতুন্নিসার কোনও সন্তানাদি হয়নি, তাছাড়া বহু বেগম আনন্দ-বিলাসে মগ্ন থাকে, নওয়াব-এর তেমন খোঁজখবর নিত না ...এসব কথা আমিনা বেগম জানতেন ... ওদিকে রাজকুনোয়ার আমিনা বেগমের মন জয় করেছিল। তিনি কৌশলে পুত্রের সেবায় রাজকুনোয়ার কে নিয়োজিত করেন (বিষয়টি আমাদের একালের অনেকের কাছে ‘অড’ লাগতে পারে) ... ওদিকে রাজকুনোয়ার-এর ব্যবহার অত্যন্ত মধুর, দেখতে রূপসী তো বটেই, যে কারণে নওয়াব তো মুগ্ধ হয়েই ছিল।







আসলে কেমন দেখতে ছিল রাজকুনোয়ার?



আমরা লক্ষ করি তরুণ নওয়াব রুপসী রাজকুনোয়ার কে কেবল হেরেমের রক্ষিতা হিসেবে ট্রিট করেন নি; ইচ্ছে করলে সেরকম সেই পুরুষশাসিত সময়ে করতে পারতেন, করেননি .. যে কারণে বাংলার ইতিহাসের এই পর্যায়ে আমরা অদম্য বন্য কামকে সমাহিত পবিত্র প্রেমে রুপান্তরিত হতে দেখি। কাজেই অপ্রাসঙ্গিক হলেও এক্ষণে একালের তুমুল জনপ্রিয় একটা বাউল গানের প্রথম দুটি কলি স্মরণ করি;



করি মানা কাম ছাড়ে না ... মদনে

আমি প্রেমরসিক হব কেমনে?




মুগ্ধ নওয়াব হিন্দু পরিচারিকা রাজকুনোয়ার কে বিবাহ করতে চায়, আমিনা বেগমও এ বিবাহে অসম্মত হন না, নওয়াব রাজকুনোয়ার কে বিয়ে করেন, ভালোবেসে রাজকুনোয়ার-এর নাম রাখেন লুৎফুন্নেসা বেগম।ধর্মান্তরিত লুৎফুন্নেসা বেগমের গর্ভে একটি মেয়ে হয়, ফুটফুটে মেয়েটির নাম জোহরা।

রাজকুনোয়ার-এর উচ্চাকাঙ্খি পরিকল্পনা সফল হয়।

কিন্তু সে কি পেল? যাকে পেল তার জীবনের সঙ্কট কি টের পেয়েছিল?







পলাশীর যুদ্ধ। একাত্তরের যুদ্ধের পাশাপাশি এই একটি যুদ্ধ যা বাঙালির মনে চিরকালের মতো দাগ কেটে আছে...



১৭৫৭ সালে পলাশীর বিপর্যয়ের পর নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা মুর্শিদাবাদ নগর থেকে একাকী পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। লুৎফুন্নেসা কান্নায় ভেঙে পড়েন, তাঁকে সঙ্গে নেয়ার আকুল আবেদন করেন। ১৭৫৭ সনের ২৪ জুন। রাত। নওয়াব একমাত্র কন্যা জোহরা, লুৎফুন্নেসা এবং একজন অনুগত খোজসহ মুর্শিদাবাদ শহর ত্যাগ করে। ধরা পড়ে যেতে দেরি হয়নি। সপরিবারে নবাবকে মুর্শিদাবাদে ফিরিয়ে আনা হয়। মীরজাফরের জামাতা মীরকাসিম লুকানো সোনা-দানার সন্ধান চেয়ে লুৎফুন্নেসা ওপর অত্যাচার করে। মীরজাফর নবাবকে হত্যার আদেশ দেয় ...

এখন প্রশ্ন এই সেসময় মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি প্রাসাদের সাধারন পরিচারিকা দের ভাগ্যে কি ঘটেছিল? তাদের ভাগ্যে তেমন বিপর্যয়কর কিছু ঘটার কথা নয়। তাদের প্রভূদের পরিবর্তন হয়েছিল মাত্র। রাজকুনোয়ার এর সহকর্মীদের কিছু হয়নি। রাজকুনোয়ার ততদিনে লুৎফুন্নেসা বেগম, কাজেই তাকে পরিবর্তিত ভাগ্যের কোপে পড়তে হয়েছিল।







বুড়িগঙ্গার পাড়ে জিনজিরা প্রাসাদ। বাংলার মুঘল সুবহাদার ২য় ইব্রাহিম খান (১৬৮৯-১৬৯৭) তাঁর প্রমোদ কেন্দ্র হিসেবে প্রাসাদটি নির্মান করেন। ১৭৫৮ সালে মীরজাফর নওয়াব সিরাজউদ্দৌলার পরিবারের মহিলা সদস্যদের ঢাকায় নির্বাসিত করে এই জিনজিরা প্রাসাদে থাকার নির্দেশ দেন। এটি ঠিক কারাগার নয়, প্রাসাদ। তাই একে বিশেষ কারাগার বলা যায়। এই প্রসঙ্গে কারও কারও বিগত তত্ত্বাবধায়ক আমলের বিশেষ কারাগারের কথা মনে পড়তে পারে।



ঢাকার জিনজিরা প্রাসাদে লুৎফুন্নেসা বেগমের ৭ বছরের দুঃসহ জীবন কাটে । চরম দারিদ্র, দুঃসহ পরিবেশ। যৎসামান্য ভাতা আসত বটে, তবে তা ছিল অনিয়মিত। তার ওপর শোক, গভীর শোক, স্বামীর জন্য শোক। ১৭৮০ সাল। মীরজাফরের নির্দেশে মীরন নওয়াব সিরাজউদ্দৌলার মা আমেনা বেগম ও খালা ঘসেটি বেগমকে একটি নৌকায় তুলে সেটি ডুবিয়ে দেয়। তার আগে ১৭৬৫ সালে ক্লাইভ এর নির্দেশে লুৎফুন্নেসা বেগম, তার কন্যা জোহরা ও নওয়াব আলীবর্দীর স্ত্রী শরীফুন্নেছাকে মুক্ত করে মুর্শিদাবাদে আনা হয়।

কেন ক্লাইভ এই রকম হিতকারী সিদ্ধান্ত নিলেন যেখানে মীরজাফরের নির্দেশে মীরন আমেনা বেগম ও খালা ঘসেটি বেগম কে নৌকায় তুলে সে নৌকা বুড়িগঙ্গায় ডুবিয়ে দিল? মুগল সেনানায়কের হিংস্রতার পাশাপাশি

একজন ব্রিটিশ সেনাধক্ষ্য উদারতা দেখাল। কী ভাবে একে ব্যাখ্যা করা যায়? মুঘলদের তুলনায় ব্রিটিনের উন্নত গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা? ব্রিটেনে (সাম্রাজ্যবাদী হওয়া সত্ত্বেও) নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন ছিল বলে?







রবার্ট ক্লাইভ।



মুর্শিদাবাদে ফিরে এসে শুরু হল দুঃসহ জীবন। লুৎফুন্নেসা বেগম এর জন্য রবার্ট ক্লাইভ তথা ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ৬০০ টাকা ভাতা বরাদ্দ করেন। জোহরা ততদিনে বিবাহযোগ্যা হয়ে উঠেছে। মীর আসাদ আলী খান নামে এক পাত্র জুটল। এককালের হাজারদুয়ারির মালিকের কন্যার বিবাহ সম্পন্ন হল অত্যন্ত সাদাসিদে ভাবে। যা হোক। একে একে চার চারটি কন্যা সন্তান মা হল জোহরা। স্বামী মীর আসাদ আলী খান আকস্মিক ভাবে মারা গেলেন। ১৭৭৪ সালে মারা গেল জোহরা। লুৎফুন্নেসা বেগম মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমন ভাবতেন কি- এর চে মুর্শিদাবাদের প্রাসাদের পরিচারিকার জীবন কি ভালো ছিল? ৬০০ টাকায় সংসার চলে না। ১৭৮৭ সাল। লর্ড কর্নওয়ালিশের কাছে ভাতা বাড়ানোর আবেদন করলেন। লর্ড কর্নওয়ালিশ নাকচ করে দিলেন সে প্রস্তাব।







বর্তমান মুর্শিদাবাদের একটি এলাকা । কোথায় ছিলেন দুঃখীনি লুৎফুন্নেসা বেগম?







মুর্শিদাবাদের খোশবাগ-এ ছিল নওয়াবদের সমাধিক্ষেত্র। আলীবর্দী খাঁ ও নওয়াব সিরাজউদ্দৌলার সমাধির দেখাশোনার জন্য মাসে ৩০৫ টাকা পেতেন লুৎফুন্নেসা বেগম। এর সঙ্গে যোগ হত কোরআন পাঠ ও দান-খয়রাত।







আজও মুর্শিদাবাদ নগরের এরকম অনেক স্থাপত্য লুৎফুন্নেসা বেগমের জীবনের শূন্যতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ...



১৭৯০ স্বামীর কবরের পাশে নামাজ পড়ার সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে লুৎফুন্নেসা বেগম। স্বামীর কবরের পাশেই কবর হয়েছিল লুৎফুন্নেসা বেগমের।



উৎসর্গ: কবি শিরীষ ও তায়েফ আহমেদ। এ দুজনেরই সেই বিশেষ সময়টা নিয়ে ‘অবসেসন’ রয়েছে।



ছবি ও তথ্যের উৎস: বাংলাপিডিয়া ও ইন্টারনেটে প্রাপ্ত তথ্যাদি ...

মন্তব্য ৮০ টি রেটিং +৩৩/-০

মন্তব্য (৮০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১১

ব্রাইটসেন্ট্রাল বলেছেন:

বিনা দ্বিধায় +

১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:৩৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১২ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

করবি বলেছেন:
রাজকুনোয়ার নামটা কেন জানি বেশ ভালো লাগলো।
লুৎফুন্নেসা বেগম হিন্দু ছিলেন জানতাম কিন্তু নামটা জানা ছিল না।
অনেক কিছু জানা হল। সাথে মনটাও একটু খারাপ হয়ে গেল।



ধন্যবাদ চমৎকার লেখেটার জন্য।

১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:৩৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আসলে আমিনা বেগম রাজকুনোয়ার বলে ডাকতেন।
মন তো খারাপ হওয়ার কথাই, শূন্য থেকে উঠে আসা ...তার দীর্ঘ কষ্টের জীবন ...
ধন্যবাদ।

৩| ১২ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মোঃ শফিকুল ইসলাম (সবুজ) বলেছেন: +

১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:৩৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

জাফরিন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার বেশ কাজে লাগবে

১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:৩৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১২ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: +

১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:৩৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১২ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

নৈশচারী বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে!

১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:৩৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১২ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ফয়জুল আলম বেলাল বলেছেন: মুর্শিদাবেদর সরজিমন প্রতিবেদন পড়েছিলাম আব্দুল হাই শিকদারের ভ্রমন সমগ্র'র মধ্যে। তখন লুতফুন্নেছা কে অত্যন্ত ত্যাগী ও প্রতিপ্রাণা মনে হয়েছে। তিনি স্বামীর কবরে একাকী আটারো বছর কাটিয়েছেন। নবাব হত্যার পরে দীর্ঘ আট বছর বন্ধী ছিলেন। মীরন তাকে বিয়ের প্রস্তাব্ করেছিল। তিনি বলেছিলেন হাতির পিঠে যে নারী চড়েছে, সে কিভাবে গাধার পিঠে উঠবে? এভাবে তাকে প্রত্যাখান করেছেন হাজার যন্ত্রনা সহ্য করে।

১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:৩২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: শুধু মীরন নয়, মীরজাফরও বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল,তাদের যথারীতি প্রত্যাখান করা হয়েছিল, এমনই ব্যাক্তিত্ব সেই নারীর!

৮| ১২ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

প্লাটো বলেছেন: ভাল লাগল বরাবরের মত । সঙ্গে একটু যোগ করছি। বর্তমানের যে হাজারদুয়ারি প্রাসাদ বা যেটার ছবি দেয়া হয়েছে সেটা কিন্তু নবাবদের সেই সময়ের (১৭৫৭ সমসাময়িক) ব্যবহৃত আসল হাজার দুয়ারি নয়। এটা তৈরী করা হয়েছে অনেক পরে পূর্বটার বা মূল প্রাসাদের আদলে ১৮০০-১৯০০ এর মাঝামাঝিতে। সরি, এগজ্যাক্ট সনটা দিতে পারলামনা।তবে ওখানে রাখা ব্যবহার্য সামগ্রী গুলো ঠিক আছে।

নবাবদের মূল বসতভিটে আর রংমহলগুলো অনেক অনেক আগেই ভাগীরথীর নদীর সাথে মিশে গেছে। শুধু কিছু মূল কবরস্থান এখনও থেকে গেছে এদিক ওদিক। তবে ১৭৫৭ এর সমসাময়িক মূল অবকাঠামোর অধিকাংশই ভাগিরথী খেয়ে ফেলেছে। যেগুলি আছে সেগুলি আঠারশোর পরে ইংরেজদের খাজনা সংগ্রহকারী সব পরাধীন নবাবদের। প্লাস।

১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:৩০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৯| ১২ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫২

প্রতীক্ষা বলেছেন: পড়ছি! ছবি লেখা সব অনেক ভালো হয়েছে! :)

+++++

১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:২৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল। :P

১০| ১২ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

দোয়েল_পাখি বলেছেন: ব্রাইটসেন্ট্রাল বলেছেন:

বিনা দ্বিধায় +

১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:২৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ১২ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সৈয়দ নূর কামাল বলেছেন: এভাবে এতো সুন্দর ভাবে অতীত তুলে আনাকে ধন্যবাদ না জানিয়ে পারি। হ্যাঁ এটাই তো আমাদের ফেলে আসা ইতিহাস।
শুভ কামনা।

১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:২৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আপনার প্রতিও রইল শুভ কামনা।

১২| ১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:০৬

সামিউর বলেছেন: অসাধারণ। জট্টিল রকম সহজ আর ইনফর্মেশনে ভরপুর একটা পোস্ট। + :)

১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:২৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:১১

টেকিবাবা বলেছেন: অসাধারণ লেখা, খুব ভালো লাগলো পড়ে।

১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:২৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:১৭

হোদল রাজা বলেছেন: আরো একটা চমৎকার লিখা!

+

১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:২৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: শুভ কামনা।

১৫| ১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:৩০

নুভান বলেছেন: চমৎকার ইমন ভাই। লুৎফুন্নেসার ব্যাপারটা জানা ছিলো না।

আরেকটি কথাঃ মীর কাসিমের বক্সারের যুদ্ধ সম্পর্কে যানতে চাই। শুনেছিলাম, পলাশী যুদ্ধের মতন বক্সারের যুদ্ধও নাকি বেশ গুরুত্বপূর্ণ, আত মীর কাসিম ও নাকি বেশ বিচক্ষনতার পরিচয় দিয়েছিলেন রাজধানী বদল করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকেও হারতে হল। :(

১২ ই মে, ২০১০ রাত ৮:৩৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ঠিক আছে। ওই দিকটা সর্ম্পকেও আলোচনা করা যাবে একদিন।

১৬| ১২ ই মে, ২০১০ রাত ৯:২১

শিরীষ বলেছেন: আমি আগেই বলেছি ইমন ভাই, সেই ছোট্ট বয়সে শোনা পলাশীর প্রান্তরে মনে ভীষন দাগ কেটেছিল। আমি মুর্শিদাবাদ ছুটে গেছি সুযোগ পেয়েই। হাজারদুয়ারী, খোশবাগ, মীরজাফরের কবরস্থান সবকিছুই পরিদর্শন এর সুযোগ ঘটেছিল।
হাজারদুয়ারী এখন একটি জাদুঘর। হ্যাঁ, আপনি যা যা উল্লেখ করেছেন সবকিছুই সযত্নে প্রদর্শিত হচ্ছে ওখানে। আলীবর্দী খাঁ'র সোর্ড দেখে অবাক হয়ে গেছি, প্রায় ছয় ফুট লম্বা ঐ তরবারি যিনি পরিচালনা করতেন তাঁর দৈহিক গড়নটি কেমন ছিল তা সহজেই অনুমেয়। দেখেছি অদ্ভুত সুন্দর সব ঝাড়বাতি, মহিলাদের অলংকার, নবাব আমলের সব অপূর্ব কারুকার্যময় তৈজসপত্র, যুদ্ধাস্ত্র। দেখেছি বেলজিয়াম থেকে আনীত বিশেষ ধরনের শুরাপাত্র যা বিষ নির্ণয় করতে পারতো। অর্থাৎ পানীয়তে যদি বিষ মেশানো থাকতো তবে তা কালো বর্ণ ধারণ করত !
খোশবাগ, নবাবের মাজার পরিদর্শনে যখন যাই তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। রক্ষণাবেক্ষণে ছিলেন একজন সুফীদর্শন বৃদ্ধ। কী মমতায় যে সবকিছু ঘুরিয়ে দেখালেন ! লুৎফুন্নেসা বেগমের প্রতি আমার শ্রদ্ধা বেড়ে গিয়েছিল কয়েকগুন ঐ মাজার রক্ষকের বর্ণনাতে - যেমনটি আপনি করলেন ইমন ভাই। নবাবের প্রতি তাঁর ভালবাসা তো নয় যেন এক অন্যরকমের অবসেশন্ ছিল। দিন-রাত খোশবাগে নামাজ-রোজা করে কাটাতেন, চুপচাপ বসে থাকতেন নবাবের কবরের সামনে।
এই পোস্টটি আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেল অতীতে। আমার কৃতজ্ঞতা জানুন ইমন ভাই। অসম্ভব ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।

১২ ই মে, ২০১০ রাত ৯:২৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমি অভিভূত!

১৭| ১২ ই মে, ২০১০ রাত ৯:৪২

সূর্যদয় বলেছেন: অনেকদিন পর ১টা ভাল লেখা পরলাম। সত্যি অসাধারন হয়েছে। সরাসরি প্রিয়তে.... +

১২ ই মে, ২০১০ রাত ১০:৫১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: শুভ কামনা।

১৮| ১২ ই মে, ২০১০ রাত ৯:৫১

শফিক২০৬৪ বলেছেন: ভালো লেগেছে

১২ ই মে, ২০১০ রাত ১০:৫১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ১২ ই মে, ২০১০ রাত ১১:২৫

লুৎফুল কাদের বলেছেন: অনেক কিছু নতুন জানানোর জন্য ধন্যবাদ.

১২ ই মে, ২০১০ রাত ১১:২৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২০| ১২ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৪৫

আকাশ_পাগলা বলেছেন: বাঙালি মেয়েরাও তো সেই রকম সুন্দরী হয়।

রাইট।
আমি সাক্ষী।


বহু বেগম সারাদিন আনন্দ বিলাসে মত্ত থাকত মানে? সিরাজরে নিলে সমস্যা কী ছিল? দুইজন মিলে কী আনন্দ করা যায় না? কী টাইপ আনন্দ বিলাসে এরকম পরিবারের একজন মহিলা সেসময় কাটাতেন?? এইটা মাথায় আসতেছেনা।

১৩ ই মে, ২০১০ ভোর ৬:৫২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ১. একমত।
২.ব্যাপারটা আমার কাছেও ক্লিয়ার না।

২১| ১৩ ই মে, ২০১০ রাত ১২:০২

তারার হাসি বলেছেন: জিনজিরা প্রসাদটি দেখতে অনেকটা আহসান মঞ্জিলের মত মনে হচ্ছে।
ইতিহাসের পাতা থেকে যখন আমরা ঘটনাগুলি গল্পকারে পড়ি, কেমন যেন অবাস্তব মনে হয়। তাদের ক্ষমতালোভী এবং নিষ্ঠুর মনে হয়।

অথচ বর্তমানকে দেখুন, পত্রিকার প্রথম পাতা দেখুন, আমরা তাদের চেয়েও অনেক ধাপ এগিয়ে।

খুব ভাল লাগল।

১৩ ই মে, ২০১০ ভোর ৬:৫৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২২| ১৩ ই মে, ২০১০ রাত ১২:৪৫

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: সন্ধ্যেবেলায় লেখাটা পড়েছি, কমেন্টের সুযোগ ছিল না।
পোষ্টের শেষে নিজের নামটা দেখার পর থেকে ভাললাগা ছুঁয়ে আছে এখনো পর্যন্ত।

উচ্চমাধ্যমিক শ্রেনীর বাঙলা সিলেবাস-ভুক্ত সিকান্দার আবু জাফরের 'সিরাজউদ্দৌলা' নাটকটা আমি যখন পড়ি, তখন আমার আট-নয় বছর বয়স। সে সময় থেকেই সিরাজ আমার নায়ক। তারউপর, খান আতার 'সিরাজউদ্দৌলা' মুভীটা সে সময়েই দেখেছিলাম প্রথম বারের মত।

এভাবে, সিরাজকে নিয়ে অল্পস্বল্প পড়া হয়েছে। শেষ পড়লাম অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় এর বইটা.....

আর এই লেখা ভাল না খারাপ সেটা নিয়ে কথা বলার দরকারই নেই।:):):)

১৩ ই মে, ২০১০ ভোর ৬:৫৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৩| ১৩ ই মে, ২০১০ সকাল ১১:২০

ফিরোজ-২ বলেছেন: ধন্যবাদ চমৎকার লেখেটার জন্য।
+++

১৩ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:৩৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৪| ১৩ ই মে, ২০১০ সকাল ১১:৩২

রেজোওয়ানা বলেছেন: হাজারদুয়ারী জাদুঘরে আপনি গিয়েছিলেন?
ওদের একটা ওয়েব সাইট তৈরি করার কথা ছিল, যেখানে মিউজিয়ামের সব নিদর্শন গুলো থাকবে, করেছে কিনা জানেন নাকি?

লেখা যাথারিতী বড়ই সৌন্দর্য ......।

১৩ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:৩৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: না, যাইনি। জানি না।

লেখা সুন্দর হয়েছে শুনে ভালো লাগল।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

২৫| ১৩ ই মে, ২০১০ সকাল ১১:৩৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: ইতিহাস চর্চার উপর আপনার আগ্রহ যারপরনাই মুগ্ধ করছে। তার চেয়ে বেশী লাভবান হচ্ছি আপনার সেই আগ্রহের এমন এক একটা নজরকাড়া বহিঃপ্রকাশ দেখে। সুন্দর

১৩ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:৩৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: এত সুন্দর মন্তব্য আমি এই প্রথম পেলাম................

মুঘল স্থাপত্য রিতী আমারো খুব ভাল লাগে, বিশেষ করে ওদের চারবাগ পদ্ধতিতে তৈরি স্থাপত্য গুলো।

২৬| ১৩ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:১০

রেজোওয়ানা বলেছেন: X( X( :-P :-P X(

১৩ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:৫৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: X( X( :-P :-P X(

২৭| ১৩ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:০৬

দীপান্বিতা বলেছেন: খুব ভাল লাগল...পড়তে পড় বিশ্বজিৎ আর সন্ধ্যা রায়ের সিনেমাটির কথাও মনে পরল... :)

১৩ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:৫৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৮| ১৩ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৭

সোমহেপি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো দাদা।এত দরদ দিয়ে লিখেছেন যে লুৎফুন্নেসার বিরহটা আস্ত একটা বিরহী কবিতা মনে হল

১৩ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :|

২৯| ১৩ ই মে, ২০১০ রাত ৮:৩৮

জনৈক আরাফাত বলেছেন: :)

১৩ ই মে, ২০১০ রাত ৯:৩৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :P

৩০| ১৩ ই মে, ২০১০ রাত ৮:৫৭

রো-দ্দু-র বলেছেন: ছবিগুলো ভাল লেগেছে। সহজ পাঠ্য।

ইতিহাসকে সবসময় রসকষহীন বলে মনেহয়। তবে বাড়তি রসদেবার চেষ্টা (রাজকুনোয়ার প্রতি আবেগ ও অযথা আওয়ামী ক্যাচাল) কে ভাল লাগেনি।

১৩ ই মে, ২০১০ রাত ৯:৩৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :|

৩১| ১৪ ই মে, ২০১০ রাত ১২:৫৩

জেসমিন মলি বলেছেন: ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

১৪ ই মে, ২০১০ ভোর ৬:৫৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩২| ১৪ ই মে, ২০১০ দুপুর ২:০২

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: লেখাটা এমন, যে আবেগ ঘিরে ধরে। যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে রাজকুনোয়ার অথবা লুৎফুন্নেসা র এর সম্পর্কে লিখে যাওয়া দৃশ্যপট গুলো।

মুর্শিদাবাদের পথঘাট দেখে মনে হচ্ছিল, গাজীপুরের রাজবাড়ীর পাশ দিয়ে হাঁটছি।


...................
বাঙ্গালী মেয়েরাও সেইরাম সুন্দরী হয় :P

১৪ ই মে, ২০১০ বিকাল ৪:০৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: গাজীপুরের রাজবাড়ীর পাশ দিয়ে এক সময় হাঁটতাম।

বাঙ্গালী মেয়েরাও কি সেইরাম সুন্দরী হয় না? :P

৩৩| ১৫ ই মে, ২০১০ রাত ১২:১৯

আকাশ অম্বর বলেছেন: অনবদ্য, ইমন ভাই। অনবদ্য।

১৫ ই মে, ২০১০ ভোর ৬:২৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৪| ২১ শে মে, ২০১০ বিকাল ৪:৫৩

রাজীব বলেছেন: মন খারাপ করা সুন্দর একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২১ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:০৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩৭

অপরাজিতার কথা বলেছেন: অসাধারন একটি পোস্ট!অনেকদিন আগের দেখা সিরাজউদ্দৌলা ছবিটির কথা মনে পড়ল।ছবিগুলোর জন্য ধন্যবাদ।অনেক অজানা তথ্য জানা হল।আবারো ধন্যবাদ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১৯

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আরেকটা স্বর্নখনি পোস্ট। চমৎকার একটা সিনেমার প্লট হতে পারে এই ভদ্রমহিলার জীবন।


এ ক্ষেত্রে শেখ রেহানা =আমিনা বেগম; আর ঘসেটি বেগম= ...


হা হা হা। আমাদের ঘসেটি বেগমের নাম উচ্চারন করতে ভয় পান? ;)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৫০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :P

৩৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৪৪

রাশমী বলেছেন: ঘসেটি বেগম তো ''এপিক ক্যারেক্টার'' যুগে যুগে উনি বিদ্যমান!!

নবাব বংশের পরবর্তী অবস্থা নিয়ে জানতে চাই!!!

ভালো লাগার আরেকটি পোস্ট!! :)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৫০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ওকে

৩৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৪৯

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: চমৎকার ইমনজী

প্রিয়তে

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৫১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :)

৩৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৪০

যুধিষ্ঠির বলেছেন: আমার এক বান্ধবী যে এই পরিবারের সদস্য আপনার লেখা পড়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ! আপনার তথ্য কতটুকু সত্য ভাইয়া? কাল ওর কথা গুলো পোস্ট দেব।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৫৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমি ঐতিহাসিক সূত্রের ওপর নির্ভর করে লিখেছি। কোনও পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে নয়।
ধন্যবাদ।

৪০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩২

দে-দৌড় বলেছেন: অনেক দিন পর ভাল লেখা পেলাম, সামনে আরো কিছুর অপেক্ষায় রইলাম। ভাল লেখার জন্য, চায়ের নিমন্ত্রণ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৪০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.