![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জেনে শুনে বিষপান করলে সেখানে মৃত্যুর ভয় থাকেনা। কারন মৃত্যুর উপর জীবনের আধিক্য এতটাই বেশি থাকে,মৃত্যুকে সরাজ্ঞান মনে করে তখন। দাম্ভিকিতা,স্বেচ্চাচারীতা,অর্থলোভ যা ই থাকুক আর্থিক অসচ্ছলতাই অনেককে এ পথে নামায়। সৌদিঅরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই গৃহকর্মী হিসেবে এ দেশের নারীদের যাওয়াটা যেমনি নতুন কিছু নয়। তেমনি সে সব দেশের গৃহকর্তা কর্তৃক এ দেশের সরল সতী,স্বাধ্বী নারীরাি নির্যাতিত হওয়ার ঘটনাও নতুন কিছু নয়। তবু সেই ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটছে মহাসমারোহে। কেন ঘটছে ? ঘুরে ফিরে এর উত্তর একটাই। যে যাচ্ছে তার সন্মতি যতটুকু দায়ভার নিচ্ছে,যে পাঠাচ্ছে তাদের দায়ভার তার চেয়ে বেশি। আর্থিক অসচ্ছতার কথা ভেবে ভিকটিমকে আমরা কিছুটা হলেও দায়মুক্তি দিতে পারি। কিন্তু কতৃপক্ষ ?
গত ৯ এপ্রিল ২০১৬ তারিখের প্রথম আলো সূত্র থেকে জানা যায়,কুড়িগ্রামের এক নারীকে মাস ছয় আগে সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে পাঠানো হয়। সেখানে সেই সৌদি গৃহকর্তার ধর্ষনের শিকার হয়ে সেই নারী অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে। দিনের পর দিন এভাবে ধর্ষনের শিকার থেকে মুক্তি পেতে অবশেষে সে রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তার পর যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গত ৬ এপ্রিল তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ততক্ষনে সে তার সর্বস্ব হারিয়ে স্বামী সন্তানের কাছে আজ দৃষ্টি কটু হিসেবে পরিনত হয়েছে। ওসব গৃহকর্তাদের এমন পাষন্ড আচরনের কারনে ভারত,ফিলিফাইন এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে তারা মধ্যপ্রাচ্যে গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করে দিলেও বাংলাদেশ থেকে সেই কাজটি বরাবর অব্যাহত রয়েছে। আমাদের নারীরা আর কত নির্যাতিত হলে বিবেকের ধ্বংশন অনুভূত হবে আমাদের? আমরা আর হারাতে চাইনা। এখনি বন্ধ করতে হবে এসব। সচেতন হতে হবে নারীদেরকেও। রিজেকের তাড়নায় নিজেকে আর সর্বস্বান্ত করোনা। রিজিকের মালিক আল্লাহ।
“ নারী তোমাদের বলছি ! মহান আল্লাপাক তোমাদের সৃষ্টি করেছেন পুরুষের চেয়েও বেশি সন্মানিত করে। সেই সন্মান টুকু ধরে রাখার দায়িত্ব তোমাদেরও নিতে হবে ! তোমরা যে আমাদের মা, বোন,এবং কন্যা “
©somewhere in net ltd.